Banner Advertise

Thursday, December 12, 2013

[chottala.com] RE: story behind joy bungul group



Long before that our national poet Kazi Nazrul Islam uttered the slogan " Joy Bangla" in his election campaign, when he ran for Bengal Lagislative Assembly in the year1937 from Faridpur Zila. Not only that, he was the first to use word "Bangladesh" in his writing when the norm of the then literary circle was to use the word "Bengal" or "Bangla". 

Shahadat Suhrawardy

> Date: Thu, 12 Dec 2013 17:43:07 -0800
> From: javed.mirani@inbox.com
> Subject: story behind joy bungul group
> To: golardho@yahoo.com
> CC: munir1062@yahoo.com; rezaulkarim617@gmail.com; shahadathussaini@hotmail.com; sinha102@verizon.net
>
>
> 'Joy bangla' sologan was first coined by Siraj Sikdar in 1968 after he broke from
> then EPSU (chatro union / menon group ) and started a group called test tube group;
> to start a social experiment to raise awareness about plight of under class in all
> bengal. In Jan 1969 he changed the name Testube group Shorbohara party and
> replace the slogan joy bangla with joy shobora, Some time in early 1969 Tofail
> started using the slogan joy bangla at chatro league meetings and refered sk mujib
> as bongo bondhu (some sarcastically twisted it as bungul bondhu). Even sheik kamal
> his dad as bongo bondhu, one day Jami, youngest son Jahanara Imam, his then best
> friend Akku and Kumar morshed (son of mp Noorjahan/sarwar morshed) confronted sk kamal,
> why he refers his dad as Bongo bondhu and not dad. His reply, dad likes that, also
> mentioned his dad thought 'bongo bondu' and 'joy bangla' is so catchy that
> propelled his popularity to stratosphere among young and uneducated who
> understood very little what he stood for. Still now those word from sheik mujib
> rings true even for many supposedly educated. Joy bangla has more or less like
> a tribal war cry in backward part of the world. Only thing matters is feel proud to
> go blind from the scream of those words and get ready to hate/kill or killed without
> rymes reason. From party slogan of test tube group; Joy bangla became lot like what jai hind is to bjp roiter.
>
> ____________________________________________________________
> FREE 3D EARTH SCREENSAVER - Watch the Earth right on your desktop!
> Check it out at http://www.inbox.com/earth
>
>


__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] কাদের মোল্লা : মুখে মধু অন্তরে বিষ!



কাদের মোল্লা : মুখে মধু অন্তরে বিষ!




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দায়িত্ব তো শেখ হাসিনার একার নয়।






যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দায়িত্ব তো শেখ হাসিনার একার নয়। কিন্তু তার উপর দায় দিয়েই অন্যরা সরে গেল। তাকে একা মাঠে নামিয়ে দিয়ে সবাই হাওয়া হয়ে গেছে। মীর জাফরের ঐ দৃশ্যটা মনে পড়ছে। 

-এটা কিন্তু খুব ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। আপনারা যা-ই বলেন না কেন।

-এখন কিন্তু বিচারটা অনেক প্রথাগতভাবে হচ্ছে। অনেক কিছু দেখে হচ্ছে।

হলিফ্যামিলি মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের ক্যান্টিনে কথায় মশগুল ছাত্র, শিক্ষক, চিকিত্সক।

-এই বিচারের আগে একুশে আগস্ট, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচার যদি করতো তবে এদের ডাল-পালা কাটা পড়তো। তাহলে এখন আর এমন উগ্র আচরণ করতে পারতো না।

-যে প্রস্তুতি নিয়ে বিচার শুরু করেছে ওদের শিকড় তারচেয়েও যে গভীরে, ইকোনোমিক্যালি, সোস্যালি, সব জায়গাতে তা কি বোঝা গিয়েছিল? 

-খালেদা জিয়া জামায়াতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জামায়াতের কোন চিহ্ন ছিল না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়ার পরে নস্যাত্ হয়ে যেত প্রায়। কিন্তু তাদের নতুন শক্তিকে উত্সাহিত করা হচ্ছে। এরপরও খালেদা জিয়াকে গণতান্ত্রিকতার জন্য আলাদা করে দেখা হচ্ছে। তার সাথে সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সেক্যুলার তুরস্কে যে অসুবিধা দেখা দিয়েছে, তার চেয়ে এখানে আরো কঠিন সমস্যা। 

-আউট অব ফ্যাশন সবাই বলেছে 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই'। এই তরুণরাই...। এদের কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের তত্ত্ব জ্ঞান নেই। আমরা জামায়াতের সহনশীলতা দেখেছি। তাদের আসল রূপও দেখেছি। তার সাথে বিএনপি, আওয়ামী লীগের কম্পেয়ার করা চলে না। জামায়াত কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা আমাদের জানা আছে। 

-বজ্রপাত আজ মাঠের মধ্যে পড়বে বলে যারা ঘরে আছে, কিম্বা এরপর প্রতিবেশী আছে বলে দূরে আছে তাদের ভাবার অবকাশ নেই যে, তাদের ঘরেও বজ্রপাত হতে পারে। 

-স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে এক করে তারপর এই কাজে নামা উচিত ছিল। 

-খালেদা জিয়া তো তখন বিরোধিতা করেননি। যদি করতেন তাহলে বোঝা যেত।

-শেখ হাসিনার যেন একটাই দোষ। সে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছে। তাকে মাঠে নামিয়ে দিয়ে তার সেনাপতিরা এখন পিছুটান দিয়েছে। পলাশীর মাঠে মীর জাফরদের দেখতে পাচ্ছি। আপস তো হতে পারে না। কার সাথে কে আপস করবে? বিএনপির সাথে আপস করা মানে তো জামায়াতের সাথে আপস করা।




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] ‘মিরপুরের কসাই’ কাদের মোল্লা ॥ ফাঁসি হলো



৩০ লাখ শহীদ আর অসংখ্য নারীর সীমাহীন আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪২ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো। ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হলো একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধী 'মিরপুরের কসাই'খ্যাত জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো বাঙালী জাতির কলঙ্ক মোচনের অন্যতম এক অধ্যায়। নানা নাটকীয় অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে কার্যকর করা হয় ঘাতক কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়। এর মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধের পথে যাত্রা শুরু করল বাঙালী জাতি। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ২ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর করা হয় এই ঘাতক যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড।


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] ফেসবুক স্ট্যাটাসে কাদের মোল্লার ফাঁসি







__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] মোল্লার ফাঁসি ও অনৈতিক ভূমিকায় নাভি পিল্লাই



শওগাত আলী সাগর

মোল্লার ফাঁসি ও অনৈতিক ভূমিকায় নাভি পিল্লাই

ডিসেম্বর ১৩, ২০১৩

শওগাত আলী সাগরএক.

ঘটনাটা ২০১০ সালের। সেবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন চীনের লেখক ও মানবাধিকারকর্মী লিও সিয়াওবো। চীনের রাজনৈতিক সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির পক্ষে আন্দোলন পরিচালনা করতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন তিনি। কারারুদ্ধ অবস্থাতেই তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।

ডিসেম্বরে যখন আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়, তখনও লিও চীনের কারাগারে আটক। আর তাঁর স্ত্রী গৃহবন্দি। নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার নাভি পিল্লাইকে। মিজ পিল্লাই সে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে অসম্মতি জানান। তাঁর পক্ষ থেকে অবশ্য তখন জানানো হয় যে, জাতিসংঘ ভবনে তাঁর মানবাধিকার বিষয়ক একটি কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিত থাকায় তিনি নোবেল পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যেতে পারবেন না।

তাঁকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল, তাঁর পক্ষে বা জাতিসংঘের পক্ষে যে কোনো পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা যেন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। অন্তত জাতিসংঘের কোনো একজন কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হয়েছিল বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকেও। কিন্তু নাভি পিল্লাই তাতেও সম্মতি দেননি। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁর বা জাতিসংঘের কোনো প্রতিনিধি ওই অনুষ্ঠানে যাবেন না।

কারারুদ্ধ একজন মানবাধিকারকর্মী, নোবেলের মতো আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত একটি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, আর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ওই অনুষ্ঠানে নিজে তো যাবেন-ই না, তাঁর কোনো প্রতিনিধিকেও সেখানে যেতে দিবেন না, এ কেমন কথা!

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষযক হাইকমিশনার কাদের মোল্রার ফাঁসি কার্যকর না করতে সরকারকে কার্যত চাপ দিতে চেয়েছেন

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষযক হাইকমিশনার কাদের মোল্রার ফাঁসি কার্যকর না করতে সরকারকে কার্যত চাপ দিতে চেয়েছেন

লিও'র শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া আর জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের চীন সফরের ঘটনাটা ঘটেছিল কাকতালীয়ভাবে একই সময়ে। সদ্য নোবেল পুরস্কার পাওয়া একজন মানবাধিকারকর্মীর প্রতি জাতিসংঘের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব সহানুভূতিশীল হবেন– এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলেন দেশ-বিদেশের মানবাধিকারকর্মীরা। বান কি মুনকে তাঁরা অনুরোধ জানান, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি যেন লিও'র মুক্তির বিষয়টা তাঁর কাছে তুলে ধরেন। বান কি মুন সেই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি নোবেল পুরস্কার বিজয়ের জন্য লিও-কে অভিনন্দন জানাতেও রাজি হননি তিনি।

চীনের নিপীড়িত মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় লড়াই করতে গিয়ে একজন মানবাধিকারকর্মী যখন বিপন্ন, জাতিসংঘ কিংবা জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার তাঁর পাশে দাঁড়াতে সরাসরি অসম্মতি জানিয়েছেন! তাহলে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন কাদের জন্য কাজ করে? যে নাভি পিল্লাই মানবতার বিরুদ্ধে পৈশাচিক অপরাধের দায়ে সর্বোচ্চ দণ্ডপ্রাপ্ত একজন অপরাধীর পক্ষে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে দেনদরবারে নেমেছেন, সেই ব্যক্তিই কিনা নোবেল পুরস্কার পাওয়া একজন মানবাধিকারকর্মীর পক্ষে দাঁড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন!

দুই.

চলতি বছরের জুলাই কী আগস্ট মাসের ঘটনা। তামিল গেরিলাদের সঙ্গে চলমান দীর্ঘদিনের সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখতে সে দেশ সফরে যান নাভি পিল্লাই। তিনি কোথায় যাবেন, কী করবেন সবকিছুই জানানো হয় শ্রীলঙ্কা সরকারকে। কিন্তু একটি কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারকে কিছুই জানানো হয়নি জাতিসংঘের স্থানীয় অফিস থেকে। শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনীর হাতে নিহত লিবারেশন টাইগার অব তামিল ইলম (এলটিটিই) সদস্যদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি নেন তিনি। কলম্বো সরকারকে না জানালেও ঘটনাটা মিডিয়া ফাঁস করে দেয়। তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় পররাষ্ট্র এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সরকার এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে।

সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, নাভি পিল্লাই-র সফরকে শ্রীলঙ্কা সরকার স্বাগত জানাবে। কিন্তু নিহত তামিল গেরিলাদের সমাধিতে ফুল দেওয়ার মতো কোনো কর্মসূচি নেওয়া হলে তার পরিণাম হবে খুবই খারাপ। কিন্ত ভারতীয় তামিল বংশোদ্ভূত মিজ পিল্লাই তাঁর কর্মসূচিতে অটল থাকেন এবং তা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেন। শ্রীলঙ্কান সরকারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, তিনি তাদের অনুমোদিত কর্মসূচির বাইরে কোনো কিছু নিতে চাইলে পুরো সফরটিই বাতিল করে দেওয়া হবে। বাধ্য হয়ে পিল্লাই তার কর্মসূচি বাদ দেন।

শ্রীলঙ্কায় অবস্থানকালেই মিজ পিল্লাই-এর তৎপরতা সমালোচনার মুখে পড়ে। কলম্বোর প্রায় সব ধরনের মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ব্লগ সর্বত্রই তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ফিরে যাওয়ার পথে সিঙ্গাপুরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে শ্রীলঙ্কান মিডিয়ার সমালোচনার জবাব দেন এবং নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

সফর শেষে ফিরে গিয়ে তিনি শ্রীলঙ্কার মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং সরকার সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা করে বিবৃতি দেন। আর তাঁর এ বিবৃতির পর শ্রীলঙ্কান মিডিয়া তাকে আরেক দফা তুলোধুনা করে ছাড়ে।

তিন

গত বছরের ঘটনা। টিউশন ফি বাড়ানোকে কেন্দ্র করে কানাডার কুইবেকের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাগাতার বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে কুইবেক প্রাদেশিক সরকার ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়। কুইবেকের ক্ষমতাসীন দল 'ছাত্রদের কোনো ধরনের বিক্ষোভ আয়োজনের অন্তত ৮ ঘন্টা আগে কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং বিক্ষোভের এলাকাসমূহ সম্পর্কে জানানোর নিয়ম বাধ্যতামূলক করে' সংসদে একটি বিল উত্থাপন করে।

কুইবেক প্রাদেশিক সরকারের এই বিলটিতে সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সবকটি রাজনৈতিক দলই সমর্থন করে। কিন্তু নাভি পিল্লাই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতায় অভিযোগ করেন, কুইবেক জনসমাবেশ এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে দিচ্ছে। তিনি কুইবেককে কালো তালিকাভূক্ত করারও হুমকি দেন।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে নাভি পিল্লাই-র এই বক্তৃতার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় কানাডায়। কুইবেক প্রাদেশিক সরকার তো বটেই, ফেডারেল সরকার পর্যন্ত তাঁর বক্তৃতার তীব্র সমালোচনা করে। সেই সমালোচনায় যোগ দেয় কানাডার মিডিয়াও। শীর্ষস্থানীয় মিডিয়াগুলো অভিযোগ করে, নাভি পিল্লাই জাতিসংঘের মানবাধিকারের সংজ্ঞাকেই 'টুইস্ট' করছেন। কোনো কোনো পত্রিকা এমনও মন্তব্য করে যে তাঁর বর্ণাঢ্য পেশাদার জীবন থাকলেও, কানাডার সংবিধান এবং চার্টার অব রাইটস সম্পর্কে কোনো পড়াশুনা নেই। আর কোনো দেশের আইন কানুন সম্পর্কে না জেনে, পড়াশুনা না করে দায়িত্বশীল পদ থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য করা সমীচীন নয় বলেও মন্তব্য করে সেদেশের মিডিয়া।

টরন্টো, মন্ট্রিয়লসহ কানাডার বড় বড় শহরে বিক্ষোভ বা সভা সমাবেশ করতে হলে অন্তত ৩০ ঘন্টা আগে লিখিতভাবে জানিয়ে অনুমোদন নিতে হয়। এমনকি জাতিসংঘের সামনে সমাবেশ করতেও ৩০ ঘন্টা আগে জানাতে হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ৮ ঘন্টা আগে জানানোর নিয়মকেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন নাভি পিল্লাই।

চার

এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা কিংবা পশ্চিমের দেশ কানাডা– যেখানেই ভুল পথে পা রেখেছেন সেখানেই তীব্র সমালোচিত হয়েছেন জাতিসংঘের এই হাইকমিশনার। ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকর-আলবদরদের নৃশংসতা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর কোনো ধারণা থাকবে না– সেটি বিশ্বাস করলে ভুল করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার সম্পর্কেও তাঁর ধারণা আছে বলেই আমরা মনে করি।

তবু তিনি শেষ মুহূর্তে বিবৃতি দিয়ে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর না করতে সরকারকে কার্যত চাপ দিয়েছেন। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, সেই চাপের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যতটা প্রতিক্রিয়া হয়েছে, ক্ষোভ দেখা গেছে, মূলধারার মিডিয়াতে তার ছিটেফোঁটাও নেই। ঢাকার কোনো একটি মিডিয়া কি নাভি পিল্লাই-র বিবৃতির সমালোচনা করে সম্পাদকীয় লিখেছে? বিশিষ্টজনের প্রতিক্রিয়া্ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন করেছে? কিংবা কোনো সংগঠন বিবৃতি দিয়ে বা কোনোভাবে তাঁর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে কি?

৯ ডিসেম্বর রাতে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েও অকস্মাৎ তা স্থগিত হয়ে যাওয়ায় পুরো দেশ যেভাবে ফুঁসে উঠেছিল, নাভি পিল্লাই-র বিবৃতির বিরুদ্ধেও সেভাবেই প্রতিবাদ হওয়ার কথা। কিন্তু সেটি হয়নি। এমনকি শ্রীলঙ্কার মিডিয়া যে কাজটি করতে পেরেছে, বাংলাদেশের মিডিয়া তার সামান্য কিছুও করতে পারেনি।

কানাডার অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা 'দ্য মেট্টোপলিটন'-এর কলামিস্ট ব্যারিল ওয়াজসম্যান একটি কলাম থেকে খানিকটা উদ্ধৃতি দিই–

"And what of Pillay herself? As Adrien Pouliot has pointed out, did she bother to talk about the Chinese repression of Tibet where a monk recently set himself on fire in protest? He was the thirtieth such suicide since 2009. Did she protest the jailing and torture of a Cuban dissident after he had testified in front of an American Senate Committee? Did she express concern over the 13 year prison sentence meted out to Iranian dissident leader Addolfattah Soltani? No! Her reaction, and that of the UN, has been total silence on China, on Iran, on North Korea on Zimbabwe, and the list goes on. But somehow Pillay found the time for Quebec.

Pillay is the perfect ethically bankrupt mouthpiece for a morally bankrupt organization.

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে কেউ কোনো নেতিবাচক কথা বলতে এলে আমাদেরও এভাবেই রুখে দাঁড়ানো উচিত। সে ব্যক্তি জন কেরিই হোন আর জাতিসংঘের কোনো কেউকেটা হোন। কানাডার 'দ্য মেট্টোপলিটন' পত্রিকার মতো আসুন আমরাও উচ্চকণ্ঠে বলে দিই– 'ইথিক্যালি ব্যাংকক্রাপ্ট' মানুষের আর যাই হোক, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করার অধিকার নেই।

শওগাত আলী সাগর: দৈনিক প্রথম আলোর সাবেক বিজনেস এডিটর, টরন্টো থেকে প্রকাশিত নতুনদেশ ডটকম এর প্রধান সম্পাদক।

http://bangla.bdnews24.com/opinion_bangla/article713961.bdnews

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=67748818e81f37530ccd61732fd3e115&nttl=11122013247770


৭১-এ কুখ্যাত কসাই কাদেরদের এই সব নির্মম-নিষ্ঠুর-ভয়ঙ্কর-জঘন্য মানবাধিকার লঙ্গনের সময় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল কোথায় ছিলো?



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে বাঁধভাঙ্গা জোয়ার



   শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৯ অগ্রহায়ন ১৪২
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে বাঁধভাঙ্গা জোয়ার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ। প্রজন্মে চত্বরে ছিল বাঁধভাঙ্গা জোয়ার। ফাঁসি কার্যকরে কোন বাধা নেই এমন ঘোষণা আসার পরেই বেলা সোয়া ১২টার দিকে মিছিলটি শাহবাগ থেকে বাংলামোটর হয়ে আবার প্রজন্ম চত্বরে ফিরে আসে। সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত প্রজন্ম চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান অব্যাহত থাকবে। 
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনরত প্রতিবাদী জনতার জন্য বৃহস্পতিবার ছিল একটি অন্যরকম দিন। ৪২ বছরের বাংলাদেশে এমন খুশির খবর নিয়ে আর কোন সকাল হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠীর সকল চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে বিজয় নিশ্চিত হলো সাধারণ মানুষের। প্রমাণ হলো তারুণ্যের আন্দোলন কখনও বৃথা যায় না। সত্যের জয় অনিবার্য। এদিনে আকাশে যতগুলো জাতীয় পতাকা উড়েছে সবগুলোই ছিল ঠিক অন্যরকম। '৭১-এর ঘাতক কসাই কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় চূড়ান্ত হওয়ায় শহীদের আত্মা শান্তি পেয়েছে-এ কথাই যেন লাল সবুজের পতাকা বার বার জানান দিচ্ছিল। 
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করছি দ্রুতই সরকার যুদ্ধাপরাধীর রায় কার্যকর করবেন। এছাড়া আমাদের পূর্ব ঘোষিত সকল কর্মসূচী পালন করা হবে। রায় কার্যকর হওয়ার পরেই আমাদের অবস্থান তুলে নেয়া হবে। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও মঙ্গলবার রাত দশটা ২০ মিনিটে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত রায় কার্যকর স্থগিত করেন। খবর পেয়ে গণজাগরণ মঞ্চ সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগে টানা অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১মিনিটে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
ভোর থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শাহবাগে আসতে থাকেন। প্রজন্ম চত্বরের মূল পয়েন্টে অবস্থান নেন তারা। এ কারণে তিনদিক থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হয় প্রতিবাদী সেøাগান, গান। 'রাখাল ছেলে বাজায় বাঁশি-কাদের মোল্লার হলো ফাঁসি', জয় হলো রে জয় হলো-শাহবাগের জয় হলো', 'দড়ি ধরে মারো টান-কাদের যাবে পাকিস্তান', 'দে-দে-দে ঝুলাইয়া দে-কাসাই কাদের রে ঝুলাইয়া দে, 'জামায়াত-শিবিরের হামলা-রুখে দাঁড়াও বাংলা, সাম্প্রদায়িক নির্যাতন-রুখে দাঁড়াও জনগণ, দাবি মোদের একটাই-এ মুহূর্তে ফাঁসি চাই, ফাঁসি হবে গুলিস্তানে-লাশ যাবে পাকিস্তানে'-এমন সেøাগানে সেøাগানে দিনভর মুখরিত ছিল শাহবাগ।
কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার পর শাহবাগের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। দলে দলে প্রজন্ম চত্বরে আসতে থাকেন প্রতিবাদী জনতা। কেউ ঢোল, কেউ বা কর্তাল সহ বিভিন্ন বাদ্য বাজনা বাজাতে থাকেন। ছোট-ছোট পতাকা নিয়ে আসেন অনেকে। আকাশে ওড়ানো হয় বড় বড় অসংখ্য জাতীয় পতাকা। ভি-চিহ্ন দেখিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। 
চলতি বছরের ৫ মে কসাই কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদিন রাত থেকেই শুরু হয় গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ফুসে ওঠে দেশবাসী। শাহবাগে এসে জড়ো হয় লক্ষ কোটি মানুষ। দেশের সকল জেলা উপজেলায় গণজাগরণ মঞ্চ করে আন্দোলনে অংশ নেন প্রতিবাদী জনতা। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে আন্দোলনের ব্যাপকতা ছড়িয়ে পড়ে। প্রবাসী বাঙালীরা বিভিন্ন দেশে গণজাগরণ মঞ্চ করে আন্দোলন শুরু করেন। ব্লগার এ্যান্ড অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়। এক পর্যায়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে এ ডাক ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে এ প্রথম বারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহ্বানের মধ্য দিয়ে তীব্র গণআন্দোলন সংগঠিত হয়। দীর্ঘমেয়াদী অহিংস এ গণআন্দোলন গোটা বিশ্বের মধ্যে নজির স্থাপন করে।
   শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৯ অগ্রহায়ন ১৪২

শাহবাগে উল্লাস, আনন্দ মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ২৩:২১, ডিসেম্বর ১২, ২০১৩
 

Video - Ganajagaran Manch (12-12-2013):


ফাঁসির খবরে শাহবাগে উল্লাস

নিজস্ব প্রতিবেদক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2013-12-12 23:15:03.0 BdST Updated: 2013-12-12 23:18:20.0 BdST


আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে উল্লাসে ফেটে পড়েন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।

"ফাঁসিতেও প্রতিক্রিয়া নেই বিএনপির"

'বুক ফুলিয়ে বলতে পারবো, বিচার করেছি'

নিজস্ব প্রতিবেদক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2013-12-12 23:04:34.0 BdST Updated: 2013-12-12 23:04:34.0 BdS

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article713864.bdnews





__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] “মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম এখনও চলছে” একাত্তরের বিজয় : ২



"মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম এখনও চলছে" একাত্তরের বিজয় -  
সরদার সিরাজুল ইসলাম
(পূর্ব প্রকাশের পর)
জনগণের দাবি নস্যাত করার উদ্দেশ্যে ইয়াহিয়া খান ১০ মার্চ গোলটেবিল বৈঠকের আহ্বান জানান এবং বঙ্গবন্ধু তা প্রত্যাখ্যান করেন। ইয়াহিয়া পুনরায় প্রতারণার পথ বেছে নিয়ে ৬ মার্চ বেতার/ টিভিতে প্রচারিত ভাষণে সংসদ অধিবেশনের দিন পুনরায় ধার্য করেন ২৫ মার্চ। 
অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের নির্দেশ মোতাবেক গ্রামে গঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী পুলিশ-বিডিআর আনসারের প্রাক্তন সৈনিকদের সংগঠিত ও সামরিক ট্রেনিং দানের কাজ চলতে থাকে এমনকি পাকবাহিনীতে কর্মরত সৈনিক অফিসারদের প্রস্তুত থাকার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। মওলানা ভাসানী ৯ মার্চ পল্টনে ও ১৬ মার্চ চট্টগ্রামের জনসভায় বলেন, 'শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে, খামোখা কেউ তাকে অবিশ্বাস করবেন না। ২৫ মার্চের মধ্যে কোন কিছু করা না হলে মুজিবের সঙ্গে মিলিয়া তুমুল আন্দোলন শুরু করিব।'
১৪ মার্চ '৭১ ভুট্টো করাচীর নিস্তার পার্কের জনসভায় 'শেখ মুজিবের দাবি মোতাবেক পার্লামেন্টের বাইরে সংবিধান সংক্রান্ত সমঝোতা ছাড়া ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হলে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে পৃথকভাবে দু'টি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার' দাবি জানান। ১৫ মার্চ ইয়াহিয়া খান আলোচনার নামে ঢাকায় আসেন কিন্তু তখন পূর্ব পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুর হাতে। বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে যেতে ইয়াহিয়াকে বঙ্গবন্ধুর অনুমতি নিতে হয়েছে। ভুট্টো আসেন ২১ মার্চ। আলোচনা চলে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। মুজিব-ইয়াহিয়া, ভুট্টো-ইয়াহিয়া-মুজিব বৈঠককালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সহকর্মী ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, কামারুজ্জামান, খন্দকার মোস্তাক ও ডক্টর কামাল হোসেন। এই সব আলোচনায় বঙ্গবন্ধু প্রতিপক্ষকে বোঝাতে চেয়েছিলেন বাংলার জনগণ জাতীয় পতাকা উড়িয়েছে তাই স্বাধীনতা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই এবং তা বিনা রক্তপাতে হলেই তাতে সম্পর্ক ভাল থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আপোসহীনতার স্বীকৃতি পাওয়া যায় ২৬ মার্চ ইয়াহিয়া খানের বেতার ভাষণ থেকে। এতে বলা হয়, 'শেখ মুজিব পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা ও কায়েদে আজমের ছবি পুড়িয়েছে, প্যারালাল সরকার চালিয়েছে এবং তার কাছ থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করার ঘোষণা আদায় করতে চেয়েছেন। 'উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু নিজে শুধু জয় বাংলার পতাকা উত্তোলন করেননি বরং যে গাড়ি নিয়ে ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে সাক্ষাতে যেতেন তাতে শোভা পেত জয় বাংলার পতাকা। ১৯ মার্চ '৭১ বঙ্গবন্ধু স্বহস্তে লিখিত এক ইশতেহারে ঘোষণা করেন, 'বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য আমাদের আজকের এই সংগ্রাম। অধিকার বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। বুলেট বন্দুক বেয়নেট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আর স্তব্ধ করা যাবে না, কেননা জনতা আজ ঐক্যবদ্ধ। লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ঘরে ঘরে গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধের দুর্গ। আমাদের দাবি ন্যায় সঙ্গত তাই সাফল্য আমাদের সুনিশ্চিত। জয় বাংলা।'
কিন্তু চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। মুজিব- ইয়াহিয়া বৈঠকের আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্তি ঘোষণা না দিয়ে ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ (৭১) সন্ধ্যায় করাচী পালিয়ে যান বাঙালীদের হত্যার নির্দেশ দিয়ে। ভুট্টো অবশ্য ২৬ মার্চ সকালের ফ্লাইটে করাচী পৌঁছে স্বস্তি প্রকাশ করেন, 'পাকিস্তান রক্ষা পেয়েছে।' ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তান বাহিনী বাঙালীদের উপর শুরু করে বর্বরোচিত গণহত্যা।
অসহযোগ আন্দোলন তথা ইয়াহিয়া-মুজিব আলোচনার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু তার জনগণকে প্রস্তুত করছিলেন সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করতে। ঘটনা প্রবাহের প্রতি তার ছিল তীক্ষè দৃষ্টি। ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় ইয়াহিয়া খানের পলায়নের খবর পেয়ে ঢাকা বিমানবন্দর ত্যাগের পূর্বেই বিকেল সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রামের জন্য বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রতিবেশী একেএম মোশারফ হোসেন (বিএনপি প্রতিমন্ত্রী-২০০১...) এবং নঈম গওহর মারফত যে নির্দেশ এমআর সিদ্দিকীর কাছে প্রেরণ করেন তা হচ্ছে 'লিবারেট চিটাগাং, টেকওভার এডমিনিসট্রেশন, প্রসিড ফর কুমিল্লা। এমআর সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ যখন পান তখন তার বাড়িতে জাতীয় প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যসহ সহকর্মী এমএ মান্নান এমএ মজিদ, আতাউর রহমান কায়সার, ডা. জাফর, অধ্যাপক খালেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ নিয়ে পূর্বপরিচিত সেনাবাহিনীর বাঙালী অফিসার ও সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেন। ডা. জাফর যান তৎকালীন ইপিআর ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামের বাসায়। ক্যাপটেন রফিক রাত পৌনে ন'টায় মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা ডা. জাফরকে জানিয়ে বলেন, অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছে খবরটা পৌঁছে দিতে। অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিস ছিল ক্যান্টনমেন্টের বাইরে শোলশহরে ২নং রেলগেটের কাছে। ক্যাপ্টেন রফিক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন এই খবর ইবিআরসি'র দফতরে পৌঁছে রাত ১১টার দিকে। এর অনেক আগেই চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে পাকবাহিনী বাঙালী সৈনিকদের হত্যা করতে শুরু করেছে এবং গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল ইবিআরসি অফিস থেকে। বাঙালী সৈনিকরা অনেকে পাহাড়ী এলাকা দিয়ে বেরিয়ে যায় এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। ক্যাপ্টেন সুবিদ আলী ভূইয়া গুলির আওয়াজ ক্যান্টনমেন্টের বাইরের বাসায় বসে শুনতে পান এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য শহর এলাকায় চলে আসেন। রাত ১১টায় যখন ইবিআরসি দফতরে ক্যাপ্টেন রফিকের বার্তা পৌছে তখন ডিউটি অফিসার ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান জানান, ইউনিট প্রধান মেজর জিয়াউর রহমান 'সোয়াত' জাহাজে আনীত পাকবাহিনীর অস্ত্র খালাসের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে পথে রওনা হয়ে গেছেন। ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান তথন মোটরসাইকেল নিয়ে মেজর জিয়াকে ফিরিয়ে আনতে যান এবং আগ্রাবাদ (পাঠানটুলী) এলাকা দেখতে পান যে জিয়া রাস্তায় বাঙালীর দেয়া ব্যারিকেড পরিষ্কার করছেন বন্দরে যাওয়ার জন্য। ঘটনাবলীর বিবরণ দিয়ে ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান জিয়াকে ব্যারাকে নিয়ে আসেন। রাত দু'টায় ব্যারাকে ফিরে এসে মেজর জিয়া তাঁর বাঙালী সৈনিকদের কাছে বিদ্রোহের কথা ঘোষণা করে 'স্থানটি নিরাপদ নয়' এই অজুহাতে শেষ রাতের দিকে শোলশহর রেল লাইন দিয়ে কালুরঘাট ব্রিজ পার হয়ে বোয়ালখালী থাকার করইলডাঙ্গা গ্রামে পাহাড়ের কাছে অবস্থান নেন ২৬ মার্চ সকাল ১০টায়। 
ঘটনা প্রবাহ লক্ষ্য করে বঙ্গবন্ধু নিশ্চিত হন যে, হয় তাঁকে বন্দী অথবা হত্যা করা হবে। কিন্তু তার পূর্বে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা প্রস্তুত করে ফেলেন এবং রাত বারোটা নাগাদ বন্দী হওয়ার পূর্বেই টিএন্ডটি/ইপিআর ওয়ারলেসের মাধ্যমে সারাদেশে প্রচারের ব্যবস্থা নেন। রাত ১০টার মধ্য বঙ্গবন্ধু তাঁর সহকর্মী তাজউদ্দীন আহমদ, যুবনেতা শেখ মনি, তোফায়েল আহমেদ, নূরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ বিশ্বস্তদের নিরাপদে চলে গিয়ে কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবেন তা বুঝিয়ে দিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে দ্রুত বিদায় করে দেন। স্বাধীনার মূল ঘোষণাটি ছিল ইংরেজীতে যা নিম্নরূপ-
This may be may last message. From today Bangladesh is Independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on untill the last soldier of the Pakistan army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved. JOY BANGLA.
(সূত্র : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র ৩য় খন্ড পৃঃ ১)
রাত বারোটা নাগাদ একদিকে বঙ্গবন্ধুকে পাকবাহিনী বন্দী করে অপরদিকে (২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে) বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে রেকর্ডকৃত স্বাধীনতা ঘোষণা বাণী টিএন্ডটি/ ইপিআর ওয়ারলেস নেটওয়ার্কে সারাদেশব্যাপী প্রচার হতে থাকে। চট্টগ্রামে ওয়ারলেস বিভাগের মাধ্যমে রাত একটা নাগাদ জহুর আহম্মদ চৌধুরী স্বাধীনতার ঘোষণাটি পান এবং তা এমএ হান্নান এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা বঙ্গানুবাদ করে সাইক্লোস্টাইল করে শহরে বিতরণের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া সে রাতেই মাইকযোগে প্রচার করা হয় যে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। সমগ্র বাংলাদেশের জেলা/ মহকুমা শহরে সে রাতেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন বলে প্রচারিত হয়। ২৬ মার্চ সকাল নাগাদ গ্রামাঞ্চলেও টিএন্ডটির মাধ্যমে টেলিগ্রাম আকারে এই খবর ছড়িয়ে পরে। হানাদার বাহিনীর জেনারেল নিয়াজীর জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালেক 'উইটনেস টু সারেন্ডার' নামক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ সম্মিলিত যে গ্রন্থটি রচনা করেছেন তাতে (পৃঃ ৫) উল্লেখ রয়েছে, 'যখন প্রথম গুলিটি বর্ষিত হলো, ঠিক সেই মুহূর্তে পাকিস্তান রেডিও সরকারী তরঙ্গের কাছাকাছি একটি তরঙ্গ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষীণ কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, মনে হলো পূর্ব রেকর্ডকৃত। তাতে শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ঘোষণা করলেন।' তৎকালীন ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত প্রভাবশালী ছাত্রনেতা কাজী আরেফ আহমেদ (পরবর্তীতে জাসদ সংগঠক-প্রয়াত) সাপ্তাহিক বিচিত্রা স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা/৯০ এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে উল্লেখ করেন, 'রাত ১০টার কিছু পর সিরাজুল আলম খান বঙ্গবন্ধুর বাড়ি থেকে ইকবাল হলে এসে তাদের জানালেন যে, কিছু সময়ের মধ্যে শেখ মুজিবের স্বাধীনতা ঘোষণা ইপিআর-এর পিলখানার ওয়্যারলেস সেট থেকে প্রচার করা হবে। 'কাজী আরেফ ও মেজর সিদ্দিকী সালেকের ভাষ্য থেকে ইহাই স্পষ্ট যে, বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে স্বাধীনতা ঘোষণার বাণীটি টেপে ধারণ হয় ইয়াহিয়া খানের ঢাকা ত্যাগের সন্ধ্যা এবং রাত ১০টার মধ্যে কোন এক সময় যা ইপিআর ও টিএন্ডটি বিভাগের মাধ্যমে রাত ১২টার পর প্রচার করার নির্দেশ দেয়া হয়। 
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক এমএ হান্নান চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের কালুরঘাটের ট্রান্সমিটিং সেন্টার চালু করে স্বকণ্ঠে প্রচার করেন দুপুর দুটো নাগাদ। একই দিন রাতে বিবিসির সান্ধ্যকালীন অধিবেশনে বলা হয়, 'শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন ঘোষণা করেছেন, যা গোপন বেতার থেকে প্রচারিত হয়েছে। অপরদিকে পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, পূর্ব পাকিস্তানে তার সরকারের কর্তৃত্ব পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের উপর যুদ্ধ শুরু করেছেন। 'এমএ হান্নানের কণ্ঠেই বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারিত হয়েছিল বলে তৎকালীন ঘটনার প্রত্যক্ষকারী মেজর মীর শওকত আলী, ক্যাপ্টেন সুবেদ আলী ভূইয়া প্রমুখ তাঁদের গ্রন্থে/ রচনায় উল্লেখ করেছেন। মেজর মীর শওকত আলীর (পরে লে. জে. এবং বিএনপি নেতা-মন্ত্রী) ভাষায়, 'যদি বলা হয় প্রথম বেতার কার বিদ্রোহী কণ্ঠে স্বাধীনতার কথা উচ্চারিত হয়েছিল তা হলে আমি বলবে যে চট্টগ্রামের হান্নান ভাই সেই বিদ্রোহী কণ্ঠস্বর।' (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র- নবম খণ্ড দ্রষ্টব্য)।
মেজর জিয়াউর রহমান বেতার ভাষণ দেন ২৭ মার্চ। তিনি ২৬ মার্চ করইলডাঙ্গা গ্রামে ছিলেন। স্বাধীন বাংলা বেতার প্রতিষ্ঠার অন্যতম সংগঠক বেলাল মোহাম্মদ তাঁর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গ্রন্থে (পৃঃ ৫২) লিখেছেন, বেতার কেন্দ্র পাহারা দেয়ার জন্য মেজর জিয়াকে করইল ডাঙ্গা গ্রাম থেকে বেতার কেন্দ্রে নিয়ে আসেন ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় এবং বেতার ভাষণ দেন। মেজর জিয়া ১৯৭২ সালে দৈনিক বাংলায় স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা (বর্তমানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র ৯ম খ- পৃঃ ৪৪ এ সংযোজিত দলিল) এবং ১৯৭৪ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রার প্রকাশিত নিবন্ধে উল্লেখ করেন যে, তিনি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এসে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। এই রচনায় মেজর জিয়া উল্লেখ করেছেন, জাতির জনক বঙ্গগবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তাঁর কাছে গ্রীন সিগন্যাল মনে হয়েছিল। তিনি যে ২৫ মার্চ রাতে ১১টায় 'সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিলেন, তাও উল্লেখ রয়েছে। উক্ত নিবন্ধে ২৭ মার্চ/ ৭১ সন্ধ্যায় পরে জিয়াউর রহমান যে ভাষণ দেন তাঁর কণ্ঠে বাণীবদ্ধ টেপ থেকে নিম্নে তুলে দেয়া হলো-
The Government of the Sovereign State of Bangladesh on behalf of our Great Leader, the supreme commander of Bangladesh Sheikh Mujibur Rahman, we hereby proclaim the independence of Bangladesh and the Government headed by Sheikh Mujibur Rahman has already been formed. It is further proclaimed that Sheikh Mujibur Rahman is the sole leader of the elected representetives of seventy five Million People of Bangladesh, and the Government headed by him is the only legitimate government of the Independent Sovereign government of the people of the Independent Sovereign State of Bangladesh, which is legally and constitutionally formed, and is worthy of being recognised by all the governments of the World. I therefore, appeal on behalf of our Great Leader Sheikh Mujibur Rahman to the government of all the democratic countries of the world, specially the Big Power and the neighbouring countries to recognise the legal government of Bangladesh and take effective steps to stop immediately the awful genocide that has been carried on by the army of occupation from Pakistan. The guiding principle of a new state will be first neutrality, second peace and third friendship to all and enmity to none. May Allah help us. JOY BANGLA".
বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ/ ৭১ যে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তারই সূত্র ধরে মুক্তিযুদ্ধ এগুতে থাকে এবং ১০ এপ্রিল/ ৭১ মুজিবনগরে সরকার গঠন ও স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে তা পূর্ণতা লাভ করে। উক্ত দলিলটি সংবিধানের উৎস এবং অংশ হিসেবে মুদ্রিত। মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তারা হলেন : 
(১) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- রাষ্ট্রপতি
(২) সৈয়দ নজরুল ইসলাম- উপরাষ্ট্রপতি এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি
(৩) তাজউদ্দীন আহমেদ- প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য
(১) ক্যাপ্টেন মনসুর আলী
(২) কামরুজ্জামান এবং
(৩) খন্দকার মোশতাক আহমদ

মন্ত্রিসভা ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে এবং নির্বাচিত জাতীয় সদস্য (আওয়ামী লীগ) কর্নেল এমএজি ওসমানীকে জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে সেনাপতি নিয়োগ করা হয়। বস্তুত বঙ্গবন্ধুর নামে স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের মুজিবনগর সরকারের নিযুক্ত বিভিন্ন সেক্টর কমান্ডার গণবাহিনী, মুজিববাহিনীসহ অসংখ্য বাহিনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মুজিবনগর সরকারের একটি উপদেষ্টা কমিটি ছিল যার প্রধান ছিলেন মওলানা ভাসানী। নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল ১১টি আঞ্চলিক বেসামরিক প্রশাসন।

দুই
মুক্তিযুদ্ধ একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফসল। জনযুদ্ধ, সামরিক বিদ্রোহ নয়। অসাম্প্রদায়িক, সর্বজনীন যার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল পাক-হানাদার বাহিনীকে বিতারণ।
তৎকালীন জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত ছিল কোন রাষ্ট্রের অংশ স্বাধীনতা ঘোষণা করলে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে কোন জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্র স্বীকৃতি বা সহযোগিতা দেবে না। অথচ বিশ্বের জনমত ও প্রত্যক্ষ সমর্থন ছাড়া কোন রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছে এমন কোন নজির নেই। বঙ্গবন্ধু এই বাস্তবতার আলোকে পাকবাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার পরেই আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা দেন। যার ফলে বিশ্ববাসীর সমর্থন পাওয়া যায় এজন্য যে এটি মামুলি কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বা হঠকারিতা নয়। একটি নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের কাছে রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর না করে বরং পাক-জান্তা সেই দলের নেতাকর্মী এবং সেই অঞ্চলের সব জনগোষ্ঠীকে হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হয়। অর্থাৎ বাঙালীর জন্য স্বাধীনতা ছাড়া বিকল্প ছিল না এটা বিশ্ববাসীর কাছে নিশ্চিত করতে পারলেই সমর্থন পাওয়া যায়। আর বঙ্গবন্ধু যদি ভারতে যেতেন তাহলেও এতটা ক্রিয়াশীল হতো না। বন্দী হওয়ার ফলে তাঁর মুক্তি ও স্বাধীনতা সমার্থক হলে বেগবান হয়েছিল (বঙ্গবন্ধুর জন্য রোজা রেখেছেন হাজারো বাঙালী)। বঙ্গবন্ধুর এই কৌশলটি যথাসময়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারঙ্গমতার একটি নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিশ্বে প্রশংসিত। বস্তুত পাকবাহিনী আক্রমণ শুরু করেছিল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। ভেবেছিল তাদের নেতা মুজিবকে বন্দী করলেই বাঙালীরা ঠা-া হবে। কিন্তু এটা যে জনযুদ্ধে পরিণত হবে তা কল্পনা করতে পারেনি।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-12-13&ni=157476


বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৮ অগ্রহায়ন ১৪২
 "মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম এখনও চলছে" ॥ একাত্তরের বিজয় - ১
সরদার সিরাজুল ইসলাম
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৮ অগ্রহায়ন ১৪২
শেষ হাসি স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তিই হাসবে তবে সরকারকে কঠোর হতে হবে
স্বদেশ রায়
এই লেখা যখন ওয়েবে পাঠক পাবেন বা সকালে পত্রিকায় পড়বেন তখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তির উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকবে। তাঁদের মতো আমিও উৎকণ্ঠিত। তবে হতাশ নই। বরং স্থির বিশ্বাস থেকে বলতে চাই, ১৬ ডিসেম্বরের আগে কসাই কাদেরের ফাঁসি বাংলাদেশের মাটিতে হবেই। হয়ত বলা হতে পারে এতটা দুর্গম পথ কেন স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তিকে পাড়ি দিতে হচ্ছে। এর প্রথম উত্তর রবীন্দ্রনাথ থেকে দেয়া যায়, শ্রেয়কে দিতে হয় দুর্মূল্য। পাশাপাশি এটাও বলতে হয়, সত্যের পথ অনেক কঠিন ও কঠোর। মঙ্গলবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে যখন টেলিভিশনের পর্দায় . . .
আমাদের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল রক্তস্নাত। ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে এবং হাজার হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয় আমাদের লাল-সবুজ পতাকাশোভিত বাংলাদেশের। চিরসবুজ আমাদের এই বাংলাদেশ। দেশের তরুণরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল স্বতঃস্ফূর্তভাবে। পতাকার সবুজ ও লাল রং ব্যবহারের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক, বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। বাংলাদেশ জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ . . .




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___