From: Zoglul Husain (zoglul@hotmail.co.uk)
মাইকেল চাকমার সন্ধানের জন্য ৪৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির আবেদন
[পার্বত্য চট্টগ্রামের ইউপিডিএফ-এর একজন শীর্ষ নেতা মাইকেল চাকমা বেশ কিছুদিন হল নিখোঁজ হয়েছেন। এ নিয়ে ৪৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন করেছেন যাতে তাকে খুঁজে বের করা হয়। (নীচের ইংরেজী রিপোর্টটি দেখুন)। একজন কেউ নিখোঁজ হলে পুলিশের কাজ তাকে খুঁজে বের করা। কিন্তু পুলিশ নিজেরাই বহু নিখোঁজ ও হত্যার জন্য দায়ী বলে নানা রিপোর্ট পাওয়া যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান দুই সমস্যাঃ (১) ভারতীয় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ ও (২) আঞ্চলিক বৈষম্য।
মুজিব সরকারের পতনের পর জিয়া ক্ষমতা নিলে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করে বাংলাদেশ দখলের পাঁয়তারা করেছিল। জিয়া দেশপ্রেমিক মহলে গোপন বার্তা পাঠালেন, সেনাবাহিনী গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আপনারা কি প্রস্তুত? তিনি উত্তর পেলেন, দেশপ্রেমিকরা প্রস্তুত, সেনাবাহিনীকে জোর প্রস্তুতি নিতে বলুন। তবে রাশিয়া ভারতকে তখন নিরস্ত করে, কারণ ভারত নামলে মার্কিন ৭ম নৌবহরও নামার সম্ভাবনা ছিল। ভারত বাংলাদেশ দখল করতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশে সশস্ত্র হস্তক্ষেপ করে। তারা শান্তি বাহিনীর আশ্রয়, প্রশিক্ষণ ও আক্রমণের ব্যবস্থা, বঙ্গভূমি আন্দোলন সৃষ্টি, সীমান্তে কাদের বাহিনী সৃষ্টি, ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়। কাদের সিদ্দিকীকে সামনে রেখে তারা একটি বাহিনী তৈরি করে আসাম সীমান্ত এলাকায় ১৬ বছর আক্রমণ চালায়। অন্যদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র হস্তক্ষেপ করে, যদিও ১৯৭৩-এ শান্তিবাহিনী গঠিত হয়েছিল বলে রিপোর্ট আছে। এসবের ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে হাসিনার মাধ্যমে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম "শান্তি" চুক্তি হয় তা ছিল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ভারতের হাতে সমর্পণ। এই চুক্তি হয় জেএসএস-এর সঙ্গে। জেএসএস-এর এক অংশ চুক্তি বিরোধিতা করে, এবং তারা ইউপিডিএফ গঠন করে। এই দুই দল ভেঙ্গে, ২০০৭-এ জেএসএস-এমএন লারমা ও ২০১৭-এ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে আরো দুটি দল হয়েছে। এভাবে তারা চারটি দলে বিভক্ত। এই দলগুলির ভিতর অন্তরদ্বন্দ্ব ও সশস্ত্র সংঘাতে গত দুই দশকে প্রায় এক হাজার ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তবে তাদের অনেকে সশস্ত্র সংগ্রামে খুবই প্রশিক্ষিত এবং তারা অস্ত্রের জোগানও পেয়ে থাকে। অন্যদিকে, অন্য জেলার যারা ঐ এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন তাদের সঙ্গে পাহাড়িদের, ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাহাড়িদের, সংঘাত চলমান রয়েছে।
প্রয়োজন ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবেলা করা এবং বাস্তব সম্মত ও ন্যায় সম্মত সামগ্রিক নীতি প্রণয়ন ও তার প্রয়োগ করা। নীচের
রিপোর্টের সম্মানিত স্বাক্ষরকারীরা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন, ভাল কথা, কিন্তু তাদের ক'জন ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করেন? সুলতানা কামালের পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন তো পারলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের হাতে তুলে দেয়! ৪৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির আবেদনের উপর নীচের রিপোর্টটি দেখুনঃ]
Govt urged to find Michael Chakma
http://www.dhakatribune.com/bangladesh/nation/2019/04/17/govt-urged-to-find-michael-chakma?fbclid=IwAR2aLWadDWnRzLKfdJ7A0c-xmolqnyqP2RveW6A1tUKSsMiwdbpv2qpu0DM --
__._,_.___