Banner Advertise

Wednesday, April 23, 2014

[chottala.com] Fw: উজানের পানির তোড়ে ভেসে গেছে বিএনপির লংমার্চ আন্দোলন !!!!!!!



On Thursday, April 24, 2014 12:49 AM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
উজানের পানির তোড়ে ভেসে গেছে বিএনপির লংমার্চ আন্দোলন
দেশ-বিদেশের মিডিয়াকর্মীরা তুলতে পারেনি ধু ধু বালুচরের ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২৩ এপ্রিল ॥ তিস্তা নদীর পানির তোড়ে ভেসে গেছে বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচী। পানি শূন্য ধু-ধু বালুচরে পরিণত হওয়া মৃতপ্রায় তিস্তা নদীকে বাঁচাতে বিএনপি দুই দিনের লংমার্চের কর্মসূচী পালন করেছে। ২৩ এপ্রিল তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহের ন্যায্য হিস্যা দাবিতে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত সৃষ্টি করতে বিএনপি এই কর্মসূচীর ডাক দেয়। লংমার্চ কর্মসূচী নিয়ে সরকার ও প্রতিবেশী দেশ ভারত কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছিল। সরকার সব সময় দাবি করে আসছে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সর্ম্পক রয়েছে। যে কোন সময় তিস্তা নদীর পানির হিস্যা নিয়ে চূড়ান্তভাবে চুক্তি হবে। দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের একাধিক বৈঠকে খসড়া চুক্তি অনুমোদন হয়ে আছে। এখন স্থায়ীভাবে চুক্তি হতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীতে হঠাৎ ৩ হাজার ৬শ' কিউসেক পানি এসেছে। এই পানিপ্রবাহকে দুই দেশের সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফসল বলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দাবি করছেন।
ভারতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিস্তা পানিচুক্তি নিয়ে নির্বাচনের আগে ইস্যু সৃষ্টি হতে পারে। এই অজুহাত দেখিয়ে ভোটের কৌশলগত কারণে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সরকার তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও তাঁর দলের গঠিত পশ্চিমবঙ্গের সরকার তিস্তা পানিচুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ফলে পানিচুক্তিটি হতে হতে হয়নি। তীরে এসে তরী ডুবার মতো ঘটনা ঘটে যায়। 
বিএনপিও রাজনৈতিকভাবে তিস্তা নদীর পানিচুক্তিকে ইস্যু করে বাংলাদেশের জনগণসহ আন্তর্জাতিকভাবে জনমত তৈরি করতে উঠেপড়ে লাগে। তারা বিশ্ব দরবারে প্রমাণ করতে চায় ভারত মুখে বলে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুতের সম্পর্ক, বাস্তবে তারা বন্ধু নয়। তাই তারা তিস্তা সেচ প্রকল্পের দোয়ানী ব্যারাজে লংমার্চ আন্দোলনের ডাক দিয়ে লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটিয়ে তিস্তা নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা দাবি করতে ভারতের ওপর ও বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়।
ভারতও বিষয়টি বুঝতে পেরে লংমার্চ কর্মসূচীতে আসা দেশী-বিদেশী সংবাদকর্মী যাতে জনমত তৈরি করতে ধু-ধু বালুচরের ছবি তুলতে না পারে ও লংমার্চে আসা লাখ লাখ মানুষ যাতে মৃতপ্রায় তিস্তার ধু-ধু বালুচরের রূপ দেখতে না পারে- সে কৌশলগত কারণে ভারত রাতারাতি তিস্তা নদীতে পানি ছেড়ে দিয়েছে। ফলে লংমার্চে যোগ দিতে এসে ধু-ধু বালুচরের পরিবর্তে পানিতে ভরা টইটুর যৌবনা তিস্তাকে দেখতে পায় সকলেই। এতে সবাই অবাক। জনতাকে বলতে শোনা গেছে- ভারতের ছেড়ে দেয়া তিস্তা নদীর পানির তোড়ে বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচী ভেসে গেছে। এখন আর বিএনপির কাছে কোন রাজনৈতিক ইস্যু থাকল না।
সিপিবিসহ বাম দল নিয়ে গঠিত মোর্চা নেতারা দাবি করেছেন, তাঁরা বিশ্ব জনমত তৈরিতে ১৭ ও ১৮ এপ্রিল তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচী পালন করেন। এতে বহির্বিশ্বে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জনমত তৈরি হয়। তাই ভারত সরকার বাধ্য হয়ে তিস্তা নদীতে তাদের দাবিকৃত শুষ্ক মৌসুমে ৩ হাজার ৫শ' কিউসেক পানি ছেড়ে দিয়েছে। সিপিবিসহ বাম দলগুলো এই পানিপ্রবাহের চুক্তির স্থায়িত্ব করতে চূড়ান্ত চুক্তির দাবি জানায়। তিস্তা নদীতে হঠাৎ পানিরপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচী ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে।
বুধবার তিস্তা ব্যারাজের উজানে রিজার্ভারে বালুচরগুলো পানির নিচে ঢাকা পড়ে গেছে। পানিতে টইটুম্বুর হয়ে গেছে তিস্তা নদী। প্রমত্তা তিস্তা যেন তার পুরনো যৌবন ফিরে পেয়েছে। ভারত সরকার ব্যারাজের উজানে গড়া গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়েছে। তাই ২৩ এপ্রিল বিএনপির লংমার্চে আসা জনতা শুষ্ক পানিশূন্য তিস্তা নদীকে দেখতে পায়নি। তারা পানিতে ভরপুর তিস্তাকে দেখেছে। আবারও বিএনপির রাজনীতি ভারত ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির কাছে পরাজিত হলো।
বুধবার ভোর থেকেই লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তর সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে লংমার্চে যোগ দিতে মানুষের ঢল নামে। পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বিএনপির ডাকা এই লংমার্র্চে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। লংমার্চ সফল করতে বিএনপি নেতাকর্মীরা কয়েক দিন ধরে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় সন্ধ্যায় মিছিল মিটিং করেছেন। গ্রামে গ্রামে মাইকিং ও লাখ লাখ টাকা খরচ করে লিফলেট বিতরণ করেছেন। তাদের লক্ষ্য ছিল লংমার্চে ৩ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটানো। বিএনপির সেই পরিকল্পনা সফল করতে প্রচারে সফল হলেও শেষ পর্যন্ত লংমার্চের সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষের জমায়েত করতে পারেনি। দেশ-বিদেশের শত শত মিডিয়াকর্মী লংমার্চের সংবাদ সংগ্রহ করতে আসে। তারাও লংমার্চের সংবাদ নিতে এসে ধু-ধু বালুচরে ভরা তিস্তা নদীর ছবি তুলতে পারেনি। ভারতের উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে তিস্তা এখন প্রমত্তা নদীতে পরিণত হয়েছে। ভারতের ছেড়ে দেয়া পানির তোড়ে বিএনপির লংমার্চ আন্দোলন ভেসে গেছে। লংমার্চ কর্মসূচীতে ১০-১৫ হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটে।
তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুব আলম জানান, কয়েক দিন ধরে তিস্তা নদীতে পানিপ্রবাহ ছিল মাত্র ২৮০ কিউসেক। পানিশূন্য তিস্তার বিষয়ে সরকারকে অবহিত করা হয়েছিল। তাই ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথ নদী কমিশনের কর্তারা পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যা ৭টায় তিস্তা নদীতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। রিজার্ভারের ধু-ধু বালুচরগুলো পানিতে টইটুর হয়ে গেছে। ঢাকা পড়ে গেছে ধু-ধু বালুচরগুলো। আশা করা যাচ্ছে ভারত সরকারের বোধগম্য হয়েছে। তিস্তার ক্ষতি মানে শুধু বাংলাদেশের জনগণের ক্ষতি হবে তা নয়, এতে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের ক্ষতি বেশি হবে। কারণ উত্তরাঞ্চলের মরু প্রক্রিয়ার প্রভাব ভারতের উত্তরাঞ্চলেও পড়বে। তিস্তা নদীতে ৩ হাজার ৫শ' কিউসেক পানি আসায় নদীটির ভাটি অঞ্চলেও কিছু পানিপ্রবাহ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেটের ১০-১২টি গেট সামান্য খুলে দেয়া হয়েছে। হঠাৎ করে খুলে দিলে বন্যা ও ফ্লাডওয়াশ হতে পারে। সে কারণে ব্যারাজের গেটগুলো হঠাৎ খুলে দেয়া হয়নি। গেট সামান্য খুলে দিয়ে অল্প অল্প পরিমাণ পানি মূল নদীর ভাটিতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এবারের বোরো মৌসুমে ব্যারাজের প্রধান নালাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি শুষ্ক মৌসুমে কৃষক পাবে। ভারতের ছেড়ে দেয়া পানি প্রধান নালা দিয়ে ৮টি জেলার ৩৫টি উপজেলার মধ্যে ২৫টি উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নালায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে কৃষক উপকৃত হবেন। বুধবার বেলা ১১টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ ছিল প্রায় ৩ হাজার ৬শ' কিউসেক। এই পানিপ্রবাহ হু হু করে বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে তিস্তাপাড়ের মানুষ আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করছে।
সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) এবং লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু জানান, লংমার্চ সফল করতে লাখো মানুষ তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে এসেছে। বিএনপির এই লংমার্চ সফল হয়েছে। বুধবার ভোররাত থেকে তিস্তা ব্যারাজ মুখে মানুষের ঢল নামে। এমনকি জনগণের আন্দোলনে ভীত হয়ে ভারত সরকার গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে তিস্তায় পানি পাঠিয়েছে। তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহের এই ন্যায্য হিস্যার জন্য আওয়ামী লীগের কোন অর্জন নেই। নতজানু পররাষ্ট্র নীতি দিয়ে ভারত থেকে আওয়ামী লীগ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় না থেকেও বিএনপি তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করে ছেড়েছে। যার প্রমাণ তিস্তা নদীর আজকের পানিপ্রবাহ। বিএনপির এই লংমার্চের আন্দোলন সফল হয়েছে।
স্থানীয় পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান জানান, তিস্তা নদী বাঁচা-মরার এই আন্দোলন শুধু বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন দেশের আপামর সাধারণ মানুষের আন্দোলন। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই আন্দোলন সফল। পানিপ্রবাহ তাই তার প্রমাণ।

পানি কমে গেছে
নিজস্বসংবাদদাতা নীলফামারী থেকে জানান, হঠাৎ উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই পানি আবার কমে গেছে। মঙ্গলবার তিস্তার পানি প্রবাহ ছিল ৩ হাজার ৬ কিউসেক। বুধবার সেই পানি নেমে আসে ১ হাজার ২৪২ কিউসেকে। যা ২৪ ঘণ্টা ব্যবধানে পানি কমে যায় ১ হাজার ৭৬৪ কিউসেক। 

তিস্তার পানিতে বিএনপির লংমার্চে আসা নেতাকর্মীদের গোসলের ধুম 
বুধবার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী হেলিপ্যাড মাঠে বিএনপির লংমার্চের সমাপনী জনসভায় যোগ দিতে আসা রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখা যায় তিস্তা নদীতে নেমে লাফঝাঁপ আর গোসল করতে। এ সময় সমাবেশ চলছিল। সমাবেশে যখন অনেক বক্তা বলছিলেন চেয়ে দেখেন তিস্তা এখন বালুচরে পরিণত হয়েছে। তখন এ বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা লংমার্চের টি শার্ট পড়ে তিস্তায় গোসলে ব্যস্ত ছিল। এ সময় তাঁদের মন্তব্য করতে শোনা যায় তিস্তার স্বচ্ছ ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের আনন্দ ভুলবার নয়।






__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] উজানের পানির তোড়ে ভেসে গেছে বিএনপির লংমার্চ আন্দোলন !!!!!!!



উজানের পানির তোড়ে ভেসে গেছে বিএনপির লংমার্চ আন্দোলন
দেশ-বিদেশের মিডিয়াকর্মীরা তুলতে পারেনি ধু ধু বালুচরের ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২৩ এপ্রিল ॥ তিস্তা নদীর পানির তোড়ে ভেসে গেছে বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচী। পানি শূন্য ধু-ধু বালুচরে পরিণত হওয়া মৃতপ্রায় তিস্তা নদীকে বাঁচাতে বিএনপি দুই দিনের লংমার্চের কর্মসূচী পালন করেছে। ২৩ এপ্রিল তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহের ন্যায্য হিস্যা দাবিতে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত সৃষ্টি করতে বিএনপি এই কর্মসূচীর ডাক দেয়। লংমার্চ কর্মসূচী নিয়ে সরকার ও প্রতিবেশী দেশ ভারত কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছিল। সরকার সব সময় দাবি করে আসছে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সর্ম্পক রয়েছে। যে কোন সময় তিস্তা নদীর পানির হিস্যা নিয়ে চূড়ান্তভাবে চুক্তি হবে। দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের একাধিক বৈঠকে খসড়া চুক্তি অনুমোদন হয়ে আছে। এখন স্থায়ীভাবে চুক্তি হতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা নদীতে হঠাৎ ৩ হাজার ৬শ' কিউসেক পানি এসেছে। এই পানিপ্রবাহকে দুই দেশের সরকারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ফসল বলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দাবি করছেন।
ভারতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিস্তা পানিচুক্তি নিয়ে নির্বাচনের আগে ইস্যু সৃষ্টি হতে পারে। এই অজুহাত দেখিয়ে ভোটের কৌশলগত কারণে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সরকার তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও তাঁর দলের গঠিত পশ্চিমবঙ্গের সরকার তিস্তা পানিচুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ফলে পানিচুক্তিটি হতে হতে হয়নি। তীরে এসে তরী ডুবার মতো ঘটনা ঘটে যায়। 
বিএনপিও রাজনৈতিকভাবে তিস্তা নদীর পানিচুক্তিকে ইস্যু করে বাংলাদেশের জনগণসহ আন্তর্জাতিকভাবে জনমত তৈরি করতে উঠেপড়ে লাগে। তারা বিশ্ব দরবারে প্রমাণ করতে চায় ভারত মুখে বলে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুতের সম্পর্ক, বাস্তবে তারা বন্ধু নয়। তাই তারা তিস্তা সেচ প্রকল্পের দোয়ানী ব্যারাজে লংমার্চ আন্দোলনের ডাক দিয়ে লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটিয়ে তিস্তা নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা দাবি করতে ভারতের ওপর ও বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়।
ভারতও বিষয়টি বুঝতে পেরে লংমার্চ কর্মসূচীতে আসা দেশী-বিদেশী সংবাদকর্মী যাতে জনমত তৈরি করতে ধু-ধু বালুচরের ছবি তুলতে না পারে ও লংমার্চে আসা লাখ লাখ মানুষ যাতে মৃতপ্রায় তিস্তার ধু-ধু বালুচরের রূপ দেখতে না পারে- সে কৌশলগত কারণে ভারত রাতারাতি তিস্তা নদীতে পানি ছেড়ে দিয়েছে। ফলে লংমার্চে যোগ দিতে এসে ধু-ধু বালুচরের পরিবর্তে পানিতে ভরা টইটুর যৌবনা তিস্তাকে দেখতে পায় সকলেই। এতে সবাই অবাক। জনতাকে বলতে শোনা গেছে- ভারতের ছেড়ে দেয়া তিস্তা নদীর পানির তোড়ে বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচী ভেসে গেছে। এখন আর বিএনপির কাছে কোন রাজনৈতিক ইস্যু থাকল না।
সিপিবিসহ বাম দল নিয়ে গঠিত মোর্চা নেতারা দাবি করেছেন, তাঁরা বিশ্ব জনমত তৈরিতে ১৭ ও ১৮ এপ্রিল তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচী পালন করেন। এতে বহির্বিশ্বে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে জনমত তৈরি হয়। তাই ভারত সরকার বাধ্য হয়ে তিস্তা নদীতে তাদের দাবিকৃত শুষ্ক মৌসুমে ৩ হাজার ৫শ' কিউসেক পানি ছেড়ে দিয়েছে। সিপিবিসহ বাম দলগুলো এই পানিপ্রবাহের চুক্তির স্থায়িত্ব করতে চূড়ান্ত চুক্তির দাবি জানায়। তিস্তা নদীতে হঠাৎ পানিরপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচী ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে।
বুধবার তিস্তা ব্যারাজের উজানে রিজার্ভারে বালুচরগুলো পানির নিচে ঢাকা পড়ে গেছে। পানিতে টইটুম্বুর হয়ে গেছে তিস্তা নদী। প্রমত্তা তিস্তা যেন তার পুরনো যৌবন ফিরে পেয়েছে। ভারত সরকার ব্যারাজের উজানে গড়া গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়েছে। তাই ২৩ এপ্রিল বিএনপির লংমার্চে আসা জনতা শুষ্ক পানিশূন্য তিস্তা নদীকে দেখতে পায়নি। তারা পানিতে ভরপুর তিস্তাকে দেখেছে। আবারও বিএনপির রাজনীতি ভারত ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির কাছে পরাজিত হলো।
বুধবার ভোর থেকেই লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তর সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে লংমার্চে যোগ দিতে মানুষের ঢল নামে। পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে বিএনপির ডাকা এই লংমার্র্চে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। লংমার্চ সফল করতে বিএনপি নেতাকর্মীরা কয়েক দিন ধরে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলায় সন্ধ্যায় মিছিল মিটিং করেছেন। গ্রামে গ্রামে মাইকিং ও লাখ লাখ টাকা খরচ করে লিফলেট বিতরণ করেছেন। তাদের লক্ষ্য ছিল লংমার্চে ৩ লাখ মানুষের সমাবেশ ঘটানো। বিএনপির সেই পরিকল্পনা সফল করতে প্রচারে সফল হলেও শেষ পর্যন্ত লংমার্চের সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষের জমায়েত করতে পারেনি। দেশ-বিদেশের শত শত মিডিয়াকর্মী লংমার্চের সংবাদ সংগ্রহ করতে আসে। তারাও লংমার্চের সংবাদ নিতে এসে ধু-ধু বালুচরে ভরা তিস্তা নদীর ছবি তুলতে পারেনি। ভারতের উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে তিস্তা এখন প্রমত্তা নদীতে পরিণত হয়েছে। ভারতের ছেড়ে দেয়া পানির তোড়ে বিএনপির লংমার্চ আন্দোলন ভেসে গেছে। লংমার্চ কর্মসূচীতে ১০-১৫ হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটে।
তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুব আলম জানান, কয়েক দিন ধরে তিস্তা নদীতে পানিপ্রবাহ ছিল মাত্র ২৮০ কিউসেক। পানিশূন্য তিস্তার বিষয়ে সরকারকে অবহিত করা হয়েছিল। তাই ভারত সরকারের সঙ্গে যৌথ নদী কমিশনের কর্তারা পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করেন। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যা ৭টায় তিস্তা নদীতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। রিজার্ভারের ধু-ধু বালুচরগুলো পানিতে টইটুর হয়ে গেছে। ঢাকা পড়ে গেছে ধু-ধু বালুচরগুলো। আশা করা যাচ্ছে ভারত সরকারের বোধগম্য হয়েছে। তিস্তার ক্ষতি মানে শুধু বাংলাদেশের জনগণের ক্ষতি হবে তা নয়, এতে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের ক্ষতি বেশি হবে। কারণ উত্তরাঞ্চলের মরু প্রক্রিয়ার প্রভাব ভারতের উত্তরাঞ্চলেও পড়বে। তিস্তা নদীতে ৩ হাজার ৫শ' কিউসেক পানি আসায় নদীটির ভাটি অঞ্চলেও কিছু পানিপ্রবাহ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেটের ১০-১২টি গেট সামান্য খুলে দেয়া হয়েছে। হঠাৎ করে খুলে দিলে বন্যা ও ফ্লাডওয়াশ হতে পারে। সে কারণে ব্যারাজের গেটগুলো হঠাৎ খুলে দেয়া হয়নি। গেট সামান্য খুলে দিয়ে অল্প অল্প পরিমাণ পানি মূল নদীর ভাটিতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এবারের বোরো মৌসুমে ব্যারাজের প্রধান নালাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি শুষ্ক মৌসুমে কৃষক পাবে। ভারতের ছেড়ে দেয়া পানি প্রধান নালা দিয়ে ৮টি জেলার ৩৫টি উপজেলার মধ্যে ২৫টি উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নালায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে কৃষক উপকৃত হবেন। বুধবার বেলা ১১টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ ছিল প্রায় ৩ হাজার ৬শ' কিউসেক। এই পানিপ্রবাহ হু হু করে বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে তিস্তাপাড়ের মানুষ আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করছে।
সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) এবং লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু জানান, লংমার্চ সফল করতে লাখো মানুষ তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে এসেছে। বিএনপির এই লংমার্চ সফল হয়েছে। বুধবার ভোররাত থেকে তিস্তা ব্যারাজ মুখে মানুষের ঢল নামে। এমনকি জনগণের আন্দোলনে ভীত হয়ে ভারত সরকার গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে তিস্তায় পানি পাঠিয়েছে। তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহের এই ন্যায্য হিস্যার জন্য আওয়ামী লীগের কোন অর্জন নেই। নতজানু পররাষ্ট্র নীতি দিয়ে ভারত থেকে আওয়ামী লীগ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় না থেকেও বিএনপি তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করে ছেড়েছে। যার প্রমাণ তিস্তা নদীর আজকের পানিপ্রবাহ। বিএনপির এই লংমার্চের আন্দোলন সফল হয়েছে।
স্থানীয় পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজীব প্রধান জানান, তিস্তা নদী বাঁচা-মরার এই আন্দোলন শুধু বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। এই আন্দোলন দেশের আপামর সাধারণ মানুষের আন্দোলন। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই আন্দোলন সফল। পানিপ্রবাহ তাই তার প্রমাণ।

পানি কমে গেছে
নিজস্বসংবাদদাতা নীলফামারী থেকে জানান, হঠাৎ উজানের ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই পানি আবার কমে গেছে। মঙ্গলবার তিস্তার পানি প্রবাহ ছিল ৩ হাজার ৬ কিউসেক। বুধবার সেই পানি নেমে আসে ১ হাজার ২৪২ কিউসেকে। যা ২৪ ঘণ্টা ব্যবধানে পানি কমে যায় ১ হাজার ৭৬৪ কিউসেক। 

তিস্তার পানিতে বিএনপির লংমার্চে আসা নেতাকর্মীদের গোসলের ধুম 
বুধবার দুপুরে তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী হেলিপ্যাড মাঠে বিএনপির লংমার্চের সমাপনী জনসভায় যোগ দিতে আসা রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখা যায় তিস্তা নদীতে নেমে লাফঝাঁপ আর গোসল করতে। এ সময় সমাবেশ চলছিল। সমাবেশে যখন অনেক বক্তা বলছিলেন চেয়ে দেখেন তিস্তা এখন বালুচরে পরিণত হয়েছে। তখন এ বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা লংমার্চের টি শার্ট পড়ে তিস্তায় গোসলে ব্যস্ত ছিল। এ সময় তাঁদের মন্তব্য করতে শোনা যায় তিস্তার স্বচ্ছ ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের আনন্দ ভুলবার নয়।




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] THE TRUE MUJIB: READ THE DETAILS ABOUT MUJIB'S SURRENDER!



নেতা ও পিতা' গ্রন্থে ক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শারমিন আহমদ
http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjA0NTA=&sMg==

২৭শে মার্চ সকালে কারফিউ তুলে নেয়া হয় দেড় ঘণ্টার জন্য। এই সময় আব্বু দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেন যে, সাতমসজিদ রোড পার হয়ে রায়ের বাজারের পথ দিয়ে শহর ত্যাগ করবেন। লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, মাথায় সাদা টুপি পরিহিত ও হাতে লোকদেখানো বাজারের থলির আড়ালে কোমরে গোঁজা পিস্তল আড়াল করে আব্বু চললেন গ্রামের উদ্দেশ্যে।' যুদ্ধাকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এভাবেই বেরিয়ে পড়েছিলেন রণাঙ্গনের উদ্দেশ্যে। সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ 'তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা' গ্রন্থে তাজউদ্দীন আহমদের যুদ্ধযাত্রার এ বর্ণনা দিয়েছেন তার জ্যেষ্ঠ কন্যা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শারমিন আহমদ। ১৯৯০ সালে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেলোশিপ ও উইমেন্স স্টাডিজ স্কলারসহ উইমেন্স স্টাডিজে মাস্টার অব আর্টস ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। শারমিন আহমদ আরও লিখেছেন, যাওয়ার পথে পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম আগারগাঁয়ে শুকুর মিয়া নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মীর বাড়িতে তারা আশ্রয় নেন। এই বাড়ির সকলেই তাঁতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সেখানে তারা শুনতে পান মেজর জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা। ২৭শে মার্চ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত এই ঘোষণাটি আব্বুসহ সামরিক ও বেসামরিক সকল বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করে। পরদিন ভোরেই তাঁরা সেই স্থান ত্যাগ করেন। এরপর তাজউদ্দীন আহমদের ভারত যাত্রা, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বভার গ্রহণ, মুজিবনগর সরকার প্রতিষ্ঠার বিশদ বিবরণ লিখেছেন শারমিন আহমদ। তিনি লিখেছেন, ১১ই এপ্রিল সকালে ময়মনসিংহের তুরা পাহাড়ের কাছে আব্বু, এম. মনসুর আলী ও আমীর-উল ইসলাম অবতরণ করলেন সৈয়দ নজরুল ইসলামের সন্ধানে। বিএসএফ'র সহায়তায় তারা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আবদুুল মান্নানের খোঁজ পেলেন। আব্বু ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম একান্তে আলাপ করলেন। আব্বু তাকে জানালেন ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠনসহ সব ঘটনা। খোন্দকার মোশ্‌তাকের বিশ্বাসঘাতকামূলক কর্মকা-ের বিবরণীও লিখেছেন শারমিন আহমদ। মুজিব বাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, সরকার গঠনের পক্ষে উত্থাপিত যুক্তিবলে যখন বিপ্লবী কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাবটি ভেস্তে যায় তখন বিএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক রুস্তামজির বিরোধিতা সত্ত্বেও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও 'র'-এর সহায়তায় শেখ মণির নেতৃত্বে গঠিত হয় মুজিব বাহিনী। এক বাক্সে সব ডিম না রাখার পক্ষপাতী ভারত সরকারও মুজিব বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের কাছে গোপন রাখে। সমগ্র জাতির মুক্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে আব্বুর নিবেদিত কর্মপ্রয়াসের বিপরীতে অনুগত তরুণদের ক্ষুদ্র অংশকে নিয়ে সংকীর্ণ ব্যক্তিস্বার্থে গঠিত মুজিব বাহিনীর প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছিল। একপর্যায়ে মুজিব বাহিনীর এক নেতা এতটাই হিংসাত্মক ও মরিয়া হয়ে ওঠে যে, সে আব্বুকে হত্যারও প্রচেষ্টা চালায়। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে তাজউদ্দীন কন্যা লিখেছেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫শে মার্চের ভয়াল কালোরাতে আব্বু গেলেন মুজিব কাকুকে নিতে। মুজিব কাকু আব্বুর সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবেন সেই ব্যাপারে আব্বু মুজিব কাকুর সাথে আলোচনা করেছিলেন। মুজিব কাকু সে ব্যাপারে সম্মতিও দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী আত্মগোপনের জন্য পুরান ঢাকায় একটি বাসাও ঠিক করে রাখা হয়েছিল। বড় কোনও সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আব্বুর উপদেশ গ্রহণে মুজিব কাকু এর আগে দ্বিধা করেননি। আব্বুর সে কারণে বিশ্বাস ছিল যে, ইতিহাসের এই যুগসন্ধিক্ষণে মুজিব কাকু কথা রাখবেন। মুজিব কাকু, আব্বুর সাথেই যাবেন। অথচ শেষ মুহূর্তে মুজিব কাকু অনড় রয়ে গেলেন। তিনি আব্বুকে বললেন, বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো, পরশু দিন (২৭শে মার্চ) হরতাল ডেকেছি। পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্বু স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে নিয়ে এসেছিলেন এবং টেপ রেকর্ডারও নিয়ে এসেছিলেন। টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান। কথা ছিল যে, মুজিব কাকুর স্বাক্ষরকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (বর্তমানে শেরাটন) অবস্থিত বিদেশী সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে এবং তাঁরা গিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালনা করবেন। ২৫শে মার্চের ভয়াল কালো রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদের সাক্ষাতের বর্ণনা দিয়ে শারমিন আহমদ আরও লিখেছেন, মুজিব কাকুর তাৎক্ষণিক এই উক্তিতে (বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো প্রসঙ্গে) আব্বু বিস্ময় ও বেদনায় বিমূঢ় হয়ে পড়লেন। এদিকে বেগম মুজিব ওই শোবার ঘরেই সুটকেসে মুজিব কাকুর জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখতে শুরু করলেন। ঢোলা পায়জামায় ফিতা ভরলেন। পাকিস্তানি সেনার হাতে মুজিব কাকুর স্বেচ্ছাবন্দি হওয়ার এই সব প্রস্তুতি দেখার পরও আব্বু হাল না ছেড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে মুজিব কাকুকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন। তিনি কিংবদন্তি সমতুল্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদাহরণ তুলে ধরলেন, যাঁরা আত্মগোপন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু মুজিব কাকু তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনড় হয়ে রইলেন। আব্বু বললেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য হলো- পূর্ব বাংলাকে সম্পূর্ণ রূপেই নেতৃত্ব্বশূন্য করে দেয়া। এই অবস্থায় মুজিব কাকুর ধরা দেয়ার অর্থ হলো আত্মহত্যার শামিল। তিনি বললেন, মুজিব ভাই, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হলেন আপনি। আপনার নেতৃত্বের ওপরই তারা সম্পূর্ণ ভরসা করে রয়েছে। মুজিব কাকু বললেন, 'তোমরা যা করবার কর। আমি কোথাও যাবো না।' আব্বু বললেন, 'আপনার অবর্তমানে দ্বিতীয় কে নেতৃত্ব দেবে এমন ঘোষণা তো আপনি দিয়ে যাননি। নেতার অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় ব্যক্তি কে হবে, দলকে তো তা জানানো হয়নি। ফলে দ্বিতীয় কারও নেতৃত্ব প্রদান দুরূহ হবে এবং মুক্তিযুদ্ধকে এক অনিশ্চিত ও জটিল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া হবে।' আব্বুর সেদিনের এই উক্তিটি ছিল এক নির্মম সত্য ভবিষ্যদ্বাণী। তাজউদ্দীন কন্যার বর্ণনা অনুযায়ী, স্বাধীনতার ঘোষণায় বঙ্গবন্ধুর অস্বীকৃতি জানানোর পর তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, 'মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে। কারণ কালকে কি হবে, আমাদের সবাইকে যদি গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, তাহলে কেউ জানবে না, কি তাদের করতে হবে। এই ঘোষণা কোন না কোন জায়গা থেকে কপি করে আমরা জানাবো। যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়, তাহলে সেটাই করা হবে। মুজিব কাকু তখন উত্তর দিয়েছিলেন-'এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।' শারমিন আহমদ আরও লিখেছেন, আব্বুর লেখা ওই স্বাধীনতার ঘোষণারই প্রায় হুবহু কপি পরদিন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। ধারণা করা যায়, ২৫শে মার্চের কয়দিন আগে রচিত এই ঘোষণাটি আব্বু তার আস্থাভাজন কোন ছাত্রকে দেখিয়ে থাকতে পারেন। স্বাধীনতার সমর্থক সেই ছাত্র হয়তো স্বউদ্যোগে বা আব্বুর নির্দেশেই স্বাধীনতার ঘোষণাটিকে বহির্বিশ্বের মিডিয়ায় পৌঁছে দেন। মুজিব কাকুকে স্বাধীনতার ঘোষণায় রাজি করাতে না পেরে রাত ৯টার দিকে আব্বু ঘরে ফিরলেন বিক্ষুব্ধ চিত্তে। আম্মাকে সব ঘটনা জানালেন। প্রসঙ্গত, তাজউদ্দিন আহমদের আরেক কন্যা সিমিন হোসেন রিমি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ ২০০৯ সালে জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পরে অবশ্য তিনি পদত্যাগ করেন।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjA0NTA=&sMg==
THE GRATEFUL MUJIB!



GREATEST BENGALI OR THE BIGGEST POLITICAL TRICKSTER OF ALL TIMES!


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] ষোলোআনা বাঙালি



যে দেশের স্বপ্ন দেখেছি

ষোলোআনা বাঙালি

এরশাদ মজুমদার
১৯ এপ্রিল ২০১৪, শনিবার, ১০:১৪
দেখো এরশাদ, আমার স্বপ্নের কথা তোমাকে বহুবার বলেছি। আমার স্বপ্নটা হলো দেশের মানুষকে নিয়ে। আমি একটা সুখী মানুষের দেশ দেখতে চাই। স্কুলজীবন থেকেই এ স্বপ্ন দেখে আসছি। আমি একটা উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। আমার কোনো অভাব ছিল না এবং এখনো নেই । পাকিস্তান টিকে থাকলে আমার ব্যক্তিগত কোনো অসুবিধা ছিল না। তবুও মুক্তিযুদ্ধে কেন গিয়েছিলাম? ভেবেছিলাম, পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেলে দেশের সাধারণ মানুষ এক কথায় যাদের গরিব বলা হয়, তারা সুখে থাকবে। রাষ্ট্র বা দেশ স্বাধীন হলেও মানুষ পরাধীন বা অধিকারহারা থাকতে পারে। আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। যে ধারায় বা নীতি পদ্ধতিতে দেশ বা রাষ্ট্র চলছে তাতে এ জীবনে বাংলাদেশের মানুষকে সুখী দেখতে পাবো না। তুমি তো নামজাদা ইকোনমিক রিপোর্টার ছিলে। পূর্ব-পশ্চিমের সামগ্রিক বৈষম্য বা ডিসপ্যারিটি নিয়ে কম লেখনি। অবজারভার আর পূর্বদেশের ইকোনমিক রিপোর্ট পড়েই বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা দিতেন। হাটে মাঠে মানুষকে সে তথ্য পরিবেশন করতেন। ইউনিভার্সিটিতে থাকতে পূর্বদেশে তোমার রিপোর্ট নিয়মিত পড়তাম। সচেতন ছাত্রদের সে রিপোর্ট দেখাতাম। পাকিস্তানের সাথে থেকে অধিকারহারা ছিলাম বলেই তো আমরা স্বাধীনতা চেয়েছি, স্বাধীনতা এনেছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৪ বছর পার হতে চলেছে। দেশে এখন কোটি কোটি লোক বেকার, সবার ঘরে শিা প্রবেশ করেনি, সবাই চিকিৎসা পায় না, সবার নেই আশ্রয়। ইতোমধ্যেই কয়েক হাজার লোক লুটপাট করে ধনী হয়ে গেছে। তারা এখন রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই তো সেদিন ভিয়েতনাম আমেরিকার কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছে। তার আগে দুই যুগ আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। আজ তারা বাংলাদেশের চেয়েও ধনী। সেখানে আদর্শবান ত্যাগী নেতা আছেন। তাদের প্রধানতম আদর্শ হচ্ছে, দেশের মানুষের কল্যাণ। আজ আমেরিকা তাদের প্রধান বন্ধু। আশেপাশের সব দেশ এগিয়ে গেছে। আমি তো এমন বাংলাদেশ চাইনি। পাকিস্তান আমলে অবাঙালিরা শোষণ করত, এখন ভারতীয় অবাঙালি আর দেশীয় বাঙালিরা শোষণ করছে। মাত্র ৪৪ বছরে কেমন করে একটা বিজনেস গ্রুপ ৪৪ হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়? কিছু লোক তো রাজনীতিকদের সহযোগিতায় ব্যাংকে আমানত রাখা জনগণের টাকা সরাসরি মেরে দিয়েছে।
আশি, তুমি তো অর্থনীতির কথা বলছ। আমি দেখছি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাষার অবস্থা। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। কিন্তু দেশটি মাত্র শতকরা দশ ভাগ লোকের চিন্তাধারা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তারা বলছে, সব কিছুতেই 'বাঙালিয়ানা' আনতে হবে। যদি প্রশ্ন করো কি ভাবে বাঙালিয়ানা আনতে হবে? তখন আমতা আমতা করতে থাকে। তারা বলে, পয়লা বৈশাখ, ভাষা দিবস, বসন্ত উৎসব, হোলি বা দোল খেলা, পান্তা, ইলিশ, শুঁটকি খাওয়া বাঙালিদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। যারা এসব করে তারা কারা? তারা মাত্র কয়েক হাজার ছাত্র বা রাজধানীর কিছু লোক। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী কি এসব করে? করবে না কেন? আস্তে আস্তে সবই করবে। বাঙালি হওয়ার জন্যই তো পাকিস্তান থেকে বেরিয়েছি। তারা বলে ধর্ম একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার, এর সাথে সমাজ বা রাষ্ট্রের কোনো সম্পর্ক নেই।
তখন আমার মনে পড়ে গেল ভারতের এক মন্ত্রীর কথা। তিনি নাকি বাংলাদেশের হিতাকাক্সী। এক সময় তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি আমার কাছে জানতে চাইলেন, তোমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছ বাঙালি হওয়ার জন্য, এখন মুসলমান হতে চাও কেন? তোমরা মুসলমান হিসেবে তো পাকিস্তানের সাথেই ছিলে। যদি মুসলমান থাকতে চাও, তাহলে আলাদা হওয়ার কী দরকার ছিল। বললাম, আমি তো মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম, তখন এমন কোনো কথা শুনিনি। Ñকেন? তোমাদের সেøাগান তো ছিল 'জয় বাংলা'।
দেখুন দাদা, ১৯৪৭ সালে আপনারা স্বাধীন অখণ্ড বাংলাদেশ চাননি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের সাথে গেছি। বাংলার প্রতি আপনাদের যদি দরদ থাকত তাহলে সাতচল্লিশে ভাগ করতেন না। ১৯০৫ সালে আপনারা বঙ্গভঙ্গ রোধ করার করার জন্য কী না করেছেন। এমনকি দাঙ্গাও করেছেন। এখন আবার বলছেন সাতচল্লিশের ভারত বিভাগ ভুল ছিল। আপনাদের কবিতায়, সাহিত্যে, নোবেল, নাটকে এখন আর পশ্চিম বাংলা বলেন না। বলেন বাংলাদেশ। আপনারা ভারতীয় বাঙালি। এই বাঙালিরা অবাঙালি দিল্লি দ্বারা শোষিত ও নির্যাতিত হচ্ছে। কই, আপনারা তো অখণ্ড বাংলাদেশের দাবিকে সামনে নিয়ে আসছেন না, বরং উল্টো বাংলাদেশের তরুণ সমাজের ভেতর বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। আপনাদের ল্য কী?
আমরা চাই, তোমরা ষোলোয়ানা বাঙালি হিসেবে বিকশিত হও। Ñদেখুন দাদা, আমরা বাঙালিও , আবার মুসলমানও। শুধু বাঙালি নই। দুটোই আমাদের আইডেন্টিটি। ভৌগোলিক কারণে আমরা বাঙালি, আর ধর্মীয় কারণে আমরা মুসলমান। আমাদের বিশ্ব পরিচয় বাংলাদেশী। আর আপনাদের পরিচয় ভারতীয়। আমার পাসপোর্টে লেখা থাকে বাংলাদেশী। আপনার পাসপোর্টে লেখা থাকে ইন্ডিয়ান। হিন্দু বা মুসলমান কিছুই লেখা  থাকে নাÑ আমি তো শুনেছি তুমি বাম চিন্তাধারার লোক ছিলে। বললাম ঠিকই শুনেছেন। ইসলাম একটি প্রগতিশীল চিন্তাধারার ধর্মীয় বিশ্বাস। মওলানা ভাসানী ছিলেন আমার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গুরু। আমি গণমানুষের মুক্তিতে বিশ্বাস করি, নিছক রাষ্ট্র বা দেশের মুক্তি নয়। মানুষের মুক্তির জন্য দেশের মুক্তি হলো, প্রথম ধাপ। বাংলাদেশের ভূখণ্ড মুক্তিলাভ করেছে, কিন্তু মানুষের মুক্তি আসেনি; মানুষ রাষ্ট্রের দাস হয়ে গেছে। সংবিধান বলে মানুষ নাকি 'সার্বভৌম'। আমি দেখি মানুষ রাষ্ট্রের দাস।  দাদা, আপনাদের দেশের বামপন্থীরা মন্দিরে যায়, আবার কমিউনিস্টও থাকে। হিন্দু কমিউনিস্টদের কথা জানতে হলে কমরেড মুজফফর সাহেবের জীবনী পড়ুন। মুসলমান কমিউনিস্টরা মসজিদে গেলেই আপনাদের আপত্তি। আপনারা বলেন, ভারত সেকুলার দেশ। অথচ ভারতে সারা বছর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লেগে থাকে। বাংলাদেশে কোনো দাঙ্গা হয় না, যা হয় তা রাজনীতি। দাঙ্গা রাজনীতির একটা অংশ। বহুকাল ধরে চলে আসছে।
ভারতের ওই মন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন, দেখো এরশাদ আমরা তোমাদের স্বাধীন করেছি বিনা স্বার্থে নয়। এতে নিশ্চয়ই ভারতের স্বার্থ আছে। ভারতের সহযোগিতা না পেলে তোমরা কোনো দিনও স্বাধীন হতে পারতে না। কাশ্মির আর ভারতের পূর্বাঞ্চলের অবস্থা দেখছ না? আর তোমরা ৯ মাসেই স্বাধীন হয়ে গেলে। এখন স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েছ, জাতিসঙ্ঘের সদস্য হয়েছ, জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছ, জাতীয় সঙ্গীত গাইছ। এসব কার অবদান? এখন ভারতের অবদান ভুলে গেলে চলবে কেন? ভারতের স্বার্থের প্রতি বুড়ো আঙুল দেখালে তো চলবে না। ভুলে গেলে চলবে না, ভারত একটি শক্তিশালী দেশ। তোমরা তার প্রতিবেশী। আমাদের অনুরোধকে অবহেলা করে চীন আমেরিকার কথা শুনবে আর পাকিস্তানের সাথে আবার গাঁটছড়া বাঁধবে, তা কখনো হবে না। পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, ভৌগোলিক এলাকা থাকলেই কোনো দেশ সার্বভৌম হয় না। তোমাদের দেশের কিছু নেতা বা দল বাস্তবতা মানতে চায় না। আমাদের অমান্য করলে কোনো দলই এ দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। তুমি কি ভুলে গেছ, শেখ মুজিব ভারতের অনুরোধকে অবহেলা করে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তান গিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ বহু বছর মতার বাইরে ছিল। এখন বারবার মতায় আসতে শুরু করেছে। জিয়া সাহেবকেও মর্মান্তিকভাবে মতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। এক-এগারোর সরকার মতায় এসে খালেদা জিয়ার রাজনীতিকে তছনছ করে দিয়েছে। অথচ সেই সেনাপতিকে খালেদা জিয়াই নিয়োগ দিয়েছিলেন নিজের আত্মীয় বলে। ফল কী হয়েছে, তা বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে। নামমাত্র নির্বাচন করেও মতায় থাকা যায়, তা এখন বাংলাদেশের মানুষ দেখছে। সবাই বিরুদ্ধে থেকেও শেখ হাসিনার মতায় আবার আসাটাকে কেউ রোধ করতে পারেনি। ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কেউ মতায় থাকতে পারবে না।

সাথে আমার এক সিনিয়র সাংবাদিক বন্ধুও ছিলেন মন্ত্রীর সামনে। তিনি হঠাৎ ভারতীয় মন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করে বলে ফেললেন, কিছু সাংবাদিক আছে যারা দেশের স্বার্থে রাজনীতির বাস্তবতা বুঝতে চায় না।
আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে বিশ্বের কোনো ছোট দেশই সার্বভৌম নয়। ভারতের মন্ত্রী বললেন, দেখো এরশাদ তোমার লেখা কলাম আমাদের লোকেরা নিয়মিত পড়ে। তোমার কথা আমার পছন্দ। এসব হলো নীতি আর আদর্শের কথা, বাস্তবতা নয়। বাংলাদেশ কখনই স্বাধীন পররাষ্ট্র বা সামরিক নীতি অনুসরণ করতে পারবে না। বিশ্ব ভূ-রাজনীতির কারণে এটা সম্ভব নয়।
ক'দিন আগে আমার এক সিনিয়র সাংবাদিক বন্ধু জাতীয় প্রেস কাবে দেখা হতেই বললেন, আপনাদের বিএনপির খবর কী? আমি বেশ কিছুণ বন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। উত্তরে বললাম, খুব সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। আমাদের বিএনপি! এই দল মতায় এলে আপনি চাকরি পান, আর দল হলো আমার। আমি তো জীবনেও কোনো সরকারের  চাকরি বা তাঁবেদারি করিনি। উত্তরে বন্ধু বললেন, আরে না, ঠাট্টা করলাম। সিরিয়াসলি নিচ্ছেন কেন? তবুও বললাম আপনারাই তো জেনারেল মইনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন স্টাফের সাথে ক'দিন আগে কথা হচ্ছিল। তিনি বললেন, দেখুন, আমি চাকরি করি। কোনো রাজনৈতিক দল করি না। আমি জানতে চাইলাম, আপনি তো বিএনপির মঞ্চেও ভাষণ দেন। তিনি উত্তর দিলেন, মেহমান হিসেবে উপস্থিত থাকি। এ ধরনের বহু লোক বিএনপি চেয়ারপারসনের চার দিকে বেষ্টন করে আছেন।
আওয়ামী লীগে আমার বহু বন্ধু আছে। তারা বলেন, এটা বঙ্গবন্ধুর দল, তাই এ দলে আছি। ছাত্রলীগে ছিলাম এখন আওয়ামী লীগে আছি। এটা একটা ধারাবাহিকতা। আওয়ামী রাজনীতির গভীরে কখনো যাইনি। এর আদর্শ বা দর্শন কী তা নিয়ে খুব একটা ভাবিনি। ভাবার প্রয়োজনও করিনি। যখন বলি, দেশের ৯৯ ভাগ হিন্দু আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে কেন? উত্তরে তারা বলেন, তারা হয়তো মনে করে আওয়ামী লীগ ভারতপন্থী। হিন্দুদের সাথে ভারতের কী সম্পর্ক? পাকিস্তান আমলে না হয় ভারতপন্থী ছিল, এখনো কেন? এ দেশে তো তারা কম সুবিধা পান না। সংখ্যার দিক থেকে যা সুবিধা পাওয়ার কথা, তার চেয়ে অনেক বেশি, প্রায় বিশ ভাগ সুবিধা ভোগ করছেন। ভারতের মুসলমানেরা পঁচিশ ভাগ হয়েও মাত্র এক ভাগ সুবিধা পায়। এ বিষয়টা কি আপনারা কখনো চিন্তা করেছেন? ওভাবে চিন্তা করলে আমরা দলে থাকতে পারব না। আমাদের জ্ঞান গম্যি সাধনা সবই হলো আওয়ামী বিরোধী রাজনীতি ও দর্শনকে বিনাশ করা। আমরা মনে করি, আমরা স্বাধীনতা এনেছি, আমরাই দেশ চালাব। আমরাই একমাত্র দেশপ্রেমিক দল। আমরাই স্বাধীনতার সপরে দল, বাকিরা সবাই স্বাধীনতাবিরোধী। এটাই আমাদের ধ্যান-ধারণা। এর বাইরে আমরা চিন্তা করি না। আমাদের নেতা-নেত্রী যে ভাষায় কথা বলেন আমরা সে ভাষাতেই কথা বলি। আমাদের নেত্রী দূরদর্শী, তিনি জানেন ভারতের সাথে দ্বিমত করে মতায় থাকা যাবে না। তিনি মনে করেনÑ এটা ভারতের পে থাকা নয়, বরং সমঝোতার মধ্য দিয়ে নিজেদের স্বার্থ আদায় করে নেয়া। তিনি জানেন, তা না হলে নেপালের অবস্থা হবে, যেমন হয়েছে বঙ্গবন্ধুর অবস্থা। অমন জনপ্রিয় নেতা এ দেশে আর জন্মগ্রহণ করবেন না।
দেখো, আমি দেশের পে কথা বলি বলে আমাকে বিএনপি বা জামায়াতপন্থী বলা হয়। আমি নাকি স্বাধীনতার সপরে শক্তি নই। এখন শুধু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেই চলবে না, 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'ও থাকতে হবে। তারা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের দালাল বলে। খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে। লন্ডনে তারেক জিয়া কী বলেছে তা নিয়ে এখন আওয়ামী নেতাদের ঘুম নেই। রাত-দিন খিস্তি খেউর করে চলেছে। সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে, রাজনীতি থেকে সভ্যতা ভব্যতা চির বিদায় নিতে চলেছে।
এত গেল রাজনীতি ও সংস্কৃতির অবস্থা। ক'দিন আগে বাঙালির ধর্মচিন্তা নামে একটি বইয়ের আলোচনা বৈঠকে গিয়েছিলাম। বইয়ের প্রকাশক সাইদ বারী আমার খুবই প্রিয় মানুষ। বইটি সম্পাদনা করেছেন ডক্টর আবদুল হাই। তিনিও বিনীত ভদ্রলোক। আলোচনায় অনেক জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। আমি শিক ও জ্ঞানীদের ঢঙে কথা বলতে পারি না। আমার সে রকম প্রশিণ নেই। বইটির ভূমিকা আমার ভালো লেগেছে। আলোচকদের বক্তব্যও ভালো ছিল। বইটিতে যেসব লেখা সঙ্কলিত হয়েছে, তার বেশির ভাগেরই ধর্মহীনতার দিকে ঝোঁক রয়েছে। সঙ্কলক বা সম্পাদক বলেছেন, ধর্মের পে তেমন ভালো লেখা পাননি। আমি মনে করি, ধর্ম না মানা বা ধর্মহীন থাকা কোনো অপরাধ নয়। এটা একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলাটা ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করি না। ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা মানে ধর্মচর্চা করা পে থেকে বা বিপে থেকে। একজন ধার্মিকেরও উচিত হবে না অধার্মিকের বিরুদ্ধে কথা বলা। যারা ধর্ম মানেন না তাদের সংখ্যা জগতে অতি নগণ্য। আবার এক ধর্মের লোক অন্য ধর্মের লোককে গালমন্দ করাও উচিত নয়। সব ধর্মই এক আল্লাহ/খোদা/ ঈশ্বর/ভগবান/গড/ ইলাতে বিশ্বাস করেন। ঈশ্বর নিরাকার এ কথাও সবাই স্বীকার করেন। তিনি সর্ব অবস্থায় সর্বত্র বিরাজমান। শুধু ধর্ম কর্ম সম্পাদনের সময় বিভিন্ন জন ভিন্ন ভিন্ন পথ অবলম্বন করেন। শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছেন, 'যত মত তত পথ। কিন্তু ল্য এক।' সবাই স্বীকার করেন মানুষই স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। বইয়ের নামকরণ নিয়ে সবাই আপত্তি করেছেন। ভারতীয় বাংলায় বাঙালি বলতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীকেই বোঝায়। আর বাংলাদেশের নাগরিকদের অফিসিয়াল স্বীকৃতি হলো বাংলাদেশী। এখানে ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। বাকি ১০ ভাগ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ভৌগোলিক এবং ৯০ ভাগ মানুষের ধর্মীয় আচারের প্রভাব রয়েছে। শুধু বাঙালি বলা হলেও ভারতীয় বাঙালির সাথে চিন্তাচেতনায় বিশাল ব্যবধান রয়েছে। সম্প্রতি সেকুলারিজম শব্দটা আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার একটা প্রচেষ্টা দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে সেকুলারিজমের অর্থ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কুচেষ্টা চলছে। এটা এক ধরনের ভণ্ডামি। সেকুলার শব্দের অর্থ ধর্মহীনতা। যিনি বা যারা ধর্মীয় শিা দীায় বিশ্বাস করেন না। পরকালেও বিশ্বাস করেন না। জগৎই তাদের কাছে প্রধান। এ কথাটি তারা প্রকাশ্যে সরাসরি বলতে চান না। আরেক গ্রুপ বেরিয়েছে যারা বলে, ধর্মীয় ইসলাম আর রাজনৈতিক ইসলাম এক নয়। এরাও আসলে ইসলামবিরোধী একটা গ্রুপ। আরো এক গ্রুপ আছে, যারা বলেন ধর্ম ব্যক্তিগত ও ঘরের ব্যাপার। একে বাইরে আনা যাবে না। হয়তো এক দিন শুনব এমনকি মসজিদও রাখা যাবে না। এমনকি জুমার নামাজও পড়া যাবে না। যদি পড়া হয়, তাহলে খুতবা কী হবে তা ঠিক করে দেবে সরকার।
ভারতও চায় বাংলাদেশ একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্মহীন রাষ্ট্রে পরিণত হোক। রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। ধর্ম হবে একেবারেই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রাকে ধর্মমুক্ত বা ধর্মহীন রাখার একটা চেষ্টা চলছে।
কবি, ঐতিহ্য গবেষক
www.humannewspaper.wordpress.com


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] Sat April 26-famous Korean Dance Team joins Boishakhi Mela



BCCDI Bangla School Boishakhi Mela 2014 presents famous Korean Dance Team IYF

BCCDI cordially invites you and your family to join the joyous celebration event "BOISHAKHI MELA" welcoming BANGLA NEW YEAR 1421 and enjoy our magnificent all day colorful cultural event. We are proud to present famous Korean youth dance team IYF's breathtaking acrobatic dance performance.

Seventeen IYF's dancer will storm the stage to present a Korean folklore acrobatic presentation for 20 minutes something that you do not want to miss.

Date: Saturday, April 26, 2014
Time: 11:00 AM to 5:00 PM
Venue: Mason District Park, 6621 Columbia Pike, Annandale, VA 22003






__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] SAT APR 26 BANGLA SCHOOL BOISHAKHI MELA



BCCDI Bangla School cordially invites you and your family to join the joyous celebration event "BOISHAKHI MELA" welcoming BANGLA NEW YEAR 1421 and enjoy our magnificent all day colorful cultural event performed by Washingtonian Star artists, Best of the best Bangla School-Music and Dance Academy young stars, Acclaimed cultural team "EKTARA", celebrated Bangladeshi American band group "ARICHA GHAT" and very large number of international Guest Artists from Korea. This will be the show of the year which you do not want to miss. Please join us: 
 

Date: Saturday, April 26, 2014
Time: 11:00 AM to 5:00 PM
Venue: Mason District Park, 6621 Columbia Pike, Annandale, VA 22003


To SPONSOR the most colorful event of the year or if you are interested on setting-up a stall to sell your product or display, please contact us @ 202-709-1936 or Send Us An Email to teambccdi@yahoo.com

 
Our Sincere Appreciation to our Individual SPONSORS!
 
Mr.Faizul and Mrs. Inara K. Islam
Mr. Wahed and Mrs. Arzina Hossaini
Mr. M.S. Alam
Mr. Enam Haque
Dr. Arifur Rahman
Mr. Shah Habibur Rahman
Mr. Mizanur Rahman Bhuyan

 





__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___
Newer Posts Older Posts Home