Banner Advertise

Tuesday, February 26, 2013

[chottala.com] জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার আপিলে আসামীপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর শুনানি অব্যাহত



জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার আপিলে আসামীপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর শুনানি অব্যাহত

ঢাকা, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ (বিডিএনএন২৪) :- ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় আজ তৃতীয়দিনের মতো আসামীপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ( স্টেট ডিফেন্স) শুনানি উপস্থাপন করেছে। আসামীপক্ষের আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ শুনানি উপস্থাপন করেন। এর আগে আপিল শুনানিতে সাতদিন রাষ্ট্রপক্ষয শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে। প্রধান বিচারপতি মো.মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মামলার কার্যক্রম আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিডিএনএন২৪'কে আজ এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন এটর্নি জেনারেলের মর্যাদায় নিযুক্ত এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক ও এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন-শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন এমপি হোস্টেলে বললেন বঙ্গবন্ধু মারা গেছে, কি হয়েছে ঘাবড়াবার কিছু নেই। পার্লমেন্ট তো আছে। আওয়ামী লীগের চার নেতাসহ ২৬ জন কারাগারে রয়েছে। মুশতাক সাহেব ১০/১৫ বছর ক্ষমতায় থাকবেন। তোমরা তাকে সাপোর্ট করো। তা না হলে কনসিকুয়েন্স খারাপ হবে। জেলখানায় যারা আছে প্রয়োজনবোধে তারা শেষ হয়ে যাবে।'

আরেক সাক্ষীর উদ্ধৃতি দিয়ে মাহবুবে আলম বলেন, শাহ মোয়াজ্জেম, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর, কেএম ওবায়দুর রহমানরা মনসুর আলীকে নিয়ে খন্দকার মোশতাকের কাছে যান এবং মনসুর আলীকে মন্ত্রী হওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি অস্বীকার করেন। এর আগে নজরুল ইসলামকে অনুরোধ করেছিলো। তিনিও প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়াও কামরুজ্জামানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য প্রস্তাব দিলে তিনিও অস্বীকার করেন। মাহবুবে আলম বলেন, তৎকালীন ঢাকা জেলার এসপি মাহবুব তার স্বাক্ষ্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ২ নভেম্বর কর্নেল ডালিম কেন্দ্রীয় কারাগারে আমার কক্ষের সামনে আসেন। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি তুই এখানে আসছিস? ও তখন বলে তোদের বাতি-বুতি ঠিক আছে কিনা দেখতে এসেছি। ঘটনার দিন সকালে মেজর রশিদ ক্যাপ্টেন মোসলেমকে জিজ্ঞাসা করে জেলখানায় কী বড় চারটা শেষ। উত্তরে ক্যাপ্টেন মোসলেম বলেন, স্যার সব শেষ।

এরপর দোষীদেরকে বিদেশে পাঠানো হয় এবং বেনগাজি এবং লন্ডনে বিদেশী মিশনে চাকরি এবং পদোন্নতিও দেয়া হয়। আর তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ওয়ালিউর ও শমসের মোবিন চৌধুরী তাদের দেখভাল করেন। এটর্নি জেনারেল বলেন, কিছু সেনা সদস্য ও রাজনৈতিক নেতার ষড়যন্ত্রে কেন্দ্রীয় কারাগারে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অথচ বিচারিক আদালত ও হাইকোর্ট বিষয়টি আমলে নেননি। তিনি বলেন, জেলহত্যাকান্ডের চেয়ে জঘন্যতম ও ষড়যন্ত্র আর কিছু হতে পারে না। ন্যায় বিচারের স্বার্থে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নোটিস দেয়া হোক। তাদের বক্তব্য শুনে তাদের সর্বোচ্চ দণ্ড দেয়ার আবেদন জানিয়েছি, যেন ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রকাশ পায়। এটা সম্ভব না হলে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ হত্যাকান্ড করা হয়েছে, অন্তত রায়ে যেন এ বিষয়টি থাকে। এ মামলায় গত ১২ ফেব্র"য়ারি মঙ্গলবার এটর্নি জেনারেলের মর্যাদায় নিযুক্ত এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী আনিসুল হক শুনানি শেষ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলী আনিসুল হক বলেন, ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ রাষ্ট্রপক্ষের ছিল না। তিনি বলেন, সে সময়ে এ মামলার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। এর ফলেই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছিল হাইকোর্ট। আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ শেষ হয়েছে। কাল বুধবার এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করবেন। গত ১৫, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের জবানবন্দি উপস্থাপন করা হয় এবং ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় উপস্থাপন শুরু করা হয়। এরপর যুক্তি উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আনিসুল হক আরও বলেন, মামলাটির দু'টি দিক রয়েছে। একটি হচ্ছে, অপরাধ সংগঠন। অপরটি হলো ষড়যন্ত্র। সশস্ত্র সেনা কর্মকর্তারা কারাগারে এসে চার নেতাকে গুলি করে হত্যা করে। পরে অন্য একটি দল এসে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাদের মুত্যু নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, বঙ্গভবনে ষড়যন্ত্রের বৈঠকে এ দুই দল সেনা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়। তাই এদিকটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। কারা সেখানে যাবেন, সেটা নির্ধারণ হয় বঙ্গভবনের বৈঠকে। আনিসুল হক আরও বলেন, এ মামলায় হাইকোর্ট আপিলকারী সকল আসামিকে খালাস দিয়ে একমাত্র রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে বলেছি, হাইকোর্টের রায় বিকৃত, পক্ষপাতদুষ্ট ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থী। আমরা ন্যায় বিচারের জন্য আপিল দায়ের করেছি।

তিনি বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্যে এসেছে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ সে সময়কার কারা মহাপরিদর্শককে ফোনে বলেছেন, মোসলেহ উদ্দিনসহ যে ক'জন গেছে, তাদের কাজ করতে দাও। এসময় কারা মহাপরিদর্শক রাষ্ট্রপতিকে বলেন, তারা জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করতে চায়। জবাবে রাষ্ট্রপতি বলেন, করতে দাও। তিনি বলেন, সেদিন মোসলেহ উদ্দিনের সঙ্গে ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ, দফাদার মারফত আলী ও দফাদার মারফত আলী শাহ ছিল।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের লিভ টু আপিল আবেদন (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি সে ময়কার প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ মঞ্জুর করে। একইসঙ্গে ওই আদেশে দফাদার মারফত আলী শাহ ও এল ডি (দফাদার) আবুল হাসেম মৃধাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় আপিল বিভাগ। অন্যথায় এ দু'জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত। এছাড়া আপিলের সংক্ষিপ্তসার তৈরি করে জমা দিতে নির্দেশ দেয়। আপিল শুনানির জন্য সারসংক্ষেপ (কনসাইজ স্ট্যাটমেন্ট) গত ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগে জমা দেয়া হয় এবং মামলায় আপিল শুনানির জন্য ২৫ পৃষ্ঠার সারসংক্ষেপ দাখিল করা হয়।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। এ নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনার পরদিন তৎকালীন উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. মতিউর রহমান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রিসালদার মোসলেম উদ্দিন (পলাতক), দফাদার মারফত আলী শাহ (পলাতক) ও এল ডি (দফাদার) আবুল হাসেম মৃধাকে (পলাতক) মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চার আসামি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদসহ ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা কেএম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুরকে খালাস দেয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে হাইকোর্ট ২০০৮ সালে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মারফত আলী ও হাশেম মৃধাকে খালাস দেয়। রায়ে মোসলেমের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ফারুক, শাহরিয়ার রশিদ, বজলুল হুদা ও একেএম মহিউদ্দিন আহমেদকেও খালাস দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করে।

http://khabor.com/news/2013/02/26/201302999902275230443560.htm

Related:


জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার আপিলের শুনানি ১৫ জানুয়ারি

নিউজডেস্ক, বাংলাদেশনিউজ২৪x৭.কম

http://bdn24x7.com/?p=72561

  1. জেলহত্যা মামলায় আপিলে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ - নতুন বার্তা

    Feb 12, 2013 – ঢাকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় ষষ্ঠ দিনের মতো আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষে ... এ নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনার পরদিন তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালের ...
  2. জেলহত্যা মামলায় আপিলে অ্যাটর্নি জেনারেলের যুক্তি উপস্থাপন | law ...

    Feb 13, 2013 – ঢাকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় বুধবার সপ্তম দিনের মতো আপিল শুনানি হয়। ... আওয়ামী লীগের চার নেতাসহ ২৬ জন কারাগারে রয়েছে। মোশতাক সাহেব ১০-১৫ বছর ... এ ঘটনার পরদিন তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার ২৩ বছর পর ...

'জাতীয় চার নেতা হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বঙ্গভবনে'

Jan 22, 2013 – জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার দ্বিতীয় দিনের আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। মামলার আপিলের শুনানি আগামীকাল ... এ নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনার পরদিন তৎকালীন উপ-কারা মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২৩ বছর পর ১৯৯৮ ...

চার নেতা হত্যার ষড়যন্ত্র হয় বঙ্গভবনে: আনিসুল হক | law-court ...

Jan 22, 2013 – নতুন বার্তা ডটকম. ঢাকা: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যামামলায় হাইকোটের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের ওপর শুনানির দ্বিতীয় দিনে এ মামলায় নিয়োজিত প্রধান কৌঁসুলি আনিসুল হক বলেন, "জাতীয় চার নেতা হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে বঙ্গভবনে যা বিভিন্ন সাক্ষীদের দেয়া সাক্ষ্যে উঠে এসেছে।" ...







__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

RE: [chottala.com] ‘ফাঁসি চাই-জবাই কর’ স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না : মির্জা ফখরুল



One wrote 4 year ago wrote-  it true now...
 
 
Awami League (AL): This party has been enjoying mass support starting from grassroots level upto intelligentsia and bureaucrats. Most importantly, the support from Indian politicians and government. But the fate is such that this very sound party has been led by someone who has suffered personal loss so much that she has turned into a vindictive personality. There is none in her party to tell her that 'Apa/Madam, time has come for you to step aside and let the country be run by people who have forward vision and who do not carry past luggage. The more she will linger as the party-chief and head of the government, the more she will damage her party as well as this unfortunate nation. It is not that she is corrupt or having moral delinquencies of any type, but she is simply incapable of taking people together to work for nation building. That is her great drawback and she can not come out of her own quagmire. She managed to divide the country into two distinctive groups, a) Pro-liberation and b) Anti-liberation. Remember, divide and rule policy of the then British Empire particularly in this subcontinent? My question: who is powering AL to follow this suicidal path of divide and rule? Can you guess? Otherwise, AL should have been the beacon of hope for the nation due to their sheer weight.

 

To: chottala@yahoogroups.com; khabor@yahoogroups.com; notun_bangladesh@yahoogroups.com
From: Syed.Aslam3@gmail.com
Date: Tue, 26 Feb 2013 17:37:21 -0500
Subject: [chottala.com] 'ফাঁসি চাই-জবাই কর' স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না : মির্জা ফখরুল

 

'ফাঁসি চাই-জবাই কর' স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না : মির্জা ফখরুল

Mirza Faqrul forgot that
 
was one of the main slogan of the student movement and mass-upsurge of 1969 that
overthrew Ayub ragime. 
Oh yeah, Mirza Faqrul was busy with Maoist revolutions in Mahboobullah's Biplobi 
Chattro Union, as many of his contemporaries recall ....

2013/2/26 Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.com>
 

'ফাঁসি চাই-জবাই কর' স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না : মির্জা ফখরুল

নয়া দিগন্ত অনলাইন
 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফাঁসি চাই, জবাই কর ধরনের স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না। জিঘাংসার পরিবর্তে ভালবাসা দিয়ে দেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। শাহবাগের তরুণদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তোমাদের হিংসার গান গেয়ে নয়, ভালোবাসার গান গেয়ে জাতিকে গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্রের শতফুল ফুটতে দিতে হবে। ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনীর স্মরণসভায় আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিনে ২১ জন ধর্মপ্রাণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অপরাধ ছিল তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জাতীয় প্রেস কাবে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইবরাহীম বীরপ্রতীক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মবিন, ন্যাপ চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়েজুল্লাহ, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল লতিফ অ্যাডভোকেট, মুফতি আমিনীর ছেলে ও দলের সহসভাপতি মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী প্রমূখ।
সরকার সবক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পানি ঘোলা করে মাছ ধরতে চায় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা চায় জনগণের নজর ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে। সেজন্য তারা পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' দাবি করে ফখরুল বলেন, সমস্যা সমাধান না করে সরকার সেটিকে আরও উসকে দিচ্ছে। এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। সরকারকে তিনি সংঘাতের পথ থেকে ফিরে এসে অভিভাবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ হলেও ধর্মান্ধ নয়। ধর্মকে বাদ দিয়ে এদেশে কোনো কিছু করা যাবে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। খেললে সে আগুনে নিজেই পুড়ে যাবেন। তিনি শাহবাগের আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে তারা যা করছে, তা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে হচ্ছে কি না।
শাহবাগ ও মিরপুরে যেসব বক্তব্য শুনেছি তাতে মনে হচ্ছে, জাতিকে এক অনিশ্চিত অন্ধকার গহবরের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সরকার তার দুর্নীতি, লুটপাট, পদ্মাসেতু নির্মাণ না করতে পারা, পূঁজিবাজার ধ্বংস করা ইত্যাদি নানা ব্যর্থতা ঢাকতে জেনেশুনেই পানি ঘোলা করে মাছ ধরার অপচেষ্টা করছে। সত্য কথা লেখার আপরাধে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর আক্রমণ হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, তার বড় অপরাধ তিনি তার পত্রিকায় স্কাইপে যুদ্ধাপরাধীর বিচারকের গোপন কথোপকোথন এবং ব্লগে হযরত মুহাম্মদ সা.-এর বিরুদ্ধে করা কটুক্তি প্রকাশ করেছিলেন।
বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধকে রা করবে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট এই নীতিতে বিশ্বাসী জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তার অর্থ এই নয় যে, দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করে কটুক্তি করা হবে। আমিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন একজন বড় মাপের ইসলামিক দার্শনিক। গণতন্ত্র ও ইসলামের পে তিনি যাতে সার্বজীননভাবে কথা বলতে না পারেন সেজন্য জীবনের শেষ ২১ মাস সরকার তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। সরকারের এহেন কর্মকান্ডের ধিক্কার জানান তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মুফতি আমিনীর ছেলে আবুল হাসানাত আমিনী সরকারের উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে শাহবাগের নাটক বন্ধ করুন। অন্যথায় আমরা যেকোনো সময় শাহবাগ অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। কোনো শক্তি এ লংমার্চ প্রতিহত করতে পারবে না। শাহবাগে চলমান প্রজন্ম চত্বরের তীব্র সমালোচনা করে অপরাপর বক্তারা বলেন, মুফতি আমিনী বেঁচে থাকলে নাস্তিক-মুরতাদরা আল্লাহ-রাসুলকে এভাবে অপমান করতে পারতো না। গত কয়েক দিন ধরে সরকার ইসলামপ্রিয় জনতার গণবিােভ মিছিল ও শান্তিপূর্ণ হরতালে বাধা দিয়ে মানুষ হত্যা করে গোটা দেশেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যে প্রমাণ হয়েছে তারা দেশে থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করতে চায়।
বক্তারা বলেন, তারা রজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই শাহবাগে কথিত গণজাগরণ চত্তরে আত্মস্বীকৃত নাস্তিক ও রাসুল স. নিয়ে কটুক্তিকারীদের মাঠে নামিয়ে মূলত নাস্তিকতা ও ইসলাম বিরোধীতাকে উস্কে দিয়েছে এবং দেশকে গভীর সংকট ও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকার কথিত বিচারের নামে দেশবরেণ্য আলেমদের উপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু সরকার তাদের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদও করতে দিচ্ছে না। কিন্তু জনগণের ক্ষোভ এখন গণবিস্ফোরণে রূপ নিয়েছে। তাই জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে আওয়ামী লীগের শেষ রা হবে না। তিনি জুলুম-নির্যাতন পরিহার করে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত শীর্ষ আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি, রাসুল সা.কে নিয়ে কটুক্তিকারী ও স্বঘোষিত নাস্তিকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান এবং মানিকগঞ্জসহ সারা দেশে নিরীহ আলেমদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি দেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় আগামী দিনের আন্দোলন কঠোর হতে কঠোরতর করে সরকারকে দাবী মানতে বাধ্য করা হবে।

Mostly Hindu Police may have been responsible for killing Ulema's.

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে নাস্তিক ব্লগারদের পক্ষে আওয়ামী পুলিশের ভূমিকা : এগারো দিনে পুলিশ গুলি করে মারল ১৭ জনকে

স্টাফ রিপোর্টার
« আগের সংবাদ
 
পরের সংবাদ»
ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে পুলিশ। সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। বিরোধীরা রাজপথে নামলেই মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, গ্রেনেড হামলা ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটকের পর খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করছে। গত ১১ দিনে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুসল্লি ও সাধারণ জনগণ রয়েছেন। পুলিশের ছোড়া গুলিতে কয়েকশ' মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিত্সাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আটক হয়েছেন অনেকে। এছাড়া কয়েক জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের গুম করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরনের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা।
গত কয়েক দিনের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আন্দোলনকারী বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মুসল্লিদের ওপর পুলিশের গুলিতে নিহত ১৭ জনের মধ্যে চারজনই মানিকগঞ্জের। এছাড়া সিলেটে তিনজন, কক্সবাজারে চারজন, পাবনায় দুইজন, গাইবান্ধায় তিনজন ও কুমিল্লায় একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে আহত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি নৃশংস ঘটনার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বিরোধীদের ওপর পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ছাড়া হয়েছে। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কক্সবাজারে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে কক্সবাজার শহরে 'সাঈদী মুক্তি পরিষদ' আয়োজিত সব স্তরের মানুষের মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি চালাচ্ছে ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করছে। একপর্যায়ে দুইজন যুবককে আটক করে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেধড়ক পেটাচ্ছে। একপর্যায়ে লাল-সাদা রঙের শার্ট পরা যুবকটি রাস্তার পাশের একটি খোলা রুমে আশ্রয় নিলে সেখানে পুলিশের ৪-৫ জন সদস্য তাকে প্রহার করতে থাকে। একপর্যায়ে খুব কাছ থেকে এক পুলিশ সদস্য ওই যুবককে গুলি করে। কিছু সময় পরই যুবকের নিস্তেজ দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই যুবকের লাশ আর পাওয়া যায়নি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ইসলামি দলগুলোর ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে অবিরল গুলি চালাতে থাকে পুলিশ। বিভিন্ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খবরে দেখা গেছে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের ওভারব্রিজে পাঞ্জাবি পরিহিত এক যুবককে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেধড়ক মারধরের একপর্যায়ে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ যুবকের পিঠ থেকে অঝরে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সে অবস্থাতেও কয়েকজন পুলিশ তার নাকে-মুখে লাথি মারতে থাকে। এসব বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মানিকগঞ্জে আলেমসহ নিহত ৪ : ইসলাম ধর্ম অবমাননা ও হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে ইসলামি দলগুলোর ডাকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রোববারের হরতালে পুলিশের গুলিতে মাদরাসা শিক্ষকসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে নারী-শিশুসহ ২০ জন। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, হরতাল সমর্থনে সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এলাকাবাসীকে লক্ষ্য করে পুলিশ কয়েকশ' রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে চারজন নিহত হন। তারা হলেন গোবিন্দল মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ শাহ আলম (২৫), নাজিম উদ্দিন (২৬), আলমগীর (২৫) ও মাওলানা নাসির উদ্দিন (৩০)। মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী মিয়া ওইদিন সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫০ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩০০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়।
সিলেটে ৩ জন নিহত : সিলেটে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ও গত ২২ ফেব্রুয়ারি মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত দুই তগুণের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সিলেটে তিনজন নিহত হয়েছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটে সাঈদী মুক্তি পরিষদের মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত মহানগর শিবিরের সহ-সমাজসেবা সম্পাদক আলী আজগর খান রাহাত গত সোমবার ঢাকায় চিকিত্সাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। এছাড়া শুক্রবার চৌহাটায় তৌহিদি জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত সুহিনকে রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সিওমেক হাসপাতালে মারা যান। ওই দিন পুলিশের নির্বিচার গুলিতে মোস্তফা মুর্শেদ তাহসীন (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চৌহাট্টায় শিবিরের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোড়ে পুলিশ। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন রাহাত। তিনি সিলেট এমসি কলেজের ছাত্র। তার লিভারে গুলি লেগেছিল। নিহতের বাবা নুরুল মোস্তফা জালালাবাদ গ্যাসে কর্মরত। এমসি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র তাহসীন জুমার নামাজ শেষে হাউজিং এস্টেট মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মিছিলে অংশ নেয় এবং চৌহাট্টায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়। এ সময় কমপক্ষে ৫০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
কক্সবাজারে ৪ জন : গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে কক্সবাজার শহরে সাঈদী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত সব স্তরের মানুষের মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি চালায়। গুলিতে চারজন নিহত ও দেড় শতাধিক গুলিবিদ্ধ হন। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের জামায়াতকর্মী নুরুল হক (৪২), পিএমখালী ইউনিয়নের মোক্তার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৪২), শহরতলীর গোদারপাড়ার কলিম উল্লাহর ছেলে শিবিরকর্মী তোফায়েল উদ্দিন (২২) ও ছালেহ আহমদ (৪৫)।
পাবনায় ২ জন : গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পাবনায় জামায়াতের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে দুই জামায়াতকর্মী নিহত হয়। নিহতরা হলো ধর্মগ্রাম এলাকার শমশের আলীর ছেলে আলাল হোসেন (১৮) ও মনোহরপুর এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২৩)। গুলিবিদ্ধ আরও ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাইবান্ধায় ৩ জন : গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ও নবী (সা.)-এর অবমাননার প্রতিবাদ ও ধর্মদ্রোহী নাস্তিক, মুরতাদদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে ওঠা ইসলামি জনতার মহাজাগরণ দমাতে নির্বিচার গুলি চালালে গাইবান্ধায় তিন মুসল্লি নিহত হন। এরা হলেন গোবিন্দপুরের মোমিন ও মুঞ্জু এবং মহদিপুর ইউনিয়নের কোকিল। এছাড়া ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৫০ জন। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সমমনা কয়েকটি ইসলামী দলের কয়েক হাজার লোক মিছিল করে রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ বিনা উসকানিতে ৩০ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে ২ জন ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে মোমিন নামে আরও একজন মারা যান। এ সময় কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
কুমিল্লায় একজন : গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের সময় কুমিল্লায় জাময়াত-শিবির কর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে ইব্রাহীম নামে এক জামায়াতকর্মী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এ সময় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় আরও ২৫ জন।


 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওলামা-মাশায়েখদের সমাবেশ : মহানবী (সা.) ও ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তিকারী নাস্তিকদের ফাঁসি দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
 
 
পরের সংবাদ»
যুদ্ধাপরাধীদের চেয়েও ভয়াবহ অপরাধ করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কথিত নাস্তিক ব্লগাররা। মহান আল্লাহ ও হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অবমাননাকারী কথিত ব্লগার, নাস্তিক-মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতা ফুঁসে উঠেছে। গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তৌহিদি জনতার ব্যানারে ওলামা-মাশায়েখদের আহ্বানে শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ওলামা ছাড়াও বিভিন্ন পেশার প্রায় ৫০ হাজার তৌহিদি জনতা উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে অবিলম্বে শাহবাগের কথিত ব্লগার নাস্তিক-মুরতাদদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানানো হয়। এছাড়া মুসলমানদের ইসলাম ও আকিদা রক্ষার জন্য দৈনিক আমার দেশ যে ভূমিকা নিয়েছে তা এদেশের নব্বই ভাগ মুসলমান সারা জীবন মনে রাখবে।
ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত তৌহিদি জনতা আর ঘরে ফিরে যাবে না। দেশের সর্বত্র মুসলমানদের শাহবাগের নাস্তিক কথিত ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বানও জানানো হয়। বর্তমান সরকার নাস্তিক ব্লগারদের অতিসত্বর গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের কাছে সরকার মুসলিমবিদ্বেষী নয় তা প্রমাণ করতে হবে। ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশের নব্বই ভাগ মুসলমান সরকারকে নাস্তিকদের সহায়তাকারী হিসেবে চিহ্নিত করবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের বিরুদ্ধে। বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরাও চাই। তবে বিচারের ইস্যু নিয়ে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল (সা.), ইসলাম, মুসলমান ও টুপি-দাড়ি নিয়ে কোনো ধরনের কটূক্তি বরদাশত করা হবে না।
নাস্তিক ব্লগারদের কুরুচিপূর্ণ ব্লগ, আল্লাহ, রাসুল (সা.), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যেসব ব্লগ রয়েছে তা বন্ধ করতে হবে। নাস্তিকদের শাহবাগে প্রজন্ম চত্বর দু'দিনের মধ্যে বন্ধ না করা হলে তৌহিদি জনতা ঢাকা ঘেরাওসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। ইসলামী রাজনীতি বন্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা, নির্বিচারে পুলিশ ও সরকারি দলের ক্যাডারদের গুলিতে ১৯ জন মুসল্লি, আলেম ও ইমামকে হত্যার বিচার করতে হবে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রীকে দায়ী করা হয়। তাদের নির্দেশেই নির্বিচারে পাখির মতো ইসলামে বিশ্বাসী মুসলমানদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। মাওলানা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজী, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, জামেয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ, দারুল আরকাম মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনছারী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী, মাওলানা রহমত উল্লাহ, মুফতি মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ, মুফতি আবদুর রহিম কাশেমী, হাফেজ মো. ইদ্রিস, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আবদুস সাত্তার, মুফতি এনামুল হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে ৮টি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। আল্লাহ এবং রাসুল (সা.), ইসলাম, দাড়ি-টুপি, নামাজ-রোজা, তাহাজ্জুদ নামাজ এবং হিজাব সম্পর্কে কুত্সা রটনা বন্ধ করতে হবে। শাহবাগসহ সারাদেশে গণজাগরণ মঞ্চে ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। স্বঘোষিত নাস্তিক রাজীবকে শহীদ ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রত্যাহার করতে হবে। স্বঘোষিত নাস্তিকের পক্ষ ত্যাগ ও তাদের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বর্জন করতে হবে। ইসলামী রাজনীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। গ্রেফতার করা মাওলানা জাফর উল্লাহ খান, মাওলানা নুরুল আলম হামিদীসহ সব আলেম-ওলামার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ও দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইসলামপ্রিয় মানুষের কণ্ঠস্বর দৈনিক আমার দেশ সহ অন্যান্য পত্রিকা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যার হুমকি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।




 
 
নাস্তিক-মুরতাদদের আইনের আওতায় আনুন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম ওলামা সমাবেশ
বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
 
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে: নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার শপথ নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজার হাজার আলেম-ওলামা। মঞ্চ থেকে ইসলাম রক্ষার জন্য রক্ত দেয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাত তুলে শপথ নেন তারা। 'নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবার' স্লোগানে গর্জে ওঠেন সবাই। গতকাল এখানকার আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে 'ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা'র উদ্যোগে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভে নাস্তিক-মুরতাদদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করাসহ সরকারের কাছে ৮ দফা দাবিনামা পেশ করা হয়। শাহবাগের মঞ্চ থেকে সরকারের মদতে ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলে ধরে এই সমাবেশে সরকারকে তওবা করারও আহ্বান জানানো হয়। এতে ব্লগার রাজীবকে শহীদ উপাধি প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও সমালোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন শেখ মুজিবুর রহমান আর তার কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারাই কথা বলেছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ব্লগাররা বিশ্বনবীকে কটাক্ষ করলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং শেখ হাসিনা ব্লগার রাজীবের বাসায় গিয়ে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে এসেছেন। সমাবেশে আরও বলা হয় ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সরকার প্রমাণ করুক তারা ইসলামের পক্ষে আছে। সমাবেশে বক্তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে তাদের কোন আপত্তি না থাকার কথা জানালেও যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে যাতে এই বিচার সম্পন্ন হয় সেই দাবিও রাখেন। এই সমাবেশ ঘিরে ছিল জেলা পুলিশের কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়। তবে পুরো নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় আলেম-ওলামাদের এক শ' স্বেচ্ছাসেবকের ওপর। তারা জনতার মঞ্চসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনার সামনে পাহারায় ছিল। পুলিশ ছিল পাশে দাঁড়িয়ে। এই সমাবেশে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষ আসেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন ওলামা-মাশায়েখ নেতারা। সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা ২টায়। সমাবেশে দেশের এবং জেলার শীর্ষ আলেম ওলামাসহ প্রায় অর্ধশত বক্তা বক্তৃতা করেন। তাদের মধ্যে বক্তৃতায় মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজী বলেন- আমাদের মনের দাবি, প্রাণের দাবি ধর্মবিরোধী কুলাঙ্গারদের ফাঁসি। তিনি বলেন- এই সরকারের মাথায় পচন ধরেছে। আর কিছুদিন পর তা লেজ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। শাহবাগে গিয়ে শেখ হাসিনার সাঙ্গপাঙ্গরা সমর্থন জানিয়েছে। শুনেছি তার ছেলেও সেখানে গিয়েছে। তাই এই নাস্তিকদের কাজে তার সমর্থন নেই সেটা বলার আর সুযোগ নেই। মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী বলেন- আমরা শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচার নয় সকল অপরাধের বিচার চাই। যুদ্ধাপরাধীদের একবার ফাঁসি দিলে ব্লগারদের হাজার বার ফাঁসি দিতে হবে। তিনি এ-ও বলেন- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যাতে বিনা সাক্ষীতে না হয়। মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী বলেন- নাস্তিক-মুরতাদদের মঞ্চ থেকে ঘোষণা হয়েছে ধর্ম যার যার, দেশ সবার। আমরা বলছি- ধর্ম যার, দেশ তার। ধর্ম ইসলাম, দেশ মুসলমানের। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- আপনার বিরুদ্ধে, আপনার পিতার বিরুদ্ধে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু যারা বিশ্বনবীর বিরুদ্ধে কথা বললো, তার অমর্যাদা করলো, আপনি তাদের বাসায় গিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে এসেছেন। তিনি আরও বলেন- গত ১৫শ' বছরে ইহুদি-খ্রিষ্টান, নাস্তিক-মুরতাদ, দাউদ হায়দার, তসলিমা, সালমান রুশদী যত কটূক্তি করেছে সব ছাড়িয়ে গেছে ব্লগারদের কটূক্তি। তিনি শাহবাগের মঞ্চে যাওয়া চিহ্নিত কিছু মৌলভীদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ সারা দেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন- দেড় হাজার বছরেও আল্লাহর নবী-রাসুলদের বিরুদ্ধে এমন কটাক্ষ কেউ করেনি- যা ব্লগার নামধারী নাস্তিকেরা করেছে। এখন বলা হচ্ছে এটি রাজীবের ব্লগে ঢুকে অন্যেরা করেছে। কিন্তু এর কোন প্রমাণ দিতে পারেনি সরকার। বরং তাকে শহীদ বলে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়া হয়েছে- যা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মেনে নেয়নি। তিনি নাস্তিকদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়ার এবং তাদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান। মাওলানা রহমত উল্লাহ বলেন- ভোটের সময় বলা হয় 'লা ইলাহা ইল্লালাহ, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ'। আল্লাহর নামেই তারা ভোটে নেয়ামত পেয়েছেন। আর এখন তাদের অবস্থা কি আপনারাই দেখছেন।
৮ দফা প্রস্তাব: নাস্তিক-মুরতাদদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, আল্লাহ এবং রাসুল ও ধর্মের বিরুদ্ধে সকল প্রকার কুৎসা রটনা বন্ধ, শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ থেকে ইসলামবিরোধী সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ, ব্লগার রাজীবের শহীদ খেতাব প্রত্যাখ্যান, ইসলামী সংগঠনের রাজনীতি বন্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং গ্রেপ্তারকৃত আলেম-ওলামাদের মুক্তিসহ সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি পেশ করা হয় সমাবেশ থেকে।
নিরাপত্তার দায়িত্ব ওলামা-মাশায়েখদের কাঁধে: সমাবেশটি ঘিরে জেলা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রায় দু'শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এবং সমাবেশস্থল ও গণজাগরণ মঞ্চের নিরাপত্তায়। ছিল র‌্যাব। দু'জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছিল পুলিশের টহল। জেলার পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেন, আমরা আলেম-ওলামাসহ সব পক্ষের সঙ্গে ব্যাপক লিয়াজোঁ করি- যাতে সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। নিরাপত্তার জন্য আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে এক শ' স্বেচ্ছাসেবক দেয়া হয়। আমরা তাদেরকে বলেছি সমাবেশকালীন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তাদের। সমাবেশ চলাকালে পুরাতন কোর্ট রোডস্থ এলাকায় গণজাগরণ মঞ্চ এবং সরকারি অন্যান্য স্থাপনা পাহারা দিতে দেখা গেছে তাদের।
-




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

RE: [chottala.com] ‘ফাঁসি চাই-জবাই কর’ স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না : মির্জা ফখরুল



Pleople should know about Islam in liberation politics:
 
Bhasani was one of the founders of the Awami Muslim League in 1949, but he left it in 1957 to found National Awami Party. Bhasani was never a pro India nor a anti India, rather he was closer to China than India. His ideology was "Islamic Socialism" within multiparty democracy. So in effect his ideology was "Islamic democratic socialism".
 
There are some people from so called left ... left the different  anti islamic party to join a party like BNP and others. Mirza Faqrul is one of them who respect Islamic value and respect minority rights for a country represnt by 90% muslims. He might not be a very religious person but he does not hurt Islam, Hinduism, Buddah, Christianity in public space.
These Shahabag blogger did the damage, now bloggers and some in Govt. are in" Damage control mission".  
 
 
Verify every news provided  by all media, it's your responsibility.
 
 

To: chottala@yahoogroups.com; khabor@yahoogroups.com; notun_bangladesh@yahoogroups.com
From: Syed.Aslam3@gmail.com
Date: Tue, 26 Feb 2013 17:37:21 -0500
Subject: [chottala.com] 'ফাঁসি চাই-জবাই কর' স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না : মির্জা ফখরুল

 

'ফাঁসি চাই-জবাই কর' স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না : মির্জা ফখরুল

Mirza Faqrul forgot that
 
was one of the main slogan of the student movement and mass-upsurge of 1969 that
overthrew Ayub ragime. 
Oh yeah, Mirza Faqrul was busy with Maoist revolutions in Mahboobullah's Biplobi 
Chattro Union, as many of his contemporaries recall ....

2013/2/26 Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.com>
 

'ফাঁসি চাই-জবাই কর' স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না : মির্জা ফখরুল

নয়া দিগন্ত অনলাইন
 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ফাঁসি চাই, জবাই কর ধরনের স্লোগান দিয়ে জাতিকে জাগিয়ে তোলা যাবে না। জিঘাংসার পরিবর্তে ভালবাসা দিয়ে দেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। শাহবাগের তরুণদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, তোমাদের হিংসার গান গেয়ে নয়, ভালোবাসার গান গেয়ে জাতিকে গড়ে তুলতে হবে। গণতন্ত্রের শতফুল ফুটতে দিতে হবে। ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইসলামী আইন বাস্তবায়ন কমিটির আমির মুফতি ফজলুল হক আমিনীর স্মরণসভায় আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিনে ২১ জন ধর্মপ্রাণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের অপরাধ ছিল তারা মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
জাতীয় প্রেস কাবে ইসলামী ঐক্যজোট আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইবরাহীম বীরপ্রতীক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মবিন, ন্যাপ চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার জেবেল রহমান গানি, মুসলিম লীগের মহাসচিব আতিকুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়েজুল্লাহ, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল লতিফ অ্যাডভোকেট, মুফতি আমিনীর ছেলে ও দলের সহসভাপতি মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী প্রমূখ।
সরকার সবক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পানি ঘোলা করে মাছ ধরতে চায় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা চায় জনগণের নজর ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে। সেজন্য তারা পরিকল্পিতভাবে দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' দাবি করে ফখরুল বলেন, সমস্যা সমাধান না করে সরকার সেটিকে আরও উসকে দিচ্ছে। এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। সরকারকে তিনি সংঘাতের পথ থেকে ফিরে এসে অভিভাবকের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ হলেও ধর্মান্ধ নয়। ধর্মকে বাদ দিয়ে এদেশে কোনো কিছু করা যাবে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। খেললে সে আগুনে নিজেই পুড়ে যাবেন। তিনি শাহবাগের আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে তারা যা করছে, তা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখে হচ্ছে কি না।
শাহবাগ ও মিরপুরে যেসব বক্তব্য শুনেছি তাতে মনে হচ্ছে, জাতিকে এক অনিশ্চিত অন্ধকার গহবরের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। সরকার তার দুর্নীতি, লুটপাট, পদ্মাসেতু নির্মাণ না করতে পারা, পূঁজিবাজার ধ্বংস করা ইত্যাদি নানা ব্যর্থতা ঢাকতে জেনেশুনেই পানি ঘোলা করে মাছ ধরার অপচেষ্টা করছে। সত্য কথা লেখার আপরাধে আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর আক্রমণ হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, তার বড় অপরাধ তিনি তার পত্রিকায় স্কাইপে যুদ্ধাপরাধীর বিচারকের গোপন কথোপকোথন এবং ব্লগে হযরত মুহাম্মদ সা.-এর বিরুদ্ধে করা কটুক্তি প্রকাশ করেছিলেন।
বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধকে রা করবে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট এই নীতিতে বিশ্বাসী জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তার অর্থ এই নয় যে, দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করে কটুক্তি করা হবে। আমিনীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন একজন বড় মাপের ইসলামিক দার্শনিক। গণতন্ত্র ও ইসলামের পে তিনি যাতে সার্বজীননভাবে কথা বলতে না পারেন সেজন্য জীবনের শেষ ২১ মাস সরকার তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল। সরকারের এহেন কর্মকান্ডের ধিক্কার জানান তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মুফতি আমিনীর ছেলে আবুল হাসানাত আমিনী সরকারের উদ্দেশে বলেন, অবিলম্বে শাহবাগের নাটক বন্ধ করুন। অন্যথায় আমরা যেকোনো সময় শাহবাগ অভিমুখে লংমার্চের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। কোনো শক্তি এ লংমার্চ প্রতিহত করতে পারবে না। শাহবাগে চলমান প্রজন্ম চত্বরের তীব্র সমালোচনা করে অপরাপর বক্তারা বলেন, মুফতি আমিনী বেঁচে থাকলে নাস্তিক-মুরতাদরা আল্লাহ-রাসুলকে এভাবে অপমান করতে পারতো না। গত কয়েক দিন ধরে সরকার ইসলামপ্রিয় জনতার গণবিােভ মিছিল ও শান্তিপূর্ণ হরতালে বাধা দিয়ে মানুষ হত্যা করে গোটা দেশেই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্যে প্রমাণ হয়েছে তারা দেশে থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করতে চায়।
বক্তারা বলেন, তারা রজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই শাহবাগে কথিত গণজাগরণ চত্তরে আত্মস্বীকৃত নাস্তিক ও রাসুল স. নিয়ে কটুক্তিকারীদের মাঠে নামিয়ে মূলত নাস্তিকতা ও ইসলাম বিরোধীতাকে উস্কে দিয়েছে এবং দেশকে গভীর সংকট ও গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকার কথিত বিচারের নামে দেশবরেণ্য আলেমদের উপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু সরকার তাদের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদও করতে দিচ্ছে না। কিন্তু জনগণের ক্ষোভ এখন গণবিস্ফোরণে রূপ নিয়েছে। তাই জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে আওয়ামী লীগের শেষ রা হবে না। তিনি জুলুম-নির্যাতন পরিহার করে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত শীর্ষ আলেমদের নিঃশর্ত মুক্তি, রাসুল সা.কে নিয়ে কটুক্তিকারী ও স্বঘোষিত নাস্তিকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান এবং মানিকগঞ্জসহ সারা দেশে নিরীহ আলেমদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টন্তমূলক শাস্তি দেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় আগামী দিনের আন্দোলন কঠোর হতে কঠোরতর করে সরকারকে দাবী মানতে বাধ্য করা হবে।

Mostly Hindu Police may have been responsible for killing Ulema's.

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে নাস্তিক ব্লগারদের পক্ষে আওয়ামী পুলিশের ভূমিকা : এগারো দিনে পুলিশ গুলি করে মারল ১৭ জনকে

স্টাফ রিপোর্টার
« আগের সংবাদ
 
পরের সংবাদ»
ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে পুলিশ। সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। বিরোধীরা রাজপথে নামলেই মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, গ্রেনেড হামলা ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আটকের পর খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করছে। গত ১১ দিনে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুসল্লি ও সাধারণ জনগণ রয়েছেন। পুলিশের ছোড়া গুলিতে কয়েকশ' মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিত্সাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আটক হয়েছেন অনেকে। এছাড়া কয়েক জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের গুম করা হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরনের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীরা।
গত কয়েক দিনের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আন্দোলনকারী বিরোধী দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মুসল্লিদের ওপর পুলিশের গুলিতে নিহত ১৭ জনের মধ্যে চারজনই মানিকগঞ্জের। এছাড়া সিলেটে তিনজন, কক্সবাজারে চারজন, পাবনায় দুইজন, গাইবান্ধায় তিনজন ও কুমিল্লায় একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে আহত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি চিকিত্সাধীন রয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি নৃশংস ঘটনার ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বিরোধীদের ওপর পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ছাড়া হয়েছে। ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কক্সবাজারে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে কক্সবাজার শহরে 'সাঈদী মুক্তি পরিষদ' আয়োজিত সব স্তরের মানুষের মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি চালাচ্ছে ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করছে। একপর্যায়ে দুইজন যুবককে আটক করে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেধড়ক পেটাচ্ছে। একপর্যায়ে লাল-সাদা রঙের শার্ট পরা যুবকটি রাস্তার পাশের একটি খোলা রুমে আশ্রয় নিলে সেখানে পুলিশের ৪-৫ জন সদস্য তাকে প্রহার করতে থাকে। একপর্যায়ে খুব কাছ থেকে এক পুলিশ সদস্য ওই যুবককে গুলি করে। কিছু সময় পরই যুবকের নিস্তেজ দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই যুবকের লাশ আর পাওয়া যায়নি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ইসলামি দলগুলোর ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে অবিরল গুলি চালাতে থাকে পুলিশ। বিভিন্ন টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খবরে দেখা গেছে, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের ওভারব্রিজে পাঞ্জাবি পরিহিত এক যুবককে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেধড়ক মারধরের একপর্যায়ে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ যুবকের পিঠ থেকে অঝরে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সে অবস্থাতেও কয়েকজন পুলিশ তার নাকে-মুখে লাথি মারতে থাকে। এসব বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মানিকগঞ্জে আলেমসহ নিহত ৪ : ইসলাম ধর্ম অবমাননা ও হজরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে ইসলামি দলগুলোর ডাকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রোববারের হরতালে পুলিশের গুলিতে মাদরাসা শিক্ষকসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে নারী-শিশুসহ ২০ জন। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, হরতাল সমর্থনে সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা সিংগাইর-মানিকগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এলাকাবাসীকে লক্ষ্য করে পুলিশ কয়েকশ' রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে চারজন নিহত হন। তারা হলেন গোবিন্দল মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ শাহ আলম (২৫), নাজিম উদ্দিন (২৬), আলমগীর (২৫) ও মাওলানা নাসির উদ্দিন (৩০)। মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলী মিয়া ওইদিন সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫০ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ৩০০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়।
সিলেটে ৩ জন নিহত : সিলেটে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ও গত ২২ ফেব্রুয়ারি মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত দুই তগুণের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সিলেটে তিনজন নিহত হয়েছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিলেটে সাঈদী মুক্তি পরিষদের মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত মহানগর শিবিরের সহ-সমাজসেবা সম্পাদক আলী আজগর খান রাহাত গত সোমবার ঢাকায় চিকিত্সাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। এছাড়া শুক্রবার চৌহাটায় তৌহিদি জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে আহত সুহিনকে রোববার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সিওমেক হাসপাতালে মারা যান। ওই দিন পুলিশের নির্বিচার গুলিতে মোস্তফা মুর্শেদ তাহসীন (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চৌহাট্টায় শিবিরের মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছোড়ে পুলিশ। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন রাহাত। তিনি সিলেট এমসি কলেজের ছাত্র। তার লিভারে গুলি লেগেছিল। নিহতের বাবা নুরুল মোস্তফা জালালাবাদ গ্যাসে কর্মরত। এমসি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র তাহসীন জুমার নামাজ শেষে হাউজিং এস্টেট মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মিছিলে অংশ নেয় এবং চৌহাট্টায় পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়। এ সময় কমপক্ষে ৫০ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।
কক্সবাজারে ৪ জন : গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবিতে কক্সবাজার শহরে সাঈদী মুক্তি পরিষদ আয়োজিত সব স্তরের মানুষের মিছিলে পুলিশ নির্বিচার গুলি চালায়। গুলিতে চারজন নিহত ও দেড় শতাধিক গুলিবিদ্ধ হন। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের জামায়াতকর্মী নুরুল হক (৪২), পিএমখালী ইউনিয়নের মোক্তার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৪২), শহরতলীর গোদারপাড়ার কলিম উল্লাহর ছেলে শিবিরকর্মী তোফায়েল উদ্দিন (২২) ও ছালেহ আহমদ (৪৫)।
পাবনায় ২ জন : গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পাবনায় জামায়াতের ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে দুই জামায়াতকর্মী নিহত হয়। নিহতরা হলো ধর্মগ্রাম এলাকার শমশের আলীর ছেলে আলাল হোসেন (১৮) ও মনোহরপুর এলাকার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২৩)। গুলিবিদ্ধ আরও ২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাইবান্ধায় ৩ জন : গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইসলাম ও নবী (সা.)-এর অবমাননার প্রতিবাদ ও ধর্মদ্রোহী নাস্তিক, মুরতাদদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে ওঠা ইসলামি জনতার মহাজাগরণ দমাতে নির্বিচার গুলি চালালে গাইবান্ধায় তিন মুসল্লি নিহত হন। এরা হলেন গোবিন্দপুরের মোমিন ও মুঞ্জু এবং মহদিপুর ইউনিয়নের কোকিল। এছাড়া ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৫০ জন। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সমমনা কয়েকটি ইসলামী দলের কয়েক হাজার লোক মিছিল করে রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ বিনা উসকানিতে ৩০ রাউন্ড গুলি চালায়। এতে ২ জন ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে মোমিন নামে আরও একজন মারা যান। এ সময় কমপক্ষে ২০ জনকে আটক করে পুলিশ।
কুমিল্লায় একজন : গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হরতালের সময় কুমিল্লায় জাময়াত-শিবির কর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি চালালে ইব্রাহীম নামে এক জামায়াতকর্মী নিহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এ সময় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় আরও ২৫ জন।


 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওলামা-মাশায়েখদের সমাবেশ : মহানবী (সা.) ও ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তিকারী নাস্তিকদের ফাঁসি দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
 
 
পরের সংবাদ»
যুদ্ধাপরাধীদের চেয়েও ভয়াবহ অপরাধ করেছে গণজাগরণ মঞ্চের কথিত নাস্তিক ব্লগাররা। মহান আল্লাহ ও হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অবমাননাকারী কথিত ব্লগার, নাস্তিক-মুরতাদদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতা ফুঁসে উঠেছে। গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তৌহিদি জনতার ব্যানারে ওলামা-মাশায়েখদের আহ্বানে শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে ওলামা ছাড়াও বিভিন্ন পেশার প্রায় ৫০ হাজার তৌহিদি জনতা উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে অবিলম্বে শাহবাগের কথিত ব্লগার নাস্তিক-মুরতাদদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানানো হয়। এছাড়া মুসলমানদের ইসলাম ও আকিদা রক্ষার জন্য দৈনিক আমার দেশ যে ভূমিকা নিয়েছে তা এদেশের নব্বই ভাগ মুসলমান সারা জীবন মনে রাখবে।
ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত তৌহিদি জনতা আর ঘরে ফিরে যাবে না। দেশের সর্বত্র মুসলমানদের শাহবাগের নাস্তিক কথিত ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বানও জানানো হয়। বর্তমান সরকার নাস্তিক ব্লগারদের অতিসত্বর গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় এনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের কাছে সরকার মুসলিমবিদ্বেষী নয় তা প্রমাণ করতে হবে। ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশের নব্বই ভাগ মুসলমান সরকারকে নাস্তিকদের সহায়তাকারী হিসেবে চিহ্নিত করবে।
তারা আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে নয়, নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের বিরুদ্ধে। বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরাও চাই। তবে বিচারের ইস্যু নিয়ে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল (সা.), ইসলাম, মুসলমান ও টুপি-দাড়ি নিয়ে কোনো ধরনের কটূক্তি বরদাশত করা হবে না।
নাস্তিক ব্লগারদের কুরুচিপূর্ণ ব্লগ, আল্লাহ, রাসুল (সা.), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যেসব ব্লগ রয়েছে তা বন্ধ করতে হবে। নাস্তিকদের শাহবাগে প্রজন্ম চত্বর দু'দিনের মধ্যে বন্ধ না করা হলে তৌহিদি জনতা ঢাকা ঘেরাওসহ বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। ইসলামী রাজনীতি বন্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা, নির্বিচারে পুলিশ ও সরকারি দলের ক্যাডারদের গুলিতে ১৯ জন মুসল্লি, আলেম ও ইমামকে হত্যার বিচার করতে হবে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রীকে দায়ী করা হয়। তাদের নির্দেশেই নির্বিচারে পাখির মতো ইসলামে বিশ্বাসী মুসলমানদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। মাওলানা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজী, মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, জামেয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ, দারুল আরকাম মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনছারী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী, মাওলানা রহমত উল্লাহ, মুফতি মাওলানা বেলায়েত উল্লাহ, মুফতি আবদুর রহিম কাশেমী, হাফেজ মো. ইদ্রিস, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আবদুস সাত্তার, মুফতি এনামুল হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে ৮টি দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অবিলম্বে স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। আল্লাহ এবং রাসুল (সা.), ইসলাম, দাড়ি-টুপি, নামাজ-রোজা, তাহাজ্জুদ নামাজ এবং হিজাব সম্পর্কে কুত্সা রটনা বন্ধ করতে হবে। শাহবাগসহ সারাদেশে গণজাগরণ মঞ্চে ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। স্বঘোষিত নাস্তিক রাজীবকে শহীদ ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রত্যাহার করতে হবে। স্বঘোষিত নাস্তিকের পক্ষ ত্যাগ ও তাদের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বর্জন করতে হবে। ইসলামী রাজনীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। গ্রেফতার করা মাওলানা জাফর উল্লাহ খান, মাওলানা নুরুল আলম হামিদীসহ সব আলেম-ওলামার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি ও দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইসলামপ্রিয় মানুষের কণ্ঠস্বর দৈনিক আমার দেশ সহ অন্যান্য পত্রিকা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে হত্যার হুমকি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।




 
 
নাস্তিক-মুরতাদদের আইনের আওতায় আনুন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলেম ওলামা সমাবেশ
বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
 
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে: নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার শপথ নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজার হাজার আলেম-ওলামা। মঞ্চ থেকে ইসলাম রক্ষার জন্য রক্ত দেয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে হাত তুলে শপথ নেন তারা। 'নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবার' স্লোগানে গর্জে ওঠেন সবাই। গতকাল এখানকার আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে 'ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা'র উদ্যোগে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভে নাস্তিক-মুরতাদদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করাসহ সরকারের কাছে ৮ দফা দাবিনামা পেশ করা হয়। শাহবাগের মঞ্চ থেকে সরকারের মদতে ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলে ধরে এই সমাবেশে সরকারকে তওবা করারও আহ্বান জানানো হয়। এতে ব্লগার রাজীবকে শহীদ উপাধি প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও সমালোচনা করা হয়। বক্তারা বলেন শেখ মুজিবুর রহমান আর তার কন্যা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারাই কথা বলেছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ব্লগাররা বিশ্বনবীকে কটাক্ষ করলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং শেখ হাসিনা ব্লগার রাজীবের বাসায় গিয়ে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে এসেছেন। সমাবেশে আরও বলা হয় ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সরকার প্রমাণ করুক তারা ইসলামের পক্ষে আছে। সমাবেশে বক্তারা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে তাদের কোন আপত্তি না থাকার কথা জানালেও যথাযথ সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে যাতে এই বিচার সম্পন্ন হয় সেই দাবিও রাখেন। এই সমাবেশ ঘিরে ছিল জেলা পুলিশের কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়। তবে পুরো নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় আলেম-ওলামাদের এক শ' স্বেচ্ছাসেবকের ওপর। তারা জনতার মঞ্চসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনার সামনে পাহারায় ছিল। পুলিশ ছিল পাশে দাঁড়িয়ে। এই সমাবেশে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষ আসেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন ওলামা-মাশায়েখ নেতারা। সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা ২টায়। সমাবেশে দেশের এবং জেলার শীর্ষ আলেম ওলামাসহ প্রায় অর্ধশত বক্তা বক্তৃতা করেন। তাদের মধ্যে বক্তৃতায় মাওলানা মনিরুজ্জামান সিরাজী বলেন- আমাদের মনের দাবি, প্রাণের দাবি ধর্মবিরোধী কুলাঙ্গারদের ফাঁসি। তিনি বলেন- এই সরকারের মাথায় পচন ধরেছে। আর কিছুদিন পর তা লেজ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। শাহবাগে গিয়ে শেখ হাসিনার সাঙ্গপাঙ্গরা সমর্থন জানিয়েছে। শুনেছি তার ছেলেও সেখানে গিয়েছে। তাই এই নাস্তিকদের কাজে তার সমর্থন নেই সেটা বলার আর সুযোগ নেই। মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী বলেন- আমরা শুধু যুদ্ধাপরাধের বিচার নয় সকল অপরাধের বিচার চাই। যুদ্ধাপরাধীদের একবার ফাঁসি দিলে ব্লগারদের হাজার বার ফাঁসি দিতে হবে। তিনি এ-ও বলেন- যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যাতে বিনা সাক্ষীতে না হয়। মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবী বলেন- নাস্তিক-মুরতাদদের মঞ্চ থেকে ঘোষণা হয়েছে ধর্ম যার যার, দেশ সবার। আমরা বলছি- ধর্ম যার, দেশ তার। ধর্ম ইসলাম, দেশ মুসলমানের। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- আপনার বিরুদ্ধে, আপনার পিতার বিরুদ্ধে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু যারা বিশ্বনবীর বিরুদ্ধে কথা বললো, তার অমর্যাদা করলো, আপনি তাদের বাসায় গিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে এসেছেন। তিনি আরও বলেন- গত ১৫শ' বছরে ইহুদি-খ্রিষ্টান, নাস্তিক-মুরতাদ, দাউদ হায়দার, তসলিমা, সালমান রুশদী যত কটূক্তি করেছে সব ছাড়িয়ে গেছে ব্লগারদের কটূক্তি। তিনি শাহবাগের মঞ্চে যাওয়া চিহ্নিত কিছু মৌলভীদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ সারা দেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন- দেড় হাজার বছরেও আল্লাহর নবী-রাসুলদের বিরুদ্ধে এমন কটাক্ষ কেউ করেনি- যা ব্লগার নামধারী নাস্তিকেরা করেছে। এখন বলা হচ্ছে এটি রাজীবের ব্লগে ঢুকে অন্যেরা করেছে। কিন্তু এর কোন প্রমাণ দিতে পারেনি সরকার। বরং তাকে শহীদ বলে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়া হয়েছে- যা দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মেনে নেয়নি। তিনি নাস্তিকদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়ার এবং তাদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান। মাওলানা রহমত উল্লাহ বলেন- ভোটের সময় বলা হয় 'লা ইলাহা ইল্লালাহ, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ'। আল্লাহর নামেই তারা ভোটে নেয়ামত পেয়েছেন। আর এখন তাদের অবস্থা কি আপনারাই দেখছেন।
৮ দফা প্রস্তাব: নাস্তিক-মুরতাদদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, আল্লাহ এবং রাসুল ও ধর্মের বিরুদ্ধে সকল প্রকার কুৎসা রটনা বন্ধ, শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ থেকে ইসলামবিরোধী সকল কর্মকাণ্ড বন্ধ, ব্লগার রাজীবের শহীদ খেতাব প্রত্যাখ্যান, ইসলামী সংগঠনের রাজনীতি বন্ধের ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং গ্রেপ্তারকৃত আলেম-ওলামাদের মুক্তিসহ সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি পেশ করা হয় সমাবেশ থেকে।
নিরাপত্তার দায়িত্ব ওলামা-মাশায়েখদের কাঁধে: সমাবেশটি ঘিরে জেলা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রায় দু'শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এবং সমাবেশস্থল ও গণজাগরণ মঞ্চের নিরাপত্তায়। ছিল র‌্যাব। দু'জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছিল পুলিশের টহল। জেলার পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেন, আমরা আলেম-ওলামাসহ সব পক্ষের সঙ্গে ব্যাপক লিয়াজোঁ করি- যাতে সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। নিরাপত্তার জন্য আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে এক শ' স্বেচ্ছাসেবক দেয়া হয়। আমরা তাদেরকে বলেছি সমাবেশকালীন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তাদের। সমাবেশ চলাকালে পুরাতন কোর্ট রোডস্থ এলাকায় গণজাগরণ মঞ্চ এবং সরকারি অন্যান্য স্থাপনা পাহারা দিতে দেখা গেছে তাদের।
-




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] Re: [KHABOR] CAIR-MD's Banquet - 4/28/13 MD Att. General Keynote Speaker



This is best add I have ever seen!!

From: sultan chowdhury <chottalasultan@yahoo.com>
To: "chottalasultan@yahoo.com" <chottalasultan@yahoo.com>; baai <baainews@yahoogroups.com>; chottala group <chottala@yahoogroups.com>; Alapon Alapon <alapon@yahoogroups.com>; Khobor <khabor@yahoogroups.com>
Sent: Friday, February 22, 2013 9:43 PM
Subject: [KHABOR] CAIR-MD's Banquet - 4/28/13 MD Att. General Keynote Speaker [1 Attachment]
 
Dear Community Members,
    I invite you to attend the first fundraising banquet on 4/28/13 for Maryland Chapter of the Council on American-Islamic Relations (CAIR-MD).  Maryland Attorney General Douglas Gansler as well as many other featured speakers - see below and attached flyer.  It will be an engaging and interesting event.      CAIR is a national civil rights organization, with chapters all across the country.  Over the last 6 months CAIR has been active in holding "Know Your Rights" and bullying prevention seminars in area Masjids, appealing for no school on the Eid Holidays for the Montgomery County Public School system, and protesting anti-Islamic advertisements put up in the Metro, and many more things. Visit (http://md.cair.com/) and Facebook page (http://www.facebook.com/CAIRMaryland) to find out more.    You may register individually at $55 per or form a group to book a table of 9 for $500.  If interested in purchasing a table, please contact me.  FYI, our own Azim Chowdhury, Esq., is a director of CAIR-MD     Regards,                 Sultan Chowdhury
---------- Forwarded message ----------From: CAIR-MD Chapter <info@md.cair.com>Date: Tue, Feb 19, 2013 at 12:47 PMSubject: Don't miss out on our inaugural banquet! Reserve your seat today.To: azim.chowdhury@gmail.com
Council on American Isamic Relations, Maryland Chapter

February 2013 | E-Newsletter
Is this email not displaying correctly?View it in your browser.

CAIR-MD Inaugural Fundraising Banquet will be held on Sunday, April 28th
Join us! Register here today. 

Visit our newly launched Website!

CAIR-MD is pleased to announce the launch of our new website! Visit md.cair.com to learn about CAIR-MD's issues and campaigns. Remain up-to-date about developments regarding Islamophobia and civil rights as they relate to you and your community. Access resources made available to you at no charge.  Schedule free "Know Your Rights" and "Bullying Prevention" workshops or "Basic Tenets of Islam" seminars. Stay in the loop about upcoming events in your area. Past and current CAIR-MD initiatives include:* Petitioning for addition of Eid holiday to Montgomery County school calendar
* Coordinating counter-campaign to anti-Muslim ads in DC Metro area
* Organizing interfaith candlelight vigil for victims of Sandy Hook Elementary School shooting in CT
* Protesting appearance of Pamela Geller, anti-Muslim leader of designated hate group, at conference in Annapolis
* Conducting several "Know Your Rights" and "Bullying Prevention" workshops at area mosques and schools
..and more.
In the several months since CAIR-MD's establishment, we have received significant media attention and our board members have also published several op-eds in area newspapers. 
SUPPORT US! Donate today. CAIR is a non-profit organization recognized as tax-exempt under U.S. Internal Revenue Code section 501(c)(3). Donations to CAIR-MD are tax-deductible. 

CONNECT WITH US

CONTACT US

Council on American Islamic Relations, MD Chapter
P.O. Box 7587
Gaithersburg, MD 20898
Add us to your address book

SHARE THIS EMAIL

Twitter Digg Facebook Delicious Reddit StumbleUpon DZone Google LinkedIn MisterWong MySpace Netvouz NewsVine Slashdot Technorati YahooMyWeb BlinkList Design Float Webnews.de

Register for CAIR-MD's Inaugural Banquet.
Click here

Copyright © 2013 Council on American Islamic Relations, MD Chapter, All rights reserved. You are receiving this email because we think you would be interested in staying informed about CAIR-MD's activities Our mailing address is:
Council on American Islamic Relations, MD Chapter
P.O. Box 7587
Gaithersburg, MD 20898
Add us to your address book
Email Marketing Powered by MailChimp



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___