Banner Advertise

Tuesday, October 22, 2013

[chottala.com] FW: বাংলাদেশ ডেমোক্রেসী ফোরামের প্রতিবাদ




 

Date: Tue, 22 Oct 2013 12:18:19 +0600
Subject: বাংলাদেশ ডেমোক্রেসী ফোরামের প্রতিবাদ
From: bdmailer@gmail.com
To:

বাংলাদেশ ডেমোক্রেসী ফোরামের প্রতিবাদ

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত 'জাতীয় সরকার'- একটি অসাংবিধানিক প্রস্তাবনা এবং বিরোধী দলের 'নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার' পূণঃপ্রতিষ্ঠার দাবীর সরাসরি প্রত্যাক্ষান
 
বাংলাদেশের বর্তমান শাসক দল (আওয়ামী লীগ) তাদের ঘোষিত আন্দোলনের ফসল ১/১১ এর অসাংবিধানিক সরকারের সাথে একটি আন্ডারষ্ট্যান্ডিংয়ের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহন করেছিল- যেটি আওয়ামী লীগেরই কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল জলিল সাহেব লন্ডনে একটি টে্লিভিশন সাক্ষাতকারে অকপটে স্বীকার করেছিলেন ২০০৮ এর ২৮শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সেই পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেই শাসকদল ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা নির্বাচনে অধিকাংশ আসন দখল করে নেয়। এরপর ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারীতে পিলখানা বিডিআর সদর দপ্তরে এক বাধাহীন পরিকল্পিত বিদ্রোহ সংঘটিত হবার সূযোগ দিয়ে ৫৮ জন সামরিক অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যার মাধ্যমে শুরু হয় ভারতের বন্ধু নামে পরিচিত এ তাবেদার ও স্বৈরাচারী সরকারের একের পর এক দেশ-বিরোধী কর্মকান্ড এবং হত্যা-গুম, বিরোধী দলন ও গনহত্যার এক ভয়াবহ শাসন। তাই এ সরকারের অগনতান্ত্রিক ও চরম স্বৈরাচারী চরিত্র বিশ্লেষনের মাধ্যমে বুঝা যাবে – কি কি কারনে এ সরকার জনগনের আস্থা হারিয়ে সংবিধান থেকে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নিজেদের অধীনে আবারো একটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চায়।
  
দূর্নীতিঃ  দূর্নীতি এ সরকারের আমলে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করে যখন সরকারের রেলমন্ত্রীর (সুরঞ্জিত) বাসায় তার এপিএস বস্তা ভর্তি ঘুষের টাকা নিয়ে যাবার সময় পিলখানায় নাটকীয়ভাবে ধরা পড়ে। শেয়ার মার্কেটের ৩৩ লক্ষ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর প্রায় ৮৭০০০ কোটি টাকার পুঁজি লুট হয়ে যায় ক্ষমতাসীনদের কাছের রাঘব বোয়ালদের কারসাজিতে কিন্তু এ সরকারের অর্থমন্ত্রী সে লুটেরাদের নাম পর্যন্ত প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন; ফলশ্রুতিতে অনেক বিনিয়োগকারী আত্মহত্যার মত মর্মান্তিক পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ঘনিষ্ট ব্যক্তি (তানভির) কর্তৃক হলমার্ক কেলেংকারীতে রাষ্ট্রীয় সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে আত্মসাত করা হয়; অর্থমন্রী এবারও মন্তব্য করলেন- সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা দূর্নীতির ঘটনা কোন বিরাট ব্যাপার নয়। যোগাযোগমন্ত্রীর কমিশন বানিজ্যের কারনে বিশ্বব্যাংক প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নির্মানের জন্য বিলিয়ন ডলারের ঘোষিত হ্মৃন নাকচ করে দেয়। এভাবে জাতীয় অর্থনীতির অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়- এ সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঘনিষ্ট জনদের হাতে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের নামে দায়েরকৃত কয়েকশত কোটি টাকার দূর্নীতির একাধিক মামলা সহ প্রায় ৭৫০০ টি দূর্নীতি ও ক্রিমিনাল অপরাধের মামলা ক্ষমতাবলে খারিজ করে দিয়ে দায় মুক্তি দেয়া হয় – ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা-কর্মীদের।

বিরোধী দলনঃ  এ সময়ে বিরোধী দলের উপর চালানো হয় চরম নির্যাতন। বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার বৈধ বাড়ী থেকে উৎখাত করা হয়। বিরোধী দলের মহাসচীব সহ শতাধিক নেতাকে কেন্দ্রীয় অফিসের তালা ভেংগে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়েরকৃত বিভিন্ন মামলা রুজু করে তাদেরকে হয়রানী করা হয়। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে তাকে হেনস্তা করতে এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে বিষোধগার করতে খোদ প্রদানমন্ত্রী জাতীয় সংসদকে ব্যবহার করেন। নিজ দলে অনেক রাজাকারকে মন্ত্রীত্ব দিলেও মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলা সাজিয়ে বিরোধী দলকে নেতৃত্বহীন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জুডিসিয়াল মার্ডার পরিচালনার অসৎ উদ্দেশ্যে এ সরকার 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল' গঠন করে; উক্ত আদালতের বিচারের রায়ের উপর সরকারের প্রভাব যে কত পরিষ্কার – তা প্রকাশ হয়ে পড়ে স্কাইপ কেলেংকারীর মাধ্যমে যেখানে পদোন্নতির বিনিময়ে ফাঁসির রায় দেয়ার প্রলোভন দেখানো হয় সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদেরকে এবং শুনানী সম্পন্ন হবার আগেই রায় লিখা হয়ে যায় আইন মন্ত্রীর সচীবের কম্পিউটারে। গত ৫ বছরে সরকার বহুবার তার পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে বিরোধী দলের কেন্দ্রীয় অফিস এবং বিরোধী দলের সমাবেশের উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারী করে ও মিটিংয়ের উপর গুলি চালিয়ে ছত্রভংগ করে দেয়।

রাজনৈতিক সহিংসতাঃ বর্তমান সরকার তাদের দলীয় বিভিন্ন সংগঠনের অসংখ্য ক্যাডারকে অস্ত্রের লাইসেন্স নেয়ার সুযোগ দেয়। এসব ক্যাডারদের সশস্ত্র তান্ডব, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, হল দখল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে খুন ও ধর্ষনের অসংখ্য ঘটনা অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। নাটোরের তরুন উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সানাউল্ল্যাহ নূর বাবুকে প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগ ও যুব লীগের ক্যাডাররা কুপিয়ে হত্যা করেছে। খুনের মামলায় ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত ২০ জনের অধিক দলীয় ক্যাডারকে সরকার রাষ্ট্রপতির ক্ষমা ম্যানেজ করে দিয়ে তাদেরকে ফুলের মালা দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। 
 
মানবাধিকার লংঘনঃ ক্রসফায়ার ও গুমকরনের মাধমে কয়েক শত বিচার বহির্ভূত হত্যা, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারীতে জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাইদীর মৃত্যুদন্ড ঘোষনার পরবর্তী দু'সপ্তাহে প্রায় দুই শতাধিক প্রতিবাদী নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যাকরন, একই বছরে ৫ই মে-তে ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামীর মহা সমাবেশে রাতের আঁধারে সরকারী বাহিনী দিয়ে সশস্ত্র আক্রমন চালিয়ে অগণিত মানুষকে হত্যা করে লাশ গুমকরন, মিছিল থেকে বিরোধী কর্মীদেরকে ধরে এনে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলিকরন, থানার মধ্যে বিরোধী কর্মীদেরকে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে বেধরক পেটানো এবং বন্দীদের পায়ে গুলি করে চিরতরে পংগু করে দেয়া, ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রীদেরকে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট অঞ্চলের জনপ্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী সহ কয়েকশত নেতা-কর্মীকে গুমকরন – ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য  
 
মিডিয়া দলন ও বাক্-স্বাধীনতা হরনঃ  সরকার তার শাসনকালকে প্রতিবাদহীন করার উদ্দেশ্যে সংবাদ মাধ্যমের উপর খরগহস্ত নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর ছেলের ৯ মিলিয়ন ডলারের কথিত দূর্নীতির খবর ফাঁস করে দেয়ায় সরকার এ সময়ের নির্ভীক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে একাধিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। বন্ধ করে দেয় আমার দেশ পত্রিকা সহ দিগন্ত টিভি ও ইসলামী টিভি। পাওয়ার সেক্টরে ক্ষমতাসীনদের বিরাট দূর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করায় হত্যা করা হয় সাংবাদিক সাগর ও রূনী দম্পতিকে। গত ৫ বছরে ১৯ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয় এবং আওয়ামী মন্ত্রী-এমপিদের হাতে নির্যাতনের শিকার হয় অসংখ্য সাংবাদিক। মানবাধিকার সংস্থা 'অধিকার'-এর সম্পাদক আদিলুর রহমানকেও সরকার গ্রেফতার করে। এভাবে, সরকার সিভিল সোসাইটির কন্ঠকে সংকুচিত করার উদ্যোগ নেয়।

দেশবিরোধী করিডোর চুক্তি স্বাক্ষর এবং সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার বিরুদ্ধে সরকারের নতজানু অবস্থানঃ এ সরকার ভারতের সাথে অনেকগুলো গোপন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে- যা দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলী দেয়ার সামিল। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ৫০ টি বিষয়ে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর, ২০১১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে 'সহযোগিতার জন্য সমঝোতা স্মারক' স্বাক্ষর করে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতকে দেশবিরোধী করিডোর প্রদান, বাংলাদেশী তরূনী ফেলানীকে সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নির্মমভাবে গুলি করে তার লাশ কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখা সহ সীমান্তে নিত্যদিনকার হত্যা ও নির্যাতনে সরকারের দায়িত্বপূর্ন মন্ত্রীর (সৈয়দ আশরাফ) মন্তব্য হলো- সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যার ঘটনা পূর্বেও হয়েছে, বর্তমানেও হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে; এটি কোন গুরুত্বপূর্ন ঘটনা নয় ইত্যাদি। এছাড়া, এ সরকার মুজিব-ইন্দিরা স্বাক্ষরিত সীমান্ত চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশের জন্য ৩ বিঘা করিডোর আদায়ে এবং ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্পূর্ন ব্যর্থ হয়েছেশুধু তা-ই নয়, এ সরকার ভারতের বাংলাদেশ-বিরোধী প্রস্তাবিত টিপাইমুখ বাঁধ নির্মানে ভারতকে সমর্থন জ্ঞাপন করেছে- যা জাতীয় স্বার্থের প্রতি সুষ্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা।

অগনতান্ত্রিক শাসন ও একদোলীয় বাকশাল কায়েমের ঘোষনাঃ এ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীরা একাধিকবার ঘোষনা দিয়েছে যে- তারা বিএনপি ও জামাতকে নির্মূল করতে চায়। এমনকি এ সরকার বাকশাল কায়েমের স্পিরিট নিয়ে এগুচ্ছে বলেও স্পষ্ট ঘোষনা দিয়েছেন- ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিঃ হানিফ। উল্লেক্ষ্য যে, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন এবং মানুষের বাক্-স্বাধীনতা কেড়ে নেবার উদ্দেশ্যে সরকার নিয়ন্ত্রিত চারিটি পত্রিকা ছাড়া অন্যান্য সকল সংবাদ পত্র বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তেজনা ও সম্ভাব্য সংঘাতঃ উপরোক্ত কারনেই বর্তমান সরকার ব্যাপকভাবে তাদের জনপ্রিয়তা হারিয়েছে- যার প্রমান দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত একাধিক জরীপের ফলাফল এবং সবগুলো সিটি নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থীর ভরাডুবি। নিজেদের ব্যাপক দূর্নীতি, দূঃশাসন, সন্ত্রাস ও মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় দেশবাসীর কাছে প্রত্যাক্ষাত হবার সম্ভাবনা অনুধাবন করতে পেরেই সরকার সংবিধান থেকে 'নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার' ব্যাবস্থা তুলে নেয় এবং প্রশাসন, বিচারবিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীতে ব্যাপক দলীয়করনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনী বৈতরনী পার হবার নীল-নকশা তৈরী করে। আর বিরোধী ১৮ দলীয় জোট বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে  সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য 'নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার' ব্যবস্থা পূণঃপ্রবর্তনের দাবী জানায়।  

কিন্তু, গত ১৮ অক্টোবরে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত তাঁর ভাষনে সকল দলের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠনের জন্য প্রস্তাব দেন যা সম্পূর্ন অসাংবিধানিক। উল্লেক্ষ্য, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই উক্ত কথিত জাতীয় সরকারের প্রধান হিসেবে থাকার পরিকল্পনা নিয়েছেন- যা 'নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক' সরকারের মূল স্পিরিটের পরিপন্থী।

উপসংহারঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাষনে একদিকে গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেবার অংগীকারের কথা বলা হয়েছে; অন্যদিকে সরকারের নির্দেশনায় ঢাকার পুলিশ ঘরে-বাইরে সভা-সমাবেশ, মানববন্ধ্‌ সেমিনার ইত্যাদি গনতান্ত্রিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। সুতরাং, সরকার কর্তৃক নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে একটি পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের নির্বাচন অনুষ্ঠিতকরনের নীল-নকশা হাতে নেয়া এবং এহেন দমন-পীড়নমূলক স্বৈরাচারী বাকশালী আচরনের মাধ্যমে গনতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর অঙ্গীকার- জাতির সাথে প্রতারনার নামান্তর বলেই ধারনা করা যৌক্তিক বলে বাংলাদেশ ডেমোক্রেসী ফোরাম মনে করে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

সরকারের এহেন চক্রান্তের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া- বিরোধী দলের জন্য রাজনৈতিক-আত্মহত্যার সামিল বলে আমরা মনে করি। তাই, গনতন্ত্রকামী সকল দেশবাসীকে এ বাকশালী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নীলনকশার নির্বাচনকে প্রতিহত করতে এবং বাংলাদেশকে একটি গনতন্ত্রকামী ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে নিতে সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। কোন স্বৈরশাসকই চিরস্থায়ী নয়, গনতন্ত্রী জনতার বিজয় অবশ্যম্ভাবীমহান আল্লাহ আমাদের সহায় হঊন।  
 
বাংলাদেশ ডেমোক্রেসী ফোরামের সকল সদস্যের পক্ষে-

মেজর (অবঃ) ফারুক আহমেদ, আহবায়ক
এবং  ডঃ কেএমএ মালিক, প্রধান উপদেষ্টা

তারিখ- ২০ অক্টোবর, ২০১৩


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___