ক্ষমতার গদিতে কঙ্কাল পড়ে রইবে, ঘৃণার থুতুও জুটবেনা!
মোহাম্মদ মাইনূল ইসলাম
২৮ তারিখ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সিটি এবং বাংলাদেশের শিল্পাঞ্চল চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন। নিবার্চনী প্রচার-প্রচারণায় মুখরিত দুই সিটির অলি-গলি। লড়াইয়ের মঞ্চে এবারও কোন ব্যতিক্রম নেই। লড়াই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির। কিন্তু একেবারেই যে ভিন্নতা নেই তা নয়, অন্য যেকোন নিবার্চনের ধরণ-ধারণকে হার মানাবে এবারের নিবার্চনী কৌশল। ১৬কোটি জনসংখ্যার ছোট্ট এই বাংলাদেশে আজ যা হচ্ছে পৃথিবীর কোথাও এমন নজির নেই।
নিবার্চনের অর্থ হচ্ছে-জন প্রতিনিধিদের, জনগণের জনমত দ্বারা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে জনগণের থাকবে মতের স্বাধীনতা। একইভাবে জন প্রতিনিধিদের থাকবে স্বাধীনভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে যাওয়া এবং জনগণকে জানান দেওয়া সে যদি নিবার্চিত প্রতিনিধি হিসেবে জয়লাভ করে তো জনগণের কল্যাণে কী কী কাজ করবে। জনগণ প্রতিনিধিদের মাঝ থেকে তখন নির্ধারণ করে নেবেন কাকে তার অঞ্চলের জন্য সে উত্তম মনে করে।
সাধারণ এই বিষয়গুলো সমস্ত বিশ্বে এক। কিন্তু এই সমস্ত বিশ্বের সাথে যায়না আমাদের দেশ বাংলাদেশ । এই দেশের নিয়ম-কানুন, কায়দা-ফায়দা সবকিছুই বড়ই আজব। অথচ দেশের সরকার অতিসম্প্রতি একটি প্রচলিত নিয়ম উঠিয়ে দেয় বিশ্বের নিয়ম-রীতির দোহাই দিয়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং একই সাথে আরেকটি নিয়মের যাত্রা করেন দেশের রাজধানীকে দুভাগে বিভক্ত করে দিয়ে। দেশটার কিছু আজবীয় ব্যাপার লক্ষ্য করুন-প্রথম নিয়মটি উঠিয়ে দেয়া হয় বিশ্বের সাথে তাল মেলানোর জন্য আর দ্বিতীয় নিয়মটি আনা হয় কিসের জন্য? ধরে নিলাম, দেশের জনগণের সুবিধার্থে। তাহলে প্রথম নিয়মটি কার সুবিধার্থে, যেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য সকল দলের বক্তব্য ছিল তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে। এখন সরকারে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট জনমতের প্রতিনিধিত্ব করেন। কোন সন্দেহ নেই যে সেই জনসংখ্যাটি বিশাল। তবে সমস্ত বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী তারা নয় এই ব্যাপারে তারাও একমত। তবে কেন তারা অন্য সকল দলের এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ দলের এই একক দাবীকে দাবিয়ে রেখে জনগণকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন । তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য পরিষ্কার । আর তা হল "যে কোন মূল্যেই তাদের ক্ষমতায় থাকা দরকার"। ক্ষমতার মোহাচ্ছনতায় আজ তাদের চোখ ধূলাচ্ছন্ন, কোটি বাঙালীর মনের গভীরে যে কি চাপা বেদনা, ক্ষমতা লোভীদের তা দেখার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, এই ক্ষমতার গদিতে লোভীদের কঙ্কাল পড়ে রইবে। ঘৃণার থুতুও তাদের কপালে জুটবেনা।
এই বিষয়টি আরো বেশি পরিষ্কার হয়ে ওঠে ২৮ তারিখের দুই বড় শহরের সিটি নিবাচর্নকে কেন্দ্র করে নিবার্চনী কৌশলের দ্বিমুখী নীতিতে। পৃথিবীর কোন দেশে নিবার্চনী প্রক্রিয়াকে এতটা কলুসিত করা হয়নি , এই দেশে যেভাবে করা হয়। নিবার্চনী প্রচার প্রচারণায় সরকার নির্ধারিত প্রতিনিধির জন্য এক নীতি এবং বিপক্ষ দলগুলোর প্রতিনিধিদের জন্য আরেক নীতি। সরকারি দল সম্পূর্ণ স্বাধীন তাদের নিবাচর্নী প্রতিনিধি নিধার্রণে, অপর দিকে বিরোধী দলকে রহস্যজনক মামলার জালে বন্দি করে রাখা হচ্ছে। নিবার্চনী মাঠে এককভাবে দৌঁড়-ঝাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে সরকার প্রতিনিধির অপর দিকে বিরোধী দল মাঠে নামলেই করা হচ্ছে গ্রেফতার নয় নির্যাতন। এরুপ অদ্ভুত পরিবেশের ভেতর দিয়ে যখন নিবার্চনী দিন এগিয়ে আসছে , তখন একজন সাধারণ জনগন হিসেবে আমি কেমন করে আশা করতে পারি যে , নিবার্চন স্বচ্ছ হবে!
বিষয়গুলো শুধু প্রচার নীতিতেই যদি সীমাবদ্ধ থাকত তাও কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকত নিবার্চনী প্রক্রিয়াটি। নীতিগত পার্থক্য তৈরীর পরও থাকছে প্রচার প্রচারণায় বিরোধী মতকে দমন-নিপীড়ন এবং অত্যাচারের স্টীমরোলার! বিরোধীদলীয় মতকে দমন করতে দেশীয় পুলিশ বাহিনী সরকারে নিজস্ব কর্মী-ছাত্রবাহিনী, কোন কিছুকেই বাদ রাখা হচ্ছেনা। বিরোধী মতকে চিরতরে নিঃশেষ করে দেয়ার এই কাজে এরা এতটাই উন্মাদরুপ ধারণ করেছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচিত তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গাড়ি বহরে তাদের কর্মী বাহিনী দিয়ে হামলা করাতেও দ্বিধা করছে না।
জানার কথা একটি দেশের প্রথম সারির একজন মানুষ বেগম খালেদা জিয়া। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গুলোতেও এইরুপ আমরা দেখিনা। যে দেশে এই মানুষ গুলোই আজ নিরাপত্তাহীন। সে দেশের সাধারণ মানুষগুলো কী পরিমাণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে। সরকার জানেন যে , বেগম খালেদা জিয়ার মত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিশ্ব মিডিয়ার চোখের আড়াল নয়। তা জেনেও আজ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে কোন কিছুই তোয়াজ করছেন না।
গুম, গুপ্ত হত্যা এই বিষয় গুলো এখন বড় উজ্জ্বল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ছিনতাই হচ্ছে জান-মাল দুটোই। পত্রিকার পাতাগুলো একটি দিন নিস্তার পাচ্ছে না এই সকল নিউজ থেকে। প্রতিদিন রাখতে হচ্ছে , অমুক ব্যাংক থেকে বের হয়েই ছিনতাইয়ের কবলে ব্যবসায়ী, ছুরি দিয়ে আহত করে লাখ টাকা ছিনতাই, টাকা রক্ষা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীর অকাল মৃত্যু! প্রতিদিনই ভেসে উঠছে বুড়িগঙ্গায় কিংবা তুরাগ তীরে লাশ। প্রতিদিন হারাচ্ছে অসহায়-অবলা মা-বোনেরা তাদের সতীত্ব! কতটা অসহায় আমরা, বাঙালীর প্রাণের মেলা বৈশাখীর উন্মুক্ত পরিবেশে দিন দুপুরে লুন্ঠিত হল আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রম! কতটা নিরুপায় আমরা ঢাকার প্রাণকেন্দ্র সদরঘাট এলাকায় দিন-দুপুরে কুপিয়ে কুপিয়ে কেড়ে নেওয়া হল বিশ্বজিৎ-এর প্রাণ। নিরাপদ নয় সাগর-রুনিরা নিজ ঘরেও। মিডিয়ার মাধ্যমে এই নিউজ গুলো জানা সবারই। কিন্তু প্রতিদিন ঘটে যাচ্ছে শত অজানা ঘটনা। যেখানে শুধুই থাকে দুখের আর চাপা কান্নার জল! কোথায় বাস করি আমরা।
তবুও নির্বাচন আসে, নির্বাচন যায়। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর এই বুঝি হয়ে এলো। পেয়েছি কী ১৬ কোটি বাঙালী বাঙলার কোন পিতা! তবু বলি স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই ,এখনও স্বপ্ন দেখি আমার সবুজ বাংলাদেশকে নিয়ে ,বাংলার সরল-সহজ মানুষগুলো নিয়ে , একদিন হয়ত উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে উঠে বসবে আমার সোনার বাংলাদেশ!
(প্রকাশিত মতামত একান্তই লেখকের নিজস্ব। শীর্ষ নিউজের সম্পাদকীয় নীতির অন্তর্ভুক্ত নয়।)
- See more at: http://www.sheershanewsbd.com/2015/04/23/78029#sthash.c3kJdULm.dpuf নিবার্চনের অর্থ হচ্ছে-জন প্রতিনিধিদের, জনগণের জনমত দ্বারা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে জনগণের থাকবে মতের স্বাধীনতা। একইভাবে জন প্রতিনিধিদের থাকবে স্বাধীনভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে যাওয়া এবং জনগণকে জানান দেওয়া সে যদি নিবার্চিত প্রতিনিধি হিসেবে জয়লাভ করে তো জনগণের কল্যাণে কী কী কাজ করবে। জনগণ প্রতিনিধিদের মাঝ থেকে তখন নির্ধারণ করে নেবেন কাকে তার অঞ্চলের জন্য সে উত্তম মনে করে।
সাধারণ এই বিষয়গুলো সমস্ত বিশ্বে এক। কিন্তু এই সমস্ত বিশ্বের সাথে যায়না আমাদের দেশ বাংলাদেশ । এই দেশের নিয়ম-কানুন, কায়দা-ফায়দা সবকিছুই বড়ই আজব। অথচ দেশের সরকার অতিসম্প্রতি একটি প্রচলিত নিয়ম উঠিয়ে দেয় বিশ্বের নিয়ম-রীতির দোহাই দিয়ে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং একই সাথে আরেকটি নিয়মের যাত্রা করেন দেশের রাজধানীকে দুভাগে বিভক্ত করে দিয়ে। দেশটার কিছু আজবীয় ব্যাপার লক্ষ্য করুন-প্রথম নিয়মটি উঠিয়ে দেয়া হয় বিশ্বের সাথে তাল মেলানোর জন্য আর দ্বিতীয় নিয়মটি আনা হয় কিসের জন্য? ধরে নিলাম, দেশের জনগণের সুবিধার্থে। তাহলে প্রথম নিয়মটি কার সুবিধার্থে, যেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য সকল দলের বক্তব্য ছিল তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে। এখন সরকারে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট জনমতের প্রতিনিধিত্ব করেন। কোন সন্দেহ নেই যে সেই জনসংখ্যাটি বিশাল। তবে সমস্ত বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী তারা নয় এই ব্যাপারে তারাও একমত। তবে কেন তারা অন্য সকল দলের এবং বাংলাদেশের অধিকাংশ দলের এই একক দাবীকে দাবিয়ে রেখে জনগণকে নিয়ে মিথ্যাচার করছেন । তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য পরিষ্কার । আর তা হল "যে কোন মূল্যেই তাদের ক্ষমতায় থাকা দরকার"। ক্ষমতার মোহাচ্ছনতায় আজ তাদের চোখ ধূলাচ্ছন্ন, কোটি বাঙালীর মনের গভীরে যে কি চাপা বেদনা, ক্ষমতা লোভীদের তা দেখার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, এই ক্ষমতার গদিতে লোভীদের কঙ্কাল পড়ে রইবে। ঘৃণার থুতুও তাদের কপালে জুটবেনা।
এই বিষয়টি আরো বেশি পরিষ্কার হয়ে ওঠে ২৮ তারিখের দুই বড় শহরের সিটি নিবাচর্নকে কেন্দ্র করে নিবার্চনী কৌশলের দ্বিমুখী নীতিতে। পৃথিবীর কোন দেশে নিবার্চনী প্রক্রিয়াকে এতটা কলুসিত করা হয়নি , এই দেশে যেভাবে করা হয়। নিবার্চনী প্রচার প্রচারণায় সরকার নির্ধারিত প্রতিনিধির জন্য এক নীতি এবং বিপক্ষ দলগুলোর প্রতিনিধিদের জন্য আরেক নীতি। সরকারি দল সম্পূর্ণ স্বাধীন তাদের নিবাচর্নী প্রতিনিধি নিধার্রণে, অপর দিকে বিরোধী দলকে রহস্যজনক মামলার জালে বন্দি করে রাখা হচ্ছে। নিবার্চনী মাঠে এককভাবে দৌঁড়-ঝাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে সরকার প্রতিনিধির অপর দিকে বিরোধী দল মাঠে নামলেই করা হচ্ছে গ্রেফতার নয় নির্যাতন। এরুপ অদ্ভুত পরিবেশের ভেতর দিয়ে যখন নিবার্চনী দিন এগিয়ে আসছে , তখন একজন সাধারণ জনগন হিসেবে আমি কেমন করে আশা করতে পারি যে , নিবার্চন স্বচ্ছ হবে!
বিষয়গুলো শুধু প্রচার নীতিতেই যদি সীমাবদ্ধ থাকত তাও কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকত নিবার্চনী প্রক্রিয়াটি। নীতিগত পার্থক্য তৈরীর পরও থাকছে প্রচার প্রচারণায় বিরোধী মতকে দমন-নিপীড়ন এবং অত্যাচারের স্টীমরোলার! বিরোধীদলীয় মতকে দমন করতে দেশীয় পুলিশ বাহিনী সরকারে নিজস্ব কর্মী-ছাত্রবাহিনী, কোন কিছুকেই বাদ রাখা হচ্ছেনা। বিরোধী মতকে চিরতরে নিঃশেষ করে দেয়ার এই কাজে এরা এতটাই উন্মাদরুপ ধারণ করেছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচিত তিনবারের প্রধানমন্ত্রী গাড়ি বহরে তাদের কর্মী বাহিনী দিয়ে হামলা করাতেও দ্বিধা করছে না।
জানার কথা একটি দেশের প্রথম সারির একজন মানুষ বেগম খালেদা জিয়া। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গুলোতেও এইরুপ আমরা দেখিনা। যে দেশে এই মানুষ গুলোই আজ নিরাপত্তাহীন। সে দেশের সাধারণ মানুষগুলো কী পরিমাণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে। সরকার জানেন যে , বেগম খালেদা জিয়ার মত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিশ্ব মিডিয়ার চোখের আড়াল নয়। তা জেনেও আজ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে কোন কিছুই তোয়াজ করছেন না।
গুম, গুপ্ত হত্যা এই বিষয় গুলো এখন বড় উজ্জ্বল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ছিনতাই হচ্ছে জান-মাল দুটোই। পত্রিকার পাতাগুলো একটি দিন নিস্তার পাচ্ছে না এই সকল নিউজ থেকে। প্রতিদিন রাখতে হচ্ছে , অমুক ব্যাংক থেকে বের হয়েই ছিনতাইয়ের কবলে ব্যবসায়ী, ছুরি দিয়ে আহত করে লাখ টাকা ছিনতাই, টাকা রক্ষা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীর অকাল মৃত্যু! প্রতিদিনই ভেসে উঠছে বুড়িগঙ্গায় কিংবা তুরাগ তীরে লাশ। প্রতিদিন হারাচ্ছে অসহায়-অবলা মা-বোনেরা তাদের সতীত্ব! কতটা অসহায় আমরা, বাঙালীর প্রাণের মেলা বৈশাখীর উন্মুক্ত পরিবেশে দিন দুপুরে লুন্ঠিত হল আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রম! কতটা নিরুপায় আমরা ঢাকার প্রাণকেন্দ্র সদরঘাট এলাকায় দিন-দুপুরে কুপিয়ে কুপিয়ে কেড়ে নেওয়া হল বিশ্বজিৎ-এর প্রাণ। নিরাপদ নয় সাগর-রুনিরা নিজ ঘরেও। মিডিয়ার মাধ্যমে এই নিউজ গুলো জানা সবারই। কিন্তু প্রতিদিন ঘটে যাচ্ছে শত অজানা ঘটনা। যেখানে শুধুই থাকে দুখের আর চাপা কান্নার জল! কোথায় বাস করি আমরা।
তবুও নির্বাচন আসে, নির্বাচন যায়। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর এই বুঝি হয়ে এলো। পেয়েছি কী ১৬ কোটি বাঙালী বাঙলার কোন পিতা! তবু বলি স্বপ্ন দেখতে তো দোষ নেই ,এখনও স্বপ্ন দেখি আমার সবুজ বাংলাদেশকে নিয়ে ,বাংলার সরল-সহজ মানুষগুলো নিয়ে , একদিন হয়ত উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে উঠে বসবে আমার সোনার বাংলাদেশ!
(প্রকাশিত মতামত একান্তই লেখকের নিজস্ব। শীর্ষ নিউজের সম্পাদকীয় নীতির অন্তর্ভুক্ত নয়।)
__._,_.___