Banner Advertise

Monday, September 2, 2013

[chottala.com] ইসরায়েল-সৌদি মৈত্রী!



ইসরায়েল-সৌদি মৈত্রী!

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ১০:১৩, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৩
      

মধ্যপ্রাচ্যের দুই রাষ্ট্র ইসরায়েল ও সৌদি আরব পরস্পরের প্রতি খুব বেশি বন্ধুভাবাপন্ন ছিল না। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, অভিন্ন স্বার্থ প্রবল শত্রুকেও জান-ই-দোস্তে পরিণত করে। ইতিহাসের এক অনিবার্য পরিণতিতে তাই ইসরায়েল ও সৌদি আরব এখন মৈত্রী গড়ার দ্বারপ্রান্তে।

ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল ও মুসলিম রাষ্ট্র সৌদি আরবের এই এক কাতারে এসে দাঁড়ানোর পেছনে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখছে সিরিয়ার রাজনৈতিক গোলযোগ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরিয়ায় হামলা নিয়ে অনেক উচ্চবাচ্য করলেও আফগানিস্তান-ইরাকের অভিজ্ঞতা যুদ্ধপ্রিয় মার্কিন জেনারেলদের চকিত সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রেখেছে। সিরিয়ায় হামলা চালালে তা মার্কিন স্বার্থের পক্ষে যাবে কি না, এ নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে পার্লামেন্টের শরণাপন্ন হয়েছেন ওবামা। তাঁর এ সিদ্ধান্ত যে যথেষ্ট বিবেচনাপূর্ণ ও প্রেসিডেন্ট-সুলভ, তা নিয়ে তর্ক নেই কোনো মহলের। তবে যদি তিনি কংগ্রেসের সম্মতি না পান এবং ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আঘাতে সিরিয়াকে তুলাধুনা করতে না পারেন, তবে আর কেউ না হোক ইসরায়েল ও সৌদি আরব যারপরনাই নাখোশ হবে। এ নিয়েও পণ্ডিতমহলে কোনো বিতর্ক নেই।

এ রাষ্ট্র দুটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত ও ঘনিষ্ঠ মিত্র। এদের মতামতের এক ধরনের গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবশ্যই আছে। গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্র যখনই কোনো রাষ্ট্রের ওপরে হামলে পড়েছে, তখনি আর কেউ না হোক এ রাষ্ট্র দুটি বগল বাজিয়েছে। এর পেছনে ইসরায়েলের অস্ত্র বাণিজ্যের প্রসার আর সৌদি বাদশাহদের তখত জারি রাখার অভিপ্রায় শরতের আকাশের মতোই পরিষ্কার। কিন্তু এবার তাদের উদ্দেশ্য একই বিন্দুতে এসে লুটোপুটি খেতে চলেছে। সিরিয়ায় মার্কিন হামলা দেখে বিষম মজা পেতে দেশ দুটির সরকারেরা যেন তালি বাজাতে দুই হাত তুলে রেখেছে।

ইসরায়েল ও সৌদি আরব উভয়ই হোয়াইট হাউসের যুদ্ধংদেহী ভাব দেখে সিটি মারছে, তবে এক চোখ রেখেছে সিরিয়ার দিকে, আরেক চোখ চিরশত্রু ইরানের দিকে। তারা যেন আধুনিক যুগের গ্রিক দেবতা মার্শকে ডেকে বলছে, সিরিয়ায় কিছু বল্লম ছুড়ুন, কিছু ছুটে যাক ইরানের দিকে!

রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়াকে আক্রমণ করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আপাতত পিছিয়ে যাওয়ায় ইসরায়েল যে প্রতিক্রিয়া দেখাল, তাতে উদ্দেশ্য অনেক খোলাসা হয়ে গেছে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলছেন, ওবামা যে সমীহের দৃষ্টিতে দামেস্কের দিকে তাকালেন, তাতে তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির তাকত বহুগুণ বেড়ে যাবে। কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন যদি দ্বিধান্বিত হয়, তবে তেল আবিব একাই তেহরানে হামলা চালাবে।

তবে ইসরায়েল বা সৌদি আরব কেউই খোলাখুলিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাদের রোষ প্রকাশ করছে না। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু গত রোববার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তাঁর রাষ্ট্র 'অবিচল ও আত্মনির্ভর'। সৌদি আরব রাগ পুষে পুরোনো কীর্তন গেয়েছে, সিরিয়ায় আসাদের 'বর্বরতা' ঠেকাতে 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে' উদ্যোগ নিতে হবে।

রয়টার্স বলছে, সৌদি আরব ইসরায়েলের মতো ইরান আক্রমণের জন্য সামরিক দিক দিয়ে প্রস্তুত নয়, তবে এখনো তার চিরশত্রুকে বিলুপ্ত করে দিতে ওয়াশিংটনের ওপরে ভরসা রাখতে চায়। সৌদি আরবের ভয়, ইরানের এসব বাড়াবাড়ি যদি চলতেই থাকে, তবে অচিরেই আরব দুনিয়ায় সৌদিদের মাতব্বরি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আগাছা ছোট থাকতেই সেটিকে ছেটে দেওয়া ভালো।

গত বছর ওবামা ওয়াদা করেছিলেন, তিনি সব সময় ইসরায়েলিদের সঙ্গে থাকবেন। এখন নেতানিয়াহুই মার্কিনিদের আশ্বস্ত করছেন, তিনি তাদের সাহায্য ছাড়াই ইরানকে মিসমার করে দিতে সক্ষম।

'ইসরায়েল মুর্দাবাদ' ধুয়ো দেওয়া ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর অভিযোগ ইসরায়েল যেমন করছে, সৌদি আরবও তার সঙ্গে তাল দিতে ভুলছে না। ফলে ইরান যতই অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে চাক, ইসরায়েলি-সৌদি প্রশাসনের তাতে কোনো ক্ষান্তি নেই।

ঝানু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলছেন, 'ইসরায়েলের জনতা ভালো করেই জানে, যেকোনো সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত।...আর ইসরায়েলের জনতার আরও জেনে রাখা উচিত যে, আমাদের শত্রুরা আমাদের ক্ষমতা ও শক্তির স্বাদ পরখ করতে চায় না।'

ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বন্দ্ব ঐতিহাসিক। আরব-পারস্যের হাজার বছরের সংঘাত কেবল ভৌগোলিক বা অর্থনৈতিক নয়, তা অবশ্যই সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে। শিয়া ইরানকে শায়েস্তা করার সুন্নি সৌদি আরবের ইচ্ছা বহু পুরোনো। এ নিয়ে সৌদি রাজাদের খুব বেশি কথা বলতে দেখা যায় না, তবে নীরবে কাজ করার উদাহরণ কম নয়।

আল-আসাদ শিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন, তাই সুন্নি সৌদি আরব তার প্রতিবেশী বাহরাইন, ইয়েমেন ও ইরাককে সঙ্গে নিয়ে জোট পাকাতে চাইছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হয়ে যাওয়া নথিপত্র থেকে জানা গেছে, সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে বারবার অনুরোধ করেছে। একটি নথিতে সৌদি কূটনীতিক বাদশাহর দোহাই দিয়ে ওয়াশিংটনকে অনুরোধ করেছেন, 'সাপের মাথা কেটে ফেলতে।' তিনি কার্যত ইরানের পারমাণবিক শক্তি অর্জনকে ইঙ্গিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিধান্বিত পদক্ষেপের জবাবে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত রোববার কায়রোতে আরব লিগের বৈঠকে বলেছেন, 'শুধু কথা বাড়ালেই কাজ হবে না।' তিনি তাঁর ক্ষোভ ঢেকে রাখতে পারেননি।

ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মানসিক সন্ধির আরও এক কারণ হলো আল-কায়েদা। এ উগ্রপন্থী দলটি ইহুদি রাষ্ট্রকে যেমন দুনিয়া থেকে মুছে ফেলতে চায়, তেমনি সৌদি রাজতন্ত্রকেও উত্খাত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই আল-কায়েদাকে খুব বেশি বাড়তে দিতে চায় না দুই রাষ্ট্রই।

সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে আল-কায়েদার অনুসারী আল-নুসরা। এ জোটটি এখনো শক্তিশালী নয়। যদি আসাদবিরোধী লড়াই দীর্ঘায়িত হয়, তবে অন্যান্য শক্তির চেয়ে নুসরা বেশি শক্তিশালী হয়ে যেতে পারে এবং কোনো এক সময় সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করতে পারে। তাই ইসরায়েল ও সৌদি আরব চাইছে, যুক্তরাষ্ট্র বিলম্ব না করে আসাদকে উত্খাত করুক এবং এমন এক সরকারকে সেখানে বসাক যে আল নুসরার ঘাড় মটকাতে পারবে।

মিসরের সাম্প্রতিক ঘটনাও দেশ দুটির জন্য ভয়ের। মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মুরসি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শিয়া তেহরানের সঙ্গে সুন্নি কায়রোর সখ্য দেখা গেছে। এতে ইসরায়েল যেমন ভয় পেয়েছে, সৌদি আরবও সুন্নি ভাইদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি। তাই ইসলামপন্থী সরকারকে কেউই দেখতে চাইছে না।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কারণেই হয়তো ইসরায়েল ও সৌদি আরব এখনই প্রকাশ্যে সন্ধি করতে পারবে না। তবে পরস্পরের প্রচ্ছন্ন মৈত্রী ক্রমে প্রকটিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ধূম্রজাল থেকে। হয়তো এক সময় জগত্ দেখবে, মধ্যপ্রাচ্যের পরম বন্ধু দুই রাষ্ট্র ইসরায়েল ও সৌদি আরব।

http://www.prothom-alo.com/international/article/44286/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%B2_%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF_%E0%A6%AE%E0%A7%88%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80


Also read:

মিসরীয় সেনাবাহিনীকে সউদী বাদশাহর সমর্থন

http://www.bdtodaynews.com/%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%89%E0%A6%A6/


  1. মিসরীয় সেনাবাহিনীকে সউদী বাদশাহর সমর্থন | bdtodaynews.com

    www.bdtodaynews.com/মিসরীয়-সেনাবাহিনীকে-সউদ/
    সুত্র: কায়রোয় বুধবারের গণহত্যার পক্ষে সাফাই গেয়ে মিসরীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়েছেন সউদী বাদশাহ আবদুল্লাহ। কায়রোয় মিসরীয় সেনাবাহিনীর ওই নির্মম অভিযানে সরকারীভাবে সাড়ে ছয় শ' মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা স্বীকারের পর সারা বিশ্ব যখন নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে, তখন ব্রাদারহুডকে প্রতিহত করতে আরব দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ...

Saudi Arabia: Dancing to Israel's tune

Apr-14-2012 16:05
Kourosh Ziabari Salem-News.com

http://www.salem-news.com/articles/april142012/saudi-israel-iran-kz.php





__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [chottala.com] বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা ......



Mr. Mohammad Jubair

    You are wrong. Please do some homework before making some arbitary comments without
knowing the actual history: See the tables below:



 You bet!!!!!!! Jamat was the 2nd majority at 70's election with 6% and 3% of the the total votes cast
in the national and provincial assembly respectively.
Interestingly enough, "How did you forgot about Muslim League, Nazam- e-Islam, PDP..."
in their actual performance in 1970 national and provincial elections ....!!!!!!
 
Syed Aslam
PS: ধর্ম ব্যবসায়ী বকধার্মিকরা অধর্মের কাজ করে আমাদের শোনায় ধর্মের বাণী। আমরা ধর্মবিরোধী নই। মুসলমান হিসেবে আমরা সবাই আল্লাহর একাত্দবাদে বিশ্বাসী। ফরজ নামাজ আদায় করি প্রতিদিন পাঁচবার। তবে আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতির করার বিরোধী। ধর্মকে ব্যবহার করে ব্যবসা করার বিরোধী। আজ রাজাকার-আলবদর- আলশামস ও তাদের প্রতিভূরা নিরীহ শান্ত বাঙালিদের ধর্মীয় কুসংস্কারের ক্যাপসুল খাইয়ে উন্মত্ত করে তুলতে চাচ্ছে। উন্মত্ততা থেকে আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। আমরা চাই একটি সুখী-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ। আমরা চাই একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে ফাঁসি চাই। আমরা চাই রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ। [  মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু     ]
Also read:
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই
মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু



-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
From:Mohammed Jubair <mohammedjubair@hotmail.com> via yahoogroups.com 
to:  chottala@yahoogroups.com
date: Mon, Sep 2, 2013 at 8:36 AM
subject: RE: [chottala.com] বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা

Mr. Aslam
    You are wrong. 
    Jamat was not 2nd majority at 70's election , not even close to  any minor party... 
    How did you forgot about Muslim League, Nazam- e-Islam, PDP...
 
    Jashod was not make up of Jamat and its supporters. LOL
 
Mr. Aslam 
 
Go to Indian  border(only border with Bangladesh)  they will shoot at you at  like a Spiro or simply call you a Goro chur.
Come to Bangladesh, we will welcome you as Bangladeshi  only if you respect the religion of majority along with religion of minority.   
 
 From: Syed.Aslam3@gmail.com
To: chottala@yahoogroups.com
Date: Sat, 31 Aug 2013 01:52:18 -0400
Subject: [chottala.com] বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা - See more at: http://www.khabor.com/?p=7803#sthash.VimcbUb9.dpuf

মহিবুল ইজদানী খান : ৭০ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্টতা পেলেও তত্কালীন পূর্ব পাকিস্থানের প্রায় প্রতিটি আসনে জামায়তে ইসলামের অবস্থান ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয়। পরবর্তীতে জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানের পক্ষে অবস্থান নেয়। তারা পাকিস্থানকে টিকিয়ে রাখার জন্য সৃষ্টি করে রাজাকার, আলবদর, আলসামসসহ বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী। এসকল বাঙালী বাহিনী  পাকিস্থানীদের সাথে হাত মিলিয়ে হত্যা করে লক্ষ্য লক্ষ্য বাঙালীকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এরাই আবার আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নুতন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জাসদের ছত্র ছায়ায় এসে আস্থানা গাড়ে এবং নানা ধরনের ধংসাত্মক কাজে সক্রিয় হয়। কারণ এইসময় তাদের আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি স্তম্বের প্রয়োজন ছিল। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একশতভাগ বাঙালী ঝাপিয়ে পড়েনি। জামায়াত ও মুসলিম লীগসহ ইসলামপন্থী দলগুলো পাকিস্থানকে টিকিয়ে রাখার জন্য বাঙালীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলো।

08302013_005_DABLU_NURU

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জামায়াতে ইসলাম হটাত করেই আবার  সক্রিয় হয়ে উঠে। কারণ এইসময় ক্ষমতায় এসে প্রথমে খন্দকার মোস্তাক তারপর জেনারেল জিয়াউর রহমান ও সবশেষে জেনারেল হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ পাকিস্থানী কায়দায় বাংলাদেশে রাজনীতির নুতন সূত্রপাত করেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে দুরে সরে এসে ধর্মীয় রাজনীতিকে তারা জনগনের মাঝে প্রচারের মধ্য দিয়ে এক মিথ্যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা শুরু করেন। জাতিকে এই ভুল পথে পরিচালনার জন্য দায়ী জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ, রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি।

জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াত ও মুসলিম লীগ নেতাদের নিজ নিজ স্বার্থে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। ৭০ নির্বাচন ও পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা একদিন পাকিস্থানকে রক্ষার্থে বাঙালীদের বিপক্ষে অবস্থান করেছিল তারা এই দুই জেনারেলের সহযোগিতায় আবার রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ করে নেয়। এরা কখনো বাংলাদেশ চায়নি অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে খালেদা জিয়া এদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে যদি কোনদিন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার সুযোগ পান তাহলে যুদ্ধপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে এসকল রাজাকারদের মুক্ত করে মন্ত্রিত্বের আসনে আবারও হয়তো বসাবেন। ৭০ নির্বাচনে যে জামায়াতে ইসলামীর ভোটের সংখা ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে এখন এরাই বিএনপিকে স্তম্ব করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে এক কাতারে এসে দাড়িয়েছে।

পচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে যাদের জন্ম তাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার কথা নয়। কারণ সামরিক ছাউনী থেকে প্রতিষ্ঠিত নুতন রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ সুবিধাবাদী বামপন্থী রাজনীতিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী আমলা ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়াতে এরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে বিকৃত করে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ক্ষমতায় এসে সাথে সাথে স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতায় আঘাত করে। স্বাধীনতার ইতিহাসকে নিয়ে নানা মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। এইসময় তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়েও নানা কাল্পনিক গল্প প্রচার করে যার কোনো বাস্তবতা ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ এসকল স্বাধীনতার শত্রুদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। তারা নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বিভক্ত করেছেন, মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগনকে বিভ্রান্ত করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামকে প্রশ্নাতীত করেছেন। এদের এই মিথ্যা অপপ্রচার কখনো থেমে থাকেনি বরং নুতন নুতন মিথ্যাচারীরা এসে এই কাতারে সামিল হয়েছে। এমনকি কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধাও নিজেদের স্বার্থে এসকল অপপ্রচারে এসে সামিল হয়েছেন। এরা এখন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের আদর্শের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে।

এদের মধ্যে একজন হলেন মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে বর্তমানে মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি সোচ্চার টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকী। কাদের সিদ্দিকিকে নিয়ে এর আগেও আমি লিখেছি। কারণ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে অনেক কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তত্কালীন সভাপতি, ৭১ মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নুরুল ইসলাম নুরু ভাইয়ের মাধ্যমে আমার পরিচয় হয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে। একসময়ে বঙ্গবন্ধুর স্নেহের পুত্র বলে দাবিদার টাঙ্গাইলের বাকশাল গভর্নর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছ থেকে নুরু ভাই সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার সেই প্রশ্নের  উত্তর না দিয়ে মিডিয়ায় বিভিন্ন লেখায় একের পর এক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।   কাদের সিদ্দিকীর কাছ থেকে এধরনের অশালীন ও আক্রমানত্মক বক্তব্য কখনই আশা করা যায়  না। তিনি নাকি আবার নিজেকে বঙ্গবন্ধুর স্নেহের পুত্র হিসেবেও দাবি করেন।

একসময়ের সক্রিয় আওয়ামী লীগার মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান ও সুর পাল্টানোর কারণ হলো তিনি আজ আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত। টাঙ্গাইলের জাতীয় সংসদের পদও তিনি হারিছেন। টাঙ্গাইলের মানুষ এখনো ভুলেনি দেশ স্বাধীনতার পর সেখানকার ভয়ংকর কার্যকলাপের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু সরকারের দেওয়া মোহাম্মদপুর বাবর রোডের এক দ্বিতল অট্টালিকায় বসবাস করলেও টাঙ্গাইলের রাজনীতি নিয়ে কাদের সিদ্দিকী মাথা ঘামাতেন একটু বেশি। একসময়ের টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কাদের সিদ্দিকিকে হারিয়ে জয়লাভ হওয়া আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত মোমিন শাহজাহান ভাই এবেপারে নিশ্চই আরো ভালো জানবেন। কাদের সিদ্দিকীর মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ও তার অতীত নিয়ে এইমুহুর্তে শাহজাহান ভাইয়ের এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ শাজাহান ভাই ভালো করেই জানেন স্বাধীনতার পরবর্তীতে ঐসময় টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কি কি ঘটনা ঘটেছিল।

বাংলাদেশের সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি রাজাকারদের মতো হটাত করে মিথ্যা ইতিহাস প্রচারে মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর এই অবস্থানের পেছনে নিশ্চই কোনো স্বার্থ লুকিয়ে আছে। কর্নেল অলি একসময় বলেছিলেন বিএনপি রাজাকারদের সাথে ও পরিবারতন্ত্রের মুল্য দেওয়াতে তার দল এল ডি পি হবে বিএনপির ত্রাস। অথচ আজ তিনি সবকিছু পাল্টিয়ে ক্ষমতা পাওয়ার আশায় আবার সেই বিএনপির কোলে এসে বসেছেন। ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগের আমলে কাদের সিদ্দিকীর ঠিকাদারী বানিজ্যে ঘাটতি ধরাতে ও দল  থেকে বিতাড়িত হওয়ার কারণে জেনারেল জিয়াকে  মুক্তিযুদ্ধের হিরো বানিয়ে রাজাকারদের পাশে বসে হয়তো তিনি ভবিষ্যতে কিছু পাওয়া কিংবা কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তা না হলে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল দাবি করে কখনো জেনারেল জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক ও রাজাকারদের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করবেন কেন? কেনই বা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধর্ম নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে নিজেকে সোচ্চার করবেন? সত্যি ইতিহাস কি অদ্ভুত।

জামায়াত ও রাজাকার ও বিএনপির সাথে সুর মিলিয়ে একসময়ের মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর সর্বশেষ মিথ্যাচার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে নাকি গান বাজবে। বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ৯১ পরবর্তীতে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে গিয়ে বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে মসজিদে উলোধনী শুরু হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে দুবার, কিন্তু এখন পর্যন্ত মসজিদে উলোধনী হতে আমরা দেখিনি। বিএনপি নেত্রীর সাথে সুর মিলিয়ে আজ কাদের সিদ্দিকী ধর্ম ভিরু বাঙালী জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। বলছেন আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় গেলে মসজিদে নাকি আজানের পরিবর্তে বাজবে গান। কি জঘন্য মিথ্যাচার! ঠিক একইভাবে সাবেক আমলা ও মন্ত্রী বিএনপি নেতা এম কে আনওয়ারও সেদিন বললেন আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় গেলে মসজিদের আজান না কি বন্ধ হয়ে যাবে? মিথ্যাচারের সকল সীমানা তারা অতিক্রম করেছেন বলতে হয়।

সম্প্রতি পচাত্তরের পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য পাহাড়ের যুদ্ধ নিয়ে বেশ কয়েকজন যোদ্ধার নাম তুলে ধরেছেন কাদের সিদ্দিকী। বন্ধু নসুর নাম লিখতে ভুলে গিয়ে তার সম্পর্কে পরবর্তীতে লিখেছেন বয়স হওয়ার জন্য নাকি তার নাম উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন। নসু আমার বন্ধু। একসময় সুইডেন বেড়াতে এসে আমার বাসায়ও এসেছিল। নশুকে আমি চিনি সেই বাহাত্তর থেকেই। সুইডেনে এসে পাহাড়ের যুদ্ধের অনেক কথায় আমার সাথে আলাপ করেছে নসু। এখানে কাদের সিদ্দিকীর কাছে আমার প্রশ্ন নশুকে নিয়ে নয়। সেদিনের সেই পাহাড়ের যুদ্ধের আরো অনেক বড় বড় প্রধান বেক্তির নাম আপনি গোপন করে গেলেন কেন? তার পেছনে নিশ্চই কোনো কারণ আছে? নাকি এটাও বয়সেরই দোষ? আপনার কি মনে নেই আব্দুস সামাদ পিন্টু, আব্দুর রউফ শিকদার, মোহাম্মদ ইউনুস, মোবারক হোসেন সেলিমের কথা? সৈয়দ নুরুল  ইসলামের নামটাই বা কেন অতো ছোটো করে লিখলেন? যতটুকু জানি পাহাড়ের যুদ্ধে সৈয়দ নুরুল ইসলামের স্থান ছিল আপনার পরেই। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা সম্পর্কে কিছুই লিখলেন না? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কিছু? শ্রদ্ধেও কাদের সিদ্দিকী সার, একটা কথা আজ আমার খুব বেশি করে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, ১৫ আগস্টের পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য গড়ে উঠা পাহাড়ের যুদ্ধে কামাল ভাইয়ের একনিষ্ট সহচর ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি, এমনকি আপনারও অত্যন্ত প্রিয় ও স্নেহের মানুষ বলে পরিচিত সৈয়দ নুরুল ইসলামকে কে, কারা এবং কেন হত্যা করা হয়েছিল সেদিন? বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর পুত্র বলে দাবিদার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছে এই উত্তরটুকু পাওয়ার আশা কি আমি করতে পারি না`?

সবশেষে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, পাহাড়ের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার পরও কি আপনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকিকে সঠিকভাবে চিনতে পারলেন না? সেদিনের পাহাড়ের যুদ্ধ হটাত করে মাঝ পথে এসে কেন থেমে গেল সে কারণ আমার চেয়ে আপনার ভালো করেই জানা আছে। আজ আপনি যে পথে হাটতে চলেছেন সে পথ আপনার পথ নয়। কাদের সিদ্দিকী, ডক্টর কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না ও হটাত করে রাজনীতির স্বপ্ন দেখা ডক্টর ইউনুসের পথ আপনার জন্য নয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই দুই রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য কোনো জোটকে জনগণ কখনো গ্রহণ করবে কি না সন্দেহ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বকে সামনে রেখেই চলবে বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনীতি। এই বাস্তবতাকে আমাদের মানতেই হবে।

লেখক: মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু, জুরি সদস্য স্টকহলম ইমিগ্রেশন কোর্ট ও স্টকহলম হাই কোর্ট

- See more at: http://www.khabor.com/?p=7803#sthash.VimcbUb9.dpuf






__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

RE: [chottala.com] বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা



Mr. Aslam
    You are wrong. 
    Jamat was not 2nd majority at 70's election , not even close to  any minor party...
    How did you forgot about Muslim League, Nazam- e-Islam, PDP...
 
    Jashod was not make up of Jamat and its supporters. LOL
 
Mr. Aslam
 
Go to Indian  border(only border with Bangladesh)  they will shoot at you at  like a Spiro or simply call you a Goro chur.
Come to Bangladesh, we will welcome you as Bangladeshi  only if you respect the religion of majority along with religion of minority.   
 

From: Syed.Aslam3@gmail.com
To: chottala@yahoogroups.com
Date: Sat, 31 Aug 2013 01:52:18 -0400
Subject: [chottala.com] বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা

 
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অপপ্রচার ও সৈয়দ নুরুল ইসলাম হত্যা - See more at: http://www.khabor.com/?p=7803#sthash.VimcbUb9.dpuf

মহিবুল ইজদানী খান : ৭০ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্টতা পেলেও তত্কালীন পূর্ব পাকিস্থানের প্রায় প্রতিটি আসনে জামায়তে ইসলামের অবস্থান ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয়। পরবর্তীতে জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানের পক্ষে অবস্থান নেয়। তারা পাকিস্থানকে টিকিয়ে রাখার জন্য সৃষ্টি করে রাজাকার, আলবদর, আলসামসসহ বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনী। এসকল বাঙালী বাহিনী  পাকিস্থানীদের সাথে হাত মিলিয়ে হত্যা করে লক্ষ্য লক্ষ্য বাঙালীকে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এরাই আবার আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নুতন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল জাসদের ছত্র ছায়ায় এসে আস্থানা গাড়ে এবং নানা ধরনের ধংসাত্মক কাজে সক্রিয় হয়। কারণ এইসময় তাদের আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি স্তম্বের প্রয়োজন ছিল। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একশতভাগ বাঙালী ঝাপিয়ে পড়েনি। জামায়াত ও মুসলিম লীগসহ ইসলামপন্থী দলগুলো পাকিস্থানকে টিকিয়ে রাখার জন্য বাঙালীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলো।

08302013_005_DABLU_NURU

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জামায়াতে ইসলাম হটাত করেই আবার  সক্রিয় হয়ে উঠে। কারণ এইসময় ক্ষমতায় এসে প্রথমে খন্দকার মোস্তাক তারপর জেনারেল জিয়াউর রহমান ও সবশেষে জেনারেল হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ পাকিস্থানী কায়দায় বাংলাদেশে রাজনীতির নুতন সূত্রপাত করেন। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে দুরে সরে এসে ধর্মীয় রাজনীতিকে তারা জনগনের মাঝে প্রচারের মধ্য দিয়ে এক মিথ্যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখা শুরু করেন। জাতিকে এই ভুল পথে পরিচালনার জন্য দায়ী জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ, রাজাকার ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি।

জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াত ও মুসলিম লীগ নেতাদের নিজ নিজ স্বার্থে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। ৭০ নির্বাচন ও পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা একদিন পাকিস্থানকে রক্ষার্থে বাঙালীদের বিপক্ষে অবস্থান করেছিল তারা এই দুই জেনারেলের সহযোগিতায় আবার রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় হওয়ার সুযোগ করে নেয়। এরা কখনো বাংলাদেশ চায়নি অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে খালেদা জিয়া এদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। ভবিষ্যতে যদি কোনদিন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার সুযোগ পান তাহলে যুদ্ধপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে এসকল রাজাকারদের মুক্ত করে মন্ত্রিত্বের আসনে আবারও হয়তো বসাবেন। ৭০ নির্বাচনে যে জামায়াতে ইসলামীর ভোটের সংখা ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে এখন এরাই বিএনপিকে স্তম্ব করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে এক কাতারে এসে দাড়িয়েছে।

পচাত্তরের ১৫ আগস্টের পরে যাদের জন্ম তাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার কথা নয়। কারণ সামরিক ছাউনী থেকে প্রতিষ্ঠিত নুতন রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ সুবিধাবাদী বামপন্থী রাজনীতিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী আমলা ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়াতে এরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে বিকৃত করে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ক্ষমতায় এসে সাথে সাথে স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতায় আঘাত করে। স্বাধীনতার ইতিহাসকে নিয়ে নানা মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। এইসময় তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নিয়েও নানা কাল্পনিক গল্প প্রচার করে যার কোনো বাস্তবতা ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জেনারেল জিয়া ও জেনারেল এরশাদ এসকল স্বাধীনতার শত্রুদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। তারা নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে বিভক্ত করেছেন, মিথ্যা অপপ্রচারের মাধ্যমে জনগনকে বিভ্রান্ত করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামকে প্রশ্নাতীত করেছেন। এদের এই মিথ্যা অপপ্রচার কখনো থেমে থাকেনি বরং নুতন নুতন মিথ্যাচারীরা এসে এই কাতারে সামিল হয়েছে। এমনকি কিছু কিছু মুক্তিযোদ্ধাও নিজেদের স্বার্থে এসকল অপপ্রচারে এসে সামিল হয়েছেন। এরা এখন মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের আদর্শের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে।

এদের মধ্যে একজন হলেন মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে বর্তমানে মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি সোচ্চার টাঙ্গাইলের কাদের সিদ্দিকী। কাদের সিদ্দিকিকে নিয়ে এর আগেও আমি লিখেছি। কারণ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে অনেক কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তত্কালীন সভাপতি, ৭১ মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নুরুল ইসলাম নুরু ভাইয়ের মাধ্যমে আমার পরিচয় হয় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে। একসময়ে বঙ্গবন্ধুর স্নেহের পুত্র বলে দাবিদার টাঙ্গাইলের বাকশাল গভর্নর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছ থেকে নুরু ভাই সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার সেই প্রশ্নের  উত্তর না দিয়ে মিডিয়ায় বিভিন্ন লেখায় একের পর এক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অপপ্রচার, মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন।   কাদের সিদ্দিকীর কাছ থেকে এধরনের অশালীন ও আক্রমানত্মক বক্তব্য কখনই আশা করা যায়  না। তিনি নাকি আবার নিজেকে বঙ্গবন্ধুর স্নেহের পুত্র হিসেবেও দাবি করেন।

একসময়ের সক্রিয় আওয়ামী লীগার মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান ও সুর পাল্টানোর কারণ হলো তিনি আজ আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত। টাঙ্গাইলের জাতীয় সংসদের পদও তিনি হারিছেন। টাঙ্গাইলের মানুষ এখনো ভুলেনি দেশ স্বাধীনতার পর সেখানকার ভয়ংকর কার্যকলাপের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু সরকারের দেওয়া মোহাম্মদপুর বাবর রোডের এক দ্বিতল অট্টালিকায় বসবাস করলেও টাঙ্গাইলের রাজনীতি নিয়ে কাদের সিদ্দিকী মাথা ঘামাতেন একটু বেশি। একসময়ের টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কাদের সিদ্দিকিকে হারিয়ে জয়লাভ হওয়া আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য শওকত মোমিন শাহজাহান ভাই এবেপারে নিশ্চই আরো ভালো জানবেন। কাদের সিদ্দিকীর মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ও তার অতীত নিয়ে এইমুহুর্তে শাহজাহান ভাইয়ের এগিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ শাজাহান ভাই ভালো করেই জানেন স্বাধীনতার পরবর্তীতে ঐসময় টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কি কি ঘটনা ঘটেছিল।

বাংলাদেশের সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি রাজাকারদের মতো হটাত করে মিথ্যা ইতিহাস প্রচারে মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর এই অবস্থানের পেছনে নিশ্চই কোনো স্বার্থ লুকিয়ে আছে। কর্নেল অলি একসময় বলেছিলেন বিএনপি রাজাকারদের সাথে ও পরিবারতন্ত্রের মুল্য দেওয়াতে তার দল এল ডি পি হবে বিএনপির ত্রাস। অথচ আজ তিনি সবকিছু পাল্টিয়ে ক্ষমতা পাওয়ার আশায় আবার সেই বিএনপির কোলে এসে বসেছেন। ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগের আমলে কাদের সিদ্দিকীর ঠিকাদারী বানিজ্যে ঘাটতি ধরাতে ও দল  থেকে বিতাড়িত হওয়ার কারণে জেনারেল জিয়াকে  মুক্তিযুদ্ধের হিরো বানিয়ে রাজাকারদের পাশে বসে হয়তো তিনি ভবিষ্যতে কিছু পাওয়া কিংবা কিছু হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তা না হলে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল দাবি করে কখনো জেনারেল জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক ও রাজাকারদের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করবেন কেন? কেনই বা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধর্ম নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে নিজেকে সোচ্চার করবেন? সত্যি ইতিহাস কি অদ্ভুত।

জামায়াত ও রাজাকার ও বিএনপির সাথে সুর মিলিয়ে একসময়ের মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীর সর্বশেষ মিথ্যাচার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে নাকি গান বাজবে। বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও ৯১ পরবর্তীতে জনগনকে বিভ্রান্ত করতে গিয়ে বলেছিলেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে মসজিদে মসজিদে উলোধনী শুরু হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে দুবার, কিন্তু এখন পর্যন্ত মসজিদে উলোধনী হতে আমরা দেখিনি। বিএনপি নেত্রীর সাথে সুর মিলিয়ে আজ কাদের সিদ্দিকী ধর্ম ভিরু বাঙালী জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। বলছেন আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় গেলে মসজিদে নাকি আজানের পরিবর্তে বাজবে গান। কি জঘন্য মিথ্যাচার! ঠিক একইভাবে সাবেক আমলা ও মন্ত্রী বিএনপি নেতা এম কে আনওয়ারও সেদিন বললেন আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় গেলে মসজিদের আজান না কি বন্ধ হয়ে যাবে? মিথ্যাচারের সকল সীমানা তারা অতিক্রম করেছেন বলতে হয়।

সম্প্রতি পচাত্তরের পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য পাহাড়ের যুদ্ধ নিয়ে বেশ কয়েকজন যোদ্ধার নাম তুলে ধরেছেন কাদের সিদ্দিকী। বন্ধু নসুর নাম লিখতে ভুলে গিয়ে তার সম্পর্কে পরবর্তীতে লিখেছেন বয়স হওয়ার জন্য নাকি তার নাম উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন। নসু আমার বন্ধু। একসময় সুইডেন বেড়াতে এসে আমার বাসায়ও এসেছিল। নশুকে আমি চিনি সেই বাহাত্তর থেকেই। সুইডেনে এসে পাহাড়ের যুদ্ধের অনেক কথায় আমার সাথে আলাপ করেছে নসু। এখানে কাদের সিদ্দিকীর কাছে আমার প্রশ্ন নশুকে নিয়ে নয়। সেদিনের সেই পাহাড়ের যুদ্ধের আরো অনেক বড় বড় প্রধান বেক্তির নাম আপনি গোপন করে গেলেন কেন? তার পেছনে নিশ্চই কোনো কারণ আছে? নাকি এটাও বয়সেরই দোষ? আপনার কি মনে নেই আব্দুস সামাদ পিন্টু, আব্দুর রউফ শিকদার, মোহাম্মদ ইউনুস, মোবারক হোসেন সেলিমের কথা? সৈয়দ নুরুল  ইসলামের নামটাই বা কেন অতো ছোটো করে লিখলেন? যতটুকু জানি পাহাড়ের যুদ্ধে সৈয়দ নুরুল ইসলামের স্থান ছিল আপনার পরেই। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা সম্পর্কে কিছুই লিখলেন না? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে অন্য কিছু? শ্রদ্ধেও কাদের সিদ্দিকী সার, একটা কথা আজ আমার খুব বেশি করে জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, ১৫ আগস্টের পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বদলা নেওয়ার জন্য গড়ে উঠা পাহাড়ের যুদ্ধে কামাল ভাইয়ের একনিষ্ট সহচর ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি, এমনকি আপনারও অত্যন্ত প্রিয় ও স্নেহের মানুষ বলে পরিচিত সৈয়দ নুরুল ইসলামকে কে, কারা এবং কেন হত্যা করা হয়েছিল সেদিন? বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর পুত্র বলে দাবিদার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কাছে এই উত্তরটুকু পাওয়ার আশা কি আমি করতে পারি না`?

সবশেষে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, পাহাড়ের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার পরও কি আপনি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকিকে সঠিকভাবে চিনতে পারলেন না? সেদিনের পাহাড়ের যুদ্ধ হটাত করে মাঝ পথে এসে কেন থেমে গেল সে কারণ আমার চেয়ে আপনার ভালো করেই জানা আছে। আজ আপনি যে পথে হাটতে চলেছেন সে পথ আপনার পথ নয়। কাদের সিদ্দিকী, ডক্টর কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না ও হটাত করে রাজনীতির স্বপ্ন দেখা ডক্টর ইউনুসের পথ আপনার জন্য নয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এই দুই রাজনৈতিক দল ছাড়া অন্য কোনো জোটকে জনগণ কখনো গ্রহণ করবে কি না সন্দেহ রয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বকে সামনে রেখেই চলবে বাংলাদেশের ভবিষ্যত রাজনীতি। এই বাস্তবতাকে আমাদের মানতেই হবে।

লেখক: মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু, জুরি সদস্য স্টকহলম ইমিগ্রেশন কোর্ট ও স্টকহলম হাই কোর্ট

- See more at: http://www.khabor.com/?p=7803#sthash.VimcbUb9.dpuf





__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [chottala.com] Is IMF a Racist Organization? Part II



I could not find Saudi Arabia

From: S Turkman <turkman@sbcglobal.net>
To: chottala@yahoogroups.com
Cc: I w <Islamic_World_Today@yahoogroups.com>; Z <pakistan-zindabad@yahoogroups.com>; "rawalpindi2@yahoogroups.com" <rawalpindi2@yahoogroups.com>; cpp <communistpartyofpakistan@yahoogroups.com>; "Balochistan_National_Movement@egroups.com" <Balochistan_National_Movement@egroups.com>; "balochistan@yahoogroups.com" <balochistan@yahoogroups.com>; "insaaniyatlist@yahoogroups.com" <insaaniyatlist@yahoogroups.com>; "khabor@yahoogroups.com" <khabor@yahoogroups.com>; 7 ro <sa7rong@yahoogroups.com>; Human Rights Watch UK <hrwuk@hrw.org>; "chottala@yahoogroups.com" <chottala@yahoogroups.com>; "globalobserver@yahoogroups.com" <globalobserver@yahoogroups.com>; "lahore_lahore_hai@yahoogroups.com" <lahore_lahore_hai@yahoogroups.com>; C C <calcutta@yahoogroups.com>; "PWAP@yahoogroups.com" <PWAP@yahoogroups.com>; "LIBERTY-AND-JUSTICE@yahoogroups.com" <LIBERTY-AND-JUSTICE@yahoogroups.com>; "U-S-A@yahoogroups.com" <U-S-A@yahoogroups.com>; "metaphysics-100@yahoogroups.com" <metaphysics-100@yahoogroups.com>; "Afghanistan_Today@yahoogroups.com" <Afghanistan_Today@yahoogroups.com>; "Humane-Rights-Agenda@yahoogroups.com" <Humane-Rights-Agenda@yahoogroups.com>
Sent: Sunday, September 1, 2013 4:43 AM
Subject: [chottala.com] Is IMF a Racist Organization? Part II
 
I have classified countries of world in 8 Classes by their Per Capita Income and Monitory Portfolio of the top 3 has already been presented to Readers in my previous articles below this. This is another Installment.

Class 4.World's Average Countries & TerritoriesPer Capita Income: Above $ 8,500 to $ 12,000----------Names:American Samoa, Anguilla, Argentina, Armenia, Bonaire, Botswana, Cook Islands, Costa Rica, Gabon, Georgia, Guam (USA), Kazakhstan, Lebanon, Mauritius, Malta, Mexico, Niue, Romania, Palau, Panama, Malaysia, Montserrat, Seychelles, Surinam, Turkey, Venezuela.

Population           : 304 million
GDP                   : $ 3.37 trillionIMF Loans           : $ 1.46 trillion F.E. Reserves       : $  680 billion (because of Mexico, Malaysia and Turkey with F.E. Reserves $ 426 million)Net Money Owed : $  880 billion or or 29% of GDP. 
--------
Class 5World's Below Average Countries & TerritoriesPer Capita Income: Above $ 4,000 to $ 8,000----------Names:Algeria, Angola, Azerbaijan, Belarus, Belize, Bosnia, Bulgaria, Cayman Island, China, Columbia, Cuba, Dominican Rep., Ecuador, Fiji, Gambia, Iran, Iraq, Jamiaca, Jordan, Macedonia, Maldives, Mayotte (France), Montenegro, Namibia, Peru, St. Lucia, St. Vincent, Serbia, S Africa, Saipon (USA), Thailand, Tonga, Tunis, Turkmenistan.

Population           : 1.9 billion (mainly because of China 1.36 billion)
GDP                   : $ 9.8 trillion (mainly because of China $ 7+ trillion)IMF Loans           : $ 1.33 trillion (mainly because of China $ 772 billion)F.E. Reserves       : $ 4.24 trillion (because of China with F.E. Reserves $ 3.5 trillion)Net Money Owed : $  Zero.
Net Money Owed by the Class 5 Nations minus China $ 726 billion or 27.6% of their GDP $ 2.63 trillion. 
--------
Class 6Poor Countries & TerritoriesPer Capita Income: Above $ 2,000 to $ 3,900----------Names: Albania, Bolivia, Bhutan, Cape Verde, Congo Rep., E. Timor, Egypt, El Salvador, Guatemala, Guyana, Honduras, Indonesia, N. Korea, Kosovo, Marshal Islands, Micronesian Islands, Moldova, Mongolia, Morocco, Papua New Guinea, Polynesian islands, Paraguay, Philippines, Samoa, Sri Lanka, Swaziland, Syria, Tuvalu, Ukraine, Venautu.   
.
Population           : 642 million (Indonesia, 238 million)
GDP                   : $ 2.25 trillion (Indonesia $ 847 million)IMF Loans           : $ 1.19 trillion F.E. Reserves       : $ 290 billion Net Money Owed : $  829 billion or 36.8% of GDP.
--------
Class 7Poorer Countries & TerritoriesPer Capita Income: Above $ 1,000 to $ 1,900----------Names:Cameron, Chad, Cote de Ivor, Djibouti, Ghana, India, Kenya, Kiribati, Kyrgyzstan, Laos, Lesotho, Mauritania, Nicaragua, Nigeria, Pakistan, Sao Tome, Senegal, Solomon Islands, Sudan, Tajikistan, Uzbekistan, Vietnam, Yemen, Zambia.

Population           : 1.95 billion (mainly because of India 1.23 billion)
GDP                   : $ 2.79 trillion (mainly because of India $ 1.89+ trillion)IMF Loans           : $ 608 billion (mainly because of India $ 371 billion)F.E. Reserves       : $ 380 billion (mainly because of India with F.E. Reserves $ 288 billion)Net Money Owed : $  228 billion or 8.17% of the GDP.
Net Money Owed by the Class 7 Nations minus India $ 160 billion or 17.88% of their GDP $ 895 billion. 
--------
Class 8The Poorerest Countries & TerritoriesPer Capita Income: Below $ 1,000 ----------Names:
Afghanistan, Bangladesh, Benin, Burkina Faso, Burundi, Cambodia, Central African Rep., Comoros, Congo Dem. Rep., Eritrea, Ethiopia, Gambia, Guinea, Guinea Bissau, Haiti, Liberia, Madagascar, Malawi, Mali, Mozambique, Nepal, Niger, Somalia, S Sudan, Tanzania, Togo, Uganda, Zimbabwe.

Population           : 743 million (Bangladesh, Congo Dem. Rep., Ethiopia, Tanzania 351 million)
GDP                   : $ 443 billion (Bangladesh $ 106 billion)IMF Loans           : $ 118 billion (Bangladesh $ 36 billion)F.E. Reserves       : $ 33 billion (Bangladesh Reserves $ 16 billion)Net Money Owed : $  85 billion or 19.19% of the GDP.
--------S U Turkman

From: S Turkman <turkman@sbcglobal.net>
Dear General, This is the next Installment of IMF article. S U Turkman----------------Class 1.The World's RichestPer Capita Income: Above $ 30,000-----------------USA and her White Race richest Allies and their Territories:.Names :Andora, Australia, Austria, Cypress, Falkland, Finland, Faroe, France, French Polynesia, Germany, Gibraltar (UK), Greenland, Guadalupe, Iceland, Ireland, Isle of Man, Israel, Italy, Jersey, Liechtenstein, Luxemburg, Martinique, Monaco, Netherlands, Netherlands Territories, New Caledonia, New Zealand, Norway, San Marino, Spain, Sweden, Switzerland, UK, USA.IMF Loans                           : $ 44.54 trillion or 80% of all IMF Loans, $ 55.2 trillionForeign Exchange Reserves:  $  1.89 trillionNet Money owed                 : $ 42.65 trillion or 120.1% of GDP, $ 35.5 trillion-------Non White Richest Countries:.Names:Bermuda, Brunei, Bermuda, Honk Kong, Japan, Kuwait, Nauru, Qatar, Singapore, UAE..IMF Loans           : $ 3.97 trillionF.E. Reserves       : $ 1.84 trillionNet Money Owed : $ 2.13 trillion or 33% of GDP, $ 6.31 trillion-----------Class 2.World's Richer
Per Capita Income: Above $ 18,500 to $ 30,000
----------White Countries:Names:Czech Republic, Curacao, Greece, Portugal, Slovakia, Slovenia,.IMF Loans           : $ 773 billionF.E. Reserves       : $   86 billionNet Money Owed : $ 687 billion or 65.4% of GDP, $ 1,05 trillion-----------Non White Countries:,Names:Bahamas, Bahrain, British Virgin Islands, Equatorial Guinea, Oman, Saudi Arabia, S. Korea, Taiwan.,IMF Loans           : $ 0.766 trillion or 766 billionF.E. Reserves       : $ 2.74 trillion  (mainly because of Saudi Arabia and Taiwan with F.E. Reserves way higher than Loans)Net Money Owed : Zero.Surplus Reserves  : $   1.99 trillion-----------Class 3.World's Rich CountriesPer Capita Income: Above $ 12,050 to $ 17,000----------Names:Antigua, Aruba, Barbados, Brazil, Chile, Croatia, Estonia, Hungary, Latvia, Libya, Lithuania, Poland, Puerto Rico (USA), Romania, Russia, St. Kits, St. Pierre, Trinidad, Uruguay, US Virgin Island, Willis Island..IMF Loans           : $  1.18 trillionF.E. Reserves       : $  1.09 trillion (because of Russia, Brazil and Libya with F.E. Reserves way higher than Loans)Net Money Owed : $  0.09 trillion or $ 90 billion or 1.19% of GDP, $ 5.56 trillion.
... (to be continued)
----------




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___