ব্রিটিশরা দীর্ঘ ১৯০ বছর ভারতবর্ষ শাসন করেছিল। সমগ্র ভারতবর্ষ একসাথে ব্রিটিশদের হস্তগত না হলেও এ দেশে তাদের শাসনকাল মাঝামাঝি পথ অতিক্রম করার পর জনগণের মধ্য থেকে স্বাধীনতার দাবি উচ্চারিত হতে থাকে। ভারতবর্ষের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের দাবিতে ১৮৮৫ সালে যখন সর্বভারতীয় দল হিসেবে কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন হিন্দু ও মুসলিম উভয় জনগোষ্ঠী এ দলটির পতাকাতলে সমবেত হলো। পরে ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হলে ভারতবর্ষের মধ্যে মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশগুলো সমন্বয়ে পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি ওঠে। কংগ্রেস নেতারা প্রথম থেকেই মুসলিমদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। কিছু বিশিষ্ট মুসলিম নেতা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র গঠিত হলে ভারতবর্ষের অন্যত্র মুসলিমদের স্বার্থ ক্ষুণœ হবেÑ এ যুক্তিতে কনফেডারেশনের ভিত্তিতে হিন্দু-মুসলিম সমন্বয়ে একক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সপক্ষে ছিলেন।
ভারতবর্ষের জনগণের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার দাবি উত্থাপিত হলেও ব্রিটিশরা প্রথম দিকে এটাকে তেমন গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তীকালে ব্রিটিশদের মনোভাবে দ্রুত পরিবর্তন ঘটে এবং তারা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা দেয়া ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনো বিকল্প নেই।
ব্রিটিশরা তাদের কূটবুদ্ধির কারণে পুরো বিশ্বের এক ব্যাপক অঞ্চলে তাদের উপনিবেশ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছিল। ব্রিটিশরা যে নীতির ভিত্তিতে তাদের উপনিবেশগুলোতে শাসনকার্য পরিচালনা করত, সেটিকে তাদের ভাষায় বলত 'বিভাজন ও শাসন' (Divide & Rule)। এ নীতিটির ভিত্তিতে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে তাদের শাসনকাল দীর্ঘায়িত করতে চাইলেও স্বাধীনতাকামী মানুষের দৃঢ়তার কারণে তা ফলপ্রসূ হতে পারেনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী চার্চিলের কনজারভেটিভ দল যুদ্ধ-পরবর্তী নির্বাচনে পরাভূত হলে লেবার পার্টি কিম্যান অ্যাটলির নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যদিও ব্রিটিশদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ভারতবর্ষের জনগণ যুদ্ধে তাদের সহায়তা করলে যুদ্ধশেষে ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা দেয়া হবে, কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর কনজারভেটিভ দলের নেতা চার্চিল কৌশলে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সমর্থন করা থেকে সরে দাঁড়ান। যা হোক, অ্যাটলির দল, লেবার পার্টি প্রতিশ্রুতি রক্ষায় অবিচল ছিল এবং দ্রুত স্বাধীনতা দেয়ার কাজটি সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে মনোযোগী হয়।
ব্রিটিশদের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রস্তাব দেয়া হয়, ডমিনিয়নের মর্যাদায় ভারতবর্ষ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে, যেখানে হিন্দু ও মুসলিম জনগোষ্ঠী তাদের পৃথক জাতিসত্তা ও ধর্মীয় ঐতিহ্য নিয়ে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে বসবাস করবে। ডমিনিয়নের প্রস্তাবটি কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে নেহরু ও প্যাটেল এবং মুসলিম লীগের নেতাদের মধ্যে জিন্নাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এরপর ব্রিটিশদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়, ভারতবর্ষের প্রদেশগুলো এ, বি ও সিÑ এ তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি কনফেডারেশন হবে এবং প্রতিটি প্রদেশ কনফেডারেশনের মধ্যে থেকে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করবে। এ প্রস্তাবটিও নেহরু, প্যাটেল ও জিন্নাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। কংগ্রেস দলের অহিংস মানবতাবাদী নেতা হিসেবে পরিচিত মহাত্মা গান্ধী ভারতবর্ষের অখণ্ডতা অক্ষুণœ রাখার স্বার্থে ডমিনিয়ন গঠন ও কনফেডারেশন প্রতিষ্ঠায় সম্মত ছিলেন।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী বছর, ১৯৪৬ সালে বাংলা, পাঞ্জাব, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান প্রভৃতি প্রদেশে ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সংঘটিত হয়। এ দাঙ্গার ব্যাপকতা বাংলা ও পাঞ্জাবে প্রকট ছিল। দাঙ্গায় ছয় লক্ষাধিক লোক নিহত হয়, যার বেশির ভাগই বাংলা ও পাঞ্জাবের অধিবাসী।
ভারতবর্ষে দাঙ্গা প্রতিরোধে ব্যর্থতা ব্রিটিশদের প্রশাসনিক অদক্ষতার প্রমাণ এবং দাঙ্গায় নিরীহ মুসলিম নারী-পুরুষের মৃত্যুর দায় ব্রিটিশরা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। ডমিনিয়ন গঠন ও কনফেডারেশন প্রতিষ্ঠা কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় বিকল্প হিসেবে প্রস্তাব দেয়া হয়, হিন্দু ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে দু'টি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রস্তাব অনুযায়ী বাংলা ও পাঞ্জাব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল হিসেবে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্রিটিশরা যখন ধর্মীয় জাতিসত্তার ভিত্তিতে ভারত বিভাগে সম্মত হয়, তখন কংগ্রেস ধর্মীয় জাতিসত্তার ভিত্তিতে বাংলা ও পাঞ্জাবের বিভাজনের ব্যাপারে অনড় অবস্থান গ্রহণ করে। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী ছয়টি প্রদেশ ও রাজ্য যথা উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত, বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব, সিন্ধু ও বাংলা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল এবং এ ক'টি প্রদেশ ও দেশীয় রাজ্য কাশ্মির সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা। কিন্তু পাঞ্জাব ও বাংলা এ দু'টি প্রদেশের বিভাজন এবং কাশ্মিরের ভারতে অন্তর্ভুক্তি নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
নেহরু, প্যাটেল, জিন্নাহ-কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের এ তিন নেতা স্বাধীন দেশের সাংবিধানিক প্রধান হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী ছিলেন এবং কার্যত তাদের আকাক্সা কার্যকর করতে গিয়েই ভারত বিভাগ চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতাকালে এ দেশটির লোকসংখ্যা ছিল ৩৩ কোটি এবং এর এক-চতুর্থাংশ ছিল মুসলিম। হিন্দু ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে ভারতবর্ষ বিভাজনের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান নামক দু'টি রাষ্ট্রের সৃষ্টি করা হলেও স্বাধীনতার পর দেখা গেল, হিন্দু ও মুসলিম জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ উভয় রাষ্ট্রে রয়েছে। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে উভয় রাষ্ট্রে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা সংঘটিত হয়েছিল; যদিও কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন, হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ উভয় দেশে সম্পূর্ণ নিরাপদে বসবাস করতে পারবে।
ধর্মীয় জাতিসত্তার ভিত্তিতে সৃষ্ট ভারত ও পাকিস্তান, এ দু'টি দেশের মধ্যে ভারত অদ্যাবধি তার অখণ্ডতা ধরে রাখতে পারলেও পাকিস্তান রাষ্ট্রটি স্বাধীনতার ২৪ বছরের মাথায় বিভাজিত হয়ে বাংলাদেশ নামক একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। ভারত তার অখণ্ডতা ধরে রাখতে পারার পেছনে যে সফলতা, তার মূলে রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোতে গণতন্ত্রের চর্চা। পাকিস্তান গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এর বিভাজন ঘটেছে।
ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানের উভয় অংশে ছোটখাটো বিক্ষিপ্ত দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটলেও এখনকার পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সে অবস্থা আর নেই। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যে মুসলিম জনগোষ্ঠী রয়েছে তারা মনেপ্রাণে নিজেদের ভারতীয় ভাবলেও তারা এখনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কা থেকে মুক্ত নন। বিজেপি নামক দলটি বর্তমানে ভারত শাসন করছে। এ দলটির সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তথায় ভয়াবহ দাঙ্গায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম নর-নারীর মৃত্যু ঘটে। ভারত ও বিশ্বের মানবতাবাদী সংগঠনগুলো এ দাঙ্গার জন্য প্রত্যক্ষভাবে মোদিকে দায়ী করলেও ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সমর্থন নিয়ে আজ তিনি সমগ্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মুসলিম। অপর দিকে, বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার এক-দশমাংশ হিন্দু। পাকিস্তানে বসবাসরত হিন্দু ও শিখ জনসংখ্যা স্বল্প। ভারতবর্ষ বিভাজনের সময় কাশ্মিরের জনসংখ্যার ৯৫ ভাগ মুসলিম ছিল। বর্তমানে ভারতীয় কাশ্মিরের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যার অংশ উল্লেখযোগ্য হলেও তারা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার। চাকরির ক্ষেত্রে দেখা যায়, মুসলিমরা তাদের যোগ্যতা ও জনসংখ্যা অনুযায়ী নির্ধারিতসংখ্যক চাকরি পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও একই চিত্র পরিলক্ষিত হয়। সামাজিকভাবে তারা প্রায়ই অবজ্ঞা ও অবহেলার শিকার এবং ব্যবসা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে দেখা যায়, শুধু মুসলিম এ কারণে তাদের যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয় না।
ভারতবর্ষ বিভাজনের সময় হিন্দু ও মুসলিম জনসংখ্যার অনুপাতে ভারতকে যে পরিমাণ ভূমি দেয়া হয়েছে পাকিস্তান বিশেষত পূর্ব-পাকিস্তান সে পরিমাণ ভূমি পায়নি। তা ছাড়া ভারতবর্ষ বিভাজনের পর পূর্ব-পাকিস্তান থেকে যত হিন্দু ভারত চলে গিয়েছিল, তাদের চেয়ে অধিকসংখ্যক মুসলিমের পশ্চিম-বাংলা, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশে আগমন ঘটেছে।
এ কথাটি নির্দ্বিধায় বলা যায়, ভারতের মুসলিম জনসংখ্যানুপাতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা সমানুপাতিক নয়। ধর্মীয় জাতিসত্তার ভিত্তিতে সৃষ্ট ভারত ও পাকিস্তান যেভাবে নিজ নিজ দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পেরেছে, সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে সেটি সম্ভব হয়নি। এটি উভয় দেশেরই রাজনৈতিক নেতাদের ব্যর্থতা। এর মূল্য দিতে হচ্ছে দেশের উভয় সম্প্রদায়ের নিরীহ সাধারণ জনমানুষকে।
ভারতবর্ষ ব্রিটিশ শাসনাধীন থাকাকালে হায়দরাবাদ এবং জুনাগড় ও মানভাদর হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ হলেও সেখানকার শাসনভার মুসলিম শাসকদের অধীনে ন্যস্ত ছিল। ব্রিটিশরা স্বাধীনতা দেয়ার সময় এ ধরনের প্রদেশের শাসকদের দু'টি রাষ্ট্রের যেকোনো একটিতে যোগ দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা দিয়েছিল। হায়দরাবাদ এবং জুনাগড় ও মানভাদরের মুসলিম শাসকেরা পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিলেও স্বাধীনতার এক বছরের মাথায় ভারত প্রদেশ দু'টি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। কাশ্মিরের হিন্দু শাসক ভারতের সাথে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সেখানে উভয় দেশ যুদ্ধে লিপ্ত হলে জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতায় উভয় দেশ গণভোট অনুষ্ঠানে সম্মত হয়। গণভোট অনুষ্ঠিত হলে সিদ্ধান্ত কী হবে, এ বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়ার কারণে সেটি অদ্যাবধি বাস্তবায়িত হয়নি।
এ কথাটি অনস্বীকার্য যে, হিন্দু ও মুসলিম উভয় জনগোষ্ঠীর স্বার্থ উভয় দেশ যথা ভারত ও পাকিস্তান যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে, এ বিষয়ে উভয় দেশের নেতাদের পক্ষ থেকে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও ভারত বিভাজনের ৬০ বছরের বেশি পার হয়ে গেলেও দেখা যায়, ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনামলে যেভাবে হিন্দু ও মুসলিম উভয় জনগোষ্ঠী নিরাপদ ছিল, স্বাধীন ভারতবর্ষের উভয় রাষ্ট্রে হিন্দু ও মুসলিম জনগোষ্ঠী সেভাবে নিরাপদ নয়। আর তাই আজো কারো কারো মনে প্রশ্ন : কনফেডারেশন না দেশ বিভাগ উত্তম ছিল?
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com
- See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/52495#sthash.JE5rXcQP.dpuf
__._,_.___