ঢাকা: অবশেষে বৃহস্পতিবার ঘোষণা হলো জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মানবতাবিরোধী মামলার বহুল প্রতীক্ষিত রায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এতে সাঈদীর বিরুদ্ধে আনা ২০ টির মধ্যে ৮টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল, বিভিন্ন সংগঠন ও সর্বস্তরের মানুষ বের করে আনন্দ মিছিল। এ সময় মানুষ একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান।
দেশব্যপী রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অভূতপূর্ব আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।
আমাদের রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ায় রাজবাড়ী শহরে তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল বের করেন ১৪ দলের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজবাড়ী প্রেসক্লাব চত্বর থেকে মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে রেলগেটস্থ শহীদ স্মৃতিফলক চত্বরে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে।
এখানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতারা।
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় হবিগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় শহরের প্রধান সড়কের চৌধুরীবাজার এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ মিছিলটি বের করেন।
মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের বেবিস্ট্যান্ড মোড়ে এক পথ সভায় মিলিত হয়। পরে নেতাকর্মীরা একে অপরকে মিষ্টি মুখ করান।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মুন্সীগঞ্জে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, গণজাগরণ মঞ্চ এবং সদর উপজেলা ও শহর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পৃথক আনন্দ মিছিল পুরাতন কাচারি থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়া সন্ধায় মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়।
আদমদীঘি উপজেলা প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তাৎক্ষণিকভাবে আনন্দ মিছিল বের করে বগুড়ার সান্তাহার পৌর আওয়ামী লীগ। দুপুর পৌনে ২টায় শহরের ১নং রেলগেট এলাকায় অবস্থিত আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে জাতীয় পতাকা নিয়ে বের করা আনন্দ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সভা ও মিষ্টি বিতরণ করে।
কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি জানান, পুরোনো কোন্দল ভুলে সাঈদীর রায় ঘোষণার পর কুমিল্লা নগরীতে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ।
দুপুর ২টায় পূবালী চত্বরের সামনে থেকে জেলা (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সফিকুল ইসলাম সিকদারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ আনন্দ মিছিল বের করে এবং পূবালী চত্বরের সামনে শোকরিয়া আদায় করে মোনাজাত করে।
একই সময়ে সদর সাংসদ হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার সমর্থিত যুবলীগ নেতা জিএস সহিদের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করেন।
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণার পর বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগ শহরে এক আনন্দ মিছিল বের করে। রেল রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রেল রোড চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তৃতা করেন।
রংপুর জেলা প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণার পর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মানুষ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
রংপুর গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বিশাল একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখে রাস্তা থেকে শুরু হওয়া এ মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলকারীরা আনন্দ উল্লাস করে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করেন।
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, ফাঁসির রায়ের পর বিকেল পৌনে ৩টায় সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আনন্দ র্যালি উপজেলা সদরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি গ্রামবাসীর উদ্যোগে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণা হওয়ায় তাৎক্ষনিকভাবে চান্দিনায় আনন্দ মিছিল করেছে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ।
দুপুরে উপজেলা গেট এলাকা থেকে পৌর যুবলীগের মিছিলটি চান্দিনার প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ সময় চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ে আনন্দ মিছিল করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ।
বিকেল ৫টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয় মিছিল। শহর প্রদক্ষিণ শেষে আবার দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে মিছিল শেষ হয়।
ঢাকা দক্ষিণ প্রতিনিধি জানান, ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ আনন্দ মিছিল করেছে।
রায় ঘোষণার পরেই ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও নবাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ আনন্দ মিছিল বের করে। কেরাণীগঞ্জের কদমতলী গণজাগরণ মঞ্চ, জিনজিরা, রাজেন্দ্রপুর, আব্দুল্লাহপুর, কোণাখোলা উপজেলা চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়কগুলোতে পদক্ষিণ করে আনন্দ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে, নবাবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ উপজেলা চত্বর থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে থানা চত্বর ঘুরে বাগমারা কোর্ট বিল্ডিং পর্যন্ত পদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে ফিরে আসে।
ফেনী সংবাদদাতা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ ও সমাবেশ করেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এতে ২ শতাধিক মোটর শোভাযাত্রা শহরে প্রবেশ করে আনন্দ মিছিল করে।।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেন। এ সময় নেতাকর্মীরা শহরের চৌরঙ্গীতে মিষ্টি বিতরণ করেন।
দুপুর ২টার দিকে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাস থেকে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের চৌরঙ্গী চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতারা।
জেলার মুকসুদপরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া কোটালীপাড়া, টুঙ্গীপাড়া ও কাশিয়ানী উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, জেলার গোপালপুর উপজেলা শহরে বিকেলে তরুণ প্রজন্ম আনন্দ মিছিল বের করে।
পরে পৌর শহরের থানা মোড়ে অবস্থিত গণজাগরণ মঞ্চে তারা সমাবেশ করে।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণায় ঈশ্বরদীতে আনন্দ মিছিল বের করেন জাগো ঈশ্বরদীবাসী জাগো মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
দুপুরে ঈশ্বরদী বাজার এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়।
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, দুপুরে রায়ের আদেশ শোনার পরে প্রজন্ম-৭১ গণজাগরণ মঞ্চ থেকে একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে শহরে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
যশোর প্রতিনিধি জানান, 'আমরা যশোরবাসী' আনন্দ মিছিল ও মিষ্টিমুখ করে। উৎসবমুখর পরিবেশে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তারা এ রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
দুপুর পৌনে দুইটার দিকে যশোরের চিত্রা মোড়ের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে শহরে মিছিল শুরু করেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ। একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, দুপুরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দলীয় অফিস থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে শহর প্রদিক্ষণ করে। মিছিল শেষে এইচএসএস সড়কে সক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্ম'৭১ এর উদ্যোগে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় আনন্দ মিছিল হয়েছে। বিকেলে মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ করে।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, ১৪ দলের আনন্দ মিছিলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেন বিভিন্ন বয়সের ও শ্রেণী পেশার মানুষ।
পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
লালমনিরহাট সংবাদদাতা জানান, জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলায় দুপুরে মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিশন মোড়ে আনন্দ সমাবেশে মিলিত হয়।
মাগুরা প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন। দুপুরে শহরের এম আর রোড থেকে মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
মেহেরপুর প্রতিনিধি জানান, ফাঁসির রায়কে স্বাগত জানিয়ে মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি আনন্দ বিতরণ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাংনী উপজেলা শহরেও একটি বিরাট মিছিল বের করা হয়। গাংনী হাসপাতাল বাজার এলাকা থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।
পরে নেতাকর্মীরা আনন্দ ভাগাভাগি করতে একে অন্যকে মিষ্টি মুখ করান।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণার পর পরই জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণী পেশার মানুষ জড়ো হয়ে বিকেল ৩টার দিকে একটি মিছিল বের করেন। এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।
কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, সাঈদীর ফাঁসির আদেশে উল্লাস প্রকাশ করেন কক্সবাজারের গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকারী সহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করে এ উল্লাস প্রকাশ করেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে একটি আনন্দ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
পাবনা প্রতিনিধি জানান, দুপুর দুইটায় শহরে আনন্দ মিছিল করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। জেলা কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এতে নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষ অংশ নেন।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণা শুনে শহরে বিজয় মিছিল করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
দুপুরে শহরের সদর রোড দলীয় কার্যালয় থেকে বিজয় মিছিলটি বের হয়।
পরে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে অবস্থিত প্রজন্ম মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ায় রূপগঞ্জে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দুপুরে ফাঁসির রায়ের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার ভোলাব, কাঞ্চন, দাউদপুর, তারাব, ভুলতা, রূপগঞ্জ সদরে বের হওয়া আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, ফাঁসির রায় শুনে সাতক্ষীরায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল বের হয়।
মিছিলটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার সেখানে ফিরে আসে।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, রায়ের পর সুনামগঞ্জে আনন্দ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ, আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, যুব কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।
দুপুর পৌনে ২টায় স্থানীয় ট্রাফিক পয়েন্টে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ট্রাফিক পয়েন্টে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, রায় ঘোষণা হওয়ার পরপরই গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে আনন্দ মিছিলে সর্বস্তরের জনতা অংশ নেন। ছোটবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, ফাঁসির রায় শুনে খাগড়াছড়িতে আনন্দ মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ ও জেলা আওয়ামী লীগ।
দুপুর ২টার পরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে শহরের শাপলা চত্বর, কোর্ট বিল্ডিং এলাকা হয়ে গণজাগরণ মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় দলটির পক্ষ থেকে সবার মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
অন্যদিকে ৩টার দিকে শাপলা চত্বর সংলগ্ন গণজাগরণ মঞ্চ থেকে বিশাল জাতীয় পতাকা নিয়ে আরেকটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আরামবাগ, নারিকেল বাগান সড়ক হয়ে আবার গণজাগরণ মঞ্চে এসে শেষ হয়।
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
রায় ঘোষণার পর পরই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোও আনন্দ মিছিল বের করে উপস্থিত সকলের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে টিভির সামনে অপেক্ষায় বসে ছিলেন সাঈদীর রায় ঘোষণা শোনার জন্য। দুপুরে এ রায় ঘোষণার পর উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা।
পরে স্থানীয় জনতার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আজাদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোরাদ হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন রুবেল।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৩
সম্পাদনা: সোহেলুর রহমান, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=bb9e49d0eb6171708fda4af8d3d414bf&nttl=01032013177969