Banner Advertise

Thursday, October 10, 2013

[chottala.com] সাকা : রায় ফাঁসের ঘটনার আদালতে নয়নের স্বীকারোক্তি



10 Oct 2013   03:41:23 PM   Thursday BdST
   E-mail this

রায় ফাঁসের ঘটনার আদালতে নয়নের স্বীকারোক্তি


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রায় ফাঁসের ঘটনার আদালতে নয়নের স্বীকারোক্তি
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/(ফাইল ফটো)

ঢাকা: বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরিচ্ছন্ন কর্মচারী নয়ন আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।

আট দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজাহান। 

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মইনুল ইসলাম ভূঁইঞা আসামি নয়নের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন। 

আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআরও মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। 

ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসের ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর নয়ন ও অপর কর্মচারী ফারুকের বিরুদ্ধে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ফারুক বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

গত ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়। 

কিন্তু রায় ঘোষণার আগের রাতেই রায়ের খসড়ার অংশবিশেষ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে।
রায় ঘোষণার পরে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ও তার স্ত্রী-পুত্ররা কথিত ওই রায়ের কপি দেখিয়ে রায়টি আইন মন্ত্রণালয়ের করা এবং রায় ঘোষণার আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন।

এ ঘটনায় ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা চেয়ে শাহবাগ থানায় জিডি করেন। আদালত এর তদন্তের নির্দেশ দেন ডিবি পুলিশকে।  

তদন্তভার পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ট্রাইব্যুনালের রায় কম্পোজ করা কম্পিউটারটি জব্দ করে। এছাড়া অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ট্রাইব্যুনালের মাস্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্ত অস্থায়ী কর্মচারী (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) নয়ন আলীকে (২০) এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করে। 

নয়নকে গ্রেফতারের পর তিনি রায় ফাঁসের খসড়া কপি পেনড্রাইভে করে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসানকে দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। তার বক্তব্য অনুসারে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ট্রাইব্যুনালের অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট ফারুককে। 
 
ডিবি'র জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন আরও জানান, মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসান তাকে দিয়ে এ কাজ করিয়ে নেন।
 
পরে যে কম্পিউটারে রায়ের কপি ট্রান্সফার করা হয়েছে সেই কম্পিউটার জব্দ করে পুলিশ। এর সূত্র ধরে শুক্রবার দুপুরে সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুলের চেম্বারে তল্লাশি চালিয়ে ২টি সিপিইউ, ১টি প্রিন্টার ও কয়েকটি সিডি জব্দ করে ডিবি পুলিশ।
 
পরবর্তীতে নয়ন আলী, ফারুক ও মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ এবং ৬৩ ধারায় মামলা হয়। এখন মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে ডিবি পুলিশ।

এদিকে রায়ের কপি ফাঁসে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও আইসিটি অ্যাক্টের ৫৪ ধারায় মামলা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিবি। পাশাপাশি রায় ফাঁস হওয়ায় যারা লাভবান হয়েছেন, এর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে তারা।


বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৩
এমআই/আরআই/জিসিপি

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=edff0f6af604f4a47c7f396fa59fab96&nttl=10102013230661



রায় ফাঁস ষড়যন্ত্রে সাকা নিজেই জড়িত
সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৩, ২২ আশ্বিন ১৪২০

সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৩, ২২ আশ্বিন ১৪২



মা ন ব তা বি রো ধী অ প রা ধে র বি চা র

অর্থের লোভ দেখিয়ে রায়ের খসড়া চুরি!

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০২:৩১, অক্টোবর ০৫, ২০১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

Also Read:

সাকার রায়ের খসড়া ফাঁস

আইনজীবীর সহকারী ও ট্রাইব্যুনালের দুই কর্মী জড়িত: ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ১৯:১৫, অক্টোবর ০৪, ২০১৩

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায়ের খসড়া ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসান তাঁকে দিয়ে এ কাজ করান বলে দাবি করেছে ডিবি। এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের আরও একজন কর্মচারী জড়িত।........... Details at:

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/52887/আইনজীবীর_সহকারী_ও_ট্রাইব্যুনালের_দুই_কর্মী_জড়িত


সাকার রায়ের কপি ট্রাইব্যুনাল থেকে পাচার পেনড্রাইভে ॥ কর্মী গ্রেফতার
০ আসামিপক্ষের আইনজীবীর সহকারী ও অপর এক কর্মচারীকে খুঁজছে পুলিশ 
০ মামলা তিনজনের বিরুদ্ধে 
০ শিবির কানেকশন 
০ ডোমেইন নিবন্ধন বেলজিয়ামে, আপলোড লন্ডনে
আজাদ সুলায়মান ॥ বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের কপি ফাঁস হওয়ার ঘটনা তদন্তে নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। কারা কিভাবে এ কপি মামলার রায়ের আগেই ফাঁস করেছে, পুলিশ তার ক্লু পেয়েছে। নয়ন আলী নামের এক কর্মচারীই এটা ফাঁস করেছেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় যে কম্পিটারে লেখা হয়েছে, সেখান থেকেই পেনড্রাইভে করে তা নিয়ে গেছেন নয়ন মিয়া। এর পর ফাইলটি ইমেইল বা অন্য কোন উপায়ে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই একটি অনলাইনে . . .






__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] খোলা চোখে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিগিরি’



খোলা চোখে

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দিদিগিরি'

হাসান ফেরদৌস | আপডেট: ০০:০৩, অক্টোবর ১১, ২০১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ইন্দর কুমার গুজরাল একসময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। সেই সময়ের মধ্যেই তিনি ভারতের প্রতিবেশীদের সঙ্গে 'দাদাগিরি'র বদলে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকতেই গুজরাল বুঝেছিলেন, দাদা হওয়ার বদলে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করলে ভারত যেমন অধিক সমীহ অর্জন করবে, তেমনি তার কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হবে। গুজরালের এই বৈদেশিক নীতির একটি জুতসই নামও জুটে গিয়েছিল—'গুজরাল ডকট্রিন'। ১৯৯৮ সালে, তখন তিনি আর ক্ষমতায় নেই, ঢাকায় এক আঞ্চলিক সেমিনারে এসে তিনি তাঁর ডকট্রিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেগুলো হলো: ১. প্রতিদানের আশা না করেই সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ। ২. প্রতিবেশী কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানো। ৩. সব আঞ্চলিক শক্তির রাষ্ট্রীয় ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান। ৪. দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান। ৫. এই অঞ্চলের কোনো দেশ প্রতিবেশী কোনো দেশের বিরুদ্ধে নিজ ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না—এই নীতিতে অবিচল আস্থা।
গুজরালই একমাত্র ভারতীয় রাজনীতিক, যিনি বুঝেছিলেন, ভারত যদি তার প্রতিবেশীদের কাছে দাদাগিরি না ফলিয়ে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে যে ফল তারা হাতের গুলতি দেখিয়ে আদায় করতে চায়, কাঠখড় না পুড়িয়েও তা অর্জন সম্ভব। তাঁর দাদাগিরি নিয়ে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে এখন যাঁরা ক্ষমতাসীন, ভারতের প্রতি তাঁদের উষ্মা গোপন নয়। ভারত প্রকাশ্যে অথবা গোপনে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি সমর্থন জানায়, তাদের উষ্মার সেটি প্রধান কারণ। ভারতের অর্থনৈতিক আগ্রাসন নিয়েও তারা ভীত।
ভারতের দাদাগিরির ব্যাপারটা খোলাসা করার জন্য ভুটানের উদাহরণের দিকে নজর দেওয়া যাক।
ভুটান আগাগোড়াই ভারতের ওপর নির্ভরশীল, সেই নির্ভরশীলতা রীতিমতো কাগজে-কলমে চুক্তি করে জানিয়ে দেওয়া হয় সেই ১৯৪৯ সালে। সে সময় দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তাতে স্পষ্ট করে বলা ছিল, ভারতের সঙ্গে সলা-পরামর্শ করে ভুটান তার বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করবে। এই চুক্তি নিয়ে এবং ভুটানের ব্যাপারে ভারতের দাদাসুলভ মনোভাবে সে দেশের ভেতরে অনেক আগে থেকেই নানা রকম উষ্মা ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে ভুটানের রাজা দেশের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণভার কিছুটা হ্রাস করার আগ পর্যন্ত এ নিয়ে কেউ কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারেনি। ২০০৮ সালে দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয় ডিপিটি বা ড্রুক ফুয়েনসাম সগপা পার্টি। সেই দলের নেতা জিগমি থিনলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ভারতের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে উদ্যোগী হন। তাঁর লক্ষ্য প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন। ২০১২ সালের জুন মাসে রিও ডি জেনিরোতে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগে জিগমি থিনলি চীনা প্রধানমন্ত্রী জিয়াবাওয়ের সঙ্গে সলাপরামর্শে মিলিত হন। দিল্লি থেকে আগাম সমর্থন না নিয়ে চীনের সঙ্গে সংলাপ শুরু করায় অসন্তুষ্ট হয় ভারত। এ বছরের জুলাই মাসে ভুটানে জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে ভুটানকে প্রতিবছর কেরোসিন ও রান্নার গ্যাস সরবরাহে যে বার্ষিক অনুদান দেওয়া হতো, ভারত তা বন্ধ করে দেয়। এতে যে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়, তার পরিণতিতে ডিপিটিকে বিদায় নিতে হয়, ক্ষমতায় আসে ভারতপন্থী বলে পরিচিত পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি।
বাংলাদেশ ঠিক ভুটান নয়। তবে নানা কারণে ভারতের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা রয়েছে। ভাটির দেশ হওয়ায় অভিন্ন নদীগুলোর সুষম পানিপ্রবাহের জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করা ছাড়া আমাদের পথ নেই। বাণিজ্য ঘাটতি, সীমান্ত নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার মতো স্পর্শকাতর প্রশ্নেও দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততা দীর্ঘদিনের। সবাই অবশ্য মানেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুই দেশের সম্পর্কের প্রভূত উন্নতি ঘটেছে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ভারতে প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরার কতিপয় লক্ষণ ধরা পড়েছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, টিপাইমুখ বাঁধ, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রানজিট নিয়ে বিতর্ক এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে বাংলাদেশিদের নিহত হওয়ার একটার পর একটা ঘটনা তিক্ততার সৃষ্টি করেছে। ব্যাপারটা এমনই তেতো হয়েছে যে বাংলাদেশের একজন মন্ত্রী সরাসরিই বলে বসেছেন, ভারত বাংলাদেশের প্রতি সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে না। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। 'আমরা ভারতের কাছ থেকেও সৎ প্রতিবেশীর মতো আচরণ আশা করব।'
অভিযোগটা মূলত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের আলাপ-আলোচনার পর ভারত-বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল। কথা ছিল, গত বছর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় সেই চুক্তি সম্পাদিত হবে। সঙ্গে মমতা 'দিদি'ও আসবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসলেন তিনি। এই চুক্তিতে তাঁর রাজ্যের স্বার্থ রক্ষিত হয়নি। অতএব, তা তিনি মেনে নেবেন না।
সম্প্রতি এই দিদি আরেক কাণ্ড করেছেন। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত চিহ্নিতকরণের প্রশ্নে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে দুই পক্ষের সম্মতিতে একটি খসড়া চুক্তি প্রস্তুত করা হয়। এই চুক্তির লক্ষ্য দুই দেশের ভেতরে অমীমাংসিত ছিটমহলগুলোর ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত ফয়সালা। ১৯৭৪ সালের মুজিব-ইন্দিরা সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের পরেও ছিটমহল প্রশ্নে এখন পর্যন্ত সেই চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। মমতা বলছেন, এই চুক্তি তিনি মানেন না। কারণ, এ ব্যাপারে তাঁর সরকারের সম্মতি নেওয়া হয়নি।
মনে রাখা দরকার, চুক্তিটি দুটি সার্বভৌম দেশের মধ্যে, বাংলাদেশ ও ভারতের কোনো অঙ্গরাজ্যের মধ্যে নয়। মমতা মানুন বা না মানুন, আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ণ অংশগ্রহণের ভিত্তিতেই সীমান্ত চিহ্নিতকরণের এই খসড়া চুক্তি সম্পন্ন হয়। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া নথি থেকে দেখা যাচ্ছে, দুই বছর আগে ২০১১ সালের আগস্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই খসড়া চুক্তিতে তাদের সম্মতির কথা জানায়। এই চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিব নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর সম্মতিও আদায় করে দেন। ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের কাছে এক চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব সেই সম্মতির কথা জানান। অতএব, চুক্তি অনুমোদনের প্রশ্নে কোনো বিপত্তির আশঙ্কা নেই, সেই বিবেচনা থেকেই আগস্ট মাসে ভারত সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ আইন পরিষদে সেই চুক্তি একটি সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে অনুমোদনের প্রস্তাব রাখেন। কিন্তু মমতার তৃণমূল কংগ্রেস ও অসম গণপরিষদের প্রতিবাদের মুখে প্রচণ্ড হট্টগোলের সূত্রপাত হলে সেই প্রস্তাবের বিবেচনা মুলতবি রাখা হয়।
এক বিবৃতিতে মমতার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ছিটমহলগুলোর অধিবাসীদের সম্মতি ছাড়া এই চুক্তিতে সম্মত হওয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, এমন কী কারণ ঘটল যে এখনই তড়িঘড়ি করে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে? মমতা হয়তো ভুলে গেছেন, এই চুক্তি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে ৪০ বছর ধরে। খসড়া চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়ার পরে কয়েক বছর কেটে গেছে। ছিটমহলের অধিবাসীদের মতামত জানতে হলে এই সময়ের মধ্যে অনায়াসেই তা সম্ভব ছিল। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বলে যে যুক্তি তিনি দেখাচ্ছেন, তা যে অতি খোঁড়া, ভারতীয় মহল থেকেই সে কথা বলা হচ্ছে। তাহলে ঠিক কী কারণে মমতা হঠাৎ এমন বেঁকে বসলেন? শুধু কি নিজের 'দিদিগিরি' ফলাতে?
বস্তুত, নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ মাথায় রেখেই মমতা একের পর এক এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, যার মাধ্যমে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তাঁর বৈরিতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। নিজের 'স্বাধীনচেতা' ভাবমূর্তি গড়তেই এমন বৈরিতা প্রয়োজন। কেউ কেউ বলেছেন, মমতা শুধু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট নন। তাঁর লক্ষ্য আরও দূরপ্রসারী। সম্ভবত দিল্লির মসনদ। তিনি হিসাব কষে দেখেছেন, প্রতিবেশীদের প্রতি, তা সে বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা নেপাল—যে-ই হোক, রোষ যত প্রবল দেখানো যাবে, ভারতের জঙ্গি জাতীয়তাবাদীদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা ততই বাড়বে। প্রতিবেশীদের প্রতি গোস্সা হলো ভারতের অতি ডানপন্থী রাজনীতিকদের তুরুপের তাস। মমতা সেই তুরুপের তাসটি খেলতে চান।
দিল্লির মসনদের প্রতি মমতার যদি মোহ থেকে থাকে, তাতে আমাদের আপত্তির কিছু নেই। আমাদের শুধু আপত্তি প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে নিজের রাজনীতির স্কোর বোর্ড বানানোর চেষ্টায়। নিজের রাজনৈতিক খায়েশ অর্জনের জন্য প্রতিবেশীর ন্যায্য পানির হিস্যা দেবেন না অথবা ছিটমহলের অসহায় নাগরিকদের জিম্মি করে রাখবেন, সেটা মোটেই রাষ্ট্রনায়কোচিত হবে না। দিদিগিরি করে দেশের ভেতরে একদল মানুষের কাছ থেকে হয়তো হাততালি তিনি পাবেন, কিন্তু প্রতিবেশীদের মনে আস্থা জাগাতে পারবেন না। আই কে গুজরালের কাছ থেকে এই সাধারণ সত্যটি তিনি অনায়াসেই জেনে নিতে পারেন।

নিউইয়র্ক
হাসান ফেরদৌস: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক

http://www.prothom-alo.com/opinion/article/54642/মমতা_বন্দ্যোপাধ্যায়ের_'দিদিগিরি'




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] নৌকায় ভোট দিন






আপনি জানেন কি?

বাংলাদেশে এখন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ মোবাইন ও ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ 



<iframe src="https://www.facebook.com/video/embed?video_id=10151721705952831" width="720" height="540" frameborder="0"></iframe>



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] খালেদা জিয়ার সিঙ্গাপুর সফরের নেপথ্যে !!!!!!



খালেদা জিয়ার সিঙ্গাপুর সফরের নেপথ্যে



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] Fw: [Pro-Muslim] কার মাথায় কাপড় থাকা দরকার , আর কে দেয় !!





On Thursday, October 10, 2013 4:59 PM, Muhammad Ali <manik195709@yahoo.com> wrote:
 
মন্তব্য - কিন্তু কার মাথায় কাপড় থাকা দরকার , আর কে দেয় !!
Photo: খবর - খালেদা  জিয়ার সঙ্গে আরব আমিরাত রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ   মন্তব্য - কিন্তু কার মাথায় কাপড় থাকা দরকার , আর কে দেয় !!




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] সরকারের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার এখনই সময়



সরকারের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার এখনই সময়

সি রা জু র র হ মা ন
ফলি মাছ ফুটুস কাটে এখানে, দম নেয় বিশ হাত দূরে। শেখ হাসিনা রামপাল তাপ-বিদ্যুত্ কারখানার ভিত্তি স্থাপন করলেন। কিন্তু তিনি রামপালে ছিলেন না, ছিলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। বাংলাদেশের মানুষ সুন্দরবনের ধার ঘেঁষে কয়লা জ্বালানো বিদ্যুেকন্দ্র চায় না, আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদীরাও এর ঘোরতর বিপক্ষে। তাদের মতে কয়লা জ্বালানো বিদ্যুত্ কেন্দ্রের বিদূষণে সুন্দরবনের অনন্য ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস হয়ে যাবে, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে।
শেখ হাসিনাকে ভিত্তি স্থাপনের রানী বলা চলে। ঊনবিংশ শতাব্দীতে আমেরিকার ওয়াইল্ড ওয়েস্টে আইন ছিল না। স্থানীয় প্রশাসকরা নিয়ম করেছিলেন, আপনি যদি অন্য সকলের আগে কোনো জমিতে গিয়ে একটা খুঁটি গেড়ে দেন তাহলে সে জমি আপনার হয়ে যাবে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সে রকমেরই মনে করেন, তিনি একটা ভিত্তিপ্রস্তর গেড়ে দিলেই সে প্রকল্পটির অর্জন তার হয়ে যাবে। বিগত পৌনে পাঁচ বছরে বহু ভিত্তি তিনি স্থাপন করেছেন, কিন্তু ক'টির কাজ সমাধা হয়েছে আর ক'টির কাজ শুরু হয়েছে জরিপ করতে গেলে আপনাকে হতাশ হতে হবে।
অথচ এই প্রধানমন্ত্রী আর এই সরকার ভিত্তি স্থাপনকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে জাহির করতে চান। কারণ বোধ হয় এই যে তারা পদ্মা সেতুটি গিলে খেয়েছেন, তার কিছুটা অপপ্রভাবও দূর করা না গেলে নির্বাচনে কী মুখ দেখাবেন তারা। সেজন্যই সেদিন যখন রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করলেন শেখ হাসিনা সরকারের অনুগত মিডিয়া ঢাকঢোল পিটিয়ে সেটাকে সে প্রকল্পের উদ্বোধন বলে প্রচার করেছিল। ভিত্তি স্থাপন আর প্রকল্পের উদ্বোধনের মধ্যে যে ব্যয়বহুল আর কষ্টসাধ্য নির্মাণ প্রক্রিয়া অবশিষ্ট থাকে সেটা বেমালুম চেপে গিয়ে তারা দেশের মানুষকে বোকা বানাতে চেয়েছে।
শোনা যাচ্ছে আগামী ক'দিনের মধ্যে শেখ হাসিনা আরও ক'টি অস্তিত্ববিহীন প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন যেগুলোর মূলধন সংস্থান, স্থান নির্ধারণ, এমনকি নীল নকশাই হয়তো তৈরি হয়নি। সন্দেহ নেই যে এই সরকারের সাফল্যের খাতার শূন্য পাতাগুলো মিথ্যা সাফল্য দিয়ে অংশতও পূরণ করা তাদের উদ্দেশ্য।
রামপাল বিদ্যুত্ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রধানমন্ত্রী রামপালে গিয়ে স্থাপন করতে পারেনি। এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্থানীয় এবং জাতীয় প্রতিরোধ খুবই প্রবল। প্রতিবাদ জানাতে ঢাকা থেকে বিশিষ্টজনদের একটা লংমার্চ পথে থেমে থেমে রামপাল পর্যন্ত গিয়েছিল। সর্বত্রই তারা স্থানীয় লোকদের প্রতিরোধ দৃঢ়তর করার চেষ্টা করেছেন। আঠারো দলের জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও বলেছেন রামপালে কয়লা জ্বালানো বিদ্যুত্ কেন্দ্র কিছুতেই হতে দেয়া হবে না। রামপালে গেলে শেখ হাসিনার প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ার ভয় ছিল তো সে কারণেই তিনি কাজটা রিমোট কন্ট্রোলে সারার চেষ্টা করেছেন।
রিমোট কন্ট্রোলের নির্বাচন?
রিমোট কন্ট্রোলে আরেকটা কাজও করেছেন শেখ হাসিনা। রামপালের ভিত্তি স্থাপন উপলক্ষে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে ভিডিও লিংকে কথা বলেছেন। তার মাত্র আগের সপ্তাহে জাতিসংঘে তিনি ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন, ফটো তুলিয়েছেন। নতুন এমন কি জরুরি ব্যাপার ঘটলো যে ভিডিও লিং করে চমক আর চটক দেখাতে হলো তাকে? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চেয়েছিলেন : আপনারা যা যা চেয়েছেন আমি দিয়ে দিয়েছি, এবারে আপনারা অনুগ্রহ করে আমাকে গদিতে রাখার ব্যবস্থাটা করুন কোনো মতে?
ভিত্তি স্থাপনের এই হিড়িক আর এস্ততা এবং আরও কিছু ব্যাপার-স্যাপার থেকে মনে হচ্ছে শেখ হাসিনা আরও একটা চমক দেখাতে যাচ্ছেন। জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের গ্রেফতার বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিএনপি এবং ১৮ দলের জোটের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের নজরদারিও বেড়ে গেছে। শোনা যাচ্ছে ঈদের পরপরই তাদেরও গ্রেফতার করে জেলে পোরা হবে। সরকারি কর্মচারীদের জন্য হঠাত্ করে উদারভাবে ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা গোষণা করা হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সেনা-সামন্তরা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হুশিয়ারি ও গালিগালাজ তুঙ্গে তুলেছেন। লক্ষণীয় যে শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক প্রতিভূর বিরুদ্ধে নতুন কোনো অপবাদ আবিষ্কার করতে পারছেন না। এখন তিনি নিজের অপকর্মগুলো একে-দুয়ে খালেদা জিয়ার ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছেন।
এসব কি আপনাদের আসন্ন কোনো চমকের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে না? মনে করা যেতে পারে যে ২৫ অক্টোবর থেকে নতুন আন্দোলন করার সুযোগ খালেদা জিয়াকে দিতে চান না শেখ হাসিনা। খুব সম্ভবত, সে তারিখের আগেই তার একদলীয় নির্বাচনের (এবিএম মূসার ভাষায় রিমোট কন্ট্রোলের নির্বাচন) ঘোষণা দিয়ে দেবেন হাসিনা। সে জন্যই ধর-পাকড়ের হিড়িক বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সরকার তাদের একদলীয় নির্বাচনে একদলীয় বিজয়ের পথের কাঁটাগুলো সরিয়ে ফেলতে চায়।
এটাই যদি সরকারের পরিকল্পনা হয় তাহলে গোটা সিনেরিয়োটা কেমন হতে পারে? স্বল্পতম সময়ের ব্যবধানে তারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে। সরকার জানে যে, ভোট দিতে বেশি লোক আসবে না। সময়ের স্বল্পতার এবং নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে মতানৈক্যের কারণে ভারত ছাড়া আর কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষকও সম্ভবত, আসবেন না। ডুপ্লিকেট ব্যালট বাক্সগুলো আগে থাকতেই ভরাট করে রাখা হবে। খালেদা জিয়া নির্বাচন প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি গঠনের ডাক দিয়েছেন। দলাদলি ইত্যাদি কারণে সরকারের শর্ট-নোটিশ নির্বাচনের আগে কমিটিগুলো গঠিত নাও হতে পারে। হলেও ২০০৮ সালের মতো আওয়ামী লীগ ক্যাডার দিয়ে ভারাক্রান্ত ডিজিএফআই এবং এনএসআই বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য এবং সাধারণভাবেই ১৮ দলের জোটের নেতা-কর্মীদের ভয় দেখিয়ে আসবে, যাতে তারা ভোট কেন্দ্রের ধারে-কাছেও না যান।
ষড়যন্ত্রের সম্ভাব্য সিনেরিয়ো
তা সত্ত্বেও সাহস করে যারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন কী দেখবেন তারা? উত্তর পাড়ার তৃতীয় শক্তি যদি ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে সরকারের ডাকে সাড়া নাও দেয় তাহলেও দলীয়কৃত পুলিশ ও র্যাব, আওয়ামী লীগের ক্যাডার আর বিজিবি দিয়ে কেন্দ্রগুলো ঠেঁসে রাখবে সরকার। বাংলাদেশে বহু লোক বিশ্বাস করে বিডিআর বিদ্রোহের সময় এবং গত ৫ মে ভোররাতে শাপলা চত্বরের অভিযানে ভোল-বদলানো বিএএসএফও তত্পর ছিল। সে সবের পুনরাবৃত্তি যে সরকারের একতরফা ভোটের দিনেও হবে না কে জানে? এখন আবার বিএসএফ-বিজিপি যৌথ টহলের কথাবার্তা শুরু হয়েছে। এই যৌথ টহল কি ভোটের দিন নির্বাচন কেন্দ্রগুলোতেও প্রসারিত হবে?
তারপর প্রশ্ন ওঠে ফলাফল নিয়ে। বিএনপির ভেতরেও কিছু গতি ও অর্থলোভী আছেন খালেদা জিয়ার বয়কটের ডাক সত্ত্বেও যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হলেও নির্বাচন প্রার্থী হবেন। তাদের দু'একজন এবং বামের জোটের জনাকয়েককে বিজয়ী ঘোষণা করে সরকার ফলাফলের ঘোষণা দেবে। ভারত ছাড়া বহু দেশের সরকারই শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনের ফলাফলকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করবে না। কিন্তু ভারতের চাপ এবং অন্যান্য কূটনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করে আমতা-আমতা করে হলেও অবশেষে তারা সরকারের ঘোষিত ফলাফলকে গ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দেবে। বিগত দু'তিন বছরে বিএনপি এবং ১৮ দলের জোটের নেতারা কূটনীতিকদের সঙ্গে বহু বৈঠক করেছেন, বহু খানাপিনা করেছেন। কিন্তু তাদের নিরপেক্ষ নির্বাচন এগুনোর বদলে পিছিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। খানাপিনা আর বৈঠকের কোনো বাস্তব মূল্য থাকলে সেই কবে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি স্বীকৃতি পেত, খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়া সুনিশ্চিত হয়ে যেত।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস কূটনীতিকদের মতামতকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে বিএনপি এবং ১৮ দলের জোট গুরুতর ভুল করেছে। সরকার পতনের আন্দোলন যখন তুঙ্গে উঠেছে কূটনীতিকদের পরামর্শ শুনতে গিয়ে বিরোধী জোট তখন ক্ষান্ত দিয়েছিল। আমার তখন ছোট বেলায় পড়া সিরাজুদ্দৌল্লা নাটকের পলাশীর যুদ্ধের দৃশ্যের সে কথাগুলো মনে হয়েছে। মীর জাফরের লোকেরা সাধারণ সৈনিকদের মধ্যে প্রচার করছিল, "শোন ওহে বন্ধুগণ, করো অস্ত্র সম্বরণ। নবাবের অনুমতি কালি হবে রণ।" এ কলামে একাধিক বার আমি বিরোধী জোটকে সতর্ক করেও দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, আন্দোলনে একবার ভাটা পড়লে সে আন্দোলন নতুন করে চাপিয়ে তোলা কঠিন হবে।
দু'হাজার আট সালের মাস্টারপ্ল্যানের নির্বাচনে গদি দেয়ার বিনিময়ে ভারত শেখ হাসিনার সরকারের কাছ থেকে অনেক কিছু আদায় করে নিয়েছে। শেখ হাসিনা দিল্লিতে স্বাক্ষরিত গোপন চুক্তিগুলোতে কী কী দিতে রাজি হয়ে এসেছিলেন আমরা জানি না। সেসব চুক্তির বিবরণ কখনো প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি সংসদ সদস্যদের কাছেও নয়। কিন্তু আমরা দেখেছি এশিয়ান হাইওয়ে বিনা শুল্কে আমাদের সড়ক রেল ও নদী পথে করিডোর এবং আমাদের সমুদ্র বন্দর দুটোর অবাধ ব্যবহার দিল্লির সরকার আদায় করে নিয়েছে।
বাংলাদেশকে উলফাদের সঙ্গে ঠেলে দেবেন না
একাত্তরে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ভারত তাদের পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয়নি। উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের কারাগারে হলেও আশ্রয় পেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার একে-দুয়ে তাদের ভারতের হাতে এবং খুব সম্ভবত নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে তুলে দিয়েছে।
সর্বশেষ আমাদের সুন্দরবন, আমাদের পরিবেশের সর্বনাশ করে শেখ হাসিনা রামপালে কয়লা-জ্বালানো বিদ্যুত্ কেন্দ্রে স্থাপনের অধিকার ভারতের হাতে তুলে দিলেন। কিন্তু এখানেই ভারতের চাওয়ার শেষ নেই। বাংলাদেশকে হয় পুরোপুরি ভারতের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া, নয়তো প্রাথমিকভাবে সিকিমের মতো করদ রাজ্যে পরিণত করা ভারতের লক্ষ্য বলে বহুদিন ধরেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। শেখ হাসিনাকে আরেক মেয়াদে গদিতে রাখা গেলে সে উদ্দেশ্যও সফল হবে বলে দিল্লি আশা করতে পারে।
কিন্তু তার পরিণতি সম্বন্ধে ভারতে পূর্ণ উপলব্ধি আছে কিনা পরিষ্কার নয়। বাংলাদেশের মানুষ এবং বিদেশের মিডিয়া বেশ কিছুদিন আগে থাকতেই বলে আসছে আওয়ামী লীগ পুরোপুরি গণসমর্থনহীন হয়ে গেছে। ভারতীয় মিডিয়া তো পরিষ্কার বলে দিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। এমতাবস্থায় পচন ধরা বর্তমান সরকারকে ফরমালিন ইনজেকশন দিয়ে আরও এক মেয়াদে গতিতে রাখার অর্থ হবে ভারত বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং সুসম্পর্ক রাখার ইচ্ছা পুরোপুরি পরিত্যাগ করেছে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি হবার আগে প্রণব মুখার্জী নাকি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ডকে সতর্কাবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ভারতের বিশাল সামরিক শক্তির ভয় দেখানো অবশ্যই হাসিনার সমর্থকদের একটা বড় ভরসা।
একাত্তরেও পাকিস্তানিরা তাদের সমরশক্তির ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশীদের গণতন্ত্রের আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তখন যেসব ছেলে পাকিস্তানিদের ট্যাঙ্ক ও সাজোয়া গাড়ি চলাচল অসম্ভব করে দিয়েছিল তারা এবং তাদের উত্তরসূরিরা এখনো বাংলাদেশেই আছে। আর নদীপথ ও সড়কগুলো অচল করে দেয়ার টেকনিকও হারিয়ে যায়নি। শেখ হাসিনাকে আবারও গদিতে বসিয়ে দিল্লির সরকার যদি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের শিখাটি নিভিয়ে দিতে চায় তাহলে অবশ্যই এখানে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্যের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে তারা হাত মেলাবে।
বিচ্ছিন্নতাবাদে জর্জরিত ভারত
উত্তর-পূর্বের সাত বোন নামে পরিচিত রাজ্যগুলো সুবিচারের আশা পরিত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছে চার দশকেরও বেশি আগে। ভারত তার বিশাল সমরশক্তি দিয়েও সে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেনি। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সে করিডোর নিচ্ছে সাত বোনের বিরুদ্ধে দলন প্রক্রিয়া শক্তিশালী এবং চীনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে অরুণাচলে হিমালয়ের ওপর ভারি অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর পথ সুগম করতে। শুধু উত্তর-পূর্বেই নয়, দিল্লি সরকারের সাম্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। বিহার ভেঙে ঝাড়খণ্ড হয়েছে। পাঞ্জাব সেই কবে দু' টুকরো হয়ে হারিয়ানার জন্ম দিয়েছে। ১৯৮৪ সালের সামরিক অভিযানের পরেও শিখদের পৃথক রাজ্যের দাবি মাঝে মাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। অন্ধ্র প্রদেশ মাত্র সেদিন দু' ভাগ হলো, জন্ম হলো নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানার। জলপাইগুড়ি আর দার্জিলিংকে পৃথক করে গোর্খাল্যান্ড করারও আন্দোলন হচ্ছে।
লক্ষ্য করার বিষয় যে, এগুলোর প্রত্যেকটি দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সেসব দাবিতে অনিবার্যভাবেই সন্ত্রাস ও হানাহানি হয়েছে। এই যেখানে অবস্থা সেখানে খণ্ডিত ভারতবর্ষকে আঠা দিয়ে জোড়া লাগানোর স্বপ্ন আহাম্মকেই দেখতে পারে। বাংলাদেশের তথাকথিত প্রগতিবাদী পুঁটি মাছেদের তড়পানি তার চাইতেও বড় মূর্খতা। সাত বোন দিল্লির শেকল কাটিয়ে বেরিয়ে যাবেই। সে প্রক্রিয়ায় যদি বাংলাদেশকেও ঠেলে দেয়া হয় তাহলে যে বিভীষিকা সৃষ্টি হবে দিল্লির কর্তারা এখনো সেটা বুঝে উঠতে পারেননি এবং তার সীমানা ছুঁয়ে সে রকম তোলপাড় আর উথাল-পাতাল দেখা দিলে বেইজিং নীরব হয়ে থাকবে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। খালেদা জিয়া তাঁর সিলেটের ভাষণেও উল্লেখ করেছেন যে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায়, বাংলাদেশের বন্ধু হতে চায়।
খালেদা জিয়া এখন কি করবেন?
খালেদা জিয়া এখন কি করবেন? ঈদের জন্য দেরি না করেই একটা ঘোষণা তাঁকে প্রচার করতে হবে। যে মুহূর্তে সরকার শেখ হাসিনার অধীনে একদলীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেবে সে মুহূর্ত থেকেই নতুন কোনো নির্দেশের জন্য অপেক্ষা না করে সমর্থক ও কর্মীদের লাগাতার দেশ অচল করে দিতে হবে। সে মুহূর্ত থেকে সড়ক, রেল, বন্দর, অফিস-আদালত আর দোকানপাট সবকিছু বন্ধ করে দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের নেতারা টিটকারি করেন, বলেন যে বিএনপিকে আন্দোলন করা শিখতে হবে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে। তবে তাই হোক। শেখ হাসিনার লগি-লাঠি-বৈঠার আন্দোলনের ডাকে ২০০৬ সালে অক্টোবরে বাংলাদেশকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সরকারের নতুন চমকের জন্যে দেরি না করে এখন থেকেই খালেদা জিয়া সে ঘোষণা দিয়ে রাখতে পারেন। তা না হলে আমার ভয় হচ্ছে, ক্ষমতা হয়তো চিরতরে বিএনপির নাগালের বাইরে শেখ হাসিনার বাকশালী স্বৈরতন্ত্রের হাতে চলে যাবে।
(লন্ডন, ০৮.১০.১৩)
serajurrahman34@gmail.com


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] খাদ্য ঘাটতির দেশে আজ ঘরে ঘরে খাবার, নেই কোন হাহাকার !!!!!



খাদ্য ঘাটতির দেশে আজ ঘরে ঘরে খাবার, নেই কোন হাহাকার
জামালপুরে জনসভায় শেখ হাসিনা
আজিজুর রহমান ডল, ইসলামপুর থেকে ফিরে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া জীবনে একবার ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষায় তিনি অঙ্ক ও উর্দুতে পাস করেছিলেন। বাকি সব বিষয়ে তিনি ফেল করেন। দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা কামান বলে তিনি অঙ্কটা ভাল বোঝেন। ওনার হৃদয়ে পেয়ারে পাকিস্তান। তাই তিনি উর্দুটা ভাল বোঝেন বলে উর্দুতে পাস করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জামালপুরের ইসলামপুরে আড়াই হাজার কোটি টাকার ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন শেষে ইসলামপুর পৌর মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৪ মে বেগম খালেদা জিয়া আমাকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন আমি নাকি দেশ থেকে পালিয়ে যাব। আজ (বৃহস্পতিবার) অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ। আল্লাহর রহমতে আমি এ দেশেই বহাল তবিয়তে আছি।
৫ মে জামায়াত-শিবির ও হেফাজতের কর্মীদের কোরান শরীফ পোড়ানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম মসজিদে কোরান শরীফ পুড়িয়েছে, আগুন দিয়েছিল। কোরান শরীফ পুড়িয়ে ও মসজিদে আগুন দিয়ে কীভাবে তারা ইসলামের সেবা করতে পারে। কাবা শরীফের ছবি নিয়েও তারা প্রতারণা করেছেন। এটাই কি ইসলামের সেবা?
তিনি বলেন, বিএনপির ক্ষমতায় আসা মানেই পুলিশ হত্যা, ড্রাইভার পুড়িয়ে হত্যা, মা বোনের ইজ্জত নেয়া, শিশু হত্যা করা, বোমাবাজি করা, জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করা এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ওই গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ ২২ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। হত্যা-খুন ছাড়া বিএনপি আর কিছুই বোঝে না।
শেখ হাসিনা বলেন, লুটপাট ছাড়া তারা আর কিছুই বোঝে না। উন্নয়নে বাধা দেয় তারা। এদের সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। জাতির জনকের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। অথচ খালেদা জিয়া স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে আবারও ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। বিএনপি নেত্রী ক্ষমতায় থাকাকালে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মসজিদের আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনি শোনা যাবে। আমরা '৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলাম। অথচ মসজিদে আজান হয়েছে। উলুধ্বনি হয়নি। খালেদা জিয়া মিথ্যা কথা বলাটা পেশা হিসেবে নিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হচ্ছে হত্যা-খুনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে। যে কারণে তারা ক্ষমতায় থাকতে উন্নয়ন করে না, টাকা-পয়সা লুটে খায়। অর্থ সম্পদ পাচার করে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের জন্য কাজ করে। দেশের উন্নয়ন করে। বাংলাদেশে যে খাদ্যঘাটতি ছিল আজ তা নেই। মানুষের ঘরে ঘরে এখন খাবার আছে। হাহাকার নেই। মঙ্গা নেই। চালের উৎপাদন, শাকসবজির উৎপাদন আমরা বাড়িয়েছি। নদী ভাঙ্গা মানুষের জন্য আমরা ঘর তৈরি করে দিয়েছি। টাকা দিয়েছি। যাতে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা দেয়া শুরু করেছি। দরিদ্র বাবা-মা যাতে তাদের ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি। বিনা মূল্যে আওয়ামী লীগ বই দিচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা প্রত্যেক জেলায় ইন্টারনেট চালু করেছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্যসেবা কেন্দ্র চালু করেছি। যেখানে সহজেই গ্রামের মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পায়, বিদেশে আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করা যায়। প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন করেছি। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় প্রথম শ্রেণী থেকেই কম্পিটার শিক্ষা চালু করব। জামালপুরে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। কৃষকরা মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলতে পারছেন। সারের দাম আমরা দফায় দফায় কমিয়েছি। বিনা জামানতে বর্গাচাষীরা ঋণ পাচ্ছে। বেকাররা বিনা জামানতে এক লাখ টাকা ঋণ নিতে পারছেন। বিএনপি মানেই টাকা-পয়সা লুটপাট। সন্ত্রাস, খুন ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না। খালেদার জিয়া ছেলেরা বিদেশে টাকা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। দেশের টাকা তারা চুরি করে খায়। বিএনপির কাজই হচ্ছে লুটপুটে খাওয়া।
আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েই দেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। নৌকা মার্কা ভোট দিয়েই দেশ থেকে আজ জঙ্গীবাদ দূর হয়েছে। দেশে শান্তি ফিরে এসেছে। সন্ত্রাস দূর হয়েছে। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি। দরিদ্র মা, সন্তানসম্ভাবা মাদের আমরা টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছি।
প্রধানমন্ত্রী ইসলামপুর সফরকালে জেলার সাত উপজেলায় ৮টি সেতুু, ৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি মাদ্রাসার নতুন ভবন, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রসহ ২১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ২টি কংক্রিট গার্ডার সেতুসহ ২৭টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজম এমপি, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি, ডা. মুরাদ হাসান এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজনু, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসতিয়াক হোসেন দিদার, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম সিদ্দিকীসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
টাঙ্গাইলে ধলেশ্বরী সেতু উদ্বোধন ॥ ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল থেকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। তারা দেশের উন্নয়নের জন্য বড় বাধা। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে এদেশে তখন উন্নয়ন হয়। মানুষ শান্তিতে থাকে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলেই সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, বোমাবাজি, দুর্নীতি, খুন ও নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বন্ধ হয়ে যায়। তারা ক্ষমতায় থেকে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়াতে পারেনি বরং কমিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের কথা ভেবে জনগণের জন্য রাজনীতি করে বলেই দেশবাসীর স্বার্থে বর্তমান সরকার বিদ্যুত উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন করা হয়েছে। আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে জামায়াত-শিবির ও হেফাজতকে সঙ্গে নিয়ে শত শত কোরান শরীফ পুড়িয়েছে। তারা যত ষড়যন্ত্রই করুক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে পারবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় যাদের বেড়িয়েছে, তাদের রায় এ মাটিতে কার্যকর করা হবে। এ বিচার-প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্য পূরণে মুক্তিযুদ্ধের বন্ধুদের সহায়তা কামনা করে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকারীদের চার দশকের বেশি সময় পরে বিচারের সম্মুখীন করা একটি কঠিন কাজ। তবে আমরা দৃঢ় সঙ্কল্পবদ্ধ এবং এ কাজ শেষ করার জন্য আমরা আরেকবার জনগণের সমর্থন চাই। বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিনে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নবনির্মিত সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মানেই উন্নয়ন। ধলেশ্বরী সেতুর মতো অনেক সেতু ও রাস্তাঘাট বর্তমান সরকার তৈরি করেছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৌনে ৩টার দিকে হেলিকপ্টারে দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিনে নবনির্মিত ধলেশ্বরী ব্রিজের কাছে এসে নামেন। সেখানে তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নবনির্মিত সেতুর উদ্বোধন করেন। পরে তিনি গাড়িযোগে সেতু পরিদর্শন করেন। পরে সমাবেশে এই সেতুর নাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামছুল হকের নামকরণ ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার ফলে সমাবেশে উপস্থিত সবাই করতালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। টাঙ্গাইলের সঙ্গে তিনটি জেলা ও উপজেলা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নাগরপুর, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মানুষের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো প্রায় ৫শ' ১৫ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটি। আর এ সেতুর সুফল পাবে এ অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠী। একদিকে মানুষ যেমন দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবে তেমনি যোগাযোগ, ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটবে এ অঞ্চলের জনসাধারণের। এ ছাড়া সমাবেশ থেকে তিনি ঢাকা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার ঘোষণা দেন।
ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রিয়াজ তালুকদার।



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননার পরিণতি



 
Picture

আবদুল্লাহিল হাদী মু. ইউসুফ

সম্পাদনা : ড. আবু বকর
 


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননার পরিণতি

মানব জাতির হেদায়েতের জন্য আল্লাহ্ যুগে যুগে অসংখ্য নবী এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। তাঁরা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য যথা সাধ্য চেষ্টা করেছেন। নবীগণ ছিলেন মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ট মানুষ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, প্রত্যেক নবীই তাঁর স্বজাতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকমের বাধা বিপত্তি, অবমাননার শিকার হয়েছেন।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

﴿وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوّٗا شَيَٰطِينَ ٱلۡإِنسِ وَٱلۡجِنِّ يُوحِي بَعۡضُهُمۡ إِلَىٰ بَعۡضٖ زُخۡرُفَ ٱلۡقَوۡلِ غُرُورٗاۚ وَلَوۡ شَآءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوهُۖ فَذَرۡهُمۡ وَمَا يَفۡتَرُونَ ١١٢ ﴾ [الانعام: ١١٢]

"আর এমনিভাবেই আমরা প্রত্যেক নবীর জন্যে বহু শয়তানকে শত্রুরূপে সৃষ্টি করেছি, তাদের কতক শয়তান মানুষের মধ্যে এবং কতক শয়তান জ্বিনদের মধ্য থেকে হয়ে থাকে, এরা একে অপরকে কতগুলো মনোমুগ্ধকর, ধোঁকাপূর্ণ ও প্রতারণাময় কথা দ্বারা প্ররোচিত করে থাকে, আর আপনার রবের ইচ্ছা হলে তারা এমন কাজ করতে পারত না, সুতরাং আপনি তাদেরকে এবং তাদের মিথ্যা রচনাগুলোকে বর্জন করে চলুন। [সূরা আল-আন'আম-১১২]

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন,

﴿ وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوّٗا مِّنَ ٱلۡمُجۡرِمِينَۗ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ هَادِيٗا وَنَصِيرٗا ٣١ ﴾ [الفرقان: ٣٠] 

"আর এভাবেই আমরা প্রত্যেক নবীর জন্য অপরাধীদের থেকে শত্রু করে দিয়েছি। আর আপনার রবই তো হিদায়াতকারী ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট"। [সূরা আল-ফুরকান: ৩০]

আর এই ধারাবাহিকতা থেকে আমাদের প্রিয়নবী মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও মুক্ত ছিলেন না। তাঁর উপরও নবুওয়তী জীবনের শুরু থেকে বিভিন্ন রকমের কটুক্তি, অবমাননা এমনকি তাঁর পরিবারের উপরও অপবাদ দেয়া হয়েছে।

মূলত ইসলাম এবং নবীর প্রতি হিংসার কারণেই অমুসলিমরা একাজ করে থাকে।

আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেন,

﴿إِن فِي صُدُورِهِمۡ إِلَّا كِبۡرٞ مَّا هُم بِبَٰلِغِيهِۚ ﴾ [غافر: ٥٦] 

"তাদের অন্তরে আছে শুধু অহংকার, যা সফল হবার নয়। [সূরা গাফির-৫৬]

বাস্তবে হিংসা তাদেরকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে, ইসলাম এবং নবীর কোনো ক্ষতিই তারা করতে পারে নি।

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

«ألا ترون كيف يصرف الله عني شتم قريش ولعنَهم، يشتمـــون مُذمَّماً، ويلعنون مُذمَّماً، وأنا محمد»

"তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, কীভাবে আল্লাহ আমাকে কোরাইশদের অবমাননাকর গালি, অভিসম্পাত থেকে পবিত্র রাখেন, তারা আমাকে মুযাম্মামকে (নিন্দিতকে) গালি দেয়, মুযাম্মামকে অভিসম্পাত করে[1], আর আমি মোহাম্মদ (প্রশংসিত)[2]

তারা নবীকে নিয়ে যতই কটুক্তি এবং অবমাননা করেছে আল্লাহ ততই তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন।

আল্লাহ্ বলেন,

﴿ وَرَفَعۡنَا لَكَ ذِكۡرَكَ ٤ ﴾ [الشرح: ٤]   

"আর আমরা আপনার খ্যাতিকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি। [সূরা আশ-শারহ্-৪)।

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের আযানে বিশ্বব্যাপী মসজিদে মসজিদে তাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে। মুয়ায্যিন বলছে,

«أشهدُ أن محمداً رسول الله»

(আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্) "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল।"

একজন অমুসলিম মনিষি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রশংসায় বলেনঃ

محمد هو النبي الوحيد الذي وُلد تحت ضوء الشمس

অর্থঃ মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একমাত্র নবী যার জীবনচরিত সূর্যের আলোর ন্যায় স্পষ্ট।

তাঁর অবমাননাকারীদের অবমাননা থেকে তাঁকে রক্ষার জন্য আল্লাই যথেষ্ট।

আল্লাহ্ বলেন,

﴿ إِنَّا كَفَيۡنَٰكَ ٱلۡمُسۡتَهۡزِءِينَ ٩٥ ﴾ [الحجر: ٩٥] 

"অবমাননাকারীদের জন্য আমরাই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট।" [সূরা আল-হিজর-৯৫]।

অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা ঘোষণা করেন,

﴿ أَلَيۡسَ ٱللَّهُ بِكَافٍ عَبۡدَهُۥۖ﴾ [الزمر: ٣٦] 

"আল্লাহ্ কি তাঁর বান্দার জন্য কী যথেষ্ট নন?" [সূরা আয-যুমার: ৩৬]

এই আয়াতের তাফসীরে সুদ্দী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যে কেউই রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর আনিত বিধান নিয়ে বিদ্রূপ বা অবমাননা করেছে আল্লাহ্ তাকে ধ্বংস করেছেন এবং নির্মম শাস্তি দিয়েছেন।

 যুগে যুগে যারা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে অবমাননা করেছে তাদের কেউ রক্ষা পায়নি, আল্লাহ তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন, "নিশ্চয়ই যারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে কষ্ট দেয়, তাঁকে অবমাননা করে, আল্লাহ তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিবেন, তিনি তাঁর দ্বীনকে বিজয় করবেন, আর মিথ্যুকদের মিথ্যা রটনাকে মিথ্যায় পরিণত করবেন, যদিও মুসলিমরা তাদেরকে শাস্তি দিতে না পারে।"[3]

পরিণতিঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে অবমাননা করার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। কখনও কখনও সেটা দুনিয়ার জীবনেও অবমাননাকারীর উপর নেমে আসে, আবার কখনও কখনও সেটা আখেরাতের জন্য বরাদ্দ থাকে।

আল্লাহ্ তা'আলা বলেন,

﴿ إِنَّ ٱلَّذِينَ يُؤۡذُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ لَعَنَهُمُ ٱللَّهُ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِ وَأَعَدَّ لَهُمۡ عَذَابٗا مُّهِينٗا ٥٧ ﴾ [الاحزاب: ٥٧] 

"নিশ্চয় যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ্ তাদের প্রতি দুনিয়া ও আখেরাতে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।" [সূরা আল-আহযাব: ৫৭]

আর রাসূলকে অবমাননা এবং তাঁকে বিদ্রূপ করার মাধ্যমে তাঁকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়া হয়।

আনাস (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি নাসারা ছিল সে ইসলাম গ্রহণ করল এবং সূরা আল-বাকারা ও আল ইমরান শিখল। সে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট কেরাণীর কাজ করত। সে পুনরায় নাসারা হয়ে গেল এবং বলতে লাগল মোহাম্মদ আমি যা লিখি তাই বলে এর বাহিরে সে আর কিছুই জানে না। এরপর সে মারা গেল, তখন তার সাথীরা তাকে দাফন করল, সকালে উঠে দেখল তার লাশ বাইরে পড়ে আছে, তখন নাসারারা বলতে লাগল মোহাম্মদের সাথীরা এই কাজ করেছে কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করেছিল। তখন তারা আরো গভীর করে কবর খনন করে তাকে আবার দাফন করল, আবার সকালে উঠে দেখল তার লাশ বাইরে পড়ে আছে। তখন তারা বলল এটা মোহাম্মদ এবং তার সাথীদের কাজ; কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে এসেছিল। তখন তারা আবার আরো গভীর করে কবর খনন করল এবং তাকে দাফন করল, আবার সকালে উঠে দেখল তার লাশ আবার বাইরে পড়ে আছে, তখন তারা বুঝল এটা কোনো মানুষের কাজ নয়, তখন তারা তারা লাশ বাইরেই পড়ে থাকতে দিল।[4] (বোখারী ও মুসলিম)

পরিশেষে প্রিয় পাঠক! হতে পারে আজকের এই শ্যাম বাসিল ইয়াহূদী তার আত্ম তৃপ্তির জন্য বা কোনো পক্ষের প্ররোচনায় একাজ করেছে, কিন্তু তাকে নির্মম পরিণতির শিকার অবশ্যই হতে হবে, এ যেন নিজের পায়ে নিজে কুঠার মারা। মুসলিম হিসেবে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ আমাদের অবশ্যই করতে হবে, কিন্তু তা যেন কোনোভাবেই আক্রমনাত্মক না হয়, প্রত্যেকে তার সাধ্য অনুযায়ী লিখনীর মাধ্যমে, বক্তব্যের মাধ্যমে, অন্যথায় মনে মনে এই কাজকে ঘৃণা করার মাধ্যমে।

কিন্তু কোনোভাবেই সীমালঙ্ঘন করে নয়। মুসলিমরা যেন নতুন করে অমুসলিমদের কোনো ষড়যন্ত্র বা ফাঁদে পা না দেয়, তাদেরকে আক্রমন করা বা ক্ষতি করার কোনো সুযোগ কাফেরদের জন্য তৈরী করা সমীচীন হবে না।

আল্লাহ তা'আলার কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে, তিনি যেন তাঁর দ্বীন, নবী ও মুসলিমদেরকে হেফাযত করেন।


[1] অর্থাৎ তারা যখন রাসূলকে গালি বা অভিসম্পাত দিত, তখন রাসূলের নাম 'মুহাম্মাদ' ঘৃণাভরে উচ্চারণ করত না। কারণ, মুহাম্মাদ অর্থই প্রশংসিত। প্রশংসিতের নিন্দা করা বিপরীতমুখী কথা, তাই তারা মুহাম্মাদকে 'মুযাম্মাম' বা নিন্দিত শব্দ দ্বারা পরিবর্তন করে রাসূলের বদনামী করত। তখন রাসূল বললেন, দেখ, কিভাবে তারা আমার বদনামী করতে গিয়ে আমাকে বদনামী করতে পারল না, বরং তারা মুযাম্মামের বদনামী করল, মুহাম্মাদের নয়, আর আমি তো মুহাম্মাদ। [সম্পাদক]

[2] বুখারী, হাদীস নং ৩৫৩৩।

[3] আস-সারেমুল মাসলূল, ২/৫৩৯।

[4] বুখারী, হাদীস নং ৩৬১৭; মুসলিম, হাদীস নং ২৭৮১।


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___