Banner Advertise

Friday, April 17, 2015

[chottala.com] ২০১৬ অনুষ্ঠান মালা



 


__._,_.___

Posted by: Abu Rumi <abu_rumi@hotmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] চীন ভারতকে ছিদ্র করে ফেলছে



চীন ভারতকে ছিদ্র করে ফেলছে

এবনে গোলাম সামাদ

১৮ এপ্রিল ২০১৫,শনিবার, ০০:০০



ব্রিটিশ শাসনামলে কবি দার্শনিক ইকবাল তার সাহিত্যজীবনের প্রথম পর্বে লিখেছিলেন :
সারে জাহাছে আচ্ছা হিন্দুস্তান হামারা,
হাম বুলবুলি হ্যায় ইসকা, ইয়ে গুলিস্তা হামারা।
পার্বত হো সাবছে উঁচা হামসায়ে আসমান কা,
হো সানত্রি হামারা, হো পাসবান হামারা।
টানা বাংলা করলে দাঁড়াবে, বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর দেশ হলো আমাদের দেশ, হিন্দুস্তান। আমরা হলাম এর বুলবুলি। আর এ হলো আমাদের ফুলবাগান। সবচেয়ে উঁচু আকাশছোঁয়া পাহাড় হলো আমাদের। যা হর আমাদের সান্ত্রি ও প্রতিরক।
ইকবাল যখন এসব কথা লিখেছিলেন, তখন নেপালকে মনে করা হতো ভারতের অংশ। তাই সবচেয়ে উঁচু পাহাড় মাউন্ট এভারেস্টকে নিয়ে ইকবাল করেছিলেন গৌরব; কিন্তু এখন আর এই গৌরব করা চলে না। কেননা, মাউন্ট এভারেস্ট ভারতে অবস্থিত নয়। তা অবস্থিত হলো তিব্বত ও নেপাল সীমান্তে। তিব্বতি ভাষায় মাউন্ট এভারেস্টকে বলা হয়, 'কোমোলাংমো'। এই পর্বতশৃঙ্গ পড়ে মোটামুটি তিব্বতের মধ্যে। এবং সামান্য কিছুটা পড়ে নেপাল সীমান্তের মধ্যে। চীন এখন চাচ্ছে কোমোলাংমোর মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ কেটে রেলপথ স্থাপন করতে, যা থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দূরত্ব হবে মাত্র ১৬০ কিলোমিটার। নেপাল এই ১৬০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করবে। এর ফলে কাঠমান্ডু থেকে ট্রেনে করে যাওয়া সম্ভব হবে তিব্বতের রাজধানী লাসা হয়ে বেইজিং। এই রেলপথের মাধ্যমে বিপুলভাবে বেড়ে যাবে নেপাল-চীন বাণিজ্য। ভারত যার সাথে পাল্লা দিয়ে পারবে না। বিষয়টি আমাদের জন্য মনে হয় হতে যাচ্ছে ভালো। কেননা, ভারত যদি আমাদের নেপালে যাওয়ার জন্য ট্রানজিট দেয়, তবে নেপালের মাধ্যমে বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য।
নেপালের ইতিহাস অনুশীলন করলে আমরা দেখি যে, একসময় নেপালে ছিল অনেক রাজার রাজ্যÑ যা ভারতের রাজপুতনা অঞ্চল থেকে নেপালিরা যেয়ে জয় করেন ১৭৬৮ খ্রিষ্টাব্দে। নেপালিদের ভাষা ছিল নেপালি। নেপালিরা এই ভাষা চালু করে নেপালে সরকারি ভাষা হিসেবে। নেপালদের নাম অনুসারেই দেশটার নাম হয় নেপাল। নেপালিরা ছিল হিন্দু। তারা সেখানে হিন্দু ধর্মকে সরকারি ধর্ম হিসেবে ঘোষণা করে। বলে, নেপাল হলো একটি হিন্দু রাষ্ট্র; কিন্তু নেপালের বিরাটসংখ্যক মানুষই হলো এখনো বৌদ্ধ। আর এই বৌদ্ধ ধর্ম হলো তিব্বতের অনুরূপ। নেপালের সব লোক এখনো নেপালি ভাষায় কথা বলে না। নেপালি ভাষা হলো আর্যভাষা। তা লেখা হয় নাগরী অরে। কিন্তু নেপালে বহু লোক এখনো কথা বলে নেওয়ারি ভাষায়, যা হলো বৃহৎ চীনাভাষাপরিবারভুক্ত। নেওয়ারিরা হিন্দু নয়, বৌদ্ধ। গৌতম বুদ্ধ জন্মেছিলেন নেপালের লুম্বিনী শহরে। তাই অনেকে মনে করেন গৌতম বুদ্ধ আসলে ছিলেন বৃহৎ মঙ্গলীয় মানবধারাভুক্ত মানুষ। যেহেতু গৌতম বুদ্ধ ছিলেন মঙ্গলীয় মানবধারাভুক্ত মানুষ, তাই তার ধর্ম সহজেই বিস্তারিত হতে পেরেছিল বৃহৎ মঙ্গলীয় মানবধারাভুক্ত মানুষের মধ্যে। ভারতে হিন্দু ধর্মের চাপে বৌদ্ধ ধর্ম বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু তা টিকে আছে প্রধানত মঙ্গলীয় মানবধারাভুক্ত বিভিন্ন জাতির মধ্যে।
নেপালকে আগে ঠিক একটি পুরোপুরি স্বাধীন দেশ বলা যেত না। কেননা, ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত হতো ভারতের ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক। কিন্তু নেপাল এখন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। কারণ, তার পররাষ্ট্রনীতি আর ভারতের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না, যদিও ভারত চেয়েছিল ভারতের দ্বারা নেপালে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। নেপাল হিন্দুরাষ্ট্র, কিন্তু নেপালের সাথে এখন ভারতের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। নেপালবাসী ঝুঁকে পড়ছে চীনেরই প্রতি। নেপালের সংস্কৃতি আসলে ভারতের সংস্কৃতির সাথে মেলে না। নেপালের ভাস্কর্যের ওপর রয়েছে তিব্বতের বিরাট প্রভাব। নেপালের বাড়িঘরের ওপর আছে চীনের বাড়িঘর নির্মাণের বিশেষ প্রভাব। নেপালের স্থাপত্য আর ভারতের স্থাপত্য এক নয়। প্রাচীনকালে নেপালের ব্যবসাবাণিজ্য চলেছে তিব্বতের সাথে নোলা গিরিপথ দিয়ে। এখন তা শুরু হতে যাচ্ছে রেলপথের মাধ্যমে; যে রেলপথ স্থাপিত হতে যাচ্ছে মাউন্ট এভারেস্ট বা কোমোলাংমো ভেদ করে।
নেপালের ওপর ভারত এখন আর আগের মতো চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না। কেননা, তেমন চাপ সৃষ্টি করতে গেলে বিবাদে জড়িয়ে পড়তে হবে চীনের সাথে। চীনের সাথে ১৯৬২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে হয়েছিল সীমান্তসংঘর্ষ। এই সংঘর্ষে ভারত পরাজিত হয়েছিল খুবই করুণভাবে। চীন তার দাবি অনুসারে দখল করে নিয়েছে পূর্ব ও পশ্চিমে উভয় সীমান্তে ২৪০০০ বর্গকিলোমিটার, যা সে ভারতকে ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক নয়। আর ভারতের পওে সম্ভব নয়, সামরিক অভিযান চালিয়ে চীনের কাছ থেকে এই জায়গা দখল করে নেয়া। নেপালে তাই চীনের প্রভাব বাড়লে ভারতের পে নেপালকে আর ধমক দেয়া সম্ভব নয়। নেপাল আর এখন ভারতের বলয়ভুক্ত কোনো রাষ্ট্র নয়। নেপালে ভারতের প্রভাব কমার একটা অর্থ দাঁড়াবে বাংলাদেশেও ভারত লবির প্রভাব-প্রতিপত্তি আর আগের মতো বজায় না থাকা।
বাংলাদেশ সার্ক গঠনে উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রধানত তারই উদ্যোগে নেপালের রাজধানীতে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে সার্কের সদর দফতর। যেহেতু কাঠমান্ডু হয়েছে সার্কের সদর দফতর, তাই এই অঞ্চলের রাজনীতিতে বেড়ে যেতে পেরেছে নেপালের ভৌগোলিক গুরুত্ব। চীন একসময় চেয়েছিল নেপাল, সিকিম ও ভুটানকে একত্র করে একটি হিমালয়ান কনফেডারেশান গড়তে। ভারত এটা হতে দিতে চায় না। তাই সে দখল করে নেয় সিকিম। কিন্তু নেপাল ও ভুটানকে দখল করেতে পারে না। কেননা, রাজ্য হিসেবে নেপাল ও ভুটান ছিল অনেক বেশি স্বাধীন; ঠিক সিকিমের মতো আশ্রিত নয়। চীন বহু দিন সিকিমকে ভারতের অংশ বলে মানতে চায়নি; কিন্তু এখন সে সিকিম নিয়ে থাকছে নীরব। তার প্রধান ল্য হয়ে দাঁড়িয়েছে নেপালকে পে পাওয়া। আর এভারেস্ট পর্বত ভেদ করে রেলপথ স্থাপন করলে এ েেত্র চীন পেতে পারবে একটা বড় রকমের সাফল্য। চীনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ কেটে তারা রেলপথ নির্মাণ করতে পারবেন মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে। সুড়ঙ্গ কেটে রেলপথ করা এখন আর আশ্চর্য কিছু হয়ে নেই। ইউরোপের আল্পস পর্বতমালা ভেদ করে রেলপথ স্থাপিত হয়েছে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে। এখন এ বিষয়ে মানুষ যথেষ্ট অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পেরেছে। চীন এই অভিজ্ঞতাকে সহজেই তার কাজে লাগাতে পারবে।
এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গ একসময় ছিল সমুদ্রের নিচে। পরে ঘটতে পেরেছে তার উদ্ভব। এর প্রমাণ পাওয়া চলে এভারেস্ট পর্বতমালার উপরিভাগে পাওয়া প্রবালপথর থেকে। এভারেস্টের উপরিভাগে অনেকখানি হলো চুনাপাথর। কিন্তু এই চুনাপাথর সহজেই য় হতে পারে না। কেননা, তা ঢাকা থাকে বরফের দ্বারা। যাকে বলে হিমালয় পর্বতমালা, তাতে রয়েছে অনেক রকম পাথর। এভারেস্টের গোড়ার এবং মাথার পাথর একই রকম নয়। গোড়ার পাথর হলো রূপান্তরিত শীলা, যা খুবই শক্ত। কিন্তু এখনকার কৃত কৌশলে যাকে কেটে সুড়ঙ্গ করা মোটেও কঠিন কাজ নয়। যেহেতু এভারেস্টের নিচের শীলা রূপান্তরিত কঠিন শীলা, তাই তা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাও কম সুড়ঙ্গ কাটতে যেয়ে। চীন বলছে, সে এই সুড়ঙ্গ কাটতে যাচ্ছে নেপালের বিশেষ অনুরোধে। কেননা, নেপাল যাচ্ছে চীনের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে। ভারত এটাকে ভালো চোখে দেখছে না। কিন্তু আপাতত ভারতের এ েেত্র কিছু করণীয় নেই। কেননা, নেপাল এখন আন্তর্জাতিকভাবে একটা স্বীকৃত স্বাধীন দেশ। সে যেকোনো দেশের সাথে স্বাধীনভাবে যেকোনো রকম চুক্তি করতেই পারে।
লেখক : প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট



__._,_.___

Posted by: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] উলঙ্গ চেতনার প্রতিরোধে ‘জঙ্গি’-সভ্যতার বিপ্লব কি আসছে?



17 Apr, 2015

উলঙ্গ চেতনার প্রতিরোধে 'জঙ্গি'-সভ্যতার বিপ্লব কি আসছে?

 
রেজাউল করিম রনি

"নারী তার বয়স কতটা হয়েছে তা নির্ধারণ করে পুরুষরা তার শরীরের প্রতি কতটা আগ্রহ বা অনাগ্রহ দেখায় তার ভিত্তিতে। এতে মর্মাহত হওয়া কি খুব হাস্যকর হয়ে উঠবে না?" -মিলান কুন্দেরা, অত্মপরিচয় পৃষ্ঠা-২৬, অনুবাদ: উদয়শংকর বর্মা। এটা কোন নারী তা কুন্দেরা বলেন নাই। এটা আধুনিকতার বিকারের আটকে যাওয়া নারী। সব নারীকে এই প্রেমে দেখা যাবে না।

তার পরে ভায়োলেন্স হলে.. বা তাঁর যৌনতাকে অবৈধ ক্ষমতার সোনার ছেলেরা খোলা ময়দানে পাইতে টাইলে আমরা প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠি। অতি মধ্যবিত্তপনার কারনে, সব কিছুকে নিজেদের আনন্দ-বিনোদনের একচেটিয়া বাজারে পরিণত করার ফলে এবং জাতীয় চেতনার দীল্লীয়রুপান্তরের ফলে বাংলার অদি সমাজের, আমাদের নিজস্ব যে ব্যাসিক এথিক্যাল অর্ডার আছে তা ভেঙে পড়তেছে -সেই তর্ক না করে পুলিশের দোষ খুঁজি! হাস্যকর। অন্য দিকে বাঙালি সংষ্কৃতির ধর্ষকামিতা উদাম হয়ে যাওয়ার পরে প্রগতীশীল বিলাপ কৌতুকের মতো বাঁজতে থাকে চারপাশে।

ভুভুজেলার বিকট চিৎকার যেমন ভাবে নারীর অর্তচিৎকার আড়াল করে ধর্ষণকে নিরাপদ করে তুলে তেমনি ভাবে বামাচারী ও নারীবাদি হুজুগও নারীকে আরও ভালনারেবল/ অসহায় করে তুলে।

নারীবাদিরে কথা বলছি এই জন্য যে, এইসব শহুরে নারীবাদিরা রাজনীতি ও ক্ষমতার প্রশ্নকে ভুলে ভোগবাদি পন্য সংষ্কৃতির আদর্শের ভিতরে খারায়া নারী স্বাধীনতা নারী স্বাধীনতা বলে চিল্লায় আর ধর্ষণের পরিবেশকে ঘনায়িত করে তুলে। আইডেনটিরি একটা পলিটিকস আছে। ফলে আইডেনটিটির ভায়োলেন্সও আছে। সেটা যেমন ফ্যামিনিন/নারীময় রুপে হাজির হতে পারে আবার ম্যাসকুলিন/ব্যাটাগিরি রুপেও দেখা দিতে পারে। কিন্তু নারীবাদিরা খামখা পুরুষকে শত্রু মনে করে। এই লিঙ্গভিত্তিক শত্রুতা আবিস্কার নারীকে আরও বিপদগ্রস্থ করে তুলে।

কাজেই আমাদের দেশের এলিটিস্ট নারীবাদ ধর্ষণ সংষ্কৃতি কে উৎসাহিত করা এবং এনজিও ফান্ড আনা ছাড়া আর কোন কাজে আসছে না। ছাত্র লীগের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে এইসব প্রগতী অন্ধরা কোন পজিশন নিবে না। খালি গালি দিবে হুজুরদের। যারা পর্দার কথা কয় এরা নাকি বর্বর? এই হলো কানাদের বিচার। অবৈধ সরকারের জারজ পান্ডাদের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক প্রতিরোধ এরা করবে না। এটাই তাদের পলিটিক্যাল সার্কেল। সো এই যে প্যারাডকস/বিভ্রম তৈরি করে নারীবাদিরা ফাও বিপ্লবীপনা করে তার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এটাকে বুঝতে না পারলে বিপদ আরও বাড়বে। ছাত্র ইউনিয়ন টাইপের বাপপ্রতিক্রিয়াশীলরা সমাজের নিজস্ব এথিক্যাল গঠন না বুঝে নারীকে ইউরোপের মতো আধুনিক হতে বলে.. ফলে নারী সম্মান পাইবার চোরাবালিতে পা দিয়ে নিজেরে 'স্বাধীনভাবে' পথে নামায়। আর তখন ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা 'পশ' মেয়েদের খোলা শরীর নিয়ে একটু আমোদ নিতে চেষ্টা করে। ফলে এই ঘনটায় প্রগতীবিদ প্রতিবাদের রেজাল্ট হলো অশ্বডিম্ব। এরাই এইসব নারীদের গোন্ডাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আর অদ্ভুত ভাবে এই ছেলেদের এখন কিছু সেকালুর পন্ডিত হিরো বলছে। এরা হিরো না এরা এই মেয়েদের দানবের ভোগের মুখে ছেড়ে দিয়েছে নিজেদের অলক্ষে।

সংষ্কৃতি চেতনা দিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে মোকাবে করার এই হাস্যকর বিরদের নিয়ে আমরা কই যাবো? এই খোলা সংষ্কৃতির বাজারিদের অবদানের ফসল লুটে খায় 'অনকালচার' লীগ পুলাপান। এরা গ্রাম্য। এরা রবীন্দ্র সঙ্গিত জানে না। অমিত-লাবন্য টাইপের মিটিমিটি প্রেম করতে পারে না। সুন্দর 'মান' বাংলায় কথা বরতে পারে না। এরা হয়তো গোপালি, এরা অনেক খ্যাত, এরা স্মার্টলি বান্দবী বাগাতে পারে না। এরা লিভটুগেদারের মতো অধুনিক না। চোখের সামনে যৌন বৈষম্য এরা কেমনে মানবে? সংষ্কৃতি নাই তাতে কি ক্ষতা তো আছে.. সো ল্যাংটা করতে তো সমস্য নাই। একদিনই তো। প্রতি দিন তো তোমরাই করো। এই হল হিংসার হিসাব। কিন্তু যখন দেখে তাঁদের সংস্কৃতি কর্মিরা ( বামরা লীগের সংষ্কৃতি কর্মি বৈ তো নয়) এতো বড় খোলাবাজার তৈরি করছে তখন সে এটা নিজের মনে করে হামলে পড়ে। তা না হলে ৪০ মিনিট ধরে রাস্তার মধ্যে উলঙ্গ শরীর দেখার 'বিকার-সুখ' কোন ভাবেই সম্ভব না। তাও ঢাবিতে। আবার তখন চিৎকার করে বলছিল, হালা এই জিনিস প্রতিদিন পাবি না ভিডিও করে রাখ… এই যে ঘৃণা মিশ্রিত কামনা এর একটা ভয়াবহ যৌনহিংসার দিক আছে। এটা সমাজের হায়ারাকির মধ্যে তৈরি হয়। ফলে 'গ্রাম্য' যুবক ( লীগের বেশির ভাগ পুলাপান সাবঅল্টার্ন বা প্রান্ত শ্রেণী থেকে এসেছে, নেতারা না কিন্তু) পথে সুযোগ পাইলে এলিট শরীর খুবলে খায়। এটা তখন যৌন সন্ত্রাসের অতিরিক্ত হয়ে ওঠে। আপনি যদি জিগান তখন সেই যুবক জবান দিবে যে মেয়ে বব কাট দিয়ে শীরর দেখায় ঘুরে তারে তো মেয়ে মনে করা ঠিক না। তোরে সে নটি মনে করে। কিন্তু নটির কোন অধিকার সে দিবে না। জোর কররে যা তা করবে। আর সুশীল রা নটির অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবে। দেখা যাবে সেই গ্রাম্য পুলা ক্ষমতা শ্রেণীর সাথে থাকলেও সে 'গোড়া' যুক্তি দিয়ে নিজের অপকর্ম জাস্টিফাই করতে চায়। সেদিন টিভিতে এটাই বলতে চাইছিলাম যে, এই ধরণের যৌন সন্ত্রাসের একটা ক্লাস রুপ ( নট ইকোনোকিম ক্লাস, এটা অনেক বেশি কালচারাল ক্লাস) আছে। এটাকে সুশীল-এলিট সংস্কৃতি দিয়ে চিনা যাবে না। এই ঘটনার জন্য দায়ী সংষ্কৃতি ব্যবাসায়ীরাও। যারা গ্রাম বাংলার উৎসবটাকে শহরের হিন্দিগানের মজবা করে তুলছে। এর রেডিক্যাল অংশ যেমন ছায়া নট যতই রবী-ঠাকুরীয় আদর্শ মতো এটা পালন করতে চান না কেন তা উনাদের দখলে নাই। দিল্লীর মাইর তাদের চিন্তার বাইর। এরা অনেক নিরিহ হয়ে গেছে করপোরেট জমানায়। আর্ট-কালচারের নামে এরা ব্যাসিকেলি ইজ্জত লুটার প্রকল্পই হাতে নিছে। এগুলাও আমার বলবার কথা না। আমি বলতে চাইছি অন্য কথা।

আপনি সংষ্কৃতি চেতনার নামে বল্পাহারা ভোগের সুযোগ তৈরির যে আরবান আয়োজন করছেন তাতে খোদ সংষ্কৃতিটাই একটা ধর্ষকামির চরিত্র পাইতেছে। আর যখন এটাকে ধর্মমতের ভিত্তিতে মানুষজন অস্বীকার করছে তখন আপনি তাদের জঙ্গি বলছেন। মানুষ নীতি বলে খ্রিস্টান নীতি বা পশ্চিমা হিউম্যানিজব বুঝে না। আমাদের এখানে এটা ইসলামের নীতির দিকে তাকিয়েই ঠিক করা হয়। ফলে এখানে ধার্মিকতার সাথে নৈতিকতা যুক্ত হয়ে ফাংশন করে। অনৈতিক ধার্মিক সমাজে যে না্ তা না। কিন্তু সে আরও ঘৃণ্য। ( যারা বৈশাখী অনুষ্ঠানের বিরুধীতা করে এরা জঙ্গি-ইনু) তো এই জঙ্গিরা যে আশংকা করছিল তা তো আপনার সংষ্কৃতি চেতনা সত্য সত্য ঘটাই দেখাইল। সারা দেশে কম বেশি এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের কমবেশি উলঙ্গ করা হইছে। কিছু জানা গেছে কিছু জানা যায় নাই। তো সমাজের এই যে বিকারপ্রাপ্তি, এটাকে তো মানা যায় না, লোকে মানবে না। কারণ সমাজে সব ছাত্রলীগ বা প্রগতীচেতনার অংশ না। এর বাইরে সমাজের একটা এথিক্যাল বনডেজ বা নৈতিক বন্ধন আছে। ধর্মমতের ভিন্নতার বাইরেও একটা নৈতিক বন্ধন আছে। দেখবেন হিন্দু মেয়েরাও স্বাভাবিক পর্দা করে চলে জনসমাজে।

এই বনডেজ টিকাই রাখছে সাধারণ জনমানুষ। অবশ্যই এটা ধর্মচেতনার অংশ হিসেবেও মানুষ চর্চা করে। এখন মূলধারা সংস্কৃতি পালন করতে গিয়ে মেয়েরা রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে যাবে সে এটা মানবে কেন? সে তো প্রতিরোধ করবে। এবং এই প্রতিরোধের ফর্মটা হবে রক্তাক্ত। উলঙ্গ চেতনার প্রতিরোধে এটা হবে জঙ্গিপনার বিপ্লব। এবং জনগন তাদের সাপোর্ট দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। মনে রাখবেন, রাজনীতি মানে নৈতিক এজেন্সি। নৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই রাজনীতিকে জনগনের সাথে মিশায় 'গণ' করে তুলে। যা হোক সে প্রতিরোধ করবে, করছেও। এখন তার প্রতিরুধ আরও শক্ত হবে। জনভিত্তি পাবে। আর তখন লড়াইটা একটা জেহাদি রুপ নিবেই। কারণ তার কথার কোন মেরিট আপনি স্বীকার করেন না। তারে স্বীকারের কোন জরুরত আপনি ফিল করেন না। বরং তখায় কথায় তারে পশ্চাদপদ, জঙ্গি ইত্যাদি বলেন। আর তাদের নিয়া একদল ক্লাউন বুদ্ধিজিবি ব্যাবসাও করে। সারা দিন ডুগডুগি নিয়ে ঝুটি মোরগের মতো নাচে আর ইসলামী বিপ্লবের নসিহত করে! এখন আপনার মূল ধারা সংষ্কৃতির ধর্ষকামিতার বিরুদ্ধে তার যে প্রতিরোধ এটা হবে নয়া গণযুদ্ধ। সংক্ষেপে কইলাম।

শেষ করি পুরানা কথা বলে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক মুক্তি দূর কল্পনার বিষয় হয়ে রইলেও সংস্কৃতির প্রশ্নে রক্তাকক্তি শুরু হয়ে গেছে…এটা আরও ভয়াবহ রুপ নিবে আগামীতে।

দ্র. কুন্দেরার লেখা পড়তে পড়তে হাল্কা কমেন্ট। জানি প্রচুর দ্বিমত আছে। থাকবে। এটা আমার সংক্ষেপিত কমেন্ট। ফাইনাল কোন মতামত না। এই ইস্যু নিয়ে আমার বই 'যৌন রাজনীতির সামাজিক ব্যাকরণ' কে আমারর মতামত ধরা যাবে। বইটা এখনও প্রকাশিত হয় নাই। এটা ছাপতে অনুমতি লাগবে না। বানান দেইখা ছাপলেই হবে। সবাইকে ধন্যবাদ।
উৎসঃ   এস নিউজ


__._,_.___

Posted by: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] FW: {PFC-Friends} Re: Memory lane :ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস




 

Date: Fri, 17 Apr 2015 21:31:45 +0600
Subject: {PFC-Friends} Re: Memory lane :ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস
From: bdmailer@gmail.com
To:

মুজিবনগর সরকারের অন্দরে…

   আফসান চৌধুরী

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুজিবনগর সরকার গঠন একটি বিরাট ঘটনা যেটা স্বাধীনতা অর্জনে মূল ভূমিকা পালন করেছিল। তবে এই সরকার গঠন, পরিচালনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে জটিলতা সৃষ্টি হয় সেটিও উপেক্ষা করা ঠিক নয়। কেননা বিভিন্ন বাধা-বিপত্তিও আমাদের ইতিহাসের অংশ। এটাও স্মরণ রাখা দরকার যে, এই ক্রিয়াকাণ্ডে শেখ মুজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন না, যার ফলে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বসমূহ সামনে চলে আসে। তাই তাজউদ্দিন আহমদ এই সময় তাঁর যুদ্ধসঙ্গী ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলামকে একটি কথা বলেছিলেন, "আপনি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন রাজনীতি জানেন না, সরকার গঠন করার প্রয়োজনীয়তার কথা বুঝি, কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য নেতাদের অনুপস্থিতিতে সরকার গঠন করে নাজুক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে।"এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি এসেই কেবল ভারতে আওয়ামী লীগের সকল নেতৃবৃন্দ একত্রিত হতে পেরেছিলেন।
১০ এপ্রিল তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে বক্তৃতা দেন তা কিন্তু সহজে বা সরলভাবে দেওয়া হয়ে ওঠেনি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাবার পর তাজউদ্দিন আহমদের সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোলক মজুমদারের যোগাযোগ হয়, যার মাধ্যমে তাঁর দিল্লি যাবার ব্যবস্থা করা হয়। ৪ এপ্রিল তাজউদ্দিন আহমদ ও ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। ইন্দিরা তাঁর কাছে জানতে চান শেখ মুজিব কোথায় ও কেমন আছেন। তাজউদ্দিন বলেন যে, দেশছাড়ার পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, কিন্তু তিনি যুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পরবর্তীতে ভারত সরকার শেখ মুজিবের অন্তরীন হওয়ার ব্যাপারটি জানিয়ে দেন তাঁকে।
ভারত সরকারের জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক করা প্রয়োজনীয় ছিল। বিচ্ছিন্ন কয়েক জনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা তাদের জন্য অসুবিধাজনক হত। এ বিষয়ে একমত হওয়ায় সে সময় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১০ এপ্রিল তাজউদ্দিন যে বক্তৃতা দেন, তার রচনায় হাত দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, অধ্যাপক রহমান সোবহান ও অধ্যাপক আনিসুর রহমান সে সময় দিল্লিতে পৌঁছান এবং সবাই মিলে যোগাযোগ ও আলাপ-আলোচনা চালাতে থাকেন।
কলকাতায় ফিরে এসে সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বগুলো সামনে চলে আসে। এই দ্বন্দ্বে মূল দুই ব্যক্তিত্ব হলেন, তাজউদ্দিন আহমদ এবং যুবলীগ প্রধান ও শেখ মুজিবের ভাগিনা শেখ মনি। শেখ মনি সরকার গঠনের বিরোধিতা করে বলেন যে, একটি বিপ্লবী সংস্থা দরকার, সরকার নয়। বর্তমান কাজ যুদ্ধ করা, প্রশাসন নয়।
এর মধ্যে অন্যান্য আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, যেমন, কামরুজ্জামান কলকাতায় পৌঁছে যান। তিনি প্রথমে সরকার গঠনের বিরোধিতা করলেও পরে মত দেন। কলকাতার প্রিন্সেপ স্ট্রিটে একটি অফিসে তাঁরা জড়ো হয়ে সভা করেন। বিরোধীদের অন্যতম ছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী যিনি পরে আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন জাতীয় পার্টিতে। কিন্তু আলোচনা করতে গিয়ে সরকার গঠনের বিরোধিতা অনেকটাই নমনীয় হয়ে যায়; কারণ সবাই বুঝছিলেন যে, 'বাংলাদেশ সরকার' না হলে ভারত সরকারের ভূমিকাও সীমিত হয়ে যাবে।
শেষ পর্যন্ত এমপিদের মতামত তাজউদ্দিন আহমদের পক্ষে যায়। কিন্তু তিনজনের মত তখনও পাওয়া যায়নি; তারা হলেন, খন্দকার মোশতাক, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম। পরে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরকার গঠনের পক্ষে রায় দেন। সিদ্ধান্ত হয় যে, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি করা হবে এবং শেখ সাহেবের অনুপস্থিতিতে তিনিই হবেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি। ধারণা করা হয়, এর ফলে সরকার গঠনে তাঁর আপত্তিও থাকবে না।
বাকি থাকেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তবে ১০ এপ্রিলের পর। তিনি খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন এ বিষয়ে, তাই প্রথমে মন্ত্রিসভার সদস্যপদ নিতে রাজি হননি। পরবর্তীতে তিনি যোগদান করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে, যে পদ তিনি চেয়েছিলেন। এর পরে এই দ্বন্দ্বসমূহ সাময়িকভাবে কমে যায়।
কিন্তু তাজউদ্দিন আহমদের প্রধান বিরোধী ছিলেন শেখ মনি, খন্দকার মোশতাক নয়। ১০ এপ্রিল তাজউদ্দিনের বক্তৃতা প্রচার করার কথা এবং সেভাবেই রেকর্ড করা হয়। কিন্তু শেখ মনি এতে আপত্তি করেন এবং প্রচার না করতে তাজউদ্দিন আহমেদকে বলেন। ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম বলেছেন:
"সরকার গঠন করার ব্যাপারে ভারত সরকারকে আমরা আশ্বাস দিয়েছি, তাতে বিলম্ব হলে আমাদের উপর সন্দেহ পোষণ করবে ওরা।"
কিন্তু শেখ মনি তাজউদ্দিনকে জানিয়েছিলেন যে, তারা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অতএব তাদের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কারও প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। তাজউদ্দিন আহমদ এটা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল ভারত সরকারের অস্বস্তি এবং কিছুটা হলেও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অতএব, তাঁরা বাজিয়েছিলেন রেকর্ড করা ক্যাসেট। তাঁদের আলাপচারিতায় বোঝা যায় যে, তাঁরা বাংলাদেশের যুদ্ধকে নিজেদের যুদ্ধ হিসেবেও নিচ্ছেন। অতএব, দলের অভ্যন্তরীন কোন্দল, যেটা পরবর্তীতে সংকট ও সমস্যা তৈরি করে, সেটা সামাল দেওয়ার চেষ্টাও ভারত সরকার করেছিল তাদের নীতির স্বার্থে।

তাজউদ্দিন আহমদের বক্তৃতা প্রচারিত হয় ১০ এপ্রিল। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয় ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১। যে দ্বন্দ্বগুলোর কথা আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পারি তার প্রভাব গোটা যুদ্ধের উপরে পড়েছিল। আওয়ামী লীগ বা মুজিবনগরের ভেতরে চারটি প্রধান ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী অংশকে দেখা যায়।
প্রথম ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, যার প্রতি দলীয় সমর্থন কম ছিল, কিন্তু তিনিই ছিলেন সুসংগঠক। এ কারণে মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তাবৃন্দ তাঁর পক্ষে ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রশাসনিক দায়িত্বসমূহ তিনি সুষ্ঠুভাবে পালন করেন। ভারত সরকারের যে অংশ তাঁকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দেয়, তারা হচ্ছেন সোভিয়েতপন্থী আমলা ও রাজনীতিকবৃন্দ, যারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন; যেমন, ডি পি ধর, পি এন হাকছার প্রমুখ, যারা একাত্তরে ভারতে ক্ষমতার বেসামরিক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন।
দ্বিতীয় ক্ষমতার ঘাঁটির নেতা ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি, যিনি নিজেকে শেখ মুজিবের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে দেখতেন। স্বাধীনতার পরবর্তীতে এই বিষয়টি আরও প্রতিষ্ঠিত হয়। তাজউদ্দিন আহমদ শেখ সাহেবের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেও, ক্ষমতার পরিসরে শেখ সাহেবের পরেই শেখ মনি নিজের অবস্থান সংহত করেন। অতএব তিনি যদি ভেবেই বা বলেই থাকেন যে, শেখ মুজিবের বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট ব্যক্তি তিনি, সেটা ভাবার কারণ রয়েছে।

তৃতীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন সিরাজুল আলম খান, যিনি আওয়ামী লীগের ভেতরে বাম অংশের নেতৃত্ব দিতেন ১৯৬২ সাল থেকে। তিনি শেখ মনির মতো শেখ সাহেবের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ নেতাদের বাদ দিয়ে সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন। কিন্তু সরকার গঠন বা এ ধরনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না। পরবর্তীতে অবশ্য অবস্থা পাল্টে যায়। স্বাধীনতার পরে তিনি জাসদ প্রতিষ্ঠা করেন।
চতুর্থ ক্ষমতার কেন্দ্রে ছিলেন খন্দকার মোশতাক। তিনি শেখ সাহেবের সহপাঠী ছিলেন এবং মনে করতেন যে, মুজিবনগর সরকারের প্রধান তারই হওয়া উচিত, জ্যেষ্ঠতার কারণে। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাবার পর নিজেদের একটি ছোটখাট গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। খন্দকার মোশতাককে সমর্থন দিচ্ছিলেন ভারত সরকারের মার্কিনপন্থী অংশটি। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা অশোক রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয় মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য, যিনি সম্ভবত মার্কিন অংশের কাছাকাছি ছিলেন। তিনি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন:
"একজন সংগঠক হিসেবে খন্দকার সাহেব দারুণ লোক ছিলেন। যতদূর আলোচনা হয়েছে, উনি কোনো রকম পক্ষ দেখাননি। আমেরিকার সিআইএএর লোকেরা ওকে যোগাযোগ করতে পেরেছিলেন। আমাদের যে ইন্টেলিজেন্স চিফ ছিলেন কলকাতায়, তার মতে, খন্দকার সাহেব কিছুই বলেননি। শ্রীমতি গান্ধী তখন ডি পি ধরকে বাংলাদেশের ব্যাপারটা হ্যান্ডেল করতে বলেছিলেন। তাকে বোঝানো হয়েছিল যে, খন্দকার সাহেবকে সরিয়ে যদি আবদুস সামাদ আজাদকে বসানো যায় তাহলে ভালো হবে, উনি আমাদের লোক, যা বলব তাই করবে। খন্দকার ডানপন্থী লোক ছিলেন ঠিক, কিন্তু আওয়ামী লীগ অ্যান্টি-কমিউনিস্ট পার্টি। কাজেই আমার যেটুকু মনে হয় তা হল, তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির ষড়যন্ত্রের শিকার।"

১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার ও আওয়ামী লীগের ভেতরে নানা বাধা-বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়া ছিল স্বাভাবিক। এর মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য। একটি হচ্ছে, খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাদাভাবে যোগাযোগ করা, যেটা ভারত সরকারের উপরও প্রভাব ফেলে। খন্দকার মোশতাক আওয়ামী লীগের এমপি জহিরুল কাইয়ুমের মাধ্যমে এ যোগাযোগ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাকের বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এই বিচ্ছিন্নভাবে গড়ে তোলা যোগাযোগের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় এবং তার সফর বাতিল করা হয়। বলা হয়ে থাকে এই কারণে তার মন্ত্রিত্ব চলে যায়।
খন্দকার মোশতাকের একান্ত সচিব ছিলেন কামাল সিদ্দিকী, তিনি লিখছেন:
"সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের দিকে খন্দকার মোশতাক মুজিবনগর সরকারের ভেতরে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ ছিল যে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করছিলেন। … তখন থেকে তিনি প্রায় গৃহবন্দি ছিলেন। একবার তিনি গঙ্গার পাড়ে সান্ধ্যভ্রমণের অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তা নাকচ করে দেন।"

যে কারণে মার্কিনিদের একজন ডানপন্থীর সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার আগ্রহ হয়েছিল, সেটি হচ্ছে মুজিব বাহিনীর সৃষ্টি। মার্কিনিদের ভাবনা ছিল, এত সংখ্যক প্রশিক্ষিত 'বামপন্থী' যদি বাংলাদেশে ফেরত যায় তাহলে মার্কিনি প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়বে ওই অঞ্চলে। অর্থাৎ, বাম ঠেকাতে তারা ডানদের প্রশ্রয় দিয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয়। মজার বিষয় হল, ভারত সরকারের মুজিব বাহিনী গঠন করার অন্যতম কারণ ছিল, ভারত ও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান চরম বাম বা নকশালপন্থীদের ঠেকানো। মুজিব বাহিনীই ছিল তাজউদ্দিন সরকারের প্রধান 'বিকল্প' শক্তি। প্রশাসনের সোভিয়েত সমর্থনপুষ্ট তাজউদ্দিন আহমদ ভাবেননি যে, এই সরকার এমন একটি বাহিনী গঠন করবেন যেটি মুজিবনগর সরকারের সরাসরি অধীনস্ত নয়।
ছাত্র ও যুবলীগের শেখ মনি ছিলেন ডানপন্থীদের এবং সিরাজুল আলম খান ছিলেন বামপন্থীদের নেতা। তারাই ছিলেন তরুণদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু মুজিবনগর সরকারের উপর তাদের প্রভাব ছিল না। মুজিবনগর সরকার ভারতকে এক লাখ প্রশিক্ষিত গেরিলা তৈরি করার কথা দিয়েছিল। প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল ওসমানীকে বলেন যে, তারা এই 'সূর্য সন্তান'দের জোগাড় করে দেবেন।
তখন বাংলাদেশ সরকার একটি 'অনুমতি চিঠি' (Letter of authorization) দেয়, যার ভিত্তিতে মুজিব বাহিনী গঠন একটি সরকারি কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়, যদিও সেই সরকারের কোনো খবরদারি ছিল না। নেতৃত্বে চলে আসেন সিরাজুল আলম খান ও শেখ মনি এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন মুক্তিযোদ্ধারা আওয়ামী লীগের ভেতরে একত্রিত হন তাদের অধীনে।
এই বাহিনী গঠন তাজউদ্দিন ও তাঁর সমর্থকদের জন্য একটি মর্মপীড়ার কারণ ছিল, যেহেতু সরাসরি তাঁরা মুজিবনগর সরকারের বাহিনী ছিল না। অনেকেই তাঁদেরকে বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বগুলোর দিকে তাকালে তাঁদের জন্ম ও ভূমিকা বুঝতে সহজ হয়।
তথ্যের দিক থেকে এটা পরিস্কার যে, মুজিবনগর সরকার, যার অধীনে ছিল নিয়মিত বাহিনী ও গণবাহিনী, যে দু'টি মিলিয়ে হচ্ছে মুক্তিবাহিনী, তার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল ভারত সরকার। মুজিব বাহিনী, যেটা মুজিবনগর সরকারের এক ধরনের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়, তারও পৃষ্ঠপোষক ছিল ভারত সরকার। এই সরকার কেবলমাত্র মুজিবনগর সরকারের উপর নির্ভর করাটা যুক্তিযুক্ত মনে করেনি বলে মনে হয়। তাই মুজিব বাহিনী গঠন করে। খন্দকার মোশতাকের প্রচেষ্টার পৃষ্ঠপোষক ভারতীয় সরকার ছিল না, তাই তারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
আসলে তখন ভারতের সরকার ও রাজনৈতিক মহলের ভেতরও বিভিন্ন দ্বন্দ্ব ছিল, তার কিছুটা প্রভাব মুজিবনগর সরকার ও মুজিববাহিনীর উপরও এসে পড়ে। কিন্তু ভারতের যুদ্ধ আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এক ছিল না। তাই উভয় পক্ষ মিলিতভাবে অনেক ক্ষেত্রে কাজ করলেও, দু'পক্ষের ভাবনা, উদ্দেশ্য ও প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য ছিল।
লেখক: সাংবাদিক ও অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
http://dnewsbd.com/76798.dnews


2015-04-17 10:16 GMT+06:00 Isha Khan <bdmailer@gmail.com>:
Memory lane: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস


১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ



--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.


__._,_.___

Posted by: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] Re: {PFC-Friends} RE: {NA Bangladeshi Community} নববর্ষ উদযাপনকালে যৌন সন্ত্রাস চলেছে



WHO IS TO BLAME FOR POLICE INACTION AND THE ATTACK ON WOMEN?

No,no, no, Bangladesh situation is different from India and other countries. In Bangladesh it is due to police inaction to crimes committed by the Awamis because Bangladesh has been ruled by the Awami ideology of Mujib's cadre politics.

No one is safe here except the Awamis and the Awami cadres. Unfortunately, police gets salary from the state but it protects the Awamis only. If the Awami criminal Chatro Leagures were caught, they have "Boro bhais"(big brothers)  to help release them.
This was a culture " bhai" favoritism culture Mujib introduced in Bangladesh. Those who lived through Mujib's short rule must have seen it and it continues to happen during Hasina's BKSAL2 reign.
Fascism is about cadre politics. We fail to understand that Bangladesh is going through a home grown fascism first established by Mujib.


On Fri, Apr 17, 2015 at 7:42 AM, Zoglul Husain <zoglul@hotmail.co.uk> wrote:
Thank you, Ali Shaheen and Dr. Fatima Ashrafi, for your views on the sordid, heinous and despicable assault on women, on the Bangla New Year's Day at TSC in Dhaka, which caused a storm in the country, including social media. I fully support your views. 

Violence against women exists throughout the world, and it is a measure, amongst others, of the barbarity and degradation, which exists in a society. These crimes need to be eradicated for the sake of humanity and human rights. Humanity and human rights must prevail.

It is difficult to obtain true statistics of the violence against women, but whatever is obtained shows the horrifying state we have in the societies. The figures in the US speak quite loudly:

Every 107 seconds, another American is sexually assaulted.

According to the U.S. Department of Justice's National Crime Victimization Survey (NCVS)--there is an average of 293,066 victims (age 12 or older) of rape and sexual assault each year.

https://www.rainn.org/get-information/statistics/frequency-of-sexual-assault.

A Washington Post article analysed the reasons for violence against women in India:

10 reasons why India has a sexual violence problem

By Olga Khazan and Rama Lakshmi December 29, 2012

http://www.washingtonpost.com/blogs/worldviews/wp/2012/12/29/india-rape-victim-dies-sexual-violence-proble/ 

In Bangladesh, work on the subject has been going on for quite a long time. Many papers are available. Please see the following govt. study:


Govt level study:
Eradication of Violence against Women
(Bangladesh Perspective)
Rowsan Ara Begum
Director General
Department of Women Affairs
Ministry of Women and Children Affairs
Government of the People's Republic of Bangladesh

We need nationally concerted efforts, irrespective of parties, socio-cultural affiliations and govts. in Bangladesh to achieve our targets in this respect.



Subject: Re: {PFC-Friends} RE: {NA Bangladeshi Community} নববর্ষ উদযাপনকালে যৌন সন্ত্রাস চলেছে

This I agree that women and girls are molested everywhere by everybody - religious, non religious, freedom fighter and Razakar alike. To protect women from abuse the following things help - education for financial freedom and self esteem, modesty and decency,truly educated male folk who respect women and strong political will and laws to punish anyone who abuses women. Education doesn't protect always - as a doctor I know my story and that of countless highly educated sisters but at least it allows the woman to stand with dignity and support herself and the most dearest and loved children.

From Australia.
Fatima
 
Dr Fatima A


From: Ali Shaheen <alishaheen2010@gmail.com>
To: "pfc-friends@googlegroups.com" <pfc-friends@googlegroups.com>
Cc: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>; nabdc group <nabdc@googlegroups.com>; bangladesh-progressives googlegroups <bangladesh-progressives@googlegroups.com>; chottala yahoogroups <chottala@yahoogroups.com>; sayeda haq <sayedahaqboston@yahoo.com>; farida <farida_majid@hotmail.com>; Farzana Ahmed <farzana.ahmed48@yahoo.com>; Nafisa Noor <nafisanoorahmed@yahoo.com>; "bdpana@yahoogroups.com" <bdpana@yahoogroups.com>; "bangladeshiamericans@googlegroups.com" <bangladeshiamericans@googlegroups.com>
Sent: Thursday, 16 April 2015, 14:16
Subject: Re: {PFC-Friends} RE: {NA Bangladeshi Community} নববর্ষ উদযাপনকালে যৌন সন্ত্রাস চলেছে

Women are molested in religious societies and secular societies.  It has to do with misogyny which is practised by men who are religious and secular, on the left and right and everywhere in between.

2015-04-15 13:48 GMT-04:00 Syed Haque <syedhaque@hotmail.com>:
This kind of behavior kindles your mind to ask what type of moral values brought by secularism when religious values are in clash with the concept of "free mixing" - a part of secular concept.

Don't worry, BD where an unique form of dictatorial secularism is being practiced, is moving ahead of the game and will be even better than Singapore within a few years under the brilliant leadership of the current and lifelong PM. 




From: shahadathussaini@hotmail.com
To: nabdc@googlegroups.com; bangladesh-progressives@googlegroups.com; pfc-friends@googlegroups.com; chottala@yahoogroups.com; sayedahaqboston@yahoo.com; farida_majid@hotmail.com; farzana.ahmed48@yahoo.com; nafisanoorahmed@yahoo.com
Subject: {NA Bangladeshi Community} নববর্ষ উদযাপনকালে যৌন সন্ত্রাস চলেছে
Date: Tue, 14 Apr 2015 14:39:28 -0400

নববর্ষ উদযাপনকালে যৌন সন্ত্রাস চলেছে ঃ লাকি আক্তার

14 Apr, 2015
নববর্ষ উদযাপনকালে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী গেটে যে বর্বর ঘটনা ঘটছে, মেয়েদের উপর হামলা হয়েছে তা নিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সভানেত্রী লাকি আক্তার তার ফেসবুক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন,






নববর্ষ উদযাপনকালে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী গেটে যে বর্বর ঘটনা ঘটছে, তা পেছনের ঘটে যাওয়া অনেক বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে৷ কিছু সংঘঠিত পশু ,বখাটে সোহরাওয়ার্দীর গেটে অনেক নারী, শিশু ও কিশোরীদের উপর সংঘঠিতভাবে শকুনের মত ঝাপিয়ে পড়ে, শত শত লোকের সামনে পাশবিক কায়দায় যৌন নির্যাতন করে৷ অনেক নারীকে বিবস্ত্র করে ফেলা হয়৷ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কর্মীরা তাদের উদ্ধার করতে যায়৷ পশুগুলো হামলা চালিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি লিটন নন্দীর হাত ভেঙ্গে ফেলে, অমিত হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে ফেলে ৷ এছাড়াও আরো অনেক নেতাকর্মী আহত হয়৷ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা পশু, জানোয়ার গুলিকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিলেও পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাযগ্গের গটনা ঘটে, নাকের ডগা দিযে পার পেযে যায হত্যাকারীরা৷ হম্বিতম্বি করে এফবিআই আসার নাম করে, তদন্তে কিছুই পাওয়া যায় না৷ যৌন সন্ত্রাস চালানো হলে, অপরাধীদের ধরিয়ে দেয়া হলেও পুলিশ ছেড়ে দেয়৷ ক্যাম্পাস নিরাপদ নয় অনেক দিন ধরেই৷ যারা চুপ করে আছেন, আর কবে আপনাদের হুশ হবে? আসুন রুখে দাড়াই৷ প্রগতিবাদী সকল মানুষকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার দাবি জানাই৷ আগামীকাল সকাল ১১টায় ছাত্র ইউনিয়নের মিছিল৷ বিকালে এই ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করবে ছাত্র ইউনিয়ন৷


--
You received this message because you had subscribed to the Google Groups "North America Bangladeshi Community forum". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to nabdc@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to nabdc@googlegroups.com.
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "North America Bangladeshi Community" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to nabdc+unsubscribe@googlegroups.com.
Visit this group at http://groups.google.com/group/nabdc.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.
--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.



--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.

--
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "PFC-Friends" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to pfc-friends+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.



__._,_.___

Posted by: Abid Bahar <abid.bahar@gmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] Oracle Database Admin (DBA) with Green Link On Sunday and Wednesday



 
​​​​​​Hello Friend :-



We would like to introduce you with "Green Link" located in Arlington, VA providing training on Oracle Database Admin (DBA). Our State-of-Art classroom is well equipped for your learning convenience.
  • Classes are available On-Site & On-Line on every  Sunday from 10am to 4pm.
  • New Session: Wednesday 7pm to 10pm
  • No IT Knowledge Needed.
  • First Two Classes Are Free.
Our Commitments:
  • Hands on Oracle Database on Linux OS
  • Interview Discussion &  Preparation
  • Resume Preparation
  • Job Placement Guaranteed
  • After Job Support
  • 24/7 Help Line
Office Location:
901 S. Highland Street
3rd Floor, Room # 332
Arlington, VA 22204

If you need any further information, please feel free to contact us.

Respectfully yours,
Paritosh Barua
540 429 3048
info@greenlink.us
www.greenlink.us
 
"........ not only a training, it's a life changing career."




__._,_.___

Posted by: Paritosh Barua <parbarua@yahoo.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] Violence against women



Violence against women
According to many reports, the govt. goons perpetrated violence against women publicly in the evening by assaulting about 20 women on 14 April, the Bangla New Year's Day, at TSC in Dhaka.

The culprits, whoever they are, must be brought to justice. The sordid, heinous and despicable assault on women caused a storm in the country, including social media. Punishment must be meted out to the perpetrators, and the govt as well as the concerned organisations and individuals must try and make sure that the women have the protection, they need, and their equality and dignity ensured. 

Violence against women exists throughout the world, and it is a measure, amongst others, of the barbarity and degradation, which exists in a society. These crimes need to be eradicated for the sake of humanity and human rights. Humanity and human rights must prevail.

It is difficult to obtain true statistics of the violence against women, but whatever is obtained shows the horrifying state we have in the societies. The figures in the US speak quite loudly:

Every 107 seconds, another American is sexually assaulted.
According to the U.S. Department of Justice's National Crime Victimization Survey (NCVS)--there is an average of 293,066 victims (age 12 or older) of rape and sexual assault each year.

A Washington Post article analysed the reasons for violence against women in India:
10 reasons why India has a sexual violence problem
By Olga Khazan and Rama Lakshmi December 29, 2012

In Bangladesh, work on the subject has been going on for quite a long time. Many papers are available. Please see the following govt. study:

Govt level study:
Eradication of Violence against Women
(Bangladesh Perspective)
Rowsan Ara Begum
Director General
Department of Women Affairs
Ministry of Women and Children Affairs
Government of the People's Republic of Bangladesh

We need nationally concerted efforts, irrespective of parties, socio-cultural affiliations and govts. in Bangladesh to achieve our targets in this respect.





__._,_.___

Posted by: Zoglul Husain <zoglul@hotmail.co.uk>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___
Newer Posts Older Posts Home