Banner Advertise

Wednesday, October 2, 2013

[chottala.com] রায় কার্যকর হলে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হব: প্রফুল্ল





মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নূতন চন্দ্র সিংহের ছেলে প্রফুল্ল চন্দ্র সিংহ। তিনি বলেন, 'সবার মতো আমিও প্রত্যাশা অনুযায়ী রায় পেয়েছি। রায় কার্যকর হলে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হব।'
আজ মঙ্গলবার মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমকে এ প্রতিক্রিয়া জানান প্রফুল্ল চন্দ্র সিংহ। এর আগে কয়েকবার তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। যেসব অভিযোগে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো নূতন চন্দ্র সিংহ হত্যা। এটি ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাকার বিরুদ্ধে আনা ৩ নম্বর অভিযোগ। এক বছর ধরে চলা সাক্ষ্য গ্রহণকালে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন নূতন চন্দ্র সিংহের ছেলে প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহ।
মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ এ আদেশ দেন। বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে এটাই এ ধরনের মামলায় প্রথম রায়। এর আগে সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে জামায়াতের ছয়জন নেতার বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়েছে।




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] Fw: দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে- লাখো মানুষের সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা





দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে- লাখো মানুষের সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা
শাহজালাল থেকে গণভবন
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিমানবন্দর থেকে গণভবন- দীর্ঘ পথের দু'ধারে দাঁড়িয়ে লাখো মানুষ করতালি, সেøাগান আর পুষ্পবৃষ্টি ছিটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক গণসংবর্ধনা দিয়েছে। মানুষের ভালবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় স্নাত প্রধানমন্ত্রী দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য বিশ্বজুড়ে যে সম্মান বাংলাদেশ পেয়েছে, তা ধরে রাখার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমরা যে সম্মান ও মর্যাদা অর্জন করেছি, তা যেন অব্যাহত থাকে। সেই অর্জনের ধারাবাহিকতাও যেন অব্যাহত থাকে। দেশের জনগণ যে মর্যাদা পেয়েছে, সেটা যেন ধরে রাখতে পারি- সেজন্য তিনি দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন। 
বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পুরস্কার সবার প্রাপ্য, বিশেষ করে যারা আমাদের ভোট দিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সুযোগ দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পরিচিত ছিল সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, দুর্নীতির দেশ হিসেবে। আমাদের সরকারের আমলে বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের পরিচয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির রোল মডেল হিসেবে। দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশ সেবার সুযোগ দিয়েছিল বলেই আমরা দেশের জন্য সম্মান ও মর্যাদা আনতে পারছি। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবই। 
দারিদ্র্য দূরীকরণে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানজনক সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করায় সোমবার তাঁকে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরাও ভিভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছায় স্নাত করেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানকালে সরকার প্রধান হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার জনগণের জন্য উৎসর্গ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সরকার গঠনের পর থেকে দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এই পুরস্কারই তার প্রমাণ। মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল'র (এমডিজি) লক্ষ্য পূরণে সরকার তার প্রতিটি কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, দেশের জনগণের জন্য আমরা বার বার পুরস্কার অর্জন করি। এবার যে পুরস্কার সেটি দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য। বিশ^ অর্থনৈতিক মন্দার কারণে উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য পূরণেই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমরা ৬ দশমিক ৪ এরও বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছি। জাতিসংঘসহ বিশে^র যেসব দেশে যাচ্ছি, সবাই এ জন্য আমাদের প্রশংসাও করছে। 
এ প্রসঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ৪ বছর আট মাস সময়েই এমডিজির প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা অগ্রগামী। অনেক ক্ষেত্রে আমরা আগেই লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছি, অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্যেরও বেশি অর্জন করেছি। দারিদ্র্যের হার ২৬ ভাগের নিচে নেমে এসেছে, ১৯৯১ সালে এটা ছিল ৫৬ ভাগ। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেই সময় বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। ক্ষমতায় এলে তারা দেশকে কেবল পিছিয়েই নেয়। তবে দেশের এই অবস্থা ছিলও না। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে দেশকে এগিয়ে রেখেছিল। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ যেখানে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির দেশ ছিল, আজ সেখানে বিশে^র কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। এ দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। বিশ^সভায় আমরা যেন মর্যাদা নিয়ে চলতে পারি। ২০২০ সালের মধ্যে একটা মধ্যম আয়ের দেশের পরিণত হয়ে আমরা যেন ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পারি, সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এর পর একে একে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, সাম্যবাদী দলের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদের নেতৃত্বে সংসদ সদস্যরা, সাংবাদিকদের পক্ষে প্রবীণ সাংবাদিক রাহাত খান ও শফিকুর রহমান, সংস্কৃতি কর্মীদের পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট রামেন্দু মজুমদার ও সম্মলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুন্নেছা মোশাররফ এমপি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পিনু খান এমপি, যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্লা মোঃ আবু কাওছার ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার এমপি ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল এমপি এবং ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইমাউল হক সরকার টিটু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। 
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় এমিরেটস এয়ারওয়েজের ই-কে ৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক (র) বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা, তিন বাহিনী প্রধান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইয়া, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজেনাসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান তাঁকে। এর পর প্রধানমন্ত্রী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। 
সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সময়ে বাংলাদেশ প্রতিবারই পুরস্কৃত হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন, পুষ্টি কার্যক্রম, নারী পুরুষের সমঅধিকার, শিক্ষা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্যই এসব পুরস্কার সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাতিসংঘে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সেই বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বসভায় স্বীকৃতি পেতেই কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বসভায় আমরা মর্যাদার আসনে বসব। 
তিনি বলেন, আমি ভাগ্যবান। কারণ, জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) যখন ২০০০ সালে শুরু করা হয়, তখন আমি প্রধানমন্ত্রী। এখনও আমি প্রধানমন্ত্রী। এমডিজির আটটি লক্ষ্য ২০১৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের আগেই আমরা এর কয়েকটি লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমরা ২০২০ সালে মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হব। আমরা সরকারে আসার পর পুরস্কার নিয়ে আসি। আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সাউথ সাউথ এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও পুরস্কার নিয়ে এসেছি। দারিদ্র্যের হার শতকরা ৫৬ থেকে ২৬ ভাগের নিচে নিয়ে এসেছি। বিশ্ব মন্দার জন্য যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছি। বিশ্বের নানা দেশে যখন আমরা যাই, সবাই এ জন্য আমাদের ভূয়সী প্রশংসা করে। তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশে বলেন, আমরা যা অর্জন করেছি, তা যেন ধরে রাখতে পারি এ জন্য সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষাকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৯৯ ভাগ ভর্তি নিশ্চিত করতে পেরেছি। মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি ক্ষেত্রে অর্জন রয়েছে। 
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী ৬টা ১২ মিনিটে বের হয়ে ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীরগেট থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে দলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। বিমানবন্দরের সামনেই জড়ো হওয়া হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সামনে পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে দু'হাত নেড়ে অভিনন্দনের জবাব দেন তিনি। গাড়িতে থাকা হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে জনতার উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে আন্তর্জাতিক সম্মান পাচ্ছি। এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য সবার সহযোগিতা ও দোয়া চাই। 
বিশেষ করে বিজয়সরণি থেকে গণভবন পর্যন্ত দীর্ঘ রাস্তার দু'ধারে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। বাদ্য-বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মুখে গগণবিদারী সেøাগান আর পুষ্পবৃষ্টি ছিটিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন তারা। বিশেষ করে জাতীয় পতাকা নিয়ে অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে শ' শ' মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিল আর প্রধানমন্ত্রীকে ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেয়ার দৃশ্য সবার নজর কাড়ে। এ ছাড়া বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত দীর্ঘ পথে অসংখ্য সুসজ্জিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সাজানো হয়। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় স্নাত হয়ে গণভবনে গিয়ে পৌঁছান। 
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ভিড়ে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীতে বিভিন্ন সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। বিমানবন্দর সড়ক ছাড়াও বনানী ওভারপাস থেকে শুরু করে মহাখালী, সাতরাস্তা, মগবাজার, কাকরাইল, পল্টন, মতিঝিল ও ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, মৎস্য ভবন থেকে প্রেসক্লাব হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত সর্বত্রই ব্যাপক যানজটে পড়ে নগরবাসীকে কিছুটা হলেও ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সড়ক ব্যবহার করে গণভবনে যাওয়ায় বনানী থেকে সৈনিক ক্লাব হয়ে কচুক্ষেত মিরপুর সড়কেও যানজটের সৃষ্টি হয়। মূল সড়ক ছাপিয়ে কোথাও কোথাও যানজটের ওই দীর্ঘ সারি চলে গেছে গলিপথেও। 
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া নাগরিক সংবর্ধনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের লীগ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সতিশ চন্দ্র রায়, এইচ টি ইমাম, ড. গওহর রিজভী, ড. মশিউর রহমান, এ্যাডভোকেট রহমত আলী, বিমানমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব) ফারুক খান, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আক্তারুজ্জামান, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আবদুর রহমান, বিএম মোজাম্মেল হক, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মেহের আফরোজ চুমকি, আহমদ হোসেন, ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, অসীম কুমার উকিল, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, হাবিবুর রহমান সিরাজ, আফজাল হোসেন, এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটনসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতৃবৃন্দ।




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] খালেদা যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ না নিলে সহজেই সব সমস্যার সমাধান





খালেদা যুদ্ধাপরাধীর পক্ষ না নিলে সহজেই সব সমস্যার সমাধান
নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি দিতে প্রস্তুত, বান কি মুনকে বলেছি পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে ॥ নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা
মাহমুদুল আলম নয়ন, নিউইয়র্ক থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে বিদ্যমান সংবিধানের আওতায় পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছেন, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে জোট পরিত্যাগ করে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে এলে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে কোন রাজনৈতিক সঙ্কটের সৃষ্টি হবে না। 
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিপেরপেক্ষ হওয়ার বিষয়ে আমরা 'গ্যারান্টি' (নিশ্চয়তা) দিতে প্রস্তুত। গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। আর একমাত্র আওয়ামী লীগই যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারে, তার প্রমাণ আমরা অতীতে দিয়েছি। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার রীতি কাউকে না কাউকে চালু করতে হবে, সেটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট করে দেখাতে চায়। আমি পরবর্তী নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাচাই করতে পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনকে অনুরোধ করেছি। 
শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জনাকীর্ণ এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া যদি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে না দাঁড়ান, তাহলে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে খুব সহজে। বিরোধীদলীয় নেতা ভাবছেন যে, জামায়াত-শিবির আর হেফাজতের মদদে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেই ওনাদের দুয়ার খুলে যাবে। কিন্তু তা কখনোই ঘটবে না। যারা ক্ষমতা নেবে তারা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চেয়েও জঘন্য অপকর্মে লিপ্ত হবে। 
'জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করতে সরকার কালক্ষেপণ করছে'- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি বর্তমানে আদালতে রয়েছে। সরকার আদালতের কর্মকান্ডে হস্তক্ষেপ করে না। আদালতই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। এ সময় সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, 'আমি নিজেও একজন রাজনীতিক, তাই একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বলবো কীভাবে? 
জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনের পর প্রবাসীদের দেয়া এক নাগরিক সর্ম্বধনায় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লেিগর নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ অব্যাহত রাখতে বিএনপিকে ভোট বিপ্লবে পরাজিত করতে হবে। ম্যানহাটানের হিল্টন হোটেলের বলরূমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান। 
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহ এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ নাজিম বিন তুন আবদুল রাজ্জাকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এরপর রবিবার সকালে ঢাকা উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বিকেলে তাঁর ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। 
বাংলাদেশ মিশনের ফাস্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মামুন-অর-রশিদের সঞ্চালনায় এ সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছেড়ে সংসদে এসে কথা বলার জন্য বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে জাতীয় সংসদে বিএনপির উত্থাপিত মুলতবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরে বিএনপি নেতা অশুভ উদ্দেশ্যে প্রস্তাবটি প্রত্যাহার করে নেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতীয় সংসদে প্রস্তাবটি পেশ করার জন্য বিরোধী দলের নেতার প্রতি পুনর্বহার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের মানুষকে জানতে দিন আপনারা আসলে কী চান? সংসদে যোগ দিয়ে বিরোধী দলের নেতা কী চান তা স্পষ্ট করে বলতে পারেন। তবে আমি এবং আমরা চাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। 
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বে কখনোই কোনো পার্লামেন্ট বাতিল করে নির্বাচন করা হয় না। তবে আমরা পারবো না কেন? গত পৌণে পাঁচ বছরে ৬ হাজার ৭৭৭টি নির্বাচন হয়েছে। প্রতিটিতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীও ছিলেন। কখনোই তারা কোনো নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেননি, তুলতে পারেনি। অর্থাৎ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব- এটি আজ প্রতিষ্ঠিত। সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিএনপি নেত্রীর সদিচ্ছা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে তাঁর এতো ভয় কীসের? জনগণের প্রতি আস্থা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস থাকলে বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। 
দেশের কিছু সংবাদমাধ্যমের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার সমর্থক প্রার্থী পরাজয়ের জন্য 'মিডিয়ার নেতিবাচক' প্রচারণাকেও দায়ী করেন। তিনি বলেন, গত ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিপর্যয় ঘটার অনেক কারণের একটি হচ্ছে মিডিয়াগুলোর নেতিবাচক প্রচারণা। আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির সংবাদ তেমন আসে না। একটু খারাপ কিচু দেখলেই সবগুলো মিডিয়া সেটি ফলাও করে প্রচার করে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়া এখন পুরো স্বাধীনতা ভোগ করছে। এছাড়া বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো নেগেটিভ সংবাদকে বেশী গুরুত্ব দেয়ার কালচার তৈরি করেছে। এটি মিডিয়াগুলোর 'সাইকোলিক্যাল প্রবলেম'। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সিটি কর্পোরেশনেই নির্বাচনের সময় অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। ব্যাপক উন্নযন হলেও আমাদের প্রার্থীরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে জয় পায়নি। তিনি প্রশ্ন করেন, এই নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর বিরোধী দল ফুল-মালা দিয়ে তাঁদের প্রার্থীকে বরণ করেন, আবার বলে নির্বাচন অবাধ হয়নি! বিরোধী দলের এমন স্ববিরোধী অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে আগামী নির্বাচনে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
কিছু টকশ'র অতিথি ও সুশিল সমাজের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নানা কথা বলে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন তাদের অনেকেই সরকারি অথবা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদে ছিলেন। তাঁরা চাকুরি জীবনে জনগণের সেবা ও নাগরিক সমস্যার সমাধানে তাদের অদক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। যে সময় তারা কে কী করেছেন সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন সবকিছু শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে, আর তা না হলে বাংলাদেশে সঙ্কট দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে ওই সুশিলরা আবার গাড়িতে পতাকা উড়াতে পারবেন। সে আশা পূরণ হচ্ছে না ভেবে এখন তাঁরা হা-হুতাশ করছেন। তিনি বলেন, যারা বড় বড় কথা বলছেন, পরামর্শক সেজেছেন- তারা সকলেই চাচ্ছেন দেশ আবার সঙ্কটে আবর্তিত হোক। তাহলেই তাদের গুরুত্ব বাড়বে। 
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কোনো সঙ্কট নেই, কিছু লোক কথার ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে দেশে সঙ্কটের কথা বলছেন। সঙ্কট আছে স্ব স্ব ক্ষেত্রে কিছু ব্যর্থ মানুষের কথায় ও মনে। কারন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যাদের গুরুত্ব বাড়ে বা পদ পওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। সংকটের কথা বলে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং দেশকে অন্ধকারের ঠেলে দেয়ার প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। কারণ আমারা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরে জাতিসংঘ সফরকে সরকার এবং বাংলাদেশের জনগনের জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসু হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকার দায়িত্ব গ্রহনের পর ৬৫তম অধিবেশন থেকে ৬৮তম জাতিসংঘ অধিবেশন দেশের জন্য ছিলো অত্যন্ত গতিময় ও গৌরবের। দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের 'সাউথ সাউথ' পুরস্কার গ্রহন ও বাংলাদেশের এমডিজি অর্জনে সাফল্য দেশ ও জনগণের জন্য সম্মান ও গৌরব বয়ে এনেছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘর বিভিন্ন ফোরামে প্রশংসিত হয়েছে এবং আর্ন্তজাতিকভাবে দেশের ভাবমুর্তি উজ্জল হয়েছে। 
জাতিসংঘে তাঁর বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদানের বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে এবারও জাতিসংঘ অধিবেশনে তাঁর বাংলায় ভাষণ সাড়ে ৩শ' মিলিয়ন মানুষের ভাষা হিসাবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। বাংলার জনগন আরো একবার সুযোগ দিলে বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষার পরিণত করতে পারার বিষয়ে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত তিনি বলেন, কযুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগকে সর্বাত্মক সমর্থন করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। 
সংবাদ সন্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়। সমঝোতার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই যদি সুষ্ঠ নির্বাচন চায় তাহলে ঐক্যমত হবে। সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী আরো নমনীয় এবং দু' নেত্রীর মধ্যে আলোচনা হতে পারে কিনা এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অবশ্যই আমি চা খেতে পছন্দ করি এবং একসঙ্গে চা খেতে আপত্তি নেই। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগকে ছোট করতে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় আনা যাবে না। কারণ যারা ক্ষমতায় আসবে তারা আবার যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেবে। এ ব্যপারে জনগনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি জানি বিরোধী দলীয় নেতা আমাকে পছন্দ করেন না। কারণ যেদিন জাতির জনককে হত্যা করা হয়, যেদিন আমি বাবা মা ও পরিবারের সব সদস্যদের হারিয়েছি- সেদিন জন্মদিন না হওয়া সত্বেও বিরোধী দলীয় নেত্রী জন্মদিন পালন করেন। উনি ক্ষমতায় থাকতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তারপরেও দেশ, জনগন ও সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নমনীয় হয়ে চলেছি। 
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আব্যাহত রাখবে। রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুুত কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না। 
পরে দলীয় সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের সফলতা তুলে ধরে আগামী নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগ ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সংবিধান অনুয়ায়ি আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এনিয়ে কোন সংশয় নেই। তিনি প্রবাসীদের তাদের আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির পক্ষে কাজ করারও আহবান জানিয়ে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ আবার অন্ধকারের চোরাগলিতে হারিয়ে যাবে। আলোর পথে যে যাত্রা মহাজোট সরকার শুরু করেছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মহাজোটের প্রার্থীদের আরেকটিবার বিজয়ী করার মাধ্যমে। 
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের আর এক ব্যাটালিয়ন সেনা নিয়োগের সম্মতি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বান কি মুন এমডিজি অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন ও বিশ্ব শন্তি রক্ষায় বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের আরো এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য নিয়োগে সম্মতি দেন। প্রধানমন্ত্রী এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, শীঘ্রই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আরো এক ব্যাটেলিয়ান সৈন্য নেয়া হবে বাংলাদেশ থেকে। এটি বাংলাদেশের জন্যে অনেক বড় একটি সংবাদ। জাতিসংঘ মহাসচিব এ ব্যাপারে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] Fw: জাতির স্বার্থে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত




নিউইয়র্কে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

জাতির স্বার্থে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত

খালেদা জিয়ার উদ্দেশে :সংসদে আসুন। স্পষ্ট করে বলুন, কি চান

ফারাজী আজমল হোসেন, নিউইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র) থেকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান মেনেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আবারো দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। গত শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে আমি যে কোন ত্যাগস্বীকার করতে প্রস্তুত।' তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। সংসদে আসুন। স্পষ্ট করে বলুন, কী চান।'

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে, নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইলে, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে একটি গোষ্ঠী সংকট হিসেবে দেখছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ত্যাগ করলে কোনো সংকটই থাকবে না।

জাতিসংঘ অধিবেশনের ফাঁকে শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন। 

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাত্কারেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও একটি নতুন ব্যাটালিয়ন যোগ দেয়ার প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অচিরেই আরো একটি ব্যাটালিয়ন যোগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান মেনেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী দেশের কিছু গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন, আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির সংবাদ তেমন আসে না। অথচ একটু খারাপ কিছু দেখলেই সবগুলো মিডিয়া সেটি ফলাও করে প্রচার করে। সদ্য সমাপ্ত ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিপর্যয় ঘটার অনেক কারণের একটি মিডিয়াগুলোর নেতিবাচক প্রচারণা বলেও দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মিডিয়াগুলো নেগেটিভ সংবাদকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার কালচার তৈরি করেছে। 

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করতে সরকার কালক্ষেপণ করছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এ বিষয়টি কোর্টে রয়েছে। কোর্টই সিদ্ধান্ত দেবে।' এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি নিজেও একজন রাজনীতিক। তাই একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার কথা বলবো কীভাবে?'

শেখ হাসিনা বলেন, বান কি মুন সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এমডিজি অর্জনে যে গুটিকয়েক দেশ দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে বাংলাদেশ তার অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা এমন একটি ব্যবস্থা করতে চাই যেখানে অবাধ, মুক্ত ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ক্ষমতা হস্তান্তর হবে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায়। আমাদের একটি নির্দিষ্ট অবস্থান থেকে গণতন্ত্র সমুন্নতের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।' যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে রায়ের দ্রুত কার্যকারিতা সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার আদালতের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করে না। 

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সাংবাদিক সম্মেলনের সঞ্চালক ছিলেন স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মামুন অর রশীদ।

আওয়ামী লীগের সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা

একই দিন নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মহাজোটকে বিজয়ী করতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজত চক্রের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে স্বদেশে আত্মীয়-স্বজনদের উদ্বুদ্ধ করার দায়িত্ব প্রবাসীদেরকেও নিতে হবে। যে কোনো মূল্যে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ও অঙ্গীকার। 

হোটেল হিলটনে নিউইয়র্ক আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার সম্মানে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। সংবর্ধনায় শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীদের জনগণকে এ কথা অবশ্যই বোঝাতে হবে যে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দেশের উন্নতি হয় ও মানুষ কিছু পায়। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব ধূসর হয়ে যায়, জনগণ নানামুখী সমস্যায় পড়ে। শেখ হাসিনা বলেন, আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে বোয়িং কোম্পানি থেকে সরবরাহকৃত দুটি এয়ারক্রাফট পাওয়া গেলে ঢাকা-নিউইয়র্ক বিমানের ফ্লাইট আবার শুরু হবে। 

বিএনপি-জামায়াত ধর্মের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করে পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে ভোট নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ এখন বুঝতে পারছে যে তারা বিএনপি ও জামায়াতের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত যে অপপ্রচারে চ্যাম্পিয়ন সেটি জনগণের কাছে এখন স্পষ্ট। 

তিনি বলেন, বিএনপি চলতি বছরের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতের হাজার হাজার কর্মী নিহত হয়েছে বলে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেও বিএনপি-জামায়াত একই কায়দায় অপপ্রচার চালিয়েছিল। সে সময় তারা বলেছিল যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সব মসজিদে আজানের বদলে উলুধ্বনি শোনা যাবে। 

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাতীয় পার্টির (এ) প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশাহ, চন্দন দত্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে সরকারকে বোঝান



জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে সরকারকে বোঝান
মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে প্রধানমন্ত্রী
মাহমুদুল আলম নয়ন, নিউইয়র্ক থেকে ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশী পণ্যের অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা (জিএসপি) স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরকারকে বোঝানোর জন্য দেশটির ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি স্থগিত করায় শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিতের বদলে তাঁদের স্বার্থ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শ্রমিকদের কল্যাণ, নিরাপত্তা এবং কমপ্লায়েন্সের নামে জিএসপি সুবিধা স্থগিত সমর্থনযোগ্য নয়। শিল্প ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনা বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এমনকি উন্নত বিশ্বেও অনবরত ঘটে থাকে। 
বৃহস্পতিবার তাঁর হোটেল সুইটে যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্সের যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাত করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র সফরের আজকের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর জন্মদিনের পাশাপাশি দিনটি সবচেয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নিউইয়র্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহের সঙ্গে আজকের বৈঠকটি ঘিরে। ঘটনাচক্রে জন্মদিনেই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা। দুই দেশের নির্বাচন যখন আসন্ন, তখন প্রতিবেশী দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের এ বৈঠক ঘিরে দুই দেশের মানুষের ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গের বিরোধিতায় বহুল আকাক্সিক্ষত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে আস্থার সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে, দুই শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে সমাধানের পথ বের হয় কি না, সেদিকেই দৃষ্টি এখন সবার। 
ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ॥ নিউইয়র্কে হোটেল হায়াতের তাঁর সুইটে সাক্ষাত করতে আসা যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্সের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছে এবং আবারও তাঁদের বেতন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে। তিনি এ প্রসঙ্গে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় নিহত গার্মেন্ট শ্রমিকদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথাও মার্কিন ব্যবসায়ীদের তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। 
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সাংবাদিদের ব্রিফিং দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব বিজন লাল দেব ও মহাপরিচালক (জাতিসংঘ) সাদিয়া মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন। ইকবাল সোবহান চৌধুরী জানান, গত বছর মে মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব আলোচনার ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়ীদের এ বৈঠক। 
বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, তাঁরা জিএসপি-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে আগ্রহী। কারণ, তাঁরা মনে করেন, নীতিগত দিক থেকে জিএসপি বাতিল সঠিক হয়নি। শীঘ্রই জিএসপি সুবিধা বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের আশাবাদ ব্যক্ত করে চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলেন, তাঁরা ইতোমধ্যে মার্কিন সরকারকে তাঁদের মতামতের কথা জানিয়েছেন। ইকবাল সোবহান জানান, বৈঠকে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এগিয়ে নিতে সরকারী ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি জানান, মূলত মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দল বলছে, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার। তাই তাঁরা বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায়। সাক্ষাত করতে আসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলটি 'মার্কিন-বাংলাদেশ' বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া তাঁরা ব্যবসা ও সরকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে রাষ্ট্রীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠানে তাঁদের আগ্রহের কথাও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশের বিদ্যুত, জ্বালানি ও সমুদ্র উপকূলে ড্রিলিংয়ে মার্কিন বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে মার্কিন ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো জ্বালানি খাতে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।
মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মনোভাবের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বিশ্বাস করে, বেসরকারী খাতই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি, যেখানে সরকার সহায়কের ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, তাঁর সরকার বিদ্যুত ও টেলিযোগাযোগসহ কিছু খাত বিদেশী বিনিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। অথচ এর আগের সরকারের আমলে এসব খাত সুবিধাভোগীদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে ছিল।
বাংলাদেশে বর্তমান বিনিয়োগ পরিবেশ আগের যে কোন সময়ের তুলনায় চমৎকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারী ও বিদেশী বিনিয়োগের জন্য এসব খাত উন্মুক্ত করে দিয়েছে। বাংলাদেশে উদার বিনিয়োগ নীতির পরিবেশ তৈরি করাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। তিনি আশা করেন, মার্কিন বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা উদার বিনিয়োগ নীতির এ সুযোগ গ্রহণ এবং বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগ করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার আঞ্চলিক যোগাযোগের ওপরেও গুরুত্বারোপ করেছে। এর ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে আঞ্চলিক ব্যবসায় উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে মার্কিন ব্যবসায়ীরা কাজ করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ মার্কিন বিনিয়োগ প্রায় আড়াই কোটি ডলার ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের গত ৫ বছরে এ পরিমাণ ১শ' কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া গত বছর প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ ১শ' ৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে যার অধিকাংশই এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিক অগ্রগতির লক্ষণ। 
মার্কিন প্রতিনিধি দলও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার ও বিনিয়োগ পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ডিসেম্বর নাগাদ দুটি বোয়িং বিমানের সরবরাহ-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বোয়িং প্রতিনিধিকে অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, এ জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ক্রয় নির্দেশ জারি করেছে। বাংলাদেশ ৪টি বোয়িং বিমান কেনার জন্য বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। ইতোমধ্যে ২টি বিমান সরবরাহ করা হয়। আরও ২টি সরবরাহের অপেক্ষায় আছে।
মার্কিন চেম্বার নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবং বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে শীঘ্রই ঢাকা সফর করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশ মার্কিন পণ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার এবং কাঁচামালের ভাল আমদানিকারক। সুতরাং তাঁরা মনে করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হওয়ার প্রয়োজন। তাঁরা আরও বলেন, এ প্রেক্ষিতে মার্কিন ব্যবসায়ীরা ইউএস চেম্বার অব কমার্সের যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপের আওতায় আলোচনা অব্যাহত রাখতে চান। তাঁরা বলেন, মার্কিন চেম্বার আগের বছরের মতো এ বছরেও ব্যবসায়িক আলোচনার বিষয়টি বিবেচনা করছে। প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে খুব শীঘ্রই তাঁরা বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে।
এ সময়ে অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ এম ওয়াহিদুজ্জামান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন চেম্বার নেতৃবৃন্দ 'ইউএসএ এ্যান্ড বাংলাদেশ টুয়ার্ড দ্য ফিউচার : পলিসি রিকমেন্ডেশন টু স্ট্রেন্থ দ্য ইউএস বাংলাদেশ কমার্শিয়াল রিলেশনশিপ' নামে একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। 
আজ হাসিনা-মনমোহন বৈঠক ॥ বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের দৃষ্টি আজ নিউইয়র্কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহের মধ্যে অনুষ্ঠেয় সাইডলাইন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের দিকে। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের এক ফাঁকে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। 
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিকের পাশাপাশি অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর ও সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ভারত সরকার সম্পর্কে কিছুটা হলেও আস্থাহীনতার সৃষ্টি করেছে। আর সে কারণেই মনমোহন-হাসিনা বৈঠককে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারত। গত কয়েক বছর ধরে ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে ধারাবাহিক চেষ্টা চালিয়েছে দুই দেশের সরকার। এবারের বৈঠকে এই দুই চুক্তি নিয়ে শেষবারের মতো চেষ্টা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়ানো এবং বিদ্যুত ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়গুলোও তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। 
আভাস পাওয়া গেছে, শেখ হাসিনাকে দেয়া ভারতের প্রতিশ্রুতি ড. মনমোহন সিংহও পূরণ করতে চাইছেন। কিন্তু বিরোধী দলের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের বাধার মুখে বার বার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হোঁচট খাচ্ছেন মনমোহন সরকার। তবে নিরাশ না করে ভারত সরকার বার বার বলছে সমস্যা সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ফলে আজকের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অমীমাংসিত ওই প্রধান দুই ইস্যুতে সঙ্কটের সমাধান ঘটবে কি না, সেদিকেই দৃষ্টি এখন দুই দেশের জনগণের।





__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___