কোন যুদ্ধাপরাধীকে আর ঢাকার মাটিতে জানাজা পড়তে দেয়া হবে না ॥ মোজাম্মেল হক
আর কোন যুদ্ধাপরাধীকে ঢাকার মাটিতে জানাজা পড়তে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। একই সঙ্গে তিনি বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স কোন বাধা নয়। বয়সের কারণে কোন মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ যাবে না, যদি তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে থাকেন। ১৩ থেকে ১৫ বছরের অনেক মুক্তিযোদ্ধা তার সঙ্গেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু পত্রিকাওয়ালারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার ১৫ বছরের বয়সকে গুলিয়ে ফেলেছে। এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার বয়স ১২ বছরও হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার সুপ্রীমকোর্ট বার কাউন্সিল মিলনায়তনে ৭ নবেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। খালেদ মোশাররফ স্মৃতি পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকার তার ওপর নারী মুক্তিযোদ্ধার প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ঢাকায় গোলাম আযমের জানাজার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, '৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত অনেক শহীদের জানাজা হয়নি। তাদের লাশ খালে বিলে পড়েছিল। শেয়াল-কুকুরে খেয়েছে। অনেককে জানাজা ছাড়াই গণকবর দেয়া হয়েছে। তখন ধর্ম কোথায় ছিল। মুক্তিযোদ্ধা হত্যার সময় ধর্মের প্রসঙ্গ আসে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে আর কোন রাজাকারের জানাজা ঢাকার মাটিতে হতে দেয়া যাবে না।
৭ নবেম্বর খালেদ মোশাররফের হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, মিথ্য অপবাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানি খালেদ মোশাররফ ও তার সহকর্মীদের হত্যা করা হয়। অথচ তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যুদ্ধের সময়ই জিয়া পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন। খালেদ মোশাররফ সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেন। জিয়া ও একে খন্দকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে কোন মিল নেই। তারা বাইচান্স মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। '৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন বলে সেদিন খালেদ মোশাররফকেও হত্যা করা হয়।
জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার শওকত আলী বলেন, খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ক্ষতাচ্যুত করার জন্য অভ্যুত্থান করেছিলেন। কিন্তু ৭ নবেম্বর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আবার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ক্ষমতা দলখ করে নেয়। প্রতিবেশী দেশ সাহায্য না করলে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতো। খালেদ মোশারফের বীরত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, খালেদ মোশাররফ দেশ ও দেশের জনগণকে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করতেন। কখনও উচ্চাভিলাষী ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে খালেদ মোশাররফের মেয়ে মাহজাবিন খালেদ বলেন, খালেদ মোশাররফ ছিলেন একমাত্র বাঙালী সেনা কর্মকর্তা যিনি পাকিস্তানের অধীনে চাকরি করেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পরই তিনি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যে তাঁর বীরত্ব দেশে-বিদেশে পরিচিতি পায়। কিন্তু তথাকথিত সিপাহি জনতার বিপ্লবের নামে জিয়ার নির্দেশে ৭ নবেম্বর তাঁকেসহ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, জিয়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করতেন না। বিপদে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন যুদ্ধের সময়। জিয়া বারবার মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। কিন্তু খালেদ মোশাররফ তাঁর সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেন। তিনি '৭৫ পরবর্তী সব মুক্তিযোদ্ধার হত্যর বিচার চান।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ন বলেন, পৃথিবীতে যত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে তারা আপীলে সুযোগ পায়নি। কিন্তু দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে সে সুযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তারেক লন্ডনে বসে বড় বড় কথা বলছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, ৭ নবেম্বরের পর জিয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। ৩ থেকে ৭ নবেম্বর পর্যন্ত হত্যার বিষয়টি জাতি জানতে চায়। কারা কিভাবে এসব হত্যাকা- ঘটিয়েছে তার তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সালমা খালেদ বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী সৈনিকদের ছোড়া গোলায় খালেদ মোশাররফ মারাত্মক আহত হন। তখন তাঁকে বাঁচানোই কঠিন ছিল। পাকিস্তানীরা খালেদ মোশাররফকে মারতে না পারলেও স্বাধীন দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ৭ নবেম্বরের পর খালেদ মোশাররফসহ যত মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে তার বিচার চান। একই সঙ্গে তিনি খালেদ মোশাররফে যথাযথ সম্মান দেয়ার আহ্বান জানান।
শুক্রবার সুপ্রীমকোর্ট বার কাউন্সিল মিলনায়তনে ৭ নবেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। খালেদ মোশাররফ স্মৃতি পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর সরকার তার ওপর নারী মুক্তিযোদ্ধার প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ঢাকায় গোলাম আযমের জানাজার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, '৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত অনেক শহীদের জানাজা হয়নি। তাদের লাশ খালে বিলে পড়েছিল। শেয়াল-কুকুরে খেয়েছে। অনেককে জানাজা ছাড়াই গণকবর দেয়া হয়েছে। তখন ধর্ম কোথায় ছিল। মুক্তিযোদ্ধা হত্যার সময় ধর্মের প্রসঙ্গ আসে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে আর কোন রাজাকারের জানাজা ঢাকার মাটিতে হতে দেয়া যাবে না।
৭ নবেম্বর খালেদ মোশাররফের হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, মিথ্য অপবাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানি খালেদ মোশাররফ ও তার সহকর্মীদের হত্যা করা হয়। অথচ তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যুদ্ধের সময়ই জিয়া পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন। খালেদ মোশাররফ সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেন। জিয়া ও একে খন্দকারের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে কোন মিল নেই। তারা বাইচান্স মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। '৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন বলে সেদিন খালেদ মোশাররফকেও হত্যা করা হয়।
জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার শওকত আলী বলেন, খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ক্ষতাচ্যুত করার জন্য অভ্যুত্থান করেছিলেন। কিন্তু ৭ নবেম্বর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আবার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ক্ষমতা দলখ করে নেয়। প্রতিবেশী দেশ সাহায্য না করলে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতো। খালেদ মোশারফের বীরত্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, খালেদ মোশাররফ দেশ ও দেশের জনগণকে ভালবাসতেন। বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করতেন। কখনও উচ্চাভিলাষী ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে খালেদ মোশাররফের মেয়ে মাহজাবিন খালেদ বলেন, খালেদ মোশাররফ ছিলেন একমাত্র বাঙালী সেনা কর্মকর্তা যিনি পাকিস্তানের অধীনে চাকরি করেও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার পরই তিনি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যে তাঁর বীরত্ব দেশে-বিদেশে পরিচিতি পায়। কিন্তু তথাকথিত সিপাহি জনতার বিপ্লবের নামে জিয়ার নির্দেশে ৭ নবেম্বর তাঁকেসহ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, জিয়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করতেন না। বিপদে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন যুদ্ধের সময়। জিয়া বারবার মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। কিন্তু খালেদ মোশাররফ তাঁর সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেন। তিনি '৭৫ পরবর্তী সব মুক্তিযোদ্ধার হত্যর বিচার চান।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ন বলেন, পৃথিবীতে যত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে তারা আপীলে সুযোগ পায়নি। কিন্তু দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে সে সুযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তারেক লন্ডনে বসে বড় বড় কথা বলছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।
বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, ৭ নবেম্বরের পর জিয়া অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছেন। ৩ থেকে ৭ নবেম্বর পর্যন্ত হত্যার বিষয়টি জাতি জানতে চায়। কারা কিভাবে এসব হত্যাকা- ঘটিয়েছে তার তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সালমা খালেদ বলেন, যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী সৈনিকদের ছোড়া গোলায় খালেদ মোশাররফ মারাত্মক আহত হন। তখন তাঁকে বাঁচানোই কঠিন ছিল। পাকিস্তানীরা খালেদ মোশাররফকে মারতে না পারলেও স্বাধীন দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। ৭ নবেম্বরের পর খালেদ মোশাররফসহ যত মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে তার বিচার চান। একই সঙ্গে তিনি খালেদ মোশাররফে যথাযথ সম্মান দেয়ার আহ্বান জানান।
__._,_.___