Banner Advertise

Sunday, October 26, 2014

Re: [chottala.com] পিয়াস করিমের পর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা কিসের আলামত?



Piash Karim was my personal friend and colleague. He was one of the nicest persons
I have seen in my life, He never told anything against the trial of war criminals but just suggested  the trial to be more credible so that there is no debet raise about it. He was 13 years old in 1971 but for his stance for independence he was arrested by Pakistani army. Later his father released him giving bond signature. His father was compelled to become a peace committee member but saved lot of Bangalees from Pakistani army.

Many razakars are now inside Awame League and hoding the certificate of freedom fighters and those who mentioned their name are now forbidden to go to Shahid Minar. 
regards,
Mahboob Hossain
 
Dr. M. Mahboob Hossain
Associate Professor
Microbiology Program
Department of Mathematics and Natural Sciences
BRAC University
66, Mohakhali, Dhaka-1212
BANGLADESH
Tel: 88-02-8824051 Ext. 4060 (Office)
88-02-9631422 (Residence)
Cell: 88-01715107660


On Friday, October 24, 2014 8:01 AM, "Shahadat Hussaini shahadathussaini@hotmail.com [chottala]" <chottala@yahoogroups.com> wrote:


 
পিয়াস করিমের পর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা কিসের আলামত?
অবশেষে সংকীর্ণতা এবং নীচতার জয় হল। শালীনতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং শাশ্বত সত্যের পরাজয় হল। আপাদমস্তক ভদ্রলোক পিয়াস করিমের লাশকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে দেয়া হল না। সরকার প্লাটুনের পর প্লাটুন পুলিশ দিয়ে শহীদ মিনার ঘেরাও করে রেখেছিল যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে নিতে না পারে। এর আগে আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনী বিশেষ করে কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের তথাকথিত নেতারা ঘোষণা দিয়েছিল যে পিয়াস করিমের লাশ কোন অবস্থাতেই আনতে দেয়া হবে না। আনার কোন প্রচেষ্টা হলে তারা সেটি রুখে দেবে। পিয়াস করিমের পরিবার বিনয়ী এবং ভদ্র। নাগরিক সমাজের যারা শহীদ মিনারে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চেয়েছিলেন তারাও সকলে ভদ্র এবং বিনয়ী। তারা কেউই আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের ঝটিকা বাহিনীর সাথে লাঠালাঠির পক্ষপাতী ছিলেন না। পিয়াস করিমের সহধর্মিনী ড. আমেনা মোহসীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন অধ্যাপিকা। তিনি ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে একটি দরখাস্ত করেন। সেই দরখাস্তে তিনি তার স্বামীকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের অনুমতি দেয়ার জন্য ভিসি আরেফিন সিদ্দিকীকে অনুরোধ করেন। যেহেতু ছাত্রলীগ এটির বিরোধিতা করেছে তাই আরেফিন সিদ্দিকীর ঘাড়ে কয়টি মাথা আছে যে ছাত্রলীগের বিরোধিতা করে। সুতরাং আরেফিন সিদ্দিকী ড. আমেনা মোহসীনের দরখাস্ত নাকচ করেন। তখন বিএনপি এবং নাগরিক সমাজ ঘোষণা করে যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিক আর নাই দিক, তারা লাশ শহীদ মিনারে নিয়ে যাবেন। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সরকারের ঠেঙ্গাড়ে বাহিনী রূপে বিপুল সংখ্যক পুলিশকে শহীদ মিনারের চারদিকে মোতায়েন করা হয়। এমন একটি পরিস্থিতিতে সরকারি দলের সাথে কোনরূপ সংঘর্ষে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মরহুমের পরিবার এবং নাগরিক সমাজ। তখন তারা শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের স্থান হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটকে নির্বাচন করেন। কিন্তু অগ্রপশ্চাদ বিবেচনা করে শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের পরিকল্পনাও বাতিল করা হয়। স্থির হয় যে ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোড়ে অবস্থিত তার বাসাতেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের ব্যবস্থা থাকবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে মরহুমের লাশ স্কয়ার হাসপাতালের মরচুয়ারি বা হিমঘরে রক্ষিত ছিল। শুক্রবার সকাল ৯ টায় সেখান থেকে বের করে তার ধানমন্ডি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অতঃপর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজের পর তার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর বনানী গোরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। এভাবেই একজন নিষ্পাপ নিষ্কলুষ নির্মোহ মানুষকে মৃত্যুর পরেও অপমান এবং গালিগালাজ সয়ে চির বিদায় নিতে হল। তাই তো প্রথমেই বলেছি যে অবশেষে সংকীর্ণতা এবং নীচতার জয় হল। শালীনতা, মানবিক মূল্যবোধ এবং শাশ্বত সত্যের পরাজয় হল।
দুই
১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ হয় তখন পিয়াস করিমের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। ঐ বয়সে রাজাকার হওয়া যায় না। তার পিতা নাকি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। সেই কারণে যদি পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে আসতে না পারে তাহলে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর পিতার কারণে তাদের লাশও শহীদ মিনারে আসতে পারবে না। ছাত্র লীগসহ ৭টি ছাত্র সংগঠন বলেছে যে, পিয়াস করিম নাকি একজন কুখ্যাত ব্যক্তি। তারা তাঁর একটি কুখ্যাতিও দেখাক তো। তেমনি যুদ্ধাপরাধের পক্ষে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে একটি বাক্যও তারা দেখাক। ট্রাইবুনালের স্বচ্ছতা নিয়ে তো দেশে বিদেশে অসংখ্য প্রশ্ন রয়েছে। সে প্রশ্ন তুললেই নাকি রাষ্ট্রদ্রোহী হয়ে যায়। তাহলে তো দেশে হাজার হাজার রাষ্ট্রদ্রোহী রয়েছে।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ভিসি সাহেবের অনুমতি নিতে হবে এমন কথা তো বিগত ৬২ বছরে (১৯৫২-২০১৪) শুনিনি। ভিসি সাহেব এবং ছাত্র নেতারা বলুন তো, এ পর্যন্ত কত শত শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান শহীদ মিনারে হয়েছে এবং তার মধ্যে কয়জন পারমিশন নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এ সম্পর্কে একটি শ্বেত পত্র প্রকাশ করা হোক।
আসল ঘটনা কি? আওয়ামী ঘরানার বিরুদ্ধে কথা বললেই এখন রাজাকার, পাকিস্তানপন্থী এবং রাষ্ট্রদ্রোহী হতে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায়ক (অর্থাৎ জেনারেল ওসমানীর পরে সর্বোচ্চ ব্যক্তি) এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারও আই এস আইয়ের এজেন্ট হয়ে গেলেন। ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জলিল এবং জেড ফোর্সের অধিনায়ক জেনারেল জিয়াউর রহমান তো অনেক আগেই রাজাকার এবং পাকিস্তানের দালাল হয়ে গেছেন।
তিন
যখন ধানমন্ডি থেকে বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত প্রলম্বিত স্থানে পিয়াস করিমের লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছিল তখন শহীদ মিনারে মঞ্চস্থ হচ্ছিল আরেক আজীব নাটক। এটি হল অবাঞ্ছিত করার নাটক। বাংলাদেশের ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে কয়েক জন অপরিপক্ক যুবক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। পত্রিকান্তরের রিপোর্ট মোতাবেক গত শুক্রবার বরেণ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, বুদ্ধিজীবী, সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, পত্রিকার সম্পাদক, কলামিস্ট ও আইনজীবীসহ নয় বিশিষ্ট জনকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের নিয়ে অশ্লীল ভাষায় কটূক্তি করা হয়েছে।
শহীদ মিনারে এক সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ কয়েকটি সংগঠন এ ঘোষণা দেয়। সংগঠনগুলো বর্তমান সরকারের লেজুড় হিসেবে পরিচিত।
অবাঞ্ছিতদের তালিকায় রয়েছেন- কলামিস্ট ও টিভি টকশোর পরিচিত মুখ ড. মাহফুজ উল্লাহ, বিশিষ্ট কলামিস্ট কবি ফরহাদ মজহার, ইংরেজি দৈনিক 'নিউএজ' সম্পাদক নূরুল কবীর, দৈনিক 'মানবজমিন' পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, প্রফেসর ড. আমেনা মহসিন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, 'সাপ্তাহিক-২০০০' পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মর্তুজা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক।
চার
এদিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, বিশ্লেষক, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও আইনজীবীরা। অবাঞ্ছিত হওয়া প্রসঙ্গে ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বরেণ্য ব্যক্তির লাশ না রাখতে দেয়া নিয়ে কথা বললে যদি শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। দেশের মানুষ তাদের মূল্যায়ন করবে। তবে তার আগে দেখতে হবে, সংগঠনের লোকগুলো কারা, তাদের পরিচয় কি। তাদের মদদ দিচ্ছে কারা।
অবাঞ্ছিত হওয়া প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক, মানবাধিকার কর্মী ফরহাদ মজহার বলেন, দেশ বিরোধী শক্তি, বিদেশি শক্তির দালালদের এ ধরনের কান্ড দেখে আমি হাসছি। কেননা শহীদ মিনার ছিল এ দেশের সেক্যুলারদের প্লাটফর্ম বা প্রতীক। যারা অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে একাট্টা। কিন্তু যারা গণতন্ত্রের জন্য, জনগণের অধিকারের কথা বলে, সংগ্রাম করে, তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার মাধ্যমে তারা শহীদ মিনারকেই ফ্যাসিবাদের প্রতীক এবং দিল্লীর বেদিতে পরিণত করেছে। দেশের জনগণ এটা মেনে নেবে না।
এ বিষয়ে নিউএইজ সম্পাদক নূরুল কবির বলেন, এটা অত্যন্ত হাস্যকর। কেননা তারা যাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে তারা প্রত্যেকেই সরকারের অগণতান্ত্রিকতা, অন্যায়-অত্যাচার, সরকারের অবৈধতা, বিরোধী দল ও বিরোধী মতের প্রতি অসহিষ্ণুতাসহ এ ধরনের বিষয়ে কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মিনারকে ব্যবহার করে এ ধরনের সংগঠনগুলো অবৈধ সরকারকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে অবাঞ্ছিত ঘোষণাকারীরা তাদের বদনাম রটানোর চেষ্টা করে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যারা আছে তারা ভুল করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কোন নাগরিকের শ্রদ্ধা না থেকে পারে না। কেননা তাদের কারণেই দেশটা স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা যদি আওয়ামী লীগের রাজনীতি বুঝতে পারতেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে পারতেন, তাহলে লুটপাট ও অগণতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন না। তাদের বয়স কম। তারা যখন প্রকৃত অবস্থা বুঝবেন তখন তারা আজকের অবস্থানের জন্য পরিতাপ করবেন।
মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, এ বিষয়টি অহেতুক, আমার কোনো মতামত নেই।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিক বলেছেন, সংবিধানের মৌলিক অধিকারে দেশের যে কোনো স্থানে নাগরিকের প্রবেশ করার অধিকার রয়েছে। যদি আইনের মাধ্যমে ঐ স্থানে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা না থাকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোনো নাগরিক প্রবেশ অধিকার থাকবে, আর থাকবে না এটা কোনো আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাহলে জনগণের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এ আচরণ যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের মদদে প্রকাশ্যভাবে ঘোষণা দিয়েছে। এটা শুধু ফৌজদারী শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয় বরং তা সংবিধানের মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন অবমাননার শামিল যা ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানের ৭ (ক) অনুচ্ছেদে সংযোজিত করে বলা হয় যে, যে বা যারা সংবিধান লঙ্ঘন করে এবং এটাকে সহযোগিতা করবে উভয়েই মৃত্যুদ-তুল্য শাস্তি পাবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচিত সংবিধান অবমাননাকারীদের গ্রেফতার করা। 
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরহুম ড. পিয়াস করিমের লাশ রাখার কথা ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনও করে। কিন্তু ওইদিন আরও দু'টি সংগঠনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে এই 'অজুহাতে' পিয়াস পরিবারের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হয়। আগেই অনুমতি দেওয়া হয় শ্লোগান ৭১ এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নামের সংগঠনকে।
২টি সংগঠন অনুমতি নিলেও গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করে ২০টি সংগঠন। তারা মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদী গান, নাটিকা পরিবেশন করে। দেশের এসব বুদ্ধিজীবীকে প্রতিহতের ডাক দিয়ে শহীদ মিনারে ব্যানার টাঙ্গায় 'সিপি গ্যাঙ' নামে একটি সংগঠন। ব্যানারে লেখা ছিল- মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সুশীল নামধারী বুদ্ধিবেশ্যাদের প্রতিহত করুন। ওই ৯ জনের ছবিতে লাল রঙের ক্রস চিহ্ন দেয়া ছিল।
এরপর দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। সমাবেশ থেকে ওইসব বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসান তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দেশদ্রোহী পিয়াস করিমের লাশ শহীদ মিনারে আনার কথা বলায় এসব জ্ঞানপাপীদের শহীদ মিনারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় রাজাকাররা প্রকাশ্যে আমাদের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু এসব জ্ঞানপাপীরা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন টেলিভিশন ও তাদের লেখনিতে দেশের বিরোধিতা করে আসছে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়দেব নন্দী, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সাজু, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুশমত, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মিঠু, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, স্লোগান ৭১, প্রাণের ৭১, সিপি গ্যাং ও চারুশিল্পীরা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালনকারী সকল সংগঠনসমূহকে নিয়ে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্ভট অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভাসহ ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা ও সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়। এদিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ-প্রচারিত হলে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় বিভিন্ন সংগঠন।
পাঁচ
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গত শুক্রবার দুপুরে এক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড নামের একটি সংগঠনের সভাপতি মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, এঁদেরকে 'দেশের সব শহীদ মিনারে' অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।
মেহেদী হাসান  বলেন, 'আমরা শুধু এই ৯ জনকেই অবাঞ্ছিত ঘোষণা করিনি, তাদের সঙ্গে "গং" শব্দটিও জুড়ে দেয়া হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মিনারের চেতনা লালন ও ধারণ করে না, সেই সব গণ শত্রুদের শহীদ মিনারে আসার কোনো অধিকার নেই।'
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, 'কী আর বলব। ফ্রি স্টাইলে চলছে সবকিছু। একটা অসুস্থ সমাজে বাস করছি আমরা। কথা নেই বার্তা নেই, তারা কীভাবে হঠাৎ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল? দেশে গণতন্ত্রের চর্চা না থাকায় আজ এ অবস্থা।' তিনি বলেন, 'যাঁদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো, তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেন। আমি একাত্তর সালের ২৬ মার্চ সকালে রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছি। চার দিন পর মুক্তি পাই। আমার সঙ্গে যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাদের চারজনকে পাকিস্তানি সেনারা গুলি করে মেরে ফেলেছিল।' অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, সরকারের বিপক্ষে যাঁরা যৌক্তিক ও বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করেন, তাঁদের হেয় করার জন্য সরকারের মদদপুষ্ট ২০-২৫ জন মানুষ এ কর্মসূচি পালন করেছে। এ ধরনের কর্মসূচি পালন করার মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চেহারার আরেকটা রূপ ফুটে উঠেছে। তাঁর মতে, যাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন, তাঁরা যদি সত্যিকার অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়, তাঁদের উচিত সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। কারণ এই সরকারই গণতন্ত্র ধ্বংস ও দুর্নীতির মহোৎসব করে।
 শেষ করার আগে একটি নিবেদন। সরকারের উদ্দেশ্যে বলছি, দয়া করে শহীদ মিনারকে দলীয়করণ করবেন না। রাজনৈতিক লাইনে অনেক কিছুরই বিভাজন হয়েছে। রাজনৈতিক লাইনে অনেক শ্রদ্ধাভাজন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি দ্বিখন্ডিত হয়েছেন। ১৬ কোটি মানুষের প্রাণ প্রিয় শহীদ মিনারের ওপর মেহেরবানী করে বিভাজনের খড়গ চালাবেন না। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের চেয়ে দেশ বড়।





__._,_.___

Posted by: mahboob hossain <mahboob987@yahoo.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___