Banner Advertise

Tuesday, April 30, 2013

[chottala.com] অমানুষিকতা কত নিকৃষ্ট  89;তে পারে( Amust read article by veteran journalist Serajur Rahman)



 

অমানুষিকতা কত নিকৃষ্ট হতে পারে

সি রা জু র র হ মা ন
« আগের সংবাদ
 
পরের সংবাদ»
সাভারে গত বুধবার ধসে পড়া রানা প্লাজা ভবনটি থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার করা লাশের সংখ্যা ৩৮০। মূলত স্বেচ্ছাসেবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে কয়েকশ’ মানুষকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি কিংবা সংগঠনের অভাব সত্ত্বেও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের অদম্য উত্সাহ ও দৃঢ়তার প্রশংসা সবাই করেছেন। উদ্ধার কাজের গোড়ার দিকে সেনাবাহিনীর তত্পরতা খুব বেশি চোখে পড়েনি। সেনাবাহিনী এখন ভারী যন্ত্রপাতি নিয়োগ করেছে। খুব সম্ভবত ‘রিকভারি’র (জীবিত উদ্ধার) চাইতে ‘স্যালভেজ’ই (লাশ ও সম্পত্তি উদ্ধার) হবে মূল লক্ষ্য। আর কত লাশ উদ্ধার হবে নির্ভর করছে মাটির নিচে দেবে যাওয়া নিম্নতর তলাগুলো ওঠানো সম্ভব হবে কিনা তার ওপর। তবে সংখ্যা নিশ্চয়ই অনেক বেশি হবে। নয়শ’র বেশি লোক এখনও নিখোঁজ। তাদের মধ্যে খুব বেশি কাউকে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা এখন ছেড়ে দিতেই হবে।
বিশ্ব মিডিয়া পরিস্থিতির এবং বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সম্পর্কে অত্যন্ত করুণ একটা চিত্র তুলে ধরেছে দিনের পর দিন। দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর রোববার পর্যন্তও ব্রিটিশ রেডিও এবং টেলিভিশনের খবরে এটাই ছিল প্রধান শিরোনাম। পত্রিকাগুলোও খুবই বিস্তারিত খবর এবং প্রতিবেদন প্রচার করেছে দিনের পর দিন। ইউরোপ-উত্তর আমেরিকার মিডিয়াও মোটামুটি একই রকম গুরুত্ব দিয়ে এ খবরটা প্রচার করেছে। এই লন্ডনে অনেক অবাঙালিও ব্যক্তিগতভাবে শোক ও সহানুভূতি জানিয়েছেন বাংলাদেশীদের। একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকেও এ রকম ট্র্যাজেডি ঘটতে দেয়া সম্ভব বলে তারা ভাবতে পারছিলেন না।
শেখ হাসিনা তার বর্তমান সরকারে এ যাবত্ দু’জন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন। শুনেছি তাদের উভয়ের সম্পর্কে চায়ের দোকানে কিংবা বৈঠকখানায় মানুষ ‘স্টুপিড’ এবং ‘ইডিয়ট’—এ দুটি ইংরেজি বিশেষণই ব্যবহার করে বেশি। এ দু’জন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজকর্ম এবং কথাবার্তাদৃষ্টে অধিকতর উপযুক্ত কোনো বিশেষণ খুঁজে পাওয়া সত্যি কঠিন। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ভবন ধসের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় হীনমতি রাজনৈতিক ফায়দা আদায়েরই চেষ্টা করেছিলেন। বিরোধী দলগুলোকে অপবাদ দেয়ার আশায় তিনি বলেছিলেন, বিএনপি ও জামায়াতের লোকেরা রানা প্লাজার পিলার ধরে নাড়াচাড়া করছিলেন, হয়তো সে কারণেও এই আটতলা ভবনটি ধসে পড়ে থাকতে পারে। শত শত মানুষের মৃত্যু নিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা অচিন্তনীয়।
মন্ত্রী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সুখ্যাতি নেই, ছিল না কখনও। তার নিজের বিচারবুদ্ধি সম্পর্কেও প্রায়ই হতাশা প্রকাশ করা হয়। সাভারের এই মহা ট্র্যাজেডির ব্যাপারেও তিনি সেসবের ওপরে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ রক্ষা এবং ত্রাণ প্রচেষ্টার চাইতেও নিজের সরকার, নিজের দল আর সে দলের মাস্তানদের রক্ষা করাই তার বিবেচনায় বড় হয়ে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল অন্য সব অনুষ্ঠান-আয়োজন বাতিল করে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের তদারকিতে মনোনিবেশ করা। সেটা তিনি করেননি। পাঁচ দিন বিলম্ব করে তিনি প্রথমে হাসপাতালে কয়েকজন আহতকে এবং তারও পর সাভারের বিধ্বস্ত ভবনটির ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়েছিলেন।
জেনারেল ইয়াহিয়া এবং শেখ হাসিনা
চরম মর্মবেদনার সঙ্গে আমাকে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের মহাসাইক্লোনের কথা স্মরণ করতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সামরিক সরকার সেই প্রলয়ের ক্ষয়ক্ষতিকে খাটো করে দেখাতে চেয়েছিলেন। ১৪ নভেম্বর ইয়াহিয়া খান মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের হয়ে দূতিয়ালি করতে পিকিং যাচ্ছিলেন। পথে সাত-আট ঘণ্টা ঢাকায় তিনি যাত্রাবিরতি করেন। কিন্তু ভোলা-মনপুরা-হাতিয়া অঞ্চলের সে প্রলয় সম্পর্কে কিছুই বলেননি তিনি, এমনকি হেলিকপ্টার কিংবা বিমান থেকেও ধ্বংসের ছবি দেখে আসার কথা তার মনে হয়নি। কিন্তু পাকিস্তানকে সেজন্য চরম মূল্য দিতে হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের ক্রুদ্ধ মানুষ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে একচেটিয়া ভোট দিয়েছিল প্রতিশোধ হিসেবেই। তার জের ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে, পাকিস্তান ভেঙে যায়।
দুই হাজার তের সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ার পরও একটি ট্রেনের উদ্বোধন করতে যাওয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রকৃত তথ্যাদি সম্পর্কে খোঁজখবর না নিয়েই সেখানে তিনি ঘোষণা করেন যে, আগের দিন ভবনটিতে ফাটল দেখা যাওয়ার এবং পুলিশের হুশিয়ারি সত্ত্বেও গার্মেন্ট শ্রমিকরা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কর্মস্থলে ঢোকে এবং তার ফলেই সেখানে প্রাণহানি ঘটেছে।
অথচ প্রকৃত পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। পাঁচটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ফাটল ধরা ভবনের কারখানায় কাজে যেতে অনিচ্ছুক ছিল। কিন্তু মালিকরা তাদের কাজে যেতে বাধ্য করেন। স্বল্প মজুরির এই শ্রমিকরা চাকরি হারানোর ঝুঁকি নেবে বলে কেউ আশা করতে পারে না। মালিকদের নির্দেশ মেনে নিতে তারা বাধ্য হয়েছিল। মালিকরা বলেছেন, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন যে ভবনটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। ফ্যাক্টরিগুলোর এবং ভবনের মালিকের বিশেষ স্বার্থ ছিল সেদিন কাজে যেতে বাধ্য করায়। সেদিন ছিল বিএনপির আহূত ৩৬ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন। হাজার হাজার গার্মেন্ট শ্রমিককে কাজে যেতে বাধ্য করে মালিকরা দেখাতে চেয়েছিলেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির হরতাল পুরোপুরি সফল হয়নি। জানা গেছে, এই শ্রমিকদের দিয়ে একটা হরতাল-বিরোধী মিছিল করানোরও পরিকল্পনা ছিল ভবন এবং কারখানা মালিকদের।
ট্র্যাজেডি নিয়ে রাজনীতি
প্রধানমন্ত্রী হাসিনা দ্বিতীয়বার জাতিকে প্রতারিত করেছেন সংসদে দেয়া ভাষণে। সেখানে তিনি বলেছেন, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা যুবলীগের (অতএব আওয়ামী লীগেরও) কেউ নন। কিন্তু তার পরপরই ঝাঁকা ঝাঁকা প্রমাণ হাজির হয়। দেখা যায় সোহেল রানা প্রকৃতই যুবলীগের নেতা এবং ওই এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের বিশেষ বন্ধু ছিলেন। দেখা যাচ্ছে, সরকার ও আওয়ামী লীগ এবং কিছু পরিমাণে সংশ্লিষ্ট গার্মেন্ট কারখানাগুলোর মালিকদের গা বাঁচানোর চেষ্টাতেই প্রধানমন্ত্রী দুটি বিভ্রান্তির উক্তি করেছেন।
গার্মেন্ট উত্পাদক সমিতির সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পর্ক গভীর। হাতিরঝিলে সমিতির সুরম্য বহুতল ভবনটি অবৈধভাবে নির্মিত হলেও সরকার এতকাল তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং জানা গেছে, এ ব্যাপারে সমিতির সঙ্গে সরকারের একটা সমঝোতা হয়েছিল। সরকার হেফাজতে ইসলামের প্রভাব হ্রাসের আশায় ২৭ এপ্রিল মতিঝিলে একটা নারী সমাবেশ ডেকেছিল এবং সমিতিকে বলেছিল গার্মেন্ট কারখানাগুলোর হাজার হাজার নারী শ্রমিককে সে সমাবেশে হাজির করতে। পুরস্কার হিসেবে সরকার আশ্বাস দিয়েছিল যে উত্পাদক সমিতির অবৈধ হাতিরঝিল ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে না। এই সমাবেশটি অবশ্যি এখন পরিত্যক্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং নেতাদের অনেকেই গার্মেন্ট শিল্পের মালিক। তাদের সমিতির কাছ থেকে সরকার ও শাসক দল নানা ধরনের আর্থিক ও অন্যান্য সাহায্য পায় বলেও শোনা যায়। আগামী নির্বাচনের নিরপেক্ষতা বিধান করার লক্ষ্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বে ১৮টি দল বর্তমানে যে আন্দোলন করছে তাতে ক্ষ্যান্ত দিতে গার্মেন্ট শিল্প সমিতির কর্তাব্যক্তিরা পরোক্ষ চাপ দিচ্ছিলেন বলেও শোনা যায়। পক্ষান্তরে নির্যাতন ও নিপীড়নের পথ পরিত্যাগ করতে তারা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়নি। বিচিত্র নয় যে, সাভারের বর্তমান ট্র্যাজেডি থেকেও উত্পাদকদের যথাসাধ্য রক্ষার চেষ্টা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
তাছাড়া কিছু পরিমাণে হলেও এই ট্র্যাজেডিকে তিনি দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থেও ব্যবহার করতে চেয়েছেন। যেমন তিনি ‘এসময় হরতাল-ভাংচুরে বিরত থাকারও’ আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দলগুলোকে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী যখন ট্রেন উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া তখন উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যের সুবিধার জন্য তাদের হরতালের অবশিষ্টাংশ প্রত্যাহার করেছিলেন। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর চার দিন আগেই তিনি উদ্ধার কাজ দেখতে সাভারে গিয়েছিলেন।
ভাবমূর্তি—কিসের ভাবমূর্তি? কে ভাঙছে ভাবমূর্তি?
ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকা খবর দিয়েছে, ট্র্যাজেডির খবর পাওয়ার পরপরই ব্রিটিশ সরকার উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যে সহায়তাদানের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সেসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। টেলিগ্রাফের খবর অনুযায়ী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি নাকি বলেছেন যে, ধ্বংসস্তূপে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে বিদেশি সাহায্য নিলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। ভাবমূর্তির দোহাই পেড়েছেন তৈরি পোশাক উত্পাদক ও রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামও। তিনি বলেছেন, ভবনধসের চিত্র ও প্রতিবেদন প্রচার করে মিডিয়া নাকি ‘দেশের ভাবমূর্তি’ ক্ষুণ্ন করছে।
বর্তমান সরকারের শতবিধ অপকাণ্ডে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির সর্বাঙ্গে বহু পরত আলকাতরা লেপে গেছে। ভাবমূর্তির এমন কী অবশিষ্ট আছে যা পৌনে চারশ’ লাশ আর নয়শ’রও বেশি নিখোঁজ ব্যক্তির অনন্যসাধারণ মানবিক কাহিনী প্রচারে ক্ষুণ্ন হতে পারে? এবং একথা বলে দেয়া প্রয়োজন যে, ভাবমূর্তির বারোটা বাজিয়ে দেয়ার ব্যাপারে মো. আতিকুল ইসলামের সমিতির ভূমিকা সরকারের চাইতে কম নয়। মাত্র চার মাস আগে তাজরিন ফ্যাশন্সের গার্মেন্ট কারখানায় ১১২ জন শ্রমিক পুড়ে মারা গেছে। এর আগে স্পেকট্রাম ও অন্যান্য কারখানায়ও অনুরূপ ট্র্যাজেডি ঘটেছে। শ্রমিকরা কিছু চুরি করে নিয়ে যাবে এ ভয়ে আপত্কালে আত্মরক্ষার জন্য পলায়ন পথগুলো তালাবদ্ধ করে রাখা এই শত শত অপ্রয়োজনীয় মৃত্যুর জন্য দায়ী। সরকার এসব কারখানার মালিকদের উপযুক্ত কিংবা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়নি। মো. আতিকুল ইসলামের সমিতির সদস্যদের এসব হত্যাকাণ্ডের পথ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেনি।
বাংলাদেশের গার্মেন্ট উত্পাদকরা দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রফতানিকারক। চীনের পরেই বাংলাদেশের স্থান। কিন্তু বিগত দু’তিন বছরে বিদেশিরা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ট্র্যাজিক দুরবস্থার সমালোচনায় মুখর। মার্কিন সরকার কয়েক বছর ধরেই পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন ও কাজের অবস্থার উন্নতি এবং তাদের ইউনিয়ন গঠনের অধিকার দানের দাবি জানিয়ে এসেছে। শ্রমিকদের নেতা আমিনুল ইসলাম হত্যার রহস্য জানাতেও তারা মো. আতিকুল ইসলামের সমিতি এবং শেখ হাসিনার সরকারের ওপর চাপ দিয়ে আসছে। মার্কিন সরকার কার্যত বলেই দিয়েছে, এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির বর্ধিত কিংবা সংরক্ষিত কোটা নিরাপদ নয়।
তাজরীন ফ্যাশন্সের ট্র্যাজেডির পর যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহত্ রিটেইলার চেইন শপ ওয়ালমার্ট বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। রানা প্লাজায় অবস্থিত কারখানাগুলো অন্যদের মধ্যে ব্রিটেনের প্রাইমার্ক ও ম্যাঙ্গো গ্রুপকে তৈরি পোশাক সরবরাহ করত। ব্রিটেনে এখন এদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠছে। খদ্দেররাও বলাবলি করছেন, এ দুটি কোম্পানির উচিত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি বন্ধ করা। চ্যারিটি সংস্থা ওয়ার অন ওয়ান্ট এবং অ্যাকশন এইড নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণদানের দাবি জানিয়েছে।
বিভিন্ন মহল থেকে প্রস্তাব এসেছে, যারা প্রাইমার্ক থেকে সস্তায় বাংলাদেশে তৈরি টি-শার্ট কিনেছিলেন তাদের উচিত কিছু পরিমাণ অর্থ নিহত শ্রমিকদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ বাবত দান করা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য সদস্য দেশেও একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে শুনেছি। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের মূল বাজার। সাভার ট্র্যাজেডির জন্য দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তিদান এবং গার্মেন্ট শ্রমিকদের কাজের শর্ত ও পরিবেশ উন্নত করা না হলে বাংলাদেশ শিগগিরই এই বাজার হারাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘ভাবমূর্তি’ সেটা ঠেকাতে পারবে না।
গুরু পাপে লঘু দণ্ড?
কিন্তু সরকারের মতিগতি দৃষ্টে মনে হতে পারে যে, অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তিদানের কথা তারা ভাবছে না। বেনাপোল থেকে র্যাব হেলিকপ্টারে করে পলাতক সোহেল রানাকে ধরে এনেছে বলে মিডিয়ায় প্রচুর নাটক সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা কী? ভেতরে ভেতরে জানা যাচ্ছে, সোহেল রানাকে বিধ্বস্ত ভবন থেকে গাড়িতে তুলে দিয়ে পালানোর সুযোগ করে দিয়েছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ। সেসব খবর অনুযায়ী রানা প্রথমে আত্মগোপন করেছিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের বাড়িতে। অবিলম্বে এসব শোনা খবরের সত্যতা যাচাই করা না হলে জনসাধারণের ক্রোধ বেড়ে যেতে বাধ্য।
তার পরেও শোনা গেছে, রানার বিরুদ্ধে শুধু অমনোযোগিতা এবং নির্মাণ বিধি লঙ্ঘনেরই অভিযোগ আনা হয়েছে। এ দুটো আইনে শাস্তি খুবই হালকা। শুনেছি সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড। কিন্তু রানা ও কারখানা মালিকদের যারা অনিচ্ছুক শ্রমিকদের একটা ফাটল ধরা ভবনে কাজে যেতে বাধ্য করেছিলেন, তাদের প্রকৃত অপরাধ আরও বহু বহু গুণ বেশি গুরুতর। তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গত অভিযোগ হওয়া উচিত ‘ম্যানস্লটার’ বা অনবধানতা বশত হত্যার। ব্রিটিশ আমলের যে ফৌজদারি দণ্ডবিধি আইনের অধিকাংশ প্রায় অবিকৃতভাবে বাংলাদেশের আইনে গৃহীত হয়েছে, তাতে এই ম্যানস্লটারের বিধান আছে। এ অপরাধের শাস্তি পরিকল্পিত হত্যার সর্বোচ্চ পর্যায়ের শাস্তির কিছুটা কম। সরকার যদি দলীয় বিবেচনায় শাস্তির ভণিতা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সহজেই ছেড়ে দেয় তাহলে একদিকে তারা ক্রুদ্ধ শ্রমিকদের ও জাতিকে শান্ত করতে পারবে না, অন্যদিকে বিদেশে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের ক্রেতাদেরও আশ্বস্ত করতে পারবে না।
(লন্ডন, ২৯.০৪.১৩)
serajurrahman34@gmail.com

 


__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Sunday, April 28, 2013

RE: [chottala.com] Col. Beg's letter to Zia ur Rahman



Good job Mr. Syed Aslam, there is no doubt you're a Khati Dalal & best separator of nation. We no need to believe you what ever you wrote about President Zia. But we must believe guys like you are brutally spreading bad virus for dividing the nation. Many people die in many incidents why you guys not vanished from the earth?

 

Thanks and Best regards

 

Mohsin  A. Aziz

Ship Planner (Control Tower) 


From: chottala@yahoogroups.com [mailto:chottala@yahoogroups.com] On Behalf Of Hasan mahmud
Sent: Wednesday, February 06, 2013 10:11
To: chottala@yahoogroups.com
Subject: Re: [chottala.com] Col. Beg's letter to Zia ur Rahman

 

 

what an attempt to manipulate history! Where the letter has come from after 42 years of independence? Perhaps any antagonist of Late President Ziaur Rahman has assigned Sayed Borhan Kabir for this nasty job.

 


From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Monday, February 4, 2013 10:52 AM
Subject: [chottala.com] Col. Beg's letter to Zia ur Rahman

 

 

wRqv‡K †jLv K‡b©j †e‡Mi wPwV

 

ˆmq` †evinvb Kexi : GKwU `yj©f wPwV Avgv‡`i nv‡Z G‡m‡Q| wPwVwU 1971-Gi 29 †g †jLv| wPwV wj‡L‡Qb ZrKvjxb K‡b©j †eM, wj‡L‡Qb, †gRi wRqvDi ingvb‡K| cÖ_‡gB cvVK‡`i Rb¨ wPwVwU ûeû Dc¯'vcb KiwQ:-

Major Zia Ur Rahman, Pak Army, Dacca

We all happy with your job. We must say good job! You will get new job soon.

DonÕt worrie about your family. Your wife and kids are fine.

You have to be more carefull about major Jalil.

Col. Baig Pak Army

May 29. 1971



(†gRi wRqvDi ingvb, cvK Avwg©, XvKv †Zvgvi Kv‡R Avgiv mevB Lywk| Avgv‡`i Aek¨B ej‡Z n‡e Zzwg fv‡jv KvR Ki‡Qv| Lye wkMwMiB Zzwg bZzb KvR cv‡e|†Zvgvi cwievi wb‡q DwØMœ n‡qvbv| †Zvgvi ¯¿x I ev"Pviv fv‡jv Av‡Q| †Zvgv‡K †gRi Rwjj m¤ú‡K© Av‡iv mZK© _vK‡Z n‡e| K‡b©j †eM, cvK Avwg© †g 29, 1971)

wcÖq cvVK GKUz _vgyb| wd‡i hvb 1971| evOvwj RvwZ ¯^vaxbZvi Rb¨ giYcY msMÖvg Ki‡Q| A¯¿, †MÖ‡bW, Avi g„Zz¨Ñ cÖwZw`‡bi wPÎ| †gRi wRqv ZLb †m±i KgvÛvi, gyw³‡hv×v| ¯^vaxbZvi Rb¨ jovB Ki‡Qb| Avi K‡b©j †eM, cvwK¯Ívwb nvbv`vi evwnbxi Ab¨Zg KZ©v| mKvj-mܨv evOvwj wba‡bi wb‡`©k w`‡"Qb, e­- wcÖ›U ˆZwi Ki‡Qb| `yB Rb mgi †¶‡Î cÖwZc¶| A_P K‡b©j †eM ej‡Qb, Ô†Zvgvi Kv‡R Avgiv Lywk|Õ gyw³‡hv×v †gRi wRqv Kx KvR Ki‡jb †h Zvi Kv‡R cvwK¯Ívwb nvbv`vi evwnbx Lywk n‡jv? †gRi wRqv †h cÖwZc‡¶i wei"‡× hy× Ki‡Qb, †mB cÖwZc¶ Zvi mšÍv‡bi †`Lfvj Ki‡Q?

gyw³hy‡×i AKw_Z Aa¨v‡qi GwU GK eo Avwe®‹vi| Gi gv‡b wK GB †h, `„k¨Z wRqv gyw³hy× Ki‡jI Avm‡j wZwb wQ‡jb cvwK¯Ívwb nvbv`vi evwnbxi G‡R›U? gyw³hy‡×i mgqB L›`Kvi †gvkZvK‡`i loh‡š¿i K_v AvR RvwZ Rv‡b| 1975-Gi 15 AvM÷ loh‡š¿ †gvkZvK P‡µi m‡½ wRqvi †hvMv‡hv‡Mi K_vI RvwZ Rv‡b| wKš' †hwU GB wPwV ¯úó K‡i w`‡q‡Q Zv n‡jv Ôgyw³‡hv×vÕ wRqv Avm‡j wQ‡jb ¯^vaxbZvwe‡ivax cvwK¯Ívwb nvbv`vi evwnbxi G‡R›U| gyw³hy‡×i mgq cvwK¯Ívwb loh‡š¿i Ab¨Zg Ask wQ‡jb †gRi wRqv| gyw³hy‡×i mgqB Zv‡K cvwK¯Ívwbiv Ôwe‡kl `vwqZ¡Õ w`‡qwQj, †h `vwqZ¡ wZwb AZ¨šÍ wbôvi m‡½ cvjb K‡iwQ‡jb| Õ75-G wRqvi f‚wgKvq hviv wnmve †gjv‡Z cv‡ib bv, Zv‡`i Rb¨ GB wPwV GKwU eo D‡š§vPb|

GB wPwV cÖgvY K‡i, wRqv KLbI evsjv‡`‡ki ¯^vaxbZvi c‡¶ wQ‡jb bv, wZwb wQ‡jb cvwK¯Ív‡bi Ô¸ßPiÕ| Avi G Kvi‡YB Õ75-Gi 15 AvM÷ wRqv †gvkZvK Pµ‡K m‡½ wb‡q BwZnv‡mi ee©‡ivwPZ NUbv NUvb| G Kvi‡YB, Õ75-Gi ci wRqv hy×vcivax‡`i wePvi eÜ K‡iwQ‡jb| hy×vciv‡a AvUK‡`i gyw³ w`‡qwQ‡jb| G Kvi‡YB, wRqv †Mvjvg Avhg‡K †`‡k wdwi‡q G‡bwQ‡jb| G Kvi‡YB wRqv Avevi RvgvqvZ‡K ivRbxwZ Kivi my‡hvM w`‡qwQ‡jb| G Kvi‡YB wRqv, wPwýZ ¯^vaxbZvwe‡ivax‡`i cÖavbgš¿x evwb‡qwQ‡jb| hy×vcivax, ¯^vaxbZvwe‡ivax‡`i gš¿x evwb‡qwQ‡jb, `‡j wb‡qwQ‡jb| G Kvi‡YB wRqv i‡³ †fRv Avgv‡`i msweavb KuvUv‡Qov K‡i i³v³ K‡iwQ‡jb| G Kvi‡YB, wRqv gyw³hy‡×i †PZbv‡K aywjmvr K‡iwQ‡jb|

G Kvi‡YB, wRqvi g„Zz¨i ciI 1991-G ¶gZvq G‡m weGbwc Bb‡WgwbwU Aa¨v‡`k evwZj K‡iwb, G Kvi‡YB †eMg wRqv ¯^vaxbZvwe‡ivax kw³ RvgvqvZ‡K wb‡q †RvU K‡i‡Qb| G Kvi‡YB, ¶gZvq G‡m wPwýZ hy×vcivax‡`i gš¿x evwb‡qwQ‡jb| G Kvi‡YB †eMg wRqv hy×vcivax‡`i wePv‡ii wei"‡× Ae¯'vb wb‡q‡Qb| cÖKv‡k¨B hy×vcivax‡`i c‡¶ Ae¯'vb wb‡q‡Qb| G Kvi‡YB wZwb Rw½, †gŠjev`x mš¿vmx‡`i g`` I c„ô‡cvlKZv w`‡q‡Qb|

GB wPwVi †hvMm~Î Avgiv cvB, cvwK¯Ív‡bi Av`vj‡Z †`qv AvBGmAvB cÖav‡bi e³‡e¨| wKQy w`b Av‡M AvBGmAvB cÖavb Av`vj‡Z GK wjwLZ Revbew›`‡Z e‡jwQ‡jb, ÔweGbwc‡K AvBGmAvB wbqwgZ A_© †`q|Õ

m¤úÖwZ †eMg Lv‡j`v wRqv ÔIqvwksUb UvBgmÕ bv‡g GKwU †gŠjev`x cwÎKvq GKwU wbeÜ wj‡L‡Qb| H wbe‡Ü wZwb hy×vcivax‡`i c‡¶ Ae¯'vb cÖKv‡k¨ †NvlYv K‡i, G e¨vcv‡i wZwb gvwK©b n¯Í‡¶c Kvgbv K‡i‡Qb| A_©vr wRqv Ô¸ßPiÕ n‡q cvwK¯Ívwb AvbyM‡Z¨i †h exR ecb K‡iwQ‡jb, Lv‡j`v wRqvi †bZ…‡Z¡ Zv GLb gnxi"‡n cwiYZ n‡q‡Q| GB Rb¨B RvgvqvZ-wkwe‡ii ZvÊe Avi †eMg wRqvi nvnvKvi| GB wPwVi m‡½ †eMg Lv‡j`v wRqvi wbe‡Üi †hvMm~Î cvIqv hvq| Lv‡j`v wRqv Zvi wbe‡Üi ïi"‡Z e‡j‡Qb, Ô1971 mv‡j cÖ_g mvwii RvwZ¸‡jvi gv‡S hy³ivóª Avgv‡`i AvZ¥ msK‡íi AwaKvi‡K ¯^xK…wZ †`q|Õ Õ71-G gvwK©b hy³iv‡óªi f‚wgKv Avgiv mevB Rvwb| A‡b‡K g‡b Ki‡Z cv‡ib †eMg wRqv Kxfv‡e GB gvivZ¥K fzj Ki‡jb| wKš' wRqvi Kv‡Q †jLv K‡b©j †e‡Mi Õ71-Gi wPwV e‡j †`q, †eMg wRqv hv wj‡L‡Qb Zv †R‡b ey‡SB| Õ71-G cvwK¯Ívwb nvbv`vi‡`i c‡¶ gvwK©b hy³ivóª mßg †bŠeni cvwV‡qwQj Bqvwnqvi wb‡`©‡k| Bqvwnqv Lv‡bi ¸ßPi wRqvi Mov `‡ji †bÎx, †eMg wRqv ZvB gvwK©b f‚wgKvi cÖksmv †Zv Ki‡ebB| GKB Kvq`vq wZwbI †Zv gvwK©b AvMÖvm‡bi Avgš¿YI Rvbv‡eb|

GB GKwU wPwVB w`‡q‡Q A‡bK cÖ‡kœi DËi| A‡bK AgxgvswmZ wel‡qi mgvavb|

ˆmq` †evinvb Kexi, wbe©vnx m¤úv`K


B-†gBj : poriprekkhit@yahoo.com

 

http://www.amadershomoy2.com/content/2013/02/04/news0586.htm

 

Also read:

wRqvi c«kœwe× gyw³hy×!

http://www.amadershomoy2.com/content/2013/02/04/middle0391.htm

 

 

 

 

 



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Saturday, April 27, 2013

[chottala.com] A Bangladesh Diplomat: Acting President of UN General Assembly





Bangladesh Ambassador and Permanent Representative to the UN, Dr. A. K. Abdul Momen has been elected as the Acting President of the UN General Assembly beginning from April 28, 2013 for couple of weeks.  The current President H. E. Vuk Jeremic will be on vacation during the period.  President Jeremic sent a letter to Dr. Momen stating the following, "on the basis of your reputation as a prominent, visible, and active Permanent Representative whose valuable interventions on numerous occasions have been widely appreciated here in the United Nations, I am pleased to confirm you as the Acting President of the General Assembly........". 
 
Ambassador Momen is currently Vice President of the UN General Assembly and he has been presiding over the UN General Assembly Debates for quite sometime.  There are 5 Vice Presidents from each region to assist the President.
 
It may be mentioned here that when Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina delivered her speech at the last UN General Assembly session in September, 2012, Dr. Abdul Momen presided over that event also.  Most recently, when Bangladesh Finance Minister Abul Maal Abdul Muhith delivered his speech at the Global Economic Governace on April 15, Ambassador Momen was chairing that session also.
 
It may be mentioned that other than Dr. Abdul Momen, the only other Bangladesh diplomat who had the privilege to preside over the UN General Assembly was late Humayun Rashid Chowdhury who died as the Speaker of Bangladesh Parliament in 2001.   He was the only Bangladeshi who got elected as the President of the UN General Assembly in 1986.  Prior to being elected as UN President, he was Bangladesh's Foreign Minister.  The current UN President Vuk Jeremic is Serbia's Foreign Minister.
 
Today Bangladesh also got elected in two other UN Committees and these are (1) Commission on Population and Development (CPD) for the term 2013-2017 and (2) the Commission on the Status of Women (CSW) for the term 2014-2018.
The other members elected to the CSW were Congo, Ghana, Kenya, Tanzania, India, Kazakhstan, ROK, Tajikistan, El Salvador, Guyana, and Uruguay. For CPD, new members elected for 2014-2018 were Benin, Liberia, South Africa, Zambia, Pakistan, UK and the USA. We were elected for the term 2013-2017.
Apart from CSW and CPD, elections were also held for the Membership to the Statistical Commission, Commission on Narcotic and Drugs, Committee for Programme and Coordination Executive Board of UNICEF, EX Board of UNDP, UNFPA and UNOPS, Ex Board of WFP, Programme Coordinating Board of the Joint UN Programme of HIV/AIDS, UNPFII and Int'l Narcotic Contol Board. 
 
 . 




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Monday, April 22, 2013

[chottala.com] Re: শাহবাগী মেয়েদের কি অবস্থা হয় - Jamaat's BestFriend continues with his baseless slanders & gibbats against women

 
 
Situations created in Bangladesh
 That needs to open
Nation wide Quality knowledge education schools
a)    For teaching "QUALITY KNOWLEDGE Political EDUCATION COURSES" nation wide to all politicians for educating them to learn  to know for understanding the meaning of politics, the meaning of lawful democracy and the duty of politicians, also to know to learn of making rules of law for lawfully ruling country, to learn of making good policy for doing good works for  people's welfare.
b)   For teaching "QUALITY KNOWLEDGE Professional EDUCATION COURSES" nationwide to all professional people for educating them as professional skilled to do their respective job skilled fully and perfectly.
c)    For  teaching  "QUALITY  common KNOWLEDGE  EDUCATION COURSES" nation wide to  all people for educating them as common  knowledge educated  people  to know judging right or wrong before doing their works or casting their votes.
a)    For teaching "QUALITY KNOWLEDGE child care EDUCATION COURSES" nation wide to all children to educate them as quality future citizens of Bangladesh.
 
Bangladesh education department  
Also needs to be reformed
For knowing   education courses of quality that are needed to teach the students
For educating them as quality skilled educated to build Bangladesh
As "Quality Nation"
 In making quality knowledge good policy and executing timely that quality policy...
Such
Primary education courses nation wide of all children age 5 to 13 years should be 8 years
And education curriculum of primary schools and madras will be same course consists of 10 subjects.
The education aim of primary level makes to prepare the children
a)    to know how to read and learn
b)   to know what need to read and what need to learn
c)    to learn reading and presenting any

These 10 core subjects are:
1)    Bengali Language
2)    English  Language
3)    Mathematics
4)    Science
5)    Technology
6)    Social Science
7)    Art
8)    Health education
9)    Physical education
10) Religion education
Aim of secondary level education curriculum will be to provide
a)    professional education and
b)   Preparatory education of higher study.
Time schedule of secondary and higher secondary courses will be 2 +2 = 4 years.
Subjects:
i)             Preparatory education  for higher study in medical engineering science  literature, religion and other subjects
ii)            Professional education diploma in working subjects such as nursing, agriculture, home economy, business, carpenter, construction, builders, industrial, fishing, art,   religions, politics and other works subjects.
University education: 5 years and higher study 5 years.

Judges of Judicial need to judge on judging lawfully the difference of right and wrong not depending on others.


From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: notun_bangladesh@yahoogroups.com; Khobor <khabor@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, 23 April 2013 4:45 AM
Subject: Re: শাহবাগী মেয়েদের কি অবস্থা হয় - Jamaat's BestFriend continues with his baseless slanders & gibbats against women

Jamaate Islami's BestFriend continues with his baseless slanders & gibats against women ....: Gibat (Slander) is undoubtedly Haram in Islam .. 
গীবত একটি মারাত্মক কবীরা গুনাহ্‌ । 
গীবত নিঃসন্দেহে হারাম।  গীবত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কুৎসা রটনা করা ! এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ সূরা হুজরাতের ১২ নম্বর আয়াতে বলেন,
وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ
'আর তোমরা কেউ কারো গীবত করো না, তোমরা কি কেউ আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে ? একে তোমরা অবশ্যই ঘৃণা করবে।, (সূরা হুজুরাত:১২) 
কুরআন হাদীসের আলোকে গীবত ও চুগলখোরীর পরিণাম ভয়াবহ !
In Sura Noor Ayet 4:

And those who accuse chaste women, and produce not four witnesses, flog them with eighty stripes, and reject their testimony forever, they indeed are the Fasiqoon (liars, disobedient to Allah).
Also recall Sura Noor Ayet 26 in this connection:

Evil words are for evil men, and evil men are to evil words. And good words are for good men, and good men are [an object] of good words. Those [good people] are declared innocent of what the slanderers say. For them is forgiveness and noble provision. 
Related:

লেখকের ক্ষমা প্রার্থনা: 

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। গল্পটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে কোনো গল্পগ্রন্থে এটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। - হাসনাত আবদুল হাই [ref: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-04-14/news/344991]

Sura Noor Ayet 5:



2013/4/21 A Ahmed <bestfriend20878@yahoo.com>
 
Mr. Akhtar Udduza:

Thanks for exposing yourself finally as an actor and supporter of Bangladesh Awami League (BAL) which makes innocent girls and women to Prostitutes. Otherwise you would work hard and disseminate article on শাহবাগী মেয়েদের কি অবস্থা হয় to everywhere to stop BAL's heinous activities to protect dignities of the girls and women of Bangladesh.

Thanks.


--- On Sun, 4/21/13, akhtarudduza <akhtarudduza@gmail.com> wrote:

From: akhtarudduza <akhtarudduza@gmail.com>
Subject: Re: শাহবাগী মেয়েদের কি অবস্থা হয়
To: "A Ahmed" <bestfriend20878@yahoo.com>
Cc: khondkar.saleque@gmail.com, "notun_bangladesh@yahoogroups.com" <notun_bangladesh@yahoogroups.com>, "Bangla Zindabad" <Bangladesh-Zindabad@yahoogroups.com>, "dahuk dahuk" <dahuk@yahoogroups.com>, "Ovimot@yahoogroups.com" <ovimot@yahoogroups.com>, "bangla-vision@yahoogroups.com" <bangla-vision@yahoogroups.com>
Date: Sunday, April 21, 2013, 3:39 AM

mr anis, you are imposing your personal opinion, it exposes you only

On 21/04/2013, A Ahmed <bestfriend20878@yahoo.com> wrote:
Mr. Akhtar udduza:
Aren't you ashamed of making your sisters, daughters and mothers as
Prostitutes by the ruling Bangladesh Awami Leaders, workers and supporter?
Are you a supporter or actor of such kind of BAL's heinous activities?
If not, then spread the following Article "টিভি ক্যামেরার সামনেমেয়েটি" to
stop the heinous activities to honor your sisters, daughters and mothers
Bangladesh.
Thanks.
Thanks,

> --- On Sat, 4/20/13, akhtarudduza <akhtarudduza@gmail.com> wrote:
>
> From: akhtarudduza <akhtarudduza@gmail.com>
> Subject: Re: শাহবাগী মেয়েদের কি অবস্থা হয়
> To: "A Ahmed" <bestfriend20878@yahoo.com>
> Cc: khondkar.saleque@gmail.com, "notun_bangladesh@yahoogroups.com"
> <notun_bangladesh@yahoogroups.com>, "Bangla Zindabad"
> <Bangladesh-Zindabad@yahoogroups.com>, "dahuk dahuk"
> <dahuk@yahoogroups.com>, "Ovimot@yahoogroups.com" <ovimot@yahoogroups.com>,
 "bangla-vision@yahoogroups.com" <bangla-vision@yahoogroups.com>
Date: Saturday, April 20, 2013, 5:03 AM

dear mr anis, please respect women; because they are your
mother,sister,daughter
>
> On 19/04/2013, A Ahmed <bestfriend20878@yahoo.com> wrote:
>> পাঠকবৃন্দঃ
>> যতোই পড়িবেন ততোই জানিবেন। সত্য তথ্য জানিবেন এবং সবাইকে জানাইবেন। নিচের
>> বর্নিত কাহিনী টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি পড়িলে জানিবেন
>> কিভাবে বাংলাদেশের
>> ক্যানসার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্র লীগ সহজ সরল মেয়েদের বেশ্যা
>> বানাইতেছে।
>> সবাই পড়িয়া প্রতিবাদ করিলে তবেই সহজ সরল মেয়েরা (আপনার এবং আমাদের বোন ও
>> মায়েরা) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং ছাত্র লীগ হইতে রেহাই পাইবে। পঠক,
>>  আপনারা সকলের কাছে নিচের কাহিনীটি পাঠান যাহাতে সবাই পড়িতে এবং প্রতিবাদ
>> করিতে
>> পারে। আসুন সকলে এই মহৎ কাজটি করি।
>> ধন্যবাদ   --- On Thu, 4/18/13, Khondkar Saleque
>> <khondkar.saleque@gmail.com>
>> wrote:
>>
>> From: Khondkar Saleque <khondkar.saleque@gmail.com>
>> Subject: Re: শাহবাগী মেয়েদের কি অবস্থা হয়
>> To: "A Ahmed" <bestfriend20878@yahoo.com>
>> Cc: "notun_bangladesh@yahoogroups.com"
>> <notun_bangladesh@yahoogroups.com>,
>> "Bangla Zindabad" <Bangladesh-Zindabad@yahoogroups.com>, "dahuk dahuk"
>> <dahuk@yahoogroups.com>, "Ovimot@yahoogroups.com"
>> <ovimot@yahoogroups.com>,
>> "bangla-vision@yahoogroups.com" <bangla-vision@yahoogroups.com>
>> Date: Thursday, April 18, 2013, 11:36 AM
>>
>> You bastard you do not have mother or sister?SS
>>
>> 2013/4/18 A Ahmed <bestfriend20878@yahoo.com>
>>
>>
>> দয়া করে পড়ুন এবং জানুণ শাহবাগী মেয়েদের কি অবস্থা হয়...টিভি ক্যামেরার
>> সামনে
>> মেয়েটি
>> হাসনাত আবদুল হাই | তারিখ: ১৩-০৪-২০১৩
>> মেয়েটি অনেকক্ষণ ধরে তার পেছনে পেছনে ঘুরছে, সেই অনুষ্ঠান শেষে হলঘর থেকে
>> বেরিয়ে আসার পর থেকে যখন তার চারদিকে ভক্ত ও তদবিরবাজদের ভিড়। এত
>> ছেলেমেয়ের
>> মাঝখানে সাদামাটা প্রায় ময়লা কাপড়ে উসর-ধূসর চুল মাথায় বিদ্ঘুটে রঙের
>>  সালোয়ার-কামিজ পরা মেয়েটির প্রতি তার চোখ পড়ার কথা না, তবু পড়ল। এতে
>> তিনি
>> বিস্মিত হলেন এবং কিছুটা বিরক্তও। অনেকেই তার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে।
>> কেননা, তিনি শুধু একজন সেলিব্রিটি নন, ইংরেজিতে যাকে বলে ফেভার। তা অন্যের
>> প্রতি দেখানোর মতো তার যথেষ্ট ক্ষমতাও আছে। সেলিব্রিটির পেছনে, ছেলেমেয়েরা
>> ঘোরে মুগ্ধতার জন্য অথবা কিছু পাওয়ার আশায়। সংসারে সবারই কিছু না কিছু
>>  চাওয়ার আছে। জীবন যতই জটিল হচ্ছে, চাওয়ার তালিকা বেড়েই যাচ্ছে। চারদিকে
>> প্রতিযোগিতার দৌড় জীবনকে আরও জটিল করে তুলছে।মেয়েটি নাছোড়বান্দা, তিনি
>> যতই
>> তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন, সে ঘুরে এসে দাঁড়ায় সামনে, প্রথম সারিতে না
>> হলেও দ্বিতীয় কি তৃতীয় সারিতে। দেখতে সে সুশ্রী
>>  নয়, তবে তার চোখে-মুখে তীক্ষ একটা ভাব আছে, নতুন ছুরির মতো। তার চোখের
>> নিচে
>> ক্লান্তির কালো দাগ, মুখে একধরনের রুক্ষতা। আগে সেখানে যে কমনীয়তা ছিল তা
>> মুছে
>> ফেলেছে। ঠোঁট দুটি চকচক করছে, যেন গ্লিসারিন মাখানো। আসলে সে ঘন ঘন জিভ
>> দিয়ে
>> শুকনো ঠোঁট ভিজিয়ে নিচ্ছে। গলার নিচে কণ্ঠি বের হয়ে এসেছে, ওপরের দিকে
>> গলার
>> মধ্যে কয়েকটি ভাঁজ, সেখানে ঘামের পানি জমে আছে রুপার চিকন হারের মতো।
>>  শুকনো খড়ের মতো চুল উড়ছে বাতাসে। প্রায় ময়লা সবুজ ওড়না লাল কামিজে
>> জড়ানো
>> শরীরের ওপরে একটা স্তন ঢেকে রেখেছে, বুকের অন্য পাশে ওড়না কামিজের কাপড়ের
>> ওপর
>> ছড়িয়ে রাখা, প্রায় সমতল দুই দিকেই, হঠাৎ দেখে ছেলে কি মেয়ে বোঝা যায়
>> না।
>> মেয়েটি বাংলাদেশের পতাকার রং দিয়েই সালোয়ার-কামিজ বানিয়েছে অথবা সেই রকম
>> তৈরি করা কাপড় কিনেছে। আজকাল অনেকেই এভাবে কাপড় পরে, কিছুটা
>>  দেশপ্রেম দেখাতে, কিছুটা ফ্যাশন স্টেটমেন্টের জন্য। মেয়েটা দেখতে সুশ্রী
>> না
>> হলেও বয়সের জন্য একধরনের আকর্ষণ আছে তার শরীরে। অগোছালো বেশবাস সেই আকর্ষণে
>> একটা বন্যতার ভাব সৃষ্টি করেছে, যেন সে যেখানে খুশি লাফিয়ে পড়তে পারে।
>> দেখেই
>> মনে হয় খুবই বেপরোয়া আর অ্যাগ্রেসিভ।
>>
>> বুঝলেন স্যার, ওরা আমার সঙ্গে পলিটিকস করছে। সামনের সারিতে থাকতে দিচ্ছে না।
>> অথচ এই কদিন আমি সামনের
>>  সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে স্লোগান দিয়েছি। আমার গলার স্বর এত উঁচু যে
>> মাইক্রোফোনের বলতে গেলে দরকার হয় না। এক মাইল দূর থেকেই শুনে বুঝতে পারবেন
>> এটা
>> আমার গলার স্বর। মিটিংয়ের জন্য স্লোগানের দরকার, স্লোগানই মিটিং জমিয়ে
>> তোলে।
>> আপনি নিশ্চয়ই জানেন। অভিজ্ঞ লোক আপনি। আমি কয়েক দিন মিটিং জমিয়ে রেখেছি
>> শুধু
>> আমার গলার জোরে স্লোগান দিয়ে দিয়ে। কাগজে আমার নাম এসেছে। টেলিভিশনে
>>  আমাকে প্রায়ই দেখিয়েছে। পাবনা থেকে দেখে আমার ছোট বোন ফোনে বলেছে, আপু
>> তোকে
>> দেখা গিয়েছে। কয়েকবার। তুই খুব মাতিয়ে রেখেছিস। আমার মাও প্রশংসা করেছেন
>> দেখে। কেন করবেন না? নিজের মেয়ের খ্যাতিতে কোন মা গর্ব অনুভব করে না? বাবা?
>> না, তিনি কিছু বলেননি। বেতো রুগি, বিছানায় শুয়ে থাকেন সব সময়। শুনেছি,
>> ছোট
>> বোনকে বলেছেন, ও ঢাকা গেল পড়াশোনা করতে। এখন মিছিল-মিটিং আর মানববন্ধন করে
>>  সময় নষ্ট করছে। ওর পড়াশোনার কী হবে? জমির ভাই তো পড়ার কথা বলেই ওকে
>> নিয়ে
>> গেলেন ঢাকায়। এখন এসব কী হচ্ছে? ওর ভবিষ্যৎ আমার চোখের সামনে নষ্ট হয়ে
>> যাচ্ছে।
>> জমির ভাই, মানে আমার বাবার অনাত্মীয় জমির সাহেবকে জানেন স্যার? আমরা তাকে
>> চাচা
>> বলি। তিনি একজন রাজনৈতিক নেতা, মফস্বল শহর পাবনা থেকে শুরু করেছিলেন
>> রাজনীতি,
>> আস্তে আস্তে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
>>  বাবার সঙ্গে জানাশোনা অনেক দিন থেকে। আগে প্রায় প্রতিদিন আসতেন, ঢাকায়
>> আসার
>> পর যান মাঝেমধ্যে। একদিন আমাদের বাসায় এসে বললেন, তোমার বড় মেয়েটা বেশ
>> চটপটে
>> আছে। ওকে ঢাকায় পাঠাও। মফস্বলে থেকে কত দূর আর যেতে পারবে? এখানে কি-ই বা
>> সুযোগ রয়েছে? এখন সবই তো ঢাকায়।
>>
>> ঢাকায় গিয়ে কী করবে সীমা? ওর তো গ্র্যাজুয়েশনও হয়নি। বাবা বলেছিলেন।
>> শুনে জমির চাচা উত্তর দিয়েছিলেন, কেন?
>>  ঢাকাতেই গ্র্যাজুয়েশন করবে। সেই ব্যবস্থা করে দেব আমি। কলেজ
>> ম্যানেজমেন্টের
>> সঙ্গে জানাশোনা আছে। বললেই অ্যাডমিশন হয়ে যাবে। হোস্টেলেও জায়গা পেতে
>> অসুবিধা
>> হবে না। সবই তো রাজনৈতিক দলের কন্ট্রোলে, যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের।
>> এখন
>> আমরা আছি, সব সিদ্ধান্ত আমরাই নিই। কে অ্যাডমিশন পাবে, কার জন্য সিট খালি
>> করাতে
>> হবে—এ সবই আমাদের আওতায়। বুঝলেন না, একটা সিস্টেম তৈরি হয়ে
>>  গিয়েছে। বেশ সুন্দর চলছে। কেউ বাদ সাধছে না, কোনো হট্টগোল নেই। সবাই পাবে
>> এই
>> সুযোগ, পালা করে। বেশ গণতান্ত্রিক এই ব্যবস্থা। তা ছাড়া দলের কেউ না হলেও
>> এসব
>> সুযোগ পাওয়া যায়। একটু খরচ করতে হয় আর কি। সে যাই হোক, আপনার মেয়েটার
>> দায়িত্ব আমি নিলাম। ও ঢাকায় যাবে, কলেজে ভর্তি হবে, হোস্টেলে থাকবে।
>> পড়াশোনা
>> করবে। মাঝেমধ্যে আমাদের পার্টি অফিসে এসে এটা-ওটা নিয়ে কাজ করে সাহায্য
>>  করবে।
>> কী কাজ করবে? কী নিয়ে সাহায্য করতে হবে সীমাকে? বাবার স্বরে উদ্বেগ ও
>> ব্যাকুলতা।
>> তেমন কিছু না। ধরেন নেতার জন্য বক্তৃতা লেখা, প্যামফ্লেট তৈরি, প্রচার
>> পুস্তিকা
>> লেখা, ব্যানারের স্লোগান—এই সব আরকি। বড় ধরনের কোনো কাজ না, জটিলও না। খুব
>> বেশি সময় দিতে হবে না তাকে। পড়াশোনার কোনো ক্ষতি হবে না।
>>
>> বাবা শুনে আমার দিকে তাকিয়েছেন। মাথা নেড়ে বলেছেন, ও অমন কাজ আগে কখনো
>>  করেনি। পারবে না। তা ছাড়া ওই সব নিয়ে থাকলে পড়াশোনা লাটে উঠবে।
>> জমির চাচা আশ্বাস দিয়ে বললেন, কাজগুলো সব সোজা। লেখালেখি, তা-ও বাংলায়।
>> ছোট
>> ছোট আকারে। তাতে সময় বেশি লাগবে না। আর পড়াশোনার সময় তো সে এসব কাজ করবে
>> না,
>> অবসরে করবে। সন্ধ্যার পর। কখনো রাতে।
>>
>> সন্ধ্যার পর, রাতে? বাবা খুব চিন্তিত হয়ে তাকিয়েছেন জমির চাচার দিকে।
>> বলেছেন
>> মাথা দুলিয়ে কাঁপা গলায়, শুনেছি,
>>  সন্ধ্যার পর ঢাকার রাস্তাঘাট নিরাপদ না। গুন্ডা-বদমাশ ঘুরে বেড়ায়।
>> ইভটিজার
>> পিছু নেয়।
>> আরে না। ওসব বাড়িয়ে বলে লোকে। ঢাকা রাজধানী, সেখানে আইনশৃঙ্খলা থাকবে না
>> তো
>> থাকবে কোথায়? অন্য সব মেয়ে থাকছে না ঢাকায়? কাজ করছে না, ঘোরাঘুরি করছে
>> না?
>> মজার ব্যাপার কি জানেন?
>>
>> কী? বাবার চোখে একরাশ কৌতূহল এবং পুরোনো প্রশ্ন।
>> ঢাকায় মফস্বলের মেয়েরাই বেশি ফ্রি, বেশি দুরন্ত, বেশ সাহসী।
>>  ওরা কাউকে পরোয়া করে না। সব পার্টিতেই তারা আছে। টেলিভিশনে দেখেন না,
>> মিছিলের
>> সময় সামনে থেকে কেমন হাত তুলে জোরে জোরে স্লোগান দেয়। মফস্বলের মেয়েরাই
>> ঢাকায় আন্দোলন জমিয়ে রাখে। বলতে গেলে ওরাই আসল কর্মী দল। ছেলেগুলো
>> ফাঁকিবাজ।
>> তারা মেয়েদের দিয়েই সব কাজ করিয়ে নিতে চায়। শুধু বাহবা আর টাকা নেওয়ার
>> সময় সামনে থাকে। সব কাজের ক্রেডিট নেয়। জমির চাচা অনেকক্ষণ কথা বলে
>>  থামেন।
>> স্যার, কিছুই জানা ছিল না আমার, মফস্বলের মানুষ, তা-ও আবার মেয়ে। অল্প
>> সময়ে
>> অনেক কিছু শিখলাম। হয়তো আরও শেখার আছে। মেয়েদের সারা জীবনটাই জানার।
>> ছাত্রী
>> হয়েই থাকতে হয় সবকিছু জানার জন্য। অ্যাপ্রেন্টিস বলে না? আমরা হলাম তাই।
>> কিন্তু আমি আর পারছি না স্যার। আমার একটা চাকরি দরকার। ভদ্রলোকের,
>> ভদ্রমেয়ের
>> মতো চাকরি। আপনি দিতে পারেন। আপনার তো সেই সুযোগ রয়েছে। আমার
>>  বেশি কিছু দেওয়ার নেই, সবই তো দেখতে পাচ্ছেন। প্রায় দেউলে হয়ে গিয়েছে
>> শরীর
>> আর মন। দেওয়ার মতো কিছু হয়তো একসময় ছিল, এখন তেমন কিছু নেই। মিথ্যে বলব
>> কেন।
>> আপনি অভিজ্ঞ লোক। সেলিব্রিটি।
>> তিনি বিরক্ত হয়ে বলেন, তোমার একটা দোষ আছে। তুমি বেশি কথা বল।
>>
>> মেয়েটি শুনে মিইয়ে যায়। তারপর বলে, জমির চাচা কোথায়? আছেন, তিনি তার
>> জায়গাতেই আছেন, দলের কাজ করছেন উঠে-পড়ে, দলে আরও কিছুটা
>>  ওপরে উঠতে পেরেছেন। অনেক ফন্দিফিকির জানেন তিনি। কী করে ডিঙিয়ে যেতে হয়,
>> ওপরের মানুষকে তুষ্ট করতে হয়, সব জানা আছে তার। তিনি আরও ওপরে উঠবেন।
>> আমি? না, আমার পক্ষে ওপরে ওঠা সম্ভব হবে না। যেটুকু উঠেছি, ওই পর্যন্ত।
>> মানববন্ধন করি, মিছিলে যাই, মঞ্চ তৈরি করে তার ওপরে উঠে গলা ফাটিয়ে স্লোগান
>> দিই। টেলিভিশনে দেখায়। কাগজে নাম ছাপা হয়। পাবনা থেকে ছোট বোন প্রশংসা করে
>> ফোনে জানায়।
>>  মা-ও খুশি, তার মেয়েকে টেলিভিশনে দেখা যাচ্ছে, সবাই তার কথা বলছে। মা
>> আমাকে
>> নিয়ে গর্ব করেন বলে শুনেছি।
>> পড়াশোনা? হ্যাঁ, জমির চাচা তাঁর কথা রেখেছিলেন। কলেজে অ্যাডমিশন হয়েছে।
>> হোস্টেলে শেয়ারে সিট পেয়েছি, মানে দুজনে একসঙ্গে থাকতে হয়। ক্লাস বেশি
>> হয়
>> না, প্রায়ই বন্ধ থাকে। আমরাও ফুরসত পাই না। হরতাল, মিটিং, মিছিল। মঞ্চে উঠে
>> স্লোগান দেওয়া। এতে অনেক সময় চলে যায়। তবে
>>  কলেজে নামটা আছে খাতায়। হোস্টেলে সিটটা আছে এখনো। কেউ আপত্তি করে না, কেন
>> করবে? প্রায় সবাই তো আমার মতো অবস্থার। কারও অনুগ্রহে অ্যাডমিশন আর সিট
>> পাওয়া। সন্ধ্যার পর পড়াশোনা? না, সেটা প্রায় কারোরই হয় না। সবাই কিছু না
>> কিছু নিয়ে ব্যস্ত, টাকার ধান্দায় ঘোরে। আমি পার্টি অফিসে যাই। কখনো একা,
>> কখনো
>> ছাত্রনেতাদের সঙ্গে। জমির ভাইয়ের অফিসে বসে বক্তৃতা লিখি, কখনো লিফলেট।
>>  কম্পিউটারে প্রিন্ট আউট বের করে দেখাই। তিনি প্রুফ দেখে দেন। আবার টাইপ
>> করি।
>> এসব কাজ ছেলেরা করতে চায় না। তারা মারধর, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাঙচুর—এসব
>> নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কাজ শেষ হলে আড্ডা দেয়, ড্রিংক করে একসঙ্গে বসে।
>> ড্রিংক? না, না। চা-টা না। অ্যালকোহল। হুইসকি। বিয়ার। আমাকেও খেতে হয়েছে
>> পাল্লায় পড়ে। ওদের সঙ্গে থাকতে হলে তাদের সমর্থন পাওয়ার জন্য নানাভাবে
>> সঙ্গ
>>  দিতে হয়। এড়ানোর উপায় নেই। ওরা নেতাদের কাছে নালিশ করলে আমাদের ভাতা
>> বন্ধ।
>> দেড় হাজার টাকা ভাতা পাই আমি অফিস থেকে, তাই দিয়ে কলেজে পড়া, হোস্টেলে
>> থাকা।
>> খুব মূল্যবান সেই ভাতা। বোকামি করে হারাতে পারি না। তাহলে যে পথে বসব।
>>
>> জমির ভাইকে বলোনি কেন এসব? কী যে বলেন! তিনি কি ধোয়া তুলসি পাতা? তিনিও
>> ড্রিংক
>> করেন। রাতে কাজ শেষ হয়ে গেলে অফিসে বসেই করেন। আমাকেও খেতে হয়েছে তার
>>  সঙ্গে। আদর করে জড়ানো গলায় বলেছেন, খাও, খাও। ভালো জিনিস। স্বাস্থ্য ভালো
>> থাকে। এনার্জি বাড়ায়। এত পরিশ্রম করার পর দরকার আছে এটার। সাহেবরা তো
>> খারাপ
>> জিনিস তৈরি করেনি। অল্প অল্প খাও, তাহলে বেসামাল হবে না। একটু সামলে চলতে
>> হবে,
>> হাজার হোক এটা পার্টি অফিস। বেসামাল হতে চাও তো আমার বাসায় এসো। তোমার
>> ভাবি?
>> আরে সে থাকলে তো! কেউ নেই, বাসা খালি। মারা গিয়েছে? না, মারা যাবে কেন?
>>  মেয়েরা অত তাড়াতাড়ি মরে না। এই ঝগড়া করে চলে গেল আরকি। বলল, রাজনৈতিক
>> নেতার সঙ্গে ঘর করা পোষাবে না তার। কয়েক বছর একসঙ্গে থাকার পর এই কথা বলা।
>> এত
>> দিন যখন সহ্য করতে পেরেছে, তখন বাকিটাও পারত। কোনো মানে হয় হঠাৎ করে এসব
>> কথা
>> বলার? যারা দেশের জন্য খাটছে দিন-রাত, তাদের কিছু খামখেয়ালি, নিয়ম ভেঙে
>> চলা—এসব সহ্য করতে না পারলে চলবে কেন? শুনল না মেয়ে মানুষটা। চলে গেল। যাক
>> গে।
>> বেশ
>>  আছি। হাত-পা ঝাড়া। চাকর আছে, রাঁধুনি আছে বাসায়। খাওয়া-দাওয়ার অসুবিধা
>> হচ্ছে না, ঘুমোবার সময় বেশ ঘুমোচ্ছি। হ্যাঁ, তোমার যখন খুশি যেতে পারো।
>> ওদের
>> বললেই তোমাকে খেতে দেবে। দোকানে দোকানে সব সময় খাওয়া ভালো না লাগারই কথা।
>> সেই
>> তো বিরিয়ানি, নয়তো পরোটা-গোশত। কত দিনের পুরোনো কে জানে। স্বাদ বদলের জন্য
>> এসো আমার বাড়ি মাঝে মাঝে। যখন খুশি। আমি বলে রাখব। জমির চাচা বললেও আমি
>>  সঙ্গে সঙ্গে তার বাসায় যাইনি। আমার মনে বেশ সন্দেহ জমেছিল। আস্তে আস্তে
>> লোকটার চেহারা খুলে যাচ্ছিল আমার সামনে।
>> জমির চাচা নিজেই একদিন নিয়ে গেলেন তার বাসায়। প্রায় জোর করেই ড্রিংক
>> করালেন
>> ড্রয়িংরুমে বসে। সেদিন বেশিই খাওয়া হয়ে গিয়েছিল, তারই চাপে। ড্রিংকের পর
>> পোলাও-কোর্মা খাওয়া হলো। খুব ফুর্তি লাগছিল। অমন মজা করে খাইনি অনেক দিন।
>> তিনি
>> যখন অনেক রাতে বললেন, দেরি
>>  হয়ে গিয়েছে। এখন হোস্টেলে যাওয়া ঠিক হবে না। থেকে যাও এখানে।
>> তাঁকে বেশি করে বলতে হলো না। থেকে গেলাম প্রায় স্বেচ্ছায়। সেই শুরু। তারপর
>> বেশ কয়েক দিন হয়েছে অমন, একসঙ্গে ড্রিংক করা, খাওয়া আর ঘুমানো। দলের
>> ছেলেরা
>> তো বোকা না, টের পেয়ে গিয়েছে। ঠাট্টা করেছে, মিসট্রেস বলে। গায়ে মাখিনি।
>> এমন
>> ভাব করেছি, যেন শুনতেই পাইনি। ওরা ঠাট্টা করা বন্ধ করেনি।
>>
>> জমির চাচাকে কেন
>>  বলিনি ওদের কথা? এই জন্য বলিনি যে জমির চাচা ওদের কিছু বলবেন না। তাদের
>> নিয়ে
>> কাজ করতে হয় তাকে।
>> তিনি রাস্তার দিকে তাকিয়ে আছেন, অনেক জায়গাজুড়ে মঞ্চ। রাস্তায়, ফুটপাতে
>> মানুষের ভিড়। অল্প বয়সের ছেলেমেয়েই বেশি। স্লোগান উঠছে থেকে থেকে, কোলাহল
>> বাড়ছে। তিনি সীমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি মঞ্চে যাবে না আজ? স্লোগান
>> দিতে?
>>
>> না। ছাত্রনেতারা পলিটিকস করছে আমার সঙ্গে। বলছে,
>>  তাদের খাদ্য হতে হবে। শুধু জমির চাচার একার খাদ্য হলে চলবে না। রাতের বেলা
>> মঞ্চের আশপাশে তাদের সঙ্গেও শুতে হবে। তাহলেই হাতে মাইক্রোফোন দেবে, নচেৎ
>> নয়।
>> শুনে তিনি অবিশ্বাসের চোখে তার দিকে তাকান। রাস্তার স্লোগান ক্রমেই জোরালো
>> হয়।
>> তিনি সীমা নামের মেয়েটিকে বলেন, মাইক্রোফোন ওরা কন্ট্রোল করে? ওরাই ঠিক করে
>> কে
>> কখন স্লোগান দেবে?
>>
>> তা নয় তো কী? ওরাই তো মঞ্চের নেতা। ওদের কথা
>>  যারা মানবে না, তারা হাতে মাইক্রোফোন পাবে না। গলা যত সুন্দরই হোক। আমার
>> মতো
>> ভরাট গলা হলেও চান্স পাবে না। মেয়েটি হঠাৎ তার দিকে তাকিয়ে বলল, শুনবেন
>> স্যার? একটা স্লোগান দেব? আমার ভরাট গলায়?
>> না, না। দরকার নেই। এমনিতেই বুঝতে পারছি তোমার গলা বেশ ভরাট। রেডিও, টিভি
>> অ্যানাউন্সারদের মতো, নিউজ রিডারের মতো।
>>
>> মেয়েটি খুব খুশি হয় শুনে। হাসিমুখে বলে, সত্যি বলছেন স্যার? টিভি
>>  অ্যানাউন্সার, নিউজ রিডারের মতো? বলতে বলতে মেয়েটির চোখ ভিজে এল। ধরা
>> গলায়
>> বলল, আমার মতো অধঃপতিত মেয়ের ভাগ্যে কি তা হবে কখনো? হতে পারত যদি খারাপ
>> হয়ে
>> না যেতাম। ভালো পথে চলতাম। ভালো লোকের সঙ্গে মিশতাম। কিন্তু তা কী করে
>> সম্ভব?
>> আমার মতো অবস্থার একটা মেয়ে ভালো পথে কী করে চলবে? ভালো মানুষের সঙ্গ সে
>> কোথায় পাবে? হাজার চেষ্টা করলেও তা হবে না। পাবনা থেকে ঢাকা অনেক দূরের পথ।
>> আমি
>>  তো জানি পথের বাধাগুলো কোথায় কোথায় দাঁড়িয়ে। না, অত বড় কিছুর কথা
>> ভাবতে
>> পারি না আমি এখন। ছোটখাটো একটা চাকরি পেলেই বর্তে যাব। যেকোনো কাজ, যা
>> ভদ্রভাবে
>> চলতে দেবে, সুন্দরভাবে থাকতে দেবে। আচ্ছা স্যার, আপনার টেলিভিশন চ্যানেলে
>> লেখাটেখার কোনো কাজ নেই? আমি খুব ভালো বাংলা লিখি। কবি শামসুর রাহমানের ওপর
>> লেখা আমার কয়েকটা প্রবন্ধ আছে। অনেকে প্রশংসা করেছিল। আরও কয়েকটা লিখে
>>  একটা বই বের করব ভেবেছিলাম। কিন্তু সময় হলো না। ইচ্ছেটা এখনো আছে।
>> জমির চাচাকে বলব? তিনি উড়িয়ে দেবেন কথাটা। বলবেন, কবি-টবিদের ওপরে বই লিখে
>> কী
>> হবে? তার চেয়ে আমাদের দলের ওপর লেখো। দলের নেতাদের ওপর লেখো। তারপর একটু
>> থেমে
>> বলেছেন, তোমার অসুবিধা কোথায়? এই সব কথা তোমার মাথায় ঢোকে কেন? মাসে তিন
>> হাজার টাকা পাচ্ছ। সেই টাকায় কলেজের ফি, হোস্টেলের খরচ দিচ্ছ। এই বয়সে এর
>> চেয়ে
>>  ভালো চাকরি আর কী হতে পারে? তাও আবার পার্টটাইম। পরীক্ষায় পাস করার পর
>> বেশি
>> বেতনে চাকরি পেয়ে যাবে, তখন তুমি শুধু শামসুর রাহমান কেন, সব কবিদের নিয়ে
>> লিখবে। এখন তোমাকে আমার অফিসের কাজের জন্য বেশি দরকার। ছাত্রনেতারা
>> হাসি-ঠাট্টা
>> করে? তা একসঙ্গে করলে বন্ধুরা অমন করবেই, গায়ে না মাখালেই হলো অথবা হেসে
>> উড়িয়ে দেবে। আর শোনো, আমাকে না বলে ছাত্রনেতাদের সম্পর্কে কিছুই বলতে যাবে
>>  না। ওরা রেগে গেলে সবকিছু করতে পারে। দল ভেঙে অন্য কোথাও যাওয়ারও চেষ্টা
>> কোরো
>> না। দলের ছেলেরা সেটা সহ্য করবে না। ওরা সাংঘাতিক কিছু করে ফেলবে। দলের
>> ছেলেমেয়েদের দলে রাখা তাদের জন্য একটা প্রেসটিজের ব্যাপার। ইচ্ছে করলেই
>> কাউকে
>> চলে যেতে দেওয়া যায় না। ঢোকা সহজ, বেরোনো কঠিন। বুঝলে? মাথা ঠিক রেখে কাজ
>> করো। সমস্যা হলেই আমার কাছে চলে আসবে, খোলাখুলি সব বলবে।
>>
>> জমির সাহেব মঞ্চের
>>  ছেলেদের বলছেন না কেন তোমাকে মাইক্রোফোন দেওয়ার জন্য? তিনি মেয়েটিকে
>> জিজ্ঞাসা করেন।
>> বলছেন না এই জন্য যে তিনি তাদের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চান না। তা ছাড়া
>> ব্যাপারটা নাটকের মতো। পেছন থেকে প্রম্পটার যা বলছে, তাই নিয়ে স্লোগান
>> হচ্ছে,
>> সে অনুযায়ী সবকিছু চলছে। বাইরে থেকে কিছু বোঝা যায় না। জমির চাচা মঞ্চের
>> পেছন
>> থেকে সামনে আসতে যাবেন কেন? তিনি এবং তার বন্ধুরা টাকা
>>  দিয়ে যাচ্ছেন, খাওয়ার প্যাকেট পাঠাচ্ছেন। মঞ্চ চালু থাকছে, মিছিল বের
>> হচ্ছে।
>> ব্যস, এতেই তারা সন্তুষ্ট। একটা মেয়ের জন্য তিনি কিংবা তার সহকর্মীরা
>> ছাত্রনেতাদের খেপাতে যাবেন কেন? নিজের দুর্বলতা থাকলে এমনই হয়। না, জমির
>> চাচাকে বলে কিছু হবে না। সে আমার জানা আছে। হাতে মাইক্রোফোন পাওয়ার একটাই
>> উপায়। ছাত্রনেতাদের কথা শুনতে হবে। সোজা কথায়, তাদের খাদ্য হতে হবে। হ্যাঁ
>>  স্যার, আমার মতো মেয়েরা সবাই খাদ্য। তারা মেনে নিয়েছে, ইচ্ছায় এবং
>> অনিচ্ছায়। কী করবে? বাবার এত টাকা নেই যে তার খরচে ঢাকায় থাকবে। চাচা নেই,
>> মামা নেই যে সাহায্য করতে পারেন। একমাত্র জমির চাচারা আছেন। তারা আগ
>> বাড়িয়ে
>> সাহায্য করতে আসেন। বড় মিষ্টি তাদের ব্যবহার। প্রায় অপত্যস্নেহে তাঁরা
>> সঙ্গে
>> নিয়ে ঘোরেন।
>>
>> মেয়েটি প্রসঙ্গ বদলায়। বলে, আপনাকে টেলিভিশনে দেখেছি,
>>  টকশোতে আপনার কথা শুনেছি। আপনাকে অন্য রকম মনে হয়েছে। মানে অন্য পুরুষদের
>> মতো
>> না। আমার ভুলও হতে পারে। কিন্তু সত্যিই আপনাকে দেখে আমার এমন মনে হয়েছে। তা
>> স্যার, পারবেন আমার জন্য কিছু করতে? বড় কিছু না। মঞ্চের আড়ালেই থাকব,
>> লেখালেখি কিছু থাকলে করে দেব। টেলিভিশনেও লেখার কাজ নিশ্চয়ই আছে?
>>
>> এই বইটা থেকে পড়ব? কতটুকু? এক প্যারা? বেশ পড়ছি। বলে মেয়েটি পড়তে থাকে
>> এক
>> মনে। পড়া
>>  শেষ হলে সে তাকে বলে, ক্যামন হলো স্যার? স্লোগান দিয়ে দিয়ে গলাটা ভেঙে
>> গিয়েছে। নরমাল হলে আর একটু ভালো হতো। তা লেখালেখির কাজের জন্য তো গলার
>> স্বরের
>> দরকার নেই। আমার লেখা প্রবন্ধগুলো আপনাকে দেব। কবি শামসুর রাহমানের ওপর লেখা
>> প্রবন্ধ। আমার খুব প্রিয় কবি ছিলেন। 'স্বাধীনতা তুমি' কবিতাটি পড়লেই আমার
>> গায়ের রোমকূপ দাঁড়িয়ে যায়। আমি প্রবন্ধগুলো আপনার অফিসে গিয়ে দিয়ে
>>  আসব। আপনার কাছে পৌঁছাবে কি না কে জানে। কত রকমের সিকিউরিটি আপনাদের অফিসে।
>> তবু আমি দিয়ে আসব।
>> তিনি পকেট থেকে মোবাইল বের করে চোখের সামনে নিয়ে একটা নম্বরে টিপ দিলেন।
>> তারপর
>> ওপাশে কণ্ঠস্বর শোনা যেতেই তিনি বললেন, একটা মেয়ে যাবে অফিসে। নাম সীমা। ওর
>> একটা অডিশন নেবে। হ্যাঁ, সে একটা কিছু পড়ে যাবে, যা তোমরা তাকে দেবে। শোনার
>> পর
>> নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। তারপর আমাকে তোমাদের
>>  মত দেবে। হ্যাঁ, আমিও শুনব তার রেকর্ড করা অডিশন।
>> স্যার, আমি টেলিভিশনে অডিশন দেব? সত্যি বলছেন? না, না ঠাট্টা করবেন না আমার
>> সঙ্গে। আমি এর মধ্যেই জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছি। আর বাড়াতে চাই নে কষ্টের
>> বোঝা।
>> স্যার, চাকরি না দেন, আমার সঙ্গে ঠাট্টা করবেন না। আমি মফস্বলের সামান্য
>> একজন
>> মেয়ে, তার ওপর আবার অধঃপতিত। পড়ে গেলে নাকি ওঠা কঠিন। আমি একটু দেখতে চাই,
>> পড়ে গেলেও ওঠা যায় কি না,
>>  তার জন্য ছোট একটা সুযোগ দেন শুধু।
>> তিনি মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি খুব বেশি কথা বল।
>> শাহবাগ চত্বর লোকে লোকারণ্য। সব বয়সের মানুষ নর-নারীতে ভরে গিয়েছে সব
>> রাস্তা,
>> ফুটপাত। সবাই ব্যগ্র হয়ে তাকিয়ে আছে দক্ষিণের দিকে, যেখানে জাতীয় জাদুঘর,
>> পাবলিক লাইব্রেরি আর তারপর আর্ট ইনস্টিটিউট। হকাররা ভিড়ের মধ্যে নানা ধরনের
>> জিনিস বিক্রি করছে। খেলনা, খাবার জিনিস—সবই। লাল
>>  আর সাদা হাওয়াই মিঠাইয়ের পেজা তুলার মতো ফাঁপানো শরীর প্লাস্টিকের ভেতর
>> থেকে
>> বেরিয়ে আসতে চাইছে। বাবার কাঁধে চড়ে একটা শিশু হাওয়াই মিঠাই খাচ্ছে,
>> কাঁধে
>> চড়েই কেউ বাতাসে খেলনা নাড়ছে। বাঁশি বাজাচ্ছে এক হকার, গলায় ঝোলানো
>> ঝোলায়
>> বিক্রির বাঁশি। শুকনো মিষ্টি বিক্রি করছে ঠেলাওয়ালা। বাতাসে ভাজা-পোড়ার
>> গন্ধ।
>> শিশুপার্কের সামনে এক চিলতে জায়গায় ফকির আলমগীর তাঁর দল
>>  নিয়ে লালনসংগীত গাইছেন ফিউশন সুরে।
>> একটু পরে আর্ট ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হলো। সঙ্গে সঙ্গে
>> ভিড়ের
>> মধ্যে ঢেউয়ের মতো একটা চঞ্চলতা আছড়ে পড়ল। পেপিয়ার-ম্যাশে তৈরি মস্ত বড়
>> বাঘ, প্যাঁচা, ময়ূর মাথার ওপরে তুলে এগিয়ে আসছে শোভাযাত্রার ছেলেমেয়েরা।
>> উত্তেজনায় ফেটে পড়ছে যেন, চঞ্চল হয়ে উঠেছে ভিড়ের মানুষ। গরমে ঘামছে
>> সবাই,
>> লাল হয়ে এসেছে মুখ। ধুলো উড়ছে,
>>  বাতাসে রোদের ঝাঁজ।
>> মেয়েটি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে বলছে, 'নতুন
>> বর্ষকে
>> স্বাগত জানিয়ে এগিয়ে আসছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এতক্ষণ যারা অধীর প্রতীক্ষায়
>> ছিল, হাজার হাজার সেই সব নর-নারী শিশু-কিশোরের প্রতীক্ষা শেষ হলো। গান শোনা
>> যাচ্ছে, এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।' বলতে বলতে মেয়েটির স্বর ক্রমেই উঁচু হলো।
>> এত
>> কোলাহল, গানের চড়া সুর, তার ভেতরে মেয়েটির
>>  কণ্ঠস্বর স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। সে পরেছে লাল পেড়ে সাদা সুতির একটা শাড়ি।
>> তার
>> এক হাতে ছোট গাঁদা ফুলের মালা বালার মতো জড়িয়ে।
>>
>>
>>
>>
>
>
> --
> ----------  ---    Please ignore or spam if feel unwanted  -------------
>
> -----------------ভালো না লাগলে আমার ঠিকানাটি spam করে দিন -------
>
> *আমার তথ্যসহ ফাইল দেখতে এখানে মাউস ক্লিক করুন CLICK HERE TO SEE MY PUBLIC
> FILES* <http://sites.google.com/site/akhtarudduza>
>
>
> thanks and best regards
> Engr Akhtarudduza
>


--
----------  ---    Please ignore or spam if feel unwanted  -------------

-----------------ভালো না লাগলে আমার ঠিকানাটি spam করে দিন -------

*আমার তথ্যসহ ফাইল দেখতে এখানে মাউস ক্লিক করুন CLICK HERE TO SEE MY PUBLIC
FILES* <http://sites.google.com/site/akhtarudduza>


thanks and best regards
Engr Akhtarudduza