প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ত্রের পরিবর্তে শিক্ষা খাতে তহবিল বরাদ্দের ওপর গুরুত্বারোপ করে শিক্ষাকে বিশ্ব উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রাণকন্দ্রে স্থান করে দেয়ার লক্ষে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।শেখ হাসিনা বলেন, 'একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং অস্ত্রের পরিবর্তে শিক্ষাখাতে অর্থ বরাদ্দই শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রকৃত পন্থা।'প্রধানমন্ত্রী আজ জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের 'বৈশ্বিক শিক্ষার প্রথম উদ্যোগ-এর প্রথম বার্ষিকীতে জাতিসংঘ সদর দফতরে ইকোসোক চেম্বারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রদানকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী এ উদ্যোগের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বানের এই ধারণা প্রতিটি শিশুকে স্কুলে যেতে, শিক্ষার মান উন্নয়নে এবং শিক্ষার জন্য দ্রুত বৈশ্বিক অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করবে।জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এই উদ্যোগের চ্যাম্পিয়ন দেশগুলোর একটি হবে। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'জাতীয় উন্নয়নের জন্য শিক্ষা হবে আমাদের প্রথম ও মূল মন্ত্র' ঘোষণার সঙ্গে মিল রয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে আমাদের রূপকল্প ও উন্নয়ন এজেন্ডায় 'পরিবর্তনের প্রধান নিয়ামক' হলো শিক্ষা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের শিক্ষা নীতি ২০১০-এ ২০১৪ সাল নাগাদ সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে।তিনি বলেন, 'আপনি একটি বালককে শিক্ষিত করলে একটি ব্যক্তিকে শিক্ষিত করলেন, যদি একটি বালিকাকে শিক্ষিত করলেন তখন আপনি একটি শিক্ষিত পরিবার এবং একটি পুরো জাতিকে শিক্ষিত করলেন এই বিখ্যাত উদ্ধৃতিকে গ্রহণ করে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১-তে নারীর শিক্ষার প্রতি জোর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুলগুলোতে আইসিটি সরবরাহ করে বছরে ১ কোটি ১৯ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে ৯১ কোটি ৫০ পাঠ্যবই বিতরণ, উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দানের মাধ্যমে এমডিজি-৩ লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে জেন্ডার সমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় দাতাদের অর্থায়নে স্কুলে খাবার সরবরাহ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, মাদ্রাসার পাঠক্রমে আধুনিকায়ন এবং বারক ও বালিকাদের পাশাপাশি 'অটিজম' ও অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের শিক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।এসব প্রচেষ্টা সহযোগিতা দেয়ার জন্য ইউএনডিপি ও অন্যান্য সংস্থার উন্নয়ন অংশীদারদের ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, 'শিক্ষা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনমান নিরাপদ ও নিশ্চিত করবে।'
__._,_.___