Banner Advertise

Tuesday, February 25, 2014

[chottala.com] রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করো: আনু মুহাম্মদ



রাষ্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করো: আনু মুহাম্মদ

'ক্রসফায়ার', 'এনকাউন্টার' ও 'বন্দুকযুদ্ধ' বিনা বিচারে রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের একেকটি নাম। ১২ বছর ধরে একই ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। আইনি রক্ষাকবচ হিসেবে প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে একটি গল্প জুড়ে দেয়া হয়। গল্প এক, হয়তো একবারই কম্পোজ করা হয়েছিল, শুধু নাম পাল্টাচ্ছে। ঘটনার বর্ণনা বা কাহিনী একই থাকছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অপরাধ দুটি— এক. বিনা বিচারে দেশের নাগরিকদের হত্যা। দুই. হত্যাকাণ্ড বিষয়ে অবিরাম মিথ্যাচার ও প্রতারণা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর বিভিন্ন সময়ে এ রকম ঘটনা ঘটলেও আইনি ব্যাখ্যা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিনা বিচারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হত্যাকাণ্ড শুরু হয় ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে। ২০০১-এর পর থেকে 'ওয়ার অন টেরর' নামে সারা বিশ্বে আধিপত্য কিংবা প্রভাব বিস্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাস বিস্তার করেছে। এর অংশ হিসেবে তারা বহু দেশে বিভিন্ন বাহিনী গঠন করেছে বা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। অর্থ দিয়ে, প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের শক্তিশালী করেছে। 'সন্ত্রাসী' নাম লাগিয়ে খুন, গুম, নির্যাতন সবকিছু বৈধ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। বিশ্বে একটি ফ্যাসিবাদী আবহাওয়া তৈরি করা হয়েছে। সে সময়ই বাংলাদেশে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)সহ জানা-অজানা নানা বাহিনী গঠন করা হয়। যৌথবাহিনীর নামেও অপারেশন চলে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে বহু দেশে পঞ্চাশের দশক থেকে সত্তরের দশক পর্যন্ত এমন হত্যাকাণ্ড ব্যাপক হারে সংঘটিত হয়েছে। তখন লাতিন আমেরিকা কিংবা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে সামরিক শাসক বা সামরিক আদলের সরকারগুলো বিরোধী মত দমনে এমন হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেয়। সামরিক শাসনসহ বহুজাতিক পুঁজির আগ্রাসন নিশ্চিত করার জন্য আইন-আদালতকে তুচ্ছ করে সরাসরি হত্যাকাণ্ডের পথ বেছে নেয়ার উদাহরণও আছে। এটা আসলে নিপীড়ন, নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করার একটি পথ। বহু দেশ নারকীয় এ অবস্থা থেকে বের হয়ে সভ্য হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায়ও এর উপস্থিতি আছে। ভারতের কাশ্মীর, অন্ধ্র প্রদেশসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিবাদী মানুষকে সন্ত্রাসী বা মাওবাদী নাম দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এ কাজের জন্য সামরিক বাহিনীকে বিশেষ অধিকার দেয়া আছে। পাকিস্তানেও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য সেনাবাহিনীকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এসব হত্যাকারীর নিরাপত্তার জন্য বিশেষভাবে আইনি বর্ম দেয়া হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। তবে আশার কথা, সব দেশেই এগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিস্তৃত হচ্ছে।

২০০২ সালে বাংলাদেশে 'অপারেশন ক্লিনহার্ট' নামে শুরু হয়ে এ হত্যাযজ্ঞ নানা নামে এখনো অব্যাহত আছে। এক পর্যায়ে যৌথ বাহিনীকে দায়মুক্তি দেয়া হয়। ওই সময়ে বিচারবহির্ভূত এসব হত্যাকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক প্রধান ছিলেন তত্কালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুরজ্জামান বাবর। প্রেসিডেন্ট বুশের ভাই, বিশ্বসন্ত্রাসের অন্যতম পরিচালক জেব বুশের সঙ্গে বাবরের বিশেষ বৈঠকের খবরও তখন ফাঁস হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জেলে এবং দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ রকম ব্যক্তিই আইনিপ্রধান হিসেবে এসব হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীরা বাবরের উত্তরসূরি। বোঝা কঠিন নয় যে, সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের নেতৃত্বে পাইকারি হত্যাযজ্ঞকে 'সন্ত্রাসী' নির্মূলের পোশাক পরানো হয় জনমত পক্ষে রাখার জন্য।
সমাজের মধ্যে এ রকম কথা চালু আছে যে, যেহেতু আদালতের ওপর পুরো ভরসা করা যায় না, আদালতের ফাঁকফোকর আছে, সন্ত্রাসীরা ক্ষমতাবান এবং ছাড়া পেয়ে যায়, সেহেতু বিনা বিচারে এ হত্যাকাণ্ড যুক্তিযুক্ত। অনেকে বিশ্বাসও করেন এ ধরনের কথা। এ বক্তব্যের মধ্যে ধরে নেয়া হয়, যারা এসব হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছেন তারা সন্ত্রাসী নন, সন্ত্রাসবিরোধী বা সন্ত্রাসের ঊর্ধ্বে। প্রশ্ন হলো, যদি আইনের মাধ্যমে সন্ত্রাসী বা দোষীদের বিচারের সঠিক ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে বাংলাদেশে আইন-আদালত আছে কেন? বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে যদি সরকার একটি পন্থা হিসেবে গ্রহণই করে তাহলে গণতন্ত্র, আদালত বা আইনের প্রহসন কেন?

খেয়াল করলে দেখা যাবে, যেসব সন্ত্রাসী আইনের ফাঁক দিয়ে ছাড়া পেয়ে যায়, তারা এ সুযোগ পায় ক্ষমতাবানদের জন্যই। কিছুদিন আগে মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে কাশিমপুর কারাগার থেকে বিকাশ নামে এক সন্ত্রাসী ছাড়া পেয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে তার ছাড়া পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় বলে পত্রিকায় খবর বের হয়েছিল। ফাঁসির আসামি সন্ত্রাসীদেরও রাষ্ট্র মুক্তি দিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। আদালতে চার্জশিট প্রদান কিংবা তদন্তে জালিয়াতি প্রায় সবই হয় ক্ষমতাবানদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে ও তত্ত্বাবধানে। সুতরাং আইন-আদালত প্রক্রিয়ার দুর্বলতার প্রধান কারণ হচ্ছে অর্থ কিংবা ক্ষমতাবানদের প্রভাব। এ ক্ষমতাবানরাই যখন কাউকে সন্ত্রাসী বলে খুন করেন তখন তা যে সন্ত্রাস দমনের কাজ নয়, তা নিয়ে অধিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না।

একটু চোখ খুলে দেখলেই আমরা দেখতে পারব যে, যারা সন্ত্রাসীদের তৈরি করেন, লালন-পালন করেন, রক্ষা করেন, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত, তারাই বিভিন্ন সময়ে ক্রসফায়ার নামে বিনা বিচারে হত্যার প্রক্রিয়াটিকে সুবিধাজনকভাবে ব্যবহার করেন। মোটাদাগে এ হত্যাকাণ্ডের কয়েকটা ধরন চিহ্নিত করা যায়:

প্রথমত. রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যাকাণ্ড। একটা দীর্ঘ সময় ধরে বামপন্থী কর্মী নামে পরিচিত অনেককে হত্যা করা হয়েছে। এমন অনেককে হত্যা করা হয়েছে, যারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অবসর নিয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। এমন অনেককেও হত্যা করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা পর্যন্ত নেই। তাছাড়া রাজনীতি বা দল-মত কীভাবে একটি সভ্য সমাজে অপরাধ হতে পারে? রাষ্ট্র আক্রান্ত বোধ করলে তাদের প্রকাশ্যে আইনের প্রক্রিয়ায় আনতে কী সমস্যা?

দ্বিতীয়ত. ক্ষমতাবানদের জন্য বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম হুমকি হয়ে উঠলে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। যেমন— ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা ব্যক্তিদের বিনা বিচারে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

তৃতীয়ত. দলছুট সন্ত্রাসীদেরও এভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির সঙ্গে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, পরবর্তী সময়ে ওই নেতাদের সঙ্গে সংঘাত হলে তাদের ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে। এর সাম্প্রতিক এক উদাহরণ হচ্ছে, জনসম্মুখে যুবলীগ নেতা খুন হওয়ার দু-একদিন পরেই জড়িত ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে এটাও বোঝা যায় যে, এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রকৃত হত্যাকারীকে বাঁচানো হলো। আবার দলীয় কোন্দলের পরও কেউ কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

চতুর্থত. ক্রসফায়ার নাম দিয়ে অর্থের বিনিময়ে, চাঁদা না পেয়ে, লুটে বাধা পেয়ে হত্যা করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। হত্যা বা ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে বাণিজ্য করা হচ্ছে। পাইকারিভাবে ধরে এনে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ বাড়ছেই।ক্ষমতায় এসে ক্রসফায়ার বন্ধের ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি বর্তমান সরকার। বরং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর একচ্ছত্র ক্ষমতা পেয়ে আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা শুরুর পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নতুন উদ্যমে হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে। সামগ্রিক বিচারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা আরো বেড়েছে।

কোনো হত্যা নিয়ে কথা উঠলে র্যাব-পুলিশ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, তদন্ত করা হবে। রাষ্ট্র যাদের বিনা বিচারে হত্যার লাইসেন্স দেয়, তাদের বিরুদ্ধে মানুষ কার ভরসায় অভিযোগ করবে? যারা অভিযোগ করবে, তাদের নিরাপত্তা কে দেবে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে তাদের নিরাপত্তা কোথায়? মিডিয়ায়ও এ নিয়ে অনুসন্ধানী কাজ করার মতো কোনো অবস্থা আছে বলে মনে হয় না। মাঝে মধ্যে কিছু অনুসন্ধান কিংবা তথ্য থেকেই আমরা এর ভয়াবহ চিত্র দেখতে পাই। নামের ভুলের কারণেও নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছেন। কোনো বিচার নেই। লিমনের ঘটনা স্মরণ করতে পারি। লিমনকে গুলি করা হয়েছিল একজন সন্ত্রাসী ধরা হচ্ছে বলে, ও নিহত হলে সন্ত্রাসী নামেই ওর পরিচিতি থাকত। কিন্তু যে সন্ত্রাসীকে ধরার কথা বলা হচ্ছিল, সেই সন্ত্রাসী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বাংলাদেশে মানবাধিকার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে। তাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও কীভাবে ১২ বছর ধরে এ রকম হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকতে পারে? এ রকম হত্যাকাণ্ড না থামাতে পারলে মানবাধিকার সংস্থা নামের প্রহসন বন্ধ করা উচিত।সভ্যতার লেশমাত্র থাকলে কোনো সমাজে ক্রসফায়ারের নামে হত্যাকাণ্ড সমর্থিত হতে পারে না। সমাজের যেসব মানুষ সঠিক তথ্য না জানার ফলে এসব হত্যাকাণ্ড সমর্থন করছেন, তারা নিজেরাও বিপদ কাছে টেনে আনছেন। এর মধ্য দিয়ে পুরো দেশের রাজনীতি, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা, সামগ্রিক পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। দল-মত নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের উচিত এ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করা। কেউ যদি বড় অপরাধীও হয়, যথাযথভাবে বিচারের মাধ্যমেই তার শাস্তি প্রদান করতে হবে। পুলিশ, র্যাব বা ক্ষমতাসীনরা রক্ষা না করলে আইনের মাধ্যমেই বিচার সম্ভব।
​​

বিনা বিচারে হত্যার লাইসেন্স দিয়ে র্যাব ও পুলিশ বাহিনীকে 'প্রাইভেট আর্মি' ধাঁচের এমন এক পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করা হচ্ছে, যেখানে জবাবদিহিতা বা আইন-কানুন বলে কিছু নেই। বাহিনীর সদস্যরা নিজেরাও এখন এক ভয়ঙ্কর ফাঁদের মধ্যে। গুম, গ্রেফতার বাণিজ্য ও হত্যাকাণ্ড যেভাবে চলছে, তাতে কোনো নাগরিকই নিরাপদ নন। বাহিনীর লোকজনও নন। যেকোনো সময় যেকোনো ব্যক্তি এর শিকার হতে পারেন। চিন্তা-প্রতিবন্ধী অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে প্রতিটি নাগরিকের উচিত এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হওয়া। নীরব সকলকে, বিশেষত শিক্ষিত বিদ্বত্সমাজকে এর দায়ভার অবশ্যই নিতে হবে।
 
অর্থনীতিবিদ; অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সদস্য সচিব, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি

http://www.bonikbarta.com/austoprohor/2014/02/22/32800


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] পীরের মানা, এবারও ভোট দেবেন না নারীরা!



পীরের মানা, এবারও ভোট দেবেন না নারীরা!

চাঁদপুর প্রতিনিধি | আপডেট: ২২:৩৯, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৪
 

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আগামী বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচনে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন উপজেলার প্রায় ১০ হাজার নারী। ফরিদগঞ্জের রূপসা ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ নারী সেদিন ভোটকেন্দ্রের আশেপাশেই ঘেঁষবেন না বলে আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, ভারতের জৈনপুরের প্রয়াত পীরের অনুরোধকে 'আদেশ' হিসেবে গণ্য করে ফরিদগঞ্জের নারীরা বরাবরই ভোট দেওয়া থেকে বিরত আছেন। সেখানকার নারীরা ভোটার তালিকাভুক্ত হলেও কয়েক দশক ধরে ভোট না দেওয়ার রীতি চলে আসছে। এবারও একই ঘটনা ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন দলের প্রার্থী ও কর্মীরা অবশ্য এসব নারী ভোটারকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচন সামনে রেখে কয়েক দিন ধরেই উপজেলার রূপসা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় নারী ভোটারদের মধ্যে ভোটের প্রতি অনীহা স্পষ্ট হয়েছে। 'ভোট দেবেন কি না' জানতে চাইলে রূপসা এলাকার আমেনা, মনোয়ারা, পারভীনসহ কয়েকজন নারী প্রশ্নটা এড়িয়ে যান। 'পীরের নিষেধ আছে' বলে জানান দু-একজন। কেউ আবার ভোট দেওয়ার বিষয়ে 'অভিভাবকদের জিজ্ঞেস করতে হবে' বলেই সরে পড়েন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাজেরা বেগম, সাজেদা বেগম এবং জাহানারা বেগম জানান, তাঁরা নির্বাচনী নানা কাজ নিয়ে কয়েক দিন ব্যস্ত ছিলেন। নারী ভোটারদের ব্যাপারে কোনো কাজ করেননি। তবে এ বছর নারীরা আপাদমস্তক পর্দা করেই ভোট দিতে যাবেন বলে আশা করছেন তাঁরা।
রূপসা ইউপির চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, 'জৈনপুরের পীরের অনুরোধ রাখতে নারীরা প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু নারী ভোট দিতে গেলেও উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাঁরা যাননি। এ বছর চেষ্টা চলছে।'
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ফরিদ উদ্দীন আহাম্মদ প্রথম আলোকে জানান, নারীরা যেন পর্দার মধ্য থেকেই ভোট দিতে পারেন, এমন চেষ্টাই করছেন তিনি।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/155728/%E0%A6%AA%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE_%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%93_%E0%A6%AD%E0%A7%8B%E0%A6%9F_%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8_%E0%A6%A8%E0%A6%BE_%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE

Prothom Alo




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___