বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ইলেকশানে বিপুল ভোটে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশ হিসেবে আগামী তিন বছরের (২০১৫-২০১৭) জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রতিনিধিত্ব করবে। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে স্থানীয় সময় ২১ অক্টোবর ২০১৪ মঙ্গলবার এই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে মোট ৯৭টি ভোট পেলে নির্বাচিত হত, সেখানে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৪৯টি ভোট। সর্বমোট ১৯২টি সদস্য রাষ্ট্র প্রত্যেকে একটি করে ভোট দেয়।
নির্বাচনে বিজয়ের পর তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেন আগামী ৩ বছরের জন্য বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি বিশ্ব নেতৃত্বের অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস এ ভোটের মাধ্যমে প্রতিফলিত হলো। এর ফলে যুদ্ধাপরাধী বিচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মহল বিশেষ বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে যে অভিযোগ হরহামেস তুলে আনছে তা মিথ্যা বলে প্রমানিত হ'ল। তিনি জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রকে বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে এই স্বীকৃতির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। মানবাধিকার কাউন্সিলের এবারের নির্বাচনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া পুনঃনির্বাচিত হয়েছে। বিদায়ী সদস্য কুয়েত এবং ফিলিপাইনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ও কাতার।
নির্বাচনে বিজয়ের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেনকে এক টেলিফোন বার্তায় বিজয়ী অন্য তিনদেশ ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও কাতারকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ জানান। মান্যবর স্থায়ী প্রতিনিধি ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও কাতার সরকারের শুভেচ্ছা বার্তা তাঁদের স্থায়ী প্রতিনিধির নিকট পৌঁছে দেন।
বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক ভোট প্রাপ্তিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেনকে অভিনন্দন জানান। বাংলাদেশের এই বিপুল বিজয়ে এবং বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দনের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিভিন্ন মহলের অপপ্রচারের মধ্যেও এ বিজয় শেখ হাসিনা সরকারের গ্রহনযোগ্যতা ও সাফল্যের স্বীকৃতি মিলেছে এ নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমে।
__._,_.___