এ কে খন্দকার পাকিস্তানের এজেন্ট: সফিউল্লাহ
২৫ অক্টোবর,২০১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন ঘাঁপটি মেরে থাকা পাকিস্তানের এজেন্ট। যিনি মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস রচনা করতে পারেন তিনি আর মুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারেন না।
এমন মন্তব্য করেছেন সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের বর্তমান সভাপতি কে এম সফিউল্লাহ।
শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের সেক্টরস কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত কার্যকরের দাবিতে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সফিউল্লার মতে, এ কে খন্দকার '১৯৭১: ভেতরে বাইরে' বই লিখে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃতি করেছেন। এ কারণে এ কে খন্দকারকে এখন আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না।
এ কে খন্দকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে জয় পাকিস্তান বলেছেন এটা কখনো শুনিনি। উনি কীভাবে জানলেন? আমার জীবদ্দশায় কখনো 'জয় পাকিস্তান' শুনিনি। হয়তো 'জয় জিন্দাবাদ'ও বলতে পারতেন। কিন্তু সেটা তো এ কে খন্দকার সাহেব লেখেননি।'
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার প্রমাণ হিসেবে তিনি বিভিন্ন বই ও দলিলপত্র তুলে ধরেন।
সফিউল্লাহ বলেন, 'এ কে খন্দকার বলেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের নাকি কোনো রাজনৈতিক প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু সিদ্দিক সালিক তার 'উইটনেস টু সারেন্ডার' বইয়ের ৭৫ পৃষ্ঠায় বলেছেন ২৫ মার্চের রাতে ফার্মগেটে পাকিস্তানি বাহিনী বাধার সম্মুখীন হন।'
তিনি বলেন, 'এ কে খন্দকার স্বাধীনতাযুদ্ধে যাননি। তিনি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় যান। আমরা যুদ্ধে গেছি মার্চ মাসে। আর উনি গেলেন মে মাসে।
গিয়ে সোজা উঠলেন হেডকোয়ার্টারে। বাকি সময় তিনি সেখানেই ছিলেন। তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন? আবার ইতিহাস বিকৃতি করে বই লিখেছেন। এখন তাকে আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না।'
সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান আবু ওসমান চৌধুরী বলেন, যারা ইতিহাস বিকৃতি করেন তাদের প্রতিরোধ করতে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শেখাতে হবে।
সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবীব বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন আর আওয়ামী লীগ আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন। বর্তমান অবস্থায় কারও আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সেক্টরস কমান্ডার চিত্তরঞ্জন দত্ত ও জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/1/1/91812#.VEvJsCLF9po
২৫ অক্টোবর,২০১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন ঘাঁপটি মেরে থাকা পাকিস্তানের এজেন্ট। যিনি মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস রচনা করতে পারেন তিনি আর মুক্তিযোদ্ধা থাকতে পারেন না।
এমন মন্তব্য করেছেন সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের বর্তমান সভাপতি কে এম সফিউল্লাহ।
শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ঢাকা বিভাগের সেক্টরস কমান্ডারস ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি প্রতিরোধ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত কার্যকরের দাবিতে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সফিউল্লার মতে, এ কে খন্দকার '১৯৭১: ভেতরে বাইরে' বই লিখে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃতি করেছেন। এ কারণে এ কে খন্দকারকে এখন আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না।
এ কে খন্দকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে জয় পাকিস্তান বলেছেন এটা কখনো শুনিনি। উনি কীভাবে জানলেন? আমার জীবদ্দশায় কখনো 'জয় পাকিস্তান' শুনিনি। হয়তো 'জয় জিন্দাবাদ'ও বলতে পারতেন। কিন্তু সেটা তো এ কে খন্দকার সাহেব লেখেননি।'
এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার প্রমাণ হিসেবে তিনি বিভিন্ন বই ও দলিলপত্র তুলে ধরেন।
সফিউল্লাহ বলেন, 'এ কে খন্দকার বলেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের নাকি কোনো রাজনৈতিক প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু সিদ্দিক সালিক তার 'উইটনেস টু সারেন্ডার' বইয়ের ৭৫ পৃষ্ঠায় বলেছেন ২৫ মার্চের রাতে ফার্মগেটে পাকিস্তানি বাহিনী বাধার সম্মুখীন হন।'
তিনি বলেন, 'এ কে খন্দকার স্বাধীনতাযুদ্ধে যাননি। তিনি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে কলকাতায় যান। আমরা যুদ্ধে গেছি মার্চ মাসে। আর উনি গেলেন মে মাসে।
গিয়ে সোজা উঠলেন হেডকোয়ার্টারে। বাকি সময় তিনি সেখানেই ছিলেন। তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন? আবার ইতিহাস বিকৃতি করে বই লিখেছেন। এখন তাকে আর মুক্তিযোদ্ধা বলা যাবে না।'
সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান আবু ওসমান চৌধুরী বলেন, যারা ইতিহাস বিকৃতি করেন তাদের প্রতিরোধ করতে তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শেখাতে হবে।
সেক্টরস কমান্ডারস ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবীব বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন আর আওয়ামী লীগ আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন। বর্তমান অবস্থায় কারও আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সেক্টরস কমান্ডার চিত্তরঞ্জন দত্ত ও জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ প্রমুখ।
http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/1/1/91812#.VEvJsCLF9po
__._,_.___