Banner Advertise

Sunday, January 8, 2012

[chottala.com] My Column in Daily Janakantha.



Link to my column in today's Janakantha.

Warm wishes.

Mannan

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=13&dd=2012-01-09&ni=82719

--
_________________________________
Abdul Mannan
Professor
School of Business
University of Liberal Arts Bangladesh
House # 56, Road # 4/A
Dhanmondi R/A, Dhaka-1209
Bangladesh.
BDT=GMT +5
Working Days Sunday-Thursday
E-mail: abman1971@gmail.com
abdul.mannan@ulab.edu.bd
 http://www.ulab.edu.bd



__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] সব জরিপেই সø 0;কারের জনপ্ 80;িয়তায় টান



সব জরিপেই সরকারের জনপ্রিয়তায় টান
শনিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০১২
স্টাফ রিপোর্টার: ৬ই জানুয়ারি ২০০৯-তে শুরু হওয়া মহাজোট সরকারের তিন বছরে একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত জরিপে ক্ষমতাসীন দল বা মহাজোট, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বা চারদলীয় জোটের প্রতি মানুষের সমর্থন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ইস্যু, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার কাজে জনগণের সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, বিরোধী দলের নেতা হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার কাজে জনগণের সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন, দুর্নীতি হ্র্রাস বা বৃদ্ধি, দারিদ্র্যবিমোচন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনগণের সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির সর্বশেষ অবস্থান উঠে এসেছে। জরিপ বিশ্লেষণ করলে সরকারের জনপ্রিয়তায় টান পড়েছে এমন চিত্রই পাওয়া যায়। প্রথম আলোর জনমত জরিপ বলেছে, ক্ষমতা গ্রহণের তিন বছরের মাথায় আওয়ামী লীগের জনসমর্থন ৩৮ শতাংশ আর জাতীয় পার্টির ৮ শতাংশ, সম্মিলিতভাবে ৪৬ শতাংশ। বিপরীতে বিরোধী দল বিএনপির জনসমর্থন ৪৩ শতাংশ আর জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর ৪ শতাংশ, সম্মিলিতভাবে ৪৭ শতাংশ। বাকি ৭ শতাংশ উত্তরদাতা কোন দলের প্রতি সমর্থন দেননি। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জাতীয় সংসদ সক্রিয় করা নিয়ে সরকারি দলের উদ্যোগহীনতা আর বিরোধী দলের সংসদ বর্জনকে বেশির ভাগ উত্তরদাতা পছন্দ করেনি। দেশে দুর্নীতি, নৈরাজ্যের রাজনীতি বেড়েছে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সঠিকভাবে কাজ করছে না বলেও জানিয়েছে বেশির ভাগ উত্তরদাতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না করার সিদ্ধান্তকে বেশির ভাগ উত্তরদাতা সঠিক মনে করছেন না। গত এক বছরে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সরকারের আওতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না বলে ধারণা বেশির ভাগ উত্তরদাতার। বর্তমান সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধের (যুদ্ধাপরাধ) বিচার করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে হ্যাঁ-না উভয় পক্ষে ৪৭ শতাংশ মত পড়েছে। জরিপ বলছে, শিক্ষাক্ষেত্রে সরকার সবচেয়ে সফল। ৮৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো সঠিক ছিল। ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা বিদ্যুৎ খাতে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। তবে কৃষিখাত নিয়ে মানুষ হতাশ। ৩৭ শতাংশ মনে করছেন, ধান-পাটসহ বেশির ভাগ কৃষিপণ্যের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় কৃষক অখুশি। ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। ৫৭ শতাংশ মনে করছেন, দেশ সঠিক পথে চলছে না। এ মুহূর্তে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা বিএনপিকে ভোট দেবেন। আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন ৩৮ শতাংশ। জাতীয় পার্টি (এরশাদ)-কে ৮ ও জামায়াতে ইসলামীকে ৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে চেয়েছেন। জোট ধরে হিসাব করলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পক্ষে ৪৬ শতাংশ এবং বিএনপি-জামায়াত জোটের পক্ষে ৪৭ শতাংশ ভোট পড়বে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে দেশে রাজনীতি করতে দেয়া উচিত কিনা প্রশ্নের জবাবে ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা না করতে দেয়ার পক্ষে এবং ৪০ শতাংশ করতে দেয়ার পক্ষে। ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, তারা বিরোধী দলের প্রতি সরকারের আচরণ সঠিক মনে করেন না। ৫৪ শতাংশ মনে করেন, বিরোধী দলকে সংসদে নিতে সরকার আন্তরিক নয়। বিরোধী দলের হরতাল ও নৈরাজ্যের মতো পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি আবারও ফিরে আসবে কি? ৪০ শতাংশ মানুষ এ আশঙ্কা করছেন। ৫৮ শতাংশ উত্তরদাতা সরকার সঠিক পন্থায় বা ইতিবাচক উদ্দেশ্যে সংবিধান সংশোধন করেনি বলে জানিয়েছে। ৫১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করছেন দলীয়করণ বেড়েছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা বিচারবহির্ভূত হত্যার বিপক্ষে। ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বিচার ব্যবস্থার উন্নতি না অবনতি হয়েছে- এমন প্রশ্নে ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন উন্নতি হয়েছে। ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা বলছেন, ভারতকে ট্রানজিট দেয়া লাভজনক হবে না। তিস্তা চুক্তি না হওয়ার জন্য ২২ শতাংশ উত্তরদাতা বাংলাদেশকে ও ২০ শতাংশ ভারতকে দায়ী করেছেন। চুক্তি না হওয়ায় উভয় দেশকেই দায়ী- জানিয়েছেন ৪০ শতাংশ উত্তরদাতা। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করেন ৬৮ শতাংশ। জীবনযাত্রার মান খারাপ হয়েছে বলেছেন ৩৬ শতাংশ। ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো অসফল। সফল বলেছেন ২১ শতাংশ উত্তরদাতা। যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন নিয়ে ৬০ শতাংশ উত্তরদাতা অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। কর্মসংস্থান বাড়ানো নিয়ে সরকার প্রতিশ্রুতি রাখতে পারছে বলছেন ২৪ শতাংশ। ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতা দুর্নীতি বেড়েছে বলে মত দিয়েছেন। ৩৮ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। ৬৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, দেশের রাজনীতিতে কোন ইতিবাচক পরিবর্তন নেই। হরতাল, সহিংসতা ফিরবে না- এমন আশা ৪০ শতাংশ মানুষের। পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন ৫৬ শতাংশ উত্তরদাতা। ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা সরকারের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেননি বেশির ভাগ মানুষ। ৭৩ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। ২৫ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার পক্ষে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কি- ৪৭ শতাংশের মত হ্যাঁ, ৪৬ শতাংশ মানুষের জবাব না।
অন্যদিকে, দৈনিক জনকণ্ঠের জরিপ বলছে- এখনই নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৩৫ ভাগ, বিএনপি ২৭ ভাগ ভোট পাবে। জাতীয় পার্টি পাবে ৬ ভাগ, জামায়াত পাবে ৩ ভাগ ভোট। কোন দলকেই ভোট দেবেন না ৩ ভাগ, ভোটই দেবেন না ১ ভাগ, সিদ্ধান্ত নেননি ১১ ভাগ, মন্তব্য নেই ১৪ ভাগ। কোন দলের প্রতি মানুষের আস্থা বেশি- এ প্রশ্নে জনমত গেছে আওয়ামী লীগের পক্ষে। জরিপ বলছে, আওয়ামী লীগের দিকে ব্যাপক সমর্থন ৩৮ ভাগ মানুষের, মোটামুটি সমর্থন ২৮ ভাগ, দু’ ভাগ মিলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে সমর্থন ৬৬ ভাগ মানুষের। বিএনপির প্রতি ব্যাপক সমর্থন ২১ ভাগ মানুষের। মোটামুটি সমর্থন ৩০ ভাগ মানুষের। দু’ ভাগ মিলিয়ে ৫১ ভাগ মানুষের। জাতীয় পার্টির প্রতি ব্যাপক সমর্থন ৯ ভাগ মানুষের। মোটামুটি সমর্থন ৪৭ ভাগ মানুষের। দু’ ভাগ মিলিয়ে সমর্থন ৫৬ ভাগ মানুষের। জামায়াতের পক্ষে ব্যাপক সমর্থন ৬ ভাগ, মোটামুটি সমর্থন ২১ ভাগ। দু’ভাগ মিলিয়ে সমর্থন ২৭ ভাগ। জনকণ্ঠ বলছে, সমর্থন বাড়েনি বিএনপির। কমেছে আওয়ামী লীগের। বেড়েছে জাতীয় পার্টির। জরিপের বিস্তারিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রতি এখনও দেশের শতকরা ৬৬ ভাগ মানুষ আস্থাশীল। জনপ্রিয়তায় এখনও শীষে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে গত বছরের তুলনায় সামান্য কমেছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র জনপ্রিয়তা হ্রাস-বৃদ্ধি না পেলেও বেড়েছে এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির। দেশের ৫২ ভাগ মানুষ মনে করে বর্তমান সরকার সঠিক পথেই এগুচ্ছে। আর এখনই নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে দেশের ৩৫ ভাগ, বিএনপিকে ২৭ ভাগ, জাতীয় পার্টিকে ৬ ভাগ এবং জামায়াতকে ৩ ভাগ মানুষ ভোট দেবে। জরিপে অংশ নেয়া শতকরা ৮০ ভাগ উত্তরদাতা শিক্ষা, কৃষি, জঙ্গিবাদ দমন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কোন্নয়নে সরকারের সফলতায় তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেশির ভাগ মানুষই হতাশ। জনপ্রিয়তার বিচারে খালেদা জিয়ার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে রয়েছেন। রাজনীতি নিয়ে হতাশা থাকলেও বেশির ভাগ মানুষই সার্বিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন, দুর্নীতি হ্র্রাস, দারিদ্র্যবিমোচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ সামগ্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগকেই দক্ষ মনে করে। দেশের শতকরা ৫২ ভাগ মানুষ মনে করে বর্তমান মহাজোট সরকার সঠিক পথেই চলছে। আর ৪৮ ভাগ মানুষ মনে করে সরকার অনেক ক্ষেত্রেই চলছে ভুলপথে। ৩৮ ভাগ মানুষ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ওপর সর্বোচ্চ আস্থাশীল আর ২৮ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভাল মনে করে। দুটি মিলিয়ে সরকার ও আওয়ামী লীগের ওপর সর্বোচ্চ আস্থাশীল দেশের ৬৬ ভাগ মানুষ। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রতি সর্বোচ্চ আস্থাশীল দেশের ২১ ভাগ মানুষ। বিএনপিকে ভাল মনে করে ৩০ ভাগ মানুষ। সব মিলিয়ে বিএনপির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন দেশের ৫১ ভাগ মানুষ। এছাড়া মহাজোটের প্রধান শরিক জাতীয় পার্টির ওপর জোর আস্থাশীল ৯ ভাগ মানুষ। এ দলটিকে ভাল মনে করে ৪৭ ভাগ মানুষ। এছাড়া চারদলীয় জোটের শরিক জামায়াতকে ভাল মনে করে ৬ ভাগ মানুষ। আদালতের ওপর ৪৪ ভাগ মানুষের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। বিভিন্ন খাতে সরকার কেমন করছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ৬৪ ভাগ মানুষ বলেছে ভাল আর ৩৬ ভাগ মানুষ বলেছে সরকার ভাল করছে না। বিভাজনের চিত্র অনুযায়ী সরকারের পক্ষে থাকা ৬৪ ভাগ মানুষের মধ্যে ১৬ ভাগ মানুষ বলেছে, সরকার ‘খুবই ভাল’ করছে আর ৪৮ ভাগ মানুষ মনে করে ‘অপেক্ষাকৃত ভাল’ করছে। বিপক্ষে থাকা ৩৬ ভাগ মানুষের মধ্যে ২৯ ভাগ মানুষ করে ‘ভাল করছে না’ আর ৭ ভাগ মানুষ মনে করে ‘একদমই ভাল করছে না।’ দেশের মানুষের সমস্যা সমাধানে কোন দল সবচেয়ে বেশি দক্ষ- এমন প্রশ্নের জবাবে সব খাতেই যোগ্যতা ও দক্ষতার শীর্ষে রয়েছে আওয়ামী লীগ। মানসম্মত শিক্ষাখাতের উন্নয়নে ৫৪ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সবচেয়ে বেশি দক্ষ ও যোগ্য বলে মনে করে। বিএনপিকে দক্ষ মনে করে দেশের ২৫ ভাগ মানুষ। সাধারণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় দেশের ৪৩ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ৩১ ভাগ মানুষ বিএনপিকে দক্ষ মনে করে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির দক্ষতায় ৪৫ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ২৫ ভাগ মানুষ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছেন। দারিদ্র্যবিমোচনে ৩৮ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ২৩ ভাগ মানুষ বিএনপিকে দক্ষ মনে করে। বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং এ খাতের সমস্যা সমাধানেও ৪০ ভাগ মানুষ মনে করে সমস্যা সমাধানে আওয়ামী লীগ আর ২১ ভাগ মানুষ মনে করে বিএনপি বেশি যোগ্য। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ৩৫ ভাগ মানুষ মনে করে আওয়ামী লীগ যোগ্য আর ২৪ ভাগ মানুষ মনে করে যোগ্য বিএনপি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ২৯ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ বেশি দক্ষ আর ২৭ ভাগ মানুষ মনে করে যোগ্য বিএনপি। এখনই নির্বাচন হলে কোন দলকে ভোট দেবেন- এ প্রশ্নে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চায় ৩৫ ভাগ মানুষ। বিএনপিকে ভোট দিতে চায় ২৭ ভাগ মানুষ।
দৈনিক সমকাল-এর জরিপ বলছে, সরকারের তিন বছরের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট নন ৪৪ ভাগ, সন্তুষ্ট ৯ ভাগ, মোটামুটি সন্তুষ্ট ৪২ ভাগ, জানি না ৫ ভাগ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার কাজের মূল্যায়ন- ভাল করছেন বলেছেন ৪২ ভাগ, খুব ভাল করছেন ৮ ভাগ, ভাল করছেন না ৩৬ ভাগ, জানি না ১৪ ভাগ। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কি যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে? না ৫১ ভাগ, কিছুটা ৩২ ভাগ, হ্যাঁ ১৭ ভাগ। বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে সরকারের এ দাবি কি সঠিক? আংশিক ৪০ ভাগ, হ্যাঁ ৩৪ ভাগ, না ২৩ ভাগ, জানি না ৩ ভাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধী দলের সংসদে গিয়ে বক্তব্য রাখা উচিত? হ্যাঁ ৭৪ ভাগ, না ১৫ ভাগ, মতামত নেই ১১ ভাগ। মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা মনে করেন কিনা? হ্যাঁ ৫২ ভাগ, আংশিক ৩৪ ভাগ, না ৮ ভাগ, জানি না ৬ ভাগ। সংসদ কার্যকর করায় সরকারি জোট দায়িত্ব পালন করছে? না ৩৮ ভাগ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৩৯ ভাগ, হ্যাঁ ১৫ ভাগ, জানি না ৮ ভাগ। দৈনন্দিন জীবনে আপনি কি নিরাপদ বোধ করেন? হ্যাঁ ২০ ভাগ, মোটামুটি ৪৪ ভাগ, না ৩৬ ভাগ। সমকাল জানিয়েছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীরা মনে করে, তিন বছরে দুর্নীতি বেড়েছে, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি অনেক স্থানেই অসহনীয়, দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে জর্জরিত সাধারণ মানুষ। শিক্ষা-বিদ্যুৎ-তথ্যপ্রযুক্তি-কৃষি ইত্যাদি খাতে সাফল্য থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা, মন্ত্রিসভা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, ঢাকা সিটি করপোরেশনকে ভাগ করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, তিস্তা-টিপাইমুখ বাঁধ প্রভৃতি ইস্যুতে তারা সরকারের যথেষ্ট সমালোচনা করেছে। বিরোধী দলের অব্যাহত সংসদ বর্জন এবং হরতালের মতো কর্মসূচি তাদের পছন্দ নয়। তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখতে চায়, কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরকারের পদক্ষেপে উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের আস্থাভাজন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার কাজের মূল্যায়ন- প্রশ্নে সাড়ে ৮ শতাংশ উত্তরদাতা বলছেন ‘খুব ভালো করছেন’। ৪২ শতাংশের কিছু বেশি বলছেন ‘ভালো করছেন’। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি তাকে ভালো বা খুব ভালো বলছেন। কাজের অনুমোদন প্রশ্নে তিনি বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার তুলনায় এগিয়ে। খুব ভালো বা ভালো- বিরোধীদলীয় নেতার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশের কিছু বেশি উত্তরদাতার কাছ থেকে মত এসেছে।
ডেইলি স্টার-এর জরিপ বলছে, এখনই নির্বাচন হলে কোন দলকে ভোট দেবেন? জবাবে আওয়ামী লীগকে ৪০ ভাগ, বিএনপিকে ৩৭ ভাগ, জাতীয় পার্টিকে ৬ ভাগ, জামায়াতকে ২ ভাগ, অন্যান্য ১ ভাগ, না ভোট ৩ ভাগ, ভোট দেবো না ২ ভাগ, মন্তব্য নেই ৯ ভাগ। দেশ কি সঠিক পথে এগোচ্ছে? জবাবে ভুল পথে ৪৪ ভাগ, সঠিক পথে ৪১ ভাগ, জানি না ১ ভাগ, পরিবর্তন নেই ১৪ ভাগ। সরকারের ৩ বছর নিয়ে আপনার মন্তব্য কি? অসন্তুষ্ট ৩৯ ভাগ, সন্তুষ্ট ৩৩ ভাগ, খুব অসন্তুষ্ট ৫ ভাগ, খুব সন্তুষ্ট ৫ ভাগ, কিছুই না ১৭ ভাগ, মন্তব্য নেই ১ ভাগ। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকায় আপনি কি সন্তুষ্ট? না ৫০ ভাগ, হ্যাঁ ২৬ ভাগ, খুব অসন্তুষ্ট ৪ ভাগ, কিছুই না ১১ ভাগ, খুব সন্তুষ্ট ৫ ভাগ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অগ্রগতিতে আপনি কি সন্তুষ্ট? অগ্রগতি হয়েছে ৪১ ভাগ, অবনতি ৩৩ ভাগ, পরিবর্তন নেই ২৩ ভাগ, এত আগে বলা সম্ভব নয় ১ ভাগ, জানি না ২ ভাগ। দুর্নীতি কোন পর্যায়ে? বেড়েছে ৪৫ ভাগ, কমেছে ৩৪ ভাগ, স্থিতিশীল ১৮ ভাগ, জানি না ২ ভাগ। ৩ বছরে প্রধানমন্ত্রীর কাজে সন্তুষ্ট ৩৪ ভাগ, অসন্তুষ্ট ২৯ ভাগ, খুব সন্তুষ্ট ৬ ভাগ, খুব অসন্তুষ্ট ১৩ ভাগ, জানি না ১৭ ভাগ, মন্তব্য নেই ১ ভাগ। খালেদা জিয়ার কাজে সন্তুষ্ট ২৬ ভাগ, অসন্তুষ্ট ২৬ ভাগ, জানি না ৩৩ ভাগ, খুব সন্তুষ্ট ৪ ভাগ, খুব অসন্তুষ্ট ৫ ভাগ, মন্তব্য নেই ৬ ভাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সমর্থন করেন? না ৭৪ ভাগ, হ্যাঁ ২০ ভাগ, জানি না ৬ ভাগ। সরকারের সফলতার ক্ষেত্র- যুদ্ধাপরাধ ৩০ ভাগ, সার সরবরাহ ২৫ ভাগ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ২০ ভাগ, আইন-শৃঙ্খলা ১৭ ভাগ, শিক্ষা ১৬ ভাগ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ৯ ভাগ, মন্তব্য নেই ৮ ভাগ, সফল নয় ৩ ভাগ, জানি না ১০ ভাগ। বিএনপির কার্যক্রমে আপনি কি সন্তুষ্ট? হ্যাঁ ৪৪ ভাগ, না ২৮ ভাগ, কার্যক্রম আগের মতোই ২৭ ভাগ।


__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] Re: [notun_bangladesh] India now wants transshipment of bulk cargoes



Bangladesh already became vessel state(Korod Rajjyo) of India, thanks to Hasina's generous support for India's interest.
She is behaving like Mukkyo Montro of an Indian State.

---------- Original Message ----------
From: Isha Khan <bdmailer@gmail.com>
To: undisclosed-recipients:;
Subject: [notun_bangladesh] India now wants transshipment of bulk cargoes
Date: Sat, 7 Jan 2012 11:44:15 +0600

 

India now wants transshipment of bulk cargoes




After the successful trial of transshipment of three cargo vessels, India now wants regular transshipment of bulk cargoes through Ashuganj to Agartala on the land route via Akhaura. It also seeks waiver of bank guarantee as additional facility under the river protocol.

http://theindependentbd.com/paper-edition/frontpage.html

 

 

 



__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] Election results of EVM can easily be manipulated from DMM by softwar e






 
 
 

লোলুপ রাজনীতির উপহার

॥ মোহাম্মদ আসাফ্ উদ্দৌলাহ্ ॥

কিছু দিন আগে আওয়ামী লীগের দু’জন ভারাক্রান্ত নেতাকে মন্ত্রী করা হলো আর অন্য একজনকে পদোন্নতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী করা হলো। টেলিভিশনের বদৌলতে আজকাল অনেক কিছু দৃষ্টির গোচরে আসে যা আগে নিজে উপসি'ত না হলে দেখা যেত না। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথবাক্য পাঠ করার পর চা-চক্র শুরু হওয়ার সাথে সাথেই শপথ গ্রহণকারীদের মধ্যে দু’জন ঝাঁপিয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রীর পায়ের ধূলি নিতে; অপরজন ঝাঁপিয়ে পড়লেন সাজেদা চৌধুরীর পদযুগলে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কদমবুচি করার আগেই ক্যামেরা সরিয়ে নিলো দৃশ্যপট। পায়ে ধরা মন্ত্রী আর চেয়ার মুছে দেয়া উপদেষ্টাদের নিয়ে আর কত দিন? আর কত দূর? নাকি বাংলাদেশের ভাগ্যেই আকীর্ণ রয়েছে এই অন্তহীন আকিঞ্চন।
এর মধ্যে এক হাজার শিল্পী এক বিশাল অনুষ্ঠান করলেন রাষ্ট্রীয় আয়োজনে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স সেন্টারে। আয়োজনটি ছিল রবীন্দ্রনাথের দেড় শ’ তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে। সবই ঠিক আছে, তবে একটি জিনিস ঠিক নেই। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কিন' কাজী নজরুল ইসলাম। রবীন্দ্রনাথের চর্চায় কোনো অসুবিধা দেখি না। তিনি বাংলা ভাষার কবি। তাই যেখানে বাংলা ভাষা বা বাংলা গানের চর্চা আছে সেখানে রবীন্দ্রনাথ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন' রাষ্ট্রীয় উদযাপনে জাতি একাত্ম হবে তার জাতীয় কবিদের নিয়ে। আমার এই মন্তব্যের সপক্ষে দৃষ্টান্ত দিচ্ছি। ইংল্যান্ডের মতো আমেরিকার ভাষাও ইংরেজি। তারা শেক্সপিয়রের নাটক মঞ্চস' করছে, চর্চা করছে কিটস্, শেলির বা ইলিয়টের। কিন' এসব বিশ্বসেরা নাট্যকার বা কবি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে উদযাপিত হন না। আমেরিকা তাদের স্বাধীনতা দিবসের আয়োজনে নাটক দেখায় আর্থার মিলারের ইউজিন ও’নিলের, উইলিয়াম টেনেশির নাটক, রবার্ট ফ্রস্টের কবিতা, মার্ক টোয়েনের হাস্যরস। এর অর্থ এই নয় যে, এ সাহিত্যিকেরা শেক্সপিয়র, কিটস কিংবা এলিয়টের চেয়ে অগ্রগণ্য। এর অর্থ এই যে, তারা আমেরিকান।
রবীন্দ্রনাথ বিশ্বখ্যাত কবি হতে পারেন, হতে পারেন প্রশংসাতীত সঙ্গীতরচয়িতা- কিন' তিনি আমার দেশের মানুষ নন। তার চর্চা করব, তার সাহিত্যকর্মকে তুলে নেবো বুকে- কিন' তিনি আমার দেশের মানুষ নন। সুতরাং আমরা তাকে সে সম্মান দেবো যে সম্মান শেক্সপিয়রকে দিয়ে থাকে আমেরিকা। আমেরিকার থিয়েটারগুলো মুখর তার নাট্য মঞ্চায়নে, কিন' রাষ্ট্রীয় আয়োজনে ৪ জুলাই নিউ ইয়র্কের রেডিও সিটি হলে মঞ্চস' হবেন মিলার কিংবা টেনেশি। এর মধ্যে কাউকে ছোট বা বড় করার প্রশ্ন অবান্তর। বিষয়টি দেশপ্রেমের সাথে সংশ্লিষ্ট। যা আমার কাছে আছে সেটুকুই আমার। ঘর আমার জীর্ণ হোক, পরিধেয় হোক শতচ্ছিন্ন- তবু যথার্থ অর্থে তা-ই আমার। অন্যকে নিয়ে উৎসব করলেই সে আমার হয়ে যায় না। এই পার্থক্যের সাথে জড়িয়ে আছে আমার সত্তা ও আমার অহঙ্কার। আমাদের নজরুল, জসীমউদ্‌দীন, ফররুখ আহমদ, আল মাহমুদ, শামসুর রাহমান, ওয়ালীউল্লাহ। জাতি হিসেবে তাদেরই তুলে ধরতে হবে আমাদের।
এর মধ্যে বাংলা একাডেমী পালন করল তাদের বার্ষিক সম্মেলন। এ উপলক্ষে ফেলোশিপ প্রদান করা হলো অমর্ত্য সেন ও শেখ হাসিনাকে। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে গোটা দশেক অনারারি ডক্টরেটও ব্যাগস' করেছেন তার অনন্য সাহিত্যিক প্রতিভা ও অসাধারণ বুদ্ধি ও জ্ঞানের স্বীকৃতিস্বরূপ। তার পাশে বসেছিলেন নোবেল বিজয়ী ড. অমর্ত্য সেন। আমাদের দেশেও আছেন একজন নোবেল বিজয়ী- তাকে পাশে বসিয়ে ফেলোশিপ প্রদান করা তো অনেক দূরের কথা- তাকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানানোর সাহস হয়নি বাংলা একাডেমী পরিচালনা পরিষদের- যেহেতু শেখ হাসিনা তাকে পছন্দ করেন না। কী দারুণ আনুগত্য প্রধানমন্ত্রীর মনোভাবের প্রতি!
যেকোনো দেশের উন্নয়নের পথে সব থেকে বড় বাধা রাজনৈতিক অসি'রতা। এ কথা জেনেও ইচ্ছাকৃতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতিকে বাতিল করে এবং অত্যন্ত অনির্ভরশীল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহার চালু করে আমাদের দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে প্রায় নিশ্চিতভাবে অনিশ্চিত করে দেশকে এক অনিবার্য সঙ্ঘাত ও অসি'তিশীলতার মধ্যে নিমজ্জিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ বুশের দ্বিতীয় নির্বাচনকালে ফ্লোরিডা রাজ্যে এই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনায় কারচুপি করায় (বুশের আপন সহোদর তখন ফ্লোরিডার গভর্নর পদে আসীন) সারা যুক্তরাষ্ট্রে ওঠে তীব্র নিন্দা যার জন্য বুশের বিজয় হয়েছিল প্রশ্নবিদ্ধ। জার্মানিতে এই পদ্ধতি নির্ভরযোগ্য নয় বলে এর ব্যবহার সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য, জাপান, ভারত- ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করে না। হঠাৎ করে এই পরিত্যজ্য পদ্ধতি আমাদের সরকার কেন ভোট গণনায় ব্যবহার করতে আদা-নুন খেয়ে উঠেপড়ে লেগেছে? লক্ষাধিক ইভিএম ক্রয়ের এই অশুভ উদ্যোগের পেছনে কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হতে যাচ্ছেন কি? নাকি এই নতুন চালাকির মাধ্যমে আগামীতে ইচ্ছেমতো ভোট গণনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে? এখন পাঠকদের বোঝাতে চেষ্টা করব ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গণনাকে কিভাবে পাল্টে দেয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনে অতি সহজেই ফলাফল পাল্টে ফেলা সম্ভব। কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা প্রমাণিত করেছেন কিভাবে অপরাধীরা ইভিএম ‘হ্যাক’ করে অনায়াসে ভোট চুরি করতে সক্ষম। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও স্যান ডিয়েগো, মিশিগান ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ‘রিটার্ন ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং’ ব্যবহার করে ইভিএমকে দুর্ব্যবহার করার সক্ষমতা প্রমাণিত করেছেন। বিশেষজ্ঞদের সামনে তারা দেখিয়েছেন কিভাবে একটা ‘ভাইরাস’ ব্যবহারের মাধ্যমে ইভিএম মেশিনে হ্যাকাররা ভোটের ফলাফল সহজেই ‘ম্যানিপুলেট’ করতে পারে। একটি পত্রিকা [BLITZ] ইতোমধ্যেই তাদের ১২ জানুয়ারির সংখ্যায় প্রকাশ করেছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভারতের কিছু ‘নটোরিয়াস’ হ্যাকারদের সাথে যোগাযোগ করেছে যাতে তাদের নিয়োগ করে বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপি করা যায়। এই ভারতীয় হ্যাকারদের তাদের এই কর্ম সম্পাদনের জন্য ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়ার প্রস্তাবও নাকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করার পথে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, ইভিএমের একটি ক্ষুদ্র অংশ যার নাম Detectable Memory Module (DMM)। তার মধ্যেই নির্বাচনের ফলাফল সংরক্ষিত থাকে এবং এই অংশটি ইভিএম থেকে খুলে নেয়া যায় এবং এভাবে অতি সহজেই নির্বাচনের ফলাফলকে পাল্টে দেয়া সম্ভব। আয়ারল্যান্ড ২০০৬ সাল থেকে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। মার্চ ২০০৯ সাল থেকে জার্মানি ইভিএম-এর ব্যবহারকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে। ফিনল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালত ২০০৯ সালে মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম-এর ফলাফল ইনভ্যালিড ঘোষণা করেছে। এপ্রিল ২০০৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইভিএম-এর ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর আমাদের সরকার এই অগ্রহণযোগ্য মেশিন ক্রয়ের ও ব্যবহারের জন্য কেন এত উন্মুখ তা বুঝতে কারোরই অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
শুধু ক্ষমতায় চিরস'ায়ী হওয়ার জন্য এত লোলুপ রাজনীতি? ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার ব্যবস'াকে অসম্ভব করে তুলতে হবে।
লেখক : সাবেক সচিব ও সম্পাদক
 


__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___