http://www.sonarbangladesh.com/article.php?ID=4323
ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাদের লোক?
বদরুদ্দীন উমর
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারণের পর সাম্রাজ্যবাদী মহলে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে সরকারিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো এবং অন্যদিকে বাংলাদেশে তাদের বিভিন্ন ধরনের মক্কেল ও লবির লোকরা এবং সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকটি সংবাদপত্র এই সরকারি সিদ্ধান্তে বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিদিনই তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। প্রথমেই বলা দরকার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো ও তাদের সঙ্গে গাঁটছড়ায় বাঁধা এ দেশীয় লোকরা নিজেদের স্বার্থগত কারণে এই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও আমরা সরকারের এই নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি এবং মনে করি দেশের ও গরিব জনগণের স্বার্থে একে সবার সমর্থন করা দরকার। আসলে এই সমর্থন আছেও। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে, নোবেল প্রাইজের মাল্যে ভূষিত ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারণের পর দেশে ও বিদেশে যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে তার একটি স্পষ্ট শ্রেণী চরিত্র আছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার তার নিজস্ব যে কারণেই ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণ করে থাকুক এর একটি আইনগত ভিত্তি আছে। এর বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধদের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে, এই বিক্ষোভকারীদের শীর্ষস্থানে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। ইউনূসের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ গ্রহণের আগেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন টেলিফোনে শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, ইউনূসের সঙ্গে 'সদাচরণ' করতে! ইউনূসের বিরুদ্ধে যাতে কোন তদন্ত করা না হয়, তার বিরুদ্ধে যাতে কোন পদক্ষেপ না নেয়া হয়, এটাই ছিল তার তদবিরের বা চাপ সৃষ্টির মর্মার্থ!! এর থেকেই বোঝা যায়, মার্কিন সরকার ইউনূসকে কতখানি নিজেদের লোক মনে করে। শুধু হিলারি ক্লিনটনই নন, ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের ওপর জোর চাপ সৃষ্টি করছেন এবং ঘন ঘন প্রেস বিবৃতি দিয়ে ইউনূসের পক্ষে ওকালতি করছেন। এর থেকেই স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে যে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন তার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ কত অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। কিন্তু শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বিশ্বের সব সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রই এক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের সঙ্গে একমত। তারা সবাই ইউনূসের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এ চাপের মুখেও সরকার যে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করার ক্ষেত্রে অবিচল আছে এর জন্য তাদের অভিনন্দন জানানো দরকার। দেশের ভেতরে এই সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা দেখা যাচ্ছে তারও একটা সুনির্দিষ্ট শ্রেণী চরিত্র খুব সহজেই লক্ষণীয়। গ্রামীণ ব্যাংকের মতোই সাম্রাজ্যবাদী নানা সংস্থা ও সংগঠন থেকে আর্থিক সাহায্য প্রাপ্ত, প্রকৃতপক্ষে তাদের অর্থে পরিচালিত কতগুলো শক্তিশালী এনজিওর প্রধানরা হলেন ইউনূসের ঘোর ও প্রধান সমর্থক। এছাড়া এই সমর্থক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হলেন বাংলাদেশে তথাকথিত সিভিল সোসাইটি বা সুশীল সমাজের বেশ কিছু হৃষ্টপুষ্ট ভদ্রলোক। এরা সমাজে সব রকম সুবিধাভোগী উচ্চ শ্রেণীর লোক। বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদী লবির লোক বা সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রক্ষাকারী লোক হিসেবেই এরা খুব চাতুর্যের সঙ্গে কাজ করে থাকেন। ইউনূস থেকে নিয়ে এই সিভিল সোসাইটির লোকজন ও সেই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদী লবির লোকজনরা হলেন একই পালকের পক্ষী। কিছু সংবাদপত্র মালিক ও সম্পাদকও হলেন এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। ৪ মার্চের ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় দেখা গেল ইউনূসের এক ছবি। ছবির নিচে লেখা, গ্রামীণ ব্যাংকের ডিরেক্টরদের সঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি থেকেই স্পষ্ট দেখা যায় যে, এই ডিরেক্টররা হলেন গ্রামীণ ব্যাংকের কয়েকজন গরিব ও অশিক্ষিত বা অতি অল্পশিক্ষিত নারী। এদেরকে ডিরেক্টর বানিয়েই ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকে তার সাম্রাজ্য পরিচালনা করে থাকেন। বলাই বাহুল্য, জাতীয় সংসদে অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত খোদ কৃষক ও শ্রমিককে সদস্য বানিয়ে যেমন জাতীয় সংসদের জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করা যায় না, এ চিন্তাও কেউ করেন না, তেমনি গ্রামীণ ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের কার্য পরিচালনা যে গ্রামের কয়েকজন গরিব এবং অতি অল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত নারীকে ডিরেক্টর বানিয়ে পরিচালনা করা যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও ডক্টর ইউনূস সেই কাজ করেই দেশের ও বহির্বিশ্বের লোকদের দেখাচ্ছেন যে, তিনি কত গরিবদরদি এবং তাদের গ্রামীণ ব্যাংক কিভাবে এই গরিবদের মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে! আসলে এর দ্বারা যা হচ্ছে তা হল, এই গরিবদের ঠুঁটো জগন্নাথ বানিয়ে একেবারেই এককভাবে সর্বশক্তিমান হিসেবে ড. ইউনূস কর্তৃক গ্রামীণ ব্যাংকের কার্য পরিচালনা করা। এ কাজ করতে গিয়ে তিনি যে স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতি করেছেন, তারই বেড়াজালে আটকে পড়ে তিনি এখন গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন। নিজের এই অপসারণের বিপক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ড. ইউনূস বলছেন, তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা কর্ণধার হিসেবে না থাকলে গ্রামীণ ব্যাংক ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এমনকি ধ্বংস হবে! গ্রামীণ ব্যাংকের মতো এত বিশাল এক প্রতিষ্ঠানের ভালো-মন্দ যদি এক ব্যক্তির অস্তিত্বের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে থাকে, এক ব্যক্তির অস্তিত্ব ছাড়া তার অস্তিত্ব রক্ষা যদি সম্ভব না হয়, তাহলে এ এক ভয়ংকর কথা। কারণ এভাবে যে সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে তার কোন নিজস্ব ভিত্তি নেই, গণতান্ত্রিক ভিত্তি তো দূরের কথা। ইউনূস অতি গর্বের সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের যে প্রায় এক কোটি ঋণগ্রহীতা মালিকের কথা বলে থাকেন, তারা তাহলে কিছুই নয়! যে 'ডিরেক্টর' পরিবৃত ছবি মহা গুরুত্বের সঙ্গে ডেইলি স্টার পত্রিকার কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছেন, সেই ডিরেক্টরদের তাহলে কী অবস্থা ও অবস্থান? ইউনূসের নিজের কথা থেকেই বোঝা যায়, তারা কিছুই নন। ইউনূস যে কত স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের কাজ পরিচালনা করে থাকেন তার একটা প্রমাণ হল তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরের কোন সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও বোর্ডের ঊর্ধ্বে থেকে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটির ওপর কর্তৃত্ব করেন। মনে রাখা দরকার যে, গ্রামীণ ব্যাংকের সরকারি শেয়ার ৬০% থেকে ইউনূস নানা কৌশলে ২৫%-এ কমিয়ে আনলেও সরকারের মালিকানাও এই ব্যাংকে আছে। কাজেই ইউনূস ম্যানেজিং ডিরেক্টর থাকা না থাকার ওপর এর অস্তিত্ব কিভাবে নির্ভর করতে পারে? তাছাড়া অন্য কথাও আছে। ইউনূসের বয়স এখন ৭০ বছর। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী অন্যদের মতো ইউনূসকেও একদিন দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে। সরকার কর্তৃক তার অপসারণের বিষয় বাদ দিয়েও প্রাকৃতিক কারণে এটা ঘটতে পারে। তাহলে কী হবে? গ্রামীণ ব্যাংকের ভালো-মন্দ এমনকি অস্তিত্বের সঙ্গে ইউনূস নিজেকে যেভাবে জড়িত করছেন এতে দাঁড়াচ্ছে এই যে, তারই মতো গ্রামীণ ব্যাংক হল মরণশীল!! এ ধরনের কথাবার্তা বলতে ও দাবি জানাতে যিনি পারেন, তিনি কোন পদের মানুষ এটা বোঝার জন্য বিশেষ বুদ্ধির প্রয়োজন হয় না। তাকে সরকার যেভাবে অপসারণ করেছে তা নিয়েও সিভিল সোসাইটির ভদ্রলোকরা বিক্ষুব্ধ। কিন্তু আসল কথা হল, তিনি যে স্বেচ্ছাচারিতার সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা করেছেন এবং সেটা করতে গিয়ে যেভাবে নানা ধরনের বেআইনি কাজ করেছেন, সরকারকে ট্যাক্স না দেয়া বা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার কাজ মেনে নিয়ে আরও অনেক ধরনের দুর্নীতি করেছেন, সে কারণে গ্রামীণ ব্যাংক ও তার কার্যালয়ের তদন্ত অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। সে কাজ দীর্ঘদিন করা হয়নি, এ কথা বলে অনেকে বলছেন যে, এতদিন সরকার চুপচাপ থাকলেও এখন কেন এ কাজ করা হচ্ছে। এ এক অদ্ভুত যুক্তি। কোন সঠিক কাজ যদি আগে করা না হয়ে থাকে তাহলে সে কাজ পরে কোন সময়ে করা যাবে না, এ কেমন কথা? বলা হচ্ছে, ইউনূস নোবেল প্রাইজ পাওয়া এক অতি সম্মানিত ব্যক্তি। ঠিক কথা। তাকে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়েছে। কিন্তু নোবেল প্রাইজ পাওয়া ব্যক্তি হিসেবে তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে যা ইচ্ছা তাই করতে নানাভাবে আইন ভঙ্গ ও দুর্নীতি করতে পারেন না। সে কাজ করলে যে কোন সাধারণ ব্যক্তির মতো, যে কোন অপরাধীর মতো দেশীয় আইনে তারও বিচার হওয়া দরকার। এদিক দিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন ব্যতিক্রম হবেন, এটা বুদ্ধি দিয়ে বোঝার উপায় নেই। নরওয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ড. ইউনূসের দুর্নীতির ওপর তথ্যচিত্র প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তার কার্যকলাপ নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এখন সরকার কর্তৃক তাকে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারণের পর এত আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে উঠেছে। এক্ষেত্রে সব থেকে ছটফটানি দেখা যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্যে। তাদের ঢাকার রাষ্ট্রদূত কূটনৈতিক সব ভব্যতার বাইরে গিয়ে নানা কথা বলছেন, যা একটি রাষ্ট্র কর্তৃক অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিধায় খোলাখুলি হস্তক্ষেপের শামিল। শুধু তাই নয়, হুমকির মতো করে বলা হচ্ছে যে, অতি শিগগির এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে ড. ইউনূসের বৈঠক হবে! এসব কথাবার্তা ও কার্যকলাপের অন্যদিক যাই থাক, এর থেকে সিদ্ধান্তমূলকভাবে প্রমাণিত হচ্ছে যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নিজের লোক, তাদের একনিষ্ঠ খেদমতগার। এটা না হলে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুনিয়াজুড়ে দুর্বল দেশগুলোর জনগণের ওপর শোষণ-নির্যাতন করছে, এসব দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে নিজেদের স্বার্থ বেপরোয়াভাবে পুষ্ট ও রক্ষা করছে, তারা ইউনূসের পক্ষে এভাবে দাঁড়াত না। আগেও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানা ধরনের মক্কেল এবং সিভিল সোসাইটি নামে কথিত ভদ্রলোকরা যেভাবে ইউনূসের পক্ষ নিয়ে বাতাস উতলা করছেন তার থেকেই বোঝা যায় ইউনূস কাদের লোক, কাদের স্বার্থে তিনি বাংলাদেশে কাজ করে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার এই চরিত্র ঘোর ইউনূস সমর্থক পত্রিকায় গরিব কয়েকজন 'ডিরেক্টরের' সঙ্গে তার ছবি ছাপিয়ে ঢেকে রাখা যাবে না। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে বলা দরকার, ইউনূসের বিশেষ কোন সমর্থনই বাংলাদেশের সাধারণ মধ্যবিত্ত জনগণ, কৃষক, শ্রমিক, এমনকি গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে নেই। তারা কেউই ইউনূসের পক্ষে দাঁড়িয়ে মাতামাতি করছেন না, যে মাতামাতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত এবং সিভিল সোসাইটির ভদ্রলোকদের মধ্যে ইউনূস সমর্থক পত্রপত্রিকায় সর্বত্র দেখা যাচ্ছে। এক কথায় বলা চলে, ড. ইউনূসের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক ও দেশীয়ভাবে যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তার একটা সুনির্দিষ্ট শ্রেণী চরিত্র আছে। সাম্রাজ্যবাদীরা এবং এ দেশে তাদের সঙ্গে স্বার্থের গাঁটছড়ায় বাঁধা লোকরাই হলেন ইউনূসের প্রবল সমর্থক। সরকার ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে অপসারণের পর তাদের মধ্যে মাতমের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই শ্রেণীর বাইরের লোকদের মধ্যে, কোটি কোটি লোকের মধ্যে এ ধরনের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। উপরন্তু এর প্রতি সমর্থনই আছে, যা রাস্তাঘাটে এবং জনগণের বিভিন্ন অংশের কথাবার্তার মধ্যে দেখা যায়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে প্রকৃতপক্ষে গরিবের কোন বন্ধু নন, উপরন্তু জনগণের শোষক-নির্যাতক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র এবং এ দেশে শোষক-শাসকদের পক্ষেই যে তিনি খুব কৌশলের সঙ্গে কাজ করেন, তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই কাজ করেন, এটাই বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যে স্পষ্ট ও অভ্রান্তভাবে দেখা যাচ্ছে। [সূত্রঃ যুগান্তর, ০৬/০৩/১১] | |
http://www.sonarbangladesh.com/articles/BadruddinOmar |
__._,_.___