Banner Advertise

Thursday, January 3, 2008

[chottala.com] Wake up please my sleeping country men

 
 
মাই স্লিপিং কান্ট্রিমেন, প্লিজ ওয়েক আপ
মিনার রশীদ
http://www.jaijaidin.com/details.php?nid=47940

পুরাকীর্তি নিয়ে সৃষ্ট সব অপকীর্তির দায়-দায়িত্ব মাথায় নিয়ে শিক্ষা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা পদত্যাগ করেছেন। সরকার সমর্থক ও তার পেছনের আর্কিটেক্ট বলে দাবিদার মিডিয়ার অংশ ও সম বলয়ের সুশীল স¤প্রদায় মূল বিষয়কে ছাপিয়ে এ পদত্যাগের মাহাত্ম্য আমাদের বোঝাতেই যেন বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো পদত্যাগকেই এভাবে গ্লোরিফাই করা হয় না। আমাদের যে চৌদ্দ আনার কবুতরটি উড়ে গেল এখন একটুস খানি ইস বা সরি বললেই সে ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। তাছাড়া সব কিছু নিয়েই চ্যাম্পিয়নের লিস্ট বানানো ঠিক নয়। যে কোনো কারণেই হোক পরম উচ্ছ্বসিত গ্রুপটি এ কথাটি বেমালুম ভুলে যায়। কারণ তাতে তার ব্যর্থতাকেই প্রকারান্তরে মহীয়ান করে ফেলা হয়। এ ধারায় পদত্যাগটি প্রথম হলেও পদত্যাগকে এভাবে মহীয়ান করার প্রচেষ্টাটি এবারই প্রথম নয়।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চার উপদেষ্টা পদত্যাগ করে মিডিয়ার বড় অংশের পরম উচ্ছ্বাসে রীতিমতো তারকা বনে যান। তাতে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চরম সঙ্কটে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত দেশটিও। তাদের সে পদত্যাগ সমাজের একটা অংশকে চরমভাবে উৎফুল্ল করলেও দেশের জন্য কোনো স্থায়ী সমাধান বয়ে আনেনি। বলা যায়, যে কাজের জন্য তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সে কাজে তারা ব্যর্থ হয়েছিলেন। নিজের কারণেই হোক কিংবা অন্য কোনো কারণেই হোক তারা ব্যর্থ ও অপারগ ছিলেনÑ এটাই শেষ ও চূড়ান্ত কথা।
পদত্যাগের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সাধারণত লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। নিজের পদত্যাগকে কেউ কখনো সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা পেশাগত অ্যাসেট বানান না। পরে বিভিন্ন পদে ও মিডিয়ায় উজ্জ্বলতর উপস্থিতি সম্ভবত তাদের আগেকার সে মহান কাজকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছে। এ মহানদের অত্যধিক মিডিয়া প্রীতি ও মিডিয়া উপস্থিতি জনগণের চোখে ও কানে বেজেছে। তার ফলে নিজেদের আসল কাজটিই তারা ঠিকভাবে করতে পারেননি বা তারা করেননি। বিদ্যমান দুটি দল বা জোটের সর্বনাশা বিরোধকে কাজে লাগিয়ে তারা দেশের ভেতরের ও বাইরের অগণতান্ত্রিক শক্তির জন্য সুযোগটি সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
যে ঘটনাটিকে এ জরুরি শাসনের অজুহাত হিসেবে তুলে ধরা হয় তার একটি হলো প্রকাশ্য দিন-দুপুরে সাপের মতো মানুষ পিটিয়ে মারা। সেই ভিডিও ফুটেজে হত্যাকারীদের পরিচয় স্পষ্ট নির্ণিত হলেও বর্তমান বিচারকরা তা দেশের পুরো রাজনীতিকে জব্দ করতেই ব্যবহার করছেন। সবকিছু দেখে আজ মনে হয় যে বকের প্রতি এমনিতেই একটি লোভ ছিল, মাঠের সে বক ঝড়ে পড়েই নিজ আঙিনায় চলে এসেছে।
দেশে সব জায়গায় স্বচ্ছতা সবারই কাম্যÑ তবে গণতন্ত্রকে এভাবে জব্দ করে নয়। কারণ অন্য কোনো তন্ত্র নয়Ñ গণতন্ত্রই সমাজ ও রাজনীতির সর্বোত্তম পিউরিফাইয়ার। এটা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। তাই মায়াবতী, জয়ললিতা, লালু প্রসাদের মতো দুর্নীতির রাজকন্যা ও রাজপুত্রদের নিয়ে ইনডিয়ার গণতন্ত্র ধৈর্য সহকারে কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে চলছে। তারা কনফিডেন্ট যে গণতন্ত্র নামক এ পিউরিফাইয়ারের সামনে মায়াবতী, জয়ললিতারা বেশিদিন টিকতে পারবে না। আর বিশুদ্ধিকরণের হামান দিস্তায় হাসিনা, খালেদা, নওয়াজ শরিফ, বেনজিররা পিষ্ট হলেও এরশাদ এবং মোশাররফরা তাদের ফুলের মতো চরিত্র নিয়ে বারবার বেরিয়ে আসবে। যে সামরিক শাসক এ দেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে নিজে বিশ্ব বেহায়া হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনিও কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে এ একই অভিযোগ ঠোটে এনে ও ক্ষোভটি বুকে ধারণ করে সাইকেলে অফিস করে সুফি বেশেই পর্দায় আবির্ভূত হয়েছিলেন। কাজেই গণতন্ত্র নামক এ পিউরিফাইয়ারটিকে নষ্ট করে কখনোই সমাজকে পিউরিফাই করা যাবে না।
গণতন্ত্র জব্দ বা অবরুদ্ধ হলেও আমাদের গণতান্ত্রিক চেতনা এবং আমাদের সার্বিক সচেতনতা একটুও ম্লান হয়নি। নিজেদের জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সে সচেতনতার প্রমাণ আমরা আবারো দেখিয়েছি। ঈদের আনন্দে মশগুল থাকার সময়কে মোক্ষম ভেবে অতি সঙ্গোপনে আমাদের অমূল্য সম্পদ চালানকারীদের রুখে দিয়েছি। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, মিডিয়ার বাড়াবাড়ির জন্যই শিক্ষা উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তার কথাটি একেবারে ফেলে দেয়া যাবে না। এখানে যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে তা হলো মিডিয়ার শক্তি। মিডিয়া তিলকে তাল বানাতে পারে আবার আস্ত একটি তালকে শুধু তিল বানানো নয়Ñ একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে।
আমাদের সমস্যা হলো কোনো বিষয় আমাদের মরাল ব্রিগেডের বিউগলটিতে না বাজলে আমরা তাতে মনোযোগ দেই না। আমাদের জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আমরা যে অসাধ্যটি সাধন করে ফেলেছি বলতে পারেন এর চেয়েও অনেকগুণ বড় ও গুরুত্বপূর্ণ একটা জাতীয় সম্পদ আমরা হারাতে বসেছি। পুরাকীর্তির এ ডামাঢোলের মাঝেই যায়যায়দিনে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। যায়যায়দিনের রাশেদ হোসেন গুরুত্বপূর্ণ ওই রিপোর্টটিতে জানান, 'সমুদ্রসীমার মানচিত্র প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বঙ্গোপসাগরের বিশাল তেল-গ্যাস ভা-ার বেদখল হওয়ার পথে'। দুর্ভাগ্যের কথা হলোÑ সমুদ্রের পানি নিয়ে পানসে এ আবেদনটি আমাদের বিবেক বা চেতনাকে তেমন জাগ্রত করতে পারেনি।
আমাদের এ ক্ষমাহীন নীরবতা দেখে অন্য একটি ঘটনা মনে পড়ে যায়। ১৮৬৭ সালের ৩০শে মার্চ আমেরিকা-রাশিয়ার কাছ থেকে ৫৮৬০০০ বর্গমাইল আয়তনের আলাস্কা কিনে নেয় মাত্র ৭.২ মিলিয়ন ডলার মূল্যে। আজকের দুনিয়ার মানুষের কাছে এ বিক্রিটা অবিশ্বাস্য ঠেকতে পারে। কয়েক বছরের মধ্যেই আমেরিকা বিশাল আলাস্কায় সোনাসহ অফুরন্ত খনিজ সম্পদ খুজে পায়। গ্যাস ও তেলেরও নাকি একটা বিশাল মজুত সেখানে রয়েছে। আর তার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব তো রয়েছেই। কিন্তু ওই সময়ে শুধু রাশিয়ার জনগণই নয়Ñ আমেরিকার খুব কম জনগণই বুঝতে পেরেছিল সারা বছর বরফ ঢাকা এ অঞ্চলের প্রকৃত গুরুত্ব।
রাশিয়া ভেবেছিল তারা উপরের বরফ খ-গুলোই বিক্রি করেছে আর বোকা আমেরিকা তাই কিনে নিয়েছে। এ জায়গায় বোকা বনে যাওয়ার বেদনাতেই হয়তো তারা আমেরিকাকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না। পশ্চিমি বিশ্বের এতো ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি, অনুনয়-বিনয়, লোভ ও আশ্বাস দেখানোর পরেও রাশিয়া ইরানকে পারমাণবিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। কারণ মধ্যযুগ থেকে লালিত ধর্মাশ্রিত সামরিক ক্রুসেডের বিদ্বেষের চেয়েও এসব বাণিজ্যিক ক্রুসেডের বেদনা রাশিয়ার কাছে আজো বড় হয়ে ঠেকছে। বুদ্ধিমান মানুষ একবারই বোকা বনতে পারে। একটু বেশি দাম দিয়ে রাশিয়ার জনগণ আমেরিকাকে চিনতে পেরেছে। সেই দামি অভিজ্ঞতাটুকুকে তারা হান্টিংটন সাহেবের পরামর্শে ফেলে দিতে রাজি নয়। তাই সম্ভাব্য সভ্যতার সংঘাতের কথা বলে ইসলামিক মৌলবাদের দোহাই দিয়েও তাদের দলে রাশিয়াকে ভেড়াতে পারছে না।
রাশিয়ার আলাস্কা হারানোর মতো সম্ভবত আমরাও টের পাইনি আমরা কি সম্পদ হারাতে বসেছি। মেরিটাইম বর্ডার নির্ধারণ করার জন্য টহরঃবফ ঘধঃরড়হং ঈড়হভবৎবহপব ড়হ খধি ড়ভ ঝবধ বা সংক্ষেপে টঘঈখঙঝ নামে একটি কনভেনশন হয়েছে। দুটি দেশের মধ্যে সমুদ্র সীমানা কিভাবে নির্ধারণ করা যাবে তার খুটিনাটি বর্ণনা এখানে দেয়া আছে। পাঠকদের বোধগম্য ভাষায় সহজ করে মূল বিষয়টি এখানে তুলে ধরছি।
দুটি দেশ যখন কোনো স্থলভাগ দিয়ে সংযুক্ত থাকে না অর্থাৎ একটি সমুদ্র অংশ দিয়ে দেশ দুটি বিচ্ছিন্ন থাকে তখন তাদের মধ্যকার সমুদ্রসীমা ভাগ করার জন্য যে বণ্টন পদ্ধতি মেনে চলা হয় তার নাম হলো ঊয়ঁরফরংঃধহঃ বা সমদূরত্ব পদ্ধতি। অর্থাৎ যার যার টেরিটরিয়াল সীমানার পর থেকে মেডিয়ান (সবফরধহ) বা মধ্য সীমানা বরাবর ভাগ করলেই মোটামুটি ন্যায্য বণ্টনটি হয়ে যায়। যেমন ইনডিয়ার সঙ্গে শ্রী লংকা বা মালদ্বীপের অবস্থানটি অপজিট বা মুখোমুখি। ইনডিয়ার দ্বীপগুলোর সঙ্গে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার অবস্থানও তাই। কাজেই এখানে ইকুইডিসটেন্ট (ঊয়ঁরফরংঃধহঃ) পদ্ধতির মাধ্যমেই সমুদ্র সীমানা টানা যায়। আর তাই কারো কোনো আপত্তির সুযোগ না থাকায় এসব দেশের সবার সঙ্গেই ইনডিয়ার সীমান্ত চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ইনডিয়ার অবস্থান পাশাপাশি এবং এ দুটি দেশের মধ্যে এ সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি আটকে আছে। পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে ইকুইডিসটেন্ট (ঊয়ঁরফরংঃধহঃ) পদ্ধতি নয় এখানে ন্যায় সঙ্গত পদ্ধতি হলো ঊয়ঁরঃধনষব পদ্ধতি। ঊয়ঁরঃধনষব পদ্ধতির মানে হলো এখানে অন্যান্য ভৌগোলিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে হবে। এমনকি মুখোমুখি দেশগুলোর মধ্যেও অনেক সময় ঊয়ঁরঃধনষব পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে হয়। যেমন মূল ভূখ- থেকে অনেক দূরে ছোট্ট একটি দ্বীপের মালিকানা দিয়ে বিপরীত পারের দেশটির বিশাল ল্যান্ডের সমতুল্য জলসীমার দাবি টানা যাবে না। তখন মিডিয়ান লাইনটি দ্বীপের দিকে কিছু সরে যাওয়াই ন্যায় বিচারের দাবি। কাজেই সমুদ্র আইনটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যাতে কেউ অবিচারের সম্মুখীন না হয়।
এবার আমাদের দেশের মানচিত্রের দিকে তাকালে দেখতে পাবো পুরো দেশটি সমুদ্রের উত্তরদিকে একটা আয়তাকার ভূখ-। সমুদ্র তীরের পুরো সীমানাটি কনকেইভ বা অবতল আকৃতির অর্থাৎ সমুদ্র আমাদের পেটের মধ্যে এসে ঢুকে পড়েছে। তার মাঝে ছোট ছোট দ্বীপ। কাজেই সমুদ্রসীমা মাপার পদ্ধতির মতো আমাদের স্ট্রেইট বেইস লাইনটা হয় মোটামুটি এ আয়তাকার ক্ষেত্রেরই একটি বর্ধিত রূপ। স্ট্রেইট বেইস লাইনটা টানা হয় স্থলভাগ বা দ্বীপগুলোর সর্বশেষ অবস্থানের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে লাইন টেনে টেনে। এ স্ট্রেইট লাইনের পরের ১২ নটিকাল মাইল আমাদের টেরিটরিয়াল ওয়াটার। আর এ লাইনের পর যে ২০০ নটিকাল মাইলের এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোন (ঊঊত) তার শতভাগ ন্যায্য অধিকার আমাদের জন্মায়। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন এবং আমাদের ম্যাপটির দিকে তাকালে সহজেই এ বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে পড়ে। কোনাকুনি থেকে সম দূরত্বের চাতুরি হিসাব (যা মুখোমুখি দেশগুলোর বেলায় প্রযোজ্য, পাশাপাশি দেশগুলোর ক্ষেত্রে কখনোই নয়) দিয়ে কেউ আমাদের এ অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারে না। আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন ও আমাদের ন্যায্য অধিকারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইনডিয়া তাই করতে চাচ্ছে। ইনডিয়ার সঙ্গে কৌশলগত ঐক্যে যোগ দিয়েছে মিয়ানমার।
ইনডিয়া ও মিয়ানমারের কথায় যদি আমরা রাজি হই তবে আমরা বস্তুতপক্ষে এক ধরনের ল্যান্ড লকড অবস্থায় পড়ে যাবো। তাতে শুধু বিশাল সমুদ্র এলাকাই হারাবো নাÑ আমাদের নেভি তখন বস্তুতপক্ষে গ্রিন ওয়াটার নেভিতেই আজীবনের জন্য আবদ্ধ হয়ে পড়বে। তখন কখনোই আমরা ব্লু-ওয়াটার নেভি তৈরিতে সক্ষম হবো না। কাজেই সামরিক দিক থেকে কৌশলগত এ বিবেচনাটি এখানে সবচয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা যখন দেশের গণতন্ত্রকে খরচ করে বিশুদ্ধিকরণে মহা ব্যস্ত, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মূল কাজকে বিঘিœত করে অন্যান্য নন-ইসুকে হঠাৎ ইসু বানিয়ে নতুন খেলায় মেতেছি তখন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ এটাকে কেমন ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করছে তা লক্ষ্য করুন। ইনডিয়ান এক্সপ্রেসের গত ১৫ মে ২০০৭-এর সংখ্যায় ঘড়ঃ-ংড়-ভৎরবহফষু হবরমযনড়ঁৎযড়ড়ফ নামক মেরিটাইম বর্ডার সংক্রান্ত অনুরূপ একটি লেখায় রাহুল বেদি যা লেখেছেন তার অনুবাদ নিচে তুলে ধরা হলো :
'পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা সুরাহার বিষয়টি এখনো ঝুলে রয়েছে। তার মূল কারণ হলো, আমাদের উভয় প্রতিবেশী ইকুইডিসটেন্টের পরিবর্তে ইকুইটেবল পদ্ধতিতে তা সুরাহা করতে চান। অথচ সমদূরত্বের পদ্ধতিটি ইনডিয়া বাকিদের সঙ্গে (শ্রী লংকা, মালদ্বীপ এবং আরো যারা অপজিট বা মুখোমুখি) সমুদ্রসীমা নির্ধারণে ব্যবহার করেছে। পূর্বোক্ত পদ্ধতিটি অর্থাৎ ইকুইডিসটেন্ট হলো কিনারা থেকে সমদূরত্ব মেপে মিডিয়ান বা মধ্যরেখা নির্ণয়। আর পরেরটি হলো এ মিডিয়ান বা সীমারেখাকে সমুদ্র তীরের অন্যান্য বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারণ করা। কিন্তু নতুন করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছে তাতে আমাদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সঙ্গে একটা সুরাহায় পৌছতে অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।'
জানি না রাহুল বেদিদের এ অতি আশাবাদের মধ্যে আমার প্রিয় দেশবাসী নিজেদের বিপদটি টের পাচ্ছেন কি না। আমরা এটাকে নিয়ে যেভাবেই আত্মতুষ্টি লাভ করি না কেন, ওয়ান-ইলেভেনের পরিবর্তনকে তারা এ অন্যায় বণ্টনটিকে আমাদের হজম করানোর চমৎকার সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তাছাড়া আর কিছুদিন যদি এ ম্যাপটি তৈরি থেকে বিরত থাকি ও ঘুমিয়ে থাকি তবে আপনাআপনিই ইনডিয়া ও মিয়ানমারের দাবিটি টিকে যাবে। ইনডিয়ার বণ্টন পদ্ধতিটি অনেককেই গল্পের দুই ভাইয়ের বণ্টন স্মরণ করিয়ে দিতে পারে।
বাবা মারা যাওয়ার পর দুই ভাই উত্তরাধিকার সূত্রে একটি তালগাছ, একটি গাভী, একটি কম্বল পায়। বড় ভাই তালগাছের মাথাটি নেয়। তাই স্কেল দিয়ে মেপে ইকুইডিসটেন্ট হিসাবে হিসাব করে অত্যন্ত ইমানদারির সঙ্গে গাভীর সামনের অংশটি ছোট ভাইকে দেয়। কম্বলটি ছোট ভাইয়ের দিকে দিনের শুরুতেই এগিয়ে দেয়। রাতের বেলায় ঘড়ির কাটা মেপে বড় ভাই ব্যবহার করে। ছোট ভাই খুশি মনেই বড় ভাইয়ের এ কাটায় কাটায় মাপা সুবিচারটি মেনে নেয়। কিছুদিন পর ছোট ভাই টের পায় তালগাছের উপর থেকে বড় ভাই তাল পেড়ে খায়। ছোট ভাই গোড়ায় দাড়িয়ে তাকিয়ে থাকে। বড় ভাই গাভীর পেছন থেকে দুধ পায় আর ছোট ভাই গাভীর সম্মুখভাগের মুখে খাবার যোগায়। ছোট ভাই দিনের বেলায় কম্বল ব্যবহারের সুযোগ পায় না। কিন্তু রাতের বেলায় বড় ভাই আরাম করে কম্বলের নিচে ঘুমায়।
অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের হলেও এটি সত্য, যে যে সম্পদ আমাদের এ বিগ ব্রাদারটির সঙ্গে শেয়ার করতে হচ্ছে তার প্রতিটা জায়গাতেই উপরের এ চতুর বণ্টন প্রক্রিয়াটি লক্ষ্য করা যায়। শুকনো মওসুমে পানি বন্ধ করে বর্ষায় বেশুমার পানি ছাড়ার বড় ভাইয়ের এ বদান্যতাটুকু এখানে তুলনা করা যেতে পারে। মেরিটাইম বর্ডারের এ বণ্টনটিও সুবোধ ছোট ভাইয়ের মতো আমরা যাতে মেনে নেই বা নীরব থাকি সে জন্য আমাদের ঐতিহাসিক এ পরিবর্তনটিকে ইনডিয়া কাজে লাগাতে চায়। এদিকে ২০০৯ সালের মে মাসের মধ্যে যদি আমরা আমাদের ক্লেইম জানাতে না পারি তবে টঘঈখঙঝ-এর বেধে দেয়া সময়সীমা সম্ভবত পেরিয়ে যাবে ।
তবে দুই ভাইয়ের বণ্টন গল্পের পরের অংশটি আমরা সবাই জানি। এক জ্ঞানী লোকের পরামর্শে ছোট ভাই তার অধিকারটি ফিরে পায়। তালগাছের গোড়াটি কাটতে চেয়ে, দিনের শেষে কম্বলটি ভিজিয়ে এবং দুধ দোহানোর সময় সামনের অংশে খোচা দিয়ে ছোট ভাই নিজের ন্যায্য শেয়ারটি ফিরে পায়। রাহুল বেদিও নিজের অজান্তেই আমাদের কি কর্তব্য তা নির্দেশ করে দিয়েছেন। আর তাহলো অতিসত্বর আমাদের গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া। সংবাদ মাধ্যমসহ পুরো দেশবাসীর চেতনাটি এ ব্যাপারে খোচা দিয়ে আরো জাগ্রত করা। এ ব্যাপারে সরকার কতোটুকু অগ্রসর হয়েছেন এবং তা টঘঈখঙঝ-এর নির্দেশমতো সাবমিট করার শেষ সময় কখন তা জনগণকে এখনই জানাতে হবে। কারা এ ব্যাপারে গাফিলতি দেখাচ্ছে তা চিহ্নিত করতে হবে। এখন কাজ না করে পরে কিছু মহান পদত্যাগ দিয়ে আমাদের ধন্য করলে কাজ হবে না।
আমরা ৩৭০০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের জলকে নেহাতই জল বলেই মনে করছি। ২০০ নটিকাল মাইলের এক্সক্লুসিভ ইকনমিক জোনের পরেও কন্টিনেন্টাল সেলফ নামে ৩৫০ নটিকাল মাইলের আরেকটি সীমানা রয়েছে। সেটাও আমাদের বুঝে নিতে হবে। এটি আমাদের অধিকার। কোনো পরিস্থিতিতেই আমাদের ন্যায্য দাবি ছেড়ে দেয়া যাবে না। আগেই বলেছি বিষয়টি আমাদের ব্লু-নেভি তৈরির সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট। গণতান্ত্রিক ইনডিয়ার পক্ষ থেকে আমরা নিরাপদ মনে করলেও সামরিক শাসনে পরিচালিত মিয়ানমারের হুমকিকে তো অগ্রাহ্য করা যায় না। যে করেই হোক আমাদের নেভিকে গ্রিন থেকে ব্লু করতেই হবে। কারন সমুদ্রে রয়েছে জানা অজানা প্রচুর খনিজ সম্পদ। দেখা যাবে একদিন প্রতি একর মাটির চেয়ে প্রতি একর জলের দাম কম হবে না। ২০৫০ সাল নাগাদ আমাদের জনসংখ্যা হবে ২৪ কোটি। বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার খাওয়া ও অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর জন্য সমুদ্রের দিকেই হয়তো আমাদের দৃষ্টি ফেরাতে হবে। কাজেই মাই স্লিপিং কান্ট্রিমেন! প্লিজ ওয়েক আপ!!
প্রতিবাদ বা আপত্তি জানানো মানেই ইনডিয়ার সঙ্গে কনফ্লিক্টে জড়িয়ে যাওয়া নয়। ইনডিয়া বিশাল হলেও আমরা কিন্তু ক্ষুদ্র নই। জনশক্তিতে আমরা বিশ্বে ষষ্ঠ বা সপ্তম স্থানে। আমাদের একটি জেলার জনগণ নিয়েও পৃথিবীর অনেক জাতি সগৌরবে টিকে আছে। আমাদের দুটি প্রবণতাই ক্ষতিকর। একদিকে অন্ধ ইনডিয়া প্রীতি অন্যদিকে সমপরিমাণ ভীতি। সন্ধ্যায় এক ধর্ষণকারীর হাত থেকে বাচিয়েছে বলেই সেই কৃতজ্ঞতায় সারা রাত তাকে মনের মতো কাজটি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া ঠিক হবে না। কারণ বাঘ বা সিংহ কাউকে খেতে এলেও সেই ঘাতকের মনে গলায় হাড় আটকে যাওয়ার একটা ভীতি কাজ করে। ইরাক নামক এমনই একটি হাড্ডি আমেরিকা নামক বাঘের গলায় আটকে গেছে। এটুকু স্মরণ করলেও ইনডিয়ার সঙ্গে এসব নেগোসিয়েশনে আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে পারতাম, সাহস ও শক্তি পেতাম।
ইনডিয়া তার নিজের স্বার্থে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করবেই। এটি তার জন্য অপরাধ নয়। কাজেই ইনডিয়াকে শত্রু ভাবার সেই পুরনো মাইন্ড সেট থেকে বেরিয়ে এসে স্মার্ট প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে হবে। ভাই বা প্রতিবেশীকে আমরা আঘাত করতে চাই না। তাই বলে তাকে আমার ওপর অবিচার চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তো দিতে পারি না। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু যারা আছেন তাদেরও ইনডিয়ার দিকে ছুড়ে দিলে আমাদেরই ক্ষতি হবে। মুসলমান বলেই সউদি বিত্ত ও বিলাস-বেশনের কোনো অংশীদার আমরা কখনোই হই না বরং মিসকিন হিসেবেই তাদের কাছে সর্বদা বিবেচিত হই। তেমনি ঢাকার বড় মিষ্টির দোকানের মালিক জমি জবর দখলকারীদের প্ররোচনায় কলকাতায় গিয়ে শনপাপড়ি বিক্রি করলেও সেখানকার কেউ তাকে নিজের ঘরে টেনে তুলবে না। আমাদের দেশের সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু সবাইকেই এ কথাটি বুঝতে হবে।
সউদি সম্পদ বাড়লে যেমন বাংলাদেশের মুসলমানদের কোনো লাভ নেই তেমনি ইনডিয়ার সম্পদ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের কোনো লাভ নেই। সবার লাভ নিজের দেশের সম্পদ বাড়লে, নিজের এ দেশটি শক্তিশালী ও সম্পদশালী হলে। কাজেই নিজের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এ সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ হিন্দু, মুসলিম, ক্রিশ্চিয়ান, বৌদ্ধ যাই হই না কেনÑ এ দেশটাই আমাদের সবার সম্পদ।
সামান্য খুদ-কুড়া ছড়িয়ে যদি আমাদের কিছু মাথা কিনে নেয় কিংবা ঘুমপাড়ানি কোনো গান দিয়ে আমাদের ঘুম পাড়িয়ে দেয় তবে তা তাদের দক্ষতা কিংবা স্মার্টনেস প্রতিপন্ন করে। আর আমাদের স্মার্টনেস হলো আমরা যদি তাদের চিনে ফেলতে পারি। সুযোগ দিলে যে কেউ তা গ্রহণ করবে। কাজেই দোষ সুযোগ গ্রহীতার নয়Ñ দোষ সুযোগ দাতার। আমাদের মরাল ব্রিগেডের কোনো নিয়ন্ত্রণ যদি তারা নিতে পারে সেটাও তাদের সফলতা। আমাদের কখন কাদতে হবে, কখন ছাড়তে হবে বা ঘুমোতে হবে তা যদি তারা ডিকটেট করতে পারে তবে এটা তাদের দোষ নয়। আমাদের এ সমুদ্রের জল দখল করতে পারলে তাদের যে লাভ হবে একমাত্র তা দিয়েই যদি আমাদের গুটিকয় পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল আগামী ২০০ বছরের জন্য কিনে নেয় এটা তাদের মোট লাভের হবে অতি সামান্য অংশ মাত্র। আমরা এ জন্য তাদের হিংসা করতে পারি, ঘৃণা নয়। কারণ আমরা আরো অগ্রসর বলে বিবেচিত হওয়ার জন্য সে পত্রিকা দিয়েই বাসার চায়ের টেবিল সাজাবো এবং সে চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই ইনডিয়ার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করবো। স্মার্ট ইনডিয়া ইচ্ছা করলে তার চরম বিরোধীর ঘরেও তার প্রোপাগান্ডা মেশিনটি ঢুকিয়ে দিতে পারে। অথচ আমরা নিজেরা স্মার্ট হলে প্রতিদ্বন্দ্বীর এ কৌশল বা স্মার্টনেসটিকে অকেজো করে দিতে পারি।
ওয়ান-ইলেভেনের পট পরিবর্তনের হাত ধরে আমরা জাতিসঙ্গে (নিয়োগ ৯ নভেম্বর ২০০৭) আমাদের দেশের এসব স্বার্থ দেখার জন্য যাকে পাঠিয়েছি জানি না সে কারণেই রাহুল বেদিরা এতো উৎসাহী হয়ে পড়েছেন কি না। এ আপসুইং-এ একটা সুরাহায় পৌছার জন্য রাহুল বেদিদের আশাবাদ এবং দেশের অধিকাংশ মানুষের অজানা শঙ্কার মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি না জানি না। কারণ ওই পদে সুশীল এ ব্যক্তির যোগ্যতার প্রতি দেশের মানুষের কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের অনেক স্বার্থের সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী ইনডিয়ার সঙ্গে জটিল নেগোসিয়েশনের এসব পর্যায়ে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। মেরিটাইম বাউন্ডারির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তেল-গ্যাস, ব্লু-নেভি সৃষ্টি প্রভৃতি ইনডিয়ার স্বার্থের সঙ্গে কোনো কোনো জায়গায় সাংঘর্ষিক। যারা সারাক্ষণ আমাদের ডিফেন্স বাজেট নিয়ে গোস্বা প্রকাশ করতেন তাদের হাতেই আমাদের এসব নেগোসিয়েশনের দায়িত্ব দিয়ে আমরা কতোটুকু স্বস্তিতে থাকতে পারবো? কারণ একটি পত্রিকা গ্রুপ, এক বা দুটি টিভি চ্যানেল ও দুটি থিংক ট্যাংক সমন্বয়ে চিহ্নিত গ্রুপটি আমাদের দেশে শক্তিশালী ও প্রফেশনাল সেনাবাহিনী রাখার বিরুদ্ধেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
বিভিন্ন জনমত জরিপের মাধ্যমে এ পত্রিকাটি দেশের মানুষ ও নীতি নির্ধারকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তেমনি একটি জরিপ পত্রিকাটির নিজস্ব উদ্যোগে ২০০৬ সালের আগস্ট মাসের ২০/২১ তারিখে পরিচালনা করে। তাদের জরিপটি নিয়ে তখনই আমি একটি আর্টিকল লিখেছিলাম যা তখন এ কলামেই ছাপা হয়েছিল। তাদের স্টাইলে জনমত জরিপ করে তারা দেখিয়েছিলেন, শতকরা ৬৮.৩ ভাগ উত্তরদাতা আমাদের সামরিক সরঞ্জাম কেনার প্রয়োজনীয়তা একটা অগ্রাধিকারের বিষয় বলে মনে করেন না। তবে এটা অগ্রাধিকারের বিষয় বলে মনে করেন ২৩.৫৭ শতাংশ উত্তরদাতা। ভাষার কিছু মারপ্যাচ থাকলেও উদ্দেশ্য ও বক্তব্য পানির মতো পরিষ্কার। উপদেশটাও ছিল পরিষ্কার। মাত্র দেড় বছর আগের এ তারাই এখন আমাদের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে শুভাকাক্সক্ষী সেজে বসেছেন। জানি না আমাদের স্মৃতিশক্তি কতোই না দুর্বল। আগ্রহীরা তখনকার পত্রিকার কপি সংগ্রহ করে বিষয়টি যাচাই করে নিতে পারেন।
এ রকম অজস্র প্রচেষ্টার প্রমাণ তারা রেখেছে আমাদের ডিফেন্স বাজেট বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে, সেমিনার করে, কুশলী জরিপ চালিয়ে ও তা নিজেদের মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে। আমাদের সেনাবাহিনী বড়জোড় রক্ষীবাহিনীর মতো কিছু হলে বা সামনে বা পেছন থেকে ক্ষমতা দখলের সক্ষমতা অর্জন করলেই মনে হয় তারা খুশি হতেন। বিডিআর মুদির ব্যবসা ঠিকমতো চালাতে পারলেও আমাদের নেভি রাজহাসের মতো সাদা ধবধবে ড্রেস পরে গ্রিন ওয়াটারে জলকেলি করলেই তারা মুগ্ধ হতেন।
জাতিসংঘে ওই ব্যক্তির নিয়োগের প্রতি অনাস্থা বা গোস্বা দেখানোর এ সারিতে আছেন প্রখ্যাত এক আওয়ামী কলামিস্ট। কাজেই বলা যায়, দেশের নব্বই ভাগ মানুষের অনাস্থা নিয়ে তিনি পদটিতে বসে আছেন। তার নামটি নয়Ñ তার অতীতের অনেক কাম বা কাজের মাধ্যমেই এ অনাস্থাটি আসলে তিনি অর্জন করেছেন। একই রঙের ও একই মাপের অনাস্থা সম্পন্ন ১০ জন সুশীল মানুষের মাঝে বাকি নয় জনই মুসলমান হবেন। কাজেই হিন্দু বলেই দেশের মানুষ তাকে সন্দেহ করছে, তার প্রতি অবিচার করছে এটা ভাবা ঠিক হবে না। এভাবে চিহ্নিত অপর কেউ এ পদে এলেও এ একই প্রশ্ন উঠতো। এটা ঠিক রাজনৈতিক সরকারের নিয়োগ পাওয়া অনেক কুশীলের প্রতি জনগণের ধারণা খুব একটা উন্নত থাকে না। জনগণ জানে তারা গাছটির ফল ছিড়ে খাবে, পাতা কেটে নেবে, পারলে তার ডালও কেটে ফেলবে। কিন্তু অরাজনৈতিক সরকারের নিয়োগ প্রাপ্ত এসব সুশীলদের নিয়ে সবচেয়ে বড় ভয়Ñ হয়তোবা পুরো গাছটিই তারা উপড়ে ফেলবে।
কাজেই প্রশ্নটি সা¤প্রদায়িক বা রাজনৈতিক ভাবনার নয়Ñ এটি ১৫ কোটি মানুষ ও তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার প্রশ্ন।




চায়না থেকে
সরহধৎৎধংযরফ@ুধযড়ড়.পড়স


Is this CTG is better than Ershad  in case of political party reform and anti corruption drive ?
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Sobhan Allah-  Only Allah flawless 
           Alhamdulillah - All praise to be of Allah 
                   Allah hu Akbar - Allah, the Greatest
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------Would Be Mahathir of BD
 


Looking for last minute shopping deals? Find them fast with Yahoo! Search. __._,_.___

[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___