Banner Advertise

Friday, April 24, 2015

[chottala.com] ২০০৮ সালের ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পুনরাবৃত্তি বন্ধ হোক



২০০৮ সালের মঈন উদ্দীন-ফখরুদ্দীন-আওয়ামী লীগ মার্কা ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পুনরাবৃত্তি বন্ধ হোক

মগবাজার টি এন্ড টি মসজিদের গলিতে আমার বাসা হওয়ায় আমার ভোটকেন্দ্র টি এন্ড টি হাই স্কুলে। সবাই জানেন যে, ওয়্যারলেস মোড় থেকে নয়াটোলা হয়ে মধুবাগ, মিরবাগ অঞ্চল জামায়াতে ইসলামী অধ্যুষিত এলাকা। তাই টি এন্ড টি ভোটকেন্দ্রে বিএনপি-জামায়াত জোট শতকরা ৮০ ভাগ ভোট পাবে। ভোটের দিনেও দেখা গেল সারাদিন আনন্দে হই চই করে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিলাম। কিন্তু রাতে রেজাল্ট শুনে আক্কেল গুড়ুম। নৌকা মার্কা জিতে গেছে। অথচ ভোটকেন্দ্রে কেউ জোর করে জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরেছে সেরকম ঘটনাও ঘটতে দেখিনি। তাহলে কোথায় এই শভঙ্করের ফাঁক!
আমার বাসা থেকে ২০০/২৫০ গজের মধ্যেই তো আমাদের ভোটকেন্দ্র টি এন্ড টি স্কুল। তাই সকাল সকাল নাস্তা সেরেই হেঁটে চলে এলাম কেন্দ্রের পরিবেশ দেখতে। দেখলাম নীচতলায় ৫টি এবং দোতলায় ৬টি বুথ করা হয়েছে। কিন্তুু তখনও বুথের সামনে ভোটারদের লাইন ধরে দাঁড়ানো শরু হয়নি। স্কুল মাঠের মধ্যে ২০/৩০ জন লোক ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আড্ডা দিচ্ছে। সবাই আমার পরিচিত এবং ধানের শীষ মার্কার লোকজন।
সকাল সাড়ে সাতটার দিকে একটি জীপ এবং একটি ট্রাক এসে স্কুল-মাঠের পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত বড় ঘরটির সামনে দাঁড়ালো। সবাই বলাবলি করতে লাগলো যে, প্রিজাইডিং অফিসার এসেছেন। উনি জীপ থেকে নেমে সরাসরি বড় ঘরটিতে গিয়ে ঢুকলেন। পুলিশ ও আনসাররা ট্রাক থেকে ভোটের সরঞ্জামাদি অর্থাৎ ব্যালট বাক্স (অন্তত ৩০/৩৫টি হবে), ব্যালট পেপার, সীলমোহর, স্ট্যাম্প প্যাড ইত্যাদি অতি দ্রুত প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে নিয়ে গেল। দরজায় দাঁড়ানো দু'জন পুলিশ। কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য।
বুথগুলো আগে থেকেই প্রস্তুত করা ছিল। পোলিং অফিসাররা তাদের নিজ নিজ বুথে ঢুকে বসলেন।  পুলিশ ও আনসাররা বুথের প্রয়োনীয় সরঞ্জামাদি প্রিজাইডিং অফিসারের রুম থেকে নিয়ে প্রতিটি বুথে পৌঁছে দিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ভোটারদের মধ্যে যাদের অন্য কোন কাজ আছে তারা বুথের সামনে লাইন ধরে দাঁড়াতে লাগলো। মাঠের মধ্যে ততক্ষণে শতখানিক লোকের সমাগম হয়ে গেছে। অনেকের বুকে ধানের শীষ মার্কা পিন দিয়ে আটকানো দেখা গেল কিন্তু নৌকা মার্কা কাউকে তখনো দেখা গেল না। ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে গেল।
আমি দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার পর ভোট দিব। তাই এর ওর সাথে আড্ডা দিতে লাগলাম। ইতোমধ্যে স্কুল বাউন্ডারির বাইরে বাদামওয়ালা, ঝালমুড়িওয়ালা, চিপস ও চা-বিস্কুটওয়ালারা তাদের পসার সাজিয়ে বসেছে বা ফেরি করতে শুরু করছে। আমরাও ২/৩ জন মিলে কখনো বাদাম, কখনো বিস্কুট, কলা, চা ইত্যাদি খেলাম। আস্তে আস্তে ভোটারদের লাইন লম্বা হতে লাগলো। একটা বুথের ভোটবাক্স ভরে গেলে সেই ভোটবাক্স প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে পোঁছানো হচ্ছে, নতুন আর একটি সেই বুথে দিয়ে আসা হচ্ছে। দুপুরের দিকে বাসায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে পুনরায় ভোট দিতে আসলাম। এবারও ঐ রকম দৃশ্যই চোখে পড়লো। নিজের বুথে যেয়ে কোনো ঝামেলা ছাড়াই ভোট দিলাম। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা শুনতে পেলাম না।
আসল ঘটনা হলো- প্রথমে যে ৩০/৩৫টি ভোটবাক্স প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে রাখা ছিল, পরে প্রতিটি বুথের ব্যালটবাক্স ভোট দেয়ার পর ঐ অফিসের মধ্যে রাখা হচ্ছিল। এখানেই শুভঙ্করের ফাঁক! প্রিজাইডিং অফিসার প্রথমে যে ৩০/৩৫টি ব্যালট বাক্স নিয়ে রুমে ঢুকেছিলেন তার মধ্যে ৬/৭টি বাক্স নৌকা মার্কা ব্যালটে ভর্তি করাই ছিল। তখন ১৫/২০টা ভোট দেয়া ভোটবাক্স অন্যান্য ভোট নেয়া বাক্সের মধ্যে মিলিয়ে ফেলা হলো। ভোটাররা কেউ জানতেও পারলেন না যে কি সর্বনাশ হয়ে গেল। রাতে ভোটগ্রহণ শেষ হলে উভয় পার্টির এজেন্টদের সামনে ভোটবাক্স খুলে স্তূপ করা হলো। আবার আর একটি কা- করা হলো- ব্যাটের স্তূপকে ২/৩ জন লোক উছলিয়ে, উছলিয়ে একাকার করে ফেললো। যাতে নৌকামার্কা ব্যালট পেপার একের পর এক না হয়ে যায়। সে জন্যই পরে শোনো গিয়েছিল যে, এখানে ওখানে অনেক ব্যালট পেপার জনগণ কুড়িয়ে পেয়েছিলন। তখন কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যার চেয়েও বেশি ভোট কাস্ট হয়েছিল যার পরিমাণ শতকরা ১০৫ ভাগ। এভাবেই ২০০৮ সালের ভোট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চিচিং ফাঁক হয়েছিল।
আনোয়ার হোসেন, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭



__._,_.___

Posted by: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___

[chottala.com] বাংলা স্কুলের বাংলা বর্ষ বরণে হাজারো বাংগালী



বাংলা স্কুলের বর্নাঢ্য বাংলা বর্ষবরণ-১৪২২প্রিন্ট কর
নিউজ-বাংলা ডট কম   
মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০১৫
  
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ওয়াশিংটন প্রবাসী  হাজারো বাংগালী গত ১৮ই এপ্রিল  সমবেত হয়েছিল   ভার্জিনিয়ার ম্যানাসাসস্থ নোভা কলেজ পরিসরে।  বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ইঙ্ক(বিসিসিডিআই)/বাংলা স্কুলের আয়োজনে বাংলা বর্ষ বরণের প্রথম এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে  নোভার ম্যানাসাস ক্যাম্পাসে  সহসাই  জেগে  উঠল  অজস্র বাংগালী। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল বৃষ্টি হবার। কিন্তু সম্ভাবনার এই কালো মেঘের ছায়া নয় দিগন্ত জূড়ে ছিল আলো ঝলমল দিনের আভাস।  
 

বর্ণিল সাজ আর রুপ এবং লাবন্যময় রমনীয় মোহনীয় পরিবেশে সহসাই নোভার ম্যানাসাস ক্যাম্পাস জেগে উঠে বাংগালীর মনমাতানো  উচ্ছ্বাস আর উৎসবের রংগের ছটায়। দলে দলে লোকজন আসছে। কারো পরনে ঢাকাই লংগী, মাথায় গামছা। কারো গায়ে ফতুয়া, কেহ পরেছে টোপর। আর মেয়েরা এসেছে দলে দলে রংগীন শাড়ীতে, কপালে লাল টিপ আর ঘোপায়, বেনীতে  সুশোভিত ফুলের অপরুপ সজ্জায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব জিয়া উদ্দিন, রাষ্ট্রদূত পত্নী , মিশনের উপ প্রধান এম মুহিত, মিনিষ্টার কালচারাল তৌফিক হাসানসহ  ও বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
 
দুপুরে বৈশাখী ভোজের আয়োজন । পান্তা ইলিশ, রকমারী ভর্তা, ডালের চর্চরী আরো কত কি। বৈশাখী আনন্দ ভোজের পর আনন্দ মুখর পরিবেশে  বিকেল চারটার দিকে শুরু হল বৈশাখী বর্ষ বরণের সাংষ্কৃতিক পর্ব।

বিসিসিডিআই/বাংলা স্কুলের এই আনন্দ বৈশাখী মেলার অনুষ্ঠানের গ্র্যান্ড স্পসর ছিল ডাটা এন টেক। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিরিন আক্তারের নেতৃত্বে ডাটা এন টেকের কর্মী এবং শিক্ষার্থীরা মঞ্চে গিয়ে তাঁদের সাফল্য গাঁথা তুলে ধরেন। 
 
গ্রেটার ওয়াশিংটনের প্রানবন্ত উপস্থাপিকা শতরূপা বড়ুয়ার উপস্থাপনায় শুরুতেই ছিল বাংলাদেশ এবং আমেরিকার জাতীয় সংগীত। এরপর বিসিসিডিআই এর সভাপতি শামীম চৌধুরীর শুভেচ্ছা বক্তব্য।  সার্বজনীন বাংগালীর প্রানের উৎসবের গ্রাম বাংলা আর নাগরিক চেতনার সাথে প্রবাসের নানা সীমাবদ্ধাতার মাঝেও দেখতে দেখতে লোকে লোকারন্য হয়ে  উঠল পুরো উৎসব স্থল।
 
বিসিসিডিআই এর এই জমজমাট বর্ষ বরণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল নব বর্ষের আগমনী গান- বাংলা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি বিসিসিডিআই এর কর্মকর্তা এবং অভিভাবকরা "এসো হে বৈশাখ এসো এসো" গানের সুরে সুরে বাংলা নব বর্ষ বরণ করে নিল আনন্দ হিল্লোলে। আর  চিরাচিত এই গানের মুগ্ধতা ছড়িয়ে পরে বর্ষ বরণের আনন্দ ধারায় দর্শক শ্রোতার অন্তরেও।   
 এর পর বনানী চৌধুরীর পরিচালনায় বাংলা স্কুলের ছাত্রী  প্রিয়াঙ্কা বোস ও আদৃতার "এদিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার" গানের সাথে দ্বৈত নাচ, মেরিল্যান্ডের সিনথিয়া,  মূর্ছনা বড়ুয়ার একক নৃত্য আর মেরিল্যান্ডের মঞ্জুরী নৃত্যাংগনের ক্ষুদে শিল্পী পরিবেশন  মনিশা এবং  পিটারের  "মধুকর গুঞ্জরি বাজে" গানের তালে নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বৈশাখী অনুষ্ঠানের ঝাঁপি খোলে।

এরপর বাংলা স্কুলের গানের শিক্ষক নাসের চৌধুরীর পরিচালনায়  বাংলা স্কুল মিউজিক একাডেমীর ছাত্র-ছাত্রীরা একে একে পরিবেশন করে বেশ কিছু গান। শিশু-কিশোরদের এই পরিবেশনা উপস্থিত  দর্শক শ্রোতারা করতালি দিয়ে  উৎসাহিত করেন। 

পুরনি ও আনি বড়ুয়া বাউল গানের নৃত্য, এরপর বড়দের পরিবেশনায় ছিল গন সংগীতের আসর। কখনো কবিতার ছন্দে আবার কথার মালায়  ভয়েস অব আমেরিকার সাংবাদিক ফকির সেলিমের উপস্থাপনায়  সংগীত  পরিবেশন করেন মেরিনা রহমান,  নাসের চৌধুরী,  শারমিন জাহাঙ্গীর দিনার মনি  এবং  উৎপল বড়ুয়া।  

এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। শুরু হলো দিবা-রাত্রীর বৈশাখী বরণের রাতের পর্বের অনুষ্ঠানমালা। আলোর বর্ণিল ছটায় এই পর্বের শুরুতেই ছিল বাংলা স্কুলের ড্যান্স একাডেমীর নৃত্য শিল্পীদের মনমুগ্ধ পরিবেশনা।
 
একাডেমীর নৃত্য শিক্ষিকা বনানী চৌধুরীর পরিচালনায় নৃত্য  শিক্ষার্থীদের বর্নাঢ্য পরিবেশনা  উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে।

এরপর ছিল গ্রেটার ওয়াশিংটনের জনপ্রিয় শিল্পী রুমা ভৌমিকের পরিচালনায় গানের প্রতিযোগিতা। ভিন্নধর্মী এই প্রয়াসটি দর্শক শ্রোতারা আগ্রহ নিয়ে উপভোগ করে। এরপর  মঞ্চে এলো তরুন প্রজন্মের তারকা  অন্তরা রহমান কাউরী।

বাংলা স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী ও প্রাক্তন নাচের শিক্ষিকা কাউরীর ক্লাসিক্যাল নৃত্য অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করে।   

 
সবশেষে মঞ্চে আসে গ্রেটার ওয়াশিংটনের জনপ্রিয় ব্যান্ড গ্রুপ- "আরিচা ঘাট" ।  গ্রুপের লীড সিংগার মিরো জঙ্গির ব্যান্ড সংগীতের তালে এবং দোলায় উপস্থিত দর্শকরাও নেচে গেয়ে এই আনন্দ সংগীতে সামিল হন।
 

 অনুষ্ঠানে লটারীতে "গো ঢাকা ডট কম" এর ঢাকা-ওয়াশিংটন টিকেট বিজয়ী হন ইনারা ইসলাম
অবশেষে রাত দশটারও কিছু পরে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (বিসিসিডিআই) এর সভাপতি শামিম চৌধুরী। আগামীতে বাংলাদেশের সাথে একই দিনে বাংলা নববর্ষ পালনের  ঘোষনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।   এবারের বাংলা স্কুলের বৈশাখী উৎসবের আয়োজন ছিল ব্যাপক এবং বর্নাঢ্য যা সংখ্যাগত এবং গুনগত বিচারে  পূর্বের সকল মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তা সত্ত্বেয় অনুষ্ঠাটি ছিল বেশ দৈর্ঘ্য। আগামীতে এই বিষয়টি একটু খেয়াল রাখার জন্য অনুরোধ করা যাতেই পারে।      



__._,_.___

Posted by: Sanjoy Barua <baruasanjoy@ymail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___