Banner Advertise

Saturday, April 18, 2015

[chottala.com] RE: উলঙ্গ চেতনার প্রতিরোধে ‘জঙ্গি’-সভ্যতার বিপ্লব কি আসছে?




সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবাদ ও আমাদের প্রগতিশীল রাজনীতি....

আমাদের দেশের রাজনীতিতে প্রগতি কথাটা বেশি বেশি ব্যবহার করেন বামপন্থীরা। তাদের দেখাদেখি অন্য ধর্মনিরপেক্ষবাদীরাও এ শব্দটা ব্যবহার করেন। বামপন্থী রাজনীতি বলতে আমরা সাধারণত কমিউনিস্টদের বুঝিয়ে থাকি। এরা কোনো উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। উদার গণতন্ত্র এদের কাছে বুর্জোয়া বখামি। মার্কস, লেনিন, মাও জেদং, হো চি মিন, চে গুয়েভারা থেকে শুরু করে সব কমিউনিস্টই মোটের ওপর বিশ্বাস করেন বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে শ্রেণীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই মূল কথা।
১৮৪৮ সালে মার্কস তার বন্ধু এঙ্গেলসের সঙ্গে মিলিতভাবে কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো রচনা করেন—যাতে তারা বলেন, দুনিয়ার সর্বহারা এক হও। বিপ্লব করে ক্ষমতা দখল করো। নইলে তোমাদের মুক্তি নেই।
লেনিন ছিলেন কট্টর কমিউনিস্ট। মার্কস একপর্যায়ে শ্রেণীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কৌশল হিসেবে গণতান্ত্রিক বিপ্লবের কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু লেনিন সে রকম ভাবেননি। তিনি পেশাদার বিপ্লবীদের মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যারা বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে শ্রেণীহীন সমাজের জন্য সব কিছু উত্সর্গ করবে। তিনি চেয়েছেন এক দলের রাজত্ব। বাংলাদেশের কমিউনিস্টরাও তাই। এরাও কোনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না। তবে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চেহারা নিয়ে থাকেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্টরা বিপ্লব করেছেন। রাষ্ট্রক্ষমতায় গেছেন। তাদের ত্যাগের নজিরও কম নয়। কিন্তু বাংলাদেশের কমিউনিস্টদের সঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কমিউনিস্টদের ত্যাগ ও প্রতিজ্ঞার তুলনাই চলে না। বাংলাদেশের কমিউনিস্টরা বিপ্লবীও না, গণতন্ত্রীও না, এমনকি তারা ধর্মনিরপেক্ষতায়ও বিশ্বাস করে না।
ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞা হিসেবে এরা বলেন রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে সব ধর্মাবলম্বীর সমানাধিকার। কিন্তু এই নীতি তারা কাজেকর্মে দেখাতে পারেন না। প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তি কখনও কোনো ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামান না কিংবা বিশেষ কোনো ধর্মকে গালাগালি করেন না। এদেশের কমিউনিস্টরা সব ধর্মের ব্যাপারে আশ্চর্যভাবে নিরপেক্ষ থাকলেও এদেশের প্রধান জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলামের ব্যাপারে ভয়ানকভাবে অসহিষ্ণু। এই অসহিষ্ণুতা এক ধরনের সাম্প্রদায়িকতা। এই বাম সাম্প্রদায়িকতা ও ইসলাম বিদ্বেষের উত্স কী তা একটু দেখা যাক।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়েছিল সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের দলছুট কর্মীদের হাতে। এরা বিপ্লবী ছিলেন ঠিক, কিন্তু মুসলিমবিদ্বেষী ও সাম্প্রদায়িকও ছিলেন। সেক্যুলারিজমে এদের ভক্তি ছিল না। এদের জন্যই বঙ্গভঙ্গের সময় রবীন্দ্রনাথ অনেক গান ও কবিতা লিখেছিলেন। সন্ত্রাসবাদী থেকে কমিউনিস্টে পরিণত বিপ্লবীদের গুরু কিন্তু বরাবরই রবীন্দ্রনাথ রয়ে যান। এই রবীন্দ্রনাথ বিশ শতকের শুরুতে লিখতে বসে ভারতবর্ষের অব্যবহিত আগের সাতশ' বছরকে বিদেশি শাসন বলে রায় দিয়েছেন। ব্রিটিশ শাসনের আগের সাড়ে পাঁচশ' বছরের মুসলিম শাসন তার কাছে বিদেশি শাসন। সাম্প্রদায়িকতার সমস্যার গোড়া এই জায়গায়। ভারতবর্ষ যে মুসলমানদের শাসনাধীন ছিল বিদেশাগত হলেও তারা মনেপ্রাণে ভারতবর্ষীয় হয়ে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তা মানেননি।
আমাদের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদরা রবীন্দ্রনাথকে ছুঁয়ে কথা বলেন না। সত্যকে স্বীকার করেন না। ঘটনার মূলে যান না। তারা এ দেশের ইতিহাস সাম্প্রদায়িকভাবে লেখেন ও পড়েন। সাম্প্রদায়িকতা এজন্য তরতাজা থাকে। আমাদের বামপন্থী রাজনীতিবিদ ও সংস্কৃতিসেবীরা রবীন্দ্রনাথ পড়া কমিউনিস্ট। এরা যত না মার্কস-লেনিন পড়েছেন, এর চেয়ে বেশি পড়েছেন রবীন্দ্রনাথ। এ কারণেই এরা কমিউনিস্ট না হয়ে হতে পেরেছেন ইসলামবিদ্বেষী, প্রবল ভারতপ্রেমী ও এস্টাবলিশমেন্টের সরভোগী। রবীন্দ্রনাথকে বিশেষ শ্রদ্ধা করতেন মহাত্মা গান্ধী। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন রবীন্দ্রনাথ উপনিষদভিত্তিক সংস্কৃতির চর্চা করেছেন। একে সাম্প্রদায়িকতা না প্রগতিশীলতার কোটায় রাখব আকেলমান্দরাই বলতে পারবেন।
রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করেও সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি। ভারত ও বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রগতিশীলের অবস্থা একই। বৌধায়ন চট্টোপাধ্যায় সিপিআইয়ের অনেক বড় নেতা ছিলেন। ১৯৬৮ সালে ডাস ক্যাপিটালের শতবর্ষ উপলক্ষে ভারতের কমিউনিস্টরা একটি বই প্রকাশ করে। প্রকাশক দিল্লির পিপলস পাবলিশিং হাউস। এ বইয়ে বৌধায়নের একটি লেখা আছে। শিরোনাম মার্কস অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ক্রাইসিস। এখানে তিনি বলেছেন, ভারতের বুদ্ধিজীবীরা সবাই অসত্। (বৌধায়ন এসব বুদ্ধিজীবীকে নিয়ে আরও অনেক কথা লিখেছেন, যা এখানে উল্লেখ করার মতো নয়।) দু'জনই শুধু ব্যতিক্রম—গান্ধীজি ও রবীন্দ্রনাথ। অসত্ বলে তিনি ঠিক বললেন, কিন্তু ওই দু'জনের ব্যাপারে ব্যতিক্রম কেন? ভারতের সব বুদ্ধিজীবীই যদি অসত্—তবে রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীজি—এরাও ব্যতিক্রম নন। এর নাম সিপিআই। সিপিএমও বেশি আলাদা নয়। বাংলাদেশে কমিউনিস্ট নামধারী অধিকাংশই এ ধরনের।
ভারতের কমিউনিস্টরা যত না সর্বহারার আন্তর্জাতিকতাবাদী, তার চেয়ে অনেক বেশি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী। আমাদের এখানকার কমিউনিস্টরা ওপারের কমিউনিস্টদের মাসতুতো ভাই। এ কারণে ভারত বা বাংলাদেশে কোথাও সত্যিকারের কমিউনিস্ট বিপ্লব হয়নি।
বাংলাদেশে কমিউনিস্টরা রাজনীতিতে বড় একটা সফলতা দেখাতে পারেননি। কারণ তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ওই সাম্প্রদায়িকতা—এদেশের প্রধান জনগোষ্ঠীর ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে নেতিবাচক মূল্যায়ন। দেশের মানুষকে শত্রু বানিয়ে তো রাজনীতি হয় না।
এদেশে কমিউনিস্টদের যা কিছু সফলতা তা হচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতি-মিডিয়ার অঙ্গনে। এ অঙ্গনটি তারা কয়েক দশক ধরে ভালোমত নিজেদের কব্জায় রেখেছেন এবং এটিকে ব্যবহার করে তারা সাম্প্রদায়িক ধর্ম ইসলামের চরিত্র হনন মনের সুখে করতে পেরেছেন বলেই মনে হয়। এ আলোচনায় পরে আসছি। বাংলাদেশে কমিউনিস্টদের রাজনীতি হচ্ছে অনুপ্রবেশের রাজনীতি। আর অনুপ্রবেশের রাজনীতি মানে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। এখানে প্রকাশ্যে নিজেদের বিপ্লবী প্রোগ্রাম নিয়ে এরা কখনও এগোতে পারেননি, এটা আগেই বলেছি এবং এই নৈতিক সাহস তাদের কখনোই ছিল না। দেশভাগের আগে এদেশের অনেক কমিউনিস্ট মুসলিম লীগে ঢোকে। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। মুসলিম লীগ হয়ে ইনি আসেন আওয়ামী লীগে এবং এক সময় এটির অন্যতম কর্ণধারে পরিণত হন। অনুপ্রবেশের রাজনীতি যে কতদূর ভয়ানক হতে পারে মরহুম শেখ মুজিব সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন এবং শেষ জীবনে এই ভারতমনা-মস্কোমনা রাজনীতিবিদকে নিজের কেবিনেট থেকে বের করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তার পরেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। মণি সিংদের প্রভাবে তিনি যে বাকশাল করেছিলেন এটা যে তার দুঃখজনক পরিণতি ডেকে নিয়ে এসেছিল— এসব কথা আকেলমান্দরা ভালোভাবে জানেন। এদের অনুপ্রবেশের রাজনীতির ভয়ঙ্কর রূপ সাম্প্রতিককালে টের পেয়েছে বিএনপি। তাজউদ্দীনের ভূমিকায় এখানে নেমেছিলেন আবদুল মান্নান ভূঁইয়া।
যা হোক, দেশভাগের আগে কমিউনিস্টরা পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল। তখন তারা বলত এটি হচ্ছে নিপীড়িত মুসলমানদের আন্দোলন। পাকিস্তান হওয়ার পর এরা রাতারাতি ভোল পাল্টায় এবং ওপারের ভারতীয় জাতীয়তাবাদী কমিউনিস্টদের সুরে সুর মিলিয়ে আওয়াজ তোলে—ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়। দেশভাগের পর বহুদিন ধরে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির সদর দফতর ছিল কলকাতায়। ওখানে বসে ভিনদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করত ভারতীয় কমিউনিস্টরা।
এভাবে সুযোগ বুঝে এসব কমিউনিস্ট একসময় মুসলিম লীগ ছেড়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ হয়ে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়ে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেব ছিলেন উদার গণতন্ত্রী। আওয়ামী লীগে তিনি এসব কমিউনিস্টের আস্ফাালন ও বখামি পছন্দ করেননি। তাই এরা আওয়ামী লীগ ভেঙে মওলানা ভাসানীকে দিয়ে ন্যাপ গঠন করে এবং মওলানার আশ্রয়ে নিজেদের নিরাপদ জায়গা খুঁজে পায়। মওলানার শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার আর আমাদের ছদ্মবেশী কমিউনিস্টদের শ্রেণীহীন সমাজ কিন্তু এক জিনিস নয়। মওলানার দর্শন ছিল রব্বানী দর্শন। এর প্রবক্তা ছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক মওলানা আজাদ সুবহানী। যা হোক, সরলমনা মওলানাকে এই কমিউনিস্টরা ভালো মতোই ব্যবহার করেছে এবং তাকে প্রয়োজনমত ছুড়েও ফেলেছে।
বাংলাদেশ হওয়ার পর কমিউনিস্টরা আবার আওয়ামী লীগের ঘাড়ে সওয়ার হয় এবং বিভিন্ন কৌশল ও কার্যক্রমের ভেতর দিয়ে একে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালায়। বর্তমান আওয়ামী সরকারও কমিউনিস্টকবলিত সরকার, সোহরাওয়ার্দীর উদার গণতন্ত্রী সরকার নয়। অনেকটা একদলীয় রাজ প্রতিষ্ঠার ভেতর দিয়ে কমিউনিস্টদের দর্শনই আজ আওয়ামী লীগ কার্যকর করছে।
আগেই বলেছি, কমিউনিস্টরা এদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ভয়ানকভাবে কলুষিত করতে সমর্থ হয়েছে। সংস্কৃতি ও মিডিয়ার বিভিন্ন অঙ্গনকে ব্যবহার করে কয়েক দশক ধরে মূলত এরাই বাংলাদেশের শিক্ষিত মধ্যশ্রেণীর একাংশকে ভয়ানকভাবে ইসলামবিদ্বেষী করে তুলেছে। ইসলাম মানেই সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ, বর্বর, মধ্যযুগীয় ধর্ম—এই সমীকরণটা তারা এদেশের মধ্যশ্রেণীর একাংশের মনে বদ্ধমূল করে দিয়েছে। এখন অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, এরা ইসলামের নাম শুনলেই ডন কুইকসোটের মতো হাওয়ায় তরবারি নাচিয়ে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে এবং ইসলাম ধর্ম ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ক্রুসেড শুরু করে। প্রথম দিকে এরা গল্প, উপন্যাস, সিনেমা, নাটক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে হলাহল ছড়াত। এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে ইসলামবিদ্বেষের তুফান ছুটিয়ে চলেছে। শেখ মুজিবের শাসনকালে দাউদ হায়দার রসুল (স.)-কে নিয়ে কুিসত কবিতা লিখেছিলেন। এখন তার উত্তরসূরি ব্লগাররা আরও কুিসতভাবে মাঠে নেমেছে। শুধু তা-ই নয়, ইসলামের বিভিন্ন প্রতীক যেমন রসুলের সুন্নত, আদবকায়দা, হিজাব, এদেশের মুসলিম সংস্কৃতি সংলগ্ন পোশাক— পায়জামা, পাঞ্জাবি, শেরোয়ানি, টুপি এগুলো নিয়ে কটূক্তি ব্যঙ্গোক্তি, রঙ্গরস ক্রমাগতভাবে এদেশের একশ্রেণীর গণমাধ্যমে চলছে। এর মাধ্যমে ইসলামের প্রতি ঘৃণার বীজ রোপণ করা হচ্ছে। এদেশের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিসেবীদের ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ এতই বদ্ধমূল, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সাম্প্রদায়িকীকরণের চেষ্টাও তারা বহুদিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন। এদেশে ইসলাম আসার সঙ্গে সঙ্গে বাংলা ভাষায় প্রচুর আরবি, ফারসি, উর্দু শব্দ এসে মিশেছে। এসব শব্দ বাংলা ভাষাকে গতিমান করেছে। এর নজির আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম। ফোর্ট উইলিয়ামের পণ্ডিতদের মতো আমাদের প্রগতিশীল পণ্ডিতরাও বাংলা ভাষা থেকে এসব ইসলামী শব্দ উত্খাতের জন্য ক্রুসেড শুরু করেছেন। এরা মরহুম বলবেন না, বলবেন প্রয়াত। লাশ বলবেন না, বলবেন মৃতদেহ। তবে শহীদ শব্দটার তাত্পর্য বুঝে ওরা এখনও এটা রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে ব্যবহার করেন। ইসলামের প্রতি যদি এতই বিদ্বেষ তবে এই শব্দটা ব্যবহার করা কেন আর নাস্তিকদের নামের আগে ওই বিশেষণটাইবা জোড়া কেন?
খেয়াল করার মতো বিষয় হচ্ছে, এই শ্রেণীর কমিউনিস্টদের যাবতীয় বিদ্বেষ শুধু একটিমাত্র ধর্ম ইসলামকে নিয়ে, সব ধর্ম নির্বিশেষে নয়। কমিউনিজম নাস্তিকতার কথা বলে এটা সত্য; কিন্তু বঙ্গীয় কমিউনিস্টরা নাস্তিকতা বলতে ইসলামবিরোধিতাকেই বোঝায়। দেব-দেবীর ছবি দিয়ে তৈরি প্রচ্ছদ সংবলিত কলকাতার পূজা সংখ্যা পত্রিকা পড়ে এরা জাতে ওঠার অপার আনন্দ অনুভব করেন। কিন্তু চাঁদ-তারা-টুপি দেখলেই এদের অবস্থা সাপের লেজে পা পড়ার মতো হয়। এদের এই সাম্প্রদায়িকতা এখন রীতিমত বর্ণবাদের আকার নিয়েছে এবং এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে এ লড়াই রীতিমত দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা-কালোর ভেতরকার লড়াইয়ের প্রকৃতি অর্জন করেছে। এই বর্ণবাদী, সাম্প্রদায়িক, ইসলামবিদ্বেষী কমিউনিস্ট চক্রের উদ্দেশ্য কী? এরা এদেশের মুসলিম সংস্কৃতি ও ভাবাদর্শকে দুর্বল করে দিতে চায়। এটা সম্ভব হলে এদেশের মানুষের ঐক্য, সংহতি, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। ওপারের ব্রাহ্মণ্যবাদী এজেন্ডাও তা-ই। বাংলাদেশে এখন এই এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজ মহাসরগরমে চলছে।
-ফাহমিদ-উর-রহমান



Date: Sat, 18 Apr 2015 17:51:40 -0400
From: noorin@aol.com
To: shamsul159@aol.com; forusquran@gmail.com; farhad.sunny@yahoo.com; gmsjewel@yahoo.com; farachow@gmail.com; kmhrashid01@gmail.com; hamid293@yahoo.com; hira11005@yahoo.com; hassanrimu@yahoo.com; rashidabdur@hotmail.com; suretyoneins@gmail.com; miqbal5@netzero.net; admin@bdimport.com; PROFESSION1995@YAHOO.COM; info@crystalcrownhotelbd.com; kamal.s.hossain@gmail.com; you.are.my.radiostar@gmail.com; SDISH@att.net; cricketshi2000@yahoo.com; k.mostafa@amadeyr.org; obtmedical@aol.com; sultanaa1@bellsouth.net; NORM1097@yahoo.com; consult365@yahoo.com; digantaeditorial@gmail.com; Dr.dipumoni@gmail.com; isratmjahan@gmail.com; ZILLURRKHAN@GMAIL.COM; zubaer.dentist@gmail.com; mhaq1@hotmail.com; rahman_enayet@yahoo.com; ershad.hm@gmail.com; ElderHossaini@gmail.com; asifnazrul@gmail.com; pakmail798@yahoo.com; ledolargo@yahoo.com; amin@amin-consulting.com; arch.wares@gmail.com; azad2113@gmail.com; Haque_adnan@yahoo.com; azam8609@yahoo.com; bilalu@gmail.com; Bhuiyan1007@gmail.com; syedrahman0157@yahoo.com; ashrafreza61@yahoo.com; bdrealtor21@yahoo.com; bladesfish@hotmail.com; bmatiq@gmail.com; bmclsas@yahoo.com; abdullahmh@ymail.com; haider@alphanc.com; tauhid18@gmail.com; tarikhc@yahoo.com; thecharioteersarrow@gmail.com; srbanunz@gmail.com; subah2002@yahoo.com; shihab@bergerbd.com; sheikhhasina@hotmail.com; sohrab03@dhaka.net; Simonus11@yahoo.com; shahadathussaini@hotmail.com; Shawkatali69@gmail.com; shabbirwr@yahoo.com; saminabi8557@yahoo.com; saif442@yahoo.com; sairauhl@gmail.com; serajurrahman34@gmail.com; 786FAITH@GMAIL.COM; Rashid99716@yahoo.com; taxnlaw@hotmail.com; sheikhr@bellsouth.net; rajakhan33@hotmail.com; nurtrust@yahoo.com; n.sakib2009@yahoo.com; salwamarzan@yahoo.com; nasirn@msn.com; nasir.hassan75@gmail.com; mustak@gmail.com; Moshiuddullah@yahoo.com; Mmatin93@hotmail.com; millenniumtravels123@gmail.com; LUBAB_123@YAHOO.com; mohammed.wahied@gmail.com; rehanakhan954@yahoo.com; sunstategifts@yahoo.com; kazi4986@yahoo.com; mmazamc1@yahoo.com; am.kazemi@bb.org.bd
Subject: উলঙ্গ চেতনার প্রতিরোধে 'জঙ্গি'-সভ্যতার বিপ্লব কি আসছে?

 
 
১৯২৮ সালের ১লা ফেব্র"য়ারি তাঁর স্নেহধন্য দিলীপ কুমার রায়কে কবি(রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ) এক দীর্ঘ চিঠি লেখেন। বিষয়- নারীর ব্যভিচার। রবীন্দ্রনাথ স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করেছেন, "সমাজে যদি অশান্তি না ঘটে তাহলে ব্যভিচার-ব্যভিচারই হয় না। ব্যভিচারের ফলে যদি সন্তান সমস্যা দেখা দেয়তাহলে আজকাল সেটাও সমস্যা নয়। কেননা কন্ট্রাসেপটিভ বেরিয়ে গেছে। নিবারণের উপায়গুলোও সহজ। সুতরাং গর্ভধারণ করতে হয় বলে দেহকে সাবধান রাখার দায় আর তেমন নেই।... সমাজ নিজের প্রয়োজনবশত: স্বভাবকে ঠেকিয়ে রাখে। ঠেকিয়ে রাখতে তার অনেক ছলবল- কৗশল অনেক কড়াকড়িঅনেক পাহারার দরকার হয়। কিন্তু প্রয়োজনগুলোই যখন আলগা হতে থাকেতখন স্বভাবকে ঠেকিয়ে রাখা আর সহজ হয় না। ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভোগের দৃষ্টান্ত দেখ না। আমার যখনই ক্ষিদে পায়তখন আমার গাছে যদি ফল না থাকেতবে তোমারগাছ থেকে ফল পেড়ে খেতে আমার স্বভাবতই ইচ্ছা হয়। কিন্তু যেহেতু ব্যক্তি সম্পত্তির সীমা রক্ষা করা সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার পক্ষে অত্যাবশ্যকএজন্যই ফল পেড়ে খাওয়াটা চুরি। এই চুরি সম্পর্কে সমাজ আমাদের মনে যে সংস্কার দৃঢ় বদ্ধমূল করে দিয়েছে সেটা নিজের ব্যবস্থা রক্ষা করবার উদ্দেশ্যে।... বস্তুত: চুরি না করার নীতি শাশ্বত নীতি নয়। এটা মানুষের মনগড়া নীতি। এ নীতিকে পালন না করলে সমাজে যদি অশাস্তি না ঘটেতবে পরের দ্রব্য নেওয়া চুরিই নয়। এই কারণে তুমি দিলীপ কুমার রায় যদি আমি রবীন্দ্রনাথের লিচু বাগানে আমার অনুপস্থিতিতে লিচু খেয়ে যাওতুমিওসেটাকে চুরি বলে অনুশোচনা কর না। আমিও সেটাকে চুরি বলে খড়গহস্ত হই না। ব্যভিচার সম্বন্ধে এই কথাটাই খাটে। এর মধ্যে যে অপরাধ সেটা সামাজিক। অর্থাৎ সমাজে যদি অশান্তি ঘটেতবে সমাজের মানুষকে সাবধান হতে হয়। যদি না ঘটেতাহলে ব্যভিচার-ব্যভিচারই হয় না। (দ্র: অমিতাভ চৌধুরী, ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ)।
 
 
 
 
উলঙ্গ চেতনার প্রতিরোধে 'জঙ্গি'-সভ্যতার বিপ্লব কি আসছে ? রনিঃ
"নারী তার বয়স কতটা হয়েছে তা নির্ধারণ করে পুরুষরা তার শরীরের প্রতি কতটা আগ্রহ বা অনাগ্রহ দেখায় তার ভিত্তিতে। এতে মর্মাহত হওয়া কি খুব হাস্যকর হয়ে উঠবে না?" -মিলান কুন্দেরা, অত্মপরিচয় পৃষ্ঠা-২৬, অনুবাদ: উদয়শংকর বর্মা। এটা কোন নারী তা কুন্দেরা বলেন নাই। এটা আধুনিকতার বিকারের আটকে যাওয়া নারী। সব নারীকে এই প্রেমে দেখা যাবে না। তার পরে ভায়োলেন্স হলে.. বা তাঁর যৌনতাকে অবৈধ ক্ষমতার সোনার ছেলেরা খোলা ময়দানে পাইতে টাইলে আমরা প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠি। অতি মধ্যবিত্তপনার কারনে, সব কিছুকে নিজেদের আনন্দ-বিনোদনের একচেটিয়া বাজারে পরিণত করার ফলে এবং জাতীয় চেতনার দীল্লীয়রুপান্তরের ফলে বাংলার অদি সমাজের, আমাদের নিজস্ব যে ব্যাসিক এথিক্যাল অর্ডার আছে তা ভেঙে পড়তেছে -সেই তর্ক না করে পুলিশের দোষ খুঁজি! হাস্যকর। অন্য দিকে বাঙালি সংষ্কৃতির ধর্ষকামিতা উদাম হয়ে যাওয়ার পরে প্রগতীশীল বিলাপ কৌতুকের মতো বাঁজতে থাকে চারপাশে। ভুভুজেলার বিকট চিৎকার যেমন ভাবে নারীর অর্তচিৎকার আড়াল করে ধর্ষণকে নিরাপদ করে তুলে তেমনি ভাবে বামাচারী ও নারীবাদি হুজুগও নারীকে আরও ভালনারেবল/ অসহায় করে তুলে। নারীবাদিরে কথা বলছি এই জন্য যে, এইসব শহুরে নারীবাদিরা রাজনীতি ও ক্ষমতার প্রশ্নকে ভুলে ভোগবাদি পন্য সংষ্কৃতির আদর্শের ভিতরে খারায়া নারী স্বাধীনতা নারী স্বাধীনতা বলে চিল্লায় আর ধর্ষণের পরিবেশকে ঘনায়িত করে তুলে। আইডেনটিরি একটা পলিটিকস আছে। ফলে আইডেনটিটির ভায়োলেন্সও আছে। সেটা যেমন ফ্যামিনিন/নারীময় রুপে হাজির হতে পারে আবার ম্যাসকুলিন/ব্যাটাগিরি রুপেও দেখা দিতে পারে। কিন্তু নারীবাদিরা খামখা পুরুষকে শত্রু মনে করে। এই লিঙ্গভিত্তিক শত্রুতা আবিস্কার নারীকে আরও বিপদগ্রস্থ করে তুলে। কাজেই আমাদের দেশের এলিটিস্ট নারীবাদ ধর্ষণ সংষ্কৃতি কে উৎসাহিত করা এবং এনজিও ফান্ড আনা ছাড়া আর কোন কাজে আসছে না। ছাত্র লীগের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে এইসব প্রগতী অন্ধরা কোন পজিশন নিবে না। খালি গালি দিবে হুজুরদের। যারা পর্দার কথা কয় এরা নাকি বর্বর? এই হলো কানাদের বিচার। অবৈধ সরকারের জারজ পান্ডাদের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক প্রতিরোধ এরা করবে না। এটাই তাদের পলিটিক্যাল সার্কেল। সো এই যে প্যারাডকস/বিভ্রম তৈরি করে নারীবাদিরা ফাও বিপ্লবীপনা করে তার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এটাকে বুঝতে না পারলে বিপদ আরও বাড়বে। ছাত্র ইউনিয়ন টাইপের বাপপ্রতিক্রিয়াশীলরা সমাজের নিজস্ব এথিক্যাল গঠন না বুঝে নারীকে ইউরোপের মতো আধুনিক হতে বলে.. ফলে নারী সম্মান পাইবার চোরাবালিতে পা দিয়ে নিজেরে 'স্বাধীনভাবে' পথে নামায়। আর তখন ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা 'পশ' মেয়েদের খোলা শরীর নিয়ে একটু আমোদ নিতে চেষ্টা করে। ফলে এই ঘনটায় প্রগতীবিদ প্রতিবাদের রেজাল্ট হলো অশ্বডিম্ব। এরাই এইসব নারীদের গোন্ডাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। আর অদ্ভুত ভাবে এই ছেলেদের এখন কিছু সেকালুর পন্ডিত হিরো বলছে। এরা হিরো না এরা এই মেয়েদের দানবের ভোগের মুখে ছেড়ে দিয়েছে নিজেদের অলক্ষে। সংষ্কৃতি চেতনা দিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতাকে মোকাবে করার এই হাস্যকর বিরদের নিয়ে আমরা কই যাবো? এই খোলা সংষ্কৃতির বাজারিদের অবদানের ফসল লুটে খায় 'অনকালচার' লীগ পুলাপান। এরা গ্রাম্য। এরা রবীন্দ্র সঙ্গিত জানে না। অমিত-লাবন্য টাইপের মিটিমিটি প্রেম করতে পারে না। সুন্দর 'মান' বাংলায় কথা বরতে পারে না। এরা হয়তো গোপালি, এরা অনেক খ্যাত, এরা স্মার্টলি বান্দবী বাগাতে পারে না। এরা লিভটুগেদারের মতো অধুনিক না। চোখের সামনে যৌন বৈষম্য এরা কেমনে মানবে? সংষ্কৃতি নাই তাতে কি ক্ষতা তো আছে.. সো ল্যাংটা করতে তো সমস্য নাই। একদিনই তো। প্রতি দিন তো তোমরাই করো। এই হল হিংসার হিসাব। কিন্তু যখন দেখে তাঁদের সংস্কৃতি কর্মিরা ( বামরা লীগের সংষ্কৃতি কর্মি বৈ তো নয়) এতো বড় খোলাবাজার তৈরি করছে তখন সে এটা নিজের মনে করে হামলে পড়ে। তা না হলে ৪০ মিনিট ধরে রাস্তার মধ্যে উলঙ্গ শরীর দেখার 'বিকার-সুখ' কোন ভাবেই সম্ভব না। তাও ঢাবিতে। আবার তখন চিৎকার করে বলছিল, হালা এই জিনিস প্রতিদিন পাবি না ভিডিও করে রাখ… এই যে ঘৃণা মিশ্রিত কামনা এর একটা ভয়াবহ যৌনহিংসার দিক আছে। এটা সমাজের হায়ারাকির মধ্যে তৈরি হয়। ফলে 'গ্রাম্য' যুবক ( লীগের বেশির ভাগ পুলাপান সাবঅল্টার্ন বা প্রান্ত শ্রেণী থেকে এসেছে, নেতারা না কিন্তু) পথে সুযোগ পাইলে এলিট শরীর খুবলে খায়। এটা তখন যৌন সন্ত্রাসের অতিরিক্ত হয়ে ওঠে। আপনি যদি জিগান তখন সেই যুবক জবান দিবে যে মেয়ে বব কাট দিয়ে শীরর দেখায় ঘুরে তারে তো মেয়ে মনে করা ঠিক না। তোরে সে নটি মনে করে। কিন্তু নটির কোন অধিকার সে দিবে না। জোর কররে যা তা করবে। আর সুশীল রা নটির অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবে। দেখা যাবে সেই গ্রাম্য পুলা ক্ষমতা শ্রেণীর সাথে থাকলেও সে 'গোড়া' যুক্তি দিয়ে নিজের অপকর্ম জাস্টিফাই করতে চায়। সেদিন টিভিতে এটাই বলতে চাইছিলাম যে, এই ধরণের যৌন সন্ত্রাসের একটা ক্লাস রুপ ( নট ইকোনোকিম ক্লাস, এটা অনেক বেশি কালচারাল ক্লাস) আছে। এটাকে সুশীল-এলিট সংস্কৃতি দিয়ে চিনা যাবে না। এই ঘটনার জন্য দায়ী সংষ্কৃতি ব্যবাসায়ীরাও। যারা গ্রাম বাংলার উৎসবটাকে শহরের হিন্দিগানের মজবা করে তুলছে। এর রেডিক্যাল অংশ যেমন ছায়া নট যতই রবী-ঠাকুরীয় আদর্শ মতো এটা পালন করতে চান না কেন তা উনাদের দখলে নাই। দিল্লীর মাইর তাদের চিন্তার বাইর। এরা অনেক নিরিহ হয়ে গেছে করপোরেট জমানায়। আর্ট-কালচারের নামে এরা ব্যাসিকেলি ইজ্জত লুটার প্রকল্পই হাতে নিছে। এগুলাও আমার বলবার কথা না। আমি বলতে চাইছি অন্য কথা। আপনি সংষ্কৃতি চেতনার নামে বল্পাহারা ভোগের সুযোগ তৈরির যে আরবান আয়োজন করছেন তাতে খোদ সংষ্কৃতিটাই একটা ধর্ষকামির চরিত্র পাইতেছে। আর যখন এটাকে ধর্মমতের ভিত্তিতে মানুষজন অস্বীকার করছে তখন আপনি তাদের জঙ্গি বলছেন। মানুষ নীতি বলে খ্রিস্টান নীতি বা পশ্চিমা হিউম্যানিজব বুঝে না। আমাদের এখানে এটা ইসলামের নীতির দিকে তাকিয়েই ঠিক করা হয়। ফলে এখানে ধার্মিকতার সাথে নৈতিকতা যুক্ত হয়ে ফাংশন করে। অনৈতিক ধার্মিক সমাজে যে না্ তা না। কিন্তু সে আরও ঘৃণ্য। ( যারা বৈশাখী অনুষ্ঠানের বিরুধীতা করে এরা জঙ্গি-ইনু) তো এই জঙ্গিরা যে আশংকা করছিল তা তো আপনার সংষ্কৃতি চেতনা সত্য সত্য ঘটাই দেখাইল। সারা দেশে কম বেশি এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের কমবেশি উলঙ্গ করা হইছে। কিছু জানা গেছে কিছু জানা যায় নাই। তো সমাজের এই যে বিকারপ্রাপ্তি, এটাকে তো মানা যায় না, লোকে মানবে না। কারণ সমাজে সব ছাত্রলীগ বা প্রগতীচেতনার অংশ না। এর বাইরে সমাজের একটা এথিক্যাল বনডেজ বা নৈতিক বন্ধন আছে। ধর্মমতের ভিন্নতার বাইরেও একটা নৈতিক বন্ধন আছে। দেখবেন হিন্দু মেয়েরাও স্বাভাবিক পর্দা করে চলে জনসমাজে। এই বনডেজ টিকাই রাখছে সাধারণ জনমানুষ। অবশ্যই এটা ধর্মচেতনার অংশ হিসেবেও মানুষ চর্চা করে। এখন মূলধারা সংস্কৃতি পালন করতে গিয়ে মেয়েরা রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে যাবে সে এটা মানবে কেন? সে তো প্রতিরোধ করবে। এবং এই প্রতিরোধের ফর্মটা হবে রক্তাক্ত। উলঙ্গ চেতনার প্রতিরোধে এটা হবে জঙ্গিপনার বিপ্লব। এবং জনগন তাদের সাপোর্ট দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। মনে রাখবেন, রাজনীতি মানে নৈতিক এজেন্সি। নৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই রাজনীতিকে জনগনের সাথে মিশায় 'গণ' করে তুলে। যা হোক সে প্রতিরোধ করবে, করছেও। এখন তার প্রতিরুধ আরও শক্ত হবে। জনভিত্তি পাবে। আর তখন লড়াইটা একটা জেহাদি রুপ নিবেই। কারণ তার কথার কোন মেরিট আপনি স্বীকার করেন না। তারে স্বীকারের কোন জরুরত আপনি ফিল করেন না। বরং তখায় কথায় তারে পশ্চাদপদ, জঙ্গি ইত্যাদি বলেন। আর তাদের নিয়া একদল ক্লাউন বুদ্ধিজিবি ব্যাবসাও করে। সারা দিন ডুগডুগি নিয়ে ঝুটি মোরগের মতো নাচে আর ইসলামী বিপ্লবের নসিহত করে! এখন আপনার মূল ধারা সংষ্কৃতির ধর্ষকামিতার বিরুদ্ধে তার যে প্রতিরোধ এটা হবে নয়া গণযুদ্ধ। সংক্ষেপে কইলাম। শেষ করি পুরানা কথা বলে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক মুক্তি দূর কল্পনার বিষয় হয়ে রইলেও সংস্কৃতির প্রশ্নে রক্তাকক্তি শুরু হয়ে গেছে…এটা আরও ভয়াবহ রুপ নিবে আগামীতে।


__._,_.___

Posted by: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]





__,_._,___