Banner Advertise

Tuesday, September 3, 2013

RE: [chottala.com] আবার সুযোগ দিন ॥ অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চাই ॥ প্রধানমন্ত্রী



আবার সুযোগ দিন

Chorail ki kahani repeat again

 

 

Thanks and Best regards

 

Mohsin  A. Aziz

Ship Planner (Control Tower) 

International Ports Services Co. Ltd

IPS - Dammam Container & RO/RO Terminal

www.hph.com


From: chottala@yahoogroups.com [mailto:chottala@yahoogroups.com] On Behalf Of Gonojagoron Moncho
Sent: Wednesday, September 04, 2013 4:11
To: chottala@yahoogroups.com
Subject: [chottala.com]
আবার সুযোগ দিন ॥ অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চাই ॥ প্রধানমন্ত্রী

 

 

আবার সুযোগ দিন ॥ অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চাই ॥ প্রধানমন্ত্রী

০ উখিয়ায় বিশাল জনসভা
০ সাত বৌদ্ধবিহারসহ ৪০ প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন

মহসিন চৌধুরী/দীপন বিশ্বাস, উখিয়া থেকে ॥ কক্সবাজারের উখিয়ায় আওয়ামী লীগের বিশাল জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিগত নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছেন। এই সরকার তার মেয়াদে যত উন্নয়নমূলক কাজ করেছে অতীতের কোন সরকার তা করতে পারেনি। উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে তিনি আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ব। বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। 
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকেলে উখিয়া হাইস্কুল ময়দানে আয়োজিত এ সমাবেশে বলেন, 'রিক্ত আমি সিক্ত আমি দেয়ার কিছুই নাই, আছে শুধু ভালবাসা দিয়ে গেলাম তাই।' দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। হেফাজত, জামায়াত-শিবির, বিএনপি ইসলামের হেফাজতকারী নয়। জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ নির্মূল হয়েছে। এবার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে আবারও নৌকায় ভোট দিন।
এ অঞ্চলে স্মরণকালের বৃহত্তম এ জনসমাবেশে নারীদের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হেফাজতের এক হুজুর তেঁতুল তত্ত্ব দিলেন। মেয়েরা কাজ করতে পারবে না, পর্দার বাইরে যেতে পারবে না, চাকরি করতে পারবে না, ঘরে বসে থাকতে হবে। উনার তেঁতুল তত্ত্বের তেঁতুল বিরোধীদলীয় নেত্রী কিনা আমি জানি না? তেঁতুল দেখলে নাকি জিহ্বায় পানি আসে। তাঁকে দেখেও জিহ্বায় পানি আসতে পারে। উনি তো আবার সাজোগুজো করে থাকেন; ফিনফিনে কাপড় পরেন। তাই তেঁতুলের লোভ হতে পারে। কিন্তু আমার দেশের মেয়েরা সে রকম নয়। তারা ঘরে বসে থাকতে পারে না। শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে না কেন-জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রশ্ন করেন, কোরান পুড়িয়ে, মসজিদে আগুন দিয়ে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যায়? বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধার জন্য উন্নয়নকাজ করা হয়েছে। আর জামায়াত-শিবির, হেফাজত হুজুর, বিএনপি ক্যাডাররা মসজিদে আগুন দিয়েছে। পুড়িয়ে দিয়েছে জায়নামাজ। মসজিদে শুক্রবার ইমাম সাহেবকে নামাজ পড়তে বাঁধা দেয়া হলো। মোনাজাত করার সুযোগও দিল না। এসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা নয়, ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চায়। বিশৃঙ্খলা করে ধর্মে আঘাত দেয়া, এর চেয়ে লজ্জার কিছু থাকতে পারে না। তারা আবার ইসলামকে হেফাজতের কথা বলে। শত শত কোরআন পুড়িয়ে জায়নামাজ পুড়িয়ে ইসলামের হেফাজত করা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনা বা প্রস্তাবে না এসে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েও বিরোধীদলীয় নেত্রী হতাশ হয়েছেন। হেফাজতের হুজুরদের দিয়ে ৫ মে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াতে ইসলাম হেফাজতের নামে চালিয়েছে জঙ্গীদের দিয়ে তা-ব। মসজিদে হামলা ও কোরান পুড়িয়ে, হেফাজতীদের মতিঝিলে বসিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েও কাজ হয়নি। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশে পরিণত করতে তাঁর সরকার ভিশন-২০২১ নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব¡ দেয়া হচ্ছে। জানুয়ারির ১ তারিখে শিক্ষার্থীদের হাতে ৯৯ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত অভিভাবকদের বই কিনতে হয় না। ১ লাখ ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে দেয়া হচ্ছে বৃত্তি। চালু করা হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সমাপনী পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে বিনামূল্যে বই বিতরণের কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়। গঠন করা হয়েছে বিশেষ ফান্ড। এ ফান্ড থেকে ইতোমধ্যে মাধ্যমিক পর্যন্ত বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। শীঘ্রই দেয়া হবে উচ্চতর শিক্ষা বৃত্তি। প্রসঙ্গক্রমে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রীর নাম উল্লেখ না করে বলেন, বিএনপি শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে রাখতে চায়। আর তাঁর সরকার শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। ৮৯ ভাগ ছেলেমেয়ে পাস করেছে। ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধা না দিয়ে করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। ইসলামকে হেফাজত করার জন্য বঙ্গবন্ধু মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও ইসলামী ফাউন্ডেশন গঠন করে গেছেন। দুর্নীতি এবং পাকিস্তানপ্রীতিকে ইঙ্গিত করে তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রীর নাম উল্লেখ না করে বলেন, এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন, পাস করেছেন শুধু উর্দু আর অঙ্কে।
সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, পবিত্র কোরআন শরিফে যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালনের নির্দেশনা রয়েছে। তা সত্ত্বেও জামায়াত-বিএনপি-হেফাজতীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে গত বছরের ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধবিহারে আক্রমণ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিরোধ করে। সব ধর্মের সমঅধিকার নিয়ে সরকার কাজ করছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি বিহার এবং বাড়িঘর দ্রুত মেরামত করেছেন। এ জন্য তিনি সেনাবাহিনী এবং বিজিবি সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস উৎখাত করা হয়েছে। জঙ্গীবাদকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। আমদানি করলে ব্যবসা হয় কিন্তু মহাজোট সরকার চায় উৎপাদন বাড়াতে। রমজানে কোন পণ্যের সঙ্কট হয়নি। বিভিন্ন পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষের জীবনযাত্রা এখন অনেক উন্নত। আরও উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সরকার গঠনে আপনারা সহায়তা করেছেন। তাই উন্নয়নের ছোঁয়াও পেয়েছেন। এক সঙ্গে ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর কোন সরকার করতে পারেনি। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হয়েছে। টেক্সটাইল এবং সামুদ্রিক গবেষণার ট্রেনিং সেন্টার চালু হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা মস্য রফতানিকারক ও আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে কক্সবাজারে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আপনারা আমার নৌকা মার্কায় আবার ভোট দিন। জয়ী হলে ক্ষমতায় এসে জনগণের আরও সেবা দিতে পারব। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার ওয়াদা করেন। আপনাদের যেসব নির্মাণকাজ শেষ হয়নি, তা শেষ করতে পারব। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল, একটি করে কলেজ সরকারীকরণ এবং কমিউনিটি হেলথ কেয়ার চালু করতে পারব। সরকারের হাতে সময় কম। আপনাদের দাবি উখিয়ায় স্থাপিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজটি যেন জাতীয়করণ করা হয়। সম্ভব হলে এ সরকারের আমলেই করে দেব। না হলে নির্বাচিত হলে পরবর্তী আমলে করে দেব এ ওয়াদা দিচ্ছি। এ সময় তিনি বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান। বিগত সাড়ে ৪ বছরের উন্নয়ন ফিরিস্তি তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে ঘরে এখন মোবাইল ফোন সস্তায় তুলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি কলরেট ও ফোনসেট বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তাঁর দল এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, দেশে তৈরি হচ্ছে ল্যাপটপ। যেখানে বিদ্যুত নেই সেখানে সোলার সিস্টেম চালু করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হচ্ছে না, কক্সবাজারেই পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ সরকারের আমলে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মিয়ানমার সীমান্তে সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধু সীমান্তের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কিছুই করেনি। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। সমুদ্রের অফুরন্ত সম্পদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। আগামী ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে মামলাও শেষ হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হব। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে জনসভায় উপস্থিত হয়ে টানা ২৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্য রাখার সময়ও কয়েক পশলা বৃষ্টি নামে। তার পরও লাখো মানুষ বিশেষ করে হাজার হাজার নারী প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন। জনসভা ঘিরে টেকনাফ, উখিয়া, রামু, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। নৌকা প্রতীক নিয়ে মিছিল করে জনসভায় যোগদান করেন লাখো জনতা। নির্মাণ করা হয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাদের নামে তোরণ। 
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আদিল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, সংসদ সদস্যদের মধ্যে সাফিয়া খাতুন, হাসিনা মান্নান, নাজমুল হাসান পাপন, আবদুর রহমান বদি, এথিন রাখাইন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট একেএম আহমদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, অধ্যাপক হামিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া, নুরুল বশর চৌধুরী, মওলানা সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকি, ইউনুছ বাঙালী। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর এমপি প্রমুখ।
স্থানীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি জনসভায় দাবি জানিয়ে বলেন, আমার নমিনেশন দরকার নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতা আমার নামে সেøাগান দিলে আমি আছি। উখিয়ায় স্থাপিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজটি যেন জাতীয়করণ করা হয় ও টেকনাফের বেড়িবাঁধ যেন নির্মাণ করে দুর্দশা দূর করা হয়- এ দাবি আমি করছি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৪০টি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন। উখিয়ার ৭টি বৌদ্ধবিহারসহ ১৬টি সরকারী সেবা সংস্থার নতুন ভবন ও উন্নয়নকাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 
এ ছাড়া অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজারের খুরুশকুল-চৌফলদন্ডী সংযোগ সেতু, পেঁচারদ্বীপের সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, কক্সবাজারের পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, টেকনাফের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, টেকনাফ থানার সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার, চকরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, কক্সবাজার টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, চকরিয়ার চিরিংগা খাদ্য গুদাম ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের প্রশিক্ষণ একাডেমী, সরকারী আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, জেলা সার্ভার স্টেশন ও রামু ফায়ার সার্ভিস স্টেশনসহ জেলার ১৫ স্থানের ১২টি মাদ্রাসা ও ৪টি স্কুল



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] আবার সুযোগ দিন ॥ অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চাই ॥ প্রধানমন্ত্রী



আবার সুযোগ দিন ॥ অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করতে চাই ॥ প্রধানমন্ত্রী
০ উখিয়ায় বিশাল জনসভা
০ সাত বৌদ্ধবিহারসহ ৪০ প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন
মহসিন চৌধুরী/দীপন বিশ্বাস, উখিয়া থেকে ॥ কক্সবাজারের উখিয়ায় আওয়ামী লীগের বিশাল জনসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিগত নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছেন। এই সরকার তার মেয়াদে যত উন্নয়নমূলক কাজ করেছে অতীতের কোন সরকার তা করতে পারেনি। উন্নয়নের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে তিনি আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ব। বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ একটি দেশ। 
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বিকেলে উখিয়া হাইস্কুল ময়দানে আয়োজিত এ সমাবেশে বলেন, 'রিক্ত আমি সিক্ত আমি দেয়ার কিছুই নাই, আছে শুধু ভালবাসা দিয়ে গেলাম তাই।' দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। হেফাজত, জামায়াত-শিবির, বিএনপি ইসলামের হেফাজতকারী নয়। জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ নির্মূল হয়েছে। এবার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে আবারও নৌকায় ভোট দিন।
এ অঞ্চলে স্মরণকালের বৃহত্তম এ জনসমাবেশে নারীদের উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি। বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, হেফাজতের এক হুজুর তেঁতুল তত্ত্ব দিলেন। মেয়েরা কাজ করতে পারবে না, পর্দার বাইরে যেতে পারবে না, চাকরি করতে পারবে না, ঘরে বসে থাকতে হবে। উনার তেঁতুল তত্ত্বের তেঁতুল বিরোধীদলীয় নেত্রী কিনা আমি জানি না? তেঁতুল দেখলে নাকি জিহ্বায় পানি আসে। তাঁকে দেখেও জিহ্বায় পানি আসতে পারে। উনি তো আবার সাজোগুজো করে থাকেন; ফিনফিনে কাপড় পরেন। তাই তেঁতুলের লোভ হতে পারে। কিন্তু আমার দেশের মেয়েরা সে রকম নয়। তারা ঘরে বসে থাকতে পারে না। শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াবে না কেন-জানতে চান প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রশ্ন করেন, কোরান পুড়িয়ে, মসজিদে আগুন দিয়ে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা যায়? বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধার জন্য উন্নয়নকাজ করা হয়েছে। আর জামায়াত-শিবির, হেফাজত হুজুর, বিএনপি ক্যাডাররা মসজিদে আগুন দিয়েছে। পুড়িয়ে দিয়েছে জায়নামাজ। মসজিদে শুক্রবার ইমাম সাহেবকে নামাজ পড়তে বাঁধা দেয়া হলো। মোনাজাত করার সুযোগও দিল না। এসব বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা নয়, ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চায়। বিশৃঙ্খলা করে ধর্মে আঘাত দেয়া, এর চেয়ে লজ্জার কিছু থাকতে পারে না। তারা আবার ইসলামকে হেফাজতের কথা বলে। শত শত কোরআন পুড়িয়ে জায়নামাজ পুড়িয়ে ইসলামের হেফাজত করা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনা বা প্রস্তাবে না এসে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েও বিরোধীদলীয় নেত্রী হতাশ হয়েছেন। হেফাজতের হুজুরদের দিয়ে ৫ মে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াতে ইসলাম হেফাজতের নামে চালিয়েছে জঙ্গীদের দিয়ে তা-ব। মসজিদে হামলা ও কোরান পুড়িয়ে, হেফাজতীদের মতিঝিলে বসিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েও কাজ হয়নি। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ দেশে পরিণত করতে তাঁর সরকার ভিশন-২০২১ নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব¡ দেয়া হচ্ছে। জানুয়ারির ১ তারিখে শিক্ষার্থীদের হাতে ৯৯ কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে। মাধ্যমিক পর্যন্ত অভিভাবকদের বই কিনতে হয় না। ১ লাখ ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে দেয়া হচ্ছে বৃত্তি। চালু করা হয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সমাপনী পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে বিনামূল্যে বই বিতরণের কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়। গঠন করা হয়েছে বিশেষ ফান্ড। এ ফান্ড থেকে ইতোমধ্যে মাধ্যমিক পর্যন্ত বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। শীঘ্রই দেয়া হবে উচ্চতর শিক্ষা বৃত্তি। প্রসঙ্গক্রমে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রীর নাম উল্লেখ না করে বলেন, বিএনপি শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে রাখতে চায়। আর তাঁর সরকার শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। ৮৯ ভাগ ছেলেমেয়ে পাস করেছে। ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধা না দিয়ে করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। ইসলামকে হেফাজত করার জন্য বঙ্গবন্ধু মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও ইসলামী ফাউন্ডেশন গঠন করে গেছেন। দুর্নীতি এবং পাকিস্তানপ্রীতিকে ইঙ্গিত করে তিনি বিরোধীদলীয় নেত্রীর নাম উল্লেখ না করে বলেন, এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন, পাস করেছেন শুধু উর্দু আর অঙ্কে।
সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, পবিত্র কোরআন শরিফে যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালনের নির্দেশনা রয়েছে। তা সত্ত্বেও জামায়াত-বিএনপি-হেফাজতীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে গত বছরের ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধবিহারে আক্রমণ করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিরোধ করে। সব ধর্মের সমঅধিকার নিয়ে সরকার কাজ করছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত ১৯টি বিহার এবং বাড়িঘর দ্রুত মেরামত করেছেন। এ জন্য তিনি সেনাবাহিনী এবং বিজিবি সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস উৎখাত করা হয়েছে। জঙ্গীবাদকে কোনভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। আমদানি করলে ব্যবসা হয় কিন্তু মহাজোট সরকার চায় উৎপাদন বাড়াতে। রমজানে কোন পণ্যের সঙ্কট হয়নি। বিভিন্ন পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। দেশের মানুষের জীবনযাত্রা এখন অনেক উন্নত। আরও উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সরকার গঠনে আপনারা সহায়তা করেছেন। তাই উন্নয়নের ছোঁয়াও পেয়েছেন। এক সঙ্গে ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর কোন সরকার করতে পারেনি। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হয়েছে। টেক্সটাইল এবং সামুদ্রিক গবেষণার ট্রেনিং সেন্টার চালু হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা মৎস্য রফতানিকারক ও আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে কক্সবাজারে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আপনারা আমার নৌকা মার্কায় আবার ভোট দিন। জয়ী হলে ক্ষমতায় এসে জনগণের আরও সেবা দিতে পারব। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার ওয়াদা করেন। আপনাদের যেসব নির্মাণকাজ শেষ হয়নি, তা শেষ করতে পারব। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল, একটি করে কলেজ সরকারীকরণ এবং কমিউনিটি হেলথ কেয়ার চালু করতে পারব। সরকারের হাতে সময় কম। আপনাদের দাবি উখিয়ায় স্থাপিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজটি যেন জাতীয়করণ করা হয়। সম্ভব হলে এ সরকারের আমলেই করে দেব। না হলে নির্বাচিত হলে পরবর্তী আমলে করে দেব এ ওয়াদা দিচ্ছি। এ সময় তিনি বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানান। বিগত সাড়ে ৪ বছরের উন্নয়ন ফিরিস্তি তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে ঘরে এখন মোবাইল ফোন সস্তায় তুলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি কলরেট ও ফোনসেট বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তাঁর দল এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, দেশে তৈরি হচ্ছে ল্যাপটপ। যেখানে বিদ্যুত নেই সেখানে সোলার সিস্টেম চালু করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হচ্ছে না, কক্সবাজারেই পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ সরকারের আমলে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মিয়ানমার সীমান্তে সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধু সীমান্তের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন আমরা অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে কিছুই করেনি। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। সমুদ্রের অফুরন্ত সম্পদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। আগামী ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে মামলাও শেষ হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হব। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে জনসভায় উপস্থিত হয়ে টানা ২৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। তাঁর বক্তব্য রাখার সময়ও কয়েক পশলা বৃষ্টি নামে। তার পরও লাখো মানুষ বিশেষ করে হাজার হাজার নারী প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনেন। জনসভা ঘিরে টেকনাফ, উখিয়া, রামু, চকরিয়া ও কক্সবাজার সদরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। নৌকা প্রতীক নিয়ে মিছিল করে জনসভায় যোগদান করেন লাখো জনতা। নির্মাণ করা হয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাদের নামে তোরণ। 
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আদিল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, সংসদ সদস্যদের মধ্যে সাফিয়া খাতুন, হাসিনা মান্নান, নাজমুল হাসান পাপন, আবদুর রহমান বদি, এথিন রাখাইন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট একেএম আহমদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, অধ্যাপক হামিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া, নুরুল বশর চৌধুরী, মওলানা সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকি, ইউনুছ বাঙালী। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর এমপি প্রমুখ।
স্থানীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি জনসভায় দাবি জানিয়ে বলেন, আমার নমিনেশন দরকার নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার সময় উপস্থিত জনতা আমার নামে সেøাগান দিলে আমি আছি। উখিয়ায় স্থাপিত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজটি যেন জাতীয়করণ করা হয় ও টেকনাফের বেড়িবাঁধ যেন নির্মাণ করে দুর্দশা দূর করা হয়- এ দাবি আমি করছি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৪০টি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন। উখিয়ার ৭টি বৌদ্ধবিহারসহ ১৬টি সরকারী সেবা সংস্থার নতুন ভবন ও উন্নয়নকাজেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 
এ ছাড়া অন্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, কক্সবাজারের খুরুশকুল-চৌফলদন্ডী সংযোগ সেতু, পেঁচারদ্বীপের সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, কক্সবাজারের পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, টেকনাফের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, টেকনাফ থানার সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার, চকরিয়ার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, কক্সবাজার টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, চকরিয়ার চিরিংগা খাদ্য গুদাম ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের প্রশিক্ষণ একাডেমী, সরকারী আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ, জেলা সার্ভার স্টেশন ও রামু ফায়ার সার্ভিস স্টেশনসহ জেলার ১৫ স্থানের ১২টি মাদ্রাসা ও ৪টি স্কুল


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] Reminder: 8-nation Ambassadors’ Cup Cricket Tournament _07 September 2013



Dear Community Members:
It is with great pleasure, the Ambassador of Bangladesh to the USA, H.E. Mr. Akramul Qader invites you to join us at the 8-nation Ambassadors' Cup Cricket Tournament to be held at South Germantown Recreational Park, 14501 Schaeffer Rd, Boyds, Montgomery, Maryland 20841 on Saturday, 07 September, 2013 from 8:30 AM to 5:30 PM.
A flyer of the event is enclosed.
The fixture of the tournament is as follows:
Time
Match Title
Teams
9:00 AM
Quarter-final  1
Bangladesh vs New Zealand
10:05 AM
Quarter-final 2
West Indies vs Sri Lanka
11:10 AM
Quarter-final 3
South Africa vs India
12:15 PM
Quarter-final 4
Australia vs England
1:30 PM
Semi-final 1
 
2:40 PM
Semi-final 2
 
4:00 PM
Final
 
 
This is the first time the Embassies of eight test playing countries namely Australia, Bangladesh, India, New Zealand, South Africa, Sri Lanka, Trinidad & Tobago and the United Kingdom have come together to organize this tournament in the USA. We have plans to keep up the spirit in coming years making it a regular annual event as well as expanding its horizons among the other test and non-test playing Cricket-nations based in the USA. The Ambassador of each participating nation will represent his/her team as the ceremonial captain.
The objectives of this tournament are as follows:
 
·         Promoting Cricket as a popular sport in the USA
·         Promoting Cricket among the young generation of expatriate communities of Cricket-playing nations
·         Promoting people to people level contacts among the Diaspora-groups of Cricket-loving nations in the USA
 
This year, the Embassy of the New Zealand has come forward to take up the responsibility of organizing the tournament. While we appreciate New Zealand's leadership role this time, we hope to become the organizing country of the next year's tournament.
 
As one of the most popular sports in the world, Cricket, no doubt, has the power to bring together people from every continent—from Australia and South Asia to the Caribbean, and from Europe to Africa.  Indeed, Cricket upholds the spirit of unity in diversity. We are, therefore, delighted to be part of this initiative, particularly because, Cricket holds an important place in our national life. Needless to mention, Cricket is by far the most popular sport in today's Bangladesh in terms of its appeal across all ages and classes of people. Being such an important part of our national identity, Cricket can potentially play an important role in promoting Bangladesh's image abroad. As such, we urge upon you to support us in our endeavors to promote Cricket in the USA.
While we are preparing ourselves for the tournament, we wish to make a huge show on the ground in terms of our visibility as a vibrant nation. Let us take this opportunity to show up our strength through a colorful display of our presence on the day of the tournament. We would encourage everybody to put on colorful dresses (red/green saree, panjabee, Bangladesh Cricket jersey, as well as holding banners/flags) to inspire our Cricketers.
We are in the process of forming a team comprising of the regular and prominent players of our community in greater Washington area. If you have any queries as to how you could be a part of this initiative, please feel free to contact us.
 
Best Regards
 
Nirupam Dev Nath
First Secretary ( Political & Cultural)
Embassy of Bangladesh   
3510 International Drive, NW
Washington DC 20008, USA
Phone: ( 202) 244-3658


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

[chottala.com] হেফাজতের ঘাঁটিতে শেখ হাসিনার সভায় হাজার হাজার নারী : ঘরে শৃঙ্খলিত রাখার হুঙ্কারের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ- আরাকান সড়ক ধরে নারীর যেন বাঁধভাঙ্গা স্রোত



হেফাজতের ঘাঁটিতে শেখ হাসিনার সভায় হাজার হাজার নারী
ঘরে শৃঙ্খলিত রাখার হুঙ্কারের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ- আরাকান
সড়ক ধরে নারীর যেন বাঁধভাঙ্গা স্রোত
মহসিন চৌধুরী/ দীপন বিশ্বাস, উখিয়া থেকে ॥ মিয়ানমার সীমান্তের লাগোয়া উখিয়া এলাকায় মাদ্রাসা শিক্ষা এবং ধর্মীয় অনুশাসনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। নারীরা ঘরের বাইরে আসে কম। ভোট প্রদানেও বেশি আগ্রহ দেখা যায় না। এমন একটি এলাকায় শেখ হাসিনার জনসভায় হাজার হাজার নারীর উপস্থিতি সবাইকে অবাক করেছে। যেন নারীকে গৃহে শৃঙ্খলিত করার হেফাজতীদের হুঙ্কারের প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি। সকাল দশটার পর হতেই মিছিলে মিছিলে নারীদের জনসভায় আগমনের পর্ব শুরু হয়ে যায়। বেলা বাড়তে বাড়তে জনসভার মাঠটি নারীদের দিয়েই পরিপূর্ণ হয়ে যায়। নারীরা এসেছেন দলবদ্ধভাবে। কন্ঠে ছিল প্রতিবাদী মিছিল। হেফাজতীদের শৃঙ্খল মানি না। নারীদের অধিকারে নারীরা সচেতন। হেফাজতীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও। জনসভায় উপস্থিত হাজার হাজার নারী ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সচেতন। বোরকা পরে জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন বিভিন্ন বয়সের নারী। বয়োবৃদ্ধরাও উপস্থিত হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। যেন তারাও হেফাজতীদের কর্মকান্ড প্রতিরোধে এককাটা। 
উখিয়ার জনসভায় নারীদের আগমনে গত কয়েকদিন থেকে গণসংযোগ করেছেন উখিয়া ও টেকনাফের আওয়ামী মহিলালীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। নেপথ্যে ছিলেন এখানকার সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও উখিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী। তারা নারীদের জনসভায় আনতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কারণ মতিঝিলের ঘটনার পর হেফজতীরা এ এলাকায় আওয়ামী লীগের দুর্গে নারী ভোটারদের প্রভাবিত করার বিভিন্ন অপচেষ্টা করেছে। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে শোডাউনের সুযোগ। মঙ্গলবার জনসভায় এর ফলও পেয়েছেন। বৃহত্তর চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের বিশেষ করে শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে জনসভায় নারীদের এ ধরনের উপস্থিতি স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি। টেকনাফ, উখিয়া, রামু, চকরিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের স্বতঃফূর্ত আগমন। মাঠের কানায় কানায় ভরে থাকা নারীদের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াও টলাতে পারেনি। কখনও কখনও হাল্কা আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার বক্তব্য শোনার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সেই সকাল থেকে। 
কক্সবাজার এলাকায় বিভিন্ন মানের সহস্রাধিক মাদ্রাসা রয়েছে। এখানকার লোকজন ধর্মীয় অনুশাসনে বিশ্বাসী। এ সুযোগে এক শ্রেণীর ধর্মান্ধরা সাধারণ এবং নারীদেরকে অনগ্রসর করে রাখে। হেফাজতীদের তৎপরতাও সীমান্তের কয়েকটি উপজেলায় উল্লেখযোগ্য। হেফজতীদের সাংগঠনিক ভিত শক্ত। মাঠে ঘাটে হেফাজতীরা তৎপর থাকায় নারীরা প্রতিবাদের সুযোগ পায়নি। মঙ্গলবার এখানকার নারীরা যেন সেই সুযোগটি নিয়েছেন। বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মত নারীরা এসেছেন আরকান সড়ক ধরে। নারীদের মিছিলের কারণে আরকান সড়কে সকাল থেকেই যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে জনসভাস্থলে আসতে মাইলের পর মাইল হাঁটতে হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সভাস্থল থেকে কক্সবাজারের দিকে দুই কিলোমিটার ও টেকনাফের দিকে আড়াই কিলোমিটার আগে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আর এই পথ জুড়ে নারীদের প্রতিবাদী মিছিলে মুখরিত মহাসড়কে আনন্দের বন্যা বইছিল।
দুর্গম জনপদে নারীদের এমন উপস্থিতি হেফাজতীদের এবার ঠিকই ভাবিয়ে তুলবে। ১৩ দফার নামে নারী অধিকার ক্ষুণœ করে শৃঙ্খলিত করার হেফাজতী মনোভাবে নারী সমাজ জেগে ওঠার এ নজির দেশের অন্যান্য স্থানে প্রভাব ফেলবে। হেফাজতীদের দুর্গে নারীদের এ উপস্থিতি সরকারী দলকেও উজ্জীবিত করবে। সামনের দিনগুলোতে নারীদের এই সচেতনতা সরকারী দল কাজে লাগাতে পারলে শুধু উখিয়া-টেকনাফ আসন নয়, কক্সবাজারের বাকি আসনগুলোতেও সন্তোষজনক ফল আসতে পারে।
বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ২০ ভাদ্র ১৪২০





__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___

Re: [chottala.com] ইসরায়েল-সৌদি মৈত্রী!



Here is few other thing..an conversation between my mothers fathers father LAL MOHAN MOHASTOBIR and his Burmese wife..as I understand his Burmese wife's wished to send some money to her parents in Burma..she some how came to know of Gunalankar receiving this $500,000. 00 Dollar..whom LAL MOHAN MOHASTOBIR worked with or under in the Monk hierarchy  as I understand he, I mean Gunalankar spend most of it..by then when LAL MOHAN MOHASTOBIRS wife asked him to give her some money so that she can send her parents....it may not have been in nice tone how he replied his wife..it was more in the nature  of an angry voice.."I CANNOT GIVE IT TO YOU NOW" , Monk used to be under stress over many reason..and their was issues between Monk and his wife..

Now many that got that heard this term repeated..made many interpretation of that..one hint is GAY RELATED..only thing is this seems to have gotten to many as high as ex SAUDI KING FAISAL if not his successor...and it seems the point is yes..SAUDIS have done many thing wrong..and after many careful evaluation of the situation such as impact of Saudi Oil Boycott and etc..SAUDIS have pledged never to use OIL in that nature..this dispute between SAUDI ROYALS and some segment of other member of Saudi Royals has been such an issue  is what gave impetus  to some of the role of OSAMA BIN LANDEN..if not he was an very close insider within the Saudi Royals..OSAMA severely disagreed with Saudis of their role in Bangladesh war Carnage and etc among which is killing of Non moslems and etc..

I am sure SAUDIS went in many SOUL SEARCHING  and they came to know..of the conversation between LAL MOHAN MOHASTOBIR and his BURMESE wife..and the true and actual interpretation was..YES I WILL GIVE IT TO YOU SOME DAY IN THE FUTURE..hint is their will be a day he and few others hoped..will be an end to many of their closely held allies suffering..well that is the message SAUDI ROYALs convinced them of too..some day in future..some thing Buddha and few of his close friends came to agree on after deliberation between them selves..


From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: chottala@yahoogroups.com
Sent: Tuesday, September 3, 2013 1:30 AM
Subject: [chottala.com] ইসরায়েল-সৌদি মৈত্রী!

 

ইসরায়েল-সৌদি মৈত্রী!

অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ১০:১৩, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৩
      
মধ্যপ্রাচ্যের দুই রাষ্ট্র ইসরায়েল ও সৌদি আরব পরস্পরের প্রতি খুব বেশি বন্ধুভাবাপন্ন ছিল না। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, অভিন্ন স্বার্থ প্রবল শত্রুকেও জান-ই-দোস্তে পরিণত করে। ইতিহাসের এক অনিবার্য পরিণতিতে তাই ইসরায়েল ও সৌদি আরব এখন মৈত্রী গড়ার দ্বারপ্রান্তে।
ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল ও মুসলিম রাষ্ট্র সৌদি আরবের এই এক কাতারে এসে দাঁড়ানোর পেছনে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখছে সিরিয়ার রাজনৈতিক গোলযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরিয়ায় হামলা নিয়ে অনেক উচ্চবাচ্য করলেও আফগানিস্তান-ইরাকের অভিজ্ঞতা যুদ্ধপ্রিয় মার্কিন জেনারেলদের চকিত সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রেখেছে। সিরিয়ায় হামলা চালালে তা মার্কিন স্বার্থের পক্ষে যাবে কি না, এ নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে পার্লামেন্টের শরণাপন্ন হয়েছেন ওবামা। তাঁর এ সিদ্ধান্ত যে যথেষ্ট বিবেচনাপূর্ণ ও প্রেসিডেন্ট-সুলভ, তা নিয়ে তর্ক নেই কোনো মহলের। তবে যদি তিনি কংগ্রেসের সম্মতি না পান এবং ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আঘাতে সিরিয়াকে তুলাধুনা করতে না পারেন, তবে আর কেউ না হোক ইসরায়েল ও সৌদি আরব যারপরনাই নাখোশ হবে। এ নিয়েও পণ্ডিতমহলে কোনো বিতর্ক নেই।
এ রাষ্ট্র দুটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত ও ঘনিষ্ঠ মিত্র। এদের মতামতের এক ধরনের গুরুত্ব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অবশ্যই আছে। গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্র যখনই কোনো রাষ্ট্রের ওপরে হামলে পড়েছে, তখনি আর কেউ না হোক এ রাষ্ট্র দুটি বগল বাজিয়েছে। এর পেছনে ইসরায়েলের অস্ত্র বাণিজ্যের প্রসার আর সৌদি বাদশাহদের তখত জারি রাখার অভিপ্রায় শরতের আকাশের মতোই পরিষ্কার। কিন্তু এবার তাদের উদ্দেশ্য একই বিন্দুতে এসে লুটোপুটি খেতে চলেছে। সিরিয়ায় মার্কিন হামলা দেখে বিষম মজা পেতে দেশ দুটির সরকারেরা যেন তালি বাজাতে দুই হাত তুলে রেখেছে।
ইসরায়েল ও সৌদি আরব উভয়ই হোয়াইট হাউসের যুদ্ধংদেহী ভাব দেখে সিটি মারছে, তবে এক চোখ রেখেছে সিরিয়ার দিকে, আরেক চোখ চিরশত্রু ইরানের দিকে। তারা যেন আধুনিক যুগের গ্রিক দেবতা মার্শকে ডেকে বলছে, সিরিয়ায় কিছু বল্লম ছুড়ুন, কিছু ছুটে যাক ইরানের দিকে!
রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়াকে আক্রমণ করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আপাতত পিছিয়ে যাওয়ায় ইসরায়েল যে প্রতিক্রিয়া দেখাল, তাতে উদ্দেশ্য অনেক খোলাসা হয়ে গেছে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলছেন, ওবামা যে সমীহের দৃষ্টিতে দামেস্কের দিকে তাকালেন, তাতে তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির তাকত বহুগুণ বেড়ে যাবে। কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন যদি দ্বিধান্বিত হয়, তবে তেল আবিব একাই তেহরানে হামলা চালাবে।
তবে ইসরায়েল বা সৌদি আরব কেউই খোলাখুলিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাদের রোষ প্রকাশ করছে না। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু গত রোববার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তাঁর রাষ্ট্র 'অবিচল ও আত্মনির্ভর'। সৌদি আরব রাগ পুষে পুরোনো কীর্তন গেয়েছে, সিরিয়ায় আসাদের 'বর্বরতা' ঠেকাতে 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে' উদ্যোগ নিতে হবে।
রয়টার্স বলছে, সৌদি আরব ইসরায়েলের মতো ইরান আক্রমণের জন্য সামরিক দিক দিয়ে প্রস্তুত নয়, তবে এখনো তার চিরশত্রুকে বিলুপ্ত করে দিতে ওয়াশিংটনের ওপরে ভরসা রাখতে চায়। সৌদি আরবের ভয়, ইরানের এসব বাড়াবাড়ি যদি চলতেই থাকে, তবে অচিরেই আরব দুনিয়ায় সৌদিদের মাতব্বরি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আগাছা ছোট থাকতেই সেটিকে ছেটে দেওয়া ভালো।
গত বছর ওবামা ওয়াদা করেছিলেন, তিনি সব সময় ইসরায়েলিদের সঙ্গে থাকবেন। এখন নেতানিয়াহুই মার্কিনিদের আশ্বস্ত করছেন, তিনি তাদের সাহায্য ছাড়াই ইরানকে মিসমার করে দিতে সক্ষম।
'ইসরায়েল মুর্দাবাদ' ধুয়ো দেওয়া ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর অভিযোগ ইসরায়েল যেমন করছে, সৌদি আরবও তার সঙ্গে তাল দিতে ভুলছে না। ফলে ইরান যতই অভিযোগ ঝেড়ে ফেলতে চাক, ইসরায়েলি-সৌদি প্রশাসনের তাতে কোনো ক্ষান্তি নেই।
ঝানু প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলছেন, 'ইসরায়েলের জনতা ভালো করেই জানে, যেকোনো সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত।...আর ইসরায়েলের জনতার আরও জেনে রাখা উচিত যে, আমাদের শত্রুরা আমাদের ক্ষমতা ও শক্তির স্বাদ পরখ করতে চায় না।'
ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বন্দ্ব ঐতিহাসিক। আরব-পারস্যের হাজার বছরের সংঘাত কেবল ভৌগোলিক বা অর্থনৈতিক নয়, তা অবশ্যই সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে। শিয়া ইরানকে শায়েস্তা করার সুন্নি সৌদি আরবের ইচ্ছা বহু পুরোনো। এ নিয়ে সৌদি রাজাদের খুব বেশি কথা বলতে দেখা যায় না, তবে নীরবে কাজ করার উদাহরণ কম নয়।
আল-আসাদ শিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেন, তাই সুন্নি সৌদি আরব তার প্রতিবেশী বাহরাইন, ইয়েমেন ও ইরাককে সঙ্গে নিয়ে জোট পাকাতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হয়ে যাওয়া নথিপত্র থেকে জানা গেছে, সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রকে বারবার অনুরোধ করেছে। একটি নথিতে সৌদি কূটনীতিক বাদশাহর দোহাই দিয়ে ওয়াশিংটনকে অনুরোধ করেছেন, 'সাপের মাথা কেটে ফেলতে।' তিনি কার্যত ইরানের পারমাণবিক শক্তি অর্জনকে ইঙ্গিত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিধান্বিত পদক্ষেপের জবাবে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত রোববার কায়রোতে আরব লিগের বৈঠকে বলেছেন, 'শুধু কথা বাড়ালেই কাজ হবে না।' তিনি তাঁর ক্ষোভ ঢেকে রাখতে পারেননি।
ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মানসিক সন্ধির আরও এক কারণ হলো আল-কায়েদা। এ উগ্রপন্থী দলটি ইহুদি রাষ্ট্রকে যেমন দুনিয়া থেকে মুছে ফেলতে চায়, তেমনি সৌদি রাজতন্ত্রকেও উত্খাত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই আল-কায়েদাকে খুব বেশি বাড়তে দিতে চায় না দুই রাষ্ট্রই।
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে আল-কায়েদার অনুসারী আল-নুসরা। এ জোটটি এখনো শক্তিশালী নয়। যদি আসাদবিরোধী লড়াই দীর্ঘায়িত হয়, তবে অন্যান্য শক্তির চেয়ে নুসরা বেশি শক্তিশালী হয়ে যেতে পারে এবং কোনো এক সময় সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করতে পারে। তাই ইসরায়েল ও সৌদি আরব চাইছে, যুক্তরাষ্ট্র বিলম্ব না করে আসাদকে উত্খাত করুক এবং এমন এক সরকারকে সেখানে বসাক যে আল নুসরার ঘাড় মটকাতে পারবে।
মিসরের সাম্প্রতিক ঘটনাও দেশ দুটির জন্য ভয়ের। মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মুরসি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শিয়া তেহরানের সঙ্গে সুন্নি কায়রোর সখ্য দেখা গেছে। এতে ইসরায়েল যেমন ভয় পেয়েছে, সৌদি আরবও সুন্নি ভাইদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি। তাই ইসলামপন্থী সরকারকে কেউই দেখতে চাইছে না।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কারণেই হয়তো ইসরায়েল ও সৌদি আরব এখনই প্রকাশ্যে সন্ধি করতে পারবে না। তবে পরস্পরের প্রচ্ছন্ন মৈত্রী ক্রমে প্রকটিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ধূম্রজাল থেকে। হয়তো এক সময় জগত্ দেখবে, মধ্যপ্রাচ্যের পরম বন্ধু দুই রাষ্ট্র ইসরায়েল ও সৌদি আরব।

Also read:
মিসরীয় সেনাবাহিনীকে সউদী বাদশাহর সমর্থন
Inline image 1
  1. মিসরীয় সেনাবাহিনীকে সউদী বাদশাহর সমর্থন | bdtodaynews.com

    www.bdtodaynews.com/মিসরীয়-সেনাবাহিনীকে-সউদ/
    সুত্র: কায়রোয় বুধবারের গণহত্যার পক্ষে সাফাই গেয়ে মিসরীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিয়েছেন সউদী বাদশাহ আবদুল্লাহ। কায়রোয় মিসরীয় সেনাবাহিনীর ওই নির্মম অভিযানে সরকারীভাবে সাড়ে ছয় শ' মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা স্বীকারের পর সারা বিশ্ব যখন নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে, তখন ব্রাদারহুডকে প্রতিহত করতে আরব দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ...

Saudi Arabia: Dancing to Israel's tune

Apr-14-2012 16:05
Kourosh Ziabari Salem-News.com






__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___