খালেদা জিয়ার সিঙ্গাপুর সফরের নেপথ্যে
11 Oct, 2013
সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ১৪ দিন আগে কোনো রকমের আগাম বার্তা ছাড়াই বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার হঠাৎ সিঙ্গাপুর সফর নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি করেছে। অধিক গোপনীয়তা রক্ষা তার এ সফরটিকে রহস্যময় করে তোলার পাশাপাশি অনেক প্রশ্নেরও জন্ম
দিয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকেও সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবছে রাজনৈতিক সচেতন মহল। তবে আগেভাগে জানাতে না পারলেও তার সফরসঙ্গী প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল শেষ
মুহূর্তে চিকিৎসার কথাই বলে গেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার পায়ের চিকিৎসার বিষয়টির কথাই জানা গেছে পারিবারিক ও দলীয় সূত্রে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল বলছে অন্যকথা। তাদের কারও মতে, গত পাঁচ বছর সরকারবিরোধী আন্দোলনে তেমন একটা গুরুত্ব না দিলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে শেষ তৎপরতার অংশ হিসেবেই বেগম খালেদা জিয়ার এ সফর। সিঙ্গাপুরে অন্যবার মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও এবার তিনি সেখানকার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে গেছেন। সেখানে অবস্থানকালে ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশের কূটনীতিকরাও বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অসমর্থিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, সেখানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে তাদের। দেশ দুটির পক্ষ থেকে আগে থেকেই সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধানের মধ্য দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশা প্রকাশ করা হয়েছিল বার বার। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তা একেবারেই গ্রাহ্য না করায় কূটনৈতিক মহল থেকে ২৫ অক্টোবর-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়। বিশেষ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। ফলে দেশ দুটির সমন্বয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের একটি বৃহৎ অংশই এখন বাংলাদেশের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে বিকল্প উপায় খুঁজছে বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে বৃহৎ একটি দেশের উদ্যোগে তাদের বেশ কজন প্রতিনিধি বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলোচনার জন্য দেখা করতে পারেন বলেও জানা যায়। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের এ সফরে সিঙ্গাপুর অবস্থানকালে জাতিসংঘেরও দুজন প্রতিনিধি সিঙ্গাপুরে আসতে পারেন। তবে তারা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ কিংবা কোনো ধরনের বৈঠক করবেন বলে জানা যায়নি
কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম একটি শরিক দলসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের সবচেয়ে শক্তিশালী শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর বেশ কজন গুরুত্বপূর্ণ নেতারও বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে জামায়াত নেতাদের সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মকৌশল ও করণীয় সম্পর্কে সরাসরি দিকনির্দেশনা দিতে পারেন তিনি। এ ব্যাপারে জামায়াতের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের দলীয় নেতাদের সাক্ষাতের এ বিষয়টিকে একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে সম্ভাবনা রয়েছে বলেই ইঙ্গিত করেন। তবে ২৫ অক্টোবরের পর ঢাকাসহ সারা দেশে জামায়াত মরণকামড় দেওয়ার জন্য সর্বাত্দক প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানান ওই দুই নেতা, যারা বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন একেবারে সিঙ্গাপুরের পাশের একটি দেশে। জামায়াত নেতারা আরও জানান, ২৫ অক্টোবর-পরবর্তী সরকারবিরোধী দুর্বার আন্দোলনের সামনে থাকবে জামায়াত। এবার পেছনে থাকতে হবে বিএনপিকে। কারণ সরকার পতন আন্দোলনের আশানুরূপ প্রস্তুতি এখনো নিতে পারেনি বিএনপি। তৃণমূলে কিংবা ঢাকার বাইরে বিএনপি সর্বাত্দক প্রস্তুতি গ্রহণ চললেও ঢাকায় আন্দোলন নিয়ে বিএনপি নেতাদের প্রস্তুতি দূরের কথা, তেমন কোনো গরজই দেখা যাচ্ছে না। আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জোট নেত্রীকে অবহিতকরত তার কাছে দেশব্যাপী সর্বাত্দক আন্দোলন শুরুর 'সবুজ-সংকেত' চাইতে পারেন তারা। প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ করেই বুধবার রাতে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন। তার এবারের সিঙ্গাপুর সফর এতটাই আকস্মিক যে কোনো সংবাদকর্মী, সংবাদমাধ্যম বা রাজনৈতিক মহল এ সফর সম্পর্কে এক দিন আগেও কিছুই জানত না। খুবই সতর্কতার সঙ্গে এ সফরের খবর গোপন রাখা হয়। ফলে তার এ আকস্মিক সিঙ্গাপুর যাত্রা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উদ্রেক করে। এর আগে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি দুই দফায় চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। জুনে সিঙ্গাপুর অবস্থানকালে তিনি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দুজনই সেখানকার মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সে সময় দুজনের মধ্যে সাক্ষাৎ বা টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছিল বলে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।
সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র ১৪ দিন আগে কোনো রকমের আগাম বার্তা ছাড়াই বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার হঠাৎ সিঙ্গাপুর সফর নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি করেছে। অধিক গোপনীয়তা রক্ষা তার এ সফরটিকে রহস্যময় করে তোলার পাশাপাশি অনেক প্রশ্নেরও জন্ম
দিয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকেও সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবছে রাজনৈতিক সচেতন মহল। তবে আগেভাগে জানাতে না পারলেও তার সফরসঙ্গী প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল শেষ
মুহূর্তে চিকিৎসার কথাই বলে গেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়ার পায়ের চিকিৎসার বিষয়টির কথাই জানা গেছে পারিবারিক ও দলীয় সূত্রে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল বলছে অন্যকথা। তাদের কারও মতে, গত পাঁচ বছর সরকারবিরোধী আন্দোলনে তেমন একটা গুরুত্ব না দিলেও চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে শেষ তৎপরতার অংশ হিসেবেই বেগম খালেদা জিয়ার এ সফর। সিঙ্গাপুরে অন্যবার মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও এবার তিনি সেখানকার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে গেছেন। সেখানে অবস্থানকালে ছোটো ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশের কূটনীতিকরাও বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। অসমর্থিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, সেখানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে তাদের। দেশ দুটির পক্ষ থেকে আগে থেকেই সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধানের মধ্য দিয়ে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আশা প্রকাশ করা হয়েছিল বার বার। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তা একেবারেই গ্রাহ্য না করায় কূটনৈতিক মহল থেকে ২৫ অক্টোবর-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করা হয়। বিশেষ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা। ফলে দেশ দুটির সমন্বয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের একটি বৃহৎ অংশই এখন বাংলাদেশের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে বিকল্প উপায় খুঁজছে বলে জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে বৃহৎ একটি দেশের উদ্যোগে তাদের বেশ কজন প্রতিনিধি বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলোচনার জন্য দেখা করতে পারেন বলেও জানা যায়। এ ছাড়াও সপ্তাহখানেকের এ সফরে সিঙ্গাপুর অবস্থানকালে জাতিসংঘেরও দুজন প্রতিনিধি সিঙ্গাপুরে আসতে পারেন। তবে তারা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ কিংবা কোনো ধরনের বৈঠক করবেন বলে জানা যায়নি
কিন্তু এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম একটি শরিক দলসহ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের সবচেয়ে শক্তিশালী শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর বেশ কজন গুরুত্বপূর্ণ নেতারও বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে জামায়াত নেতাদের সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মকৌশল ও করণীয় সম্পর্কে সরাসরি দিকনির্দেশনা দিতে পারেন তিনি। এ ব্যাপারে জামায়াতের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের দলীয় নেতাদের সাক্ষাতের এ বিষয়টিকে একেবারে উড়িয়ে না দিয়ে সম্ভাবনা রয়েছে বলেই ইঙ্গিত করেন। তবে ২৫ অক্টোবরের পর ঢাকাসহ সারা দেশে জামায়াত মরণকামড় দেওয়ার জন্য সর্বাত্দক প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানান ওই দুই নেতা, যারা বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন একেবারে সিঙ্গাপুরের পাশের একটি দেশে। জামায়াত নেতারা আরও জানান, ২৫ অক্টোবর-পরবর্তী সরকারবিরোধী দুর্বার আন্দোলনের সামনে থাকবে জামায়াত। এবার পেছনে থাকতে হবে বিএনপিকে। কারণ সরকার পতন আন্দোলনের আশানুরূপ প্রস্তুতি এখনো নিতে পারেনি বিএনপি। তৃণমূলে কিংবা ঢাকার বাইরে বিএনপি সর্বাত্দক প্রস্তুতি গ্রহণ চললেও ঢাকায় আন্দোলন নিয়ে বিএনপি নেতাদের প্রস্তুতি দূরের কথা, তেমন কোনো গরজই দেখা যাচ্ছে না। আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জোট নেত্রীকে অবহিতকরত তার কাছে দেশব্যাপী সর্বাত্দক আন্দোলন শুরুর 'সবুজ-সংকেত' চাইতে পারেন তারা। প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হঠাৎ করেই বুধবার রাতে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গেছেন। তার এবারের সিঙ্গাপুর সফর এতটাই আকস্মিক যে কোনো সংবাদকর্মী, সংবাদমাধ্যম বা রাজনৈতিক মহল এ সফর সম্পর্কে এক দিন আগেও কিছুই জানত না। খুবই সতর্কতার সঙ্গে এ সফরের খবর গোপন রাখা হয়। ফলে তার এ আকস্মিক সিঙ্গাপুর যাত্রা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের উদ্রেক করে। এর আগে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি দুই দফায় চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। জুনে সিঙ্গাপুর অবস্থানকালে তিনি এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দুজনই সেখানকার মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। সে সময় দুজনের মধ্যে সাক্ষাৎ বা টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছিল বলে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়।
উৎসঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন
__._,_.___