[chottala.com] সাকা : রায় ফাঁসের ঘটনার আদালতে নয়নের স্বীকারোক্তি
|
রায় ফাঁসের ঘটনার আদালতে নয়নের স্বীকারোক্তি স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম |
| ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/(ফাইল ফটো) |
ঢাকা: বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরিচ্ছন্ন কর্মচারী নয়ন আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন। আট দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজাহান।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মইনুল ইসলাম ভূঁইঞা আসামি নয়নের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার জিআরও মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসের ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর নয়ন ও অপর কর্মচারী ফারুকের বিরুদ্ধে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ফারুক বর্তমানে রিমান্ডে আছেন। গত ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
কিন্তু রায় ঘোষণার আগের রাতেই রায়ের খসড়ার অংশবিশেষ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। রায় ঘোষণার পরে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ও তার স্ত্রী-পুত্ররা কথিত ওই রায়ের কপি দেখিয়ে রায়টি আইন মন্ত্রণালয়ের করা এবং রায় ঘোষণার আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনায় ২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা চেয়ে শাহবাগ থানায় জিডি করেন। আদালত এর তদন্তের নির্দেশ দেন ডিবি পুলিশকে।
তদন্তভার পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ট্রাইব্যুনালের রায় কম্পোজ করা কম্পিউটারটি জব্দ করে। এছাড়া অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ট্রাইব্যুনালের মাস্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্ত অস্থায়ী কর্মচারী (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) নয়ন আলীকে (২০) এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করে। নয়নকে গ্রেফতারের পর তিনি রায় ফাঁসের খসড়া কপি পেনড্রাইভে করে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসানকে দেওয়ার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। তার বক্তব্য অনুসারে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ট্রাইব্যুনালের অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট ফারুককে। ডিবি'র জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন আরও জানান, মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসান তাকে দিয়ে এ কাজ করিয়ে নেন। পরে যে কম্পিউটারে রায়ের কপি ট্রান্সফার করা হয়েছে সেই কম্পিউটার জব্দ করে পুলিশ। এর সূত্র ধরে শুক্রবার দুপুরে সাকার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুলের চেম্বারে তল্লাশি চালিয়ে ২টি সিপিইউ, ১টি প্রিন্টার ও কয়েকটি সিডি জব্দ করে ডিবি পুলিশ। পরবর্তীতে নয়ন আলী, ফারুক ও মেহেদী হাসানসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ এবং ৬৩ ধারায় মামলা হয়। এখন মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে ডিবি পুলিশ।
এদিকে রায়ের কপি ফাঁসে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও আইসিটি অ্যাক্টের ৫৪ ধারায় মামলা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিবি। পাশাপাশি রায় ফাঁস হওয়ায় যারা লাভবান হয়েছেন, এর সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার কথা জানিয়েছে তারা। বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৩ এমআই/আরআই/জিসিপি http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=edff0f6af604f4a47c7f396fa59fab96&nttl=10102013230661
|
রায় ফাঁস ষড়যন্ত্রে সাকা নিজেই জড়িত
সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৩, ২২ আশ্বিন ১৪২০
সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০১৩, ২২ আশ্বিন ১৪২০
মা ন ব তা বি রো ধী অ প রা ধে র বি চা র
অর্থের লোভ দেখিয়ে রায়ের খসড়া চুরি!
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০২:৩১, অক্টোবর ০৫, ২০১৩ | প্রিন্ট সংস্করণ
Also Read:
সাকার রায়ের খসড়া ফাঁস
আইনজীবীর সহকারী ও ট্রাইব্যুনালের দুই কর্মী জড়িত: ডিবি
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ১৯:১৫, অক্টোবর ০৪, ২০১৩
সাকার রায়ের কপি ট্রাইব্যুনাল থেকে পাচার পেনড্রাইভে ॥ কর্মী গ্রেফতার
০ আসামিপক্ষের আইনজীবীর সহকারী ও অপর এক কর্মচারীকে খুঁজছে পুলিশ
০ মামলা তিনজনের বিরুদ্ধে
০ শিবির কানেকশন
০ ডোমেইন নিবন্ধন বেলজিয়ামে, আপলোড লন্ডনে
আজাদ সুলায়মান ॥ বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের কপি ফাঁস হওয়ার ঘটনা তদন্তে নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। কারা কিভাবে এ কপি মামলার রায়ের আগেই ফাঁস করেছে, পুলিশ তার ক্লু পেয়েছে। নয়ন আলী নামের এক কর্মচারীই এটা ফাঁস করেছেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় যে কম্পিটারে লেখা হয়েছে, সেখান থেকেই পেনড্রাইভে করে তা নিয়ে গেছেন নয়ন মিয়া। এর পর ফাইলটি ইমেইল বা অন্য কোন উপায়ে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই একটি অনলাইনে . . .
__._,_.___
[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.
* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]
__,_._,___