Banner Advertise

Friday, September 20, 2013

[chottala.com] : জামায়াতের তাণ্ডব





জামায়াতের তাণ্ডব
দৈনিক জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের খবরে প্রকাশ, জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন বুধবার জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা সারাদেশে ব্যাপক তা-ব চালায়। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, রাস্তা অবরোধ, মানুষ হত্যাসহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের ওপরও তারা গুলিবর্ষণ করেছে। বৃহস্পতিবার হরতালের দ্বিতীয় দিনে তারা আরও বেশি মারমুখী হয়ে ওঠে। জ্বালাও-পোড়াও-ভাংচুরসহ সহিংস কর্মকা- অব্যাহত রাখে। এদিন তারা সিরাজগঞ্জে এক অটোরিকশা যাত্রীকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাদের ছোড়া বোমার আগুনে ঝলসে যায় দুই ট্রাক ড্রাইভার আর এক বাস ড্রাইভারের শরীর। উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদেই এই হরতাল ডাকা হয়।
এখানে উল্লেখ করা যায় যে, জামায়াত-শিবিরের এই হামলা-নৈরাজ্য নতুন নয়। বেশ কিছু দিন থেকেই তারা এমন সহিংসতা চালিয়ে আসছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল ও নেতাদের মুক্তির দাবিতে জামায়াত-শিবির একদিকে দেশে-বিদেশে জোর লবিং চালায়, নানা প্রকার বিভ্রান্তিকর প্রচার-প্রপাগান্ডা অব্যাহত রাখে, পাশাপাশি আইনী লড়াইও চালিয়ে যায় সমানভাবে; অন্যদিকে এই বিচারকে কেন্দ্র করে রাজপথে আন্দোলনের নামে ভয়াবহ সহিংসতা চালায়। নিয়মতান্ত্রিক আইনী লড়াইয়ের সমস্ত সুবিধা গ্রহণ করেও তারা যেভাবে নেতিবাচক পথে হেঁটেছে এবং একটি আইনী বিষয়কে সংঘাতের উপলক্ষ বানিয়ে ফেলেছে, তাকে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য মনে করা যেতে পারে না। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কোন নেতার বিরুদ্ধে রায় হলেই হরতাল ডেকে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে বার বার। সহযোগী একটি জাতীয় দৈনিকের এ বছরের ২২ মার্চের এক রিপোর্টে দেখা যায়, জামায়াত-শিবিরের সাড়ে চার মাসের সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৮ পুলিশ সদস্য, আহত হন পাঁচ শতাধিক পুলিশ; তাদের ওপর হামলা হয়েছে অসংখ্যবার। এসব সহিংসতায় ঐ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১২৯টি যানবাহন আর জ্বালিয়ে দেয়া হয় ৩৭টি যানবাহন। ২২ মার্চের আগের পরিসংখ্যানের পরও কিন্তু সহিংসতা ও তা-ব থেমে থাকেনি। জামায়াত-শিবির তাদের চিরাচরিত সংঘাতমূলক কর্মকা- থেকে একটুও যে সরে আসেনি, কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের পর তাদের তৎপরতা দেখে তা সহজেই বোঝা যায়। জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর অবশ্য সহিংসতা, তা-ব আর অপপ্রচার ছিল তুঙ্গস্পর্শী। এ সময় সারাদেশে যে বিভীষিকার রাজত্ব কায়েম হয়েছিল সমকালীন ইতিহাসে তার দৃষ্টান্ত বিরল।
একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে গণহত্যা, নারী নির্যাতনসহ অন্যান্য অপকর্মে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা ছিল সরাসরি। তাদের কয়েকজনের বিচার চলছে, কয়েকজনের বিরুদ্ধে রায়ও হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আদালতে। আসামি পক্ষও সেই বিচার প্রক্রিয়ায় যথারীতি অংশ নিচ্ছে। তারপরও এই বিচারকে ঘিরে রাজপথে সহিংসতা-নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে, যা কোন বিবেচনায় যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। সন্ত্রাস-সহিংসতার কালো থাবা দিয়ে ন্যায় বিচারের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দেয়ার এই অনাকাক্সিক্ষত প্রয়াস সফল হওয়া সম্ভব নয়।
তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জামায়াত-শিবির দায়িত্বশীল আচরণ করবে এমনটাই সবার প্রত্যাশা। নিয়মতান্ত্রিক আইনী লড়াইয়ের পাশাপাশি হরতাল ডেকে নাশকতা চালানোর মধ্যে যে স্ববিরোধিতা তা তাদের অনুধাবন করতে হবে এবং আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সর্বনাশা নৈরাজ্যের পথ থেকে তাদের সরে আসতে হবে। এটা তাদের জন্য যেমন, জাতির জন্যও তেমনি মঙ্গলজনক।




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___