ফরহাদ মজহার farhadmazhar@hotmail.com |
ফ্যাসিবাদ
27 March 2015, Friday
আজ আধুনিকতা, জাতীয়তাবাদ, আধুনিক রাষ্ট্র ও ফ্যাসিবাদ নিয়ে কিছু মন্তব্য করব। আশা করি তা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ভাবাতেও কাজে লাগবে।
ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্যসূচক চরিত্র লক্ষণ নিয়ে তর্ক থাকতে পারে। ধারণাটিকে তাত্ত্বিক দিক থেকে ঠিকমতো সংজ্ঞায়িত করা হল কি-না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবে বেনিতো মুসোলিনি (১৮৮৩-১৯৪৫) ফ্যাসিবাদকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তা দিকনির্দেশক সংজ্ঞা হিসেবে যথেষ্ট। সেই ব্যাখ্যার সঙ্গে বেনিতো মুসোলিনির ইটালি ও এডলফ হিটলারের (১৮৮৯-১৯৪৫) নাৎসি জার্মানি, ফানসিস্কো ফ্রাঙ্কোর স্পেন (১৮৯২-১৯৭৫), এন্তনিও দ্য অলিভিয়েরা সালাজারের (১৮৮৯-১৯৭০) পর্তুগালের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে ফ্যাসিবাদের ঐতিহাসিক রূপ সম্বন্ধে কমবেশি স্পষ্ট ধারণা করা সম্ভব। আদর্শগত দিকের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদের প্রয়োগ ও ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার বোঝাবুঝি আরও গভীরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থেকেই বিভিন্ন তত্ত্ববিদের মধ্যে ব্যাখ্যার তারতম্য ঘটে। তত্ত্বচর্চার দিক থেকে যা খুবই স্বাভাবিক ও ইতিবাচক একটি প্রক্রিয়া।
তবে পাশ্চাত্য তত্ত্ববিদরা ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ইউরোপে উদ্ভূত উদারনৈতিক রাজনীতি ও আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার ব্যতিক্রম হিসেবেই প্রধানত পাঠ করে থাকেন। ইউরোপের দাবি, সারা জগৎকে তারা তাদের এনলাইটমেন্টের আলো দিয়ে আলোকিত করেছে। তাছাড়া বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সার্বজনীন মডেলও হাজির করেছে ইউরোপ। তাহলে ইউরোপে ফ্যাসিবাদের উদ্ভব ও শক্তি প্রতিষ্ঠার কোনো যৌক্তিক কারণ এনলাইটমেন্ট বা ইউরোপীয় আধুনিকতার ছিল না- যদিও দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধ এবং অগুনতি প্রাণহানির মধ্য দিয়ে যার পরিসমাপ্তি ঘটাতে হয়েছে। সন্ত্রাস ও সহিংসতার এই ইতিহাস ইউরোপ সদাই আড়াল করে রাখতে চেষ্টা করে। ইউরোপের এই ইতিহাস মনে রাখলে আমরা বুঝব ফ্যাসিবাদ ইউরোপীয় আধুনিকতার অন্তর্গত সত্য, ইউরোপের ইতিহাসের স্বাভাবিক গতিপ্রক্রিয়ার বাইরের কোনো ব্যাপার নয়। ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রের পর্যালোচনা সে কারণে একইসঙ্গে ইউরোপীয় এনলাইটমেন্ট বা আধুনিকতারও পর্যালোচনা। ফ্যাসিবাদ ইউরোপের ইতিহাসের মধ্যে কোনো অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক দুর্ঘটনা বা ব্যতিক্রম নয়।
বলা হয়, ঐতিহাসিক বাস্তবতার কারণে ইউরোপে যা ঘটেছে, সেই বাস্তবতার বিচার থেকে আধুনিকতা, বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশলের প্রতি নির্বিচার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আইন, বিচারব্যবস্থা ও নির্বাহী ক্ষমতাকে একক কেন্দ্রীভূত সার্বভৌম ক্ষমতা হিসেবে গঠন এবং সর্বোপরি জাতিরাষ্ট্রের ধারণা ও তার ন্যায্য রূপ হিসেবে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে সার্বজনীন গণ্য করার মধ্যে ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার কোনো সম্পর্ক নেই। কথাটা মোটেও ঠিক নয়। ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা আধুনিকতা ও আধুনিক রাষ্ট্রের কোনো ব্যতিক্রম নয়, বরং তার নানান সম্ভাব্য রূপের মধ্যে সম্ভাব্য একটি ঐতিহাসিক রূপ। আধুনিকতা ও আধুনিক রাষ্ট্রের ধারণার মধ্যেই ফ্যসিবাদের বীজ হাজির থাকে। সেই সত্য অধিকাংশ সময়ই সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে আড়াল করে রাখা হয়। বাংলাদেশের মতো পুঁজির পরিধি ও সাম্রাজ্যবাদের সম্প্রসারিত শক্তি-পরিমণ্ডলের প্রান্তে আছি বলে আমরা আধুনিকতা, আধুনিক সমাজ ও আধুনিক রাষ্ট্রের অনুমানগুলোকে চ্যালেঞ্জ ও কঠোরভাবে পর্যালোচনা করি না। এ পর্যালোচনা ছাড়া সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণশক্তির উদ্বোধন ঘটানো অসম্ভব বলেই আমি মনে করি। লিবারেলিজম বা তথাকথিত উদার রাজনীতি সার্বজনীন কোনো রাজনৈতিক আদর্শ নয় এবং আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাও রাষ্ট্র গঠনের সর্বোচ্চ নকশা নয়। পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার সংকট মোচনের দিক থেকে আধুনিকতা, আধুনিক রাজনীতি ও রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিমণ্ডলে ফ্যাসিবাদ একটি সম্ভাব্য পরিণতি এ কথা আমাদের সব সময়ই মনে রাখতে হবে।
দুই
ইতালিয়ান ভাষায় 'ফ্যাসিজম' (fascism) শব্দটির উৎপত্তি 'ফ্যাসিও' (fascio) থেকে। ফ্যাসিজম বা ফ্যাসিবাদ কথাটার সূত্র এখানে। লাঠিসোঁটা একসঙ্গে জড়ো করে তার সঙ্গে একটা কুঠার শক্তভাবে বেঁধে সহজে বহন করার জন্য যে শৃংখলা বা বোঝা তৈরি হয় তাকে ল্যাটিন ভাষায় বলা হয় 'ফ্যাসকেস' (fasces)। লাঠিসোঁটা বা লগিবৈঠা আলাদা আলাদা হলেও তাদের দলা করে শক্ত করে বেঁধে নিতে হবে। এই দলা বা বিচ্ছিন্ন লগি বা লাঠিকে একটি দলে একত্রিত করে শক্তভাবে বেঁধে বিরোধীদের ওপর শুধু সংঘবদ্ধ শক্তি হিসেবে নয়, আধুনিককালে হাজির করা হয়েছিল একইসঙ্গে রাজনৈতিক মতাদর্শ ও বৈধ আইনি কর্তৃত্ব হিসেবে। ফ্যাসিবাদ ইউরোপের ইতিহাসে হঠাৎ কোনো আকস্মিক ঘটনা হিসেবে হাজির হয়নি। তার বীজ ইউরোপেই ছিল। আধুনিক ইউরোপের ইতিহাস একইসঙ্গে ফ্যাসিবাদেরও ইতিহাস।
ল্যাটিন 'ফ্যাসকেস' বলে যা পরিচিত, প্রাচীন রোমে সেটা ম্যাজিস্ট্রেসির বৈধ কর্তৃত্ব এবং সংঘবদ্ধ ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এই ব্যবহারের দৃষ্টান্ত আধুনিককালেও আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশ সেন্ট বা ডাইমে এর ব্যবহার ১৯১৬ থেকে ১৯৪৫ সাল অবধি ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের প্রতীকের মধ্যেও এর ব্যবহার আছে। প্রাচীন গিল্ড বা সিন্ডিকেট হিসেবে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক সংঘগুলোকে 'ফ্যাসি' বলে ডাকার চল ইটালিতেই শুরু হয়। বেনিতো মুসোলিনি মিলানে ১৯১৯ সালে গড়ে তোলেন 'ফ্যাসি ইটালিয়ানি কম্বাত্তিমেন্তো (Fasci Italiani di Combattimento)। এটাই পরে ১৯২১ সালে 'জাতীয় ফ্যাসিস্ট পার্টি'(National Fascist Party) হিসেবে নাম পরিবর্তন করে।
ক্ষমতার কর্তৃত্ব ও আইনি এখতিয়ারের (fascio littorio) প্রতীক হিসেবে 'ফ্যাসকিও'র আবেদন গভীর। ইটালিতে 'ফ্যাসি'দের উত্থানের পেছনে সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতি ছাড়াও প্রতীকের সংস্কৃতি কাজ করেছে অবশ্যই। বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও পরস্পর থেকে আলাদা লগি বা লাঠিকে একত্র করা এবং তাদের 'এক ও অভিন্ন' ভাবার জন্য যথেষ্ট কল্পনা শক্তির প্রয়োজন। কারণ একটি সমাজে মানুষ ধর্মে, শ্রেণীতে, লিঙ্গে কিংবা ভিন্ন ভিন্ন ভূগোলে বা ইতিহাসে গড়ে ওঠে বলে পরস্পরের মধ্যে প্রচুর বৈচিত্র্য থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সব পার্থক্য ও বিভিন্নতা অস্বীকার করে সবাইকে একটিমাত্র পরিচয়ে বাঁধতে চায়। একটি শক্ত দড়ি দিয়ে লগি বা লাঠিগুলোকে একত্রে বাঁধা তাদের ভিন্নতা অস্বীকারের প্রতীকী মানেটা দাঁড় করায়। এর সঙ্গে কুঠারের ভূমিকা হচ্ছে লগি বা লাঠির সঙ্গে অন্য কোনো পরিচয় বা সূত্রের সম্পর্ক ছিন্ন করা। কুঠার প্রত্যেকের গোড়ার বন্ধনগুলো কেটে ফেলেছে, তার কাজ শেষ হয়ে যায়নি। ফ্যাসিবাদ হাতে কুঠার ছাড়া টিকতে পারে না। কারণ তার রাজনৈতিক মতাদর্শ ও দলীয় পরিচয়ের বাইরে যারা এখনও ভিন্ন শেকড়ের সঙ্গে নিজের পরিচয়ের সূত্র সন্ধান করেন, তার গোড়ায় কুঠারাঘাত হেনে ফ্যাসিবাদ তাদের নিজের আরোপিত পরিচয় ছাড়া অন্যসব সূত্র, চিহ্ন বা আত্মপরিচয় নির্মাণের সম্ভাবনা উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর হয়। কুঠারাঘাতে বিচ্ছিন্ন হয়ে কুঠারসহ শক্ত দড়িতে বাঁধা জড়িত বা দলবদ্ধ পরিচয়ই ফ্যাসিবাদে প্রত্যেকের একমাত্র পরিচয়। অন্য কোনো পরিচয় কারও থাকতে পারবে না। লগি বা লাঠি সবার সঙ্গেই কুঠার একই দড়ি দিয়ে বাঁধা।
মানুষের অন্যসব সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্বন্ধ ও সূত্র অস্বীকার করে নিজেদের একটি 'জাতি' হিসেবে কল্পনা করা ছাড়া ফ্যাসিবাদ দানা বাঁধতে পারে না। যে কারণে জাতীয়তাবাদ ও ফ্যাসিবাদের মধ্যে আসলে পার্থক্য টানা কঠিন ও দুঃসাধ্য। যে পার্থক্য আমরা দেখি সেটা ঐতিহাসিক। ঐতিহাসিক বাস্তবতার কারণেই জাতীয়তাবাদ বা ফ্যাসিবাদের প্রকাশ বা অভিব্যক্তির মধ্যে আমরা দেশে দেশে পার্থক্য দেখি। কিংবা ইতিহাসের বিভিন্ন বিভিন্ন পর্যায়ে জাতীয়তাবাদ, অর্থাৎ ফ্যাসিবাদের প্রকাশে ভিন্নতা দেখা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্য দিয়ে হিটলার ও মুসোলিনির পরাজয় এবং যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কারণে 'জাতি' কল্পনার নিরংকুশ আধিপত্য প্রশ্নবিদ্ধ হতে শুরু করে। জাতি কল্পনার বিপরীতে ব্যক্তিকে স্বাধীন ও সার্বভৌম সত্তা হিসেবে কল্পনা দানা বাঁধতে থাকে। গণতন্ত্রের অধিকার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করে। যে কারণে ব্যক্তিস্বার্থ ও অধিকারের সঙ্গে জাতীয়তাবাদের দ্বন্দ্বও আমরা দেখি।
জাতীয়তাবাদের সঙ্গে এই পার্থক্যকে অনেকে ঐতিহাসিক বাস্তবতায় বিচার না করে শুধু জাতীয়তাবাদিতার মাত্রা দিয়ে ফারাক করেন : যেমন তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ হচ্ছে উগ্র জাতীয়তাবাদ। কিন্তু এই দাবির বিশেষ কোনো যুক্তি নেই। উগ্রতার পরিমাণ দিয়ে জাতীয়তাবাদ ও ফ্যাসিবাদের ফারাক নির্ণয় করা যায় না। তর্কের খাতিরে ফ্যাসিবাদে জাতীয়তাবাদী উগ্রতার মাত্রা মেনে নিলেও গুণগতভাবে ফ্যাসিবাদকে জাতীয়তাবাদ থেকে কিংবা জাতীয়তাবাদকে ফ্যাসিবাদ থেকে আলাদা করে না।
অনেকে আধুনিক উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে বিরোধ দিয়ে ফ্যাসিবাদকে বোঝার চেষ্টা করেন। ফ্যাসিবাদী শক্তির একচ্ছত্র কর্তৃত্বের বৈধতা- আইনি কিংবা নৈতিক- একান্তই একটি জনগোষ্ঠীকে অখণ্ড জাতি হিসেবে কল্পনা এবং সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার আকাক্সক্ষা থেকেই সরাসরি নিষ্পন্ন করা হয়। এই অনুমান থেকেই 'জাতিরাষ্ট্র' (nation state) গঠনের ঐতিহাসিক ন্যায্যতা ও বৈধতার দাবি। যেমন- জাতীয়তাবাদী দাবি করে আমরা একটি 'জাতি'; অতএব একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন ন্যায্য, বৈধ ও আইনসম্মত। জাতীয়তাবাদী তার আদর্শিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নাগরিক ও মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে দ্বিধাবোধ করে না। কারণ গণতন্ত্র কিংবা নাগরিক ও মানবিক অধিকারের চেয়েও জাতীয়তাবাদীর কাছে তার জাতিবাদী আত্মপরিচয় প্রধান এবং সবকিছুর ঊর্ধ্বে। জাতিবাদী পরিচয়ের বাইরে অন্যদের নাগরিক বা মানবিক অধিকার থাকতে পারে বলে স্বীকার করা কিংবা জাতির স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে নিজের দলের অন্তর্ভুক্তদের ক্ষেত্রেও নাগরিক ও মানবিক অধিকার অস্বীকার করাকে জাতীয়তাবাদ অন্যায় মনে করে না। তার ভূরি ভূরি নজির রয়েছে। জাতীয়তাবাদীর বিশ্বাস, নাগরিক ও মানবিক অধিকারের চেয়েও জাতির স্বার্থ সবকিছুর ঊর্ধ্বে। জাতির স্বার্থে যে কোনো নৈতিক, নাগরিক বা মানবিক অধিকার থেকে যে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যায়। এক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদ কোনো সমস্যা দেখে না।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, উদার রাজনৈতিক মূল্যবোধ কিংবা নাগরিক ও মানবিক অধিকার হরণ করার ব্যাপারটি ফ্যাসিবাদের নিজের সমস্যা নয়, বরং এটা জাতীয়তাবাদেরই অন্তর্নিহিত চরিত্র। যে কারণে ফ্যাসিবাদ আর জাতীয়তাবাদে ফারাক টানা আসলেই মুশকিল। সব আইনি ও বল প্রয়োগের শক্তি নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী মতাদর্শিক উগ্রতার পরিমাণ জাতীয়তাবাদকে ফ্যাসিবাদ থেকে আলাদা করে না।
__._,_.___