সংঘাতময় পরিস্থিতি
যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তারা পরাজিত শক্তি
কামাল হোসেন | তারিখ: ২৫-০২-২০১৩
কামাল হোসেন
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি। তরুণ প্রজন্মের গণজাগরণকে বিভিন্ন মহল বিভিন্ন দিকে নেওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে। যে যার মতো রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। কেউ সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে চায়। কারণ, এতে তারা লাভবান হবে। তবে আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান।
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে যেভাবে দাবি তোলা হচ্ছে, তাতে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির মধ্যে কিছুটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবেই। আত্মরক্ষার জন্য হলেও তারা সংঘাতের পথ বেছে নেবে। তবে এ মুহূর্তে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবির চেয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ আগে শেষ করা বেশি জরুরি। এ বিষয়টি হিসাবের মধ্যে রেখে সরকারকে ভেবেচিন্তে পদক্ষেপ নিতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য শুধু শক্তি প্রয়োগ করলে হবে না। এ বিষয়ে সরকারকে কৌশলও অবলম্বন করতে হবে। সরকারকে মাথায় রাখতে হবে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবি বিশেষ কোনো দলের নয়। এটি জাতীয় দাবি। কাজেই বিচারকাজকে বাধামুক্ত করার জন্য জনমত গঠন করতে হবে।
সমস্যা হচ্ছে, সরকারের কর্মকাণ্ড এ বিষয়ে জনমত গঠনের বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করলেই বলা হচ্ছে, এই ব্যক্তি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। এভাবে ঐক্য হয় না। আর এই অনৈক্য একাত্তরের অপরাধীদের সংগঠিত হতে সাহায্য করে। তারা সংখ্যায় কম হলেও ঐক্যবদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির বিভাজনকে জামায়াত-শিবির কাজে লাগাচ্ছে। দেশকে তারা সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্য হলে স্বাধীনতাবিরোধীদের শক্তি ও সাহস কমে যাবে।
ড. কামাল হোসেন: বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ
http://prothom-alo.com/detail/date/2013-02-25/news/331956
__._,_.___