Banner Advertise

Sunday, February 24, 2013

[chottala.com] সংসদে আলোচনা : ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নয় জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি



Note  : জামায়াত-শিবির ধর্মভিত্তিক নয় ধর্মীয় মুখোশধারী সন্ত্রাসী সংগঠন

সংসদে আলোচনা : ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নয় জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি
 সংসদ বার্তা পরিবেশক
সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, গণহত্য, নারী ধর্ষণ, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার এখনই উপযুক্ত সময়। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের কৃতকর্মের জন্য সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার জন্য নতুন কোন আইন দরকার নেই বলেও জানান তারা। একই সঙ্গে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের কিসের ভয় ধর্মভিক্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই। সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী এবং স্বাধীনতাবিরোধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করতে সরকারকে এখনই উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা। অন্যদিকে যে অপশক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, শহীদ মিনার ভাঙে, জাতীয় পতাকায় অগি্নসংযোগ করে, মসজিদে আগুন দেয় ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুর করে দল রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে সেই অপশক্তিকে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন। 
গতকাল সংসদে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্যরা এ আহ্বান জানান। পয়েন্ট অফ অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বতন্ত্র সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিম এবং সরকারদলীয় সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, একসাগর রক্তের বিনিময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ আমরা স্বাধীন করেছি। যে বাংলার স্বাধীনতার জন্য ২ লাখ মা বোন সম্ভ্রম হারিয়েছে, ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে সেই বাংলাদেশকে আমরা সামপ্রদায়িকতামুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। অসামপ্রদায়িক গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতির জনক ৭০ সালের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। ৭২ সালে জাতির জনক যে সংবিধান জারি করেছিলেন সেটি ছিল বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। কিন্তু জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার পর একজন সেনাশাসক সেই সংবিধানকে তছনছ করে দিয়েছে। এখন দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে সব নাগরিকের রাজনৈতিক সংগঠন করার অধিকার আছে। কিন্তু বেশ কিছু শর্তসাপেক্ষে। জামায়াত সেই শর্ত পূরণ করছে না। 
তিনি বলেন, আজ জামায়াত-শিবির কোন পর্যায়ে রয়েছে? ১৯৭১ সালে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বট গাছটি উপড়ে ফেলেছিল। 
গত শুক্রবারে সেই একাত্তরের মতো তারা শহীদ মিনার ভেঙেছে। গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙেছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে রঞ্জিত জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে। পাকিস্তানের পতাকা হাতে পাকিস্তান জিন্দাবাদ সেস্নাগান দিয়েছে। যে দল পাকিস্তান জিন্দাবাদ সেস্নাগান দেয় সেই দলের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কি কোন অধিকার আছে? এ সময় সংসদ সদস্যরা সমস্বরে 'না,' 'না' ধ্বনি তোলেন। এরপর তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর এদেশে জামায়াত ছিল না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের পর জামায়াত নিষিদ্ধ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় গিয়ে জামায়াতকে আবার বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। এ দেশকে যদি কেউ ধ্বংস করে থাকে, স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকে সে হচ্ছে জিয়াউর রহমান। আজও (গতকাল) তার দল বিএনপি জামায়াতের হরতালে সমর্থন দিয়েছে। আজ যা হচ্ছে তা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার। দেশকে ধ্বংস করার। জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। যারা এই বাংলাদেশের নাগরিক, মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তাদের প্রতি আহ্বান জানাই_ যারা ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে বিভ্রান্ত করতে চায়, সামপ্রদায়িক দাঙ্গা ছড়াতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 
তিনি বলেন, আজ আওয়াজ উঠেছে যে দলটি সন্ত্রাসী, যে দলটি জঙ্গি সেই দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আমি মনে করি, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার এখনই সময়। সংসদে মন্ত্রিসভার সিনিয়র মন্ত্রীরা আছেন। তাদের প্রতি বলব, দেশকে উদ্ধারের জন্য এখনই জামায়াত নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিন। আর তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান- '৬৯, '৭১ সালের মতো আসুন আমরা আবার এদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলি। 
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-শিবির বস্নগার রাজীবকে নির্মমভাবে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, ১৬ ফেব্রুয়ারি তারা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিহত রাজীবের বস্নগে ঢুকে ইসলাম অবমাননা করেছে। এরপর আমার দেশ ও নয়াদিগন্ত পত্রিকা এটি সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য তারা এটা করেছে। তারা আমার নবীকে (সা.) অপমান করেছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দেশবাসীকে উসকিয়ে দিয়েছে। এজন্য এ দুটি পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করছি। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সারাদেশের মানুষ যখন একতাবদ্ধ তখন বিএনপি-জামায়াত সুপরিকল্পিতভাবে এ কাজটি করেছে। রামুতেও গত বছর একই কায়দায় এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। রাজীব হায়দারের ঘটনাও জাময়াত-শিবির ঘটিয়েছে। এটা তদন্ত করতে হবে। 
দেশবাসীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, কারো কথা শুনে সত্য যাচাই না করে এমন কিছু করবেন না যাতে দেশের ক্ষতি হয়। ইসলাম ধর্ম মানবতার ধর্ম। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধ্বংস করে না। সৃষ্টি করে। 
তিনি বলেন, আমরা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বন্ধ করব না। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আমাদের মা বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। এখনও যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। যারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকা- চালায়। আমরা সেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করব। অন্যান্য ধর্মভিত্তিক দল আমরা নিষিদ্ধ করব না। 
তিনি বলেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি জামায়াত-শিবির মসজিদের জায়নামাজে আগুন দিয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুর করেছে। সিলেটে শহীদ মিনার ভাঙচুর করেছে। জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে। তারা বাংলাদেশ মানে না। তারা নোয়াখালীতে পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে মিছিল করে। জামায়াত-শিবির ধর্ম ব্যবসায়ী। তাদের বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। এই জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়ায় আছে। অন্য কোন দল নয়। 
যারা ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করে সেই জামায়াত-শিবিরকে বিএনপি সমর্থন জানায়। বিএনপি এ সমর্থন দিয়ে মূলত ইসলাম, আমার নবীকে (সা.) অপমান করেছে। সারাদেশে যখন জাতীয় পতাকা ও শহীদ মিনার আক্রান্ত হয় তখন বিএনপি এর নিন্দা জানায়নি। সুতরাং বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী। মাহমুদুর রহমান জামায়াত সমর্থন করেন। বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছে। রাজাকারদের মন্ত্রী বানায়। মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারীদের এ দেশে থাকার কোন অধিকার নেই। বাংলার মাটিতে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বসবাসের কোন অধিকার নেই। জামায়াতকে যারা সহযোগিতা করবে তাদেরও বাংলার মাটিতে বিচার করতে হবে। বিএনপি-জামায়াত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন তাদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। 
মোহাম্মদ ফজলুল আজিম বলেন, শাহবাগের তরুণ সমাজের আন্দোলনকে সারাদেশবাসী স্বাগত জানিয়েছে। এই গণজাগরণকে সামনে রেখে যখন জাতীয় অন্যান্য সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে চেয়েছিলাম। তখন অন্য পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। বস্নগার রাজিবকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে আগুন লাগিয়ে পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। দেশের অবস্থা উদ্বেগজনক। প্রতিদিন অবনতি ঘটছে। সরকারকে এই অবস্থা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে একটি মহল মানুষ হত্যা করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। মৌলবাদীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি রাজীব হায়দার।
Related:

Ghulam Azam a Bangalee traitor: Prosecutor

http://news.priyo.com/2013/02/24/ghulam-azam-bangalee-traitor-prosecutor-67765.html

Related Contents

Ghulam Azam symbol of vicious crimes (Updated)

Tue, 19/02/2013 - 8:07pm BdST

A prosecutor on Tuesday told the International Crimes Tribunal-1 that Ghulam Azam, appeared as a symbol of vicious crimes during the Liberation War in 1971.

More Reading


জামায়াত-শিবিরের তা-বের মুখে : শাহবাগে ফের গণজমায়েত : সেস্নাগানে প্রকম্পিত গণজাগরণ মঞ্চ

http://prothom-alo.com/detail/date/2013-02-24/news/331602


তরুণদের মূলধারা


আবার হরতাল, আবার প্রতিহতের ডাক তরুণদের

Terrorists

Youths term Jamaat-Shibir; from Rayerbazar rally, they urge all to resist today's hartal, call upon police to rise up to its historic reputation







__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___