Banner Advertise

Sunday, December 1, 2013

[chottala.com] সহিংসতার ছবিসহ ই-মেল বার্তায় জামায়াতের স্বীকারোক্তি আগুনে পোড়ানো, গাছ কাটা, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ানো, পুলিশের ওপর হামলাসহ ৫৯০টি ঘটনা ঘটিয়েছে তারা



সহিংসতার ছবিসহ ই-মেল বার্তায় জামায়াতের স্বীকারোক্তি
আগুনে পোড়ানো, গাছ কাটা, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ানো, পুলিশের ওপর হামলাসহ ৫৯০টি ঘটনা ঘটিয়েছে তারা
বিভাষ বাড়ৈ ॥ দেশজুড়ে অবরোধের নামে জঙ্গী সংগঠনের ন্যায় অতর্কিতে বোমা হামলা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যাসহ বর্বরতা চালিয়ে জনরোষ এড়াতে বিএনপি অস্বীকার করলেও দায় স্বীকার করে চলেছে তাদের মিত্র জামায়াত-শিবির। বিএনপির শীর্ষ নেতারা কর্মীদের গাড়ি ভাংচুরসহ আক্রমণ চালানোর নির্দেশ প্রকাশ্যে দিয়েও বর্বরতার পরে পিঠ বাঁচাতে দায় চাপাচ্ছেন সরকার কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার ওপর। গাড়িতে আগুন দিয়ে একের পর এক নেতাকর্মী বা ভাড়া করা সন্ত্রাসী ধরা পড়লেও বেমালুম তা অস্বীকার করছে বিএনপি, কিন্তু প্রতিদিনই গণমাধ্যমে বক্তব্য বিকৃতি মেইল বার্তা পাঠিয়ে তা-বের পরিসংখ্যান দিয়ে যাচ্ছে শিবির। পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে রাস্তা অবরোধের খবর ই-মেইল বার্তায় ছবিসহ সংবাদমাধ্যমগুলোকে পাঠিয়েছে শিবির। প্রতিদিন দেশের কতটি স্থানে উগ্রবাদী এ সংগঠনটি পুলিশকে প্রতিরোধ করে পাল্টা আক্রমণ, গাছ কেটে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ করেছে, তার ছবিসহ প্রমাণ পাঠিয়েছে। অবরোধের দ্বিতীয় দিন রবিবারও আদালতে ক্রিমিনাল সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত জামায়াত-শিবির পাঠিয়েছে ছবিসহ কর্মকা-ের প্রমাণ।
এর আগে গত ২০ নবেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে তারেক রহমানের জন্মদিন পালনকালে ছাত্রদলের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, কেবল দুয়েকটি 'গাড়ি ভাঙলে' আন্দোলন হবে না। ছাত্রদলের কর্মীদের রাস্তায় নেমে আসতে হবে। জানা গেছে, ১৮ দলীয় জোটের কয়েক দফা হরতাল-অবরোধে ককটেল, পেট্রোলবোমা, আগুনসহ নানাভাবে আক্রান্ত হয়ে গত ১ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭ জন সাধারণ নাগরিক। এদের অধিকাংশই খেটে খাওয়া মানুষ। রাজনীতির সঙ্গে ছিল না তাঁদের প্রত্যক্ষ সংযোগ। অধিকাংশই নিতান্তই পেটের দায়ে নামতেন রাস্তায়। গত ২৭ অক্টোবর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের চার দফা হরতাল অবরোধে কমপক্ষে ৫৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শুধু ২৭ অক্টোবর থেকে ১৫ নবেম্বর পর্যন্ত তিন দফা হরতালের হামলা, ককটেল, পেট্রোলবোমা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের গুলিতে ৩০ জনের মতো প্রাণহানি ঘটেছে। প্রথম দফায় ২৭ অক্টোবর থেকে ২৯ অক্টোবরের হরতালে নিহত হয়েছে ১৩ জন। দ্বিতীয় দফায় ৪ নবেম্বর থেকে ৬ নবেম্বরের হরতালে ৪ জন। ১০ থেকে ১৩ নবেম্বর পর্যন্ত চার দিনের হরতালে নিহত হয় চারজন। ২৬ নবেম্বর থেকে শুরু হওয়া ১৮ দলের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার সকালে। পরে একে দুই দফা বাড়িয়ে নেয় হয় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত। এ সময়ের টানা ৭১ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন ৭ জন, দ্বিতীয় দিন ১০ জন এবং তৃতীয় দিন ৩ জন নিহত হয়। সর্বশেষ শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ৭২ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দু'দিনে মারা গেছে ৭ জন। এর মাঝে হরতাল অবরোধ ছাড়াই আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে কয়েকজনকে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন অসংখ্য মানুষ। গত এক মাসে ১৮ দলের চার দফা হরতাল-অবরোধে দগ্ধ মানুষকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রাজনীতির আগুনে পুড়ে যাওয়া এসব মানুষের আর্তচিৎকার ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের বার্ন ইউনিট। এদের অনেকের পুরো শরীর আগুনে ঝলসে গেছে। ককটেল ও বোমার স্পিøন্টার বিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হয়েছেন কেউ কেউ। ফলে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তাঁদের জীবন। ভেঙ্গে গেছে সাজানো স্বপ্ন। বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শঙ্কর পাল বললেন, গত এক মাসের সহিংস ঘটনায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল, পেট্রোলবোমা ও অগ্নিসংযোগে ৯ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শতাধিক। এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন অনেকে। 
তবে কোন অপকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা নেই বিএনপির। বরং বর্বরতা চালিয়েই নেতারা বলে দিচ্ছেন সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা করে এসব। হাতেনাতে নেতাকর্মী ধরা পড়ার কথা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উত্তর না দিয়ে বিএনপি নেতারা এড়িয়ে যাচ্ছেন। যে নেতা গাড়িতে হামলা ভাংচুরের কথা ২০ নবেম্বর স্বীকার করে কথা বলছিলেন সেই ফখরুল ইসলামই কেউ হামলায় মারা গেলেই বলছেন তা নাকি বিএনপি করেনি। সর্বশেষ ২৮ নবেম্বর ১৯ জন সাধারণ মানুষকে বাসে আগুন দিয়ে অগ্নিদগ্ধ করার পরও বিএনপি নেতারা একাই পথে হাঁটলেন। ঘটনায় দেশজুড়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ায় পিঠ বাঁচাতে শাহবাগে বাসে পেট্রোলবোমা ছুড়ে আগুন ধরানোর উল্টো নিন্দা জানিয়ে এতে বিরোধী দলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপির মির্জা ফখরুল। অবরোধ আহ্বানকারী ১৮ দলের মুখপাত্র দাবি করেছেন, বিরোধী দলের আন্দোলন সম্পর্কে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সরকারের 'এজেন্টরা' গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে। ১৮ দলের অবরোধের মধ্যে গেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে মৎস্য ভবনের সামনে যাত্রীবাহী একটি গাড়িতে পেট্রোলবোমা ছোড়া হলে ১৯ জন অগ্নিদগ্ধ হন। যাঁদের মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যেই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তবে অনেকটা আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের মতোই হামলা, ভাংচুরের দায় স্বীকার করে চলেছে তাদের মিত্র জামায়াত-শিবির। সরাসরি হত্যার কথা না বলে প্রতিদিনই গণমাধ্যমে বক্তব্য বিকৃতি মেইল বার্তায় পাঠিয়ে তা-বের পরিসংখ্যান দিয়ে যাচ্ছে শিবির। সর্বশেষ রবিবারও পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে রাস্তা অবরোধের খবর ই-মেইল বার্তায় ছবিসহ সংবাদমাধ্যমগুলোকে পাঠিয়েছে শিবির। গত কয়েক দিনও দেশের কতটি স্থানে উগ্রবাদী এ সংগঠনটি পুলিশকে প্রতিরোধ করে পাল্টা আক্রমণ, গাছ কেটে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ করেছে তার ছবিসহ প্রমাণ পাঠিয়েছে। অবরোধের দ্বিতীয় দিন রবিবার ছবিসহ কর্মকা-ের প্রমাণ দিয়েছে। গেল অবরোধের শেষ দিন শিবিরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, রাজধানীর ৩৫টি স্থানসহ গোটা দেশের ৫৯০টি জায়গায় অবরোধ কর্মসূচী সফল করতে শিবিরের কর্মীরা রাস্তায় নামেন। সংগঠনটি এক ডজনেরও বেশি ছবি পাঠিয়েছিল। বলা হয়, রাজধানীর বাড্ডায় ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা রাজপথ অবরোধ করে। পুলিশ প্রতিহত করলে 'উত্তেজিত ছাত্র-জনতা' পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করে ও 'গণধোলাই' দেয়। বিমানবন্দর এলাকায় তারা তিন ছাত্রলীগের কর্মীর ওপর নির্যাতন চালায়। এ ছাড়া কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের শিবিরের কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। শিবিরের কর্মীরা চাঁপাইনবাবগঞ্জে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ও ইট-পাটকেল ফেলে অবরোধ করেন, দিনাজপুরের রানীবন্দর থেকে ২৮ মাইল পর্যন্ত ১২টি স্থানে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে অবরোধ করেন। এতে নেতৃত্ব দেন শিবিরের কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দীন ও জেলা সভাপতি মোঃ জাকিরুল ইসলাম। এবার অবরোধের প্রথম দিন শনিবারও ছবিসহ তথ্য প্রমাণ পাঠায় শিবির। সর্বশেষ রবিবার সংগঠনটি বলেছে, ৭২ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর খিলক্ষেতে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী উত্তর ও স্থানীয় জামায়াত রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ করে, পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, ব্যাপক গুলি, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ হয়। শিবিরের পাল্টা প্রতিরোধ হয় সেখানে। সরকারের তলায় মাটি নেইÑ মন্তব্য করে শিবির নেতারা পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছে, রাজধানীর ৩২টি স্পটসহ সারাদেশের মহানগর, শহর ও জেলা শাখায় মোট ৪৯৫টি স্থানে মিছিল ও অবরোধ করা হয়। রবিবারও হামলা পাল্টাহামলা, গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেয়া, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে রাস্তা অবরোধের খবর ই-মেইল বার্তায় ছবিসহ পাঠিয়েছে শিবির।


__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___