Banner Advertise

Tuesday, April 17, 2012

[chottala.com] RE: [Progressive-Muslim] মৃত বঙ্গবন্ধু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শক্তিশালী !!






Thanks.

আইএসআই'র টাকা, সমুদ্রজয় ও রেল মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি!

মো. বেলায়েত হোসেন
আইএসআই'র টাকা, সমুদ্রমামলা ও রেল মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি—এই তিনটি বিষয় এখন বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধান ইস্যু। বিস্তারিত না জেনে সমুদ্রমামলায় সরকারকে বিএনপি ধন্যবাদ দেয়ায়; প্রায় অতলে তলিয়ে যাওয়া সরকার উঠে দাঁড়ানোর একটা বিরাট সুযোগ পেয়ে গেছে! প্রথম দুটি বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে শাসক দল লাভবান হলেও পরের বিষয়টিতে তারা বড় ধরনের ধরা খেয়ে গেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমত ঝড় তুলেছে সাম্প্রতিক সময়ের রেল মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি! কেননা, বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একজন সেলিব্রেটি রাজনীতিক। রাজনীতির সন্ধিক্ষণে তিনি আবির্ভূত হতেন জাতির বিবেক হয়ে! তার মন্ত্রণালয়ের ভয়াবহ দুর্নীতির খবরে পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনই হতভম্ব হয়ে গেছে।
রাজনীতিকে গতানুগতিক মারপ্যাঁচে ফেলতে আইএসআই'র টাকা ও সমুদ্রমামলার রায় নিয়ে দেশে কঠিন রাজনীতি শুরু হয়েছিল! একদিকে বিএনপি আইএসআই'র টাকা খেয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, অন্যদিকে সরকার বিশাল সমুদ্রজয় করেছে বলে সগৌরবে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সরকারের গুণ-কীর্তন করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই দুটি ইস্যুকে শাসক দল 'রেল লাইনের' মতো লম্বা করে আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ে যাবে। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। এসবই রাজনীতিতে 'আওয়ামী স্টাইল'!
আওয়ামী লীগ সময়-সুযোগ বুঝে রাজনীতিতে অভিনব কৌশল প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে, হোক সেটা সত্য বা মিথ্যা! মিথ্যাকেই বার বার বলে তারা সত্যতে পরিণত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালায়; তাতে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও তারা উপকৃত হয়। তবে রেল মন্ত্রণালয়ের 'দুর্নীতির ট্র্যাজেডি' শাসক দল আওয়ামী লীগের সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেয়ার মতো অবস্থা তৈরি করেছে! এই দুর্নীতির খবর দেশের পত্র-পত্রিকা ও স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে ব্যাপকভাবে প্রচার হচ্ছে; এমনকি দেশের বাইরেও খবরের শিরোনাম হচ্ছে এটি! তাতে দেশের ভাবমূর্তি তো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেই, রাজনীতিবিদরাও হচ্ছেন হেয় প্রতিপন্ন! একথা অনস্বীকার্য যে, রেল মন্ত্রণালয়ের 'দুর্নীতির ট্র্যাজেডি' এদেশের রাজনীতিবিদদের জন্য নিঃসন্দেহে এক সতর্কবাণী! এখান থেকে তারা অবশ্যই একটা শিক্ষা নেবেন, নয়তো কোনো বড় ধরনের দুঃসময় তাদের রাজনৈতিক জীবনকে আচ্ছন্ন করে তুলতে পারে!
প্রবাদ আছে, 'অপরের জন্য গর্ত খুঁড়লে সে গর্তে নিজেদেরই পড়তে হয়।' আওয়ামী লীগ কথায় কথায় অপরের দুর্নীতি খুঁজে বেড়ায়! প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে দুর্নীতির অস্ত্রটিই তারা বেশি ব্যবহার করে থাকে, হোক সেটা সত্য-মিথ্যা ও যেনতেন!
একসময় তারা প্রচার শুরু করল ২০০১-৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি বিদ্যুত্ খাত থেকেই ২০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। এটা তারা ব্যাপকভাবে প্রচার করে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে দিয়েছে। ওই সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন মানুষের মুখেও বলতে শোনা গেছে যে বিএনপি বিদ্যুত্ খাত থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। আসলে ওই পাঁচ বছরে বিদ্যুত্ খাতে সর্বমোট বাজেটই ছিল ১২-১৫ হাজার কোটি টাকা! এই ইস্যুর যখন অপমৃত্যু হলো, তখন তারা মাঠে নিয়ে এলো জঙ্গিবাদের ইস্যু! প্রচার শুরু করল, বিএনপি জঙ্গিদের মদত দেয়, জঙ্গিদের লালন করে ইত্যাদি। এটি তারা দেশের বাইরে এবং ভেতরে ব্যাপক পরিসরে প্রচার করেছে এবং মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু আসল সত্য হলো, বিএনপি জঙ্গিদের কঠোর হাতে দমন করেছে; তাদের গ্রেফতার করে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। এই ইস্যু যখন হালে পানি পেল না, তখন তারা নিয়ে এলো যুদ্ধাপরাধ ইস্যু! বিএনপি যে কাজেই হাত দেয়, তারা যুদ্ধাপরাধের ইস্যুটি সামনে নিয়ে আসে এবং সগৌরবে প্রচার চালায়, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য তা করছে। এখন যুদ্ধাপরাধ ইস্যুটিও যখন মাঠে ভাত পাচ্ছে না, তখন তারা মহাসমারোহে আমদানি করেছে পাকিস্তানের আইএসআই'র টাকার ইস্যু! এই মিথ্যা কথাটিও বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য তারা মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে দিচ্ছে!
লক্ষণীয়, দুবাইয়ের ইংরেজি দৈনিক খালিজ টাইমসের ৩ মার্চ তারিখের প্রকাশিত একটি সংবাদের সূত্র ধরে ১৯৯১ সালে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই খালেদা জিয়াকে নির্বাচনী তহবিলে পাঁচ কোটি রুপি দিয়েছিল বলে সরকারের শীর্ষ মহল এবং তাদের সমর্থিত দৈনিকে অপপ্রচার চালাতে শুরু করে! কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে খালিজ টাইমস ও প্রথম আলোতে প্রতিবাদ পাঠানোর পর ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের জন্য ডেইলি স্টার দুঃখ প্রকাশ করে। তাছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও সুস্পষ্টভাবে এই খবরের সত্যতা অস্বীকার করে। তারপরও আওয়ামী কৌশল থেমে নেই! আওয়ামী নেতৃত্ব তাদের স্বভাবসুলভ ভাষায় এই কাজটি করেই যাচ্ছে। অর্থাত্ বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে। কারণ এটি তাদের পরিকল্পিত ও বানানো কৌশল; তাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এটি তারা চালিয়েই যাবে।
দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় ঊর্ধ্বগতি ও গ্যাস-বিদ্যুত্-পানি সঙ্কটে যখন জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত, আইনশৃঙ্খলার সীমাহীন অবনতিতে সাধারণ মানুষ তো বটেই, সাংবাদিক সমাজও যখন রাজপথে নেমে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি খুঁজে বেড়াচ্ছে, শেয়ার মার্কেট বিপর্যয়ে দেশের সার্বিক অর্থনীতি যখন দেউলিয়ার পর্যায়ে উপনীত হয়েছে, মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠছে এবং মানুষ দিশাহারা হয়ে সরকার পতন আন্দোলনে রাজপথে নামার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে—ঠিক এমনই একসময় সরকার সমুদ্রমামলায় জয়ের নামে 'আরব্য রজনী'র গল্প সাজিয়ে মানুষের সামনে আবির্ভূত হয়েছে। আর আমাদের সুযোগ্য বিরোধী দলও এ ব্যাপারে যাচাই না করেই সরকারকে সমুদ্রমামলায় সার্টিফিকেট দিয়ে দিয়েছে! আর যায় কোথায়! শুরু হলো দেশজুড়ে সমুদ্রজয়ের মহোত্সব! অন্যদিকে পত্র-পত্রিকা ও বিদেশি নিউজে দেখছি, মিয়ানমারেও সমুদ্রজয়ের উত্সব হচ্ছে! এখন প্রশ্ন হলো, একটা মামলায় কি উভয়পক্ষই জিতে? তাহলে হারল কে? এক পক্ষ জয়ের উত্সব করলে, নিশ্চয় অন্যপক্ষ হেরেছে। আর উভয়পক্ষ উত্সব করলে বুঝতে হবে, এখানে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। ব্যাপারটি পুরোপুরি বুঝতে দেশবাসীকে আরও কিছুদিন হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়েছে যে, সমুদ্রমামলার রায়কে শাসক দল সমুদ্রজয় আখ্যা দিয়ে তা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে!
শাসক দল মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করিয়ে দিয়েছে সমুদ্রজয়ের গল্প আর আইএসআই'র কল্পিত টাকার দিকে! মানুষকে আওয়ামী লীগ বুঝিয়ে দিয়েছে, বিএনপি বিদেশিদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে আর আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় জিতে, সমুদ্রজয় করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করি! একেই বলে রাজনীতি! এই কূটচালের রাজনীতির মাধ্যমে সর্বদিক দিয়ে বিপর্যস্ত সরকার রাজনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা বিরাট সুযোগ পেয়ে গেছে! আর সমুদ্রমামলায় বিএনপি ধন্যবাদ দিয়ে সরকারকে ঘুরে দাঁড়াতে নিদেনপক্ষে সাহায্য করেছে! পরে বিএনপি ধন্যবাদ প্রত্যাহার করে নিলেও সরকারের যা অর্জন হওয়ার তা হয়ে গেছে। সরকার মারাত্মক চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে!
সরকার যে চাপ থেকে বেরিয়ে এসেছে তার নমুনা হলো, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে দলীয় বিবেচনায় পাইকারি হারে বিস্মিত হওয়ার মতো পৌনে এক ডজন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া! যারা এই ব্যাংকগুলোর অনুমোদন পেয়েছেন তারা সবাই সরকারি দলের লোক! এর মধ্যে একজন আছেন মহাজোটের অংশীদার। একটি সরকার চাপে থাকলে কোনোভাবেই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কেননা, তাতে নিঃসন্দেহে সরকারের জন্য একটি ভয়ানক ঝুঁকি থেকে যায়। ঝুঁকি থেকে যায় এই কারণে যে, অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলো কার্যক্রমে যেতে ন্যূনতম প্রাথমিক মূলধন প্রয়োজন প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর মালিক সরকারি দলের লোকজন হওয়ায়, দেশবাসী স্বাভাবিকভাবেই জানতে চাইবে এত বিশাল অঙ্কের টাকা তারা পেল কোথায়! ঝুঁকিটা এখানেই।
সরকার দেশের জন্য ভালো কিছু করে থাকলে, বিরোধী দলের কাছ থেকে অবশ্যই ধন্যবাদ পেতে পারে; কিন্তু সেক্ষেত্রে বিরোধী দলকে অবশ্যই ব্যাপারটি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে, দেখতে হবে সরকার এটাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করবে কিনা। একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের এই পরিপকস্ফতা থাকা অবশ্যই অপরিহার্য; কিন্তু বিএনপি এক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিপকস্ফতা দেখাতে পারেনি! এখানে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে অনেক লস করেছে!
একটা বিষয় ভাবতে অবাক লাগে বিএনপি সরকারের কাছ থেকে রাজনৈতিক সুবিধা কীভাবে আদায় করবে! আওয়ামী লীগের মতো একটি ফ্যাসিবাদী দলের কাছ থেকে কোনো রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করতে হলে দলটিকে রাজনৈতিক চাপে না ফেলে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আর বিএনপি যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে, তাকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক পরিপকস্ফ সিদ্ধান্ত বলা যাবে না।
উল্টো হামলা-মামলা, গুম-গ্রেফতার করে এবং যুদ্ধাপরাধ, দুর্নীতির ইস্যুসহ বিভিন্ন ননইস্যুকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে সারাক্ষণ বিএনপিকে ভয়ানক তটস্থ ও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রেখেছে সরকার!
বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়েও বাঁচতে পারছে না! বাঁচতে পারছে না জোটের অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরাও! এভাবে পথ চললে কি শাসক দলের কাছ থেকে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায় করা সম্ভব? সম্ভব একটি পক্ষপাতহীন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা? যারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলছেন, আগামীতে উনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনি মন্ত্রী হবেন—তারা কি বাস্তবতার নিরিখে তা বলছেন? ব্যাপারটি কি এতই সহজ? না, ব্যাপারটি এত সহজ নয়; ব্যাপারটি যে সহজ নয় এটি বোঝাতে গেলে লেখার পরিধি আরও বড় করতে হবে। তবে সংক্ষেপে এটুকুই বলছি, এর জন্য অনেকদূর পথ পাড়ি দিতে হবে; অনেক কাঠ-খড়ও পোড়াতে হবে!
চলমান রাজনীতিতে শাসক দল অত্যন্ত সক্রিয়! তারা ঘরে বসে নেই, তারা প্রাণান্তকর চেষ্টা করছে চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে; এতে তারা কোনো মহলের কাছ থেকে কোনো বাধা পাচ্ছে না, তারা সামনে যেটা পাচ্ছে সেটাকেই রাজনৈতিক ইস্যু বানাচ্ছে বিরোধী দলকে ঘায়েল করতে। যাতে উল্টো বিরোধী দলই চাপের মধ্যে থাকে! এক্ষেত্রে সরকার সফল হলেও বিরোধী দলের অবস্থা খুবই করুণ! বিরোধী দলের উচিত সরকারের চাপগুলো চিহ্নিত করা এবং চাপগুলো একত্রিত করে আরও বড় ধরনের চাপের কৌশল প্রণয়ন করা। যাতে বিরোধী দলের নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নিতে সরকার বাধ্য হয়।
লেখক : কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
belaYet_1@yahoo.com
 
 farid Hossain


 

To:
From: manik195709@yahoo.com
Date: Tue, 17 Apr 2012 12:30:01 -0700
Subject: [Progressive-Muslim] মৃত বঙ্গবন্ধু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শক্তিশালী !!

 
মৃত বঙ্গবন্ধু জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে শক্তিশালী !!

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও মেহেরপুরে মানুষের ঢল
মুজিবনগর দিবসে যুদ্ধাপরাধীর বিচার দ্রুত সম্পন্ন, সরকারী ছুটি ঘোষণা ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার দাবি
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা, মুজিবনগর দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারী ছুটি ঘোষণা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জোর দাবির মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস।
দেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের ৪১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঐতিহাসিক এ দিনটি স্মরণে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি স্মৃতিবিজড়িত মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননেও জাতীয়ভাবে নানা কর্মসূচী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিটি অনুষ্ঠানেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসে সরকারী ছুটি ঘোষণার দাবি উঠেছে।
মেহেরপুরের মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, একাত্তরের মুজিবনগর সরকার কোন বিপ্লবী বা অস্থায়ী সরকার ছিল না, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রথম সাংবিধানিক সরকার ছিল। জ্ঞানপাপিরা ইতিহাস বিকৃত করেছে। যার কারণে আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারিনি। দেশের সব সরকারের ধারাবাহিকতায় এই মুজিবনগর সরকার। সাংবিধানিকভাবে মুজিবনগর আম্রকাননে প্রথম বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছিলেন। বিরোধীদল যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের ইচ্ছামতো ইতিহাস বিকৃত করেছে। এ সরকার আর কোন ইতিহাস বিকৃত করতে দেবে না।
এদিকে ঢাকায় ভোরে ধানম-ির ৩২ নম্বর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী সেখানে এক মিনিট নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, প্রতিমন্ত্রীগণ এবং দলীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সতীশ চন্দ্র রায়, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমেদ হোসেন, মেজবাহউদ্দিন সিরাজ, স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, মৃণাল কান্তি দাস, অসীম কুমার উকিল, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, একেএম রহমতউল্লাহ এমপি, আখতারুজ্জামান, মির্জা আজম এমপি, সুজিত রায় নন্দী, এনামুল হক শামীমসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ধানম-িতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে তিন জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সমাধিতে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় কবর জিয়ারতসহ বিদেহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতারা সেখানে চিরনিন্দ্রায় শায়িত আরেক জাতীয় নেতা এইচএম কামরুজ্জামানের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মানুষের ঢল
সকাল থেকেই আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন ছাড়াও অসংখ্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং সর্বস্তরের মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণ। সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে ধানম-ির ৩২ নম্বর সড়ক ও এর আশপাশের এলাকা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন ত্যাগ করার পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সকলের জন্য উš§ুক্ত করে দেয়া হয়। এরপর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। এছাড়া স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, মৎস্যজীবী লীগ, যুব শ্রমিক লীগ, হকার্স লীগ, তাঁতী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, মোটরচালক লীগ, ওলামা লীগ, জাতীয় বিদ্যুত শ্রমিক লীগ, ছিন্নমূল হকার্স লীগ, বাস্তুহারা লীগ, জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, বঙ্গবন্ধু শিল্পী গোষ্ঠী, মুক্তিযোদ্ধা ঐক্যজোট, রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগ, নির্মাণ শ্রমিক লীগসহ অসংখ্য দল ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।
এ সময় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজার হাজার নারী-পুরুষের কণ্ঠে উচ্চারিত হতে থাকে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু', 'জামায়াত-শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়', 'যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই দিতে হবে', 'মুজিবের বাংলায় খুনীদের ঠাঁই নাই' ইত্যাদি।

মুজিবনগরে মানুষের ঢল
মেহেরপুরের মুজিবনগর বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে মুজিবনগর দিবসের মূল কর্মসূচী পালিত হয়। সেখানে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, শেখ হাসিনা মঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গার্ড অব অনার প্রদান ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হয়।
মেহেরপুর থেকে ফজলুল হক জানান, সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক সাহান আরা বানু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিনের কর্মসূচী সূচনা করেন। বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বেলা সোয়া ১১টায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। পতাকা উত্তোলন শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন নেতারা। খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপির পরিচালনায় আলোচনাসভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশন করা হয়।
পরে শেখ হাসিনা মঞ্চে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খালেদা জিয়ার প্রথম প্রেম হলো পাকিস্তান। তাই তিনি পাকিস্তানকে ভুলতে পারেন না। খন্দকার মুশতাক আহাম্মেদ জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছিল। আজকের বেইমান খালেদা জিয়া। শেখ হাসিনা সব হারিয়ে গণতন্ত্রকে ধরে রেখে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। মানুষকে জিম্মি করে হাওয়া ভবন তৈরি করেননি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছিলেন একটি বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা সমুদ্র জয় করে দিয়েছেন আরেকটি বাংলাদেশ।
মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পদত্যাগ করে ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়েছে। এ সরকার যে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না তার প্রমাণ মিলেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয় তার প্রমাণ মিলবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া স্বাধীনতার ৪১ বছরে একবারও মুজিবনগরে আসেনি। বিএনপি আইএসআইর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তার জন্য খালেদা জিয়াকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা না থাকলে যুদ্ধাপরাধের বিচার কেউ করবে না। কাজেই শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমরা আর জাতির পিতার মতো শেখ হাসিনাকে হারাতে চাই না। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সাবধানবাণী: বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই সাইটের কোন উপাদান ব্যবহার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___