The Money spent by India for Awami League's win has already been recovered by Benia India
‘বিএনপি নয় আওয়ামী লীগই বস্তায় টাকা এনে নির্বাচন করেছে’
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই পাশ্ববর্তী দেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা এনে ক্ষমতায় এসেছে। আর এ তথ্য দিয়েছে বিশ্বের মর্যাদাবান ইংরেজি পত্রিকা ইকোনমিস্ট।’
৭ মার্চের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি এনে ক্ষমতায় এসেছিলেন।’ ‘আওয়ামী লীগ দেশ বিক্রি করছে’- বিএনপির এ বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেছিলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা।’ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এসব বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বিএনপির উদ্যোগে কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে তারেক রহমানের পঞ্চম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইমলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফা প্রমুখ।
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া আইএসআই’র টাকা নিয়ে নির্বাচন করেছেন। আমি তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাছি। প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে রাজনীতি করে না। সারা বিশ্বের ইংরেজি পত্রিকার মধ্যে মর্যাদাবান ইকোনমিস্ট পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে, পাশ্ববর্তী দেশ থেকে বস্তায় বস্তায় টাকা এনে আপনারাই নির্বাচন করেছেন। সুতরাং বিএনপি সম্পর্কে অবান্তর, অবাস্তব, কাল্পনিক কথা বলবেন না। বেশি বললে শেষ পর্যন্ত দেখবেন কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপ বেড়িয়ে আসতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আনন্দ বাজার পত্রিকায় লিখেছে, দিল্লি হাসিনার পাশে থাকবে। জনগণ জানে, কার লাটাইয়ের সুতা কোথায় বাঁধা আছে।’
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক ভয়াবহ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সেদিন তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। তারেক রহমান রাজনীতিতে নতুন সৃজনশীল ধারা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন বলেই টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন। তারেক রহমানের মেরুদÐ যারা ভেঙেছেন, তারা বাংলাদেশের মেরুদÐ ভেঙে দিয়েছেন।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘১২ মার্চের মহাসমাবেশকে সামনে রেখে যে কাজ শুরু করেছেন, যে অপকর্মগুলো করছেন এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যখন টের পেয়েছে, মহাসমাবেশ জনতার মহাসমুদ্রে পরিণত হবে, তখন বানচাল করার জন্য অপচেষ্টা শুরু করেছে। নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। বাস দেবে না, হোটেলে সিট দেবে না, কমিউনিটি সেন্টার দেবে না।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এসব করে কি নদীর স্রোত ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন? পাকিস্তান আমলে পারেনি, এরশাদ পারেননি, আপনারাও পারবেন না।’
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আজ সকালে আমার বন্ধু আওয়ামী লীগের এক নেতা ফোন করে আমাকে বলেছেন, গতকাল আমরা দেখিয়ে দিলাম। আমি বললাম, কি দেখালে? তিনি বললেন, মিছিল করলাম। পরক্ষণেই তিনি বললেন, আমরা মিছিল করলাম ঠিকই। কিন্তু জনমত তোমাদের পক্ষে।’
মির্জা আলমগীর বলেন, এই মহাসমাবেশের পরে আরো বড় আন্দোলন আসবে। সেই আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকারের জন্য সব নেতা-কর্মীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজপথে এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে যে, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণ আপনাদের প্রশংসা করবে।’
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমানের সঙ্গে আমরা চম্পাকলি সেলে ছিলাম। তাকে সুস্থ অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেলেও তিন দিন পরে কি অবস্থায় নিয়ে এসেছে, তা সবাই জানে। তার মেরুদÐ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে স্বনির্ভর দেখতে চান না, দেশ অর্থনৈতিকভাবে সফল হোক চান না, তারাই শহীদ জিয়াকে হত্যা করেছিলেন।’
তিনি বলেন, মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার যেমন শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফসল ছিলো, তেমনিভাবে মইন-ফখরুদ্দিন নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিং’র মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে গেছেন।
ড. মোশাররফ বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকদের দিনে দুপুরে ডাকাতির ফলে শেয়ার বাজারের ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী পথে বসেছেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন, বেডরুমে পাহারা দিতে পারবেন না। তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, গুলশানে সৌদি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি কি বেডরুমে ছিলেন? আমিন বাজারে ৭ ছাত্র, চাঁদপুরে বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। তারা কি বেডরুমে ছিলেন?’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, বাংলাদেশের উজানে যতো নদী আছে সবগুলোতে ভারত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে মরুভূমি করে মারবে।’
তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে এই সরকার ভীত হয়ে গেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, আগামী দিনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের কোনো প্রার্থীর জামানত থাকবে না। সেজন্য নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ছলে বলে কৌশলে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশনেত্রীর ডাকে সারা দেশের মানুষ ঢাকা আসার জন্য প্রস্তুত। তারা ঢাকা এসে আওয়াজ তুলবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অনিশ্চিত হওয়ায় দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। উস্কানিমূলক কথা বার্তা বলে তারা রাজনীতিকে আরো অস্থির করতে চায়?
ড. খন্দকার মোশররফ বলেন, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করলে শুধু পরাজয় নয়, তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ১২ মার্চ ঢাকা মহানগরী মহাসমাবেশের নগরীতে পরিণত হবে। এই কর্মসূচিতে যদি বাধা দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ সরকার পতনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১২
৭ মার্চের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র কাছ থেকে ৫ কোটি রুপি এনে ক্ষমতায় এসেছিলেন।’ ‘আওয়ামী লীগ দেশ বিক্রি করছে’- বিএনপির এ বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আরো বলেছিলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা।’ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এসব বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার বিএনপির উদ্যোগে কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে তারেক রহমানের পঞ্চম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইমলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফা প্রমুখ।
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া আইএসআই’র টাকা নিয়ে নির্বাচন করেছেন। আমি তার এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাছি। প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে রাজনীতি করে না। সারা বিশ্বের ইংরেজি পত্রিকার মধ্যে মর্যাদাবান ইকোনমিস্ট পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে, পাশ্ববর্তী দেশ থেকে বস্তায় বস্তায় টাকা এনে আপনারাই নির্বাচন করেছেন। সুতরাং বিএনপি সম্পর্কে অবান্তর, অবাস্তব, কাল্পনিক কথা বলবেন না। বেশি বললে শেষ পর্যন্ত দেখবেন কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপ বেড়িয়ে আসতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আনন্দ বাজার পত্রিকায় লিখেছে, দিল্লি হাসিনার পাশে থাকবে। জনগণ জানে, কার লাটাইয়ের সুতা কোথায় বাঁধা আছে।’
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিক ভয়াবহ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সেদিন তারেক রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। তারেক রহমান রাজনীতিতে নতুন সৃজনশীল ধারা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন বলেই টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন। তারেক রহমানের মেরুদÐ যারা ভেঙেছেন, তারা বাংলাদেশের মেরুদÐ ভেঙে দিয়েছেন।’
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘১২ মার্চের মহাসমাবেশকে সামনে রেখে যে কাজ শুরু করেছেন, যে অপকর্মগুলো করছেন এটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার যখন টের পেয়েছে, মহাসমাবেশ জনতার মহাসমুদ্রে পরিণত হবে, তখন বানচাল করার জন্য অপচেষ্টা শুরু করেছে। নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। বাস দেবে না, হোটেলে সিট দেবে না, কমিউনিটি সেন্টার দেবে না।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এসব করে কি নদীর স্রোত ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন? পাকিস্তান আমলে পারেনি, এরশাদ পারেননি, আপনারাও পারবেন না।’
মির্জা আলমগীর বলেন, ‘আজ সকালে আমার বন্ধু আওয়ামী লীগের এক নেতা ফোন করে আমাকে বলেছেন, গতকাল আমরা দেখিয়ে দিলাম। আমি বললাম, কি দেখালে? তিনি বললেন, মিছিল করলাম। পরক্ষণেই তিনি বললেন, আমরা মিছিল করলাম ঠিকই। কিন্তু জনমত তোমাদের পক্ষে।’
মির্জা আলমগীর বলেন, এই মহাসমাবেশের পরে আরো বড় আন্দোলন আসবে। সেই আন্দোলনে ত্যাগ স্বীকারের জন্য সব নেতা-কর্মীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। রাজপথে এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে যে, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে।
তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণ আপনাদের প্রশংসা করবে।’
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমানের সঙ্গে আমরা চম্পাকলি সেলে ছিলাম। তাকে সুস্থ অবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেলেও তিন দিন পরে কি অবস্থায় নিয়ে এসেছে, তা সবাই জানে। তার মেরুদÐ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে স্বনির্ভর দেখতে চান না, দেশ অর্থনৈতিকভাবে সফল হোক চান না, তারাই শহীদ জিয়াকে হত্যা করেছিলেন।’
তিনি বলেন, মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার যেমন শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফসল ছিলো, তেমনিভাবে মইন-ফখরুদ্দিন নির্বাচনী ইঞ্জিনিয়ারিং’র মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে গেছেন।
ড. মোশাররফ বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকদের দিনে দুপুরে ডাকাতির ফলে শেয়ার বাজারের ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী পথে বসেছেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন, বেডরুমে পাহারা দিতে পারবেন না। তাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, গুলশানে সৌদি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তিনি কি বেডরুমে ছিলেন? আমিন বাজারে ৭ ছাত্র, চাঁদপুরে বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। তারা কি বেডরুমে ছিলেন?’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, বাংলাদেশের উজানে যতো নদী আছে সবগুলোতে ভারত আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশকে মরুভূমি করে মারবে।’
তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে এই সরকার ভীত হয়ে গেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, আগামী দিনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের কোনো প্রার্থীর জামানত থাকবে না। সেজন্য নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ছলে বলে কৌশলে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়।
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশনেত্রীর ডাকে সারা দেশের মানুষ ঢাকা আসার জন্য প্রস্তুত। তারা ঢাকা এসে আওয়াজ তুলবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন অনিশ্চিত হওয়ায় দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। উস্কানিমূলক কথা বার্তা বলে তারা রাজনীতিকে আরো অস্থির করতে চায়?
ড. খন্দকার মোশররফ বলেন, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করলে শুধু পরাজয় নয়, তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ১২ মার্চ ঢাকা মহানগরী মহাসমাবেশের নগরীতে পরিণত হবে। এই কর্মসূচিতে যদি বাধা দেওয়া হয়, তাহলে মানুষ সরকার পতনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১২
__._,_.___