অবশেষে সৌদিতে অবৈধ সকল বাংলাদেশী কর্মী বৈধতা পেয়েছেন
ফিরোজ মান্না ॥ অবশেষে সৌদি আরবে বাংলাদেশের অবৈধ সব কর্মী বৈধতা পেয়েছেন। তাদের আকামা বা চাকরির মেয়াদ বৈধ করার কাজ রবিবার শেষ হয়েছে। বাংলাদেশের ৭ লাখ কর্মী এই সুযোগে বৈধ হয়েছেন। এর পরও অন্য দেশের অবৈধ কর্মীদের ওপর আজ সোমবার থেকে সৌদি পুলিশের ১২টি টিম অভিযান চালাবে। এই টিমগুলোতে ১২শ' পুলিশসহ অন্য সংস্থার সদস্যরা কাজ করবেন। সৌদি আরবে বিভিন্ন দেশের প্রায় ৪০ লাখ প্রবাসী বৈধতার দেয়ার সময়সীমা ৩ নবেম্বর শেষ হয়েছে। সৌদি বাদশার বিশেষ ক্ষমার আওতায় এসব কর্মী বৈধতা পেলেন।
বাংলাদেশের সাড়ে ৭ লাখ কর্মীও নতুন পাসপোর্ট দেয়ার কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস গত কয়েক মাসে ৭ লাখ বৈধতা দেয়ার কাজ শেষ করেছে। তিন লাখ কর্মীর পাসপোর্ট ও বাকি সাড়ে ৩ লাখ পাসপোর্টের বাইরে কনসুলার অফিসে বিভিন্ন কাগজপত্র ঠিক করার জন্য জমা দিয়েছে। তারাও যথাসময়ে বৈধতা পেয়েছেন। এ জন্য জেদ্দা ও রিয়াদে বাংলাদেশ কনসুলার অফিসে ৭ লাখ কর্মীর পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র বৈধ করার জন্য দেশ থেকে বাড়তি ২ শ' কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠানো হয়েছিল। তারা দিনরাত কাজ করে সৌদিতে অবৈধ ৭ লাখ কর্মীকে বৈধ করছেন।
সেদেশের পরিদর্শন ও কাজের পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি আবু থুনাইন বলেন, সৌদি আরবে মোট ৩৯ লাখ ২২ হাজার ৯২৬ জন প্রবাসী বৈধতা পেতে সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন। ১১ লাখ ২২ হাজার ১২৫ জন প্রবাসী তাদের আকামা ঠিক রেখে পেশা পরিবর্তন করেছেন। ১১ লাখ ৮৩ হাজার ২২ জন তাদের ভিসা ঠিক রেখে কফিল (স্পন্সর) পরিবর্তন করেন। এ ছাড়া ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৭৯ জন সৌদি বাদশার বিশেষ ক্ষমার মধ্যে তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ আকামা ইস্যু ও নবায়ন করতে পেরেছে। নির্মাণ খাতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শ্রমিক বৈধ হয়েছে যার পরিমাণ ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮শ', তার পরের অবস্থানে আছে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসা খাতে। এই খাতে মোট বৈধতা পেয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ১৭২ জন, খাদ্য বিভাগে ৬০ হাজার ৩৩৫ জন এবং শিল্প খাতে ৬০ হাজার ১০১ জন শ্রমিক বৈধ হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, সৌদিতে বাংলাদেশের প্রায় ২৬ লাখ কর্মী কাজ করেন। এর মধ্যে ৭ লাখ কর্মী বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে পড়েন। পরে সৌদি বাদশার বিশেষ ক্ষমায় গত ৬ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ বিদেশী কর্মী আকামা ট্রান্সফার, পেশা পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈধ হয়েছেন। এর পরও আরও প্রায় ২০ লাখ কর্মী তাদের আকামা ট্রান্সফার, পাসপোর্ট, ভিসা দিতে পারছিল না বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। পরে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধে আরও চার মাস সময় বাড়ানোর হয়েছে। সাধারণ ক্ষমার শেষ সময় ৩ নবেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বাংলাদেশের সাড়ে তিন লাখ কর্মীর নতুন পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। বাকি সাড়ে তিন লাখ কর্মীর নতুন পাসপোর্টের দরকার নেই। তাদের বৈধতার জন্য কনসুলার অফিসে কিছু কাগজপত্র ঠিক করলেই তারা সেখানে বৈধ হয়ে যাবেন। তবে কোন কর্মীই একাধিক চাকরি করতে পারবেন না। একাধিক চাকরি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। যদি কোন কর্মী এ ধরনের কাজ করেন তাহলে দেশে বেশকিছু কর্মী ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা কোন ভয়ের কারণ হবে না। এটা চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখতে হবে। আমরা দূতাবাসের মাধ্যমে কর্মীদের এ বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছি। কেউ যেন একাধিক কাজ বা পারটাইম কাজ না করেন।
অন্যদিকে ৩ নবেম্বর বৈধ হওয়ার সময়সীমা পার হওয়ার পর থেকে অবৈধ কর্মীদের বিরুদ্ধে সৌদি পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালাবে। যদি কোন কর্মীর সব তথ্য বা ডাটা বাংলাদেশ দূতাবাস ও সৌদি কর্তৃপক্ষ সারভারে না পান তাহলে ওই কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠাবেন। আবার জেলেও যেতে হতে পারে। যেসব কর্মী পারটাইম চাকরি করবেন তাদের সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হবে। এমন প্রায় এক লাখের বেশি কর্মী সেখানে পারটাইম কাজ করেন। যারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চাকরি করেন তাদের জন্য কোন অসুবিধা হবে না। একটা চাকরির মধ্যেই যাতে কর্মীরা কাজ করেন সেজন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বেতন বাড়ানোর চিন্তা করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১৯ জুন সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা আরও তিন মাস বৃদ্ধির আবেদন জানান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. নাজিরবিন ওবায়েদ মাদানির সঙ্গে দেখা করে তিনি সময়সীমা বৃদ্ধির এ আবেদনের কথা জানান। বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্য শ্রমিক প্রেরণকারী দেশ ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্সসহ সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরাও সময়সীমা বৃদ্ধির এ আবেদন জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সর্ববৃহত শ্রমিক প্রেরণকারী দেশ সৌদি আরবে প্রায় ২৬ লাখ বাংলাদেশী কর্মী বাস করেন। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ কর্মী অবৈধভাবে দেশটিতে বাস করছেন। ২০০৯ সাল থেকেই দেশটিতে বাংলাদেশীদের কাজের অনুমতিপত্র পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের সাড়ে ৭ লাখ কর্মীও নতুন পাসপোর্ট দেয়ার কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস গত কয়েক মাসে ৭ লাখ বৈধতা দেয়ার কাজ শেষ করেছে। তিন লাখ কর্মীর পাসপোর্ট ও বাকি সাড়ে ৩ লাখ পাসপোর্টের বাইরে কনসুলার অফিসে বিভিন্ন কাগজপত্র ঠিক করার জন্য জমা দিয়েছে। তারাও যথাসময়ে বৈধতা পেয়েছেন। এ জন্য জেদ্দা ও রিয়াদে বাংলাদেশ কনসুলার অফিসে ৭ লাখ কর্মীর পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র বৈধ করার জন্য দেশ থেকে বাড়তি ২ শ' কর্মকর্তা-কর্মচারী পাঠানো হয়েছিল। তারা দিনরাত কাজ করে সৌদিতে অবৈধ ৭ লাখ কর্মীকে বৈধ করছেন।
সেদেশের পরিদর্শন ও কাজের পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি আবু থুনাইন বলেন, সৌদি আরবে মোট ৩৯ লাখ ২২ হাজার ৯২৬ জন প্রবাসী বৈধতা পেতে সাধারণ ক্ষমা পেয়েছেন। ১১ লাখ ২২ হাজার ১২৫ জন প্রবাসী তাদের আকামা ঠিক রেখে পেশা পরিবর্তন করেছেন। ১১ লাখ ৮৩ হাজার ২২ জন তাদের ভিসা ঠিক রেখে কফিল (স্পন্সর) পরিবর্তন করেন। এ ছাড়া ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৭৯ জন সৌদি বাদশার বিশেষ ক্ষমার মধ্যে তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ আকামা ইস্যু ও নবায়ন করতে পেরেছে। নির্মাণ খাতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক শ্রমিক বৈধ হয়েছে যার পরিমাণ ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৮শ', তার পরের অবস্থানে আছে পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসা খাতে। এই খাতে মোট বৈধতা পেয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ১৭২ জন, খাদ্য বিভাগে ৬০ হাজার ৩৩৫ জন এবং শিল্প খাতে ৬০ হাজার ১০১ জন শ্রমিক বৈধ হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান জনকণ্ঠকে বলেন, সৌদিতে বাংলাদেশের প্রায় ২৬ লাখ কর্মী কাজ করেন। এর মধ্যে ৭ লাখ কর্মী বিভিন্ন কারণে অবৈধ হয়ে পড়েন। পরে সৌদি বাদশার বিশেষ ক্ষমায় গত ৬ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ বিদেশী কর্মী আকামা ট্রান্সফার, পেশা পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈধ হয়েছেন। এর পরও আরও প্রায় ২০ লাখ কর্মী তাদের আকামা ট্রান্সফার, পাসপোর্ট, ভিসা দিতে পারছিল না বিভিন্ন দেশের দূতাবাস। পরে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধে আরও চার মাস সময় বাড়ানোর হয়েছে। সাধারণ ক্ষমার শেষ সময় ৩ নবেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বাংলাদেশের সাড়ে তিন লাখ কর্মীর নতুন পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। বাকি সাড়ে তিন লাখ কর্মীর নতুন পাসপোর্টের দরকার নেই। তাদের বৈধতার জন্য কনসুলার অফিসে কিছু কাগজপত্র ঠিক করলেই তারা সেখানে বৈধ হয়ে যাবেন। তবে কোন কর্মীই একাধিক চাকরি করতে পারবেন না। একাধিক চাকরি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। যদি কোন কর্মী এ ধরনের কাজ করেন তাহলে দেশে বেশকিছু কর্মী ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এটা কোন ভয়ের কারণ হবে না। এটা চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই দেখতে হবে। আমরা দূতাবাসের মাধ্যমে কর্মীদের এ বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করছি। কেউ যেন একাধিক কাজ বা পারটাইম কাজ না করেন।
অন্যদিকে ৩ নবেম্বর বৈধ হওয়ার সময়সীমা পার হওয়ার পর থেকে অবৈধ কর্মীদের বিরুদ্ধে সৌদি পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালাবে। যদি কোন কর্মীর সব তথ্য বা ডাটা বাংলাদেশ দূতাবাস ও সৌদি কর্তৃপক্ষ সারভারে না পান তাহলে ওই কর্মীকে দেশে ফেরত পাঠাবেন। আবার জেলেও যেতে হতে পারে। যেসব কর্মী পারটাইম চাকরি করবেন তাদের সবচেয়ে বেশি অসুবিধা হবে। এমন প্রায় এক লাখের বেশি কর্মী সেখানে পারটাইম কাজ করেন। যারা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চাকরি করেন তাদের জন্য কোন অসুবিধা হবে না। একটা চাকরির মধ্যেই যাতে কর্মীরা কাজ করেন সেজন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বেতন বাড়ানোর চিন্তা করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত ১৯ জুন সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা আরও তিন মাস বৃদ্ধির আবেদন জানান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. নাজিরবিন ওবায়েদ মাদানির সঙ্গে দেখা করে তিনি সময়সীমা বৃদ্ধির এ আবেদনের কথা জানান। বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্য শ্রমিক প্রেরণকারী দেশ ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্সসহ সৌদি আরবের ব্যবসায়ীরাও সময়সীমা বৃদ্ধির এ আবেদন জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশের সর্ববৃহত শ্রমিক প্রেরণকারী দেশ সৌদি আরবে প্রায় ২৬ লাখ বাংলাদেশী কর্মী বাস করেন। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ কর্মী অবৈধভাবে দেশটিতে বাস করছেন। ২০০৯ সাল থেকেই দেশটিতে বাংলাদেশীদের কাজের অনুমতিপত্র পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
__._,_.___