Banner Advertise

Tuesday, July 30, 2013

[chottala.com] RE: আওয়ামী আমলে আইনের শাসন? "তাহলে দুই খান কথা আছে"



Zainul Bhai:

মাছের মাথায় পচন ধরলে যেমন পুরু মাছটি নষ্ট হয়ে যায়, তেমনি আওয়ামী লীগ পুরু পঁচে গেছে। মাথা মানে হাসিনা একজন ধুর্গন্ধযুক্ত পঁচা নেত্রী। অন্যরা তাহলে আর কি হবে?
Shahadat
 
এত উন্নয়ন করে কী হবে? ভোট তো পাই না।'
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী : কখনও কখনও স্তম্ভিত হয়ে যাই। কখনও কখনও আমাদের দেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের বক্তব্যে ঠিক দিশা করে উঠতে পারি না যে এরা  প্রকৃতিস্থ আছেন কি নেই। কিংবা গণতন্ত্রের ন্যূনতম বিষয়াদি সম্পর্কেও তাদের কোনো ধারণা আছে কি নেই। এর আগে শ্রদ্ধেয় গবেষক রাজনীতিক শিক্ষাবিদ বদরুদ্দীন উমর এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, দেশে এখন উন্মাদের শাসন চলছে। বদরুদ্দীন ওমর কখনোই বাত কি বাত কিংবা মুখ ফসকানো কথা বলেন না। তিনি যা বলেন চিন্তা করে, হিসেব করেই বলেন। তখনো মনে হয়েছিলো শ্রদ্ধেয় বদরুদ্দীন উমরই সত্য। উন্মাদের শাসনই চলছে। এখন বোধ করি, সে উন্মাদনা আরো বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ কথা আকস্মিকভাবে মনে হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ঘটনা এবং সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের কিছু বক্তব্য আমাদের তেমনি মনোভাব পোষণে বাধ্য করছে। তার ভেতরে কোনো স্বাভাবিকতা, গণতন্ত্রপ্রিয়তা, সহনশীলতাÑ কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। আগের ঘটনা আরো চমকপ্রদই ছিলো। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনারা কি হাতে চুড়ি পরে থাকেন? একটি লাশ ফেললে ১০ টি লাশ ফেলে দেবেন। অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই হোক আর প্রতিপক্ষের সাথে বিবাদেই হোক, আওয়ামী লীগের যদি একজন কর্মীও নিহত হয়, তাহলে তারা যেন প্রতিপক্ষের ১০ জনকে খুন করে। এ কথাটিও স্বাভাবিক ছিল না। কথাটি সুস্থ মস্তিস্ক-প্রসূত হতে পারে না। সত্যি যদি এরকম ঘটত, তাহলে বাংলাদেশ খুনের উৎসবে ইতিমধ্যে জনশূন্য হয়ে পড়ত। এদেশের উর্বর মাটি সে লাশের ভার বইতে পারত কিনা সন্দেহ।
সে তো আগের আমলের ঘটনা। আমরা আশা করেছিলাম, রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী আরও পরিপক্বতা অর্জন করেছেন। এ কথা সত্য যে, যদি তাকে আঁতাতের মাধ্যমে নির্বাচন করতে না হতো, প্রকৃতপক্ষেই জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে হতো, তাহলে হয়তো আমরা সেই পরিপক্বতার দৃষ্টান্ত পেতাম। কিন্তু আঁতাতের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার ফলে সে পরিপক্বতা অর্জন তার জন্য প্রয়োজনীয় হয়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হলে জনগণের কাছে যেতে হয়। তাদের মন মানসিকতা বুঝতে হয়। তাদের চাহিদা, দাবি-দাওয়া, আকাক্সক্ষার সঙ্গে একাত্ম হতে হয়। শেখ হাসিনার সরকারকে তার কোনো কিছুই করতে হয়নি। ফলে তিনি  চরম উচ্ছৃংখল আচরণ করতে শুরু করেন। তার দলের লোকেরা যখন লাশ ফেলতে শুরু করল, তখন তিনি ঐ লাশ ফেলার পক্ষে হাজার রকম যুক্তি উপস্থাপন করতে শুরু করলেন। কখনও তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের যে ব্যক্তি খুন করেছে তার পিতাকে রাজাকাররা খুন করেছে। অতএব এখন যে কোনো লোককে খুন করার অধিকার তার আছে। এটিকেও বোধ করি পাগলের প্রলাপ বলে অভিহিত করা যায়। 
এটি ঘটেছিল নাটোরের বড়াই গ্রামের পৌরসভা মেয়র হত্যার সময়। যার বাবাকে কথিত রাজাকাররা খুন করেছিলো। তার বয়স তখন মাত্র কয়েক বছর হওয়ার কথা। আর নিহত পৌরসভা মেয়র মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্মগ্রহণই করেননি। তারপরেও প্রধানমন্ত্রী নিজে কোনো ব্যক্তির হাতে হত্যার অধিকার তুলে দিয়ে গৌরব বোধ করেছেন। কিন্তু রাষ্ট্র তো ব্যক্তিকে হত্যার অধিকার দেয় না। যদি কারো স্বজন খুন হন, তবে তিনি আদালতে সে খুনের বিচার চাইবেন। আদালত তার বিচার করবেন। তিনি যদি সরাসরি খুনী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের দেশের আইনে আদালত তাকে মৃত্যুদ- দিতে পারে। সেভাবেই খুনের বদলা হয়। কিন্তু লাশ ফেলে দেয়া কিছুতেই আইনের শাসন নয়। যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন, সেখানে অন্য নাগরিকের কাছ থেকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা আশা করা যায় না। এতে সমাজে ব্যাপক অরাজকতার সৃষ্টি হয়। গত সাড়ে চার বছরে সরকার তেমন এক ভয়াবহ অরাজকতাই সৃষ্টি করেছেন।
সে অবস্থা বাড়তে বাড়তে এখন এক উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। যেন উন্মাদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আফগানিস্তানে বাদশা আমানুল্লাহর পতনের পর এক ডাকাত দল রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলো। সে ডাকাত দলের সর্দারের নাম ছিলো বাচ্চায়ে শকাব। সে ক্ষমতা গ্রহণ করে খুন-খারাবি, লুণ্ঠন, খেয়ালখুশি মতো আইন জারি করে মাস খানেকের মধ্যে পুরো সমাজ একেবারে তচনছ করে দিয়েছিলো। এখন দেশে যেন সেই বাচ্চায়ে শকাবের শাসন চলছে। সরকার ভাবতে শুরু করেছে যে, এই রাষ্ট্র ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই ভূমি, এইসবটুকুই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আর জনগণ যেন তাদের দাসানুদাস প্রজা। সম্রাটের কথার বাইরে যদি প্রজা যায়, তাহলে তার কপালে দুঃখ আছে। সেই অবর্ণনীয় দুঃখের ভার এখন আমরা প্রতিটি নাগরিক বয়ে বেড়াচ্ছি। সে ভার ক্রমশই দুঃসহ হয়ে ওঠছে। ১৬ কোটি মানুষ যদি এই দুঃসহ বোঝার ভার সরকারের মাথার ওপর ছুঁড়ে ফেলে দেন, তবে যে এই সরকার ধূলোয় মিশে যাবে, সে কা-জ্ঞান সরকারের লুপ্ত হয়েছে।
অতিসম্প্রতি সংঘটিত কয়েকটি উদাহরণ দিলে এর একটি খ- চিত্র পাওয়া যেতে পারে। তা হলো, (১) মেধাবী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত দৃষ্টিকটু মনোভঙ্গি। কোটা ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজ দলের লোকদের সরকারি চাকরিতে ঢোকানোর যে মহাপরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে, তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি প্রতিবাদে নেমেছিলো মেধাবী ছাত্ররা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)-এর চাকরি ক্ষেত্রে দেখা গেলো যে, পরীক্ষায় ৮০ নম্বর পেয়েও কেউ কেউ পাস করতে পারেনি। আবার ৫০ নম্বর পাওয়া অনেককেই পাস করিয়ে দেয়া হয়েছে। আর কোটা ব্যবস্থা খেয়ে ফেলছে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ চাকরি। এরই প্রতিবাদে একদিন রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত শাহবাগ চত্বরে অবস্থান নিয়েছিলো মেধাবী শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা ব্যবস্থার বাতিলের দাবি জানাচ্ছিলো। সরকার প্রজন্ম চত্বর নামে শাহবাগে এক বান্দরের খেলার আয়োজন করেছিলো। প্রায় মাস দেড়েক ধরে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ও মদদে সে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হয়। সন্দেহ নেই, এই দীর্ঘ সময় ধরে শাহবাগ এলাকায় অবস্থিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালসহ পুরো ঢাকা শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। সরকার খাদ্য দিয়ে, পানি দিয়ে, সিসি ক্যামেরা বসিয়ে, ভ্রাম্যমান টয়লেট বসিয়ে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলো। কিছু অপগত লোক সেখানে গান-বাজনা, ঢোল-ডাগড়া বাজিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নেমেছিলো। করতালি দিতে গিয়ে হাজির হয়েছিলো সরকার দলীয় লোকেরা। ভারত থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছিলো আরও কিছু খোল-করতাল বাঁদর। খোদ ভারত সরকারের প্রতিনিধি বলেছিলেন, প্রজন্ম চত্বরের এই সং-যাত্রার প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে। এটি বেশ ভালো কথা। কারণটা কি? কারণটা নাকি তারুণ্যের উত্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তার মন পড়ে থাকে শাহবাগে। আর কী দারুণ ব্যবস্থা! শাহবাগীরা অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারের উপর সরকার হয়ে উঠলো।
তারা বলল, ঘরে ঘরে মোমবাতি জ্বালাও। মোমবাতি জ্বালিয়ে দেয়া হলো। তারা বলল, স্কুল-কলেজে জাতীয় পতাকা তোলো। জাতীয় পতাকা উঠে গেলো। তারা বললো, সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা তোলো। সরকার জাতীয় পতাকা তুলে দিলো। নাটক এই পর্যন্ত হলে বোধ করি এ বিষয়ে আর কোনো কথা থাকতো না। কিন্তু এক সময় দেখা গেলো এই শাহবাগীরা মুক্তিযুদ্ধের নামে ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্লগে উচ্চারণ-অযোগ্য কটূক্তি করতে শুরু করে দিল। আর এর ভেতর দিয়েই ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সংগঠন হেফাজতে ইসলামের উত্থান ঘটলো। সঙ্গতভাবেই বলা যায়, যদি শাহবাগীদের এই উত্থান না ঘটানো হতো তাহলে হয়তো এমন তীব্র আকারে হেফাজতে ইসলামের উত্থান ঘটতো না। খানিকটা প্রসঙ্গান্তরে এসে গেছি।
আমরা আলোচনা করছিলাম মেধাবী ছাত্রদের নিয়ে। তারা শাহবাগে একদিন বিক্ষোভ করেছিলেন মেধার স্বীকৃতির দাবিতে। কিন্তু রাষ্ট্রশক্তির চোখে তা ছিল যার পর নাই ঔদ্ধত্য। মেধা আছে, অথচ রাষ্ট্রশক্তির অনুগত নয়, এমন মেধার চাইতে রাষ্ট্রশক্তির অনুগত মেধাহীন অস্ত্রবাজরাই সরকারের কাছে অধিক প্রিয় হয়ে ওঠে। আর তাই, দ্বিতীয় দিন তাদের শাহবাগে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি। পুলিশ আর ছাত্রলীগ মিলে ধুম পিটিয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করে দিয়েছিল। এতে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না।
আমরা ভেবেছিলাম, সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেধাবীদের জন্য একটি সম্মানজনক সুরাহার কথা বলবেন। কিন্তু বেলারুশে ভাগ্নির বিয়ে থেকে ফিরে তিনি এমন কথা বলে বসলেন যাতে চমকে উঠতে হলো। বিসিএস পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা রাস্তায় গাড়ি ভাংচুর করে, স্থাপনা ধ্বংস করে, তারা কীসের মেধাবী? মেধাবীরা এ ধরনের কাজ করতে পারে না। যারা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত, তাদের পিএসসির অধীনে কোনো চাকরি হবে না। যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করেছে, তা-ব চালিয়েছে, তাদের ছবি সংরক্ষণ করে পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। ছবি দেখে ভাইভা নেয়া হবে। তাদের পাবলিক সার্ভিস কমিশনে চাকরি হবে না। যারা মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে খাটো করে দেখতে চায়, গাড়ি ভাঙচুর করে, তাদের চাকরি হওয়ার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, কোটা পদ্ধতি নিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে। মেয়েদের কোটা দেয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কিসের আন্দোলন? মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে মুক্তিযোদ্ধাদের খাটো করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা যদি ঝুঁকি নিয়ে দেশ স্বাধীন না করতো, তাহলে পাবলিক সার্ভিস কমিশনই হতো না। তাদের অবদানকে খাটো করার জন্য কেন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে? মেধাবী ছাত্ররা গাড়ি পোড়ায় না। উচ্ছৃংখল হতে পারে না। এরা কি চাকরি পাওয়ার যোগ্য? তাদেরকে যারা উস্কানি দিচ্ছে, তারা কি আগামীতে রাজাকার, আল বদর কোটা দিয়ে দেশ চালাবে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীরা এদের উস্কানি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আন্দোলন করে অন্যের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। যারা গাড়ি ভাঙচুর করে, স্থাপত্য ভাঙচুর করে, তারা কতটুকু মেধাবী? তাদের মেধা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ কথার মধ্যে যতটুকু আবেগ আছে তার সামান্যও যুক্তি নেই। এবং তা প্রকৃতস্থ কথাও নয়। দেশের শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, জাতির উন্নতি চাইলে মেধার মূল্য দিতেই হবে। মেয়েরা অনেক এগিয়ে গেছে। তাদের আর কোটার প্রয়োজন নেই। তারা পুরুষকে ডিঙিয়ে প্রতিযোগিতায়ই অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারেন। মুক্তিযোদ্ধাদের বেলায় যা সত্য ছিল, তা তাদের ছেলে মেয়ে, নাতি-নাতনীদের ব্যাপারে প্রযোজ্য হতে পারে না। আর বহু মুক্তিযোদ্ধা নিতান্তই দিন-মজুর ছিলেন। রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। তারা কোটার খবর রাখেন না। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য লড়াইয়ের ডাকে তারা শরীক হয়েছিলেন, দায়িত্ব হিসেবে। যুদ্ধ শেষ হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। তাদের কর্তব্য সাধিত হয়েছে। তারা আবার স্ব স্ব পেশায় ফিরে গেছেন। কোনোদিন কোটার খবর নেননি। পাকিস্তানীদের হেফাজতে থেকে শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার বড় বেশি খবর নিচ্ছেন।
এরপর ২৪ জুলাই কালের কণ্ঠ খবর দিয়েছে যে, "তিন সিটি উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত/ প্রধানমন্ত্রী বললেন, অনুমোদন দিলে নির্বাচিতরা বসে বসে খাবেন।" ঐ খবরে বলা হয়েছে, বরিশাল, সিলেট ও খুলনার উন্নয়নে নেয়া দু'টি প্রকল্প অনুমোদন করেনি জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী ২৮২ কোটি টাকা খরচে বরিশাল ও সিলেট মহানগরীর রাস্তাঘাট উন্নয়ন, পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন এবং ৮১ কোটি টাকার খুলনা রেল স্টেশন ও ইয়ার্ডের রিমডেলিং এবং বেনাপোল রেল স্টেশন উন্নয়ন বরাদ্দ স্থগিত করে দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এত উন্নয়ন করে কী হবে? ভোট তো পাই না। আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের এত কাজ করি, অথচ জনগণ আমাদের উন্নয়ন দেখে না। আর ভোটই যদি না পাই, তাহলে কার জন্য উন্নয়ন করবো?" তিনি বলেন, এ দুটো প্রকল্প অনুমোদন দিলে, যারা নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তারা এই ঘরে বসে বসে খাবেন। এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আরও নানা ধরনের অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক কথাবার্তা বলেন। এর প্রধান কারণ সম্ভবত এই যে, এই তিনটি সিটি করপোরেশনসহ মোট পাঁচটি সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত জোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। জনগণ কেন শেখ হাসিনার দলকে ভোট দিল না, তার মাশুল হিসেবে তাদের করপোরেশনে উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেয়া হলো। এ উন্নয়ন কাজ যদি হতো, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দলের লোকদের যারা ভোট দিয়েছিল, সেই বিপুল সংখ্যক লোকও উপকৃত হতো। তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী কী বাণী পৌঁছাবেন, বলা দুষ্কর।
আপাতত সর্বশেষ আরও একটি অপ্রকৃতস্থ সমালোচনা আমরা করতে চলেছি। আর তা হলো, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনগুলোতে সরাসরি মেয়র পদে নির্বাচনে যেহেতু আওয়ামী লীগ একেবারেই জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে, অতএব চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে যে, সরাসরি জনগণের ভোটে মেয়র নির্বাচন আর নয়। ষাটের দশকের জেনারেল আইয়ূব খানের মৌলিক গণতন্ত্রের ধারায় দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সে ধারা হলো, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রথমে কাউন্সিলর নির্বাচিত হবে। অর্থাৎ কমিশনার। এই কমিশনাররা ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচন করবে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি এমন কি কোটি টাকার ঘুষ দিয়েও একজন কমিশনারকে কিনে নিতে পারেন, তাহলে জয় তার সুনিশ্চিত। জনগণ বড় বাজে ব্যাপার। শত উন্নয়ন করলেও ভোট দিতে চায় না। ধিক্ এই জনগণকে।
এর সকল কিছু উন্মাদ কর্মকা- বলে প্রতিভাত হচ্ছে। সরকার সম্ভবত নিজেও জানে না, তারা কোথায় যেতে চায়, কী পেতে চায়, কী করতে চায়। ক্ষমতা যে পেতে চায় তা বুঝি। কিন্তু অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ক্ষমতা পেতে চাই। জনগণ-ফনগণ বুঝি না। তাই কি কখনও হয়? অতীতেও হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না। জনগণ যাতে ভোট দেয়, সরকারকে সেই মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

 

Date: Tue, 30 Jul 2013 13:48:53 -0700
From: zainul321@yahoo.com
Subject: Re: আওয়ামী আমলে আইনের শাসন? "তাহলে দুই খান কথা আছে"
To: shahadathussaini@hotmail.com; bangladeshiamericans@googlegroups.com

Salam and thank you Shadat bhai,

I was apprehending something about MP Roni.  He was talking too much, I was sure will not be tolerated!

He should not have done anything with the "journalists" ( I bracketed, because some are more politic than journalist).

Khoda Hafez,

Zainul





From: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>
To: bangladeshi googlesgroups <bangladeshiamericans@googlegroups.com>; "khabor@yahoogroups.com" <khabor@yahoogroups.com>; alochona <alochona@yahoogroups.com>; Sayeda Haq <sayedahaq@yahoo.com>; chottala yahoogroups <chottala@yahoogroups.com>; mokto mona <mukto-mona@yahoogroups.com>; bangladesh-progressives googlegroups <bangladesh-progressives@googlegroups.com>; saokot hossain <saokot_nccbl@yahoo.com>; Farzana Ahmed <farzana.ahmed48@yahoo.com>; farida <farida_majid@hotmail.com>
Sent: Sunday, July 28, 2013 12:38 PM
Subject: আওয়ামী আমলে আইনের শাসন? "তাহলে দুই খান কথা আছে"

আওয়ামী আমলে আইনের শাসন? "তাহলে দুই খান কথা আছে"  
শুধুমাত্র রনিকেই গ্রেপ্তার করলেই কি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলো?
 
তাহলে অন্যদের ক্ষেত্রে এমনটি ঘটলো না কেন ?
 
(1) আওয়ামী লীগ এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার মনিপুর হাইস্কুলে টেলিভিশনের একজন মহিলা রিপোর্টারের গালে চড় মেরে ছিলেন। ঐ মহিলা টেলিভিশন সাংবাদিকের অপরাধ ছিলো এই যে তিনি কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি'র নিকট থেকে একটি তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। মনিপুর হাইস্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হলেন মিরপুর থেকে আওয়ামী লীগ টিকেটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব কামাল আহমেদ মজুমদার। গত বছর মনিপুর হাইস্কুলে যখন ভর্তি চলছিলো তখন সেখানে শুরু হয় ভর্তি বাণিজ্য। ছাত্রীদের একটি ভর্তি ফি রয়েছে। কিন্তু ঐ স্কুলে দেখা যায় যে এডমিশন ফি যে অংকের, বাস্তবে এডমিশন করতে গিয়ে তার চেয়ে অনেক বেশী টাকা আদায় করা হচ্ছে। কেন, কোন আইনে এবং কোন বিবেচনায় এমন অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে, সেটি ঐ টিভি রিপোর্টার জানতে চেয়েছিলেন কামাল মজুমদারের কাছে। এই জানতে চাওয়াটাই হয়েছিলো বিরাট অপরাধ। তাই পুরুষ হওয়া সত্ত্বেও কামাল মজুমদার মহিলার গায়ে হাত তুলেছেন। এখানে আইনের শাসন কোথায় গেলো?
 প্রায় এক বছর হতে চললো, কামাল মজুমদারের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়া হয়নি কেন?
 
(2) টেকনাফের এমপি হলেন আওয়ামী লীগের আব্দুর রহমান বদি। ২০০৯ সালে টেকনাফে একটি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো। সেই ভোটকেন্দ্রে আব্দুর রহমান বদি গমন করেন এবং তিন জন যুবককে মারধর করেন। যুবকদের অপরাধ ছিলো এই যে ওরা ভুয়া ভোট দানের বিরোধিতা করছিলো। সেই অভিযোগে বদি মিয়া এমপি ঐ যুবকদেরকে কষে চড় মারেন। এই মারধরের জন্য বদি মিয়ার আজও কিছু হয়নি।
 
(3) ২০১১ সালের জুলাই মাসে পাবনার আওয়ামী লীগ এমপি গোলাম ফারুক খন্দকার জেলা প্রশাসকের অফিসে হামলা চালান। জেলা প্রশাসকের অপরাধ ছিলো এই যে তিনি এমপি গোলাম ফারুকের অন্যায় দাবি মানতে পারছিলেন না। গোলাম ফারুকের দাবি ছিলো এই যে লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই তার ক্যাডারদেরকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে হবে। এ ব্যাপারে যে লিখিত পরীক্ষা হচ্ছিল সে পরীক্ষা হলের পরিদর্শক ছিলেন একজন মহিলা। আওয়ামী লীগের এমপি ঐ মহিলা পরিদর্শককেও ধমকা-ধমকি করেন। ডিসি সাহেবকে অপমান করার প্রতিবাদে অন্যান্য সরকারী অফিসাররা আওয়ামী এমপি'র নিন্দা করেন এবং কর্মবিরতি পালন করেন। তখন  প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম পাবনা যান এবং এমপি'র কেশাগ্র স্পর্শ না করে জেলা প্রশাসককে বকাবকি করেন।
 
(4) ভোলার এমপি নুরুন্নবী শাওনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি তার লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে গুলী করে একজন পার্টি কর্মীকে হত্যা করেন। ঢাকার প্রায় সমস্ত পত্র পত্রিকায় একাধিক দিবস নুরুন্নবীর অপকীর্তি ফলাও করে প্রকাশ করেন। আজ পর্যন্ত নুরুন্নবী শাওনের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি।
 
(5) ২০১০ সালের জুন মাসে আশুলিয়াতে আওয়ামী লীগের এমপি মিরপুরের ইলিয়াস মোল্লা একজন পুলিশের গালে চপেটাঘাত করেন। এ ব্যাপারেও ইলিয়াস মোল্লা আজও অক্ষত রয়েছেন। একই বছর অর্থাৎ ২০১০ সালের আগস্ট মাসে যশোরের এমপি শেখ আফির উদ্দিন একজন পুলিশ অফিসারকে প্রহার করেন। কিন্তু এ প্রহারের কারণে আফির উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
 
(6) গত বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে একটি ঘটনা আজও সকলের মনে আছে। ঐ ঘটনাটির আলোকচিত্র দেশের একাধিক বহুল প্রচারিত একটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিলো। ঐ ছবিতে দেখা যায় যে গফরগাঁওয়ের এমপি গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন এমপি গিয়াস উদ্দিন তার পিস্তল দিয়ে জনতার উদ্দেশ্যে গুলী করেন। জনতার উদ্দেশ্যে গুলী বর্ষণরত গিয়াস উদ্দিন এমপির ছবি ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ দৈনিক সমূহে ছাপা হয়েছিলো। কিন্তু তার পরেও গিয়াস উদ্দিনের কেশাগ্র স্পর্শ করা হয়নি।
 
কাহিনীর এখানেই শেষ নয়।
 
(7) নেত্রকোনার পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন আহমদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য তার পরিবার থেকে সন্দেহের আঙ্গুল নির্দেশ করা হয় সরকার দলীয় এমপি মুশতাক হোসেন রহির দিকে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন তদন্ত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়নি।
 
(8) রাজশাহীর আওয়ামী লীগ এমপি মিরাজ উদ্দিন মোল্লা রেল গাড়ির ড্রাইভারকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন। এমপি মিরাজ মোল্লার এই মাস্তানির প্রতিবাদে রেলের কর্মচারীরা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানালেও সরকার তাদের দাবির প্রতি কোন কর্ণপাত করেনি।
 
(9) পাবনার আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি প্রিন্স রেলের গার্ডকে মারধর করেন। তিনি পাবনা থেকে ঢাকায় আসবেন, তাই তিনি গার্ডকে বলেছিলেন ট্রেন দেরি করে ছাড়ার জন্য। গার্ড তার কথা না শোনায় তাকে বেদম প্রহার করা হয়।
 
(10) বরিশালের এমপি মনিরুল ইসলাম তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে প্রতিবাদী জনগণকে পিটিয়েছিলেন। এ ব্যাপারেও সরকার নির্লিপ্ত থাকে।
 
(11) পিরোজপুরের এমপি এ কে এম আওয়াল তার এলাকার ২০ জন সাংবাদিককে হত্যা করার হুমকি দেন। সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর এবং সূত্রাপুরে মামলা করেছেন। তার বিরুদ্ধে জমি দখল এবং চাঁদাবাজির কথা পত্র পত্রিকায় লেখা হলে তিনি সাংবাদিকদের ধরে পেটান।
 
(12) সাভারের এমপি তওহিদ মুরাদ জং বিশেষ বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি করছেন। রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে পালিয়ে যেতে তিনিই সাহায্য করেছিলেন। তার বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
 
(13) নরসিংদীর মন্ত্রী এবং এমপি রাজিউদ্দিন আহমদ রাজুর বিরুদ্ধে তার আপন ভাইয়ের মাধ্যমে নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমান হোসেনকে হত্যার অভিযোগ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বিপুল তোলপাড় হয়েছে। রাজু কিন্তু আজও অক্ষত রয়েছেন।
 
(14) মন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসেন এবং খামাখা মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্তÑ এই তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় দিনের পর দিন এবং মাসের পর মাস বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ অব্যাহতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধেই কোন অ্যাকশন নেয়া হয়নি।
 
(15) চট্টগ্রামের এমপি আব্দুল লতিফ যেমন মানুষকে পিটিয়েছেন তেমনি তিনি নিজেও মানুষের হাতে পিটুনি খেয়েছেন। কিন্তু কিছুই হয়নি চট্টগ্রামের এই এমপি'র।
 
(16) সিরাজগঞ্জের এমপি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নাই। কিন্তু কোন অভিযোগই সরকার গায়ে মাখেনি।
 
অথচ গোলাম মাওলা রনিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কোনরূপ তদন্ত ছাড়াই কাশিমপুর কারাগারে তাকে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নব নিযুক্ত তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই রনির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যারা প্রবীণ, অভিজ্ঞ এবং যারা অন্দরমহলের খবর কিছু রাখেন তারা প্রশ্ন করছেন যে, এর আগে ১৯ জন এমপি যা ইচ্ছে তাই করে গেলেন। তারাও মারপিট থেকে শুরু করে, পিস্তল থেকে  গুলী ছোঁড়া এবং খুন খারাবি সবই করেছেন। সেক্ষেত্রে তাদের ১৯ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে হঠাৎ করে রনির বিরুদ্ধে কেন অ্যাকশন নেয়া হলো? (প্রিয় পাঠক, আমরা কিন্তু রনির বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়ার বিরোধী নই। বরং এই প্রাথমিক অ্যাকশন তার যৌক্তিক পরিণতি পাক সেটাই আমরা চাই। আমরা এখানে শুধুমাত্র সরকারের অসঙ্গতি দেখাচ্ছি)।
 
Compiled from Daily Newspapers.
--
--
* Disclaimer: You received this message because you had subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England". Any posting to this group is solely the opinion of the author of the messages to BangladeshiAmericans@googlegroups.com who is responsible for the accuracy of his/her information and the conformance of his/her material with applicable copyright and other laws where applicable. The act of posting to the group indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator(s). To post to this group, send email to BangladeshiAmericans@googlegroups.com.
To unsubscribe from this group, send email to BangladeshiAmericans-unsubscribe@googlegroups.com
For more options, visit this group at http://groups-beta.google.com/group/BangladeshiAmericans?hl=en ].
 
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladeshi-Americans Living in New England" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladeshiamericans+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/groups/opt_out.
 
 




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___