Banner Advertise

Tuesday, February 12, 2013

[chottala.com] Re: Hasina's golden boy's(Chatro L:eague cadres) in action again. BM C olle ge Principal Shonkor Chondra manhandled



বিএম কলেজের অধ্যক্ষকে পিটিয়ে গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ

জি.এম. বাবর আলী, বরিশাল
  
 
166
 
»
দক্ষিণ বাংলার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান বিএম কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করতে এসে প্রথম দিন কোনো ফুলেল শুভেচ্ছা পাননি প্রফেসর শঙ্কর চন্দ্র দত্ত। তার পরিবর্তে তার সমর্থিত দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ গতকাল তাকে বেদম পিটিয়ে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এ ঘটনায় কলকাঠি নেড়েছেন বিদায়ী অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএম কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক শঙ্কর চন্দ্র দত্ত গতকাল সকাল ১১টার দিকে কলেজে যোগদান করতে আসেন। কিন্তু গেট পর্যন্ত এলেই আন্দোলনরত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে ধাওয়া করে। নিজ ছাত্রদের ধাওয়ায় প্রাণ বাঁচাতে একপর্যায়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন নতুন অধ্যক্ষ। কিন্তু তারা ধাওয়া করে পরে কলেজ থেকে ২শ’ গজ দূরে নতুন বাজার এলাকায় তাকে বেদম মারধর করে। এ সময় অধ্যক্ষের সঙ্গে থাকা লোকজনের সহায়তায় পালিয়ে রক্ষা পান তিনি। ক্যাম্পাস এলাকায় পুলিশের অবস্থান থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে। সরাসরি কলেজে গিয়ে যোগদান করতে না পেরে এরপর ডিজি অফিসে গিয়ে যোগদান করেন তিনি।
সূত্র জানায়, দুর্নীতিবাজ হিসেবে অভিযুক্ত বিদায়ী অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাসের বদলি ঠেকাতে বিএম কলেজে ছাত্রলীগের নেতারা এ কাণ্ড ঘটায়। গতকাল আন্দোলন বিক্ষোভের নামে তারা ক্যাম্পাসে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, কলেজ পরিচালনায় নানা অনিয়মের কারণে অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাসকে খুলনার বিএল কলেজে অর্থনীতি বিভাগের প্রধান করে ৩০ জানুয়ারি বদলি করা হয়। তার বদলির খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে অবৈধভাবে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে গঠিত ছাত্রকর্ম পরিষদের নেতারা ক্যাম্পাসজুড়ে আন্দোলন শুুরু করে। আন্দোলনের নামে কলেজের প্রশাসনিক ভবনসহ ২১ অনুষদে তালাবদ্ধ করে রাখা। কলেজের কাছে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এছাড়া ২ সপ্তাহ ধরে ক্যাম্পাসে চলছে বিক্ষোভ ও সমাবেশ। অভিযোগ রয়েছে, এসব সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
ঐতিহ্যবাহী বিএম কলেজে টানা দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার পরিবেশ পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অব্যাহত এ তাণ্ডবে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সচেতন মহল। সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে বিএম কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ওই সভার একটি সূত্র জানায়, একাধিক বক্তা অস্থিতিশীলতা দূর করতে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের কামনা করেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এদিকে গতকাল ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নতুন অধ্যক্ষ প্রহৃত হওয়ায় বিভিন্ন মহলে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির বরিশাল বিভাগীয় শাখার আহ্বায়ক ও ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ মহসিন-উল ইসলাম হাবুল বলেন, আমরা এ কলেজের ছাত্র, বিএম কলেজ আমাদের ঐতিহ্য ও গর্ব। সেই কলেজে ক্ষমতাসীন দলের এক শ্রেণীর নেতাকর্মী যে তাণ্ডব চালাচ্ছে তা আমাদের হৃদয়কে রক্তাক্ত করছে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা একজন অধ্যক্ষকে যেভাবে ধাওয়া করে প্রহার করেছে তা লজ্জাজনক। তার মতে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একদল নেতাকর্মী ঐতিহ্যবাহী বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে এমন নৈরাজ্য সৃষ্টি করলেও তা নিরসনে মূল দলের কোনো নেতার ভূমিকা না থাকায় স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, এ ঘটনার পেছনে তাদেরও ইন্ধন রয়েছে।
একইভাবে সরকারি হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফজলুল হক বলেন, একজনের বদলি ও আরেকজনের যোগদানকে কেন্দ্র করে সংঘটিত বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক ও বিব্রতকর। এ ঘটনায় আমরা নিজেরাও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।
বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে চলমান আন্দোলন ও নতুন অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতারা। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজ আহমেদ বাবলু, বিএম কলেজ ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম ইয়াদ, ছাত্রশিবির বিএম কলেজ শাখার সভাপতি গাজী আবু মুসা ছাড়াও ছাত্রলীগের একাধিক নেতার মতে অবৈধভাবে গঠিত ছাত্র কর্মপরিষদ বিদায়ী অধ্যক্ষের সহায়তায় বাকসুর তহবিল থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা তছরুপ করেছে। তিনি অন্যত্র যোগদান করলে বিষয়টি উন্মোচিত হবে বলে আন্দোলনের নামে এ নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে।


বিএম কলেজের অধ্যক্ষকে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর
বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩
 
জিয়া শাহীন, বরিশাল থেকে: বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের নতুন অধ্যক্ষ প্রফেসর শংকর চন্দ্র দত্তকে মারধর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ছাত্র সংসদের আদলে গঠিত ছাত্রলীগ সমর্থিত অস্থায়ী ছাত্র কর্মপরিষদের নেতাকর্মীরা এ ঘটনা ঘটায় গতকাল দুপুরের দিকে কলেজ সংলগ্ন পেট্রল পাম্প এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অধ্যক্ষ শংকর চন্দ্র দত্ত তার নতুন কর্মস্থল বিএম কলেজে যোগ দিতে আসছেন এমন খবরে সকাল থেকে কলেজের সামনের রাস্তায় বেঞ্চ ফেলে ও টায়ারে অগ্নি সংযোগ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে কর্মপরিষদের নেতাকর্মীরা।
কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিএম কলেজে আসার সময় পেট্রল পাম্প এলাকায় পৌঁছালে কর্মপরিষদের সহ-সভাপতি ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈন তুষারের নেতৃত্বে কর্মপরিষদের নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষের ওপর হামলা চালায়। এসময় কর্মপরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের অপর যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাত, কর্মপরিষদের ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক জোবায়ের আলম, সদস্য সাদ্দাম হোসেন শোভন, ছাত্রলীগ ক্যাডার সোহাগ উপস্থিত ছিল। মারধরের পর তারা অধ্যক্ষকে তাড়িয়ে দেয়।
এব্যাপারে কর্মপরিষদের সহ-সভাপতি মঈন তুষার বলেন, অধ্যক্ষ শংকর চন্দ্র দত্তের ওপর হামলার খবর শুনেছেন। তবে সে সময় তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। সাধারণ ছাত্ররা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শামসুদ্দিন জানান, সকাল থেকে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন ছিল। এখনও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অধ্যক্ষ শংকর চন্দ্র দত্ত ক্যাম্পাসের বাইরে হামলার শিকার হয়েছেন।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০শে জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাসকে খুলনা সরকারি ব্রজলাল (বিএল) কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক পদে বদলি করে। আর বরিশালের চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শংকর চন্দ্র দত্তকে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ পদে বদলি করা হয়।
এ খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্রলীগ। ওই দিন সন্ধ্যায় কর্মপরিষদ নেতা মঈন তুষার ও নাহিদ সেরনিয়াবাতের নির্দেশে তাৎক্ষণিক কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে তারা। তারা টায়ার ও কাঠের বেঞ্চে অগ্নিসংযোগ করে। পরদিন ৩১শে জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় তাদের তাণ্ডব।
ননী গোপাল দাসের বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কলেজের প্রধান ফটক, প্রশাসনিক ভবন এবং ২১ বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় তারা। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম। লাঠি, হকিস্টিক, ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে কর্মপরিষদের নেতাকর্মীরা।

 


__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___