আবুল হোসেনেরই জয় হলো : পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারিতে জড়িত 'সাকো'র এমডি হলেন মন্ত্রী
এম আবদুল্লাহ
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণেও জয় হলো সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনেরই। অনেকটা নাটকীয়ভাবে মন্ত্রিত্ব পেলেন পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে পদত্যাগকারী সৈয়দ আবুল হোসেনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ। তিনি জাতীয় সংসদের যশোর-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য। একই সঙ্গে সৈয়দ আবুল হোসেন বর্তমান সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর সাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ভাগিয়ে নিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন মোস্তফা ফারুক। শুধু তা-ই নয়, যোগাযোগ খাতে ব্যবসারত সাকোর এমডি থাকা অবস্থায়ই বিধিবিধান লঙ্ঘন করে মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিরও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান করা হয় একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমডিকে।
পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে সাকোর নাম। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করার সময় যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করেছে, তার অন্যতম বহুল আলোচিত সাকো ইন্টারন্যাশনাল লি.। কেবল পদ্মা সেতুতেই নয়, ঢাকায় নির্মাণাধীন এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ একটি বিদেশি কোম্পানিকে পাইয়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও সাকোর অবৈধ তত্পরতা তখন ঝড় তুলেছিল। এছাড়া সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুত্ খাতের বহু প্রকল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাকোর সম্পৃক্ততা এবং কমিশনবাণিজ্যের পুরোটাই হয়েছে সদ্যনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের নেতৃত্বে।
সাকোর ওয়েবসাইটে এতদিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোস্তফা ফারুকের নাম, ছবি ও পদবি শোভা পেলেও গতকাল দেখা যায় ছবি নাম হাওয়া হয়ে গেছে। বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সচিত্র তালিকায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্থানটি গতকাল থেকে শূন্য দেখা যাচ্ছে। অবশ্য মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের পদবিসহ ছবিটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়ার আগেই ওয়েবপেজটি আমার দেশ-এর সংরক্ষণে রয়েছে।
এর আগে সৈয়দ আবুল হোসেন যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে সাকোর যোগাযোগ খাতে ব্যবসা বিষয়ে একটি প্রতিবেদনের জন্য গত বছরের ১৪ মে আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বলেছিলেন, 'সৈয়দ আবুল হোসেন সাকোর সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, আমিই সাকোর প্রধান নির্বাহী।' গতকাল মন্ত্রি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর সাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ছেড়েছেন কি না—জানার জন্য সেল ফোনে বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যোগাযোগের অব্যাহত চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে সাকোর নাম। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করার সময় যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিযুক্ত করেছে, তার অন্যতম বহুল আলোচিত সাকো ইন্টারন্যাশনাল লি.। কেবল পদ্মা সেতুতেই নয়, ঢাকায় নির্মাণাধীন এলিভিটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ একটি বিদেশি কোম্পানিকে পাইয়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও সাকোর অবৈধ তত্পরতা তখন ঝড় তুলেছিল। এছাড়া সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুত্ খাতের বহু প্রকল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাকোর সম্পৃক্ততা এবং কমিশনবাণিজ্যের পুরোটাই হয়েছে সদ্যনিযুক্ত মন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের নেতৃত্বে।
সাকোর ওয়েবসাইটে এতদিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোস্তফা ফারুকের নাম, ছবি ও পদবি শোভা পেলেও গতকাল দেখা যায় ছবি নাম হাওয়া হয়ে গেছে। বোর্ড অব ডিরেক্টরসের সচিত্র তালিকায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের স্থানটি গতকাল থেকে শূন্য দেখা যাচ্ছে। অবশ্য মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদের পদবিসহ ছবিটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়ার আগেই ওয়েবপেজটি আমার দেশ-এর সংরক্ষণে রয়েছে।
এর আগে সৈয়দ আবুল হোসেন যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে সাকোর যোগাযোগ খাতে ব্যবসা বিষয়ে একটি প্রতিবেদনের জন্য গত বছরের ১৪ মে আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বলেছিলেন, 'সৈয়দ আবুল হোসেন সাকোর সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, আমিই সাকোর প্রধান নির্বাহী।' গতকাল মন্ত্রি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর সাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ ছেড়েছেন কি না—জানার জন্য সেল ফোনে বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যোগাযোগের অব্যাহত চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
__._,_.___