Banner Advertise

Monday, August 13, 2012

[chottala.com] আওয়ামী লীগ õ 9;াড়া সবাই ইউ 472;ূসকে সম্মা&# 2472; করে



 

আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই ইউনূসকে সম্মান করে

Mon 13 Aug 2012 10:54 PM BdST

rtnnগ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিতর্ক থামছে না। এর অবসান প্রত্যেকে চান। কিন্তু কোথায় তার অবসান কেউ বলতে পারছেন না। এতদিন ক্ষুদ্র ঋণের জনক হিসেবে ইউনূস পরিচিতি পেলেও তার চেয়ে বরং এ তকমা বেশি দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। পরিস্থিতি এ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এ নিয়ে অবস্থান নিতে দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কি চায় তা এই গ্লোবাল ভিলেজের যুগে বলেও দিচ্ছে।

অন্যদিকে প্রধান বিরোধীদল বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ক্ষমতায় গেলে ইউনূসকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হবে। পরিষ্কার হয়ে গেছে ইউনূস দেশের চেয়ে বরং আন্তর্জাতিক বিশ্বে বেশি জনপ্রিয় ও সম্মানিত। ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলে গেছেন, যে দেশ গুণীর কদর দিতে জানে না .......। তাহলে কি ইউনূস খ্যাতির বিড়ম্বনায় পড়ে গেছেন। ইউনূসকে নিয়ে তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ এ সম্ভাষণ করার ফুরসত হয়ত আমাদের এখনো আসেনি। কিন্তু তাকে নিয়ে বিতর্ক যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠবে না তো।

এ বিষয়ে রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম-এর সাথে সাক্ষাতকারে বিশিষ্ট সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর বলেছেন, ইউনূসকে নিয়ে বিতর্কের অবসান হওয়া জরুরি। কারণ তা দেশের জন্য ক্ষতিকর। বরং ইউনূসকে জাতীয় গর্ব বলে মনে করা উচিত।

প্রশ্ন: গ্রামীণ ব্যাংক ও ইউনূস বিতর্ক কিভাবে দেখছেন?

আমানুল্লাহ কবীর : সরকারের তরফ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে তার কোনো ভিত্তি খুঁজে পাচ্ছি না। কেন সরকার বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে লেগেছে, একেবারে দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে লাগার কারণ বুঝছি না। কিন্তু আমি একটা জিনিস বুঝি যে, গুণ এবং গুণীর কদর আওয়ামী লীগ দিতে জানে না। আওয়ামী লীগ জানে না বলেই আজকে এমন একটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এবং এই বিতর্ক আমাদের দেশের জন্যে ক্ষতিকর এই কারণে যে এখন পর্যন্ত এমন কোনো ব্যক্তি নেই যিনি বিতর্কের উর্ধ্বে আছেন। সবাইকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বা বিতর্কের মধ্যে রয়েছেন।

ইউনূস নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তাকে বিতর্কের উর্ধ্বে রাখার কথা। আমরা তা পারিনি। গ্রামীণ ব্যাংক ও ইউনূসের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের এই যে ভাবমূর্তিটা তৈরি হয়েছে, তা কিন্তু এ বিতর্কে নষ্ট হচ্ছে। এবং এতে বিদেশি শক্তি বা বন্ধুগুলো খুবই ত্যক্ত বিরক্ত সরকারের ওপর। মার্কিন সিনেটররা প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিক্রিয়া দেখেছি। এ ধরনের প্রতিক্রিয়া কখনো ভাল হয়নি, খারাপই হয়েছে।

প্রশ্ন:
গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে উচ্চ হারে সুদ নেয়া বা গরীবকে শোষণের কথা বলা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে, এ অভিযোগ সম্পর্কে আপনি কি বলবেন?

আমানুল্লাহ কবীর: বিবিসির সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষাতকারে গ্রামীণ ব্যাংকের উচ্চ হারে সুদের কথা বলার পর তার একটা ব্যাখ্যা কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক বলছে উচ্চ হারে সুদের অভিযোগ সঠিক নয়। তার সুদের হার ৫ ও ২০। আর তা চলছে সরকারের ব্যাংকিং বিধির আওতায়। গ্রামীণ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে। গ্রামীণ ব্যাংক অতিরিক্ত হারে সুদ নিচ্ছে কি না তা দেখার বিষয়। এই যে ৪০, ৪৫ বা ৪৭ ভাগ হারে সুদের কথা বলা হচ্ছে তা কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক নিতে পারে না।

গ্রামীণ ব্যাংক একটা বিরাট কাজ করছে। এ ধরনের কাজ করতে গেলে ঘটনা বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে। ক্ষুদ্র ঋণের কারণে গ্রামের নারীদের ক্ষমতায়ন হয়েছে। গ্রামের জনশক্তিতে পরিবর্তন হয়েছে তা সেখানে গেলে বোঝা যায়। এটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

প্রশ্ন: সরকার যখন ক্ষুদ্র ঋণ বা উচ্চ হারে সুদের সমালোচনা করছে তাহলে এর বিকল্প কি করতে পারে?

আমানুল্লাহ কবীর: ক্ষুদ্র ঋণতো সরকার দেয় না। গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের একটা ক্ষুদ্র অংশীদারিত্ব আছে। কিন্তু মূল পরিকল্পনা বা তার বাস্তবায়ন করে থাকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিষদ। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তা হয়ে থাকে। গ্রামীণ ক্ষুদ ঋণের প্রচলন করে তার বেনিফিট সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এখন সরকার যখন গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ন্ত্রেণের চেষ্টা করছে তখন ঋণ গ্রহীতারা আপত্তি তুলেছে। তারা কিন্তু এটার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এসব ঋণ গ্রহীতাদের যেসব প্রতিনিধি ব্যবস্থাপনায় আছে তারাও এর বিরোধিতা করছে। অর্থাৎ গ্রামীণের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা সরকার করতে পারবে না।

প্রশ্ন:
অভিযোগ উঠেছে আগামী নির্বাচনে গ্রামীণ ব্যাংক সরকারের বিরুদ্ধে একটা ভূমিকা নিয়ে অবতীর্ণ হতে পারে, রাজনৈতিকভাবে সাংঘর্ষিক হয়ে ওঠার ক্ষমতা কি এনজিওগুলোর রয়েছে কি না?

আমানুল্লাহ কবীর: প্রশিকা কিন্তু গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছিল। এর বহু প্রমাণ পাওয়া গেছে, এ নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক তা করবে বলে মনে হয় না। গ্রামীণ ব্যাংকের কাজের ধরন বা পরিচালনা অন্য রকমের। সুতরাং নির্বাচনে গ্রামীণ ব্যাংক কারো পক্ষ নিয়ে কাজ করবে এটা মনে হয় না।

তবে বিভিন্ন এনজিও যাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার কথা তারা কিন্তু কোনো না কোনোভাবে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছে। এখন সম্পৃক্ত হবার ফলে তাদের সামনে একটা খারাপ উদাহরণ হল এই যে, প্রশিকা কিন্তু রাজনৈতিকভাবে এক্সপোসড হয়ে গেল, পরবর্তীতে প্রশিকা কিন্তু আর ভাল করতে পারেনি। তাই ভবিষ্যতে মনে হয় না আরো কোনো এনজিও এধরনের প্রকাশ্য রাজনৈতিক লাইন গ্রহণ করবে।

প্রশ্ন: পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ বাতিলের পেছনে ড. ইউনূসের হাত আছে এমন অভিযোগ উঠেছে। কি মনে করছেন আপনি এ বিষয়ে?

আমানুল্লাহ কবীর: এর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। ইউনূসকে এ জন্যে দোষারোপ করা চেষ্টা করা হচ্ছে, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্যে। অর্থাৎ সরকার তার নিজের লোকদের নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য ইউনূসের ঘাড়ে দায়-দায়িত্ব চাপানোর চেষ্টা করছে। এটা হচ্ছে মূল কারণ। ইউনূসের ঘাড়ে দায় চাপাতে পারলে নিজেরা ক্লিন হতে পারে। এক্ষেত্রে ইউনূস, যুক্তরাষ্ট্র বা বিশ্ব ব্যাংক নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

প্রশ্ন: এখনতো ইউনূসের সম্পদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে, পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভার কেউ নিজেদের সম্পদের হিসাব দিচ্ছে না কেন?

আমানুল্লাহ কবীর: ইউনূসের সম্পদের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেছে তিনি সরকারের কাছে ১০ কোটি টাকা পান। ওয়েজ আর্নার হিসেবে বা নোবেল পুরস্কার আনার সময় তিনি ক্লিয়ারেন্স নিয়েছেন। পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে এসব। তাকে ঝামেলায় ফেলতে এগুলো করা হচ্ছে। তাকে চরমভাবে হেনস্তা করার জন্যে এসব করা হচ্ছে।

আর সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা নিজেদের সম্পদের হিসেব দিলে তো ভাল উদাহরণ সৃষ্টি হত। তা করতে চাইলে সরকার ইউনূসের বিরুদ্ধে লাগবে কেন? ইউনূসকে জাতীয় গর্ব বলে মনে করা উচিত। বরং সরকার ইউনূসের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে দেশের স্বার্থে তাকে ব্যবহার করতে পারত। সরকার নিজের ইমেজ বাড়াতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সম্পদের হিসেব দেবে এটা অতীতেও দেখিনি এখনো মনে হয় না দেখব। রাজনৈতিক দলগুলোর এ কালচারই নেই।

তারা অন্যের হিসেব চাইতে পারে। কিন্তু সত্যিকারভাবে নিজেদের হিসেব দিতে গেলে বহুজন ফেঁসে যাবে। অনেকের অদৃশ্য আয় বের হয়ে পড়বে।

প্রশ্ন:
অর্থমন্ত্রী যখন বলছেন, ইউনূস দেশের জন্য ক্ষতিকর প্রচারণা চালাচ্ছেন, বিরোধীদলীয় নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ তখন বলছেন, ইউনূসের অপমানের জবাব জনগণ ব্যালটে দেবে, এটা কি সম্ভব?

আমানুল্লাহ কবীর: অর্থমন্ত্রী খুব ক্ষুব্ধ হয়ে এমন মন্তব্য করেছেন। সরকারের মনোভাব ক্ষোভের মাধ্যমে তিনি প্রকাশ করেছেন। দেশের বিরুদ্ধে ইউনূস কোন প্রচারণাটা চালালেন? ইউনূস একজন ব্যক্তি, যার সারা বিশ্বে একটা ইমেজ রয়েছে, জনপ্রিয়তা ও পরিচিতি রয়েছে। এটা মুহিতের কিংবা আমাদের প্রধানমন্ত্রীরও নেই। এখন ইউনূসের জনপ্রিয়তার কারণে যদি কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে থাকে, সেখানে তো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটবেই। অর্থমন্ত্রী তাই করেছেন। তিনি সুস্থ হয়ে তা বলেননি, পত্রিকার রিপোর্টেও দেখবেন লেখা হয়েছে, তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন......। গ্রামীণ ব্যাংক সরকার নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে এটা ঠিক। সরকার চেয়ারম্যান করে দেবে। সেই চেয়ারম্যান একটা প্যানেল করবেন। যে প্যানেল এমডি নিয়োগ দেবেন। এখন সরকার যদি চেয়ারম্যান করে দেয় তাহলে সেই চেয়ারম্যানের প্যানেলে কারা কারা থাকবেন তা বোঝা যাচ্ছে। আল্টিমেটলি সরকারের একজন লোককে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি করা হবে। এখন ইউনূস যদি এর বিরুদ্ধে কিছু বলে থাকেন তাহলে তা দেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা হল কিভাবে?

আর ক্ষমতায় যেয়ে নয়, বিএনপির এখনি ইউনূসকে সম্মানিত ব্যক্তির মর্যাদা দেয়া উচিত। কারণ আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশের সবাই ইউনূসকে জাতীয়ভাবে একজন সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে মনে করে।

রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম/বিশেষ প্রতিনিধি/আরআই_ ২২৫৫ ঘ.

 


__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___