Banner Advertise

Monday, August 6, 2012

[chottala.com] সেন্টার অব ô 7;ক্সিলেন্স` 80; প্রবক্তা ন&# 2495;জের চিকিৎস& #2494; করাতে সিঙ্ ;গাপুরে



সেন্টার অব এক্সিলেন্স`র প্রবক্তা নিজের চিকিৎসা করাতে সিঙ্গাপুরে
মাজেদুল নয়ন; স্টাফ করেসপন্ডেন্ট


বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ভিসি প্রাণ গোপাল ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল
আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া
ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি নিজে একাধিকবার ঘোষণা করেছেন ‘বিএসএমএমইউকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স’-এ পরিণত করবেন। হয়তো তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়েই এখানে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিরা তাদের শরীরে জটিল সব অপারেশন করিয়েছেন। এবং আরও অনেকেই করাবেন। অথচ এই ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্সের’ প্রতি ভিসি প্রাণ গোপালে‌র নিজেরই কোনো আস্থা নেই।

ভিসি প্রাণ গোপল ছাড়াও এই আস্থা না থাকাদের তালিকায় যোগ দিয়েছেন বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মজিদ ভূঁইয়াও। মেডিকেল চেক আপ করাতে তারা দু’জন এখন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।

আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেনও তাদের সহগামী হচ্ছেন ঈদের আগেই।

বিএসএমএমইউ’র রথী মহারথীদের এভাবে মেডিকেল চেক আপ করাতে সিঙ্গাপুর যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই বিএসএমএমইউ হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

এর সহজ অর্থ, দেশের বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন।

দেশের সর্বোচ্চ এ চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের শুধুমাত্র মেডিকেল চেক আপ করাতে এভাবে বিদেশে যাওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। দেশের চিকি‍ৎসাক্ষেত্রের শীর্ষ কুশীলবরা নিজেরাই যদি নিজেদের পরিচালিত হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর ভরসা রাখতে না পারেন, তাহলে দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থাটা কি দাঁড়ায় এ প্রশ্ন এখন অনেকেরই।

সোমবার সকালে হাসপাতালের বি ব্লকের ২য় তলায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপালের কক্ষে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। বাসায় ফোন করে জানা যায়, মেডিকেল চেক-আপ করানোর জন্যে রোববার সন্ধ্যায় প্রাণ গোপাল সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। ঈদের আগেই ফিরে আসবেন।

সম্প্রতি একটি সূত্র জানান, ৪ আগস্ট প্রাণ গোপালের সিঙ্গাপুরে মেডিকেল চেক আপ করাতে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্যে ছুটির দরখাস্ত দিয়েছেন তিনি। সত্যতা নিশ্চিত করতে গত বৃহস্পতিবার ফোন দিলে তিনি সূত্রকে বলেন, “রোববার ঢাকাতেই রয়েছি। তবে ৫ আগস্ট বিকালের পর হয়তো বাইরে যেতে পারি।”

বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, ২০১১ সালের মার্চ মাসেও মেডিকেল চেক আপ করানোর জন্যে সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন প্রাণ গোপাল দত্ত।

এদিকে, হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া গত মঙ্গলবার বিনা ছুটিতেই ১৪ দিনের জন্যে সিঙ্গাপুর চলে গেছেন। কোনো ধরনের ছুটি না নিলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে, পরিচালক মেডিকেল চেক আপ করাতেই সিঙ্গাপুর গিয়েছেন।

পরিচালকের অফিসে ফোন দিলে কর্মকর্তা তাহমিনা তানজিম বাংলানিউজকে বলেন, স্যার মেডিকেল চেক আপ করাতে সিঙ্গাপুর রয়েছেন। আগামী ১৫ বা ১৬ আগস্ট তিনি দেশে ফিরবেন।

সূত্রমতে, সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেনের মেডিকেল চেক আপ করাতে সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা এবং তিনি ছুটির জন্যে গত সপ্তাহে দরখাস্তও দিয়েছেন। তবে কোষাধ্যক্ষের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, স্যারের যাওয়া আপাতত স্থগিত রয়েছে। তবে ঈদের আগেই মেডিকেল চেক আপ করাতে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন তিনি।

দেশের স্বনামধন্য হাসপাতালের শীর্ষ ব্যক্তিদের শুধুমাত্র মেডিকেল চেক আপ করাতে বিদেশে যাওয়ার এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বর্তমানে চিকিৎসা সেক্টরে প্রভাবশালী এস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সোমবার বাংলানিউজকে বলেন, “অন্তত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিদের জন্যে শুধু মেডিকেল চেক আপ করাতে সিঙ্গাপুর যাওয়াটা মানানসই নয়। তবে এ ব্যাপারে আমি আর বেশি কিছু বলবো না, উনারা ভাবতে পারেন, আমি এখন নাই, অথচ উনাদের বিরুদ্ধে বলছি।”

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব বাংলানিউজকে বলেন, “আসলে যাদের আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে তারা যাচ্ছেন। এটি মানবিক দৃষ্টিতে দেখলে ঠিক আছে। তবে অর্থনৈতিক-সামাজিক দৃষ্টিতে দেখলে দেশের সর্বোচ্চ হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানরা এভাবে বিদেশে চিকিৎসা নিলে মানুষ আস্থা পাবে না দেশের চিকিৎসায়।”

তিনি বলেন, “আবার যদি আর্থিক সঙ্গতির কথা বলি, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অপারেশন হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই। তাদের কি আর্থিক সঙ্গতি নেই? আসলে এটা যার যার মানসিকতার ব্যাপার।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য খাতের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সভা সেমিনারে ও মিডিয়াতে এসব ব্যক্তি বারবার মানুষকে বলে আসছেন, দেশে এখন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা রয়েছে, বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এবং তাঁরা দাবি করছেন সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়ার চেয়ে কম খরচেই এখন দেশে চিকিৎসা করা যায়। অথচ নিজেরাই ভরসা রাখতে পারছেন না তাতে। এভাবে দেশের মানুষকে ঠকাচ্ছেন, ধোঁকা দিচ্ছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও হাসপাতালের পরিচালকের এভাবে মেডিকেল চেক আপ করাতে সিঙ্গাপুর যাওয়ার ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএমএমইউ হাসপাতালের বেশ ক`জন চিকিৎসক বলেন, ভিসি নিজেই ‘বিএসএমএমইউকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স’-এ পরিণত করার ঘোষণা দেন। অথচ এই সেন্টার অব এক্সিলেন্সের প্রতি তার নিজেরই কোনো আস্থা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, ৬ আগস্ট, ২০১২

 


__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___