Banner Advertise

Thursday, August 2, 2012

[chottala.com] বিবিসি’র হাø 0;্ডটক: জনগণ চ&# 2494;ইলে ওকে



বিবিসি’র হার্ডটক: জনগণ চাইলে ওকে
শুক্রবার, ০৩ আগস্ট ২০১২
 
নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ৩০শে জুলাই বিবিসির হার্ডটকে স্টিফেন সাকুরের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্যাম্ব্রিজ ও হার্ভার্ড পড়ুয়া সাকুর এ সময় তাকে ও বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মন্তব্য করেন, বাংলাদেশীদের অনেকে মনে করেন নতুন প্রজন্মের জন্য পথ করে দেয়ার সময় এসেছে। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে উভয়ে সরে দাঁড়িয়ে নতুনদের জন্য পথ খুলে দেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কতিপয় লোকের কথায়’ নয়, যদি জনগণ চায় তাহলে ‘ওকে।’ অর্থাৎ, তিনি নেতৃত্ব ত্যাগের ইঙ্গিত দেন। তবে তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি, ইতিপূর্বে উচ্চারিত ও তার বহুল আলোচিত মন্তব্য ‘গরিবের রক্তচোষা’ বলতে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বুঝিয়েছিলেন কিনা। নিজেই প্রশ্ন তুলে তিনি বাদানুবাদে গেলেও শেষ পর্যন্ত তিনি দোদুল্যমান থেকেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে তার সরকার একটিও দুর্নীতির মামলা দায়ের করেনি।’ তার ভাষায়, ‘সব মামলাই বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা।’ বিএনপি অবশ্য দাবি করেছে, প্রধানমন্ত্রী অসত্য বলেছেন। কারণ, বর্তমান সরকারের আমলে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই দু’টি মামলা বর্তমানে একটি অভিযোগ গঠন ও অন্যটি অভিযোগ আমলে নেয়ার পর্যায়ে রয়েছে। তারেক রহমানকে জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ছাড়াও মানি লন্ডারিং- এই তিনটি নতুন মামলা এবং আরাফাত রহমানকে একটি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বিবিসি: বড় একটা বিজয় নিয়ে আপনার সরকার গঠনের পর আশা করা হয়েছিল যে, বাংলাদেশের প্রচলিত সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যের রাজনীতির দিকে অগ্রসর হবে। কিন্তু মনে হচ্ছে আপনি সংঘাতের পথ ধরেই চলছেন। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আপনি দুর্নীতির মামলা করেছেন। তার ছেলের বিরুদ্ধে করেছেন। তার আরেক ছেলেকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে আপনাকে তাড়া করেছিলেন। এখন আপনি তাকে তাড়া করছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী: এটা আপনার ভুল ধারণা। তার এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির মামলা হয়েছে তা বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়ের করেছিল। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করিনি।
বিবিসি: মনে হচ্ছে বিরোধটা ব্যক্তিগত।
প্রধানমন্ত্রী: না, এটাও আপনার ভুল ধারণা। আমরা সংবিধান ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। দুই পক্ষের মধ্যে আদর্শগত ফারাক রয়েছে। তারা মিলিটারি ডিক্টেটরের পার্টি।
বিবিসি: তাহলে সাম্প্রতিক মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশে ব্যাপক মাত্রার মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ কেন তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নিুষ্ঠুর নির্যাতন চালাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো।
প্রধানমন্ত্রী: এটা আমার পূর্বসূরির আমলের ঘটনা।
বিবিসি: না, এটা তো সাম্প্রতিক। তারা বলছে, যে এর সপক্ষে তাদের কাছে সাক্ষ্য-প্রমাণ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী: না এটা ঠিক নয়। এটা চলছে না। তবে সেইসময়ে যতো মারা গেছে, তার চেয়ে এখন সংখ্যা কমে গেছে। শুধু তাই নয়, আমরা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় র‌্যাবকে মানবাধিকার প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যখন যেখানে কোন লংঘনের ঘটনা ঘটে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
বিবিসি: মার্কিন রিপোর্ট বলছে, এ বছরেই ২২ ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছে। শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। এরপর তিনি অদৃশ্য হয়ে যান, পরে তার লাশ মেলে।
প্রধানমন্ত্রী: এটা সত্য নয়। আচ্ছা বলুন তো প্রতি বছর লন্ডন থেকে কত লোক অদৃশ্য হয়ে যায়?
বিবিসি: আপনি কাদের কথা বলছেন? আমিনুলের মতো রাজনৈতিক বন্দি বা কর্মীদের কথা বলছেন?
প্রধানমন্ত্রী: আমি জানি না যে, আমিনুল আদৌ রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন কিনা। তবে তার মৃত দেহ অন্য কেউ নয়, আমাদের পুলিশ বিভাগই উদ্ধার করেছে।
বিবিসি: তাকে কি হত্যা করা হয়নি?
প্রধানমন্ত্রী: আমরা তা জানি না। এর আগে আমরা তার কখনও নাম শুনিনি। অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পরে শুনেছি যে তিনি বিগ লিডার ছিলেন।
বিবিসি: র‌্যাব সম্পর্কে অপনি বিরোধী দলে থাকতে সমালোচনা করেছিলেন। কিন্তু এখন তো র‌্যাবকে ডেথ স্কোয়াড বলা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী: না এটা সত্য নয়। ২০০৪ সালে র‌্যাব করেছিল বিএনপি। তারা র‌্যাবকে দিয়ে মানুষ হত্যা করিয়েছিল। আমিই একমাত্র সেসময় তার বিরোধিতা করেছিলাম। আপনাকে সংখ্যা দেখতে হবে। আমরা কখনও র‌্যাবকে এসব কাজ করাতে উৎসাহিত করিনি।
বিবিসি: আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনার জানা থাকার কথা-
প্রধানমন্ত্রী: শুনুন। এটা যখন একবার শুরু হয় তখন থামাতে সময় লাগে। তা রাতারাতি বন্ধ করা যায় না। আমরা তো মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায়। আমরা খুবই সতর্ক। এখন এ বিষয়ে আপনি আমার কাছে প্রশ্ন তুলছেন।
বিবিসি: দেখুন, আপনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বিষয়ে একটি প্রসিদ্ধ মন্তব্য রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তার সরকোরের জিরো টলারেন্স নীতি বহাল থাকবে। আপনি এখন তা মানতে চাইছেন না।
প্রধানমন্ত্রী: অবশ্যই মানছি। জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করি।
বিবিসি: কিন্তু আপনার দেশের মানুষ তো প্রশ্ন তুলেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের মৌলিক সততা কঠিনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। আপনি কি আপনার সরকারে এর কোন ব্যত্যয় দেখছেন না?
প্রধানমন্ত্রী: বাংলাদেশ দীর্ঘকাল সমারিক ও সেনাসমির্থত সরকার দিয়ে পরিচালিত হয়েছে। বিগত বিএনপি সরকারও দুর্নীতিতে মদদ দিয়েছে। অপনি কি এটা রাতারাতি বদলে ফেলতে পারবেন? না আপনি তা পারবেন না। আমার সরকার দুর্নীতিতে জড়িত নয়। কখনও ছিল না। যদি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতাম তাহলে এত উন্নতি কিভাবে করতে পারলাম। বিশ্বব্যাপী এত মন্দার মধ্যে কিভাবে জিডিপি ৬ ভাগে উন্নীত করতে পারলাম। বিদ্যুৎ ও খাদ্য উৎপাদন বাড়ালাম।
বিবিসি: আচ্ছা তাহলে বিশ্বব্যাংক কেন আপনার সরকোরের উপর আস্থা হারালো। দুর্নীতির তদন্তে আপনার সরকারের সহায়তায় তারা সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী: এটা তারা আকস্মিকভাবে করেছে। অথচ তারা কোন বড় প্রমাণ দিতে পারেনি।
বিবিসি: আপনি কি প্রত্যাখ্যান করছেন যে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঠিকাদারি নিয়োগ নিয়ে কোন প্রকারের দুর্নীতি হয়নি?
প্রধানমন্ত্রী: অবশ্যই কোন দুর্নীতি হয়নি।
বিবিসি: তাহলে বলুন তো, যদি কোন অনিয়মই না হবে তাহলে আপনার সরকারের একজন শীর্ষ মন্ত্রী কেন পদত্যাগ করলেন?
প্রধানমন্ত্রী: মানুষ তার সম্পর্কে অভিযোগ তোলায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। সাহস না থাকলে তিনি তো পদত্যাগ করতেন না।
বিবিসি: তাহলে আপনি কেন বিশ্বব্যাংকের দেয়া চিঠিপত্র প্রকাশ করছেন না। অব্যাহতভাবে সেই দাবি নাকচ করে চলেছেন। আর সেটা প্রকাশ করলে মানুষ বিশ্বব্যাংকের অবস্থাটা বুঝতে পারতেন।
প্রধানমন্ত্রী: আপনি সেটা প্রকাশ করতে পারেন না। কারণ সেটা প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বিবিসি: বিশ্বব্যাংক তো প্রকাশ করতে বলেছে।
প্রধানমন্ত্রী: আমার প্রশ্ন তাহলে বিশ্বব্যাংক কেন প্রকাশ করছে না?
বিবিসি: কারণ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তাদের একটা চুক্তি রয়েছে। তারা চিঠির কথা-
প্রধানমন্ত্রী: চিঠি বড় কথা নয়। আপনাকে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ দিতে হবে। শুধু চিঠি কোন দুর্নীতির প্রমাণ হতে পারে না। তাছাড়া দুদক তদন্ত করছে। তারা বিশ্বব্যাংকের কাছে সব কাগজপত্র দিতে বলেছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাংক তা দিতে রাজি হয়নি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে তারা কেন প্রমাণ দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে? তারা একবার আমাকে দুটি চিঠি দিল। পড়ে দেখি দু’টিই আমার পূর্বসূরির আমলের।
বিবিসি: প্রধানমন্ত্রী আমাকে প্রশ্নটি এভাবে করতে দিন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটা একটা লজ্জার বিষয়, তাদের অনেকেই চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক খুব টক হয়ে গেছে। একইসঙ্গে আপনার দেশের সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজনদের অন্যতম নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আপনার সম্পর্কও যে অত্যন্ত তেতো হয়েছে সেটাও বাংলাদেশীদের জন্য একটা লজ্জা বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। আপনি কেন তাকে গরিবের রক্তচোষা বলেছিলেন?
প্রধানমন্ত্রী: আপনি বাংলাদেশে যান। নিজের চোখে দেখুন। তখন উপলব্ধি করতে পারবেন। আপনি কিভাবে তার নাম নিলেন? আমি কিন্তু কেউ একজন (সামওয়ান) বলেছিলাম। তাহলে কেন আপনার মনে তার নাম এসেছে? আমি কি তার নাম উল্লেখ করেছি। আমি কিন্তু তার নাম বলিনি।
বিবিসি: আমি দুঃখিত। এটা পরিষ্কার করে নিই। আপনি কি তাহলে অস্বীকার করছেন, আপনি ড. ইউনূসকে গরিবের রক্তচোষা হিসেবে দেখেন না?
প্রধানমন্ত্রী: না, আমি অস্বীকার করি না। আমি কিছুই অস্বীকার করছি না। আমি শুধু একটি প্রশ্ন রাখছি।
বিবিসি: তার মানে আপনি তাকে একজন। আপনি তাকে-
প্রধানমন্ত্রী: আমি আপনার কাছে একটি প্রশ্ন রাখছি। কেন আপনার মনে এলো যে কথাটি আমি তাকেই বলেছি। সেটিই আমার প্রশ্ন।
বিবিসি: না আমার মনে হয় আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন। আমি বাংলাদেশী মিডিয়ায় এটা পড়েছি। বাংলাদেশী মিডিয়ার অনেকেই।
প্রধানমন্ত্রী: তারা সংখ্যায় কত হবে?
বিবিসি: এটা বিশ্বাস করা হয়, আপনি যখন গরিবের রক্তচোষা কথাটি উল্লেখ করেছেন, তখন সরাসরি ড. ইউনূসকেই বুঝিয়েছেন। আপনি যদি এখন তা প্রত্যাহার করে নিতে চান কিংবা আমাকে বলেন, আপনি তাকে বোঝাননি তাহলে সেটা তো উত্তম। আপনি তাকেই বুঝিয়েছিলেন নাকি বোঝাননি?
প্রধানমন্ত্রী: শুনুন, শুনুন। আমি আপনাকে একটা কথা বলছি। দরিদ্র লোকদের কাছ থেকে ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ সুদ নেয়া হচ্ছে। এটা কি ন্যায্য? এটা তো ফেয়ার নয়। গরিব মানুষের কাছে থেকে যদি ৩৫ থেকে ৪৫ ভাগ সুদ নেয়া হয়ে থাকে, তাহলে তারা কিভাবে ঋণের সুবিধা পাবে?
বিবিসি: সারা পৃথিবী তাকে শ্রদ্ধা করছে। তিনি দরিদ্র মানুষের বন্ধু হিসেবে নন্দিত হচ্ছেন। কিন্তু আপনি তাকে মানতে পারছেন না।
প্রধানমন্ত্রী: আপনাকে বিষয়টি তদন্ত করতে হবে। দেখতে হবে কত লোক দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। তার গ্রামে গিয়ে খবর নিন। গরিবের সংখ্যা কমিয়েছে তো আমার সরকার। ৩ বছরে শতকরা ১০ ভাগ দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে।
বিবিসি: ২০০৭ সালে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি রাজনৈতিক দল খুলেছিলেন। কিন্তু আপনি সেটা মেনে নিতে পারেননি। এবং সেকারণেই-
প্রধানমন্ত্রী: ওই সময়ে আমি কাস্টডিতে ছিলাম। আমি তো জেলে ছিলাম। তাকে জিজ্ঞেস করুন, তিনি এমন একজন ‘বিগ পার্সন’, উনি কেন ব্যর্থ হয়েছিলেন। সব সুযোগ সুবিধাই তো তার ছিল। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির পদ থেকে আমি তাকে অপসারণ করিনি। তিনি নিজেই নিজেকে অপসারণ করেছেন। গ্রামীণ ব্যাংক একটি সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক। আইনে আছে, কারও বয়স ৬০ বছর হলে তিনি এমডি পদে থাকতে পারবেন না। তার বয়স ৭০-৭১ হয়ে গিয়েছিল। তারপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের বিরুদ্ধে তিনি কোর্টে গিয়েছিলেন। কোর্টে তিনি হেরে গেছেন।
বিবিসি: আপনি যখন বেগম খালেদা জিয়া ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে কথা বলছেন, তখন তাতে বিদ্বেষ প্রকাশ পাচ্ছে এবং তাতে বোঝা যায়, বাংলাদেশ সমাজের যে ক্ষত তা সারেনি। আপনি মিলনসাধন করতে পারেননি। জাতি বিভক্ত অবস্থায় আছে।
প্রধানমন্ত্রী: আমার দেশ ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকালে আপনি এটা অনুধাবন করতে পারবেন।
বিবিসি: আপনার সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। বিরোধী দল মনে করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে আপনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মৌলিকভাবে হুমকিগ্রস্ত করেছেন এবং তারা আগামী নির্বাচনে নাও যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী: অবশ্যই হুমকিগ্রস্ত হয়নি। সংবিধান এমনভাবে সংশোধন করা হয়েছে যাতে প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত হবে। অসাংবিধানিক ও অথরাটারিয়ান সরকার ভবিষ্যতে আসতে পারবে না।
বিবিসি: এখন আপনাকে উন্নয়নের একটি বঙ্কিম পথ সম্পর্কে অপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। সবকিছু ছাপিয়ে এটা বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আর তা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। ৩০ মিলিয়ন মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
প্রধানমন্ত্রী: বিশ্বের কাছ থেকে আমাদের অধিকতর সমর্থন দরকার।
বিবিসি: সকল দীর্ঘমেয়াদি লড়াই বেগম খালেদা জিয়া ও আপনার মধ্যে চলেছে, এর অবসান হওয়া দরকার। বাংলাদেশের একটা প্রজন্মগত পরিবর্তন দরকার বলে অনেক বাংলাদেশী বলে থাকেন। আপনাদের উভয়ের উচিত হবে আগামী নির্বাচনে আপনাদের উভয়ের মঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ানো এবং নতুন নেতৃত্বকে পথ করে দেয়া।
প্রধানমন্ত্রী: এটা জনগণের উপর নির্ভর করে। যদি জনগণ বলে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু কিছু লোক বা স্বার্থান্বেষী মহলের কথায় নয়। কেন তারা তা বলেন?
বিবিসি: আপনি কি আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হবেন? আপনি কিন্তু মজার একটা কথা বলেন, কেবল ‘আমিই এটা করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী: অবশ্যই। আমার দল ও জনগণ চাইলে অবশ্যই। আর হ্যাঁ, আমি না বলে আমাদের শব্দটি আমার ব্যবহার করা উচিত ছিল। (হাসি) আমি এটা জানি।


 


__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___