Banner Advertise

Thursday, May 3, 2012

[chottala.com] Breaking News :বাংলাদেø 6;ের ভূমিতে ব 495;এসএফ ক্যাম&# 2509;প



বাংলাদেশের ভূমিতে বিএসএফ ক্যাম্প

তারেক মোরতাজা ও মনজুর আহমেদ জাফলং থেকে ফিরে
বাংলাদেশের ভূমিতে ভারতীয় সীমান্তরী বিএসএফ নিরাপত্তা ক্যাম্প বসিয়েছে। ছোট-বড় অন্তত ১০টি ক্যাম্পের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের সীমান্তবর্তী এলাকা পাদুয়ায়। এসব সাব ক্যাম্পে ১০ জনের মতো বিএসএফ সদস্য ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। তারা ইতোমধ্যে ২০০১ সালে বাংলাদেশের উদ্ধার করা ২৩০ একর ভূমি দখল নিয়েছে। আরো ১৩০ একর ভূমি বাংলাদেশের দখলে থাকলেও সেখানে বাংলাদেশীদের চাষাবাদে চলতি বছর থেকে বাধা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-বিজিবিও এটাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তারা দিনের বেলায় বাংলাদেশীদের তাদের ভূমিতে যেতে বাধা দিচ্ছে। এতে ওই জমির ওপর নির্ভরশীল শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। তবে স্থানীয় বিজিবির প্রতাপপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ ফোরকান নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি খুবই ভালো। এসব নিয়ে রিপোর্ট করার কিছু নেই।’
সরেজমিন পাদুয়ায় ঘুরে দেখা গেছে, ১২৭০ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে ১২৭১ ফোর এস পিলার পর্যন্ত বিএসএফ ১০টি ক্যাম্প বসায়। তা ছাড়া তাদের একটি মূল ক্যাম্পও রয়েছে এর মধ্যে। তারা দিনে ও রাতে কঠোর তদারকি করছে। কোনো লোক দেখামাত্র হুইসেল দিচ্ছে। বাংলাদেশীদের তাদের জমিতে যেতে দিচ্ছে না।
পিয়াইন নদীর পারে পানতুমাই গ্রামের বাসিন্দা আসমা পাদুয়া নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমরা আমাদের জমিতে চাষ করতে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। একইভাবে আমাদের বিজিবিও সেখানে যেতে নিষেধ করে।’ আমাদের জমিতে আমরা কেন যেতে পারব না? এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে আসমা বলেন, গেলো বছরও আমরা আমাদের জমিতে সবজি ক্ষেত করেছিলাম। কিন্তু এ বছর সবজি করতে পারিনি। ক’দিন আগেও আমি ও আমার স্বামী মিলে গিয়েছিলাম সবজি ক্ষেতে চাষ দিতে। এমন সময় বিজিবি আমাদের সেখান থেকে চলে আসতে বলে । আমরা এর প্রতিবাদ করি। কিন্তু এর কোনো সমাধান দেখছি না।
ডালার পারের বাসিন্দা হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমরা কাজ কর্ম করতে পারি না। বিজিবি আমাদের জমিতে যেতে নিষেধ করে। আমাদের আর অন্য কোনো জমি নেই যে, আমরা সেসব চাষ করে খাবো। ভারতীয়রা গত বছরের জুন মাসে জরিপের সময় বাংলাদেশের সীমান্ত পার হয়ে অনেক ভেতরে ঢুকে পড়ে। এটা মেইন সীমানা পিলার থেকে অন্তত ৮০০ গজের মতো ভেতরে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, আমাদের কথা কেউ শোনে না। বিজিবি আমাদের চুপ থাকতে বলে, তাই আমরা চুপ থাকতে বাধ্য হই। কিন্তু এভাবে আর কত দিন?’
হোসেন জানান, ‘এসব জমি অপদখলীয় নয় যে এটা নিয়ে বিরোধ আছে। জরিপের নামে তারা আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে। আমরা সে জমি ভোগ করতে পারব নাÑ তা হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ১৯৮৮ সালে বন্যার সময় পিয়াইন নদীর পারের অনেক মানুষ মারা গেছে। নদী ভরে সীমান্তে চর জেগেছে। সে চরের দখল নিয়েছে বিএসএফ।
ডালার পারের বাসিন্দা মো: সাদেক মিয়া বলেন, পাদুয়ার জমি ছিল আমাদের। আমরা এটার ভোগ দখল করতাম। এর ওপর অন্তত ১০০ এর বেশি পরিবার নির্ভরশীল। কিন্তু আমরা সেখানে গেলে বিএসএফ বাধা দেয়। বিজিবি বলে ওপরের নির্দেশ, আমরা যেন সেখানে না যাই।
তিনি ১৯৫২ সালে করা স্থানীয় প্রতাপপুরের একটি মানচিত্র মেলে ধরেন। এর জেলএল নম্বর ৮৮। উত্তর প্রতাপপুরের ওই জরিপের পর করা মানচিত্রে অনুযায়ী দেখা গেছে ভারত বাংলাদেশের ২৩০ একর জমি পুরোপুরি দখল করে নিয়েছে। বাকি জমিতেও তারা বাংলাদেশীদের ঢুকতে দিচ্ছে না।
গত বছরের জুন মাসে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ জরিপের নামে ২০০১ সালে বাংলাদেশের পুনরুদ্ধার করা জমি ভারত দখল নেয়ার পর বাংলাদেশের ভেতরে আরো কয়েক শ’ একর জমির দখল নিয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বছরের জুন মাসের জরিপ কাজে বাংলাদেশের লোকজন থাকলেও ভারতের সীমান্ত রী বিএসএফ তাদের সাথে ছিল। অন্য দিকে বাংলাদেশের সীমান্ত রী বিজিবিকে সেখানে দেখা যায়নি।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের গত বছরের বাংলাদেশ সফর উপলে এ জরিপকাজ হয়েছিল।
এ ব্যাপারে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মোবিন চৌধুরী নয়া দিগন্তকে বলেছেন, হঠাৎ করে যে জরিপকাজটি করা হয়েছিল এটা অনেকটা রহস্যঘেরা। হঠাৎ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে এ রকম একটি স্পর্শকাতর জরিপে হাত দেয়া উচিত হয়েছিল বলে মনে করি না।
তিনি বলেন, সরকার একটা গণবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। ভারতের সাথে আমাদের অপদখলীয় ভূমিসমস্যা নিষ্পন্ন হওয়া জরুরি। কিন্তু সেটি করার আগে সরকারকে এটা জনগণকে জানানো উচিত ছিল। তা ছাড়া সংসদে এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারত। সেটা না করে এভাবে করা ঠিক হয়েছে বলে আমি মনে করি না।
শমসের মোবিন বলেন, পাদুয়া নিয়ে আমাদের একটা খারাপ অভিজ্ঞতা আছে। ভারত আমাদের দেশের ভেতরে ঢুকে পড়েছিল। আমাদের সে সময়কার বিডিআর জওয়ানরা তা প্রতিরোধ করেছিল।
২০০১ সালে ভারতের সীমান্তরী বিএসএফ পাদুয়া আক্রমণ করেছিল। পরে বিডিআর তাদের প্রতিরোধ করে। তারা সে সময় বাংলাদেশের দখলে থাকা জমি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। ওই প্রতিরোধে বিএসএফের বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারায়। সে সময় বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ছিল।
বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব:) আ ল ম ফজলুর রহমানের আশঙ্কা ২০০১ সালে তার নেতৃত্বে ভারতীয় দখল চেষ্টা থেকে রা করা পাদুয়া আমাদের হাতছাড়া হলে তো আমাদের ভূমির সার্বভৌমত্ব থাকে না।
তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, পাদুয়াতে ২৩০ একর জমি দখল করতে চেয়েছিল ভারত, যেটি আমরা উদ্ধার করেছি। এখন সেটি দিয়ে দিলে তো হবে না। এটা তো অপদখলীয় জমি না। এটা আমাদের জমি।

 


__._,_.___


[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___