Banner Advertise

Monday, February 27, 2012

[chottala.com] সরকারেরতথ্ য ফাঁসেরভয়ে ;সাগর-রুনি খ 97;ন

সরকারেরতথ্য ফাঁসেরভয়েসাগর-রুনি খুন

লেখক: আনোয়ার আলদীন, লালমনিরহাট থেকে | মঙ্গল, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১২, ১৬ ফাল্গুন ১৪১৮

লালমনিরহাটের জনসভায় খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারের লোকজনই সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে হত্যা করেছে। সাগর-রুনির ল্যাপটপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল, যা প্রকাশ পেলে দেশে ও বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতো। তাই তাদের হত্যা করা হয়েছে। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, 'আপনাদের সময় শেষ। মানুষ এখন তাড়া করবে। মন্ত্রী এমপিদের এলাকায় গিয়ে জনগণের তাড়া খেয়ে আসতে হচ্ছে। ১২ মার্চ হয় দাবি মানবেন, না হয় বিদায় নেবেন। আপনারা কোথায় যাবেন সেই জায়গা ঠিক করেন। অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে নেন।'

গতকাল সোমবার লালমনিরহাটে জেলা কালেক্টরেট মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণদানকালে বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় খালেদা জিয়া বলেন, '১২ মার্চ ঢাকায় গিয়ে দেখিয়ে দেবেন। হয় তারা দাবি মানবে; না হয় বিদায় নেবে। আমি ওই মহাসমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবো। কর্মসূচি দেব।'

এর আগে বগুড়া থেকে দুপুর সোয়া বারোটায় সড়ক পথে রওয়ানা করে বিকাল সাড়ে তিনটায় লালমনিরহাট সার্কিট হাউজে পৌঁছেন খালেদা জিয়া। চারটা দশ মিনিটে মঞ্চে উঠেন তিনি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতেই হবে, হবেই—এমন দৃঢ়তা ব্যক্ত করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। হবেও না। তাই তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। যদি নির্বাচন না হয় তাহলেও আওয়ামী লীগকে বিদায় নিতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, 'সাংবাদিক দম্পতি রুনি-সাগর হত্যার পেছনে কী রহস্য? এখন পর্যন্ত একজন আসামিও ধরতে পারেনি। আসলে ধরা ঠিকই পড়েছে। কিন্তু তারা সরকারের লোক। তাই ধরে পার করে দেয়া হয়েছে। অনেকে বলছেন, এদের মারার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। বাসায় কোনো জিনিস হারায়নি। শুধু ল্যাপটপ আর মোবাইল কেন হারিয়েছে? কারণ সেই ল্যাপটপে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিলো। যে তথ্য প্রকাশ হলে দেশে ও বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতো। তাই তাদের খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, "সাংবাদিকরা সারাদিন কষ্ট করে সংবাদ সংগ্রহ করে, প্রচার করে। তাদের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু নিরাপত্তা দিতে না পেরে বলে, 'বেড রুম পাহারা দেয়া সম্ভব নয়'। বেডরুমে নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পালন না করতে পারলে ক্ষমতা ছেড়ে দিন।"

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এই সরকার শেয়ার বাজার, পদ্মা সেতুর টাকা লুট করেছে। তাই এই সরকার একটা লুটেরা সরকার। সেজন্য তাদের আর সময় দেয়া যায় না। সরকারের টপ টু বটম সবাই শেয়ার বাজার থেকে লুট করেছে।

খালেদা জিয়া বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কি নিয়ে এসেছেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলো, তিনি বলেছেন, আশ্বাস পেয়েছেন। সবকিছুতে তারা শুধু আশ্বাস পায়। এর আগে আশ্বাস দিয়েছিলো টিপাইমুখ বাঁধ বানাবে না। এখনতো টিপাইমুখে কাজ চলছে। তিনি আশ্বাস পেয়েছেন বর্ডারে হত্যা হবে না। দেখবেন কয়দিন পর আবার হত্যা শুরু হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার শুধু মিথ্যা কথা বলে। তারা বিনামূল্যে সার দেয়ার কথা বললেও তা দেয়নি। আমাদের সময়ের ২৬০ টাকার সার এখন এক হাজার ৬০ টাকা। কয়েকগুণ বেশি মূল্যে সার বিক্রি হচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে কমমূল্যে সার, কৃষি উপকরণ দেব। কৃষকদের ভালো রাখা হবে।

খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার বলেছিলো ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। তারা চাকরি না দিয়ে চাকরি খেয়েছে। ৮৮৫ জনকে ওএসডি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ১শ শিক্ষককে কোনো কারণ ছাড়াই চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে।

বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেন, তিস্তা, পদ্মা শুকিয়ে গেছে। ভারত এক ফোঁটাও পানি দেয়নি। যদি পানি না দেয় তাহলে ট্রানজিট, করিডোর সব বন্ধ করে দিতে হবে। একতরফা কিছু চলতে পারে না। একতরফা বন্ধুত্ব হতে পারে না।

লালমনিরহাটের মানুষের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। প্রতিদিন খবরের কাগজে দেখেন কিভাবে গুলি করে সীমান্তে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। সরকার এসবের কোনো প্রতিবাদ করে না।

খালেদা জিয়া বলেন, বিডিআরের ৫৭ জন অফিসারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বলেন, এরশাদও বলেছে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করার জন্য। সেতো মহাজোটের শরীক, একসময় সেনা প্রধান ছিলো। সে কেন এগিয়ে আসেনি।

খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার যে খুনি এটা আগেও প্রমাণিত হয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অনেক মানুষ হত্যা করেছে। বাসে গান পাউডার দিয়ে, লগি বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করেছি। রোডমার্চে দেখেছেন সারারাত মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলো। আমরা তিন বছরে মাত্র ৮টি হরতাল দিয়েছি। আর আওয়ামী লীগ আমাদের সময় ১৭৫ দিন হরতাল দিয়েছিলো।

আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটকে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া বলেন, '১২ তারিখে কর্মসূচি দেয়া বন্ধ রাখেন। আমরা দেড় মাস আগে কর্মসূচি দিয়েছি। ১২ তারিখে ঢাকার মানুষ ঢাকায় নামবে এবং সারা দেশের মানুষ ঢাকায় যাবে। অশান্তির সৃষ্টি করলে দায় দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে।' তিনি বলেন, জলাতঙ্ক হলে মানুষ পানি দেখলে ভয় পায়। আর এই সরকারের হয়েছে জনআতঙ্ক। তারা মানুষ দেখলে ভয় পায়। আমরা জনগণকে নিয়ে এদের বিদায় করবো।'

খালেদা জিয়া বলেন, আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে লালমনিরহাটের সব উন্নয়ন করা হবে।

বগুড়া থেকে লালমনিরহাট: দীর্ঘ সড়কজুড়ে উত্সবের আবহ

গতকাল ১২টায় বগুড়া থেকে লালমনিরহাট অভিমুখে বিরাট গাড়ি বহর নিয়ে রওনা দেন বেগম জিয়া। বগুড়ার প্রধান সড়কটি মোকামতলা হয়ে শিবগঞ্জ পর্যন্ত মানুষে মানুষে ছাপিয়ে উঠেছিল। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছোট-বড় আকৃতির বর্ণিল আলোকচিত্র আর স্থানীয় নেতাদের প্রচার ব্যানার-ফেস্টুনে ছাওয়া ছিল পুরো এলাকা। তারা ফুল ছিটিয়েছে মাইলের পর মাইল পথে খালেদা জিয়া আর তার এ যাত্রা সঙ্গীদের বহরে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আগে থেকে ক্রমশ বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট। তোরণের পর তোরণ আর নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মত শো-ডাউন। লালমনিরহাট শহরের প্রবেশমুখের তিস্তা রেল ব্রিজের পর মহেন্দ নগর থেকে সার্কিট হাউজ অবধি এক উত্সবমুখর দৃশ্যপট রচিত হয়। ছিল তোরণের পর তোরণ। সড়কের দুই ধারে দীর্ঘাকায় কৃষক-কৃষাণির আদল ছিল নয়নাভিরাম। কাগজ ও পাটের খড়ি দিয়ে তৈরি করা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি, কাটা ধানের বোঝা কাঁধে নিয়ে কৃষক ও সাদা রঙের বড় বড় টাট্টু ঘোড়া ও গরুর গাড়ির দৃষ্টিনন্দন ডামি বসানো হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও তোরণ আলোকসজ্জা করা হয়।

তিস্তা রেল ব্রিজ-এ খালেদা জিয়ার গাড়িবহর এসে পৌঁছালে জেলা সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু তাকে অভ্যর্থনা জানান। সেখান থেকে ১৮টি ঘোড়ার একটি চৌকস দল তাকে সার্কিট হাউজে নিয়ে যায়।

মিছিলের নগরী

বেগম জিয়াকে একনজর দেখতে প্রত্যন্ত জনপদ থেকে গতকাল লালমনিরহাট শহরে মানুষের ঢল নামে। লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালিগঞ্জ, হাতিবান্দা ও পাটগ্রাম উপজেলা ছাড়াও কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও রংপুর থেকেও বাস, ট্রাক, ট্রেনে করে নেতা-কর্মীরা এই জনসভায় যোগ দেয়। সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করে।

শাহ গাজীর মাজার জিয়ারত

লালমনিরহাট যাওয়ার পথে রংপুরের পীরগঞ্জের বড় দরগায় শাহ ইসমাইল গাজীর (র.)মাজার জিয়ারত করেন বেগম জিয়া। দুপুর ২টার দিকে শাহ ইসমাইল গাজীর মাজারে গাড়ি থামান খালেদা জিয়া। তার পক্ষে তার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস গাড়ি থেকে নেমে মাজার জিয়ারত করেন। এ সময় মাজারে কিছু আর্থিক অনুদানও দেন তিনি।

গতকালের জনসভায় আরও যারা বক্তব্য রাখেন

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লে.জে.(অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, মীর মো. নাছিরউদ্দিন, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, মো. শাহজাহান, জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, হাবিবুন্নবী খান সোহেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


------------------------------------

[* Moderator's Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]
Yahoo! Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/chottala/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/chottala/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
chottala-digest@yahoogroups.com
chottala-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
chottala-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo! Groups is subject to:
http://docs.yahoo.com/info/terms/