বিবিসিকে বিএসএফ প্রধান: সীমান্তে গুলি বন্ধ হবে না |
বৃহস্পতিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১২ মানবজমিন ডেস্ক: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলি চালানো পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিএসএফ) প্রধান ইউ কে বনশাল। মঙ্গলবার বিবিসি বাংলায় প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইউ কে বনশাল বলেছেন, গুলি চালনা পুরোপুরি বন্ধ করা কখনোই সম্ভব না, যতক্ষণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধমূলক কাজ হতে থাকবে, ততক্ষণ সেই অপরাধ আটকাতেই হবে বিএসএফকে। সেটাই বাহিনীর দায়িত্ব। বিএসএফের গুলি করার পক্ষে সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে যখন কোন অপরাধ সংঘটিত হয়, তখন তাদের ব্যবস্থা নিতেই হয়। বিএসএফ প্রধান জানিয়েছেন, চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ বন্ধের জন্য বিএসএফ বারবার বাংলাদেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাহায্য চেয়ে আসছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশী বাহিনী যদি তাদের নিজেদের দিকে পাহারা কড়া করে, বিশেষত রাতে সীমান্তে চলাচলের ওপরে নিষেধাজ্ঞার বলবৎ করতে পারে, তাহলে অপরাধীরা আর ভারতের দিকে আসতেই পারবে না আর বিএসএফকেও গুলি চালাতে হবে না। এদিকে পাচারকারীদের হামলায় আহত ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর এক সদস্য মঙ্গলবার মারা যান। বিএসএফ দাবি করেছে, ৪ঠা জানুয়ারি রাতে পশ্চিমবঙ্গের স্বরূপনগর এলাকায় সীমান্ত পাহারা দেয়ার সময়ে প্রায় ১০০ জন গরু পাচারকারীর দল বিএসএফ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। পাচারকারীরা নিহত বিএসএফ কনস্টেবল সরতাজ সিংয়ের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় আরও একজন সীমান্তরক্ষী আহত হন। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের মহাপরিদর্শক রভি পোনোঠ বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই হামলার পরে বেশির ভাগ পাচারকারীই বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন। তবে তিনজন বাংলাদেশী নাগরিককে তারা আটক করে পুলিশ হেফাজতে রেখেছেন। বিএসএফ দাবি করছে, গত এক বছরে গরু পাচারকারীসহ বিভিন্ন অবৈধ কারবারিরা দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত এলাকাতে বিএসএফের ওপরে ৫২ বার আক্রমণ চালিয়েছে। রভি পোনোঠ দাবি করেন, তাদের বাহিনী কিছুদিন ধরে এমন বন্দুক ব্যবহার করছে, যার গুলি দূর থেকে লাগলে মৃত্যু হবে না। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছে পাচারকারী বা সীমান্তের দুষ্কৃতকারীরা। তারা ভাবছে, বিএসএফ এখন আর গুলি চালাতে পারবে না তাই তাদের আক্রমণ করা সহজ। |
__._,_.___