Banner Advertise

Tuesday, November 1, 2011

[chottala.com] Nasty campaign against Bangladesh (must read and circulate it) with evidence, pictures!



Please have a look how a muslim injured young concocted to a Hindu man named Bhimul to propagate against Bangladesh, its communal harmony!
 
You won't believe the whole story unless you read it full and browse all links provided.
 
 

ওরা বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে যেভাবে

লিখেছেন এক্টিভিষ্ট ৩১ অক্টোবর ২০১১, সকাল ১১:০৬


(ছবি ক্যাপশানের অনুবাদঃ বাংলাদেশের মুসলমানরা মসজিদে একজন হিন্দুকে পেটাচ্ছে। তিনি বাড়ি যাওয়ার সময় মসজিদের বাইরে ধৃত হন। শুক্রুবার নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই প্রথম যে হিন্দুকে পাওয়া যায় তাকেই ধরে ফেলে মোল্লারা। এমনি একজন হচ্ছেন ভিমল পাঠক। তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত পেটাতেই থাকে মোল্লারা, আর বলতে থাকে, "হত্যা কর এই কাফিরকে" । তাকে হাত বাধা অবস্থায় হত্যা করা হয়, যদিও বিমল বাচার জন্য আকুল আবেদন করে)

এই একটি ছবি যা শত শত ওয়েবসাইটে্র মাধ্যমে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। (বিস্তারিত নিচে দেখুন)

তিন-চার বছর আগের কথা। তখন চলছিলো মইন-ফখরুদ্দিনের জামানা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রদের বেশ কিছু ইয়াহু-ইমেইল গ্রুপের সদস্য হওয়ার সুবাধে নানা ধরনের ইমেইল পাই নিয়মিত। একদিন ইমেইল করেছে হল জীবনের পাশের রুমের প্রাক্তন জুনিয়র যে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

উপরের ছবিটা দেখিয়ে বলে, ভাইয়া, দেখেনতো বাংলাদেশে কিভাবে হিন্দুদের নির্যাতন হচ্ছে, এটা কি সত্য? আপনার কি মনে হয়? এটা নিয়ে প্রবাসী বিভিন্ন প্রফেশনাল ইমেইল গ্রুপ গুলোতে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে, সবাই বাংলাদেশকে গাল মন্দ করছে। সেই সাথে মোল্লাদের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছে। বলা হচ্ছে, দেখ দেখ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের কিভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, বাংলাদেশের ইসলাম ও মুসলমানরা কত নিষ্টুর। সবাই ছিঃ ছিঃ করছে আমাদের।

তাকে আশ্বস্ত করলাম। আসল ঘটনাটা বিস্তারিত লিখে পাঠালাম। বললাম, ওরা ঘটনাটা যেভাবে ছড়াচ্ছে সেটা মোটেও সত্য নয়। ঘটনাটা তার উলটো। তুমি চিন্তা করো না, আমি আসল ঘটনা লিখে তোমাকে মেইল করছি। তবু তার বিশ্বাস হচ্ছে না। ভাইয়া, এই নিউজ কি সেই সময়ের কোন পত্রিকায় এসেছিল? বললাম, হা এসেছিল। তবে সেই পেপার কাটিং এখন আমার হাতে নেই, হাতে আসলে সেটা নিয়ে লিখবো একদিন ইনশাল্লাহ। টুডে অর টুমোরো, আই উইল রাইট।

সেই জুনিয়রের মেইল পাওয়ার আগেই ছবিটা Faith Freedom (ফেইথ ফ্রিডম) নামের চরম ইসলাম বিরোধী ওয়েবসাইট দেখেছিলাম। সাথে পেয়েছিলাম মুক্ত-মনা নামে রাম-বাম পন্থিদের ওয়েবসাইটেও। পরে নজরে আসে বাংলাদেশ মাইনোরিটি নির্যাতন বিরোধী এক সাইটে। এই ছবিটা তাঁরা তাদের সাইটের প্রথম পেজে এনিমেশান করে রেখেছে। তাঁরা বলছে এই হচ্ছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বর্তমান অবস্থা!


ছবি-২ (ছবিটি বড় করে দেখতে এখানে ক্লিক করুন,
Click this link...)

প্রকৃত ঘটনা

ছবির ব্যক্তিটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের সাধারন মুসল্লি যিনি চরমোনাই ( আগের নাম ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, যারা বর্তমানে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন হিসেবে পরিচিত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইশা ছাত্র আন্দোলন) ও দেওয়ানবাগী পীরের হামলা-পাল্টা হামলার মধ্যে পড়ে যায়। তাদের বেদম পিটুনীতে উক্ত ব্যক্তি আহত হন।

ছবিতে আহত দুই ব্যক্তির (ইনকিলাবের ছবিতে দেখুন, ছবি-২ ও -৩) একজন মিয়া গোলাম কুদ্দুস। জামায়াতের কর্মী হিসেবে সংগঠনটির পল্টনে অফিসে কাজ করতেন। তার বড় ভাই বিগত (২০০১) সালের খুলনা-৫ থেকে চার দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরোওয়ার।

ঘটনাটি ঘটে ১০ জুন ২০০০ সালে বায়তুল মোকাররম ঊত্তর গেটের মুসজিদের শিড়ির গেইটে (ছবিতে দেখা যাচ্ছে) । পরের দিন ঐ ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক রিপোর্টও করে। ততকালীন দৈনিক ইনকিলাব এনিয়ে ১১ জুন ২০০০ প্রথম পাতায় তিন কলামে খবরও ছাপে (ছবি-২ দেখুন)। সেই রিপোর্টে বলা হচ্ছে,
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের বিক্ষুন্ধ কর্মীরা গতকাল আসর নামাজ চলাকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতর ঢুকে জামায়াত সন্দেহে ২ জন মুসল্লীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আহত জনৈক গোলাম কুদ্দুস আত্নরক্ষার জন্য বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে থেকে দৌড়ে মসজিদের ভেতরে ঢুকে। এ সময় শতাধিক ইশা আন্দোলনের কর্মী লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে মসজিদে ঢুকে গোলাম কুদ্দুসকে বেদম প্রহার করে। রক্তাক্ত গোলাম কুদ্দুস মসজিদের ফ্লোরে লুটিয়ে পড়েন। মসজিদের শত শত মুসল্লিগণ নামাজের সালাম ফিরিয়ে মোনাজাত অংশগ্রহন না করেই ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম ও পুর্ব দিক নিয়ে দ্রুত মসজিদ ত্যাগ করেন। গতকাল বিকেলে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ শুরুর পুর্ব মুহুর্তে এই নগ্ন হামলার সুত্রপাত ঘটে। ইশা আন্দোলনের কর্মীরা উত্তর গেইটে উক্ত দু মুসুল্লীকে জামায়াত কর্মী সন্দেহে গনপিটুনী শুরু করে। জনৈক মুসল্লী নূরে আলম সিদ্দিকী গনপিটুনীর এক পর্্যা য়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। নূরে আলম সিদ্দিকী বাচাও বাচাও চিৎকার দিয়ে হাত জোড় করে প্রান ভিক্ষা চায়। এক পর্যায়ে কয়েকজন মুসল্লী আহত নূরে আলম সিদ্দিকীকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন। পরে পুলিশ আহত নূরে আলম সিদ্দিকীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত গোলাম কুদ্দুস ইশা আন্দোলনের কর্মীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মসজিদের ভেতরে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। কয়েকজন মুসল্লী রক্তাক্ত গোলাম কুদ্দুসকে জড়িয়ে ধরে মসজিদের মেহরাবে নিয়ে যান। সেখানে তিনি শুয়ে পড়েন। কয়েকজন মুসল্লী ও মসজিদের ২ জন খাদেম তাকে চিকিতসার জন্য মসজিদের বাইরে নিয়ে যান।(সুত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব ১১ জুন ২০০০)


ছবি-৩ঃ ইনকিলাবে প্রকাশিত নিউজের পেপার কাটিং পড়ুন (বড় করে পড়তে এখানে ক্লিক করুন,
Click this link... )

ওরা ঐ ঘটনাকে যা বানিয়েছে

ছবির নূরে আলম সিদ্দিকী হয়ে গেছে ভিমল পাঠক। তাকে মোল্লারা পিটিয়ে রক্তাত্ত করছে আর বলছে, কলেমা পড় না হলে তোকে মেরেই ফেলবো। আর ঘটনাটি ঘটছে খোদ এক মসজিদে সবার সামনে । তাহলে বুঝুন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কি ভয়াবহ নির্যাতনে আছে!!

১. Faith Freedom হচ্ছে একটি চরম ইসলাম বিরোধী ওয়েবসাইট । সেখানে মুলত প্রথম এই ছবিটি হাইলাইট করা হয়। এই সাইট মুলত সারা বিশ্বের কিছু বিভতষ্য ছবি তুলে ধরে বলা হচ্ছে, এই হচ্ছে শান্তির ধর্ম ইসলামের আসল চেহেরা!! ক্লিক করুন এখানে,
http://faithfreedom.org/Gallery/7.htm

২. আগেই বলেছি, মুক্ত-মনা নামের বাংলাদেশ বিরোধী এক ওয়েবসাইটে এই ছবি রাখা হয়েছে এক বিশাল রিপোর্টর সাথে. Ethnic Cleansing in Bangladesh শিরোনামে Rahul Gupta লিখিত এই রিপোর্ট পড়ুন এখানে, (সাইট ক্লিক করে নিচে যান, ছবিটি পাবেন)
http://www.mukto-mona.com/human_rights/ethnic_clensing_Bangladesh.html

৩. চরম ইসলাম বিরোধী ওয়েবসাইট Islam-Watch এটিকে বাংলাদেশে ইসলামপন্থিদের বর্বর কর্মকান্ড হিসেবে তুলে ধরেছে। Humanity Assasinated: Ethnic cleansing in Islamic Bangladesh শিরোনামের এক লেখায় ছবিটি দেয়া হয়েছে। ক্লিক করুন ও স্ক্রুল করে নিচে চলে যান
http://islam-watch.org/index.php?option=com_content&task=view&id=88&Itemid=58

৪. Human rights commission for Bangladesh minorities হচ্ছে বাংলাদেশে কল্পিত হিন্দু নির্যাতনের চিত্র সারা বিশ্বে তুলে ধরার একটি ওয়েবসাইট। এই সাইট চালান হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ নামক সংগঠনের আন্তুর্জাতিক শাখা। ওয়েবসাইটের ডান পাশের এ্যানিমেশান করা ছবিটি (Brutality!! এর নিচে) দেখুন, http://www.hrcbm.org/

৫. Murder in a Mosque (মসজিদে হত্যা ) শিরোনামে এই ছবিটা পোষ্ট করা হয়েছে। সেখানে কমেন্টও এসেছে প্রচুর। ছবি ও কমেন্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন
http://www.freerepublic.com/focus/news/663591/posts
৬. Hundurastra নামের এই ওয়েব সাইটের মাঝখানে ক্রল করে ছবিটি দেখুন,
http://www.hindurashtra.org/atrocities.htm

৭. No to Islam নামের এক ব্লগেও এই ছবি পোষ্ট করা হয়েছে। Hindu Beaten by Muslims (হিন্দুকে পেটাচ্ছে মুসলমানরা) শিরোনামে এই ছবিটি পোষ্ট করা হয়েছে
http://noislam2007.blogspot.com/2010/03/hindu-beaten-by-muslims.html

আরো অনেক ওয়েবসাইটে এই ছবিটা আপলোড করা হয়েছে ইসলাম ও বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক, বর্বর রাষ্ট্র হিসেবে সারা বিশ্বে তুলে ধরার জন্য। সাথে এটাও বলা হয়েছে, এই ছবি থেকে বুঝা যায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের কি অবস্থা!! এর মধ্যে কিছু সাইটে দেখুন ছবিটা,

http://www.hissheep.org/islam/pictures_of_islam.html

http://grendelreport.posterous.com/religious-ritual-in-a-bangladeshi-mosque

http://consumer.admanya.com/photoblog/religious_ritual_in_a_bangladeshi_mosque-302.html

http://fieryspiritedzionist.blogspot.com/2010/05/hindu-beaten-to-death-in-mosque.html

http://www.sodahead.com/united-states/ethnic-cleansing-in-bangladesh/question-2090419/

http://www.copts.net/forum/showthread.php?t=31349&langid=1

http://www.janasangh.com/jsart.aspx?stid=193

http://www.facebook.com/Paradise.Jamaat/posts/168242023200569

মজার বিষয় হলো একই ছবি, হুবহু একই ক্যাপশানে সব ওয়েবসাইট ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই সাইটগুলো ভালো ভাবে খেয়াল করলে বুঝতে অসুবি্ধা হয়না এগুলোর নেপথ্যগুরু কারা। এরা বাংলাদেশকে আরেকটি স্পেন বানানোর সব আয়োজন নাকি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেই ফেলেছে।

এনিয়ে পরবর্তি পোষ্ট পড়ুন, বাংলাদেশ বিরোধী অপ্রচারঃ সব রসুনের একই গোড়া?
 Regards,
Adv. Nayan Khan

'Awami League' is not a name of a political party, it's a name of disease of Bangladesh.



__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___