হে মহান আরশের মালিক, হে আল্লাহ পরওয়ারদেগার বেনিয়ায, আমরা সাক্ষি দিচ্ছি তোমার এই বান্দাহ যদি কোনো পাপ করে থাকেন তা একমাত্র তুমিই জানো। তিনি আমাদের কাছে নিরপরাধ। তাঁর কোনো অপরাধ আমাদের কাছে জানা নেই। তিনি সারা জীবন তোমার দ্বীনের ঝান্ডাকে সমুন্নত রাখার জন্য জীবন বাজি রেখে দেশের আনাচে কানাচে মানুষকে দ্বীনের দিকে ডেকে গেছেন। তাঁর কাছ থেকে আমরা ভালো ছাড়া কিছুই পাইনি। আল্লাহ, তুমি যালিমের বিষদাঁত ভেঙ্গে দাও। আল্লাহ, তোমার যে বান্দাহ তোমার দ্বীন, মুসলিম উম্মাহ্ ও এই জনপদের জন্য এতো ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাকে তুমি ধৈর্য দাও, তাকে তুমি আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দাও, তাকে তুমি শান্তি ও নিরাপত্তা দাও। যালিমের নির্যাতনকে তুমি তার জন্য স্বর্গীয় শান্তিতে পরিনত করে দাও, যেমনটি তুমি করেছিলে তোমার খলীল নবী ইব্রাহিমের (আঃ) প্রতি। আল্লাহ তুমি মযলুমের ফরিয়াদ শোনো। তুমি সবচে বড় ন্যায় বিচারক। আমরা মযলুম তোমার কাছে বিচার চাই। তুমি আমাদেরকে তোমার ন্যায় বিচারের মাহাত্ব্য দেখাও। আল্লাহ আমরা তোমার অপার কুদরতের মহিমা দেখতে চাই। আল্লাহ তুমি যদি সত্য হয়ে থাকো, তোমার নবী-রাসুলগন যদি সত্য হয়ে থাকে, তোমার দ্বীন যদি সত্য হয়ে থাকে, তোমার দ্বীনের অনুসারীরা যদি সত্য হয়ে থাকে, আমাদের মতো গোনাহগার বান্দারা যদি তোমার দ্বীনকে ভালো বেশে থাকি, তোমার প্রিয়তম রাসুলকে ভালোবেসে অনুসরন করে থাকি, তাহলে তুমি আমাদেরকে এই দুনিয়ায় তোমার ন্যায় বিচার দেখাও, তোমার মযলুম বান্দাহদেরকে শান্তি ও মুক্তি দাও। তোমার প্রিয় বান্দাহদের উপর নির্যাতনকারীদেরকে তুমি হেদায়াত দাও। তারা হেদায়াতের অযোগ্য হলে তুমি তাদেরকে সমূলে নিপাত করো। যাঁদের কারনে আমরা নিজেদেরকে ইসলামের আলোকে আলোকিত করতে পেরেছি, যাঁদের অক্লান্ত ও নিঃস্বার্থ পরিশ্রমের কারনে আমরা তোমাকে চিনেছি, তোমার দ্বীনকে চিনেছি, তোমার রাসুলকে ভালোবাসতে ও অনুসরন করতে শিখেছি, তোমার দ্বীনকে আমাদের জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হিসেবে গ্রহন করতে পেরেছি, হে আল্লাহ আজ আমরা তাঁদের মহান নেতৃত্ব ও অভিভাবকত্ব থেকে বঞ্চিত। আল্লাহ, তুমি আমাদের নেতাদেরকে আমাদের মাঝে সসম্মানে ফিরিয়ে দাও। আল্লাহ তুমি ইসলামী আন্দোলনের লাখো নিবেদিত-প্রাণ কর্মীর বাঁধভাঙ্গা কান্না শোনো। আল্লাহ তুমি আমাদের হৃদয়ের রক্তের বন্যা বন্ধ করো। আল্লাহ তুমি ছাড়া এজগতে আমাদের আর কোনো সহায় নেই, কোনো প্রভু নেই, কোনো বন্ধু নেই। আমরা তোমাকে, তোমার দ্বীনকে এবং তোমার অপার দান এই প্রিয় বাংলাদেশকে ভালোবাসি বলে আমাদের চারিদিকে শত্রু বেষ্টিত। তোমাকে ভালোবাসি বলে ওরা আমাদেরকে দুনিয়া থেকে মূছে ফেলতে চায়। তোমার দ্বীনকে ভালোবাসি বলে তোমার দ্বীনের শত্রুরা আমাদেরকে সর্বোগ্রাসী আক্রমনের মুখোমুখি করেছে। তোমার দেয়া অনুপম করুণা তোমার এই ভূখন্ডে তোমার শান্তি ও কল্যাণের শাসন আমরা চাই বলে এদেশের স্বার্থবিরোধী বিদেশী শত্রুরা ও তাদের এদেশীয় তাবেদার ইসলাম বিরোধী শক্তি আমাদেরকে দুনিয়া থেকে মুছে ফেলতে চায়। ওদের চক্রান্ত ষঢ়যন্ত্রকে তুমি তোমার মহান কুদরতের বদৌলতে আমাদের বিজয় এবং তাদের পরাজয়ের কারন বানিয়ে দাও।اللهم إنا نجعلك في نحورهم و نعوذ بك من شرورهم.
আল্লাহ তুমি সর্বশক্তিমান। যাবতীয় চক্রান্ত ষঢ়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব তুমিই দিতে পারো। আল্লাহ আমরা তোমার অসহায় বান্দাহ, আমাদেরকে যালিমের যুলুম থেকে বাঁচাও। এদেশতাকে বাঁচাও। তোমার দ্বীনের মাধ্যমে এদেশের মাটি ও মানূষকে তুমি সম্মানিত করো। তোমার দ্বীনের বিজয়ের মাধ্যমে এদেশের স্বার্থবিরোধী দেশদ্রোহী শক্তিকে তুমি চিরতরে পরাহত করে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে এবং তোমার প্রিয় বান্দাহদের সম্মানকে সুনিশ্চিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করো। ইয়া আরহামাররাহিমীন!!!_______________________________________________________________
From: N N <akko705@gmail.com>
Subject: Mawlana Sayidee's speech before International War Crimes Tribunal
To:
Date: Tuesday, October 4, 2011, 9:41 AM
৭১-এ মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন: 'মিথ্যা অপবাদের জন্য আল্লাহর গজব পড়বে'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। সরকারপক্ষের উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করে আগামী ৩০ অক্টোবর শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। আনীত অভিযোগকে জঘন্যতম মিথ্যাচার হিসেবে উল্লেখ করে মাওলানা সাঈদী আদালতে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই সরকার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। অভিযোগপত্রের প্রতিটি লাইন ও শব্দই মিথ্যা। আমি জীবনে কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত হওয়া তো দূরের কথা; বরং অপরাধ আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান বরাবরই ছিল স্পষ্ট। মিথ্যা তথ্যপ্রমাণ তৈরি করে সত্যকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিথ্যা ক্ষণস্থায়ী আর সত্য চিরস্থায়ী। আমার বিরুদ্ধে সরকার উত্থাপিত অভিযোগ ইতিহাসে মিথ্যা হিসেবেই লিপিবদ্ধ থাকবে। আজ হোক আর কাল হোক, সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই।
আল্লাহ তুমি সর্বশক্তিমান। যাবতীয় চক্রান্ত ষঢ়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব তুমিই দিতে পারো। আল্লাহ আমরা তোমার অসহায় বান্দাহ, আমাদেরকে যালিমের যুলুম থেকে বাঁচাও। এদেশতাকে বাঁচাও। তোমার দ্বীনের মাধ্যমে এদেশের মাটি ও মানূষকে তুমি সম্মানিত করো। তোমার দ্বীনের বিজয়ের মাধ্যমে এদেশের স্বার্থবিরোধী দেশদ্রোহী শক্তিকে তুমি চিরতরে পরাহত করে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে এবং তোমার প্রিয় বান্দাহদের সম্মানকে সুনিশ্চিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করো। ইয়া আরহামাররাহিমীন!!!_______________________________________________________________
From: N N <akko705@gmail.com>
Subject: Mawlana Sayidee's speech before International War Crimes Tribunal
To:
Date: Tuesday, October 4, 2011, 9:41 AM
৭১-এ মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাঈদীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন: 'মিথ্যা অপবাদের জন্য আল্লাহর গজব পড়বে'বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। সরকারপক্ষের উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করে আগামী ৩০ অক্টোবর শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। আনীত অভিযোগকে জঘন্যতম মিথ্যাচার হিসেবে উল্লেখ করে মাওলানা সাঈদী আদালতে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই সরকার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। অভিযোগপত্রের প্রতিটি লাইন ও শব্দই মিথ্যা। আমি জীবনে কোনো ধরনের অপরাধে জড়িত হওয়া তো দূরের কথা; বরং অপরাধ আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান বরাবরই ছিল স্পষ্ট। মিথ্যা তথ্যপ্রমাণ তৈরি করে সত্যকে চাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিথ্যা ক্ষণস্থায়ী আর সত্য চিরস্থায়ী। আমার বিরুদ্ধে সরকার উত্থাপিত অভিযোগ ইতিহাসে মিথ্যা হিসেবেই লিপিবদ্ধ থাকবে। আজ হোক আর কাল হোক, সত্য একদিন প্রতিষ্ঠিত হবেই।
এদিকে আদালতের আদেশের পর সরকারপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়েই মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। ৩০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ শুরু হবে। তিনি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তত্কালীন পিরোজপুর মহকুমা সদর থানার বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন তারিখে, বিভিন্ন সময়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। অপরদিকে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, আদালত উড়ন্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেছেন। আমরা আদালতের কাছে সময় চেয়েছি। আন্তর্জাতিক রীতি ও আইন অনুযায়ী অভিযোগ গঠনের পর আসামিপক্ষকে কমপক্ষে ৬ মাস সময় দিতে হয় প্রস্তুতির জন্য। আমাদের দেয়া হয়েছে মাত্র ২৭ দিন। এটা হাত-পা বেঁধে বিচার করার মতোই। আমরা এখানে ন্যায়বিচার পাব কিনা, এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কেননা আমরা আদালতে সরকারপক্ষের অভিযোগের জবাবে অনেক আইন-কানুন, যুক্তি-তর্ক ও নজির উপস্থাপন করেছি। আদালত আমাদের কোনো বক্তব্যই গ্রহণ করেননি। সরকারপক্ষের একতরফা বক্তব্য শুনেই এ আদেশ দিয়েছেন। আদালতের এ আদেশ রিভিউ করার জন্য আমরা আবেদন করব। রিভিউতেও প্রতিকার না পেলে আমরা এ আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার বিষয়ে ভিন্ন চিন্তা করব।
সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ: সকাল সাড়ে দশটায় মাওলানা সাঈদীর উপস্থিতিতে আদালত সরকারপক্ষের আইনজীবীদের উপস্থাপিত ৩১টি অভিযোগের মধ্য থেকে ২০টি গ্রহণ করে এগুলো পড়ে শোনান। অভিযোগগুলোতে বলা হয়েছে, তিনি ১৯৭১ সালের বিভিন্ন তারিখে, বিভিন্ন সময়ে তত্কালীন পিরোজপুর মহকুমার (বর্তমান পিরোজপুর জেলা) সদর থানার বিভিন্ন গ্রামে ও বিভিন্ন বাড়িতে হানা দিয়ে কখনও পাকিস্তানি আর্মির সঙ্গে আবার কখনও একা নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছেন এবং হত্যায় সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া তিনি অনেক হিন্দু মহিলাকে পাকিস্তানি আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে তাদের হাতে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তুলে দিয়েছেন। এছাড়া তিনি মাছিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে ২০ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত, মাছিমপুর হিন্দুপাড়ায় হানা দিয়ে ১৩ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত, পালপাড়া, কদমতলা, নওয়াবপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে ১২ জনকে নির্যাতন, অন্য স্থানে মিজানুর রহমান ও ফয়জুর রহমানকে হত্যা করেছেন। পাড়ের হাট সংলগ্ন হিন্দুপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করেছেন। মানিক পসারীর বাড়িতে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাকে হত্যা করেছেন। উমেদপুর চিত্তরঞ্জন তালুকদারের বাড়িতে আগুন, আবদুল মজিদ হাওলাদারকে নির্যাতন, জোর করে হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করা, মহামায়া রানীকে ধর্ষণে সহায়তা, আনু সাহাকে ধর্মান্তরিত করে মুসলমান বানিয়ে তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করা ইত্যাদি।
আদালতের মন্তব্য: সরকারপক্ষের উত্থাপিত উপরোক্ত অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত বলেন, কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষীর সাক্ষ্য ছাড়া চার্জ গঠন পর্যায়ে এ মুহূর্তে কেবল সামনে থাকা কাগজপত্র ও দলিলাদি পর্যালোচনায় চূড়ান্তভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনাল এ পর্যায়ে বিবেচনার আলোকে প্রাথমিকভাবে এটি মনে করেছেন, কথিত সময়ে, স্থানে ও প্রকারে ১৯৭৩ সালের আইনের ৩(২) ধারায় বর্ণিত অভিযোগসমূহ সংঘটিত হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি ওইসব অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন মর্মে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়। আদালত সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল মনে করেন, তথ্য জানা বা পাওয়ার এবং মতপ্রকাশের অধিকার সবার রয়েছে। তবে সেই তথ্য ও মতপ্রকাশের ছদ্মাবরণে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিচারাধীন বিষয়ে কোনো অসতর্ক মন্তব্য যা প্রকারান্তরে বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বা করতে পারে—এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন বলে ট্রাইব্যুনাল আশা করেন।
আদালতের উদ্দেশে সাঈদী: সরকারপক্ষ উত্থাপিত অভিযোগগুলো মাওলানা সাঈদীকে পড়ে শোনানোর পর এগুলোর সঙ্গে তিনি জড়িত কিনা জানতে চান আদালত। আদালত বলেন, আমি আদেশ ইংরেজিতে দিয়েছি। এখন আপনার বোঝার জন্য বাংলায় দিচ্ছি। জবাবে মাওলানা সাঈদী বলেন, মাননীয় আদালত বাংলায় দেয়ার প্রয়োজন হবে না। আমি আপনার আদেশ বুঝতে পেরেছি। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, আপনি কি দোষী না নির্দোষ। জবাবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন মাওলানা সাঈদী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে বরাবরের মতো নির্দোষ দাবি করেন। তিনি আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, ১৯৭১ সালে তো দূরের কথা, তার আগে ও পরে আমি কোনো ধরনের অপরাধ করিনি। অভিযোগপত্রের মাধ্যমে সরকার আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করেছে, তার প্রতিটি লাইন ও প্রতিটি শব্দ মিথ্যা। এতগুলো অপরাধ আমি করলাম অথচ কোনো সময়েই দেশের কোনো একটি স্থানে আমার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রিও হলো না। ১৯৮০ সালে আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে আমি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হই। আমার এলাকার সব শ্রেণী-পেশার ও ধর্মের মানুষ ভোট দিয়ে দুবার আমাকে নির্বাচিত করেছেন। সংসদের ভেতরে ও বাইরে আমি সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছি। অথচ সরকার আজ আমাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য সবধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে মাওলানা সাঈদী প্রায় ১০ মিনিট বক্তব্য রাখেন। এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মধ্যে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। সুবক্তা হিসেবে পরিচিত মাওলানা সাঈদীর সেই মধুর কণ্ঠ দীর্ঘদিন পরে শুনতে পেয়ে উপস্থিত সবাই বিমোহিত হন। মাওলানা সাঈদী বলেন, আমাকে আওয়ামী লীগ ও তাদের সমগোষ্ঠীয় রাজনৈতিক দলের কিছু লোক রাজাকার বলে। মূলত এরা হচ্ছে ভারতীয় রাজাকার। কেবল ভারতীয় রাজাকাররাই আমাকে রাজাকার বলে। দেশের প্রতি এদের দায়িত্ববোধ কতটুকু, সেটা দেশবাসীই বিচার করবেন। ট্রাইব্যুনালকে সাঈদী বলেন, আমাকে রাজাকার যারা বলেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
আদালতের মন্তব্য: সরকারপক্ষের উত্থাপিত উপরোক্ত অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত বলেন, কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষীর সাক্ষ্য ছাড়া চার্জ গঠন পর্যায়ে এ মুহূর্তে কেবল সামনে থাকা কাগজপত্র ও দলিলাদি পর্যালোচনায় চূড়ান্তভাবে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়ার সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনাল এ পর্যায়ে বিবেচনার আলোকে প্রাথমিকভাবে এটি মনে করেছেন, কথিত সময়ে, স্থানে ও প্রকারে ১৯৭৩ সালের আইনের ৩(২) ধারায় বর্ণিত অভিযোগসমূহ সংঘটিত হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি ওইসব অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন মর্মে প্রাথমিকভাবে দেখা যায়। আদালত সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল মনে করেন, তথ্য জানা বা পাওয়ার এবং মতপ্রকাশের অধিকার সবার রয়েছে। তবে সেই তথ্য ও মতপ্রকাশের ছদ্মাবরণে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিচারাধীন বিষয়ে কোনো অসতর্ক মন্তব্য যা প্রকারান্তরে বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে বা করতে পারে—এমন কাজ থেকে বিরত থাকবেন বলে ট্রাইব্যুনাল আশা করেন।
আদালতের উদ্দেশে সাঈদী: সরকারপক্ষ উত্থাপিত অভিযোগগুলো মাওলানা সাঈদীকে পড়ে শোনানোর পর এগুলোর সঙ্গে তিনি জড়িত কিনা জানতে চান আদালত। আদালত বলেন, আমি আদেশ ইংরেজিতে দিয়েছি। এখন আপনার বোঝার জন্য বাংলায় দিচ্ছি। জবাবে মাওলানা সাঈদী বলেন, মাননীয় আদালত বাংলায় দেয়ার প্রয়োজন হবে না। আমি আপনার আদেশ বুঝতে পেরেছি। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, আপনি কি দোষী না নির্দোষ। জবাবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন মাওলানা সাঈদী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে বরাবরের মতো নির্দোষ দাবি করেন। তিনি আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, ১৯৭১ সালে তো দূরের কথা, তার আগে ও পরে আমি কোনো ধরনের অপরাধ করিনি। অভিযোগপত্রের মাধ্যমে সরকার আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করেছে, তার প্রতিটি লাইন ও প্রতিটি শব্দ মিথ্যা। এতগুলো অপরাধ আমি করলাম অথচ কোনো সময়েই দেশের কোনো একটি স্থানে আমার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রিও হলো না। ১৯৮০ সালে আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে আমি জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হই। আমার এলাকার সব শ্রেণী-পেশার ও ধর্মের মানুষ ভোট দিয়ে দুবার আমাকে নির্বাচিত করেছেন। সংসদের ভেতরে ও বাইরে আমি সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সবসময়ই সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছি। অথচ সরকার আজ আমাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য সবধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আদালতের অনুমতি নিয়ে মাওলানা সাঈদী প্রায় ১০ মিনিট বক্তব্য রাখেন। এ সময় উভয়পক্ষের আইনজীবী ও সাংবাদিকদের মধ্যে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। সুবক্তা হিসেবে পরিচিত মাওলানা সাঈদীর সেই মধুর কণ্ঠ দীর্ঘদিন পরে শুনতে পেয়ে উপস্থিত সবাই বিমোহিত হন। মাওলানা সাঈদী বলেন, আমাকে আওয়ামী লীগ ও তাদের সমগোষ্ঠীয় রাজনৈতিক দলের কিছু লোক রাজাকার বলে। মূলত এরা হচ্ছে ভারতীয় রাজাকার। কেবল ভারতীয় রাজাকাররাই আমাকে রাজাকার বলে। দেশের প্রতি এদের দায়িত্ববোধ কতটুকু, সেটা দেশবাসীই বিচার করবেন। ট্রাইব্যুনালকে সাঈদী বলেন, আমাকে রাজাকার যারা বলেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, যা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
আদালতের কিছু প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে বলেন, মাননীয় বিচারক, সেদিন আপনি প্রথম হজ করে এসেছেন। আপনার মাথায় টুপি ছিল, তখনও আপনার মুখ থেকে নূরানি আভা মলিন হয়নি। আমাকে এখানে আনার পর একজন প্রসিকিউটর আমার নাম বিকৃত করে উপস্থাপন করেছিলেন। আমি আশা করেছিলাম আপনি তা সংশোধন করে দেবেন। কিন্তু আপনি সেটা করেননি। আপনি আদেশ দেয়ার সময় একই বিকৃত নাম বলেছেন। সূরা হুজরাতের ১১নং আয়াতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সূরায় নামের বিষয়ে বলা আছে—তোমরা কোনো মানুষের নাম বিকৃত করে ডেকো না। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের নিচে সাত শ্রেণীর মানুষ ছায়া পাবে। তার মধ্যে ন্যায়বিচারকরা প্রথমেই রয়েছেন। আপনি এই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান। আপনার কাছ থেকে সেই ন্যায়বিচার আশা করি।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক যুগের বেশি সময় আমাকে নিয়ে কোনো কথা হয়নি। ১৯৮০ সালে আমি যখন জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরার সদস্য হই, তখনই আমাকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে সরকার গঠন হয়, সেখানে সংসদে আমি ২০ মিনিট বক্তব্য দিয়ে বলেছিলাম, আমি রাজাকার নই। সেই ২০ মিনিট বক্তব্যের একটি কথাও এক্সপাঞ্জ করা হয়নি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন একটি রচনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইন মিথ্যা। এমন মিথ্যা প্রতিবেদনের জন্য আল্লাহর আরশ কাঁপবে। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে যারা এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছে তাদের ওপর আল্লাহর গজব নেমে আসবে, আমি সেই লানত দেখার অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, আমাকে হেয় করতে তারা এ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস কিছুই ছিলাম না আমি। তদন্ত প্রতিবেদনের সাক্ষী, তাদের সাক্ষ্য, বাদী সব মিথ্যা। এ সাক্ষ্য যারা রচনা করেছেন তাদের আল্লাহর ভয় নেই, পরকালের ভয় নেই। তাই তারা এগুলো রচনা করতে পেরেছেন। মাওলানা সাঈদী বলেন, পাক সেনাদের সঙ্গে আমার এক মিনিটের জন্যও বৈঠক হয়নি। অথচ এখানে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। তিনি সাবলীলভাবে বলেন, আমি সবুর করছি। অপেক্ষা করুন। যারা আমার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, তাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। দুনিয়াবাসী দেখবেন তাদের পতন।
একাত্তরে আমি কোনো অপরাধ করিনি। কোনো বাহিনীর কমান্ডার তো দূরের কথা, পদেও ছিলাম না। মানবতাবিরোধী নয়—মানবতার পক্ষে আমি বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে বক্তব্য দিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, এখানে যাদের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের সব কথাই মিথ্যা। কোরআন শরিফে আছে, যারা মিথ্যা বলে তাদের ওপর আল্লাহর লানত পড়বে।
মাওলানা সাঈদীর আবেগপূর্ণ এ বক্তব্য শেষে ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির তাকে বলেন, সাঈদী সাহেব, আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমাণ করার দায়িত্বও সরকারপক্ষের আইনজীবীদের। তারা যদি অভিযোগ প্রমাণ না করতে পারেন, তাহলে আপনি মুক্তি পাবেন। আপনার সম্মান ক্ষুণ্ন হবে না। আপনি ন্যায়বিচার পাবেন। জবাবে মাওলানা সাঈদী বলেন, মাননীয় আদালত আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রসঙ্গত, মাওলানা সাঈদীকে গত বছর ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কথিত অভিযোগে সরকার গ্রেফতার করে। পরে তার বিরুদ্ধে সরকার বিভিন্ন মিথ্যা ও হাস্যকর অভিযোগ এনে আরও ১৪টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় মাওলানা সাঈদীকে প্রায় এক মাস রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে অবশ্য তিনি এর সবগুলো মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। সর্বশেষ সরকার তাকে একাত্তরের কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত দেখিয়ে আটক করে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রায় চার হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এখান থেকে আদালত মাত্র ৩-৪ পৃষ্ঠা গ্রহণ করেন। অবশিষ্টগুলো বিভিন্ন বই, উপন্যাস ও পত্রিকার ফটোকপি হওয়ায় সেগুলো গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক যুগের বেশি সময় আমাকে নিয়ে কোনো কথা হয়নি। ১৯৮০ সালে আমি যখন জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরার সদস্য হই, তখনই আমাকে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে সরকার গঠন হয়, সেখানে সংসদে আমি ২০ মিনিট বক্তব্য দিয়ে বলেছিলাম, আমি রাজাকার নই। সেই ২০ মিনিট বক্তব্যের একটি কথাও এক্সপাঞ্জ করা হয়নি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন একটি রচনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইন মিথ্যা। এমন মিথ্যা প্রতিবেদনের জন্য আল্লাহর আরশ কাঁপবে। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে যারা এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছে তাদের ওপর আল্লাহর গজব নেমে আসবে, আমি সেই লানত দেখার অপেক্ষায় আছি।
তিনি বলেন, আমাকে হেয় করতে তারা এ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস কিছুই ছিলাম না আমি। তদন্ত প্রতিবেদনের সাক্ষী, তাদের সাক্ষ্য, বাদী সব মিথ্যা। এ সাক্ষ্য যারা রচনা করেছেন তাদের আল্লাহর ভয় নেই, পরকালের ভয় নেই। তাই তারা এগুলো রচনা করতে পেরেছেন। মাওলানা সাঈদী বলেন, পাক সেনাদের সঙ্গে আমার এক মিনিটের জন্যও বৈঠক হয়নি। অথচ এখানে নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। তিনি সাবলীলভাবে বলেন, আমি সবুর করছি। অপেক্ষা করুন। যারা আমার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, তাদের ওপর আল্লাহর গজব পড়বে। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। দুনিয়াবাসী দেখবেন তাদের পতন।
একাত্তরে আমি কোনো অপরাধ করিনি। কোনো বাহিনীর কমান্ডার তো দূরের কথা, পদেও ছিলাম না। মানবতাবিরোধী নয়—মানবতার পক্ষে আমি বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে বক্তব্য দিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, এখানে যাদের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের সব কথাই মিথ্যা। কোরআন শরিফে আছে, যারা মিথ্যা বলে তাদের ওপর আল্লাহর লানত পড়বে।
মাওলানা সাঈদীর আবেগপূর্ণ এ বক্তব্য শেষে ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির তাকে বলেন, সাঈদী সাহেব, আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমাণ করার দায়িত্বও সরকারপক্ষের আইনজীবীদের। তারা যদি অভিযোগ প্রমাণ না করতে পারেন, তাহলে আপনি মুক্তি পাবেন। আপনার সম্মান ক্ষুণ্ন হবে না। আপনি ন্যায়বিচার পাবেন। জবাবে মাওলানা সাঈদী বলেন, মাননীয় আদালত আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রসঙ্গত, মাওলানা সাঈদীকে গত বছর ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কথিত অভিযোগে সরকার গ্রেফতার করে। পরে তার বিরুদ্ধে সরকার বিভিন্ন মিথ্যা ও হাস্যকর অভিযোগ এনে আরও ১৪টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় মাওলানা সাঈদীকে প্রায় এক মাস রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে অবশ্য তিনি এর সবগুলো মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। সর্বশেষ সরকার তাকে একাত্তরের কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত দেখিয়ে আটক করে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযুক্ত করে তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রায় চার হাজার পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। এখান থেকে আদালত মাত্র ৩-৪ পৃষ্ঠা গ্রহণ করেন। অবশিষ্টগুলো বিভিন্ন বই, উপন্যাস ও পত্রিকার ফটোকপি হওয়ায় সেগুলো গ্রহণ করা হয়নি।
__._,_.___