Banner Advertise

Sunday, October 23, 2011

[chottala.com] Post from Sangbad



This is a copy of the Post Editorial by Dr. Mainul Islam, retired Professor, Dhaka University. As I could not provide you with the link the complete post is copied.

Thanks and warm wishes.



উইকিলিকসের ফাঁসকৃত তথ্য ও জাতীয়তাবাদী নেতৃত্ব
মো. মইনুল ইসলাম
বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাষ্ট্রশাসন বিষয়ে উইকিলিকসের ফাঁসকৃত মার্কিন দূতাবাসের তারবার্তাগুলো এক বিরাট তথ্যভা-ার এবং দুর্লভ সম্পদ, যা আমাদের একদল দুষ্ট ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকের নির্লজ্জ এবং বেপরোয়া তস্করবৃত্তির মুখোশটি জনসমক্ষে খুলে দিয়েছে। এসব তারবার্তার বেশকিছু বিষয় দেশের শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ জানত, কিছুটা গণমাধ্যমের সুবাদে এবং অনেকটা জনরবের ফলে। বিশেষ করে বিগত বিএনপি আমলে (২০০১-২০০৬) হাওয়া ভবন ও তারেককে কেন্দ্র করে যে একটি শক্তিশালী মাফিয়াচক্র গড়ে উঠেছিল এবং কার্যত তারাই দেশ চালাত।
এ বিষয়টি কারও অজানা ছিল না। জনরবগুলো এতই প্রবল হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি সমর্থক সাদা দলের একদল শিক্ষক একজন সাবেক উপাচার্যের নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাকে হাওয়া ভবনের ব্যাপারে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে জানালে বেগম জিয়ার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল, 'আর সব কথা বলুন, কিন্তু হাওয়া ভবনের ব্যাপারে কিছু বলবেন না। এটা আমার চড়ষরঃরপধষ ড়ভভরপব (রাজনৈতিক কার্যালয়)।' সুতরাং বুঝতে অসুবিধে হয় না, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি মদতে হাওয়া ভবন চলছিল এবং সেখানকার সব কাজ-কর্ম এবং তাদের নায়কদের সম্বন্ধে জনরব সত্য ছিল। আর জনরব সত্য হয়ে থাকে বলেই ল্যাটিন প্রবাদ ঠড়ী ঢ়ড়ঢ়ঁষর াড়ী ফরব বা 'জনগণের স্বর হলো ঈশ্বরের স্বর' সর্বজনীন সত্য বলে সারাবিশ্বে আজও স্বীকৃত।
সেসব জানা তথ্যের সঙ্গে আরও কিছু অতিরিক্ত এবং বিস্তারিত তথ্য এবং তাদের কুশিলবদের নাম প্রকাশ করে উইকিলিকস একটি প্রামাণিক দলিল দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে, যাকে বলা যায় জানা তথ্যের প্রামাণিক দলিল। বিস্ময়ের বিষয় হলো বাংলাদেশের দূতাবাসের পাঠানো তারবার্তাগুলো বাংলাদেশের রাজনীতি ও ক্ষমতার অন্দরমহলের নানা তথ্য অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ওয়াশিংটনের যথাযথ মহলে পরিবেশন করেছে। বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর দূতাবাস স্বাগতিক দেশের রাজনীতি কতটা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে তারও সাক্ষ্য বহন করে তারবার্তাগুলো। নিয়মিত সত্যকে মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তারবার্তাগুলোকে কল্পকাহিনী আখ্যায়িত করে এ ব্যাপারে তার পারদর্শিতা আরেকবার প্রমাণ করলেন। তবে কবিগুরুর ভাষায় তাকে স্মরণ করিয়ে দেব_ সত্য যে কঠিন অতি/ কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,/ সে কখনো করে না বঞ্চনা।
ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপি নিশ্চয়ই পবিত্র কোরআনের বাণীটিও অবগত আছেন, যাতে আল্লাহ বলেন_ 'তোমরা সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকো না, আর জেনেশুনে সত্য গোপন করো না।' তবে কথা আছে 'চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী'। আর সত্য-মিথ্যার ব্যাপারে বেপরোয়া বিএনপি নেতৃত্বের আসল চেহারাটি ফাঁসকৃত তারবার্তাগুলো থেকেই সুস্পষ্ট।
আলোচ্য নিবন্ধের আসল উদ্দেশ্য উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যের আলোকে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের প্রকৃত স্বরূপটি আবিষ্কার। দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক, ঞযব উধরষু ঝঃধৎ-এ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে প্রকাশিত উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যটি এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া তার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক এবং প্রভাবশালী ১৭ জন বিএনপি নেতা, যারা ক্ষমতার দ্বিতীয় মেয়াদে খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে গভীরভাবে প্রভাবান্বিত করত, তাদের সম্পর্কে ২০০৫ সালের মে মাসে পাঠানো তারাবার্তাটি বিএনপির শীর্ষ ব্যক্তিদের একটি চমৎকার আলেখ্য ফুটিয়ে তুলেছে। দুর্নীতিপরায়ণতা, ক্ষমতালিপ্সা এবং সুবিধাবাদিতাই যে এদের রাজনৈতিক চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য তারবার্তাটি থেকে তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এই মহাগুণধর গণতন্ত্রের মানসপুত্ররা দেশবাসীর কাছে বিগত বিএনপি আমলে শুধু সুপরিচিত ছিল না, নানা দুষ্কর্মের জন্য বিপুল 'সুখ্যাতি' (আসলে কুখ্যাতি) লাভ করেছিল। সাধারণ মানুষ সে সময় জাতীয়তাবাদী দলের আত্মীয়তাবাদী-আনুগত্যবাদী-ঘনিষ্ঠতাবাদী রাজনীতিকদের দেশব্যাপী দুর্নীতি এবং লুণ্ঠনের উলঙ্গ উৎসব নিরুপায়ভাবে তখন প্রত্যক্ষ করেছে। ঞযব উধরষু ঝঃধৎ (৬-৯-১১) তারবার্তাটির শুরুতে উল্লেখ করেছে, খড়ুধষঃু, পষড়ংবহবংং ধহফ ভধসরষু ৎবষধঃরড়হং সবধহঃ সড়ৎব ঃড় শযধষবফধ তরধ ঃযধহ ঃরঃষবং ড়ৎ রহংঃরঃঁঃরড়হধষ ঢ়ড়ংরঃরড়হং রহ রহভষঁবহপরহম ঃযব ফবপরংরড়হ সধশরহম ঢ়ৎড়পবংং ফঁৎরহম ঃযব ংবপড়হফ ঃবৎস রহ ঢ়ড়বিৎ.
আর আজকে যখন লেখাটি শেষ করতে যাচ্ছি তখনই ইত্তেফাকের (৬-১০-১১) শীর্ষ শিরোনাম 'খালেদার ছেলেরা (তার) মন্ত্রীদের আত্মীয়রা সরাসরি 'কমিশন বাণিজ্যে জড়িত' বমশেলের মতো বিকট শব্দে পুরনো সত্যকেই নতুন করে প্রকাশ করল। তখনকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটেনিস ২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট মার্কিন সরকারের কাছে পাঠানো এক তারবার্তায় লেখেন, 'ক্ষমতার মেয়াদের শেষ দিকে এসে বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকার নজিরবিহীন মাত্রায় দুর্নীতিতে নিমগ্ন হয়ে পড়েছে। ... বেগম জিয়ার দুই ছেলে ছাড়াও তার মন্ত্রীদের আত্মীয়স্বজনরা সরাসরি কমিশন বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন টেন্ডার কিংবা সরকারি কেনাকাটা থেকে কমিশন নিচ্ছেন তারা।' তিনি আরও লেখেন, 'কোন রকম আইনি শাস্তির আশঙ্কা না করেই তারা দুর্নীতি এবং অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে তাদের দেখাদেখি মাঠপর্যায়ের সর্বস্তরে 'ছিঁচকে' দুর্নীতির ঘটনাও বেড়ে গেছে। কারণ নিম্নপদস্থ কর্মচারী-কর্মকর্তারা এখন দুর্নীতির ব্যাপারে নিজেদেরও অনেকে ঝুঁকিমুক্ত মনে করছেন। ... ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে প্রথম স্থান দিলেও কারও হুঁশ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। (ইত্তেফাক ৬-১০-১১)।'
এখন পূর্বোক্ত ১৭ জন প্রভাবশালীর কথায় আসা যাক। ২০০৫ সালের মে মাসের ওই তারবার্তায় রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাস এই ১৭ জনকে যথাক্রমে তিন ভাগে ভাগ করেন ক. অতিঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালীদের ওহহবৎ পরৎপষব বা সবচেয়ে কাছের মানুষ, খ. এর চেয়ে কিছু কম ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালীদের গরফফষব পরৎপষব মধ্যবৃত্তের বা মধ্যবর্তী মানুষ এবং গ. সর্বশেষ গ্রুপটিকে ঙঁঃবৎ পরৎপষব বা বহির্বৃত্তের মানুষ তথা কাছের কিন্তু অনেকটা কম ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালীদের দলে ফেলেছেন। তারবার্তা মতে, অতিঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালী ওহহবৎ পরৎপষব-এর প্রথম ব্যক্তিটিই হচ্ছেন খালেদা জিয়া। 'তিনিই ক্ষমতার মূল কর্ণধার এবং মহানায়িকা, যদিও সমালোচকরা তাকে 'বিচ্ছিন্ন', 'অলস' এবং 'অশিক্ষিত' বলে থাকেন।' তারবার্তায় যা উল্লেখ নেই, তা হলো তিনি বেজায় অসহিষ্ণু, ঔদ্ধত্য এবং অশালীন কথাবার্তায় পারঙ্গম। এখানে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখের দাবি রাখে, কালো টাকা সাদা করা এবং ৪টি জন্মদিনের রেকর্ডও তার আছে। একটি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নূ্যনতম কতটা আনুষ্ঠানিক শিক্ষার দরকার তা-ও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করতে পারতেন। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং অভিজ্ঞতাও একজন রাজনীতিবিদকে জাতি গঠন এবং দেশ পরিচালনায় জ্ঞানী করে তোলে। বিএনপি নেত্রীর শিক্ষা ও সংগ্রামের একটি তালিকা তার দল বা ভক্তরা দিলে দেশবাসী উপকৃত হতো এবং বুঝতে পারত, শিক্ষা সীমিত হলেও তিনি অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ।
খালেদা জিয়ার পরই ওহহবৎ পরৎপষব বা অতিঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালীদের মধ্যে আছে তার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমান, যাকে তারবার্তায় 'কুখ্যাত' বলে অভিহিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২০০১ সালে গঠিত বিএনপি মন্ত্রিসভার ৬০টি পদের এক-তৃতীয়াংশ তিনি (অর্থাৎ তারেক) বিক্রি করেন। আরও বলা হয়, সমালোচকদের মতে তিনি নির্দয়, অতিমাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত, রাজনীতি ও ব্যবসায় অনভিজ্ঞ এবং স্বল্প শিক্ষিত। তারেকের পরই আছেন হারিছ চৌধুরী, যাকে বিরোধীদলের ওপর সহিংস কর্মকা- চালাতে পারদর্শী বলে অভিহিত করা হয়েছে। তিন নম্বরে আছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বা সাকা চৌধুরী। বলা হয়েছে (দেশে অবশ্য সবাই জানে) ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধসহ নানা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তিনি অভিযুক্ত। খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হলেও তিনি সব কাজের কাজি বা অষষ চঁৎঢ়ড়ংব ঢ়ষধুবৎ। সমালোচকদের চোখে তিনি মূলত 'ধর্ষক', 'অস্ত্র ব্যবসায়ী' ও 'খুনি'।
তারবার্তায় উল্লেখ আছে, খালেদা জিয়ার ভাই সাইদ এস্কান্দারের কথাও যিনি সামরিক বাহিনীর ক্রয়সংক্রান্ত চুক্তি এবং ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। তিনি আবার গোপনে তারেকের ব্যবসায়ের অংশীদারও বটে। যেহেতু দেশের সবকটি প্রধান সংবাদপত্র ফলাও করে এসব তারবার্তা প্রকাশ করেছিল এবং তাতে ১৭ জন 'মহানায়কের' নাম ও গুণাবলির বিবরণ আছে, তাই তালিকা দীর্ঘায়িত করা নিষ্প্র্রয়োজন। তবে কয়েকজনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্তব্য আছে, যা উল্লেখের দাবি রাখে, যেমন :
১. ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন : তিনি খালেদা জিয়ার অন্যতম আস্থাভাজন ব্যক্তি এবং একজন সুবিধাভোগীও বটে। তিনি অতিমাত্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত একজন মানুষ, যিনি চীনাদের সঙ্গে কয়লা খনন চুক্তি এবং মার্কিন সাহায্যে প্রাপ্ত জন্ম নিয়ন্ত্রণ কনডমের চালান আটকে রাখার ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।
২. লুৎফুজ্জামান বাবর : চোরাকারবারি বলে পরিচিত, তারেকের মিত্র এবং জামায়াতপন্থি।
৩. মোসাদ্দেক আলী ফালু : খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহচর। ২০০৪ সালে ঢাকা-১০ আসনের বিতর্কিত উপ-নির্বাচনের নামে যে 'কারচুপির উৎসব' হয় তাতে জয়ী হন।
৪. মীর নাসির উদ্দিন : খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন একজন মানুষ। তার সম্বন্ধেই খালেদা জিয়ার মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাসকে বলেছিলেন, ঘুষের জন্য তিনি বোয়িং ৭৭৭ বিমান ক্রয়ের প্রক্রিয়াটি ঝুলিয়ে রেখেছেন।
৫. মওদুদ আহমেদ : ঙঁঃবৎ পরৎপষব-এর প্রথম ব্যক্তি উল্লেখ করে তাকে একজন রাজনৈতিক সুবিধাবাদী আইনজীবী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি তার সরকারের অবৈধ কাজে-কর্মের পক্ষে সব সময় জোরালো অবস্থান নেন এবং বক্তব্য দেন, সেটা পুলিশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- হোক বা হোক নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণ। আইনমন্ত্রী হিসেবে অসংখ্যবার তার হস্তক্ষেপের ফলে এসব কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
উপরোক্ত শীর্ষ জাতীয়তাবাদী নেতাদের 'সততা', 'দেশপ্রেম' এবং 'গণতন্ত্র নিষ্ঠার' স্বরূপকাঠির সঙ্গে তারবার্তায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকীর কিছু মন্তব্য ও উল্লেখের দাবি রাখে। কারণ কামালকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি। বিলাতের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ে কামালের সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন আমার পিএইচ-ডি থিসিস শেষ হওয়ার পথে। বয়সে বেশ কয়েক বছরের বড় হওয়ার সুবাদে কামাল আমাকে ভাই বলে ডাকত। সে তখন লিডসে উবাবষড়ঢ়সবহঃ ঝঃঁফবড় চড়ংঃ মৎধফঁধঃব উরঢ়ষড়সধ করতে যায়। সে পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীর নম্বরসহ ডিস্টিংশন লাভ করে। পরে সে আমার জানামতে লন্ডনের ঝপযড়ড়ষ ড়ভ ঙৎরবহঃধষ ধহফ অভৎরপধহ ঝঃঁফরবং (ঝঙঅঝ) বা খড়হফড়হ ঝপযড়ড়ষ ড়ভ ঊপড়হড়হরপং ধহফ চড়ষরঃরপধষ ঝপরবহপব বা খঝঊ থেকে উন্নয়নশাস্ত্রেই পিএইচ-ডি ডিগ্রি লাভ করে। রসায়নের ছাত্র এবং সাবেক সিএসপি কামাল ১৯৭১ সালে নড়াইলে এসডিও থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং সে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। সততা, ত্যাগ, দেশপ্রেমসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বেশকিছু গুণ তার মধ্যে দেখেছি। তাই কামালকে যখন খালেদা জিয়ার অধীনে মুখ্যসচিব হতে দেখলাম, তখন খানিকটা বিস্মিত হয়েছিলাম। তবে আলোচিত তারবার্তায় কামালের বক্তব্য আমি সত্য এবং সঠিক বলে মনে করি। আর তাই তারেক, মীর নাসির, হারিছ চৌধুরী গং-এর সম্বন্ধে তার বক্তব্যকে আমি অলীক-অমূলক বলে উড়িয়ে দিতে পারি না। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতরা বাংলাদেশের রাজনীতিকদের ব্যাপারে অলীক-অবাস্তব কল্পকাহিনী রচনা করে নিজের দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে, সেটা শিক্ষিত এবং সাধারণ কা-জ্ঞানসম্পন্ন কোন মানুষ বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না।
বিশেষ করে তারবার্তায় উলি্লখিত তারেক রহমানের ব্যাপারে কামাল সিদ্দিকীর মতামতগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক। কামালের মতে, 'তারেক গোয়ার এবং বিপজ্জনক প্রকৃতির।' রাষ্ট্রদূত হ্যারি কে টমাসের সঙ্গে ১৩ মার্চ ২০০৫ সালের বৈঠকে কামাল আরও বলেন, 'একটি নবীন গণতান্ত্রিক দেশের জন্য বংশানুক্রমিক রাজনীতি ভালো নয়।' আরও যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন তা হলো, 'ছেলে তারেক রহমানকে দলে উপরের দিকে স্থান দেয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ছেলেটিকে আশকারা ও সুরক্ষা দেয়া ছিল খালেদা জিয়ার বড় রাজনৈতিক ব্যর্থতা।' সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যগুলো এসেছে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টির নভেম্বর ৩, ২০০৮ সালে ওয়াশিংটনে পাঠানো গোপন তারবার্তাটি থেকে; যা ঞযব উধরষু ঝঃধৎ-এ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ সালে ঞধৎবয়ঁব ঝুসনড়ষ ড়ভ ঠরড়ষবহঃ চড়ষরঃরপং শিরোনামে প্রকাশিত হয়। তারবার্তাটি তারেককে তস্কর বা চৌর্যতান্ত্রিক সরকার এবং সহিংস রাজনীতির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়। বলা হয়, 'ঞযব বসনধংংু নবষরবাবফ ঞধৎবয়ঁব ধিং মঁরষঃু ড়ভ বমৎবমরড়ঁং ঢ়ড়ষরঃরপধষ পড়ৎৎঁঢ়ঃরড়হ ঃযধঃ যধং যধফ ধ ংবৎরড়ঁং ধফাবৎংব বভভপপঃ ড়হ টঝ হধঃরড়হধষ রহঃবৎবংঃ (রহ ইধহমষধফবংয)'। আরও বলা হয়, ঐরং ঃযবভঃ ড়ভ সরষষরড়হং ড়ভ ফধষষধৎং রহ ঢ়ঁষনষরপ সড়হবু ঃযরং ঁহফবৎসরহবফ ঢ়ড়ষরঃরপধষ ংঃধনরষরঃু রহ ঃযরং সড়ফবৎধঃব সঁংষরস সধলড়ৎরঃু হধঃরড়হ ধহফ ংঁনাবৎঃবফ টঝ ধঃঃবসঢ়ঃং ঃড় ভধংঃবৎ ধ ংঃধনষব ফবসড়পৎধঃরপ এড়াবৎহসবহঃ, ধ শবু ড়নলবপঃঁৎব রহ ঃযরং ংঃৎধঃমরপধষষু রসঢ়ড়ৎঃধহঃ ৎবমরড়হ.
ঞযব টঝ বসনধংংু রহ উযধশধ যধং ঃযৎবব শবু ঢ়ৎরড়ৎরঃরবং ভড়ৎ ইধহমষধফবংয. ফবসড়বৎধঃরংধঃরড়হ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ধহফ ফবহরধষ ড়ভ ংঢ়ধপব ঃড় ঃবৎৎড়ৎরংঃং ঞধৎবয়ঁব্থং ধঁফধপরড়ঁংষু পড়ৎৎঁঢ়ঃ ধপঃরারঃরবং লবড়ঢ়ধৎফরুব ধষষ ঃযৎবব.
রাষ্ট্রদূত মার্কিন প্রেসিডেন্টের ৭৭৫০ ঘোষণাবলে (চৎবংরফবহঃরধষ চৎড়পষধসধঃরড়হ ৭৭৫০) তারেকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি না দিতে সুপারিশ করেন। এর ছয় মাস আগে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গীতা পার্সিও তারেকের ব্যাপারে একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনার কথা ভাবছিলেন। সুদীর্ঘ তারবার্তাটি তারেকের কর্মকা-ের নিন্দায় ছিল উচ্চকণ্ঠ। এর শেষটুকু অল্প কথায় অনবদ্যভাবে তারেকের রাজনৈতিক অবয়বটি ফুটিয়ে তুলেছে : ওহ ংযড়ৎঃ, সঁপয ড়ভ যিধঃ রং ৎিড়হম রহ ইধহমষধফবংয পধহ নব নষধসবফ ড়হ ঞধৎবয়ঁব ধহফ যরং পৎড়হরবং, অর্থাৎ সংক্ষেপে বলতে গেলে বাংলাদেশের অধিকাংশ ভুলভ্রান্তির জন্য তারেক এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গরাই দায়ী।
দেশের একটি প্রধান দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যাপারে বিশ্বের একটি বৃহৎ পরাশক্তির প্রতিনিধিদের উপরোক্ত মূল্যায়ন এবং মন্তব্য সম্বন্ধে গভীরভাবে ভেবে দেখা দরকার। এঁরষঃু ড়ভ বমৎবমরড়ঁং ঢ়ড়ষরঃরপধষ পড়ৎৎঁঢ়ঃরড়হ বা সাংঘাতিক রকমের রাজনৈতিক দুর্নীতির অপরাধে অপরাধী ঃযবভঃ ড়ভ সরষষরড়হং ড়ভ ফড়ষষধৎং রহ ঢ়ঁনষরপ সড়হবু বা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের মতো জনগণের অর্থচুরি এবং শেষে বাংলাদেশের অন্যায় অবৈধ কাজের জন্য তারেক এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গদের দোষারোপ করার মতো অভিযোগ মাথায় নিয়ে একটি দল এবং দলের নেতৃত্ব যখন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের নামে আন্দোলন, হরতাল এবং রোডমার্চ করে তখন বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। প্রশ্ন জাগে, এত বড় পাপের বোঝা মাথায় নিয়ে দেশের মানুষের সামনে এরা দাঁড়ায় কী করে। কী করে তারা স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের কথা বলে! বিদেশি দূতাবাসের শুধু নজর কাড়া নয়, গভীর উদ্বেগ সৃষ্টিকারী দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের জনকদের ভয়ও নেই, লজ্জাও নেই। বাংলায় প্রবাদ আছে, 'চোরের মায়ের বড় গলা।' সেটা অজপাড়াগাঁয়ে চলতে পারে কিন্তু নাগরিক সমাজসহ সারাদেশে চলে কী করে! তস্করগোষ্ঠী না জানুক, তাদের শিক্ষিত সমর্থক এবং নেতৃত্বের একটি অংশ গ্রামবাংলার প্রচলিত প্রবাদটি নিশ্চয়ই জানে, 'পাপ বাপকেও ছাড়ে না।' অতিসম্প্রতি অৎধন ংঢ়ৎরহম বলে পরিচিত কয়েকটি আরব দেশের গণজাগরণে তিউনিশিয়ার বেন আলি, তার স্ত্রী লায়লা ও ঘনিষ্ঠজন, মিসরের হোসনি মোবারক ও তার দুই ছেলে এবং লিবিয়ার গাদ্দাফি ও ছেলে সাইফ আল ইসলামের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা কি বিএনপির ব্যারিস্টার, ডক্টর এবং সাবেক সিএসপিরা জানেন না? নিশ্চয়ই জানেন, জানলেও নেত্রীকে বলতে সাহস পান না। কারণ এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক দলে তাদের পদ এবং শক্তি নির্ভর করে নেত্রীর দয়ার ওপর।
আসল কথা, আমাদের বড় দল দুটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক। শীর্ষ একজন ব্যক্তি এবং তার কিছু ঘনিষ্ঠ পরামর্শদাতা এবং তোষামোদকারী মূলত দলের নীতি নির্ধারণ এবং পরিচালনা করে। দলের ভেতরে গণতন্ত্র নেই এবং স্বাধীন মতামত প্রকাশ করার সুযোগ নেই বললেই চলে। বিশেষ করে বিএনপিতে এ দুর্বলতাটি অতিশয় প্রকট, যা মান্নান ভঁূইয়াকে কোন কারণ প্রদর্শন ছাড়া এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে মহাসচিবের পদ থেকে বহিষ্কার প্রমাণ করে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল দুটো সব দেশের মতোই রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জন এবং পরিচালনা করতে চায়। কিন্তু বাস্তবে তাদের শীর্ষ নেতা-নেত্রীর আসল অভিপ্রায় থাকে ব্যক্তিগত ক্ষমতা বা সম্পদ অর্জন (অনেক সময় দুটিই)। আর এই অভিপ্রায় বা উদ্দেশ্য থেকেই সৃষ্টি হয় দুর্নীতি এবং সন্ত্রাস, যার আরেক নাম হলো দুঃশাসন। গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়নকামী একটি দরিদ্র দেশের জন্য যে রাজনীতি দরকার সে রাজনীতি দেশে এখনো চালু হয়নি। নিঃস্বার্থভাবে দেশ সেবার ব্রত নিয়ে নেতৃত্বদানে ইচ্ছুক এবং সক্ষম মানুষের অভাব দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আজকাল খুব প্রকট।
দেশে রাজনীতি এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি লোভনীয় ব্যবসায়। এতে মূলধন এবং জ্ঞান না হলেও চলে। নৈতিক পুঁজি, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা তার জায়গায় ত্যাগ, সেবা এবং সংগ্রামের অভিজ্ঞতা কিছুই এখন দরকার হয় না। পূর্বপুরুষের রাজনৈতিক ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে সম্বল করে এবং লোক ভুলানো মুখরোচক কিছু মহাজন বাক্য, যেমন গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, উন্নয়ন ইত্যাদি অনবরত উচ্চারণ করে এবং জনগণের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী ঘন ঘন হরতাল ডাকলেই এখন রাজনীতি হয়ে যায়। জনগণের জন্য কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে সংসদে না গিয়ে যাবতীয় সংসদীয় সুযোগ-সুবিধা নিতেও তারা কোন নীতিনৈতিকতার ধার ধারে না এবং বিবেকের দংশনও বোধ করে না। তাই আর এ ধরনের রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির স্রষ্টারা হচ্ছেন উপরোক্ত ক্ষমতা ও সম্পদলোভী রাজনীতি ব্যবসায়ীরা। খালেদা জিয়া, বিশেষ করে তারেকসহ জাতীয়তাবাদী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ক্ষমতা এবং সম্পদ অর্জনপ্রয়াসী অপরাজনীতির প্রতিনিধি এবং প্রতিভূ। অন্য বড় দলটিও যে একেবারে নিষ্কলুষ এবং ধোয়া তুলসিপাতা এবং সত্য এবং সততায় সমুজ্জ্বল তা বলা যাবে না। তবে বলা যায়, মন্দের ভালো। এ নিয়ে পরে কিছু লেখার ইচ্ছে আছে, তবে গণতন্ত্র উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য আরও বলিষ্ঠ ও উন্নতমানের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল মানুষ চায়। এই মানুষ হলো ঝরষবহঃ সধলড়ৎঃু বা নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। প্রশ্ন হলো, এই নীরব মানুষকে সরব করবে কে? অনুসরণীয় আদর্শ হিসেবে প্রতিভাত হবে এবং জনগণকে উজ্জীবিত এবং অনুপ্রাণিত করবে, এমন নেতৃত্ব দেখা যাচ্ছে কোথায়?
[লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]

--
_________________________________
Abdul Mannan




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___