মার্কিন দূতাবাসে নালিশ জানান খালেদা জিয়া
বৃহস্পতি, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১১, ৭ আশ্বিন ১৪১৮
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া ২০১০ সালে মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে এক বৈঠকে অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার দলের (বিএনপি) ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে। খালেদা জিয়া ওই সময়ে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা প্যাট্রিক মুনকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের প্রতি নিজের প্রতিশ্রুতির কথা বলেন। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উপর তিনি বিশেষ গুরুত্ব দেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি বিএনপিকে ছাড়া জাতীয় ইস্যুতে নীতি নির্ধারণের তত্পরতা অব্যাহত রাখে তাহলে তার দল রাজপথে নামবে। বাংলা নিউজ।
সম্প্রতি উইকলিকসে ফাঁস হওয়া এক তারবার্তা থেকে জানা যায়, ২০১০-এর ২১ জানুয়ারি প্যাট্রিক মুনের সঙ্গে এক ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধীদল হিসাবে ও নীতি নির্ধারণে তার দলকে পার্লামেন্টে ভূমিকা রাখতে দিচ্ছে না। তিনি বিএনপি সমর্থকদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া তার দুই ছেলে ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিচার ব্যবস্থায় আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ ও প্রভাবের ব্যাপারে অভিযোগ করেন।
বৈঠকে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপি কাজ করার চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। উদাহরণস্বরূপ খালেদা জিয়া বলেন, ২০ জানুয়ারি পার্লামেন্টের একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার মনে হয় না জিয়ার মাজারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করা হয়েছে।
বৈঠকে বিএনপির তত্কালীন মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য রিয়াজ রহমান ও সাবিহউদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তারবার্তায় আরো বলা হয়, বৈঠকে বাংলাদেশে স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করা হয়। বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা বিক্ষোভ আয়োজনে তাদের পরিকল্পনার কথা বললে দূতাবাস উদ্বেগ প্রকাশ করে জানায়, আমরা (দূতাবাস) দুই দলকেই তাদের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ আয়োজনের ব্যাপারে উত্সাহিত করব।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/43971/2011-09-22/1
__._,_.___