Dr. Yunus's Hilary Polli episode .......:
Links:
ড. ইউনূসের লাভ হলেও 'হিলারিপল্লীর' দুঃখ ঘোচেনি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের হিলারিপল্লী নামে খ্যাত ঋষিপল্লীর বাসিন্দারা ভালো নেই। সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনকে এই পল্লীর বাসিন্দাদের দেখিয়ে লাভবান হয়েছেন ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। কিন্তু হিলারিপল্লীর দুঃখ ঘোচেনি। ১৯৯৫ সালের ৩ এপ্রিল গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস সাবেক এই ফার্স্ট লেডিকে কালীগঞ্জের বারোবাজারের ঋষিপল্লীতে নিয়ে আসেন। সেখানে ১০০ পরিবারের ৫০০ লোকজন বসবাস করেন। সেদিন এলাকার উন্নয়নসহ ঋষিপল্লীর বাসিন্দাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য অনেক কথা বলেছিলেন ড. মহাম্মদ ইউনূস। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের লোন নিয়ে অনেক পরিবার এখন জর্জরিত। এলাকার উন্নয়ন তো দূরের কথা ঋষিপল্লীর বাসিন্দাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। ঋষিপল্লীতে প্রবেশ করার তেমন কোনো রাস্তা হয়নি। দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরেও বিদ্যুৎ পেঁৗছায়নি এই পল্লীতে।
গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে সমষ্টিগতভাবে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এখানকার অধিবাসীরা আজও জুতা সেলাই, বাঁশ, বেতের কাজ, চামড়া ক্রয়, সেলুনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বারোবাজারের মশেহাটি, ফুলবাড়ি ও বাদেডিহী ৩ গ্রাম নিয়ে ঋষিপল্লী গঠিত। এ পল্লীর বাসিন্দা নীলকান্ত দাস দুঃখ করে জানান, আমাদের দেখিয়ে অনেক এনজিও কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছে। কিন্তু আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আরেক বাসিন্দা স্বরজিৎ দাস সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেই চান না। তিনি বলেন, লিখে কি হবে? আমাদের তো কোনো পরিবর্তন নেই। ঝড়ে উড়ে গেছে টিনের চাল। কি আছে আমাদের এখানে। এই ঋষিপল্লীর অধিকাংশ বাসিন্দা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন। অনেকে চড়া সুদে নেওয়া এই লোন পরিশোধ করতে না পেরে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে গেছেন। সেখান থেকে আয় রোজগার করে তাদের আবার ঋণের টাকা সুদসহ পরিশোধ করতে হয়েছে। এমনটি করেছেন ঋষিপল্লীর জুতা সেলাইকারী আনন্দ দাস। সে ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে টিটাগাং শহরে পালিয়ে গেছে বলে জানান অনেকে।
__._,_.___