Banner Advertise

Wednesday, March 16, 2011

[chottala.com] What a language of Bangladesh court!



It's unbelievable how Bangladesh court is using language against people. Check it here:
 
 
Blog with pictures and links:
 
 
 

এ কেমন ভাষায় কথা বলছে বাংলাদেশের আদালত?

এ্যাডভোকেট নয়ন খান

সাম্প্রতিক কালে হাইকোর্টে বিচারপতিদের ভাষা প্রয়োগ দেখে বাংলাদেশের আদালত সম্পর্কে সাধারন মানুষের আগের সব ধারণা পাল্টে গেছে। বিচারপতিদের মুখ দিয়ে আগে কথা বের করতে আইনজীবিদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হত। দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হত তাদের পরিমিতবোধ ও নীতিগর্ভমূলক বাক্য-বানী শুনতে। সবাই পিন পতন নীরব হয়ে তাঁদের কথা শুনতেন।
আর এখন? বিচারপতিদের কথার চোটে অভিজ্ঞ কৌঁসূলীদেরই আদালত ত্যাগ করতে দেখা যায়।

নামকরা লেখক, গুনীধর সৈয়দ আবূল মকসুদকে আদালত যা শুনিয়েছেন তা বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে। এই যদি হয় মানুষের দুনিয়ার সর্বোচ্চ স্থানের প্রভূদের কথাবার্তা, তাহলে সে দেশের শিক্ষিত ব্যক্তিরা তাদের সন্তানদের আর আইনবিদ্যা শেখাবেন না। যে বিদ্যা সন্তানদের বেয়াদব বানায়, গুরুজনদের সাথে কথা বলতে শেখাতে পারেনা, তা শেখাবেই বা কেন?
মার্চ ৪, ২০১১ তারিখে বিভিন্ন পত্রিকায় আদালত কর্তৃক যে ভাষার প্রয়োগ উল্লেখ করেছে তা রীতিমত ভয়ংকর।
আদালত জনাব মকসুদকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, "একটা অশিক্ষিত, বর্বর লোকের দ্বারাই এমন কাজ সম্ভব।..........এমন একজন অশিক্ষিত, নির্বোধ লোক বুদ্ধিজীবী হলে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কী?' ....... 'লেখাপড়া করে আইনজীবী হতে হয়। কয়েক বছর চর্চা করে হাইকোর্টের সনদ নিতে হয়। তারপর বিচারপতি হতে হয়। অথচ উনি কিছু না জেনেই হরিদাস পাল হয়ে গেছেন। কোর্টকে শেখাতে আসেন।' ....'গান্ধী সাজতে চান! গান্ধীজির নখের সমান বুদ্ধিও তাঁর নেই। ' আদালত আবুল মকসুদের ব্যাপারে আরও ক্ষুব্ধ ভাষা ব্যবহার করতে থাকলে ড. জহির একপর্যায়ে আদালত থেকে বেরিয়ে যান। আদালত বলেন, এ ধরনের বুদ্ধিজীবীদের জন্যই দেশের আজ এ অবস্থা।

ঘটনার বিবরণে আমার দেশ, কালের কণ্ঠ ও প্রথম আলো মার্চ ৪, ২০১১ তারিখে মোটামুটি এভাবে লিখেছে,
মহাস্থানগড়ের মাজারসংলগ্ন মসজিদ রক্ষার জন্য হাইকোর্টে অপ্রাসঙ্গিক ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয় কি না তা খতিয়ে দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনারকে (ডিসি) এ বিষয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সৈয়দ আবুল মকসুদকে আদালত অবমাননার অভিযোগে গতকাল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত আদালতে দাঁড় করে রাখা হয়। এ ছাড়া আগামী ১৩ মার্চ সৈয়দ আবুল মকসুদকে আবারো আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সকালে সৈয়দ আবুল মকসুদ আদালতে হাজির হলে আদালত গত বুধবারের ন্যায় তাকে তিরস্কার করেন।

আদালত সৈয়দ আবুল মকসুদকে উদ্দেশ করে বলেন, তিনি রাষ্ট্র ও সমাজের একজন শত্রু। নির্বোধ একটি লোক, এত বড় আহম্মক গান্ধী কী লিখেছেন তার কিছুই পড়েনি। অশিক্ষিত লোক বুদ্ধিজীবীর পোশাক ধারণ করলে দেশের কী অবস্খা হবে। তিনি আবার কলাম লেখেন। আমি গাফ্ফার চৌধুরী ও এ বি এম মূসাকে বলব আপনারা বিদায় নেন। এই তথাকথিত বুদ্ধিজীবী কী লিখেছে তা দেখতে হবে, ষড়যন্ত্র হয়েছে কি না। সে আগুন জ্বালাতে বলেছে, এ সরকারের পতন ঘটাতে বলেছে। আদালত অবমাননা এখানে মামুলী ব্যাপার। বড় পণ্ডিত। বড় হরিদাস পাল। আমার কাছে দাবি জানাচ্ছে, আমাদের শেখাচ্ছে। হাসিও পায় কান্নাও আসে। একটা অশিক্ষিত, মূর্খ লোক থেকে আমাদের শিখতে হবে­ আমরা কী পারি আর কী পারি না। বছরের পর বছর ধরে আইন শিখে একটি অশিক্ষিত লোক থেকে শিখতে হবে। দুই দিনের বৈরাগী ভাতেরে বলে অন্ন।
এ পর্যায়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান আদালতকে বলেন, আদালত মহাস্খানগড় রক্ষার জন্য আদেশ দেন।
আদালত বলেন, সাংবাদিকদের কাছে আদেশের সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করুন। আদালত মসজিদ ভাঙ্গার ব্যাপারে কোনো আদেশ দেননি। আদালত এম কে রহমানকে বলেন, এটি লিখতে তাকে কেউ বলেছে কি না জিজ্ঞাসা করুন।
তখন এম কে রহমান সৈয়দ আবুল মকসুদকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনাকে কি কেউ লিখতে বলেছে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, কেউ বলেনি। নিজেই লিখেছি।
এ সময় গত ১৫ জানুয়ারির দৈনিক যুগান্তরের একটি রিপোর্ট এম কে রহমান মহাস্খানগড়ের প্রত্নসম্পদ রক্ষা করা সম্পর্কিত আদালতে আদেশ পড়ে শোনান।

তখন আদালত বলেন, হি ইজ থরোলি ইল্লিটারেট ম্যান। সে কতদূর লেখাপড়া করেছে জিজ্ঞাসা করুন। আমি মসজিদকে ঐতিহ্য বলেছি, সে বলেছে উল্টো। সে যুগান্তরের রিপোর্ট দেখাচ্ছে। সে কি মূর্খ লোক, বাংলাও কি বোঝে না।
এ সময় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ড. এম জহির আদালতকে বলেন, আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি একজন সৎ ও ইন্টেলেকচুয়াল মানুষ। তখন আদালত বলেন, তিনি চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন। ড. এম জহির বলেন, মসজিদ ভাঙলে তো আগুন জ্বলবে? না ভাঙলে জ্বলবে না।
তখন আদালত বলেন, তিনি আমাকে বলেছেন আপনি উপলব্ধি করতে পারেননি। শোনেন ড. জহির, অশিক্ষিত না হলে সে এটি লিখতে পারে। সে আমাদের শেখাচ্ছে, আমরা কী পারি আর কী পারি না। তার এই লেখা সারা দেশে একটি বিদ্রোহ সৃষ্টি করতে পারত। একে আমরা ছাড়ব না তাকে জানতে হবে, আমরা কী করতে পারি। সে চায় দেশে আগুন জ্বলুক। তখন ড. এম জহির বলেন, এসব বললে তো অর্ডার দিয়ে দিচ্ছেন। তখন আদালত বলেন, ড. জহির সে আমাদের লাইফ রিস্কে ফেলেছে। পাকিস্তানের একজন মন্ত্রীকে মৌলবাদীরা গুলি করে হত্যা করেছে।
তাকে বলেন উকিল ধরতে, আমরা তাকে ছেড়ে দেবো না। যেহেতু অ্যাটর্নি জেনারেল অনুরোধ করেছেন তাই আজকের মতো ছেড়ে দিচ্ছি। তবে আর পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
এরপর বেলা ১টার দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের বিশেষ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে গতকালের মতো অব্যাহতি দিয়ে আবার হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদ আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, দেশের ক্ষতি করলে আমাকে জুতা মারুন। কিন্তু এভাবে অপদস্ত হতে হবে? যে ভাষায় গালি দেয়া হলো, এত গালি এই শেষ বয়সে এসে শুনতে হলো? আমি অসুস্খ মানুষ, দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। শেষ বয়সে আমার ভাগ্যে এত কিছু ছিল কল্পনাও করিনি।
আগের দিন সৈয়দ আবুল মকসুদ হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে হাজির হয়েছিলেন। বগুড়ার মহাস্থানগড়ের পরিবেশ রক্ষার দাবিতে করা একটি রিটের শুনানির সময় আবুল মকসুদ হাজির হয়ে বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর কাছে একটি আবেদন জানান।
আবেদনে বলা হয়, 'সীমাহীন উদ্বেগ ও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছি, ওই মামলার শুনানিকালে এবং কয়েক দিন আগেও একই মামলার শুনানিতে আপনি (আদালত) মহাস্থানগড়ে হজরত সৈয়দ সুলতান মাহমুদ মাহীসওয়ারের মাজার প্রাঙ্গণের মসজিদটি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যায় কি না, সে পরামর্শ চেয়েছেন জেলা প্রশাসকের কাছে। আদালত সাড়ে চার শ বছর আগের মাজারটি সরানোর কথা বলেননি। মসজিদ হোক, মন্দির হোক, প্যাগোডা হোক বা গির্জা হোক, ভেঙে সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা উপমহাদেশে নেই। মাজার প্রাঙ্গণের শতাধিক বছরের পুরনো মসজিদটি প্রত্নসম্পদেরই অংশ। আপনার মতো বিজ্ঞ বিচারক এ কথা নিশ্চয়ই জানেন যে, পৃথিবীর কোনো দেশের আদালতই সব ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার অধিকার রাখেন না। যেমন, কোনোদিন কোনো দেশের আদালত বলতে পারেন না ধর্মনির্বিশেষে রাষ্ট্রের সব পুরুষকে খতনা করতে হবে অথবা করার প্রয়োজন নেই।'

সৈয়দ আবুল মকসুদ আবেদনে বলেন, 'আপনি উপলব্ধি করতে পারেননি যে, ওই প্রাচীন মসজিদ ভেঙে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে নতুন করে বানাতে উদ্যোগ নিলে গোটা বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় আগুন জ্বলবে। সে আগুন নেভানোর সাধ্য সরকারের কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর থাকবে না। পরিণামে বিপুল ভোটে নির্বাচিত এই সরকারের পতন ঘটবে। শুধু তা-ই নয়, চিরকালের জন্য আওয়ামী লীগের ও মহাজোটের অন্যান্য শরিকদের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে। মসজিদ ভেঙে সরানোর কথা বলে আপনি ইসলামী মৌলবাদীদের হাতে একটি বড় অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ হওয়ার জন্য আমাদের মন্দির-মসজিদের ওপর আঘাত হানার প্রয়োজন পড়ে না। একজন নাগরিক হিসেবে আমি আপনার কাছে বিশেষ দাবি জানাচ্ছি, আপনার ওই বক্তব্য ও নির্দেশ প্রত্যাহার করুন এবং দেশকে সম্ভাব্য ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করুন।
এই পর্যন্ত ছিল সৈয়দ আবুল মকসুদ সাহেবকে নিয়ে খবরটি। এবার একটু পেছনে ফেরা যাক।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নেয়ার পর পরই ৩১ টি ডিভিশন বেঞ্চ পূনর্গঠনের নির্দেশ দেন। সে নির্দেশ ২৪ অক্টোবর ২০১০ থেকে কার্যকর হয়। বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ রাজউক, সিকিউরিটি একচেঞ্জ সংক্রান্ত সব রিট মোশন নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়।
উক্ত বেঞ্চ গঠন হওয়ার পর থেকে আমরা এর পেছনের কিছু কার্যক্রম সংক্ষিপ্ত আকারে পর্যবেক্ষণ করতে পারি। সেখান থেকেই বোঝা যাবে এই বেঞ্চটি মূলত: কোন উদ্দেশ্য সামনে রেখে কাজ করছে। মনে হয় খুব তড়িঘড়ি করে সব কাজ শেষ করতে চাইছেন মাননীয় উক্ত দুই বিচারপতি।

একঃ জিয়া বড় অন্যায়কারী: আদালত
"এরশাদ অন্যায় করলেও জিয়া করেছেন গুরুতর অন্যায়।, তিনি পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করার পাশাপাশি একই ধারার অনেককে পুনর্বাসিত করার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। (বিডি২৪, আগস্ট ২৬, ২০১০)

দুইঃ ফেলানী হত্যার বিচার চেয়ে রিট খারিজ
কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার ঘটনায় করা রিট আবেদন উপস্থাপন করা হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গত ৩০ জানুয়ারি বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। (প্রথম আলো, ২৬ আগস্ট, ২০১০)
তিনঃ বাংলাদেশ এখন ধর্মনিরপেক্ষ। বাংলাদেশে কাউকে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না। (অক্টোবর ৪, ২০১০)
বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে কাউকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবে না বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। তবে স্বেচ্ছায় ধর্মীয় পোষাক পরলে তাকে বাধা দেয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত। আজ (সোমবার) বিচারপতি এইচএম শামসু্দ্দিন চৌধুরী এবং বিচারপতি শেখ মো: জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে বলা হয়, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের ফলে বাহাত্তরের সংবিধানের মূল চার নীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। চার মূলনীতির একটি ধর্মনিরপেক্ষতা হওয়ায় ধর্মপালনে কাউকে বাধ্য করা সংবিধানের লংঘন বলে রায়ে বলা হয়েছে। "বাংলাদেশ এখন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র" বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক স্বতঃপ্রণোদিত রায়ে এ অভিমত দেন।

চারঃ সাবেক সচিব আসাফউদ্দৌলা কাঠগড়ায় (নয়া দিগন্ত, ২০ আগস্ট, ২০১০)
বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো: জাকির হোসেন সমন্বয় গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে আসাফউদ্দৌলা নি:শর্ত ক্ষমা চেয়ে চার ঘন্টা কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকেন।সাবেক সচিবকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, তিন বছর জেলা জজ হিসেবে কাজ করে আপনি মনে করেন সব জানেন।

এরকম লিখতে থাকলে তালিকা লম্বা হতেই থাকবে। অনেক ওসি, ডিসিকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রেখে বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো: জাকির হোসেন সমন্বয় গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে'র অশ্লীল বাক্যবাণের কথা আর লিখলাম না। অনুসন্ধিৎসু পাঠকেরা দুই বিচারতির নাম বাংলায় লিখে গুগল সার্চ করলেই দুনিয়ার ফিরিস্তি পেয়ে যাবেন।
প্রধান বিচারপতিকে বিচারপতিদের যোগ্যতার দিকে মনযোগী হতে হবে। নইলে বিচার ব্যবস্থা নামক বস্তুটি যাইবা আছে সেটুকুও আর টিকে থাকবে না। উনার যমানায়ই এর যবনিকাপাত ঘটবে। প্রধান বিচারপতি টেরও পেয়েছেন মনে হচ্ছে।
দৈনিক সমকাল জানায়, এবিএম খায়রুল হক গত ৫ মার্চ, ২০১১ একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ''আজকাল যে মানের রায় দেয়া হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে বিচারকদের দক্ষতা ও আইনগত তথ্যের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'রায়ই বলে দেবে আপনি কী মানের বিচারক। আইন কোথায় কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সেটা শিখতে হবে।'' এছাড়াও তিনি উপদেশ দেন, 'অনুশীলন, পড়াশোনা ও ক্রমাগত রায় লেখার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সকলকে সাহিত্য ও ইতিহাসের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ন্যায়বিচার করা কঠিন কাজ, সহজ নয়।' প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আপিল বিভাগে প্রথম নারী বিচারক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই মন্তব্যগুলো করেন।

উল্লেখ্য, তিনি যে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম মহিলা বিচারপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথাগুলো বল্লেন, সে বিচারপতির মান নিয়েও কথা আছে। বখাটে ছেলেকে প্রভাব খাটিয়ে কোর্ট থেকে ছাড়িয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে নাজমুন আরার বিরুদ্ধে। এছাড়া ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বিচারপতি গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার হাইকোর্ট বেঞ্চ ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়।অন্য একটা মামলায় এই বেঞ্চ অযাচিতভাবে বা কোর্টের ভাষায় স্বতঃপ্রণোদিত রায় দিয়েছিলেন যা না দিলেও তাঁরা পারতেন। ফতোয়ার অপব্যবহার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলতে পারতেন। কিন্তু তা না বলে ফতোয়াকেই বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন মাননীয় দুই বিচারপতি। সবার জানার জন্য বলছি, বিচারপতি গোলাম রাব্বানী এখন নিয়মিতভাবে ঘাদানিদের সাথে সেমিনার করছেন দেশ বিদেশে।

আর প্রধান বিচারপতির কথাই বা কি বলব? মাহমুদুর রহমানকে তিনিও তীর্যকভাবে 'এই সেই' বলে প্রশ্ন করেছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে বিচারপতি এমএম মতিন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান, বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ও বিচারপতি এসকে সিনহা সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বর্তমান প্রধান বিচারপতি জনাব রহমানকে "চান্স এডিটর" বলে অভিহিত করেন। আদালতের ভাষা পড়তে দৈনিক আমারদেশ, ১৯ আগস্ট, ২০১০ পড়া যাতে পারে। মাহমুদুর রহমানকে ছয় মাসের কারাদন্ড দিলেও রায়ের কপি এখনো প্রধান বিচারতির অফিস সরবরাহ করছেন না।
রাজনৈতিকভাবে বিচারপতি নিয়োগ দিলে এর ফল শুভ হয়না। সবাই মাথা থেকে রাজনীতির দুষ্ট ক্ষত সরাতে পারেন না। আমাদের প্রথম ডিভিশন বেঞ্চ'র ওই অবস্থাই হয়েছে। শেখ জাকির হোসেন ছিলেন ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বর্তমানেও এ থেকে বেরুতে পারেননি। তাঁর ন্যাক্কারজনক দল ও সাংবাদিক গাফফার চৌধুরী প্রীতি জানতে ৯ এপ্রিল ২০১০ আমার দেশে প্রকাশিত নীচের ঘটনাটা পড়ুন।
http://www.amardeshonline.com/pages/home/2010/04/09

"বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী হলেন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বর্তমান বিচারপতি। গত ১ এপ্রিল রাতে পূর্ব লন্ডনের ডকল্যান্ড মেমসাব রেস্টুরেন্টে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, আওয়ামী লীগ নেতা এবং আওয়ামী ঘরানার আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুধু তাই নয়, একটি আলোচনা সভায়ও যোগদান করেন। আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মিনারের সভাপতিত্বে ব্যানার টাঙিয়ে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি, রাজনৈতিক প্রসঙ্গ, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ নানা প্রসঙ্গ স্থান পায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংবাদিক গাফফার চৌধুরী, মুখ্য আলোচক ছিলেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর। হাইকোর্টের কর্মরত বিচারপতির উপস্থিতিতে এ ধরনের সভার খবর এটিএন বাংলা ও চ্যানেল এসসহ মিডিয়ায় প্রচার পায়। ওই বৈঠকের ছবিও লন্ডন থেকে বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে এসে পৌঁছে। ছবিতে দেখা যায়, ডানের সারিতে সর্বপ্রথমে বসে আছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল হাসেম, এর পরই ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবীর, এরপর বসে আছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি সুলতান শরীফ, চতুর্থ স্থানে বসে আছেন বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন।

বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের শাসনকালে সুপ্রিমকোর্টে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় হাইকোর্ট বিভাগে সরকার পক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার আগে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচারপতি হিসেবে অস্থায়ী নিয়োগের মেয়াদ শেষ হলে তাকে স্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়নি। এতে তিনি বিচারপতি পদ থেকে বাদ পড়েন। ফিরে আসেন আইন পেশায়। তবে স্থায়ী নিয়োগ না দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি মামলা করেন। হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের রায়ের আলোকে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।"
সাধারন মানুষের আদালতের প্রতি ভাল ধারনা ফিরিয়ে আনতে দল-মতের উর্ধে উঠে সব আইনজীবিদের সম্মিলিতভাবে দ্রুত কাজ করতে হবে।
-লেখক সিনিয়র আইনজীবি, মিশিগান। ইমেইলঃ udarakasho9@gmail.com
http://www.sonarbangladesh.com/articles/AdvNayanKhan

Regards,
NK

' ' ,
'Awami League' is not a name of a political party, it's a name of disease of Bangladesh.




__._,_.___


[* Moderator�s Note - CHOTTALA is a non-profit, non-religious, non-political and non-discriminatory organization.

* Disclaimer: Any posting to the CHOTTALA are the opinion of the author. Authors of the messages to the CHOTTALA are responsible for the accuracy of their information and the conformance of their material with applicable copyright and other laws. Many people will read your post, and it will be archived for a very long time. The act of posting to the CHOTTALA indicates the subscriber's agreement to accept the adjudications of the moderator]




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___